Published on Jul 06, 2022 Updated 0 Hours ago

ভিয়েতনাম ও ভারত উভয়ের উপরেই চিনা আগ্রাসনের ছায়া ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে নয়াদিল্লি এবং হ্যানয়-এর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ঘটনাবহুল ইন্দো-প্যাসিফিকে ভারত-ভিয়েতনাম সম্পর্ক গভীরতর হচ্ছে

সম্প্রতি হ্যানয়ে ভারত এবং ভিয়েতনাম ১২তম রাজনৈতিক মন্ত্রণা এবং নবম দফার কৌশলগত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক একটি প্রেস রিলিজে জানিয়েছে যে, পূর্বাঞ্চলের সেক্রেটারি সৌরভ কুমার রাজনৈতিক আলোচনাসভার সহ-সভাপতিত্ব করেন এবং কৌশলগত আলোচনায় যোগ দেন দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীরা। উভয় পক্ষই ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে তাদের প্রধানমন্ত্রীদের দ্বারা ‘শান্তি, সমৃদ্ধি এবং জনসাধারণের উন্নতির জন্য যৌথ প্রস্তাবনা’ স্বাক্ষরের পর থেকে এখনও পর্যন্ত উভয়ের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতির পুনর্মূল্যায়ন করেছে। এই আলোচনায় ২০২১-২৩ সালের জন্য কর্ম পরিকল্পনার উপরেও জোর দেওয়া হয় এবং দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীই যৌথ প্রস্তাবনায় স্বাক্ষর করেন।

কোভিড-১৯ অতিমারির ফলে সৃষ্ট বাধা সত্ত্বেও ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে লোকসভার স্পিকারের ভিয়েতনাম সফর এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি গুয়েন ফু ট্রং-এর মধ্যে একটি সাম্প্রতিক ফোনালাপ দুই দেশের মধ্যে উচ্চ স্তরের সংযোগকে স্পষ্ট করেছে। উভয় পক্ষই তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ‘স্থিতিশীল সক্রিয়তা’ সম্পর্কে সন্তুষ্ট।

ট্রং-এর সঙ্গে মোদীর কথোপকথনের সময়ে উভয়েই দক্ষিণ চিন সাগর, যাকে ভিয়েতনাম ইস্ট সি বা পূর্ব সাগর বলে থাকে, সেই প্রসঙ্গে আলোচনা করেন এবং উভয়েই অঞ্চলটিতে শান্তি, স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি দায়বদ্ধতার বিষয়ে সহমত পোষণ করেন। এর মধ্যে ১৯৮২ সালের ইউনাইটেড নেশনস কনভেনশন অন দ্য ল অব দ্য সি উল্লেখযোগ্য, যেটিতে সব দেশের সার্বভৌমত্ব ও সার্বভৌম অধিকার-সহ বিমান ও জাহাজ চলাচলের স্বাধীনতার উপরে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

মেকং-গঙ্গা প্রজেক্ট, ইন্ডিয়ান টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকনমিক কো-অপারেশন (আই টি ই সি) ও ই-আই টি ই সি উদ্যোগ, পিএইচ ডি ফেলোশিপ এবং ডিজিটাল সংযোগের মতো একাধিক দ্রুত প্রভাব বিস্তারকারী প্রকল্পের মাধ্যমে ভারত ভিয়েতনামকে উন্নয়ন ও ক্ষমতাবৃদ্ধি সংক্রান্ত সহায়তা জুগিয়ে চলেছে।

এ ছাড়াও উভয় পক্ষই বর্তমানে ভারত-ভিয়েতনাম কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে উচ্চ পর্যায়ের বিনিময় এবং কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার পাশাপাশি তাদের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার ব্যাপারটিও খতিয়ে দেখেছে।  অব্যবহিত উচ্চ পর্যায়ের সমাবেশগুলির মধ্যে ২০২২ সালের জুন মাসে বিশেষ আসিয়ান-ভারত বিদেশমন্ত্রী বৈঠক এবং দিল্লি ডায়লগ উল্লেখযোগ্য। জানুয়ারি মাসে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বর্ষপূর্তি প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর টুইট করে জানান যে, ‘ভারত-ভিয়েতনাম কম্প্রিহেনসিভ স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতি পালনে আমরা দায়বদ্ধ’, এবং নয়াদিল্লি ‘দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী দ্বারা প্রস্তাবিত শান্তি, সমৃদ্ধি এবং জনকল্যাণের যৌথ কর্মপরিকল্পনার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করতে থাকবে।’

কলকাতায় মার্চেন্টস’ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি দ্বারা আয়োজিত একটি অধিবেশনে বক্তব্য রাখার সময়ে ভারতে ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম সান চাউ ভারত-ভিয়েতনাম সম্পর্কের বিশেষত্বের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ভারত ও ভিয়েতনাম উভয়েই এক অভিন্ন মূল্যবোধের বাহক যা শান্তি, পারস্পরিক আলোচনা এবং স্থিতিশীলতার উপরে গুরুত্ব দেয়। তিনি আরও বলেন যে, এক মাত্র ভারতই ভিয়েতনামকে পারমাণবিক প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার এবং প্রতিরক্ষার মতো সংবেদনশীল ক্ষেত্রগুলিতে সাহায্য করতে পারে।

প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত আন্তঃসহযোগিতা ছাড়াও ভারত ও ভিয়েতনাম পরস্পরের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কে যুক্ত। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ২০০০ সালের ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২০২১-২০২২ অর্থবর্ষে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৪.১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে বিগত অর্থবর্ষেই ২৭% বৃদ্ধি লক্ষ করা গিয়েছে। ভিয়েতনামে ভারতের রফতানির পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ৬.৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (৩৪% বৃদ্ধি) এবং ভিয়েতনাম থেকে ভারতের আমদানির পরিমাণ বর্তমানে ৭.৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (যা ২১% বৃদ্ধিকে দর্শায়)। বয়নশিল্প ও পোশাক, তথ্যপ্রযুক্তি, আবাসন, কৃষিজ পণ্য, সৌর প্রযুক্তি, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত একাধিক ভারতীয় সংস্থা ভিয়েতনামে বিনিয়োগ করেছে। টাটা কফি, ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, ও এন জি সি বিদেশ, গোদরেজ, এইচ সি এল টেকনোলজিস, উইপ্রো, মারিকো, টেক মাহিন্দ্রা এবং আরও অনেক ভারতীয় সংস্থা ইতিমধ্যেই ভিয়েতনামে কাজ করছে এবং এর পাশাপাশি গাড়ি ভাড়া পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা জুমকার ও অনলাইন উচ্চশিক্ষা প্রদানকারী সংস্থা আপগ্র্যাডও ভিয়েতনামের বাজারে প্রবেশ করেছে।

মেকং-গঙ্গা প্রজেক্ট, ইন্ডিয়ান টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকনমিক কো-অপারেশন (আই টি ই সি) ও ই-আই টি ই সি উদ্যোগ, পিএইচ ডি ফেলোশিপ এবং ডিজিটাল সংযোগের মতো একাধিক দ্রুত প্রভাব বিস্তারকারী প্রকল্পের মাধ্যমে ভারত ভিয়েতনামকে উন্নয়ন ও ক্ষমতাবৃদ্ধি সংক্রান্ত সহায়তা জুগিয়ে চলেছে। ভারত ও ভিয়েতনাম উভয়েই পর্যটন শিল্পের প্রচার চালানো ও মানুষে-মানুষে আদান-প্রদান বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি পরিকাঠামো এবং সংযোগ স্থাপনকারী প্রকল্পগুলির উপরে জোর দেওয়ার ব্যাপারে সহমত পোষণ করেছে।

রাজনৈতিক মত বিনিময়ের সময়ে ভারত এ কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে যে, সে অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি এবং তার ব্যাপকতর ইন্দো-প্যাসিফিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রেক্ষিতে ভিয়েতনামকে এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার বলেই মনে করে। ভারতের ইন্দো-প্যাসিফিক ওশনস ইনিশিয়েটিভ এবং ইন্দো-প্যাসিফিক সংক্রান্ত আসিয়ানের মনোভাবের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সাধারণ নিরাপত্তা, বৃদ্ধি এবং সমৃদ্ধি সুনিশ্চিত করতে উভয় পক্ষই তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে মজবুত করার উপরে জোর দিয়েছে।

ভারত ও ভিয়েতনাম উভয়েরই তাদের সাধারণ প্রতিবেশী দেশ চিনের সঙ্গে সম্পর্ক বিশেষ ভাল নয়। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দক্ষিণ চিন সাগরে ভারতের সক্রিয়তা প্রধানত বাণিজ্যিক সংযোগ, নৌ চলাচলের স্বাধীনতা বজায় রাখা এবং একটি নিয়মভিত্তিক বা রুলস বেসড আঞ্চলিক ব্যবস্থা দ্বারা প্রভাবিত। ভারত পেট্রোভিয়েতনাম-এর সঙ্গে যৌথ ভাবে তৈল অনুসন্ধান প্রকল্পগুলিতে অংশগ্রহণ করলেও ভিয়েতনাম দ্বারা প্রস্তাবিত অঞ্চলে ভারতের তৈল অনুসন্ধান  চালিয়ে যাওয়া সম্পর্কে চিন তার আপত্তি স্পষ্ট করেছে। ভিয়েতনাম, ফিলিপিনস এবং ব্রুনেই-এর মতো দাবিদার দেশগুলির সার্বভৌম অধিকার এবং দাবি অস্বীকার করে চিন সমগ্র দক্ষিণ চিন সাগরকেই নিজের বলে দাবি করেছে। চিন সংক্রান্ত অভিন্ন উদ্বেগের প্রেক্ষিতে ভারত এবং ভিয়েতনামের সম্পর্ক বিগত কয়েক বছরে ঘনিষ্ঠতর হয়েছে এবং উভয় দেশই ২০১৬ সালে একটি ‘কম্প্রিহেনসিভ স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ’ বা সর্বাঙ্গীন কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নতি ঘটিয়েছে। এর এক দশক আগে ২০০৭ সালে উভয় দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব’-এ উন্নীত হয়।

ভিয়েতনাম, ফিলিপিনস এবং ব্রুনেই-এর মতো দাবিদার দেশগুলির সার্বভৌম অধিকার এবং দাবি অস্বীকার করে চিন সমগ্র দক্ষিণ চিন সাগরকেই নিজের বলে দাবি করেছে।

২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিবৃতি অনুযায়ী ভিয়েতনাম ‘অঞ্চলটিতে ভারতের অগ্রাধিকারের নিরিখে একেবারে প্রথম সারিতেই রয়েছে’ এবং ‘ভারত ভিয়েতনামের প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর আধুনিকীকরণের প্রতি দায়বদ্ধ।’ নয়াদিল্লি হ্যানয়ের সঙ্গে তার প্রতিরক্ষা ও সুরক্ষা সম্পর্ক মজবুত করে চলেছে। মোদী আরও বলেন যে, ‘এর ফলে আমাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির– যা ইতিমধ্যেই যথেষ্ট বলিষ্ঠ– পাশাপাশি যৌথ অনুশীলন এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সংক্রান্ত আন্তঃসহযোগিতার বিস্তার ঘটবে।’ সেই সময় থেকেই ভারত ভিয়েতনামকে তার সামরিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য প্রতিরক্ষা খাতে একাধিক ঋণ প্রদান করেছে। প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বৃদ্ধির অংশ রূপে ভারত ভিয়েতনামকে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ডিফেন্স লাইনস অব ক্রেডিট বা প্রতিরক্ষা ঋণ প্রদান করেছে।

এই উদ্যোগের আওতাভুক্ত প্রতিরক্ষা প্রকল্পগুলির একটি হল ভিয়েতনাম বর্ডার গার্ড কমান্ড-এর জন্য ১২টি উচ্চ গতি সম্পন্ন গার্ড বোট বা পাহারাদার নৌকার নির্মাণ, যার মধ্যে ৫টি নৌ যান নির্মাণ করেছে ভারতীয় সংস্থা লারসেন অ্যান্ড টুবরো (এল অ্যান্ড টি) এবং বাকি সাতটি নৌ যান তৈরি করবে ভিয়েতনামের হাং হো শিপইয়ার্ড সংস্থা। এই নৌ যানগুলির প্রথমটি ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে ভিয়েতনামের হাতে তুলে দেওয়া হয়

অন্যান্য প্রতিরক্ষা কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে যৌথ সামরিক মহড়া, যার সর্বশেষটি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে দক্ষিণ চিন সাগরে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ভারত এবং ভিয়েতনাম উভয় দেশের নৌবাহিনীই একটি দ্বিপাক্ষিক কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করে। ভারত এই মহড়ার জন্য চারটি প্রথম সারির জাহাজ মোতায়েন করে, যার মধ্যে আই এন এস রণবিজয় এবং আই এন এস কোরা রয়েছে, যেগুলি ইতিমধ্যেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ চিন সাগর এবং পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে মোতায়েন করা ছিল। ভিয়েতনাম মহড়ার জন্য ভিয়েতনাম পিপলস নেভি (ভি পি এন) যুদ্ধজাহাজ ভি পি এন এস লাই থাই টু (এইচ কিউ-০১২) নিযুক্ত করে। ভারতীয় জাহাজগুলি অনুশীলনের বন্দর পর্বের জন্য কাম রানে উপস্থিত হয় এবং ভি পি এন-এর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আদান-প্রদান চালায়। ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি প্রেস রিলিজ অনুযায়ী, সমুদ্র পর্বে ভূপৃষ্ঠের যুদ্ধ অনুশীলন, অস্ত্র অনুশীলন এবং হেলিকপ্টার মহড়াগুলি হতে দেখা গিয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে যে, দু’দেশের নৌবাহিনীর মধ্যে আদান-প্রদান বৃদ্ধির ফলে তাদের আন্তঃকার্যক্ষমতা এবং অভিযোজনযোগ্যতা বেড়েছে এবং ‘পেশাগত বিনিময়ের মাত্রা’য় ব্যাপক বৃদ্ধি সুনিশ্চিত করেছে।

ভিয়েতনাম ও ভারত উভয়ের উপরেই চিনের আগ্রাসনের ছায়া ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক এবং সামরিক সংযোগের ক্ষেত্রে ব্যাপক বৃদ্ধি লক্ষ করা গিয়েছে। কোভিড-১৯ অতিমারি চলাকালীন সরবরাহ শৃঙ্খলের যে দুর্বলতা সামনে উঠে এসেছে, সেগুলির প্রেক্ষিতে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক খাতে সম্পর্কের সম্প্রসারণও লক্ষ করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আরও তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ভারত এবং ভিয়েতনামের উচ্চস্তরীয় রাজনৈতিক আগ্রহ তাদের পারস্পরিক সম্পর্ককে আগামী বছরগুলিতে একজোট হয়ে কাজ করার আরও নতুন উপায় খোঁজার পথে চালিত করবে।


এই প্রতিবেদনটি সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয় দ্য ডিপ্লোম্যাট-এ।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.