-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
ভারত-মার্কিন বাণিজ্য আলোচনা গতিশীল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা ভারতের শুল্ক কৌশল, ট্রাম্পের নীতি এবং ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য লক্ষ্যমাত্রার পথকেও পরীক্ষার মুখে ফেলবে।
২০২৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্প্রতি ঘোষিত বাইল্যাটেরাল ট্রেড এগ্রিমেন্ট বা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি (বিটিএ) দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ২০২৪ সালে ভারতের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ছিল। ট্রাম্পের দ্বিতীয় প্রশাসন বিশেষ করে কোনও দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি করা থেকে বিরত রয়েছে, বিশেষত যদি তাদের আমেরিকার সঙ্গে সুবিশাল বাণিজ্য উদ্বৃত্ত থাকে। এই ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী কানাডা এবং মেক্সিকোর ঘটনা বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম ট্রাম্প প্রশাসন মেক্সিকো ও কানাডা উভয়ের সঙ্গে নর্থ আমেরিকান ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (এনএএফটিএ) কাঠামো বাতিল করে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আরও অনুকূল শর্তাবলির উপর একটি নতুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা (ইউএসএমসিএ) চুক্তি নিয়ে আলোচনা করে। ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের সঙ্গে একটি বিটিএ নিয়ে কাজ করতে সম্মত হয়েছে এবং তা ভারত-মার্কিন বাণিজ্য সম্পর্কের জন্য একটি ভাল সঙ্কেত বহন করতে পারে।
ট্রাম্পের দ্বিতীয় প্রশাসন বিশেষ করে কোনও দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি করা থেকে বিরত রয়েছে, বিশেষত যদি তাদের আমেরিকার সঙ্গে সুবিশাল বাণিজ্য উদ্বৃত্ত থাকে।
প্রকৃত চুক্তির মতোই ট্রাম্পকে এ কথা বোঝানোও সমান গুরুত্বপূর্ণ যে, ভারতের আমেরিকার সঙ্গে একটি চুক্তি করা বা একটি কার্যকর বাণিজ্য চুক্তির কাঠামো তৈরি করার সঠিক উদ্দেশ্য রয়েছে। অন্য দিকে, ভারত নিজের পক্ষ থেকে সঠিক ইঙ্গিতই দিয়েছে যে, প্রাথমিক পদক্ষেপের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শুল্ক ১৫০ শতাংশ থেকে ৭০ শতাংশে কমিয়ে আনা হয়েছে। ভারত তার সাম্প্রতিক বাজেটে ঘোষণা করেছে যে, তারা অন্যান্য খাতের মধ্যে বার্বন হুইস্কি, ওয়াইন ও ইলেকট্রনিক যানবাহন (ইভি) বিভাগের উপর শুল্ক কমাবে। বাণিজ্য মূল্যের দিক থেকে এগুলি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র না হলেও এটি নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে সমঝোতামূলক হতে পারে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অর্ধেক পথ অতিক্রম করার জন্য ভারতের সদিচ্ছাকেই দর্শায়।
ট্রাম্পের রাষ্ট্রপতিত্বের মধ্যে ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য পরিসরে নিজের পথ করে নেওয়া সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। ট্রাম্পের জন্য কিছু পরিসংখ্যান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে এবং তা গড় শুল্ক প্রয়োগের ক্ষেত্রে ভারতের মতো দেশগুলির সঙ্গে সম্পূর্ণ বিপরীত। উদাহরণ স্বরূপ, ভারতের সাধারণ গড় শুল্ক হার ১৭ শতাংশ, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৩.৩ শতাংশ। কৃষির মতো ক্ষেত্রে এই বৈপরীত্য আরও বিস্তৃত হয়। ট্রাম্প এই উচ্চ সংখ্যার মধ্যে সূক্ষ্মতা দেখতে পাবেন বলে ভারতের আশা করা উচিত নয়; বরং তাদের উচিত তাদের যুক্তি আরও ভাল ভাবে উপস্থাপনের জন্য কৌশল তৈরি করা। ভারতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান রফতানির উপর উচ্চ শুল্ক সীমিত হলেও ভারত কৃষির মতো দেশীয় শিল্পগুলিকে রক্ষা করার পাশাপাশি কৌশলগত সমঝোতার ভারসাম্য বজায় রাখতে চায়। সম্ভাব্য ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তির জন্য এখন যা করণীয়, তা হল বিশ্বব্যাপী মূল্য শৃঙ্খলে ভারতের গভীর সমন্বিতকরণ, যা তাকে তার গড় শুল্ক কমানোর কিছুটা সুযোগ করে দেয়।
দেশীয় ও ধাতু উৎপাদনের জন্য ট্রাম্পের চাপের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের অ্যালুমিনিয়াম রফতানি বাধার সম্মুখীন হতে পারে।
রত্ন ও অলঙ্কারের অন্যতম বৃহত্তম রফতানিকারক দেশ হিসেবে ভারত এই খাতে, বিশেষ করে পালিশ করা হিরে এবং সোনার অলঙ্কারের ক্ষেত্রে শুল্ক হ্রাসের সুযোগ দেখতে পারে, যাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আরও বেশি বাজার প্রবেশাধিকার সুনিশ্চিত করা যায়। আমেরিকা ভারতীয় অলঙ্কার ও রত্নের বৃহত্তম আমদানিকারক, যার ২০২৩-২৪ সালে মূল্য ছিল ৯.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই পরিমাণ সঙ্কেত প্রদান এবং মূল্য উভয় ক্ষেত্রেই বাণিজ্য আলোচনায় এটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র করে তুলেছে। বাণিজ্য আলোচনার আর একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হবে অ্যালুমিনিয়াম এবং ইস্পাত। ২০২৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের অ্যালুমিনিয়াম রফতানির পরিমাণ ছিল ৯৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ইস্পাত আমদানির উপর সম্পূর্ণ ২৫ শতাংশ শুল্ক পুনর্বহাল এবং বেশ কয়েকটি দেশের উপর অ্যালুমিনিয়াম আমদানির উপর শুল্ক ২৫ শতাংশে বৃদ্ধি সংক্রান্ত ট্রাম্পের সাম্প্রতিক ঘোষণায় ভারতের উল্লেখ করা হয়নি। তবে, বিটিএ আলোচনায় তা প্রায় নিশ্চিত। দেশীয় ও ধাতু উৎপাদনের জন্য ট্রাম্পের চাপের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের অ্যালুমিনিয়াম রফতানি বাধার সম্মুখীন হতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অ্যালুমিনিয়াম ও ইস্পাতের চাহিদার মাত্রাও অনেকাংশে নির্ভর করবে ট্রাম্প প্রশাসন অন্য নামে হলেও আংশিক ভাবে উন্নয়নের ক্ষেত্রে মনোযোগ দেওয়ার জন্য বাইডেন প্রশাসনের ‘বিল্ড ব্যাক বেটার’ কর্মসূচির মৌলিক অবকাঠামো প্রকল্পগুলি অব্যাহত রাখে কি না, তার উপর। ভারত থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টেক্সটাইল ও পোশাক রফতানি - যা বার্ষিক ১০.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল - শুল্ক ছাড়ের জন্য মার্কিন দাবির কেন্দ্রবিন্দুতেও থাকতে পারে।
বিটিএ-তে ভারতের জন্য জ্বালানির বিষয়টি আর একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হবে। ভারত তেল ও গ্যাসের বৃহত্তম আমদানিকারকদের মধ্যে অন্যতম। একটি কার্যকরী সহজ কৌশল হল বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা কমাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও তেল ও গ্যাস আমদানি করা এবং সম্ভবত ভারত এতে সম্মত হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিতে একটি বড় লাফ দেখা গিয়েছে, যা দেশটিকে পঞ্চম স্থানে নিয়ে গিয়েছে। সর্বশেষ ভারত-মার্কিন যৌথ বিবৃতিতে জোর দেওয়া হয়েছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের অপরিশোধিত তেল ও পেট্রোলিয়াম পণ্যের শীর্ষস্থানীয় সরবরাহকারী হতে চায়। ট্রাম্প জ্বালানি রফতানিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা এই ক্ষেত্রের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। তবে তেল ও গ্যাসের সুবিধাজনক মূল্য নির্ধারণ, রাশিয়ার মতো অন্য সরবরাহকারীদের উপর নিষেধাজ্ঞা এবং কার্যকরী সরবরাহ শৃঙ্খল সুনিশ্চিত করার জন্য মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও নিরাপত্তার কার্যকারিতার উপর অনেক কিছু নির্ভর করবে। এ ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যে একটি শান্তি চুক্তি করা এবং ইউরোপে ইতালির পাশাপাশি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ভারতের সঙ্গে একটি আন্তঃসংযোগমূলক প্রকল্পে অঞ্চলটিকে সংযুক্ত করার ট্রাম্পের পরিকল্পনাও সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে পারে।
সর্বশেষ ভারত-মার্কিন যৌথ বিবৃতিতে জোর দেওয়া হয়েছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের অপরিশোধিত তেল ও পেট্রোলিয়াম পণ্যের শীর্ষস্থানীয় সরবরাহকারী হতে চায়।
যে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে আলোচনা জটিল হতে পারে, তা হল ইলেকট্রনিক্স ও স্মার্ট ডিভাইস। এ ক্ষেত্রে ট্রাম্প প্রশাসন ভারতীয় রফতানির উপর পারস্পরিক শুল্ক আরোপের বিষয়ে গুরুতর ভূমিকা পালন করছে। এই বিভাগে উচ্চ শুল্কের অর্থ এই যে, তা বৃহত্তর মূলধন বহির্গমন এবং ভারতের মূল্য শৃঙ্খলের সম্পূর্ণ পরিসরকে বিপর্যস্ত করতে পারে। অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড এমন একটি সংস্থার উদাহরণ মাত্র, যা ভারতে উৎপাদন ও সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগ করে। ক্রমবর্ধমান মেক আমেরিকা গ্রেট এগেন-এর (এমএজিএ) মধ্যেই এই ভাবনাও আরও স্পষ্ট হতে পারে যে, মার্কিন সংস্থাগুলির নিজের দেশে ফিরে আসা উচিত। ট্রাম্পের মেক ইন আমেরিকা নীতির উপর মনোযোগ ও মার্কিন সংস্থাগুলিকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা বিশ্বব্যাপী মূল্য ও সরবরাহ শৃঙ্খলে ভারতের ভূমিকার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে।
ভারত-মার্কিন প্রতিরক্ষা সম্পর্ক হল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অন্যতম শক্তিশালী স্তম্ভ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতে প্রতিরক্ষা বিক্রয় বাণিজ্য অসামঞ্জস্যতা পরিবর্তন করার সবচেয়ে সহজ উপায় হতে পারে। ট্রাম্প প্রশাসন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, পি-৮আই পসাইডন, হেলিকপ্টার এবং অন্যান্য উন্নত সামরিক ব্যবস্থার মতো বড় ক্রয়ের মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ভারতকে নতুন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রয় করার বিষয়ে প্রায় নিশ্চিত। ভারতে ব্যয়বহুল যুদ্ধবিমানের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে জোরালো বিতর্ক হলেও ট্রাম্প নিশ্চিত ভাবেই প্রতিরক্ষা বিক্রয়কে সাম্প্রতিক যৌথ বিবৃতিতে ঘোষিত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছনোর সবচেয়ে সহজ উপায় হিসেবে দেখবেন।
ট্রাম্প প্রশাসন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, পি-৮আই পসাইডন, হেলিকপ্টার এবং অন্যান্য উন্নত সামরিক ব্যবস্থার মতো বড় ক্রয়ের মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ভারতকে নতুন প্রতিরক্ষা বিক্রয় করার বিষয়ে প্রায় নিশ্চিত।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ভারত প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করলেও এ বার তারা লক্ষ্যবস্তু, কৌশলগত ছাড়ের বিষয়ে প্রস্তুত এবং একই সঙ্গে এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট বিপদরেখা টেনেছে। শুল্ক কমিয়ে ভারত মূল ক্ষেত্রগুলির সঙ্গে আপস না করে একটি অনুকূল আলোচনার পরিবেশ সুনিশ্চিত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সংঘাতমূলক অবস্থান নেওয়ার পরিবর্তে শুল্ক সামঞ্জস্য করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে, বিশেষ করে বাণিজ্য উন্মুক্ততার প্রতীকী ক্ষেত্রগুলিতে। ২০২৫ সালের বাজেটে শুল্ক হ্রাসকে একটি দুর্দান্ত সূচনা বলে মনে করা হয়েছিল এবং সম্ভাব্য বিটিএ নিয়ে আলোচনার পথ প্রশস্ত হতে পারে। ভারত-মার্কিন যৌথ বিবৃতিতে এই বছরের সেপ্টেম্বরের কাছাকাছি একটি সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে, যখন উভয় পক্ষই একটি কার্যকর কাঠামো তৈরি করতে সক্ষম হবে। এই একই সময়ে ভারত কোয়াড শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করবে। আগামী মাসে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সৌর কোষ ও বিলাসবহুল গাড়ি-সহ বর্তমানে উচ্চ শুল্কের সম্মুখীন বিভিন্ন পণ্যের উপর শুল্ক পুনর্মূল্যায়নের মাধ্যমে এবং অভ্যন্তরীণ স্বার্থ রক্ষার মাধ্যমে ভারতের ভারসাম্য পরীক্ষা করা হবে।
২০৩০ সালের মধ্যে ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য লক্ষ্যমাত্রা ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা উচ্চাভিলাষী। কারণ এর জন্য আগামী পাঁচ বছরে অতিরিক্ত ২৫০-২৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাণিজ্য প্রয়োজন। এর জন্য উভয় দেশকে বিটিএ-তে একটি পথনির্দেশিকা প্রদান করতে হতে পারে, যা নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের জন্য একটি স্পষ্ট পথ তৈরি করবে এবং প্রতিরক্ষা ও জ্বালানির মতো উচ্চ-মূল্যবান ক্ষেত্রে আমদানি সম্প্রসারণ, ট্রাম্পের সুরক্ষাবাদী নীতি সত্ত্বেও ভারতে মার্কিন বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা সর্বাধিক করে তোলার পাশাপাশি সম্ভাব্য বাণিজ্য বাধাগুলি মোকাবিলা করার মতো পদক্ষেপগুলির মিশ্রণ অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।
বিবেক মিশ্র অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের ডেপুটি ডিরেক্টর।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.