Author : Vivek Mishra

Published on Jul 11, 2024 Updated 0 Hours ago

ক্রমবর্ধমান হুমকির চেয়েও এগিয়ে থাকার জন্য ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক গোয়েন্দা সহযোগিতাকে প্রসারিত করার বিপুল সম্ভাবনা অন্বেষণ করা দরকার

ভারত-মার্কিন গোয়েন্দা সহযোগিতা: প্রয়োজন দ্রুত অগ্রগতি

এই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ইউএস-ইন্ডিয়া হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডায়ালগের সহ-সভাপতিত্ব করার জন্য মিলিত হয়েছিলেন। নীতিগত ভাবে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডায়ালগ বিভিন্ন পরিসর জুড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করে, যার মধ্যে রয়েছে মাদকের বিরুদ্ধে সহযোগিতা বাড়ানো, কাস্টমস কর্তৃপক্ষের মধ্যে সহযোগিতা, সন্ত্রাসবাদ সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই এবং অনিয়মিত অভিবাসন মোকাবিলা। এই সব অন্তর্নিহিত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আস্থার কারণ, যা গোয়েন্দা সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে মহাদেশীয়, সামুদ্রিক এবং মহাকাশ বিস্তৃতি জুড়ে সংবেদনশীল তথ্য আদান-প্রদানের মসৃণ শৃঙ্খলের মাধ্যমে দুই দেশ গোয়েন্দা ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। গোয়েন্দা তথ্যের ক্ষেত্রে ভারত-মার্কিন সহযোগিতার সম্ভাবনা অপরিসীম, কিন্তু এই ক্ষেত্রে তার সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন হয়নি। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল এমন ভাবে গোয়েন্দা সহযোগিতার সম্ভাবনা উন্মুক্ত করেছে, যা দুই দশক আগে অকল্পনীয় ছিল।

 

গোয়েন্দা তথ্যের ক্ষেত্রে ভারত-মার্কিন সহযোগিতার সম্ভাবনা অপরিসীম, কিন্তু এই ক্ষেত্রে তার সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন হয়নি। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল এমন ভাবে গোয়েন্দা সহযোগিতার সম্ভাবনা উন্মুক্ত করেছে, যা দুই দশক আগে অকল্পনীয় ছিল।

 

আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার বিকশিত সমীকরণের জন্য মার্কিন ও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলির মধ্যে গভীর সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে। এটি এ স্বীকৃতি দ্বারা সমর্থিত যে গোয়েন্দা সহযোগিতা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিরাপত্তার সঞ্চারপথে উভয় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। যেমন, উভয় পক্ষই নিরাপদ তথ্য আদান-প্রদানে বিভিন্ন স্তরে সহযোগিতা বাড়ানোর চেষ্টা করেছে, বিশেষ করে আন্তর্দেশীয় সমন্বয় এবং দ্বিপাক্ষিক/বহুপাক্ষিক সম্পৃক্ততার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। নিরাপত্তার বর্ধিত জটিলতা এবং ক্রমবর্ধমান পরিসরকেন্দ্রিক নির্ভরতার পরিপ্রেক্ষিতে, গোয়েন্দা সহযোগিতা সন্ত্রাসবাদ, সাইবার নিরাপত্তা, আন্তঃসীমান্ত অবৈধ অভিবাসন, বিমান চলাচল নিরাপত্তা, সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং সর্বোপরি সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি-সহ বিস্তৃত বিষয়গুলির সঙ্গে সমন্বিত হয়েছে।

 

বিশ্বাস অপরিহার্য

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানে সহযোগিতার বন্ধন দৃঢ় করেছে। খালিস্তানি নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুন সংক্রান্ত সাম্প্রতিক ঘটনাটি দুই দেশের মধ্যে আস্থার বিষয়কে আবার আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে এনেছে। ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গোয়েন্দা তথ্যের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে, বিশেষ করে পান্নুনের ঘটনায়, যা দুই দেশের মধ্যে গোয়েন্দা সংস্থার স্তরে তথ্যের অবাধ আদান-প্রদানের প্রয়োজনীয়তার পর জোর দেয়। গোয়েন্দা সংস্থা কী ভাবে হুমকির মূল্যায়ন করে এবং দুই দেশে সেই তথ্য প্রক্রিয়াকরণে কাঠামোগত পার্থক্যের মতো আস্থার বিষয়টি এতটা জরুরি ছিল না। তা সত্ত্বেও গোয়েন্দা সহযোগিতার ক্ষেত্রে আস্থা গুরুত্বপূর্ণ। চিরাচরিত ভাবে বিশ্বাস দ্বিপাক্ষিক ভাবে বা বহুপাক্ষিক ফোরামের মধ্যে যে কোনও ক্ষেত্রে দুটি দেশের মধ্যে গোয়েন্দা সহযোগিতার একটি অপরিহার্য অংশ। আইএসআইএস-কে দ্বারা ২২ মার্চ মস্কোতে ঘৃণ্য সন্ত্রাসবাদী হামলা বিশ্বব্যাপী আরও শক্তিশালী গোয়েন্দা তথ্য ভাগ করে নেওয়ার জন্য উদ্বেগজনক প্রয়োজনীয়তাকে দর্শিয়েছে। যাই হোক, শুধু মাত্র বিশ্বাস এই পরিসরে সহযোগিতাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে না বা আমলাতান্ত্রিক প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবন্ধকতাগুলি কাটিয়ে উঠতে পারে না। এর জন্য দেশগুলির প্রয়োজন স্বচ্ছ কাঠামোগত কার্যকারিতা-সহ তথ্য আদান-প্রদানের মুহূর্ত থেকে একটি অভিন্ন সাধারণ লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত আন্তঃকার্যকারিতার অনুভূতি প্রদানের ক্ষমতা দর্শানো

 

যাই হোক, শুধু মাত্র বিশ্বাস এই পরিসরে সহযোগিতাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে না বা আমলাতান্ত্রিক প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবন্ধকতাগুলি কাটিয়ে উঠতে পারে না। এর জন্য দেশগুলির প্রয়োজন স্বচ্ছ কাঠামোগত কার্যকারিতা-সহ তথ্য আদান-প্রদানের মুহূর্ত থেকে একটি অভিন্ন সাধারণ লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত আন্তঃকার্যকারিতার অনুভূতি প্রদানের ক্ষমতা দর্শানো

 

প্রাতিষ্ঠানিক সমতা

ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গোয়েন্দা সহযোগিতা যে কোন যৌথ সন্ত্রাসবিরোধী কৌশলের অবিচ্ছেদ্য অংশ, বিশেষ করে ৯/১১ হামলা বা ২৬/১১-এর মুম্বইতে সন্ত্রাসবাদী হামলার মতো বিপর্যয়মূলক ঘটনাগুলি প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে অবশ্যই। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনার কৌশলগত প্রত্যাহার তার নিজস্ব সন্ত্রাসবিরোধী চ্যালেঞ্জের জন্ম দিয়েছে যা এই অঞ্চল এবং তার বাইরেও প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন, প্রাথমিক আশঙ্কাই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি সদস্য দেশের ইন্টারপোলের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলের সঙ্গে নির্বিঘ্ন অভ্যন্তরীণ পুলিশি সংহতিকরণ আন্তর্দেশীয় অপরাধ এবং সন্ত্রাসবাদকে মোকাবিলা করার জন্য একটি মূল পদক্ষেপ। সংস্থার সদস্য হিসাবে, ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্দেশীয় অপরাধ এবং সন্ত্রাসবাদ উভয় ক্ষেত্র থেকে উদ্ভূত সাধারণ হুমকি মোকাবিলায় নিবিড় ভাবে কাজ করে সহযোগিতা প্রসারিত করতে পারে। ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রসঙ্গ হল ২৬/১১ মুম্বই সন্ত্রাসবাদী হামলার অভিযুক্ত তাহাউর হোসেন রানাকে প্রত্যর্পণের জন্য ভারতের চাপ। প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া সহজতর করার জন্য অনেক কাজ করা বাকি আছে, যা অপরাধী এবং সন্ত্রাসবাদীদের তাদের সার্বভৌম এক্তিয়ারের মধ্যে দ্রুত স্থানান্তরকে সহজতর করবে।

গোয়েন্দা সহযোগিতার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হল সাইবার জালিয়াতি এবং সাইবার-আক্রমণ প্রতিরোধ করা। তথ্য আদান-প্রদান, যাচাইকরণ এবং যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাইবার নিরাপত্তার সুরক্ষা জোরদার করতে এবং সম্ভাব্য হুমকিগুলিকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার আগে তা ব্যর্থ করার লক্ষ্য রাখতে পারে। সম্মিলিত ডিজিটাল অবকাঠামো রক্ষা এবং সরবরাহ শৃঙ্খলের অখণ্ডতা বজায় রাখার জন্য এই সক্রিয় পন্থা অপরিহার্য। বাইডেন প্রশাসনের সাইবার নিরাপত্তা কৌশল এই ক্ষেত্রে অভিন্ন সাধারণ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা সম্প্রসারণের সুযোগ প্রদান করে।

দুটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্র যা ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গোয়েন্দা সহযোগিতার গতিপথকে নতুন আকার দিতে পারে তা হল ইন্দো-প্যাসিফিকের সমুদ্রসীমা এবং ভারতের সীমান্ত নিরাপত্তা। ইন্দো-প্যাসিফিকে সংঘর্ষ বিন্দুগুলির নিরিখে এ কথা বলা যায় যে, অঞ্চলটি অস্থিতিশীল হওয়া থেকে মাত্র এক কদম দূরে। এর বিশাল বিস্তৃতির জন্য এই অঞ্চলের প্রধান শক্তিরা এই অঞ্চলকে সন্ত্রাস, আন্তর্জাতিক অপরাধ, পাচার, জলদস্যুতা এবং অবৈধ বাণিজ্যের হুমকি থেকে মুক্ত রাখতে সক্ষমতা একত্রিত করে। সীমান্ত নিরাপত্তা উন্নত করার ক্ষেত্রে, সঠিক তথ্য এবং বিশ্বাসযোগ্য বুদ্ধিমত্তা অল্প সময়ের মধ্যেই শত্রু্র মোকাবিলা করতে পারে। ভারত ও চিনের মধ্যে গালওয়ান সংঘর্ষের পরের পরিস্থিতি ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর ভারতের সীমান্ত নিরাপত্তা সংক্রান্ত গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানে সহযোগিতা তৈরি করার যথেষ্ট পরিসর তৈরি করেছে। তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে সার্বভৌমত্ব রক্ষার সাধারণ উদ্দেশ্য এই অঞ্চলে সীমান্ত প্রতিরক্ষার একটি নতুন যুগের সূচনা করতে পারে যা ফ্রি অ্যান্ড ওপেন ইন্দো-প্যাসিফিক-এর (এফওআইপি) মতো আঞ্চলিক কৌশলের মৌলিক নীতিগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রযুক্তির ভূমিকা এবং নিরাপত্তার সঙ্গে এর সমন্বিতকরণ বুদ্ধিমত্তা তথ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধতাকে ক্রমশ ঝাপসা করে দিয়েছে। ভবিষ্যতে উন্নত জিইওআইএনটি ব্যবস্থার সমন্বিতকরণ বাস্তব সময়ে সীমান্ত কার্যকলাপের সঙ্গে সম্পর্কিত ভূ-স্থানিক তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং প্রচারকে সক্ষম করবে। এর মধ্যে রয়েছে স্যাটেলাইট ইমেজ, মনুষ্যবিহীন এরিয়াল ভেহিকল (ইউএভি) এবং এলএসি বরাবর গতিবিধি নিরীক্ষণ ও ট্র্যাক করার জন্য স্থলভিত্তিক সেন্সর।

সামুদ্রিক পরিসরে তথ্য আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে, যা গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। সামুদ্রিক পথ রক্ষা, জলদস্যুতা মোকাবিলা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রতিক্রিয়া - যা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে একটি সাধারণ কৌশলের ভিত্তি তৈরি করেছে - সবই সময় মতো এবং সঠিক তথ্য আদান-প্রদানের উপর নির্ভর করে। ভারতের আইএফসি-এওআর থেকে ভাগ করে নেওয়া রিয়েল-টাইম তথ্য এখন পশ্চিম, দক্ষিণ এবং পূর্ব ভারত মহাসাগরকে মুক্ত ও অবাধ রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিপাক্ষিক গোয়েন্দা সহযোগিতা এই পরিসরেও দেখা যাচ্ছে, যেমনটা আগে কখনও হয়নিএমনকি পরিসরভিত্তিক সচেতনতা বুদ্ধিমত্তা, নজরদারি এবং পুনরুদ্ধারের মধ্যে ব্যবধানকে সঙ্কুচিত করেছে অতি সম্প্রতি, মিনিকয়-এ একটি অপারেশনাল ঘাঁটি খোলার জন্য ভারতের সিদ্ধান্ত ভারত মহাসাগরে মার্কিন ঘাঁটি রয়েছে এমন দিয়েগো গার্সিয়া এবং জিবুতির সঙ্গে একটি কৌশলগত কেন্দ্র তৈরি করতে পারে। ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চারটি মৌলিক চুক্তি এখন ভূ-স্থানিক বুদ্ধিমত্তা এবং তথ্যের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে অতীতে অদৃশ্য তথ্য আদান-প্রদান কাঠামোকে সহজতর করে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি যৌথ পাল্টা গোয়েন্দা কৌশলের সুবিধাগুলি পশ্চিম ভারত মহাসাগরে জলদস্যুতা নিয়ন্ত্রণ থেকে ভারতের পশ্চিম উপকূল, দিয়েগো গার্সিয়া; মিনিকয় দ্বীপ এবং জিবুতির মধ্যে একটি তথ্য চতুর্ভুজ তৈরি করা পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারেএটি ভারত মহাসাগরে তথ্য সংগ্রহ এবং গুপ্তচর জাহাজ পাঠানোর চিনা প্রচেষ্টাকে বাধা দিতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, তথ্য চতুর্ভুজ শক্তিশালী সরঞ্জাম এবং সমমনস্ক অংশীদারদের যোগ করে আক্রমণাত্মক প্রতিরক্ষামূলক উভয় উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে।

 

আন্তর্দেশীয় সংস্থার মধ্যে সহযোগিতা

গোয়েন্দা পরিসরে মসৃণ সহযোগিতার জন্য দুই দেশের তদন্তকারী সংস্থাগুলির মধ্যে কাঠামোগত সাযুজ্য একটি পূর্বশর্ত। ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই এবং সিআইএ-এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে বৈষম্য রয়েছে, ভারতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রএবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হোমল্যান্ড সিকিউরিটির প্রাতিষ্ঠানিক স্তরে সমতা শুরু হতে পারে। বর্ধিত গোয়েন্দা সহযোগিতা উভয় পক্ষের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) দ্বারা চালিত হতে পারে, যা ইতিমধ্যে প্রযুক্তি অংশীদারিত্বের মতো বিশেষ বিষয়গুলিতে কাজ করার সুবিধা পাবে। নিয়মিত ফলো আপ সভাগুলি গতি বজায় রাখতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতে অতিরিক্ত সচিব সচিবদের স্তরে কাজ করতে পারে। সহযোগিতা ও সহযোগিতার পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য নিয়মিত আলোচনা ধারণা বিনিময়ের সুবিধার্থে সংস্থার প্রধানদের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের জন্য এনআইএ এবং এফবিআই/সিআইএ-র মধ্যে একটি হটলাইন স্থাপন করা উচিত।

 

সহযোগিতা ও সহযোগিতার পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য নিয়মিত আলোচনা ধারণা বিনিময়ের সুবিধার্থে সংস্থার প্রধানদের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের জন্য এনআইএ এবং এফবিআই/সিআইএ-র মধ্যে একটি হটলাইন স্থাপন করা উচিত।

 

ভারত-মার্কিন গোয়েন্দা অংশীদারিত্ব দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তিপ্রস্তর হয়ে উঠতে পারে এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে তার বাইরে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির প্রচারের জন্য তাদের প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভারত-মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডায়ালগের পরিধি এবং মাত্রাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে পরিসর জুড়ে তথ্য ভাগাভাগি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রসারিত করা যেতে পারে যা সীমান্ত সুরক্ষা এবং বিমান চলাচল সামুদ্রিক নিরাপত্তার মতো ক্ষেত্রে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। সর্বোপরি, যৌথ প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনকে ইতিবাচক ভাবে প্রভাবিত করতে দ্বিপাক্ষিক বুদ্ধিমত্তার সহযোগিতাকে গভীর ও প্রসারিত করার পাশাপাশি বিবর্তিত হুমকি থেকে এগিয়ে থাকার জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা রয়েছে।

বুদ্ধিমত্তার ইতিবাচক দিক হল সময়োপযোগী তথ্য এবং এর ফলে আগে থেকে সক্রিয় হয়ে কর্ম সম্পাদনের মাধ্যমে যে কোনও ঝুঁকি থেকে এগিয়ে থাকা। সময় এসেছে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক গোয়েন্দা সহযোগিতার জন্য একটি কাঠামো প্রস্তাব করা। মার্কিন-ভারত গোয়েন্দা সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য একটি কাঠামো উভয় পক্ষের প্রচেষ্টাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর সুফল পাওয়া যাবে।

 


বিবেক মিশ্র অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ফেলো।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.