Author : Nilanjan Ghosh

Published on May 02, 2022 Updated 0 Hours ago

অর্থনীতির উপর মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিগুলির প্রভাব ও পরবর্তী ভূ-রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া বোঝার জন্য এই চুক্তিগুলির বিশ্লেষণ ক্রমেই বেশি করে প্রয়োজনীয় হয়ে উঠছে।

ভারত-আমিরশাহি সিইপিএ: মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য ভারতের নতুন করে আগ্রহ

ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মধ্যে ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২-এ সর্বাত্মক অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তি (সি ই পি এ) স্বাক্ষরিত হওয়ার ফলে দুই দেশের অর্থনীতির জন্য প্রচুর সুযোগ তৈরি হবে। এই বাণিজ্য চুক্তিতে পণ্যের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আগামী পাঁচ বছরে ৬,০০০ কোটি মার্কিন ডলার থেকে বাড়িয়ে ১০,০০০ কোটি মার্কিন ডলার পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার, এবং সেই সঙ্গে ১,৫০০ কোটি ডলার মূল্যের পরিষেবা বাণিজ্যের পরিকল্পনা করা হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রকের দাবি, এর ফলে টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস, রত্ন ও গয়না, প্লাস্টিক পণ্য, অটো ও চামড়া, প্রক্রিয়াজাত কৃষি ও দুগ্ধজাত পণ্য, হস্তশিল্প, আসবাবপত্র, খাদ্য ও পানীয়, এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো শ্রম- নির্ভর

ক্ষেত্রে ভারতে ১০ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থান হবে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে ভারতীয় রফতানির ৯০ শতাংশের জন্য শুল্ক শূন্যে নামিয়ে আনার কথা। এখন এটি ট্যারিফ লাইনের প্রায় ৮০ শতাংশ হলেও তালিকাটি আগামী পাঁচ বছরে প্রায় ৯৭ শতাংশে পৌঁছবে।

সংযুক্ত আরব আমিরশাহিরও লাভ হবে। আমিরশাহি থেকে আমদানির উপর প্রায় ৬৫ শতাংশ শশুল্কের উপর এখনই ছাড় দেওয়া হবে, আর তা ১০ বছরে শুল্ক–লাইনের ৯০ শতাংশে পৌঁছে যাবে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে ২০০ টন সোনা আমদানির একটি শুল্ক-রেট কোটাও থাকবে, যার প্রস্তাবিত আমদানি শুল্ক অন্য ব্যবসায়িক অংশীদারদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শুল্কহারের চেয়ে এক শতাংশ পয়েন্ট কম হবে। ‘‌বাণিজ্য থেকে লাভ’‌ সহজে উপলব্ধি করা যায়, কিন্তু আমিরশাহি থেকে প্রত্যাবাসন (রিপ্যাট্রিয়েশন) বৃদ্ধির সম্ভাবনাও রয়েছে, আর তার কারণ হল পরিষেবা ও মানব–পুঁজি চলাচল আরও সহজ করা হবে।

দ্বিপাক্ষিক রাজনৈতিক সম্পর্কের দৃষ্টিকোণ থেকে ভারত-আমিরশাহি বাণিজ্য চুক্তির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য আছে। এটি বর্তমান ভারতীয় শাসকদের সময় স্বাক্ষরিত দ্বিতীয় মুক্ত-বাণিজ্য চুক্তি (এফ টি এ)। প্রথমটি হয়েছিল ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মরিশাসের সঙ্গে। সম্প্রতি আঞ্চলিক সর্বাত্মক অর্থনৈতিক অংশীদারি (রিজিওনাল কমপ্রিহেনসিভ ইকনমিক পার্টনারশিপ বা আর সি ই পি) থেকে ভারতের সরে আসা ব্যাপক ভাবে সমালোচিত হয়েছে। ভারতের ভেতরে ও বাইরে অনেকেই মনে করেছিলেন যে মেগা-বাণিজ্য চুক্তির সদস্য না–হয়ে ভারত বিরাট সুযোগ হারাল। কিন্তু এই উদ্বেগও ছিল যে ভারত বিভিন্ন বিষয়ে আসিয়ান ও অস্ট্রেলিয়ার ক্ষেত্রগত প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত ভাবে প্রস্তুত নয়। তবে মনে হয় ভারতের সরে আসার কারণগুলির মধ্যে একটি ছিল ভূ-রাজনৈতিক/ভূ-কৌশলগত, এবং তা হল ব্লকে চিনের উপস্থিতি সংক্রান্ত।

বাণিজ্য ব্লক থেকে সরে আসার পর ভারত ক্রমান্বয়ে অনেকগুলি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করার কথা ভাবছে। ইতিমধ্যে স্বাক্ষরিত ভারত-মরিশাস সি ই সি পি এ (সর্বাত্মক অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও অংশীদারি চুক্তি) এবং ভারত-আমিরশাহি সি ই পি এ ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন ও কানাডার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে ভারতের আলোচনা অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে, এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইজরায়েলের সঙ্গে এফ টি এ স্বাক্ষর করার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা চলছে। এফ টি এ স্বাক্ষরের জন্য এই আকস্মিক বাড়তি উদ্যোগের ব্যাখ্যা কী? ভারত কী এর মূল্যসহ সামগ্রিক স্তরে বিষয়টি বিবেচনা না–করে শুধু আসন্ন অর্থনৈতিক সুবিধার জন্য এফ টি এ-র পথে এগোচ্ছে? এক্ষেত্রে এই বিষয়টির প্রশংসা করা উচিত যে ভারতের এফ টি এ স্বাক্ষর করা একটি ‘‌দ্বিস্তরীয়’‌ খেলা, যার প্রভাব আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া উভয় স্তরেই রয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাকে আলোচনাকারী দেশগুলির সঙ্গে দর–কষাকষি করতে হবে, আর অভ্যন্তরীণ স্তরে প্রতিদ্বন্দ্বী বিভিন্ন ক্ষেত্রের সঙ্গে কথা বলতে হবে।

মূল্যশৃঙ্খলের উপর এফ টি এ–র প্রভাব

ঘরোয়া উপাদানগুলি খতিয়ে দেখার সময় আমরা দেখতে পাচ্ছি যে ঘরোয়া ক্ষেত্রে এফটিএ-র ফলে কেউ কেউ লাভবান হবে, এবং অন্য কেউ কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এটি ক্ষেত্রগত ভাবে বা একটি পণ্যের মূল্য-শৃঙ্খল জুড়ে লক্ষিত হতে পারে। আবার, একটি এফ টি এ যদি উৎপাদনের শস্তা উপাদানগুলি আমদানির পথ করে দিয়ে অভ্যন্তরীণ শিল্পকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তোলে, তবে তা একটি সংস্থার সর্বনিম্ন তলটি উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে ‘‌উৎপাদকের উদ্বৃত্ত’‌ বৃদ্ধি করতে পারে। কিন্তু চূড়ান্ত পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে, যা অভ্যন্তরীণ ভাবে উৎপাদিত পণ্যগুলিকে সরাসরি প্রতিযোগিতার মুখে ফেলে, এই ঘটনাটি সত্য নয়।

ভারতের বাণিজ্য চুক্তির বিপুল সংখ্যক ক্ষেত্রে, বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে, এফ টি এ কার্যকর হওয়ার পর ভারতীয় বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে। এর কারণ শুল্ক ও অন্যান্য বাধা হ্রাস করা বা পুরোপুরি তুলে দেওয়ার পর আমদানিকৃত পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ এই পণ্যগুলি ভারতীয় ক্রেতাদের জন্য অনুরূপ ভারতীয় পণ্যগুলির তুলনায় শস্তা হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনা পাম তেলের ক্ষেত্রে সত্য, যেখানে ২০১৪-১৫ সালের মধ্যে নিম্নহারের শুল্কের কারণে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া থেকে পাম তেলের আমদানি ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পায়। এই অভিযোগ এসেছে যে ভোগ্যপণ্যের ক্ষেত্রে আমদানি করা পাম (মালয়েশিয়া থেকে) এবং সয়া (দক্ষিণ আমেরিকা থেকে) তেলের আধিপত্যের ফলে প্রক্রিয়াকরণের মার্জিন উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পেয়েছে, যা দেশীয় তেল প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের অস্তিত্ব বিপন্ন করেছে।

তা সত্ত্বেও, এই এফ টি এ–গুলি প্রকৃতপক্ষে উপভোক্তাদের সাহায্য করেছে। গত এক দশকে আমদানিকৃত পাম তেলের ব্যবহার বৃদ্ধির কারণ ছিল তার কম দাম, যা উপভোক্তাদের উপকার করেছে। শস্তা আমদানির বর্ধিত পরিমাণ গ্রাহকদের পছন্দের তালিকা ও ‘‌ভোক্তা উদ্বৃত্ত’‌ দুয়েরই স্ফীতি ঘটায়। অভ্যন্তরীণ শিল্প গোষ্ঠীগুলির ক্রমাগত চাপে সরকার গত দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে শূন্য-শুল্ক ব্যবস্থা রদ করে অপরিশোধিত ও পরিশোধিত ভোজ্য তেলের আমদানি শুল্ক বাড়িয়েছে। একটি ওআরএফ প্রকাশনা   ইতিমধ্যেই পণ্য মূল্যশৃঙ্খলে এফ টি এ-র প্রভাব মূল্যায়ন করার জন্য গাণিতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামো তৈরি করেছে। দৃশ্যকল্প বিশ্লেষণের ভিত্তিতে এই ধরনের কাঠামো রূপায়ণ-পূর্ব ও রূপায়ণ-উত্তর, উভয় ধরনের বিশ্লেষণেই সাহায্য করতে পারে।

এমনকি সম্প্রতি সম্পাদিত ভারত-আরব আমিরশাহি সি ই পি এ, এবং অন্যান্য আসন্ন এফ টি এ-র পরিপ্রেক্ষিতে, নির্বাচিত কিছু পণ্যের (যেমন অস্ট্রেলিয়া-ভারত এফ টি এ–র ক্ষেত্রে ওয়াইন, দুগ্ধজাত পণ্য) মূল্যশৃঙ্খল বা শৃঙ্খলগুলি নিয়ে এই জাতীয় বিশ্লেষণ বেশ কাজের হবে। এটি উপভোক্তাদের, খুচরা বিক্রেতাদের, বিপণন শৃঙ্খলে সংশ্লিষ্টদের, প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট ও প্রাথমিক উৎপাদকদের উপর বাণিজ্য চুক্তির প্রভাব নির্ধারণ করতে পারে। এটি এফ টি এ-র বিশ্লেষণে অন্য একটি মাত্রা নিয়ে আসে, কারণ অনেক বিশ্লেষকের মধ্যেই শুধু বাণিজ্য উদ্বৃত্ত/ঘাটতির সাধারণ সামগ্রিক-অর্থনৈতিক মাপকাঠির মাধ্যমে এফ টি এ–গুলির মূল্যায়ন করার প্রবণতা দেখা যায়, যা মূলত একটি হ্রাসবাদী ও সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি।

এফ টি এ থেকে ভূ-কৌশলগত এবং ভূ-অর্থনৈতিক লাভ

এফ টি এ–গুলিকে ভূ-কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকেও মূল্যায়ন করা দরকার। অনেকেই আর সি ই পি থেকে ভারতের সরে আসাকে ‘‌রক্ষাবাদী’‌ ও ‘‌রক্ষণশীল’‌ দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে দেখেছেন। যাই হোক, ব্লকে চিনের উপস্থিতির কারণে অনেকেই আর সি ই পি নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন। এই অবস্থায় বন্ধু দেশগুলির সঙ্গে এফ টি এ ভারতের রক্ষণশীল ‘‌রক্ষাবাদী’‌ ভাবমূর্তি ঝেড়ে ফেলার বার্তা পৌঁছে দিতে পারে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের দৃষ্টিকোণ থেকে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূ-অর্থনৈতিক প্রভাবও আছে। এই বিষয়টিও উপলব্ধি করতে হবে যে ভারত-আমিরশাহি সি ই পি এ–র ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব পড়ছে একটি আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে গত অক্টোবরে আহূত পশ্চিম কোয়াড–এর (ইজরায়েল, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে গঠিত) উপর। পশ্চিম কোয়াড ও ভারত-আমিরশাহি সি ই পি এ–কে দেখা যেতে পারে আমিরশাহির অতিমারি–পরবর্তী পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা হিসেবে, যেখানে একদিকে আছে ভূমধ্যসাগরীয় উপকূল থেকে তুরস্কের সঙ্গে তার বাণিজ্য সংযোগ পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ, এবং অন্যদিকে আছে ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার ক্রমবর্ধমান উপাদান বাজারের (‌ফ্যাক্টর মার্কেট)‌ সুবিধা নেওয়ার প্রয়াস হিসেবে। এটি ভারতকেও তার পশ্চিমী প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার বড়সড় সুযোগ দেয়, যা চিনের অনুপস্থিতির দ্বারা চিহ্নিত বাণিজ্য চুক্তিতে যাওয়ার দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ভারত-আমিরশাহি সি ই পি এ এমনকি ভারত-জি সি সি (গাল্ফ কোঅপারেশন কাউন্সিল) এফ টি এ স্বাক্ষরের দিকেও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, যার ভূ-অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক প্রভাবও থাকবে। একই ভাবে এফ টি এ–গুলি অস্ট্রেলিয়া ও অন্য বন্ধু দেশগুলির সঙ্গে গভীর স্তরের সংযোগের জন্য ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে অর্থনৈতিক কূটনীতির গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠছে।

এফ টি এ স্বাক্ষরের বিষয়ে আগ্রহের সময় এর প্রভাবের ব্যাপকতর বিশ্লেষণ করা আবশ্যক হয়ে উঠেছে। এক্ষেত্রে মূল্যশৃঙ্খল বিশ্লেষণের মাধ্যমে অর্থনীতির উপর প্রভাব এবং এর ভূ-অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া বোঝা প্রয়োজন।

শেষ কথা

এফ টি এ স্বাক্ষরের বিষয়ে আগ্রহের সময় এর প্রভাবের ব্যাপকতর বিশ্লেষণ করা আবশ্যক হয়ে উঠেছে। এক্ষেত্রে মূল্যশৃঙ্খল বিশ্লেষণের মাধ্যমে অর্থনীতির উপর প্রভাব এবং এর ভূ-অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া বোঝা প্রয়োজন। রূপায়ণ–পূর্ব ও রূপায়ণ–উত্তর মূল্যশৃঙ্খল বিশ্লেষণ দুটি কারণে লাভদায়ক। প্রথমত, এটি মন্ত্রক ও নীতিনির্ধারকদের সুযোগ দেয় পণ্য মূল্যশৃঙ্খলের বিভিন্ন অংশীদারদের নিম্নতম তল বা কল্যাণের পরিবর্তিত প্রকৃতির মূল্যায়ন করার, এবং তার পাশাপাশি এটি শৃঙ্খলে উৎপন্ন উদ্বৃত্ত/ক্ষতির সামগ্রিক মূল্য নির্ধারণ করে দেয়, যার ফলে বাণিজ্য তত্ত্বগুলির অনুমানের উপর নির্ভর না–করে আরও সচেতন সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হবে। দ্বিতীয়ত, এটি নীতিনির্ধারকদের একদিকে অংশীদার গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে তাঁদের আলোচনার কৌশলগুলি নির্ধারণ করতে, এবং অন্যদিকে মুল্যশৃঙ্খলে সংশ্লিষ্ট কিছু অংশীদারের সম্ভাব্য ক্ষতি পূরণ করতে ইনসেন্টিভ দেওয়ার কৌশল স্থির করতে সাহায্য করবে। এফ টি এ নিয়ে ভারতের দশকব্যাপী সতর্কতার কারণ হিসেবে প্রায়শই যে বিষয়টিকে দায়ী করা হয় তা হল ব্যবহারিক হার, বাজারে অনুপ্রবেশ ক্ষমতা, আঞ্চলিক বা বৈশ্বিক উৎপাদন নেটওয়ার্কের সঙ্গে একীকরণ, ও বাণিজ্য ঘাটতির দৃষ্টিকোণ থেকে এফ টি এ–র সাফল্য/ব্যর্থতার বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছনো। এই নিবন্ধটি এফ টি এ মূল্যায়ন করার মানদণ্ডে দুটি বিকল্প স্তর যোগ করে।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.