Published on Feb 25, 2025 Updated 0 Hours ago

ভারত ও শ্রীলঙ্কার মৎস্যজীবীদের ক্রমবর্ধমান বিরোধ বৃহত্তর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে, যা কূটনৈতিক সম্পৃক্ততায় অবিরাম চাপ বৃদ্ধি করে চলেছে।

ভারত-শ্রীলঙ্কা সম্পর্ক: জেলে, সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও দ্বিপাক্ষিক আলোচনা

ভারত শ্রীলঙ্কার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের টানাপড়েনের মাঝে দীর্ঘায়িত ‘চিপ্রসঙ্গ’ এবং স্থগিত বাণিজ্য আলোচনার চেয়ে বেশি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে জেলেদের বিরোধ এবং জেলে সংক্রান্ত নানাবিধ মানবিক সমস্যা। কারণ দুটি দেশের জেলেদের অভিন্ন সাধারণ “জীবিকার সমস্যাএবং মাঝ সমুদ্রের ঘটনাপ্রবাহ… ‘মানবিক বিষয়গুলি’ এই দুই প্রসঙ্গ জুড়ে স্পষ্ট। এই প্রেক্ষিতে, ভারতীয় মৎস্যজীবীরা প্রায়শই শ্রীলঙ্কা নৌবাহিনীর (এসএলএন) তরফে চাপের সম্মুখীন হয়ে চলেছে। ২০০৮ সালের একটি যৌথ বিবৃতিতে প্রকাশ্যে গুলি না চালানোর বিষয়ে দুই পক্ষ সম্মত হলেও শ্রীলঙ্কা গুলিচালনা অব্যাহতই রেখেছে।

সম্প্রতি এসএলএন-এর টহলদার জাহাজগুলি শ্রীলঙ্কার ডেলফ্ট দ্বীপের কাছে একটি ভারতীয় জাহাজের উপর গুলি চালায়, যার ফলে দুই ভারতীয় জেলে গুরুতর আহত হন এবং ১৩ জন গ্রেফতার হন। ভারতের বিদেশমন্ত্রক (এমইএ) নয়াদিল্লি কলম্বো দুই জায়গাতেই  শ্রীলঙ্কার কর্তৃপক্ষের কাছে এই বিষয়ে ‘তীব্র প্রতিবাদ’ করতে বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট করেনি। শ্রীলঙ্কার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, এক এসএলএন নাবিক যখন মাছ ধরার জাহাজে উঠেছিলেন, তখন ভারতীয় জেলেরা তাঁর আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করলে ‘দুর্ঘটনাবশত গুলি চালানো’র ঘটনা ঘটে।

ভারতীয় মৎস্যজীবীরা প্রায়শই শ্রীলঙ্কা নৌবাহিনীর (এসএলএন) তরফে চাপের সম্মুখীন হয়ে চলেছে। ২০০৮ সালের একটি যৌথ বিবৃতিতে প্রকাশ্যে গুলি না চালানোর বিষয়ে দুই পক্ষ সম্মত হলেও শ্রীলঙ্কা গুলিচালনা অব্যাহতই রেখেছে।

জাতিগত যুদ্ধের সমাপ্তি সন্ত্রাসবাদী এলটিটিই-এর ভয়ঙ্কর ‘সি টাইগারস’ শাখাকে নির্মূল করার কারণে ২০০৮ সাল থেকে সহিংস ঘটনার সংখ্যা ব্যাপক ভাবে হ্রাস পেলেও, তা একেবারে বন্ধ হয়ে যায়নি। মাঝে মাঝে এ হেন ঘটনা ঘটেছে। ২০২৪ সালে, এ রকম একটি ঘটনা ঘটে, যখন এসএলএন-এর টহলদারের চালানো গুলিতে তামিলনাড়ুর দক্ষিণ উপকূলীয় শহর রামেশ্বরমের এক ভারতীয় জেলে মারা যান। এর প্রতিক্রিয়ায়, ভারতীয় জেলেরা শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনীর টহলদার জাহাজের গায়ে নিজেদের ট্রলারটি দিয়ে ধাক্কা দেওয়ার পরে এক এসএলএন নাবিকের মৃত্যু হয়।

ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি

২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে যখন এসএলএন ৩৪ জন ভারতীয় জেলেকে গ্রেফতার করেছিল এবং তিনটি জাহাজ আটক করেছিল, তখন রামেশ্বরম গ্রামে সম্প্রদায়ের নেতারা রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ট্রলার মালিকদের তরফে সেই জেলেদের জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বিবেচনা করার জন্য একটি আবেদন নিয়ে এসেছিলেন, যাঁরা অবসর নিতে চান।

আন্তর্জাতিক পুনর্বাসনের ভাষায় একে বাই-ব্যাকব্যবস্থা (অর্থাৎ কোনও কিছু বিক্রি করে দিয়ে ফের কিনে নেওয়া) বলা হয়। এটি অন্য কোথাও কার্যকর ভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে বলে জানা না গেলেও এটি নিষিদ্ধ বটম-ট্রলারগুলিকে তাদের পার্স সেইন জালসহ নির্মূল করার বিষয়ে অবশ্যই প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে। একটি স্থিতিশীল সমাধানের উদ্দেশ্যে ক্ষেত্র অধ্যয়নের উপর ভিত্তি করে সংশোধনী প্রয়োগ করার পরে কেন্দ্র রাজ্য সরকারের তরফে এক দশক বা তারও বেশি আগে প্রবর্তিত বিপুল ভর্তুকিযুক্ত বটম-ট্রলারগুলির গভীর-সমুদ্রের জাহাজে’ ‘রূপান্তর’-এর কথাও ভাবা যেতে পারে।

উত্তর তামিলনাড়ুর জেলেরা সরকারি কর্মকর্তাদের একটি টাস্ক ফোর্সকে বলেছে যে, নাগাপট্টিনাম, কারাইকাল এবং কুড্ডালোর জেলেদের উচ্চ-গতির ট্রলারগুলি বর্তমান প্রজনন মরসুমে একটি সংরক্ষিত প্রজাতি অলিভ রিডলি কচ্ছপের বৃহৎ আকারে মৃত্যুর জন্য দায়ী।

এ বার রামেশ্বরম জেলেরা নাগাপট্টিনাম কারাইকালের জেলেদের তাঁদের জাহাজে উচ্চ-গতির চিনা মোটর ব্যবহার করার জন্য দায়ী করেছেন। তাঁরা যুক্তি দিয়েছেন যে, এই শক্তিশালী ইঞ্জিনগুলি শ্রীলঙ্কার জেলেদের নিম্ন প্রযুক্তির নৌকা মাছ ধরার গিয়ারের ক্ষতি করছে এবং তাই জেলেরা এই ধরনের ইঞ্জিন ব্যবহার নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। ইতিমধ্যে উত্তর তামিলনাড়ুর জেলেরা সরকারি কর্মকর্তাদের একটি টাস্ক ফোর্সকে বলেছে যে, নাগাপট্টিনাম, কারাইকাল এবং কুড্ডালোর জেলেদের উচ্চ-গতির ট্রলারগুলি বর্তমান প্রজনন মরসুমে এক ধরনের সংরক্ষিত প্রজাতি অলিভ রিডলি কচ্ছপের ব্যাপক আকারে মৃত্যুর জন্য দায়ী।

তামিলনাড়ু উপকূলে অনেকেই মনে করছেন যে, উচ্চ-গতির ট্রলারগুলিই মূলত দোষী। যাই হোক, পক প্রণালীর ও পার থেকে উত্তর শ্রীলঙ্কার জেলেরা ক্রমাগত দাবি করেছে যে, রামেশ্বরম জেলেদের চিরাচরিত বটম-ট্রলারগুলিও নাকি তাঁদের ছোট নৌকা গিয়ারের ক্ষতি করেছে এবং আমদানি-নিবিড় অগভীর-জলের চিংড়ির আবাসস্থল এবং মাছ ধরার ক্ষেত্রও ধ্বংস করেছে।

সমুদ্রে ‘এনফোর্সমেন্ট’

সমুদ্রে এসএলএন-এর এনফোর্সমেন্ট’-এর কেন্দ্রে ১৯৭৪ এবং ১৯৭৬-এর দ্বিপাক্ষিক চুক্তি থেকে গৃহীত দুটি উপকরণ আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা রেখা (আইএমবিএল) চিত্রিত করেছিল২০১৮ সালে একজন তামিল সাংসদের অনুরোধে সংশোধিত বিদেশি মাছ ধরার জাহাজের উপর  শ্রীলঙ্কার আইনের অধীনে সেই উভয় উপকরণ প্রয়োগ করে উত্তরের কিলিনোচ্চি আদালত সম্প্রতি একটি যুগান্তকারী রায়ে গ্রেফতারকৃত আট ভারতীয় জেলেকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের স্থগিত সাজা এবং অবৈধ ভাবে মাছ ‘শিকার’-এর জন্য ৬ মিলিয়ন এলকেআর ও পারস্পরিক ভাবে সম্মত হওয়া আইএমবিএল-‘অনুমতিহীন প্রবেশে’র জন্য আরও ৪ মিলিয়ন এলকেআর, অর্থাৎ মোট ১০ মিলিয়ন এলকেআর জরিমানা করেছে।

এই ধরনের পন্থা যদি অব্যাহত থাকে, তা হলে ভারতের সৌহার্দ্যপূর্ণ মীমাংসার আশা না করা শ্রেয়। কারণ স্থায়ী আদেশ পর্যায়ক্রমিক নির্দেশের অধীনে এসএলএন দ্বারা প্রয়োগ করা সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা সামুদ্রিক নিরাপত্তার বিষয়ে শ্রীলঙ্কা রাষ্ট্রের উদ্বেগের চাইতেও ভারত আসলে উভয় দেশের জেলেদের জীবিকা সংক্রান্ত সমস্যাকে প্রাধান্য দেয়। অর্থাৎ যদি দুই দেশের জেলেরা ভাগাভাগি করে জীবিকার উদ্বেগের বিষয়ে একটি সন্তোষজনক সমাধানে পৌঁছন, তা হলে  শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রের নিরাপত্তা স্বার্থে এটির বাস্তবায়নকে ব্যর্থ করার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে এর অর্থ এই নয় যে, এমন কোন ইতিবাচক দিকই নেই যা এসএলএন অনুসরণ করে চলবে। এমনকি ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে মাঝ সমুদ্রের ঘটনাগুলিতেও দেখা গিয়েছে যে, তামিলনাড়ুর জেলেদের দুটি দলকে কেন্দ্রীয় সরকারের পীড়াপীড়িতে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল এবং তামিলনাড়ু সরকারের আবেদনের ভিত্তিতে সেই কাজ হয়েছিল।

অর্থবহ পুনরাবৃত্তি

এই পুরো সমস্যার মূলে রয়েছে ভারতের সেই সময়ের অনিশ্চিত বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার বৃদ্ধি করার জন্য ষাটের দশকে ভারতীয় উপকূলে নরওয়ে-অর্থায়নকৃত বটম-ট্রলার এবং পার্স সাইন নেট ব্যবহার শুরু করার বিষয়টি। পক উপসাগরে আইএমবিএল-এর ভারতীয় অংশে মাছের মজুদ হ্রাসের ফলে স্থানীয় জেলেদের দ্বারা সীমা লঙ্ঘিত হয়েছে। এর ফলে শ্রীলঙ্কার পক্ষ থেকে বর্তমান অভিযোগ উঠেছে, যে তামিলনাড়ু জেলেরা এখন আসলে শ্রীলঙ্কার জেলেদের মজুদও হ্রাস করছে।

পশ্চিমী শিক্ষাবিদ এবং সরকার এখন ‘স্থিতিশীল মাছ ধরার পদ্ধতিপ্রচার করার ফলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মেজাজও এখন বদলে গিয়েছে, যার ফলে বটম-ট্রলার এবং পার্স সাইন জাল দিয়ে ‘ধ্বংসাত্মক পদ্ধতি’তে মাছ ধরার বিষয়টি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই অঞ্চলের অন্য দেশগুলির মধ্যে ভারত শ্রীলঙ্কা উভয়ের সরকার বটম-ট্রলার ও পার্স সাইন জালকে নিষিদ্ধ করেছে। তবে ভারতীয় পক্ষের তরফে এই নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার বিষয়টি বেশ ধোঁয়াশাময়।

পশ্চিমী শিক্ষাবিদ এবং সরকার এখন ‘স্থিতিশীল মাছ ধরার পদ্ধতিপ্রচার করার ফলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মেজাজও এখন বদলে গিয়েছে, যার ফলে বটম-ট্রলার এবং পার্স সাইন জাল দিয়ে ‘ধ্বংসাত্মক পদ্ধতি’তে মাছ ধরার বিষয়টি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

ডিসেম্বর মাসে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি অনুরা কুমারা দিসানায়েকের ভারতে প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরের আগে দেশটির তামিল-ভাষী মৎস্যমন্ত্রী আর চন্দ্রশে বটম-ট্রলিংয়ের ধ্বংসাত্মক প্রকৃতির দিকে ইঙ্গিত করেছিলেন, যার ব্যবহার তিনি বন্ধ করতে চেয়েছিলেন। এর আগেই অক্টোবর মাসে সরকারি স্তরের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের (জেডব্লিউজি) ষষ্ঠ বৈঠকে দুই পক্ষের জেলে নেতাদের মধ্যে দীর্ঘপ্রতীক্ষিত আলোচনা ফের শুরু করার উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। শ্রীলঙ্কার উত্তর অঞ্চলে তামিল সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় মন্ত্রী দাবি করেন যে, এই ধরনের বিষয় নিয়ে জেলে পর্যায়ের আলোচনার প্রয়োজন নেই, এমনকি সরকারি পর্যায়ের আলোচনা প্রযুক্তিগত বিষয়ে’ই সীমাবদ্ধ থাকবে।

২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে রাষ্ট্রপতি দিসানায়েকে কলম্বোতে ভারতীয় হাইকমিশনার সন্তোষ ঝা-সঙ্গে দেখা করেন এবং ‘উভয় পক্ষই একটি দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছিলেন, যা উভয় দেশের জেলেদের চাহিদাকে সম্মান করে এবং সহযোগিতার প্রচার চালায়।’ ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে তাঁর নয়াদিল্লিতে প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরের সময় রাষ্ট্রপতি দিসানায়েকে এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে প্রতিনিধি পর্যায়ের আলোচনার পরে জারি করা যৌথ বিবৃতিতে এটি অর্থবহ পুনরুক্তি পাওয়া গিয়েছে

গত বছর শ্রীলঙ্কায় জোড়া নির্বাচনের আগে পর্যন্ত দেশের তামিল জেলেরা বটম-ট্রলারের বিরুদ্ধে তাঁদের বিরোধিতা পুনর্ব্যক্ত করার সময়ভারতীয় জেলেদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনার পক্ষাবলম্বী ছিলেন। যাই হোক, জাফনার গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, উত্তরের জেলেদের প্রতিনিধিরা সম্প্রতি কলম্বোতে উত্তরের তামিল-ভাষী বেসরকারি সাংসদদের সঙ্গে দেখা করেন এবং ভারতীয়  জেলেদের তরফে ‘পোচিং’ বা বেআইনি শিকার পরীক্ষা করার জন্য তাঁরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে এবং সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে কাজ করতে চেয়েছিলেন

সীমিত ভূমিকা

বেশিরভাগ মানুষই যেমনটা বিশ্বাস করেন যে তামিলনাড়ুর পরবর্তী সরকারগুলি নিজেদের ভূমিকা মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেছে, তার বিপরীতে  হেঁটে স্থানীয় জেলেদের পক্ষে মধ্যস্থতা করার জন্যতা সে তাঁদের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য হোক বা দীর্ঘমেয়া্দি সমস্যাটি বন্ধুত্বপূর্ণ ভাবে সমাধান করা জন্যই হোক না কেন… বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন বিদেশমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেনআনুষঙ্গিক গোষ্ঠী এবং নেতাদের তরফে মাঝে মাঝে বিভ্রান্তি বাদ দিলে রাজ্যের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলিও ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার জাতিগত যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে দেড় দশকে জড়িত জটিলতার পরিপ্রেক্ষিতে এ হেন সমস্যা সমাধানের বিষয়টি কেন্দ্রের হাতেই ছেড়ে দিয়েছে।

গত বছর শ্রীলঙ্কায় জোড়া নির্বাচনের আগে পর্যন্ত দেশের তামিল জেলেরা বটম-ট্রলারের বিরুদ্ধে তাঁদের বিরোধিতা পুনর্ব্যক্ত করার সময়ভারতীয় জেলেদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনার পক্ষাবলম্বী ছিলেন।

এই সমস্ত কিছুর মধ্যে একটি বিভ্রান্তিকর উপাদান হল যখন বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং ইএএম এস জয়শঙ্করও গত বছরের সংসদীয় নির্বাচনী প্রচারে সারা দেশে কচ্ছতিভু সমস্যা’র কথা উল্লেখ করেছিলেন। শ্রীলঙ্কার বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল নেতা ভারতে নির্বাচনকালীন রাজনীতির অংশ হিসাবে এটিকে খারিজ করার প্রবণতা দেখায়, বিশেষ করে যেহেতু নয়াদিল্লি কলম্বোর কাছে বিষয়টি উত্থাপন করেনি। যাই হোক, ভারতের গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছিল যে, নয়াদিল্লি সফল ভাবে খনিজ সমৃদ্ধ ওয়েজ ব্যাঙ্কের জন্য অনুর্বর ক্ষুদ্র দ্বীপটি সরিয়ে দিয়ে কলম্বোকে প্রতারণাকরেছিল, যা সে সময়ে শ্রীলঙ্কার দখলে ছিল।

ভারত ও শ্রীলঙ্কা সরকারের মধ্যে, কেন্দ্র ও তামিলনাড়ু সরকারের মধ্যে এবং দুই দেশের মাছ ধরার সম্প্রদায়ের মধ্যে, একাধিক স্তরে অর্থবহ আলোচনাকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য এই সমস্ত উপাদানসমগ্র পরিবেশকে দূষিত করে চলেছে যাই হোক, একটি অর্থপূর্ণ সূচনা কল্পনা করা যেতে পারে যদি কেন্দ্র তামিলনাড়ু একসঙ্গে গভীর সমুদ্রের মাছ ধরার পছন্দগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করেকারণ শুধু মাত্র এই বিষয়টিই শ্রীলঙ্কার জলসীমায় আলোচনার সুবিধা-সহ রামেশ্বরম জেলেদের জন্য একাধিক জীবিকার বিকল্প’ প্রদান করতে পারে।

 


এন সত্য মূর্তি চেন্নাইভিত্তিক নীতি বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক ধারাভাষ্যকার।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.