জুলাইয়ের গোড়ার দিকে প্রেসিডেন্ট পুতিন ও প্রধানমন্ত্রীর মোদীর দৃঢ় আলিঙ্গনের পরে ভারতীয় নেতার মস্কো সফরের সিদ্ধান্ত, এবং বিশেষ করে পশ্চিমে এটি যে গভীর ক্ষোভ ও আতঙ্কের জন্ম দিয়েছে, তার জন্য বেশ কয়েকটি যৌক্তিকতা পেশ করা হয়েছে। কিছু কড়া বিবৃতিতে, যেমন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে পুতিনকে মোদীর ভালুক-আলিঙ্গন একটি ‘বিশাল হতাশা’ এবং ‘‘এই সময় বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের নেতাকে মস্কোতে বিশ্বের সবচেয়ে রক্তাক্ত অপরাধীকে আলিঙ্গন করা শান্তি প্রচেষ্টার জন্য একটি বিধ্বংসী আঘাত।" মস্কোর সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে বিশ্ব কী ভুল করে এটি তার একটি নাটকীয় বহিঃপ্রকাশ মাত্র।
ভারতের কৌশলগতভাবে স্বায়ত্তশাসিত বিদেশ নীতির জন্য তিনটি সাধারণ যুক্তি দেওয়া হয়; এবং রাশিয়া হল নয়াদিল্লির কৌশলগত স্বাধিকার অনুশীলনের কেন্দ্রবিন্দু। প্রথমটি হল রাশিয়া এক সর্বকালের বন্ধু। রাশিয়া-ভারত সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলি ভারতকে অন্তর্নিহিত স্বার্থসমষ্টিসম্পন্ন এবং একটি প্রধান শক্তি হয়ে ওঠার আকাঙ্ক্ষা-সম্পন্ন দেশ হিসাবে দেখার পরিবর্তে বরং চিনের বিরুদ্ধে একটি কৌশলগত হাতিয়ার হিসাবে দেখে। সংক্ষেপে, ভারতের কিছু উদ্দেশ্য আছে, এবং মস্কোর সঙ্গে জড়িত থাকার মাধ্যমে ‘এক স্বাধীন খেলোয়াড় হিসাবে’ তার বাজি সে ধরেছে বিভিন্ন জনের উপরে। দ্বিতীয়ত, পশ্চিমের সমালোচকেরা বা এমনকি ভারতে কেউ কেউ যেমন মনে করেন, রাশিয়া-চিন সম্পর্ক মোটেই ততটা ঘনিষ্ঠভাবে আবদ্ধ নয়, বরং আরও ভঙ্গুর, কারণ মস্কোর গণপ্রজাতন্ত্রী চিনের (পিআরসি) জুনিয়র অংশীদার হওয়ার সম্ভাবনা কম। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক মস্কোকে বেজিং থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে, এবং রুশিদের নিজেদের বহির্দেশীয় অংশীদারিত্বের আরও বিকল্প দেয়। তৃতীয়ত, রাশিয়ার সামরিক হার্ডওয়্যার বিক্রি করার জন্য ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাজার প্রয়োজন, যা ভারতের ক্রেতাদের সুবিধা দেয়। সর্বোপরি, ২০১৭-২০২১-এর মধ্যে ভারত রুশ অস্ত্রের শীর্ষ চার প্রাপকদের মধ্যে ছিল , যার মধ্যে চিন, আলজেরিয়া ও মিশরও রয়েছে।
রাশিয়া-ভারত সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলি ভারতকে অন্তর্নিহিত স্বার্থসমষ্টিসম্পন্ন এবং একটি প্রধান শক্তি হয়ে ওঠার আকাঙ্ক্ষা-সম্পন্ন দেশ হিসাবে দেখার পরিবর্তে বরং চিনের বিরুদ্ধে একটি কৌশলগত হাতিয়ার হিসাবে দেখে।
উপরের প্রতিটি যুক্তির কিছু ন্যায্যতা আছে, আবার তা দুর্বলতারও প্রতিনিধিত্ব করে। কৌশলগত স্বাধিকারের জন্য ভারতের অন্বেষণ কীভাবে একটি দৃষ্টিগত বিভ্রম সৃষ্টি করে, তা খুব কমই বিবেচনা করা হয়েছে। আসুন আমরা প্রথম দাবিটি বিবেচনা করি যে রাশিয়া একটি সর্বকালের বন্ধু। দুই নেতার জারি করা যৌথ বিবৃতিতে চলতি চিন-ভারত সীমান্ত সংকটের কোনো উল্লেখ নেই। এক্ষেত্রে ২০২০ সালের মে মাসে এই সংঘাত শুরুর সময় থেকে মস্কো অবিচলভাবে নিরপেক্ষ ছিল। মস্কোর দৃঢ়ভাবে নিরপেক্ষ থাকার ঘটনাটি রাশিয়া চিনের প্রতিপক্ষের ক্ষেত্রে কতটা সতর্ক তা প্রকাশ করে। পুতিন-মোদী শীর্ষ বৈঠক থেকে উল্লেখযোগ্য কিছু পাওয়া যায়নি, এবং ভারতে ব্যাপক হাইড্রোকার্বন রপ্তানির ফলে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে ৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি পূরণেও রাশিয়া কিছুই করেনি। মস্কোর দুটি এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ সিস্টেম অথবা সুখোই-৩০ ফাইটার ফ্লিটের একটি অংশের আপগ্রেডের মুলতুবি-থাকা সরবরাহের কোনো নিশ্চয়তাও ছিল না। এমন নয় যে মস্কো এগুলি সরবরাহ করতে চায় না; কিন্তু সে দেশের শিল্পের পর্যাপ্ত অতিরিক্ত ক্ষমতা নেই।
এর চেয়েও খারাপ, অদূর ভবিষ্যতে নয়াদিল্লি ও বেজিংয়ের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে রাশিয়া চিনের পাশে থাকতে পারে, বা অন্ততপক্ষে পিআরসিকে বিশেষ সুবিধা করে দিতে পারে। মস্কো কেন ভারতের দিকে ঝুঁকতে পারে না তার যথেষ্ট কারণ রয়েছে, এবং তা আমাদের দ্বিতীয় দাবিতে নিয়ে আসে, যেখানে বলা হয় ভারতের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করবে যে বেজিংয়ের সঙ্গে মস্কোর "আঁটসাঁট আলিঙ্গন" প্রকৃতপক্ষে ভারতের প্রতি পিআরসি-র আক্রমণাত্মক আচরণকে "নিয়ন্ত্রিত" করতে সক্ষম করবে। এই ধারণা কিন্তু ভারতের প্রতি চিনের আগ্রাসী আচরণকে প্রতিহত করতে রাশিয়ার প্রভাব ব্যবহার করার ক্ষমতাকে অতিমূল্যায়ন করে। চিনের উপর মস্কোর প্রভাব সীমিত করার জন্য দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে। চিনের সঙ্গে রাশিয়ার বাণিজ্য রাশিয়ানরা ভারতের সঙ্গে যে বাণিজ্য উপভোগ করে তার চেয়ে বেশি। ২০২৩ সালে রাশিয়া-চিনের বাণিজ্য ভারসাম্য (ট্রেড ব্যালান্স) ছিল ২৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০২২ সালের তুলনায় ২৬.৩ শতাংশ বেশি। ২০২১ থেকে গণনা করা হলে, ২০২৩ সালের শেষ পর্যন্ত চিনা রপ্তানি ৬৪ শতাংশ বেড়েছে। সেখানে ২০২৩ সালে ডলার-নির্দেশিত বাণিজ্যে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য ছিল ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চিন ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ভারসাম্য রাশিয়া ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ভারসাম্যের চেয়ে সাড়ে তিন গুণ বেশি। যদি সংঘাত হয়, মস্কোর জন্য, বেজিংকে বিচ্ছিন্ন করার মূল্য ভারতকে বিচ্ছিন্ন করার মূল্যর চেয়ে অনেক বেশি। পাছে আমরা ভুলে যাই, গত দুই বছরে ভারতে তেল বিক্রির ফলে ভারতের যা সুবিধা হয়েছে তা থেকে রাশিয়া ভারতের তুলনায় উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য উদ্বৃত্ত উপভোগ করছে।
ভারতের জন্য রাশিয়ার তেল ভারতীয় গ্রাহকদের জন্য দাম কম রাখে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে রাশিয়ার তেল সরবরাহ বজায় রাখায় ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক স্বার্থ রয়েছে। যেমন, এরিক ভ্যান নস্ট্র্যান্ড, মার্কিন ট্রেজারি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ফর ইকনমিক পলিসি, বলেছেন: “বাজারে [রাশিয়া থেকে] তেল সরবরাহ বজায় রাখা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমরা যা করতে চাই তা হল পুতিনের লাভ সীমিত করা।” এই নীতির ফলাফল হল বিশ্বের সাতটি সর্বাধিক শিল্পোন্নত দেশ (বা জি-৭) ও অস্ট্রেলিয়া প্রতি ব্যারেল ৬০ মার্কিন ডলার মূল্যের নিম্নসীমা আরোপ করেছে, কিন্তু তবুও ভারত এবং অন্য দেশগুলি উল্লেখযোগ্যভাবে পশ্চিমী ব্রোকিং বা বিমা সুবিধা ব্যবহার করেনি এমন রাশিয়ার তেল ছাড়প্রাপ্ত দামে ক্রয় করতে সম্মত হয়েছে।
রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারতের সামনে কঠিন বাস্তবতা
তিনটি কঠিন বাস্তবতা ব্যাখ্যা করে যে কেন রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক উদ্দেশ্যপূরণ বা স্বায়ত্তশাসনের ফলাফল নয়, বরং সীমাবদ্ধতা ও দুর্বলতার ফসল। প্রথমত, ভারতের এমন অভ্যন্তরীণ প্রতিরক্ষা শিল্পভিত্তি নেই যা সর্বোত্তমভাবে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর চাহিদা মেটাতে পারে। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর থেকে এটি ভারতের দুর্দশা হিসাবে থেকে গিয়েছে। অভ্যন্তরীণ সামরিক শিল্প কমপ্লেক্সের (এমআইসি) অভাবের অর্থ হল ভারত তার সামরিক প্রয়োজন পূরণের জন্য বিদেশ থেকে সক্ষমতা আমদানি করতে বাধ্য হয়। যতদিন ভারত প্রতিরক্ষা আমদানির উপর নির্ভরশীল থাকবে, ততদিন দেশটি বিদেশি সরবরাহকারীদের চাপের জন্য সংবেদনশীল থাকবে। আজ ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীগুলি যে সামরিক হার্ডওয়্যারগুলি ব্যবহার করে ও মোতায়েন করে, তার ৭০-৮০ শতাংশ বিদেশে তৈরি, এবং সেই আমদানি করা হার্ডওয়্যারগুলির বেশিরভাগই রুশ উৎপাদন।
যতদিন ভারত প্রতিরক্ষা আমদানির উপর নির্ভরশীল থাকবে, ততদিন দেশটি বিদেশি সরবরাহকারীদের চাপের জন্য সংবেদনশীল থাকবে।
এই সত্যের পরিপূরক হল যে রাশিয়া ভারতের জন্য পারমাণবিক সাবমেরিন প্রযুক্তির একমাত্র উৎস, যা ভারত এখনও পুরোপুরি আয়ত্ত করতে পারেনি। আরও, রাশিয়ায় একজন প্রাক্তন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত কয়েক বছর আগে পর্যবেক্ষণ করেছিলেন, “প্রতিরক্ষা সহযোগিতার অন্যান্য প্রকল্প রয়েছে, যা অবশ্যই জনসাধারণের পরিসরের বাইরে থাকতে হবে। সহজ কথায়, ভারতে প্রযুক্তির যে স্তর রাশিয়া সরবরাহ করেছে তা অন্য কোনও দেশ করেনি।” গত দেড় দশকে পশ্চিমী দেশগুলি থেকে আমদানি ও স্বদেশীকরণের সংমিশ্রণের মাধ্যমে রাশিয়ার অস্ত্র থেকে সরে এসে বহুমুখী হওয়া সত্ত্বেও, ভারত এখনও প্রচলিত ও কৌশলগত প্রযুক্তির জন্য মস্কোর উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাজার প্রসারিত হোক ও স্থিতিস্থাপক থাকুক, এমন প্রয়োজন রাশিয়ার নেই; বরং অস্ত্র, উপাদান ও খুচরা দ্রব্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে ভারতের মস্কোকে প্রয়োজন। এটি দুর্বলতা, কৌশলগত স্বাধিকার নয়।
দ্বিতীয় অপরিবর্তনীয় বাস্তবতা বা দুর্বলতা হল ভারত হাইড্রোকার্বনে সমৃদ্ধ নয়, যা দেশটিকে তার তেল-ভিত্তিক সম্পদের ৮০ শতাংশের বেশি আমদানি করতে বাধ্য করছে। বিশ্বের বৃহত্তম জনসংখ্যার সঙ্গে একটি শক্তি-ঘাটতি দেশ হওয়ায়, ভারত এমন দেশগুলি থেকে হাইড্রোকার্বন সংগ্রহ করতে বাধ্য যারা সর্বনিম্ন মূল্যে বিক্রি করবে। রাশিয়ার তেলের দাম এতটাই আকর্ষণীয় ছিল যে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা সম্ভব ছিল না। যাই হোক না কেন, যেমন আগে উল্লেখ করা হয়েছে, মস্কো লাভ করলেও স্থিতিশীল আন্তর্জাতিক সরবরাহ নিশ্চিত করতে ভারতকে রাশিয়ার তেল কেনার অনুমতি দেওয়া বিশেষভাবে আমেরিকার স্বার্থের, এবং আরও সাধারণভাবে পশ্চিমের স্বার্থের, অনুকূল। বিপরীতভাবে, ভারতে বা বিদেশে যাঁরা মনে করেন যে তার প্রতিরক্ষা শিল্পের অর্থ জোগাড় করার জন্য রাশিয়ার ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাজারের প্রয়োজন, তাঁরা ভুলে যান যে রাশিয়ার পণ্য ও শক্তি রপ্তানি থেকে রাজস্ব তার প্রতিরক্ষা শিল্পের জন্য যথেষ্ট। এই বিষয়টিই বুঝিয়ে দেয় রাশিয়ার ভারতীয় প্রতিরক্ষা শিল্পের প্রয়োজন নেই। রাশিয়ায় একজন প্রাক্তন ভারতীয় দূত যথাযথভাবে বলেছেন, রাশিয়ার “প্রতিরক্ষা রপ্তানি তার মোট রপ্তানির একটি ছোট অংশ… অস্ত্র একটি প্রেস্টিজ রপ্তানি, রাশিয়ার জন্য অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি নয়... [এবং তাই] নির্ভরতার ভারসাম্য ভারতের পক্ষেই বেশি।" ঘটনা হল, নতুন দিল্লির কাছে সামরিক সামগ্রী বিক্রি করে রাশিয়া তার উপযোগিতা ও স্বায়ত্তশাসন প্রচার করছে, যা এই সন্ধিক্ষণে তার কাছে নেই।
রাশিয়ার তেলের দাম এতটাই আকর্ষণীয় ছিল যে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা সম্ভব ছিল না। যাই হোক না কেন, যেমন আগে উল্লেখ করা হয়েছে, মস্কো লাভ করলেও স্থিতিশীল আন্তর্জাতিক সরবরাহ নিশ্চিত করতে ভারতকে রাশিয়ার তেল কেনার অনুমতি দেওয়া বিশেষভাবে আমেরিকার স্বার্থের, এবং আরও সাধারণভাবে পশ্চিমের স্বার্থের, অনুকূল।
তৃতীয়ত, ভূগোল ভারতের পক্ষে নয়। ভারতের পশ্চিম ও উত্তর-পূর্ব সীমান্তে যথাক্রমে পাকিস্তান ও চিনে দুটি শক্তিশালী সামরিক প্রতিপক্ষ রয়েছে। এখনও রাশিয়ার অস্ত্র ও তেল সরবরাহের উপর নির্ভরশীল নয়াদিল্লির জন্য রাশিয়ার বিরোধিতা করা, যা ভারতের সীমান্ত থেকে দূরে নয়, কৌশলগতভাবে বিপর্যয়কর হবে। মধ্য এশিয়ায় রাশিয়া ও চিনের প্রভাব অনেক বেশি, এবং এই অঞ্চল থেকে ইসলামি চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে ভারতের স্বার্থ রয়েছে। আফগানিস্তান এবং অন্যান্য মধ্য এশীয় প্রজাতন্ত্র নিয়ে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে শক্তিশালী মতৈক্য রয়েছে। ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন ও দক্ষিণ আফ্রিকা (ব্রিকস) গ্রুপিং এবং সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এ ভারতীয় সদস্যপদ এই ফোরামগুলির মাধ্যমে, এবং তার পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিকভাবে, মস্কোর সঙ্গে নয়াদিল্লির অব্যাহত সম্পৃক্ততার ব্যাখ্যা দেয়।
পশ্চিমী বিশ্ব যখন বৈদেশিক নীতির দিকনির্দেশক নীতি হিসাবে ভারতের কৌশলগত স্বাধিকারের অনুসরণ বা জেদকে অসন্তুষ্টভাবে দেখে, বিশেষ করে রাশিয়ার ক্ষেত্রে, তখন এটি যে কৌশলগত দুর্বলতাকে ঢাকা দেওয়ার উপকরণ তা তারা বুঝতে পারে না। প্রয়োজন হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমী দেশগুলির তরফে আরও কিছু সহানুভূতি, এবং ভারতকে রাশিয়ার উপর তার নির্ভরশীলতা কমানোর জন্য নীতিগুলির পুনর্নির্মাণ ও সামঞ্জস্যপূর্ণ করার জন্য কিছুটা পরিসর ও উৎসাহ দেওয়া।
কার্তিক বোম্মাকান্তি অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের সিনিয়র ফেলো।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.