Published on Jul 26, 2024 Updated 0 Hours ago

মলদ্বীপের সঙ্গে টালমাটাল সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও ভারত সম্প্রতি প্রায় ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট সহায়তা বাড়িয়েছে

মলদ্বীপের প্রতি ভারতের ‘সত্যিকার সদিচ্ছার ইঙ্গিত’

৯ মে ভারতের বিদেশমন্ত্রী ডক্টর এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকের পর নয়াদিল্লি থেকে ফিরে আসার কয়েক দিনের মধ্যে মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী মুসা জমির ঋণ পুনর্বিন্যাসের (‌রোলওভার)‌ জন্য তাঁর অনুরোধে ভারতের 'সত্যিকারের শুভেচ্ছার মনোভাব'-‌এর জন্য ধন্যবাদ পোস্ট করেছেন। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক স্পষ্টতই প্রক্রিয়াটি ফাস্ট-ট্র্যাক করেছিল, কারণ  দুই সরকারের মধ্যে একটি অতীত চুক্তি অনুযায়ী স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (এসবিআই) পাওনা ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিশোধের দিন ছিল ১৫ মে, এবং আরও ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিশোধের কথা সেপ্টেম্বরে

কয়েক সপ্তাহ আগে নয়াদিল্লি
রপ্তানি কোটা বাড়িয়েছিল চাল, গমের আটা, চিনি, আলু ও ডিম সহ প্রয়োজনীয় পণ্যগুলির এবং মলদ্বীপের মূল ভিত্তি নির্মাণ শিল্পের প্রয়োজনীয় নদীর বালি ও পাথরের সমষ্টির মতো নির্মাণ সামগ্রীরও। ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু ভারতের কাছে তাঁর নির্বাচনকালীন বক্তব্যের অনুসরণে দাবি জানানোর পর নয়াদিল্লি কোনও রকম বাধাদান বা প্রতিবাদ ছাড়াই মলদ্বীপকে চিকিৎসা উদ্ধারকার্য এবং ইইজেড-এর আকাশপথে নজরদারির জন্য উপহার দেওয়া তিনটি বিমান প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা সামরিক কর্মীদের প্রত্যাহার করে নেয়। ১০ মে, জমির যেদিন নয়াদিল্লি ত্যাগ করেন, ভারতীয় সামরিক কর্মীদের তিনটি ব্যাচের শেষটি, মোট ৭৬ জন পুরুষ, দেশে ফিরে আসেন। তাঁদের  স্থলাভিষিক্ত করা হবে সরকারি ক্ষেত্র এইচএএল-এর বেসামরিক পাইলট ও প্রযুক্তিবিদদের


কয়েক সপ্তাহ আগে নয়াদিল্লি রপ্তানি কোটা বাড়িয়েছিল চাল, গমের আটা, চিনি, আলু ও ডিম সহ প্রয়োজনীয় পণ্যগুলির এবং মলদ্বীপের মূল ভিত্তি নির্মাণ শিল্পের প্রয়োজনীয় নদীর বালি ও পাথরের সমষ্টির মতো নির্মাণ সামগ্রীরও।



মলদ্বীপে নির্বাচিত সরকারের পরিবর্তনের পরেও নয়াদিল্লি মর্যাদাপূর্ণ থিলামলে সমুদ্র সেতু-‌সহ একাধিক পরিকাঠামো প্রকল্প এবং দেশের অনেক দ্বীপে উচ্চ-প্রভাবিত উন্নয়ন প্রকল্পগুলি চালিয়ে যাচ্ছে। তাঁর কৃতিত্বের বিষয় হল দায়িত্ব গ্রহণের পর মুইজ্জু সামরিক কর্মীদের প্রত্যাহারের জন্য তাঁর দাবির সঙ্গে কোনওভাবে সম্পর্কিত না করে ভারতের পরিকাঠামো বিনিয়োগ চালিয়ে যান। তিনি কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করার জন্য তাঁর প্রেসিডেন্সির প্রথম দিনগুলিতে 
সমুদ্র সেতুর কাজের সাইটটিও পরিদর্শন করেছিলেন, এবং কোভিড-১৯ অতিমারি দ্বারা বিলম্বিত কাজগুলি দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

এককালীন ঘটনা, কিন্তু...
 
তবুও বিশেষ করে ভারতীয় উদ্বেগ সম্পর্কে প্রশ্ন থেকে গিয়েছে, যার বেশিরভাগই প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলিতে সীমাবদ্ধ, বিশেষত এই অঞ্চলে প্রতিপক্ষ চিনা উপস্থিতি-‌কেন্দ্রিক। চিনের গবেষণা/গুপ্তচর জাহাজ 
'জিয়াং ইয়াং হং ০৩'-কে মলদ্বীপের একটি বন্দরে দুই মাসে দুইবার প্রবেশের অনুমতি দেওয়া এবং কয়েক মাসের মধ্যে মলদ্বীপের ইইজেড-‌এর চারপাশে জাহাজটির তিনবার ঘোরাঘুরি করার রিপোর্ট ভারতের বিরক্তি ও সংশয়ের কারণ হয়েছিল। চিনা জাহাজের সফরটি বেজিংয়ে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মুইজ্জুর বৈঠকের পরে ঘটেছিল। এ বছরের জুনের সময়সীমার পর ভারতের সঙ্গে যৌথ সমুদ্রবিজ্ঞান সমীক্ষা পুনর্নবীকরণ না করার সিদ্ধান্তও ভারতীয় মহলের ভ্রু কুঞ্চিত করে তুলেছিল।

এ ছাড়াও
মলদ্বীপের তিনজন উপমন্ত্রী ভারত এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর  বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য পোস্ট করার পরে 'বয়কট মলদ্বীপ' সোশ্যাল মিডিয়া দাবির প্রশ্ন রয়েছে। মোদী লক্ষদ্বীপে যাওয়ার পরে এবং দ্বীপগুলিকে একটি পর্যটন গন্তব্য হিসাবে প্রচার করার পরে এটি ঘটেছিল। নয়াদিল্লিতে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী জমির অতীতের জন্য 'ক্ষমা চেয়েছেন', তিন মন্ত্রীর অবিলম্বে বরখাস্তের কথা বলেছেন, এবং পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে তাঁদের মতামত ব্যক্তিগত এবং এটি সরকারের অবস্থান নয়।

ঘটনাক্রমে, মুইজ্জুর ১৪ জানুয়ারির সংবাদ সম্মেলনের এমন কিছু কথা মনে রাখা হবে, যা চিনের শি জিনপিং সহ কোনও রাষ্ট্রপ্রধান বলেননি। গত এক দশক ধরে ইউনিফর্ম পরা চিনা শিক্ষাবিদদের কথার পুনরাবৃত্তি করে, কিন্তু ভারতের নাম না নিয়ে, তিনি বলেছিলেন যে মলদ্বীপ 'কারও বাড়ির উঠোন নয়' এবং '
আমাদের ধমক দেওয়ার লাইসেন্স কারও নেই'। তিনি এর আগে তুর্কিয়েতে তাঁর সরকারি সফরের কথাও তুলেছিলেন, যেখানে তিনি বলেছিলেন যে মলদ্বীপ আকাশ পর্যবেক্ষণে 'স্বনির্ভরতা' নিশ্চিত করার জন্য ড্রোন সংগ্রহ করছে। এগুলির মধ্যে প্রথম দুটি দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে এসেছিল। একইভাবে,প্রোসিডেন্ট 'একক উৎসের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতার' অবসান ঘটাতে বার্ষিক ভিত্তিতে চাল, আটা ও চিনির মতো সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির সিদ্ধান্তও ঘোষণা করেছেন।


গত এক দশক ধরে ইউনিফর্ম পরা চিনা শিক্ষাবিদদের কথার পুনরাবৃত্তি করে, কিন্তু ভারতের নাম না নিয়ে, তিনি বলেছিলেন যে মলদ্বীপ 'কারও বাড়ির উঠোন নয়' এবং 'আমাদের ধমক দেওয়ার লাইসেন্স কারও নেই'।


মুইজ্জুকে ভারতের নাম বলতে হয়নি, তবে ধারাবাহিক আখ্যান দেখায় যে লোহিত সাগরে বাণিজ্য জাহাজে হুথিদের আক্রমণের কারণে তুর্কিয়ে থেকে উচ্চ মূল্যের সংগ্রহ বাধাগ্রস্ত হওয়ার পরে কীভাবে পরের মাসগুলিতে ভারত এই প্রধান পণ্যগুলি এবং আরও অনেক কিছুর আমদানি-কোটা বাড়িয়েছে। এখন যখন বিশ্ব ব্যাঙ্ক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল গত বছরের শেষ থেকে আসন্ন ঋণের ফাঁদের দুই বছরের পুরনো মূল্যায়ন পুনরুজ্জীবিত করেছে, মলদ্বীপ ভারতের কাছ থেকে পাওয়া সমস্ত আর্থিক ও অর্থনৈতিক সহায়তার উপর নির্ভর করতে পারে, বিশেষ করে মুইজ্জুর জানুয়ারি সফরের সময় স্বাক্ষরিত চুক্তির ফলস্বরূপ
'আরও চিনা ঋণ ঘাড়ে' পড়ায়। বেজিংয়ে শি-‌র সঙ্গে মুইজ্জু ঋণ-পুনর্গঠন সম্পর্কে কথা বলেছেন কিনা তা জানা যায়নি, তবে চিনা দূত ওয়াং লিক্সিন বলেছেন যে তারা 'ঋণ-পুনর্গঠন' সম্পর্কে কথা বলছেন , যা আরও ঋণ সুবিধা বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

অতি সংখ্যাগরিষ্ঠ, কিন্তু...

গত বছর মুইজ্জুর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় ছিল যে কোনও গণতন্ত্রের জন্য অনন্য। তিনি সম্ভবত একমাত্র প্রার্থী ছিলেন যিনি শেষ মুহূর্তে মাঠে নেমেছিলেন তাঁর এক সময়ের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা এবং কারাগারে বন্দী পূর্বসূরি আবদুল্লা ইয়ামিনের উল্লেখযোগ্য নির্বাচনী এলাকা হাইজ্যাক করে — যেটি রক্ষণশীল ছিল কিন্তু মৌলবাদী নয়—এবং দ্বিপর্যায়ে নির্বাচন জিতেছিলেন ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে। নয়াদিল্লি সম্ভবত বুঝেছিল যে ভারতীয় সামরিক কর্মীদের প্রত্যাহার মুইজ্জুর জন্য উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত ‘সমস্যা' ছিল, যদিও নির্বাচনটি এবং তাতে জয় অন্যথায় শুধুমাত্র ঘরোয়া রাজনীতি এবং ব্যক্তিত্বের লড়াই ছিল।

প্রেসিডেন্ট প্রধানত একটি সমবায়/সহযোগী পার্লামেন্টের জন্য আবেদন করার পরে গত মাসের নির্বাচনে মুইজ্জুর পিএনসি-পিপিএম জোটের '
অতি সংখ্যাগরিষ্ঠতা' অর্জনের ক্ষেত্রে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। নতুন প্রেসিডেন্ট এবং তাঁর দল মলদ্বীপের সুপ্রিম কোর্ট তাদের সংশোধিত পদ্ধতি বাতিল করার প্রেক্ষিতে গুছিয়ে বসার আগেই পূর্বসূরি ইব্রাহিম সোলিহের বিরোধী দল মলডিভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি (এমডিপি) বিদায়ী পার্লামেন্টে তার বেশি সংখ্যার কারণে মুইজ্জুকে আসন্ন ইমপিচমেন্টের হুমকি দেওয়া শুরু করে।


পার্লামেন্টে অতি-সংখ্যাগরিষ্ঠতার পর মুইজ্জুর জন্য সমস্যা, যদি থাকে, এখন ভিতর থেকে আসতে হতে পারে, যেমনটি পূর্বসূরি সোলিহের ক্ষেত্রে হয়েছিল।



এমডিপি ও বিচ্ছিন্ন ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে ভোটের ক্রমাগত বিভাজন এবং ইয়ামিনের
 নতুন দল পিপলস ন্যাশনাল ফ্রন্ট (পিএনএফ) -‌এর ব্যর্থতাও সাহায্য করেছিল, যারা পার্লামেন্ট নির্বাচন লড়ে একটি সাধারণ প্রতীক ছাড়াই। পার্লামেন্টে অতি-সংখ্যাগরিষ্ঠতার পর মুইজ্জুর জন্য সমস্যা, যদি থাকে, এখন ভিতর থেকে আসতে হতে পারে, যেমনটি পূর্বসূরি সোলিহের ক্ষেত্রে হয়েছিল। তবুও, পার্লামেন্ট নির্বাচনে ব্যাপক বিজয়ের পরে, তাঁর বোঝা উচিত যে আগামী মাস ও বছরগুলিতে ইয়ামিনের ব্যর্থ এবং ভুলে যাওয়া ‘ইন্ডিয়া আউট’ প্রচারণার কোনও পুনরুজ্জীবন রুখতে কী করতে হবে।

নতুন প্রজন্মের নেতা

৪৫ বছর বয়সী মুইজ্জু নতুন প্রজন্মের একজন রাজনৈতিক নেতা, এবং প্রচলিত গণতন্ত্রকেন্দ্রিক নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বীদের থেকে ভিন্ন, যাঁদের সব কিছুর শুরু ২০০৮ সালে বহুদলীয় সংবিধানের জন্মের সময়কালে। এখনকার আকাঙ্ক্ষা-‌চালিত নতুন প্রজন্মের ভোটাররা অতীত থেকে আরও বেশি বিচ্ছিন্ন। এই কারণে মুইজ্জু অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, শাসন, এবং বৈদেশিক ও নিরাপত্তা নীতি পরিচালনার ক্ষেত্রে অ-পরিমাপযোগ্য।

ভারতীয় দৃষ্টিকোণ থেকে, এটি দেখা বাকি রয়েছে যে মুইজ্জু জমানা এখান থেকে দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলিতে, বিশেষত নিরাপত্তা সহযোগিতার বিষয়ে, কীভাবে অগ্রসর হয়। একে মলদ্বীপ এবং চিনে মুইজ্জু-র জানুয়ারি সফরের সময় '
কৌশলগত সহযোগিতা বাড়াতে' সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং 'গ্লোবাল সিভিলাইজেশন ইনিশিয়েটিভ' (জিসিআই)‌-‌ এর সঙ্গে চিনের 'গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভ' (জিএসআই)-‌এ স্বাক্ষর করার প্রেক্ষাপটে বুঝতে হবে।



ভারতীয় দৃষ্টিকোণ থেকে, এটি দেখা বাকি রয়েছে যে মুইজ্জু জমানা এখান থেকে দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলিতে, বিশেষত নিরাপত্তা সহযোগিতার বিষয়ে, কীভাবে অগ্রসর হয়।



এমনকি ভারতীয় সামরিক কর্মীদের সময়সীমার মধ্যে প্রত্যাহার চাওয়ার সময়ও
মলদ্বীপ সরকার দোস্তি-১৬ কোস্ট গার্ড মহড়ার আয়োজন করেছিল, যেখানে ভারতীয় সৈন্যরা সাধারণ প্রতিবেশী শ্রীলঙ্কার সেনাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিল। ২০২৪ সালের মে মাসে, দেশটি 'ব্ল্যাক মার্লিন' যৌথ মহড়ায় মার্কিন সৈন্যদের আতিথ্য দেয়। একজন সফররত ব্রিটিশ মন্ত্রী সম্প্রতি মালে সফরকালে নিরাপত্তা-সম্পর্কিত আলোচনা করেছেন। অর্থনৈতিক যোগাযোগ প্রসারিত করার জন্য মলদ্বীপের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ব্রিটেনের (ইউকে) সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরও গভীর করার জন্য লন্ডনে গিয়ে আলোচনা করেছেন


গভীরে খনন

এই সবগুলি ভারতীয় প্রতিবেশীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতার বিষয়ে মুইজ্জু প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ভারত থেকে ফেরার পর বিদেশমন্ত্রী জমিরের সঙ্গে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে গিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ঘাসান মাউমুন স্বীকার করেছেন যে, সমস্ত ভারতীয় সৈন্য ফিরে গিয়েছে এবং উথুরু থিলা-ফালহু (ইউটিএফ) দ্বীপে কোনও ভারতীয় সামরিক কর্মী নেই, যেখানে কাজ করা হচ্ছে। ভারতের অর্থায়নে কোস্ট গার্ড জেটি চালু ছিল।

প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মামুন আব্দুল গাইয়ুমের ছেলে মন্ত্রী ঘাসানও স্পষ্ট করেছেন যে মলদ্বীপের সামরিক কর্মীরা
ভারতের উপহার দেওয়া তিনটি বিমান প্ল্যাটফর্ম ওড়াতে সক্ষম নন। এর অর্থ হতে পারে যে সরকার ভারতীয় বেসামরিক পাইলট এবং প্রযুক্তিবিদদের তাদের সামরিক সমকক্ষদের মতো করেই মোতায়েন করতে পারে। ভারতীয় ডর্নিয়ার কীভাবে তুর্কি ড্রোনগুলিকে 'আউট-পারফর্ম' করেছে, তা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক রয়ে গিয়েছে। দিল্লির একটি কনক্লেভে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর জানিয়েছেন অনুরোধ এলে 'মলদ্বীপের পাইলটদের প্রশিক্ষণ' দেওয়া যেতে পারে।



ভারতীয় হাইকমিশন অবিলম্বে একটি বিবৃতিতে দাবিটি অস্বীকার করে এবং বলে যে জরুরি অবতরণ "অপ্রত্যাশিত প্রয়োজনের কারণে" মানুষ ও মেশিনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য করা হয়েছিল, তবে স্থল অনুমোদন নিয়ে।



তবুও, যৌথ সংবাদ সম্মেলনে উষ্মার পরিচয় দেওয়া হয়েছিল যখন ২০১৯ সালের থা অ্যাটলের থিমারাফুশি দ্বীপে ভারতীয় নৌবাহিনীর কর্মীদের অননুমোদিত অবতরণ নিয়ে মলদ্বীপের তরফে অভিযোগের বিষয়টি তোলা হয়। ভারতীয় হাইকমিশন অবিলম্বে একটি বিবৃতিতে দাবিটি অস্বীকার করে এবং বলে যে জরুরি অবতরণ "
অপ্রত্যাশিত প্রয়োজনের কারণে" মানুষ ও মেশিনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য করা হয়েছিল, তবে স্থল অনুমোদন নিয়ে।


ঘটনাটি স্পষ্টভাবে দেখায় যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের শুভাকাঙ্ক্ষীদের, বিশেষ করে মলদ্বীপের, তাদের সম্পর্কে উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত যারা অতীত খনন করতে চায় যেখানে মুইজ্জু নেতৃত্ব জড়িত ছিল না, এবং অর্ধসত্য নিয়ে আসতে চায় যা সম্মিলিতভাবে একটি বাধা সৃষ্টি করতে পারে।



এন সত্য মূর্তি একজন চেন্নাই-ভিত্তিক নীতি বিশ্লেষক এবং রাজনৈতিক ভাষ্যকার

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.