রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে এবং ইউক্রেন সংঘাতের অবসান ঘটাতে ভারতের মতো ভাল অবস্থানে অন্য কোনও দেশ নেই
ভারত চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। নয়াদিল্লিতে মার্চের শুরুতে অনুষ্ঠিত জি২০ বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে ইউক্রেন সঙ্কটের নিন্দা করার প্রশ্নে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের এবং রাশিয়া ও চিনের মধ্যে ঐকমত্য তৈরির জন্য ভারতের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার প্রসঙ্গে অন্তত এই রকম চটজলদি ও বাঁকা মন্তব্য অনেকেই করবেন। ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর পর্যন্ত স্বীকার করেছিলেন, ‘’আমরা চেষ্টা করেছি, কিন্তু দেশগুলোর মধ্যে ব্যবধান অনেক বেশি।’’
যদিও ভারত এই সংঘাত নিয়ে চলতি মহাশক্তি দ্বন্দ্বের কারণে অংশগ্রহণকারীদের দিয়ে জি২০ যৌথ ঘোষণা জারি করাতে ব্যর্থ হয়েছে, তা হলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে ভবিষ্যতের মধ্যস্থতাকারী হিসাবে নয়াদিল্লির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে ছোট করে দেখা উচিত নয়। প্রকৃতপক্ষে, এটা বিশ্বাস করার পর্যাপ্ত কারণ রয়েছে যে ভারতের কাছে সব দেশের মধ্যে সেরা সুযোগ রয়েছে উভয় পক্ষকে, এমনকি শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনকেও, আলোচনার টেবিলে আনার জন্য, যা শেষ পর্যন্ত সংঘর্ষের অবসানের দিকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।
কেন নয়াদিল্লি আদর্শভাবে এই ভূমিকার জন্য উপযুক্ত?
১৯৪৭ সালে তার স্বাধীনতার পর থেকে ভারত একটি জোটনিরপেক্ষ বিদেশনীতি বজায় রেখেছে। এর মানে এই নয় যে ভারত বাস্তবে এক দেশের থেকে অন্য দেশের প্রতি পক্ষপাতিত্ব এড়িয়ে যায়। যাই হোক, ভারত সকলের জন্য একটি উন্মুক্ত–দ্বার নীতি অনুসরণ করে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ভারতের শুধু কিউবা, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার মতো দেশের সঙ্গেই নয়, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও ন্যাটোর মতো কট্টর মার্কিন মিত্রদের সঙ্গেও কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা সম্পর্কে বলা যায়, ভারত এই সহজ সত্যের কারণেই একটি সম্পদ হিসাবে গণ্য হবে যে দেশটি কোনও পূর্বশর্ত বা আপত্তি ছাড়াই কার্যত যে কারও সঙ্গে সংলাপকে স্বাগত জানায়।
যদিও ভারত এই সংঘাত নিয়ে চলতি মহাশক্তি দ্বন্দ্বের কারণে অংশগ্রহণকারীদের দিয়ে জি২০ যৌথ ঘোষণা জারি করাতে ব্যর্থ হয়েছে, তা হলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে ভবিষ্যতের মধ্যস্থতাকারী হিসাবে নয়াদিল্লির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে ছোট করে দেখা উচিত নয়।
ভারতের মধ্যস্থতাকারী ভূমিকার জন্য আরেকটি সহজে বোধগম্য কারণ হল যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি জড়িত উভয় মহাশক্তির—রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র—সঙ্গেই এর সুস্থ অংশীদারি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার ভূ–রাজনীতিতে ‘মাল্টি–অ্যালাইনমেন্ট’ (যা মূলত একটি সর্বক্ষেত্রব্যাপী অস্পষ্টতা অবলম্বনের কৌশল) নিয়ে এসে তা নন–অ্যালাইনমেন্ট বা নির্জোট নীতির সঙ্গে যুক্ত করেছে৷ বহু–সারিবদ্ধতার কৌশল অনুসরণ করে ভারত তাদের সকলের সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করার মাধ্যমে কোনও একটি মহাশক্তির সঙ্গে অতিরিক্ত জড়িয়ে পড়া এড়াতে চায়। নয়াদিল্লি আশা করে যে এই পদ্ধতি ভারতের কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন রক্ষা করবে, কারণ মহাশক্তি প্রতিযোগিতা ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। আর এযাবৎ ভারত এই নীতি অনুসরণ করে অনেক সাফল্য পেয়েছে।
ভারত ইউক্রেন সঙ্কটের নিন্দা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, এবং রাশিয়া কম দামে অশোধিত তেলের জন্য ভারতের শীর্ষ সরবরাহকারী হয়ে উঠেছে। এটি কোনও তুচ্ছ পরিবর্তন নয় যে ভারতের বিপুল শক্তির প্রয়োজনীয়তাকে শুধু একটি দ্রুত উন্নয়নশীল দেশের প্রয়োজন হিসাবে বিবেচনা না–করে এখন বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের প্রয়োজন হিসাবেও দেখা হয়। যদিও পশ্চিম এই পদক্ষেপের ফলে হতাশ হয়েছে, এটি কিন্তু নয়াদিল্লিকে পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তেল বিক্রি চালিয়ে যেতে মরিয়া ক্রেমলিনের উপর ন্যায্য পরিমাণে প্রভাব বিস্তারের সুযোগ দিয়েছে। ঠান্ডা যুদ্ধের সময়কার রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের দীর্ঘস্থায়ী ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্কও নয়াদিল্লিকে রাশিয়ার নীতির সমালোচনা করার অনুমতি দেয়, যদিও শুধুমাত্র সূক্ষ্মভাবে, কোনও বিদ্বেষ ছাড়াই। গত বছর ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে, উদাহরণস্বরূপ, মোদী রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন “আজকের যুগ যুদ্ধের যুগ নয়, এবং আমি আপনার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি।”
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের অংশীদারি অন্ততপক্ষে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের অংশীদারিত্বের মতোই শক্তিশালী, এবং তর্কসাপেক্ষে অতীতের সব যুগের থেকে এখন তা আরও ভাল অবস্থানে আছে । ২০১৪ সালে মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকে নয়াদিল্লি ওয়াশিংটনের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দিয়েছে, মূলত ইন্দো–প্যাসিফিক জুড়ে বেজিংয়ের ক্রমবর্ধমান আধিপত্য তৈরির প্রয়াসের মোকাবিলা করার জন্য, যার মধ্যে ভারত–চিনের বিতর্কিত স্থলসীমান্ত বরাবর সংঘাতও অন্তর্ভুক্ত। ২০১৭ সালে চিন, ভারত ও ভুটানের মধ্যে ভূ–কৌশলগতভাবে সংবেদনশীল ত্রিপাক্ষিক সীমান্ত সঙ্গমস্থল ডোকলাম–এ চিনা রাস্তা নির্মাণের ফলে ভারতীয় ও চিনা বাহিনীর মধ্যে এক মাসব্যাপী সামরিক অচলাবস্থা দেখা দেয়, যা মোদীকে ক্রমবর্ধমানভাবে মার্কিন সমর্থনকে স্বাগত জানাতে প্ররোচিত করেছিল। ভারত সেই বছরের শেষের দিকে অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র–সহ সমমনা গণতান্ত্রিক দেশগুলির মধ্যে একটি নিরাপত্তা সংলাপ ‘কোয়াড’কে পুনরুত্থিত করতে সম্মত হয়েছিল চিনকে মোকাবিলা করার জন্যই। এই বহুপাক্ষিক ও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা অব্যাহত আছে ২০২০ সালের জুনে গালওয়ান উপত্যকায় ভারতের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের সীমান্তে চিন সেনা মোতায়েনের পর, যার ফলে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ সংঘর্ষ হয়েছে।
২০১৪ সালে মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকে নয়াদিল্লি ওয়াশিংটনের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দিয়েছে, মূলত ইন্দো–প্যাসিফিক জুড়ে বেজিংয়ের ক্রমবর্ধমান আধিপত্য তৈরির প্রয়াসের মোকাবিলা করার জন্য, যার মধ্যে ভারত–চিন বিতর্কিত স্থল সীমান্ত বরাবর সংঘাতও অন্তর্ভুক্ত।
রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার দৃঢ় সম্পর্কের বাইরে, ভারত তার নিজের অধিকারে একটি উদীয়মান মহাশক্তি , যার অর্থ মস্কো ও ওয়াশিংটনের পাশাপাশি বেজিং, পশ্চিম ইউরোপীয় দেশগুলি এবং অন্যরা যুদ্ধ নিয়ে তার অবস্থানকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করে। জি২০ কার্যধারা এ পর্যন্ত দেখিয়েছে যে ভারত এখন সমগ্র উন্নয়নশীল বিশ্বের কণ্ঠস্বর ও বিবেক। মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে তাঁর প্রারম্ভিক বক্তব্যের সময় মোদী বৈশ্বিক শাসনের ব্যর্থতার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন, এবং বলেছিলেন ‘‘আমাদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে এই ব্যর্থতার দুঃখজনক পরিণতি সবচেয়ে বেশি করে অনুভব করছে উন্নয়নশীল দেশগুলি।’’ তিনি যোগ করেন যে, “যারা এই ঘরে নেই তাদের প্রতিও আমাদের দায়িত্ব রয়েছে। অনেক উন্নয়নশীল দেশ তাদের জনগণের জন্য খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করতে গিয়ে স্থিতিশীলতা আনবে না এমন ঋণ নিয়ে এখন হিমসিম খাচ্ছে।”
ইউক্রেন সংঘাতের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল বিশ্ব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তা বিশ্বব্যাপী সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ নিয়ে গঠিত, যার মধ্যে অনেকগুলি দেশ মহাশক্তির মধ্যে ভূ– কৌশলগত প্রতিযোগিতার ফাঁদে আটকা পড়েছে। সংঘাতের শুরু থেকে রাষ্ট্রপুঞ্জের ভোটের ধরন থেকে বিচার করলে বোঝা যায়, তারা পশ্চিমী নেতৃত্বাধীন নিষেধাজ্ঞার যেমন বিরোধিতা করে, তেমনই বিশ্বাস করে যে রাশিয়ার তার প্রতিবেশীকে আক্রমণ করা উচিত ছিল না এবং পূর্বের স্থিতাবস্থায় ফিরে যেতে হবে। ভারত এই ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গিকে মূর্ত করে, যা একটি ভবিষ্যৎ শান্তিচুক্তির সুর ও রূপ নির্ধারণ করে দেবে।
পরিশেষে, বিরোধে মধ্যস্থতা করার জন্য ভারতের মতো এতটা ভাল অবস্থানে অন্য কোনও দেশ নেই। যেমন, উন্নয়নশীল বিশ্বের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য ভারতের একমাত্র প্রকৃত প্রতিদ্বন্দ্বী চিন স্পষ্টভাবে রাশিয়ার সঙ্গে অনেক বেশি জড়িয়ে গিয়েছে। বেজিংয়ের প্রস্তাবগুলি, যেমন তার সম্প্রতি প্রকাশিত ১২–দফা ইউক্রেন শান্তি পরিকল্পনা, খুবই পক্ষপাতদুষ্ট। সংঘাতের প্রথম দিকে ইন্দোনেশিয়া ও ইজরায়েল প্রত্যেকেই কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে যাতায়াত করে কূটনৈতিক প্রয়াস চালিয়েছিল। উভয়ের প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে, এবং তার বড় কারণ পুতিন বা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি কেউই আলোচনার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। ইন্দোনেশিয়া বা ইজরায়েলের কারও রাশিয়ার উপর কোনও প্রভাব নেই। তুর্কিয়ে, একটি ন্যাটো মিত্র, শান্তি আলোচনা শুরু করার জন্য রাশিয়া ও ইউক্রেনের উপর চাপ দিচ্ছে, তবে আঙ্কারা রাশিয়াকে উস্কে দেওয়ার জন্য পশ্চিমকেও দোষারোপ করেছে এবং এখন ভূমিকম্প–পরবর্তী পুনরুদ্ধারে ব্যস্ত রয়েছে। রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের সঙ্গেই চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে এমন একটি দেশ ভিয়েতনাম নিশ্চেষ্ট থেকে সংঘাতের সঙ্গে সম্পর্কিত রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রায় প্রতিটি প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আরও দেশের কথা মনে আসতে পারে, কিন্তু বাস্তবতা হল ভারতের মতো আর কেউই এই কাজটি করার জন্য উপযুক্ত জায়গায় নেই।
অবশ্যই প্রধান চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে একটি হল যে নয়াদিল্লি জড়িত হতে উৎসাহী বলে মনে হচ্ছে না, কারণ এটি শুধু ভারতের সমস্যা নয়। জয়শঙ্কর গত বছর জোর দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘ইউরোপকে এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে যে ইউরোপের সমস্যাগুলি বিশ্বের সমস্যা, কিন্তু বিশ্বের সমস্যাগুলি ইউরোপের সমস্যা নয়।’’ যাই হোক, কয়েক সপ্তাহ আগে জি২০ অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকের সময় ভারত স্পষ্টভাবে চিন ও রাশিয়াকে দিয়ে গত বছরের জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের বালি ঘোষণার পুনরাবৃত্তি করানোর জন্য একটি সমন্বিত প্রয়াস চালিয়েছিল, যা উৎসাহব্যঞ্জক। বালি ঘোষণায় সমস্ত দেশকে আহ্বান জানানো হয়েছিল ‘আন্তর্জাতিক আইন ও বহুপাক্ষিক ব্যবস্থা বজায় রাখার জন্য যা শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করে’, এবং বলা হয়েছিল, ‘‘পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার বা ব্যবহারের হুমকি গ্রহণযোগ্য নয়। সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান, সঙ্কট মোকাবিলার প্রচেষ্টা, সেইসঙ্গে কূটনীতি ও সংলাপ গুরুত্বপূর্ণ। আজকের যুগকে যুদ্ধের যুগ করা যাবে না।”
রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের সঙ্গেই চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে এমন একটি দেশ ভিয়েতনাম সংঘাতের সঙ্গে সম্পর্কিত রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রায় প্রতিটি প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শেষ বাক্যটি সরাসরি পুতিনের প্রতি মোদীর পরামর্শ থেকে নেওয়া, যা আবারও বুঝিয়ে দিয়েছিল যে ভারতের গত বছরের অবস্থান নিয়ে আন্তর্জাতিক ঐকমত্য ছিল। বর্তমান সময় ও এই সেপ্টেম্বরের জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের মধ্যে ফোরামের সভাপতি হিসাবে ভারত অনুপ্রাণিত হবে ঐকমত্য তৈরি করতে এবং অবশেষে একটি যৌথ ঘোষণা জারি করাতে। ঘটনাটি তার পছন্দ নির্বিশেষে নয়াদিল্লিকে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় ঠেলে দেবে৷
অন্য প্রধান সমস্যাটি সম্পূর্ণরূপে ভারতের নিয়ন্ত্রণের বাইরে বলে মনে হতে পারে। তা হল পুতিন এবং পুতিন একাই সিদ্ধান্ত নেবেন কখন শান্তির জন্য এগোতে হবে। কিন্তু সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাশিয়ার সামরিক আক্রমণ এবং ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণ সম্ভবত শীত পড়ার মুখে স্তিমিত হয়ে যাবে, যা সম্ভাব্যভাবে জি২০ সম্মেলনের সময় আলোচনার জন্য একটি সুযোগ এনে দেবে। ভারতের যদি এই কাজ করার সুযোগ থাকে, তাহলে বিশ্বশান্তির স্বার্থে এর সর্বোচ্চ ব্যবহার করার চেষ্টা করা উচিত।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সেতু হিসেবে কাজ করলে বিদেশনীতিতে নয়াদিল্লির অতি–বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গি প্রভাবিত হবে না। এর বিপরীতে, এমনকি সংঘাতের অবসান ঘটাতে সীমিত সাফল্যও একটি উদীয়মান মহাশক্তি হিসেবে ভারতের স্বীকৃতিকে এই হিসাবে আরও শক্তিশালী করবে যে, অন্যরা যা করতে পারে না এমন অসাধারণ কিছু ভারত করতে সক্ষম। এই সম্ভাবনাই নয়াদিল্লিকে এই কাজে এগোতে উৎসাহিত করার জন্য যথেষ্ট।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.