Author : Samir Saran

Published on Jun 22, 2023 Updated 0 Hours ago

দুটি মহান গণতন্ত্রের কৌশলগত অংশীদারি প্রযুক্তি–কর্তৃত্ববাদীদের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মোকাবিলা করবে।

ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে প্রযুক্তিকে সকলের আরও নাগালের মধ্যে নিয়ে আসতে পারে

ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্ব বৈশ্বিক প্রযুক্তি ও একুশ শতকের ভূ–রাজনীতি উভয়কেই প্রভাবিত করবে বলে মনে করা হছে। এই প্রেক্ষিতে এই দুই গণতন্ত্রকে নিশ্চিত করতে হবে যে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি আরও নিরাপদ ও সমৃদ্ধ বিশ্ব নির্মাণের লক্ষ্যে কাজ করবে। ইতিমধ্যেই বাস্তবে এক প্রকার ভরবেগ তৈরি হয়েছে: গত বছর ঘোষিত ইউএস–ইন্ডিয়া ইনিশিয়েটিভ অন ক্রিটিকাল অ্যান্ড ইমার্জিং টেকনোলজিস (আইসেট) এই জানুয়ারিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের উদ্ভাবন বাস্তুতন্ত্রগুলির মধ্যে সংযোগ জোরদার করার ক্ষেত্রে অগ্রগতি করেছে  এখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করছেন, সেই সময়টি হল উচ্চতর লক্ষ্য নির্ধারণ করার সঠিক মুহূর্ত।

মোদী ও বাইডেনের এমন একটি কৌশলগত প্রযুক্তি অংশীদারির আহ্বায়ক হওয়া উচিত যা উদ্ভাবনের পরিসরে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি  উভয় ক্ষেত্রের সহযোগিতাকে গভীরতর করার জন্য দৃঢ়ভাবে উচ্চপর্যায়ের সমর্থন জোগাবে। তার জন্য প্রয়োজন মানুষের সঙ্গে মানুষের সংযোগ বাড়ানো, বিশ্বজুড়ে নিরাপদ প্রযুক্তি পরিকাঠামো সম্প্রসারণে সহযোগিতা, নতুন প্রযুক্তির জন্য শাসনের মান উন্নয়ন, এবং ভবিষ্যতের জন্য একটি গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে গ্লোবাল সাউথের সঙ্গে যৌথভাবে সংযুক্ত হওয়া।

আজ সেই ভবিষ্যতের চেহারাটা অনিশ্চিত দেখাচ্ছে, এবং প্রযুক্তি–কর্তৃত্ববাদীরা ক্রমশ দৃঢ়তার সঙ্গে অগ্রসর হচ্ছে। এই সময়ে একটি ভিন্ন পথ নির্ধারণ করতে ইন্দো–প্যাসিফিক অঞ্চলে গণতন্ত্রগুলির সম্মিলিত ক্ষমতা ব্যবহারের প্রয়োজন হবে। এই কাজটি করার জন্য তাদের অবশ্যই নিজেদের কৌশলগত উদ্দেশ্যগুলির সঙ্গে সারিবদ্ধ বাজারের শক্তিগুলিকে উমুক্ত করতে হবে। ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বিনিয়োগকারীদের সংবেদনশীল করে তুলতে হবে, উপলব্ধ পুঁজির বড় ক্ষেত্রগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করতে হবে, এবং এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে যে তাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণে বিনিয়োগের অভাব হবে না। প্রযুক্তিগত সুযোগগুলি যাতে ব্যাপকভাবে নাগালের মধ্যে এসে যায় তা ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে একসঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে।

মোদী ও বাইডেনের এমন একটি কৌশলগত প্রযুক্তি অংশীদারির আহ্বায়ক হওয়া উচিত যা উদ্ভাবনের পরিসরে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রের সহযোগিতাকে গভীরতর করার জন্য দৃঢ়ভাবে উচ্চপর্যায়ের সমর্থন জোগাবে।

ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তি প্রতিযোগিতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আজ অগ্রণী হিসাবে পরিগণিত,  আর ভারত একটি উদ্ভাবনী পাওয়ারহাউস হিসাবে উঠে এসেছে। উভয় দেশেই শক্তিশালী, শিক্ষিত কর্মশক্তি রয়েছে: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিজ্ঞান ও প্রকৌশলে পিএইচ ডি তৈরিতে নেতৃত্ব দেয়, আর ভারত এই বিষয়গুলিতে স্নাতক ডিগ্রি সহ স্নাতক তৈরির ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে। ভারতের উদ্যোগপতি পরিবেশও বিকশিত হচ্ছে। ২০২১ সালে ভারতীয় ইউনিকর্নের (‌১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি মূল্যের স্টার্ট–আপগুলি)‌ সংখ্যা ৪০ থেকে বেড়ে ১০৮ হয়েছে৷ একই বছরে ভারতীয় ডিপ টেক উদ্যোগগুলি, যেগুলির বড় প্রভাব ফেলার সম্ভাবনা থাকলেও বাজারগুলিতে পৌঁছনোর জন্য উল্লেখযোগ্য সময় ও মূলধন প্রয়োজন হয়, প্রায় ২.৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগ্রহ করেছে। বাণিজ্যিক মহাকাশ ক্ষেত্রগুলির মতো পরিসরে ভারত একটি প্রধান বিশ্ব শক্তি হয়ে উঠছে। গবেষণা ও উন্নয়ন থেকে উৎপাদন পর্যন্ত সমগ্র উদ্ভাবন শৃঙ্খলে নয়াদিল্লি এখন  ওয়াশিংটনের জন্য এক সক্ষম অংশীদার।

উভয় দেশই উদীয়মান প্রযুক্তি দ্বারা উপস্থাপিত সুযোগকে স্বীকৃতি দেয়, এবং তাকে কাজে লাগানোর জন্য একসঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক বলে মনে হয়। ফেব্রুয়ারিতে মোদী সরকার ঘোষণা করেছিল ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতের একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার পথের স্মারক হবে নতুন প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ, বিশেষ করে ডিজিটাল পরিকাঠামোতে। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রগুলির আগ্রহের সম্মিলন ঘটছে ভবিষ্যতের জন্য একটি প্রযুক্তিনির্ভর দৃষ্টিভঙ্গিকে কেন্দ্র  করে, যার শুরু হয়েছে চিপস অ্যান্ড সায়েন্স অ্যাক্ট দিয়ে। দেশদুটি স্মার্ট সিটি পরিকল্পনা  প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি হস্তান্তরের বিষয়ে সহযোগিতা করেছে। দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে তাদের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি অংশীদারি উল্লেখযোগ্য উচ্চতায় আরোহণের জন্য প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে। কারণ, এমন খবর বেরিয়েছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জেনারেল ইলেকট্রিককে ভারতে সামরিক জেট ইঞ্জিন তৈরি করতে দেবে, যা কিনা ওয়াশিংটনের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠভাবে সুরক্ষিত গোপনীয়তাগুলির মধ্যে একটি৷

প্রযুক্তির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি কৌশলগত অংশীদারি দুই দেশের ভাগ করে নেওয়া প্রতিভার সুবিধাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে৷ দু দেশের কর্মীরা ইতিমধ্যেই পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত, বিশেষ করে প্রযুক্তি খাতে। ২০২১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এইচ১–বি ভিসা বরাদ্দের ৭৪ শতাংশ ছিল ভারতীয়দের জন্য, এবং ভারতীয় কর্মচারীরা অনেক মার্কিন প্রযুক্তি সংস্থাগুলিতে উদ্ভাবনকে উদ্দীপিত করেছেন। তার উপর আবার বিশ্বের বৃহত্তম দুটি সংস্থার নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভারতীয় আমেরিকানরা। একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব সুযোগ সনাক্তকরণ এবং মানুষের সঙ্গে মানুষের প্রবাহের প্রতিবন্ধকতা দূর করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে পারে।

এই ধরনের অংশীদারির জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন ভারতীয় আবেদনকারীদের, কর্মী ও ভ্রমণকারী উভয়ের, জন্য মার্কিন ভিসা ব্যাকলগগুলির সমাধান করা। ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিনিয়োগকারী ও উদ্যোগপতিদের সম্পর্ক জোরদার করার জন্য কর্মসূচি তৈরি করা আরেকটি অগ্রাধিকার হওয়া উচিত; এটি করা হলে বেসরকারি উদ্যোগপতিদের মধ্যে সংযোগ আরও গভীর হবে। শিক্ষা প্রযুক্তি ক্ষেত্রটি এই বিষয়ে প্রতিশ্রুতিসম্পন্ন সুযোগ প্রদান করে। মার্কিন এডটেক সংস্থাগুলি যখন ভারতীয় অনলাইন শিক্ষার বাজারের একটি বৃহত্তর অংশ দখল করতে চাইছে, ভারতের এডটেক সংস্থাগুলি তখন ক্রমশ বেশি করে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে এবং মার্কিন বাজারে ও অন্যত্র নিজেদের শিকড় গভীর করছে৷ গঠনমূলক প্রতিযোগিতা ও সহযোগিতার এই পরিবেশটিকে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহার করা উচিত।

মার্কিন এডটেক সংস্থাগুলি যখন ভারতীয় অনলাইন শিক্ষার বাজারের একটি বৃহত্তর অংশ দখল করতে চাইছে, ভারতের এডটেক সংস্থাগুলি তখন ক্রমশ বেশি করে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে এবং মার্কিন বাজারে ও অন্যত্র নিজেদের শিকড় গভীর করছে৷

এরপর একটি কৌশলগত প্রযুক্তি অংশীদারিত্ব বর্তমান ডিজিটাল বিশ্বকে সমর্থন করার জন্য বৈশ্বিক পরিকাঠামো সম্প্রসারণে বিনিয়োগ করবে, বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথে। এই ক্ষেত্রে সহযোগিতা পূর্ণ পরিসরটিত আরও ব্যাপ্ত হতে পারে: লাভজনক ডিসরাপটিভ টেকনোলজির উপর যৌথ গবেষণা ও পরীক্ষা, হার্ডওয়্যার উৎপাদন, এবং এমনকি বড় আকারের বিনিয়োগের জন্য তহবিল একত্র করাঢ় প্রয়াস নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই তাদের অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে কাজ করতে হবে, যাতে এই কথা তুলে ধরা সম্ভব হয় যে ক্রমবর্ধমান ভূ–রাজনৈতিক, স্বাস্থ্য ও জলবায়ু ঝুঁকির বিশ্বে স্থিতিস্থাপক সরবরাহ শৃঙ্খলগুলিই সহযোগিতা জোরদার করার ক্ষেত্রে একটি অপরিহার্য উপাদান হবে। এই বছর ভারতের জি–২০ প্রেসিডেন্সি এই আলোচনাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য একটি মঞ্চ তৈরি করেছে; সবুজ উন্নয়ন, অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধি ও প্রযুক্তিগত রূপান্তর নয়াদিল্লির  জি–২০ অ্যাজেন্ডার কেন্দ্রে রয়েছে।

ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই ডিজিটাল পরিকাঠামোর একটি করে প্রয়োজনীয় অংশ তৈরি করেছে। ভারত ৫জি কভারেজের পথপ্রদর্শক হিসাবে ওপন–রেডিও অ্যাক্সেস নেটওয়ার্ক (‌ও–র‌্যান) পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে একটি অগ্রণী দেশ। মার্কিন নীতিনির্ধারকরা আগেকার নেটওয়ার্ক মডেলের বিকল্প হিসেবে ও–র‌্যান নিয়ে উৎসাহী, যে ক্ষেত্রটিতে চিনা বহুজাতিক হুয়াওয়ে একটি শীর্ষস্থানীয় বিশ্ব শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের কেন্দ্র হিসাবে ভারত ক্রমবর্ধমানভাবে মার্কিন বেসরকারি ক্ষেত্রের আগ্রহের জায়গা হয়ে উঠছে, যার ফলে ভারতকে কেন্দ্র করে একটি সরবরাহ শৃঙ্খলের বাস্তুতন্ত্র গড়ে ওঠা ক্রমশই সম্ভাব্য হয়ে উঠছে। সাম্প্রতিক ইন্ডিয়া–ইউএস কমারশিয়াল ডায়ালগ–এর পর দুই দেশ একটি সেমিকন্ডাক্টর সরবরাহ শৃঙ্খল ও উদ্ভাবন অংশীদারি তৈরির জন্য সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর করেছে, যার লক্ষ্য সরবরাহ শৃঙ্খল স্থিতিস্থাপকতা ও বৈচিত্র্য উন্নত করা।

ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি কৌশলভিত্তিক প্রযুক্তিগত অংশীদারিত্বের  অগ্রাধিকারে রাখা উচিত এমন মান ও নীতিগুলি যা ভবিষ্যতের প্রযুক্তিগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করবে৷ কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্র থেকে পরিচালিত প্রতিযোগীদের মোকাবিলা করার জন্য ভারতীয় ও মার্কিন প্রযুক্তি সংস্থাগুলির খরচ ও বাধা কমানোর জন্য এই ধরনের মান নির্ধারণ গুরুত্বপূর্ণ। গণতন্ত্রের স্বার্থে তারা কীভাবে উদীয়মান প্রযুক্তিগুলি পরিচালনা করতে চায় তা নির্ধারণ করতে উভয় দেশকে মান–নির্ধারক সংস্থাগুলির সঙ্গে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে আইসেট ইতিমধ্যেই অ্যাকাডেমিক ও শিল্প ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করছে। একটি কৌশলগত অংশীদারি এই প্রচেষ্টাগুলি আরও অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, এবং নতুন বেসরকারি ক্ষেত্রের সহযোগিতার লক্ষ্যে আরও সংস্থান আনার প্রশ্নে সমন্বয়সাধন করতে পারে।

গণতন্ত্রের স্বার্থে তারা কীভাবে উদীয়মান প্রযুক্তিগুলি পরিচালনা করতে চায় তা নির্ধারণ করতে উভয় দেশকে মান–নির্ধারক সংস্থাগুলির সঙ্গে কাজ করতে হবে।

উদীয়মান প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জগুলি প্রশমনের জন্যও ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। প্রযুক্তিকে অবশ্য কখনওই মানবাধিকার, জাতীয় নিরাপত্তা ও কার্যকরী গণতন্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য বাস্তুতন্ত্রের উপর তার প্রভাব থেকে বিচ্ছিন্ন করা সম্ভব নয়। এই বিষয়টি ২০২৪ সালে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে, যখন ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশেই নির্বাচন হবে। মানদণ্ডগুলি অবশ্যই কুশীলবদের গণতান্ত্রিক নিয়ম (এবং সাংবিধানিক আইন) মেনে চলতে বাধ্য করবে। ডিজিটাল কর্তৃত্ববাদের প্রসারের সঙ্গেসঙ্গে যা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে তা হল নেটওয়ার্কগুলি যেন এমন নির্ভরযোগ্য টেলিযোগাযোগ বিক্রেতাদের হাতে থাকে যারা নিরাপদ পরিষেবা প্রদান করে, এবং যাদের সদর দফতর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  ভারত সরকারের পছন্দমতো আইনের শাসনাধীন রাজ্যগুলিতে অবস্থিত হবে৷

পরিশেষে, দুই দেশের এমন একটি কৌশলগত অংশীদারি তৈরি করা উচিত যার লক্ষ্য হবে প্রযুক্তি কীভাবে ভাগ করা হলে তা নিরাপত্তা, সমৃদ্ধি ও স্থিতিস্থাপকতাকে উন্নীত করতে পারে সে বিষয়ে বৈশ্বিক দক্ষিণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া। ভারত ডিজিটাল পরিকাঠামো সহ বিস্তৃত ক্ষেত্রে গ্লোবাল সাউথের সঙ্গে সেতু হিসেবে কাজ করেছে। একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূ–রাজনৈতিক মুহূর্তে এমন একটি যৌথ দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন যা উন্মুক্ত সমাজের প্রতি মার্কিন–ভারত অভিন্ন মনোভাবের বাহক একটি প্রতিযোগিতামূলক প্রযুক্তির প্যাকেজকে অ–চিরাচরিত অংশীদারদের কাছে এগিয়ে  দিতে পারে।

এই প্রযুক্তিনিরভর বর্তমান বিশ্বে মার্কিন–ভারত কৌশলভিত্তিক প্রযুক্তি অংশীদারি একটি অত্যন্ত ইতিবাচক গতিপথের সূচনা করতে পারে। প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এখন জাতীয় নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও সামাজিক সম্পর্ককে রূপান্তরিত করছে। এই সময় নতুন দিল্লি ও ওয়াশিংটনের মধ্যে একটি রূপান্তরমূলক অংশীদারিত্ব এটাই নিশ্চিত করবে যে এই অগ্রগতি গণতান্ত্রিক সমাজের মূল্যবোধকে আরও প্রসারিত করবে৷


এই ভাষ্যটি প্রথম ‘ফরেন পলিসি’–তে প্রকাশিত হয়েছে।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Author

Samir Saran

Samir Saran

Samir Saran is the President of the Observer Research Foundation (ORF), India’s premier think tank, headquartered in New Delhi with affiliates in North America and ...

Read More +