Author : Aleksei Zakharov

Published on Apr 05, 2024 Updated 0 Hours ago

ভারত ও রাশিয়া ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখলেও দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কে কোন পরিবর্তন আশা করা কঠিন

ভারত ও রাশিয়া সম্পর্ক: একটি ‘অস্বাভাবিক পরিস্থিতি’র মধ্য দিয়ে পথ খুঁজে নেওয়

২৫ ডিসেম্বর ভারতের বিদেশমন্ত্রী ডক্টর এস জয়শঙ্কর রাশিয়ার মস্কো এবং সেন্ট পিটার্সবার্গে কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক সম্পৃক্ততার জন্য বিস্তৃত কর্মসূচির লক্ষ্যে পাঁচ দিনের সফরে গিয়েছিলেন।

ভারত-রাশিয়া সম্পর্কের অবস্থার উপলব্ধি আশাবাদী-নিরাশাবাদী পক্ষপাতের পরীক্ষায় পরিণত হয়েছে। আশাবাদী পর্যবেক্ষকরা দুই দেশের মধ্যে চির-সবুজ বন্ধুত্ব, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি অসাধারণ স্থিরতা এবং ইউরেশিয়ায় ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখতে পারস্পরিক স্বার্থে বিশ্বাস করার প্রবণতায় বিশ্বাসী, যা স্বাভাবিক ভাবেই তাঁদের ভূ-রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিগুলিকে একত্রিত করে। সংশয়বাদীরা যুক্তি দিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যকার স্থির সম্পর্ক এ বার স্থবির হয়ে পড়েছে, যখন দুই পক্ষের মধ্যকার অভিন্নতা সঙ্কুচিত হচ্ছে, বিশেষ করে উভয়ই যখন একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চিনেসঙ্গে ক্রমশ ঘনিষ্ঠ হচ্ছে।

জয়শঙ্করের রাশিয়া সফর অনেক ক্ষেত্রেই অস্বাভাবিক ছিল। প্রথমত, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একটি ফোনালাপের পাশাপাশি রাশিয়ায় এত দীর্ঘ অবস্থান ভারতীয় কর্মকর্তাদের জন্য এক বিরল নিদর্শন, অন্তত পক্ষে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের পর থেকে অবশ্যই। দ্বিতীয়ত, সফরটি আগে থেকেই নির্ধারিত থাকলেও ভারত সরকার তার ঘোষণা করেছিল শুধু মাত্র সফর হওয়ার ঠিক আগে। এবং তা ইউক্রেন-পরবর্তী প্রবণতার সঙ্গে সম্পূর্ণ রকমের সঙ্গতিপূর্ণ, যেখানে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের কিছু কূটনৈতিক সামরিক যোগাযোগ গোপন করা হয়েছে বা সেগুলির আধা-সরকারি মর্যাদা রয়েছে। তৃতীয়ত, এই সফরের ফলে তিনটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় এবং সেগুলি হল কুডানকুলাম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নতুন বিভাগ নির্মাণের বিষয়ে; ফার্মা এবং স্বাস্থ্যসেবায় সহযোগিতার উপর; এবং ২০২৪-২০২৮ সালে বিদেশ মন্ত্রকের মধ্যে পরামর্শ সংক্রান্ত বিষয়ে। অবশ্য এই সমস্ত বিষয়গুলি বিশদ বিবরণ ছাড়াই কেবল একটি ক্ষণস্থায়ী উল্লেখ করা হয়েছিল। চতুর্থত, জয়শঙ্কর মস্কো সেন্ট পিটার্সবার্গে রুশ বিশেষজ্ঞ গবেষকদের সঙ্গে আলোচনার দিকে অনেকের মনোযোগ সরিয়ে নিয়ে যেতে সমর্থ হয়েছিলেন, যা দুই দেশের মধ্যে শিক্ষাগত সম্পর্কের নতুন সূচনা করতে পারে।

 

আশাবাদী পর্যবেক্ষকরা দুই দেশের মধ্যে চির-সবুজ বন্ধুত্ব, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি অসাধারণ স্থিরতা এবং ইউরেশিয়ায় ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখতে পারস্পরিক স্বার্থে বিশ্বাস করার প্রবণতায় বিশ্বাসী, যা স্বাভাবিক ভাবেই তাঁদের ভূ-রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিগুলিকে একত্রিত করে।

 

টানা দ্বিতীয় বছরের মতো দুই দেশের মধ্যে কোন বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন না থাকায় জয়শঙ্করের সফরের উদ্দেশ্য ছিল রুশ নেতৃত্বকে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করা যে, ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে মোটেও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে না। ভারত-রাশিয়া বৈঠকের অনেক খুঁটিনাটি, যেমন কৌশলগত অভিন্নতা’, ‘পারস্পরিক ভাবে উপকারী কাজ, অভিন্ন ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ এবং বহুমুখিতার অনুসরণ আসলে এমন একটি ধারণা তৈরি করতে পারে যে, দুটি দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সখ্য ফের নতুন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা আর জটিল বলেই মনে হয়।

 

ভারতের বহু-সারিবদ্ধ নীতি পশ্চিম থেকে বিচ্ছিন্নতাকে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য রাশিয়ার অনুসন্ধান ঘনিষ্ঠ যোগাযোগকে দর্শালেও নয়াদিল্লি মস্কো তাদের কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গির বিস্তৃত ব্যবধানকে সঙ্কুচিত করার কাজটি অত্যন্ত কঠিন বলে মনে করছে। ইউক্রেনের যুদ্ধ সম্পর্কে ড. জয়শঙ্করের সঙ্গে কথা বলার সময় পুতিন খুব বেশি শব্দ খরচ করতে পারেননি এবং বিষয়টিকে বিশ্বের বর্তমান অশান্তি এবং হট স্পট’ বলে উল্লেখ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের পরিস্থিতি সম্পর্কে নয়াদিল্লিকে অতিরিক্ত তথ্য প্রদানের জন্য আগ্রহ দেখিয়েছেন এবং স্পষ্টতই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রভাবিত করার আশা করছেন। ইউক্রেন যুদ্ধের নিরিখে ভারতের নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকের ভূমিকা থাকা সত্ত্বেও এটি খানিক অর্বাচীন কাজ বলেই মনে হয়। টি কোন কাকতালীয় ঘটনা নয় যে, তাঁর রাশিয়া সফরের কয়েক দিন পরে জয়শঙ্কর ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবার সঙ্গে ফোনালাপ সারেন এবং যুদ্ধের বিষয়ে কিয়েভের দৃষ্টিভঙ্গি জানার পাশাপাশি ‘দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা করেছেনযার মধ্যে ভারত-ইউক্রেন আন্তঃসরকারি কমিশনের সম্ভাব্য পুনরুজ্জীবনও অন্তর্ভুক্ত।

ইন্দো-প্যাসিফিক আর কটি ভৌগোলিক পরিসর, যেখানে ভারত এবং রাশিয়ার তরফে ভিন্ন সুর উপস্থাপিত হয়েছে। রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ সাংবাদিকদের কাছে এশিয়া-প্যাসিফিকের প্রক্রিয়াগুলি এবং আসিয়ান-এ উপনীত চুক্তির বিপরীতে আঞ্চলিক পরিস্থিতির বিকাশ নিয়ে রাশিয়ার উদ্বেগ সম্পর্কে ধোঁয়াশাময় বক্তব্য রেখেছিলেন। এটি স্পষ্টতই কোয়াড এবং অউকাস-এর প্রতি আর কটি প্রচ্ছন্ন তিরস্কার, যা মস্কো নয়াদিল্লির মধ্যে আঞ্চলিক দৃষ্টিভঙ্গির অব্যাহত বিচ্ছিন্নতাকে নির্দেশ করে।

 

রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ সাংবাদিকদের কাছে এশিয়া-প্যাসিফিকের প্রক্রিয়াগুলি এবং আসিয়ান-এ উপনীত চুক্তির বিপরীতে আঞ্চলিক পরিস্থিতির বিকাশ নিয়ে রাশিয়ার উদ্বেগ সম্পর্কে ধোঁয়াশাময় বক্তব্য রেখেছিলেন।

 

আপাতত দুই দেশই জ্বালানি অংশীদারিত্বের বিষয়ে নিজেদের এক লাভজনক পরিসরে খুঁজে পেয়েছে। রুশ অপরিশোধিত তেলের আমদানি মূল্যস্ফীতি হ্রাস ও শিল্প বিকাশকে উত্সাহিত করতে এবং ইউরোপে তেল পণ্যের রফতানি স্থাপনের জন্য নয়াদিল্লির জন্য উপযোগী হয়েছে এবং মস্কোকে তাদের বাজেট পুনরায় পূরণ করার সুযোগ দিয়েছে। এই ব্যবস্থা ভারত-রাশিয়ার বাণিজ্যের অভূতপূর্ব সম্প্রসারণের দিকে পরিচালিত করেছিল, যার পরিমাণ ২০২২-২০২৩ অর্থবর্ষে ছিল প্রায় ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (https://tradestat.commerce.gov.in/eidb/default.asp) এবং সম্ভবত এই মাত্রা ২০২৩-২০২৪ অর্থবর্ষে অতিক্রম করে যাবে। দুই দেশের মধ্যে একটি উদীয়মান ধূসর বাজারের সংখ্যা অনুযায়ী, আরও কয়েক বিলিয়ন ডলার বাণিজ্যিক লেনদেন যোগ করতে পারে।

জ্বালানি অংশীদারিত্বের ঊর্ধ্বে উঠে অর্থনৈতিক সম্পর্কের উন্নয়ন এখনও সীমাবদ্ধরয়েছে। তেল বহির্ভূত বাণিজ্য মোট বাণিজ্যের মাত্র এক-পঞ্চমাংশ জুড়ে রয়েছে। রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানি বৃদ্ধি-হ্রাসের প্রবণতা এবং ভারতীয় শোধনাগারগুলির জন্য মূল্য প্রতিকূল হলে এই পরিমাণ ব্যাপক ভাবে হ্রাস করা যেতে পারে। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যে ভারসাম্যহীনতা এতটাই গভীর যে, তা দেশগুলিকে টাকা-নির্ধারিত বাণিজ্যের একটি কার্যকর বন্দোবস্ত প্রদান করতে বাধা দিয়েছে। দিরহাম ইউয়ানের মতো বিকল্প মুদ্রার ব্যবহার নানাবিধ ঝুঁকির সম্মুখীন হয় এবং এর কোনও স্থায়ী সমাধান হতে পারে না। রাশিয়ায় ভারতের রফতানি প্রায় ৩-৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে ওঠানামা করে এবং ভারত ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়ন-এর (ইএইইউ) মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে উপনীত হওয়া যা সাত বছর অতিবাহিত পুনর্নবীকরণ আলোচনার একটি বিষয় - কার্যকর হবে বলে মনে হচ্ছে নাযেহেতু ভারত তার পণ্যগুলির জন্য আরও ভাল বাজারের প্রত্যাশী, তাই মস্কো জোর দিয়ে বলে যে, তা শুধুমাত্র ভারতের ইএইইউ মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চলে যোগদানের পরেই সম্ভব হবে। এটি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে একটি প্রবাদপ্রতিম ক্যাচ-২২-র মধ্যে আটকে রাখে এবং সে ক্ষেত্রে ভারতের রফতানি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনাও ক্ষীণআনুষঙ্গিক নিষেধাজ্ঞার হুমকি এমন আর কটি বিষয়, যার বিরুদ্ধাচরণ অনেক ভারতীয় ব্যবসায়ীই করতে চা না। প্রচলিত ধারণার বিপরীতে পর্যাপ্ত সংযোগের অভাব শুধু মাত্র প্রাথমিক বাধা নয়। সমুদ্রবাহিত সরবরাহের কারণে ভারত-রাশিয়া বাণিজ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল নর্থ-সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডোর (আইএনএসটিসি) রেলওয়ে অবকাঠামোর উন্নতি পচনশীল মালবাহীর মতো কিছু পণ্যসম্ভারের জন্য কাম্য হলেও বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য তা প্রধান পূর্বশর্ত নয়

 

রাশিয়ায় ভারতের রফতানি প্রায় ৩-৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে ওঠানামা করে এবং ভারত ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়ন-এর (ইএইইউ) মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে উপনীত হওয়া যা সাত বছর অতিবাহিত পুনর্নবীকরণ আলোচনার একটি বিষয় - কার্যকর হবে বলে মনে হচ্ছে না

 

ভারত এবং রাশিয়া যে জটিলতার সঙ্গে লড়াই করছে, তা মস্কোতে ভারতীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈঠকে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের প্রতিক্রিয়া সবচেয়ে বেশি স্পষ্ট হয়েছে। তিনি বলেন: এখনকার পরিস্থিতিই অত্যন্ত অস্বাভাবিক। আমরা সবাই জানি, কেন এ পরিস্থিতি এমন অস্বাভাবিক। কিন্তু বাস্তবতা হল এই যে, [আমাদের] ব্যাঙ্কগুলি যাতে একে অপরের সঙ্গে লেনদেন করার উপায়গুলি খুঁজে বের করতে পারে, তার জন্য আমরা আজ চেষ্টা করছি। এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতির প্রায় দুই বছর অতিবাহিত হওয়ার পর গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল এই যে, ভারত রাশিয়ার সঙ্গে তার অর্থনৈতিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে কতটা আগ্রহী এবং সংকল্পবদ্ধ।

ভারত এমন একটি স্তরে অংশীদারিত্বে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী বলে মনে হ না, যা মূল পশ্চিমী অংশীদারদের সাথে তার সম্পৃক্ততাকে ব্যাহত করতে পারে। নয়াদিল্লি মনে করে যে, মস্কো এখনও একটি বিপজ্জনক শক্তি হয়ে উঠতে পারে, বিশেষ করে যদি বেজিংয়ের সঙ্গে সে একত্রিত হয়তাই রাশিয়াকে ত্যাগ করা বা তার বিরক্তির কারণ হয়ে ওঠা… কোনওটাই ভারতের পক্ষে সুবিধাজনক নয়। একই সময়ে রাশিয়া ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য কোনও নির্ধারক শক্তি নয়। ক্ষমতার পরিসরে মস্কোর সঙ্গে অথবা মস্কো ছাড়াই ভারত আগামী বছরগুলিতে ক্রমাগত শক্তিশালী হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অংশীদার হয়ে ওঠার পাশাপাশি একগুচ্ছ বিনিয়োগকারী ভারতের প্রতি আকৃষ্ট হবে। সুতরাং, রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য নয়াদিল্লির উদ্দেশ্য হল নিরাপদ দিকেই অবস্থান করা, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-চিনের ক্রমবর্ধমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা যে কোনও সময়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। মস্কোর সঙ্গে সম্পর্কের বিঘ্ন ঘটানো নয়াদিল্লির জন্য লেনদেনের অগ্রগতির ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য।

যতক্ষণ পর্যন্ত রাশিয়া যুদ্ধে রত থাকবে এবং নিষেধাজ্ঞার অধীনে থাকবে, তত দিন সবচেয়ে সম্ভাব্য পরিস্থিতি হল এই যে, দ্বিপাক্ষিক চুক্তির একটি বড় অংশ ত্রিশঙ্কু অবস্থায় আটকে থাকবে এবং শেষ পর্যন্ত ফলপ্রসূ হবে না। এমনকি ভারত ও রাশিয়া ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখার সঙ্কেত দর্শালেও তাই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের কোন পরিবর্তন আশা করা কঠিন।

 


আলেক্সেই জাখারভ অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের ভিজিটিং ফেলো।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.