এই সংক্ষিপ্ত নিবন্ধে ভারতীয় বিদেশনীতিতে জলবায়ু কূটনীতির গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে এবং একই সঙ্গে গ্লোবাল সাউথের – আফ্রিকা যার একটি অংশ – এক অগ্রণী সদস্য হিসেবে জলবায়ু আলোচনার নর্থ-সাউথ রাজনীতিতে দেশটির ভূমিকার উপরেও আলোকপাত করা হয়েছে। এটিতে আন্তর্জাতিক সৌর জোট (আইএসএ) এবং বিপর্যয় স্থিতিস্থাপক পরিকাঠামো সংক্রান্ত জোটের (সিডিআরআই) মতো দু’টি ভারতচালিত বহু অংশীদারবিশিষ্ট বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব সংস্থার উপরে মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। উভয় সংস্থাই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের ফলে দু’টি অঞ্চলের অসামঞ্জস্যপূর্ণ ক্ষতির অভিন্ন সাধারণ দুর্দশা মোকাবিলার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এই নিবন্ধে সেই সকল সম্ভাব্য পথ খতিয়ে দেখা হয়েছে, যেগুলির মাধ্যমে ভারত ও আফ্রিকা তাদের ২.৮৪ বিলিয়ন মানুষের স্থিতিশীল কর্মসংস্থান সুনিশ্চিত করার জন্য পারস্পরিক জলবায়ু আন্তঃসহযোগিতাকে শক্তিশালী করতে পারে।
আরোপণ: ওলুওয়াসেন জে ওগুনতুয়াসে, ‘ইন্ডিয়া অ্যান্ড আফ্রিকা লিভারেজ ক্লাইমেট ডিপ্লোমেসি’, ওআরএফ ইস্যু ব্রিফ নম্বর ৬২৮, মার্চ ২০২৩, অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন
ভূমিকা
ভারত ও আফ্রিকা এমন দু’টি অঞ্চল যেখানে মাথাপিছু গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণের মাত্রা বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে কম হলেও এবং তারা বর্তমানে মোট নিঃসরণের এক সামান্য অংশের জন্য দায়ী হলেও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কিন্তু তাদের উপর অসমভাবে বেশি। ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ-এর (আইপিসিসি)(১) ষষ্ঠ মূল্যায়ন রিপোর্টে (এআরসিক্স) বৈশ্বিক জনসংখ্যার ২০ শতাংশ মানুষের আবাসস্থল ভারতকে সাবধান করা হয়েছে যে, দেশটি আগামী দুই দশকে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট একাধিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে পারে। আফ্রিকা মহাদেশের আটটি দেশ ইতিমধ্যেই বিশ্বের দশটি সর্বাধিক অরক্ষিত দেশের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।(২)
তা সত্ত্বেও জলবায়ু একটি বৈশ্বিক অভিন্ন সাধারণ পরিসর এবং তাই জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন একটি বৈশ্বিক জনস্বার্থ। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের সমস্যা মোকাবিলা করার এই সর্বজনীন দায়িত্ব আন্তর্জাতিক জলবায়ু পরিবর্তন কূটনীতিকে আকার দিয়েছে, প্রশমন ও অভিযোজন পদক্ষেপ করার লক্ষ্যে পারস্পরিক সম্মতি এবং যথাযোগ্য অর্থায়নের পথ প্রশস্ত করেছে।(৩) বাস্তবিক ভাবেই জলবায়ু কূটনীতির বিবর্তন প্রকৃতি এবং মানুষের টিকে থাকা সংক্রান্ত সেই সকল দীর্ঘমেয়াদি উদ্বেগের যুক্তিযুক্ত পরিণতি, যেগুলি বর্তমান জলবায়ু কর্মসূচি প্রশাসন নির্মাণের পূর্বেও বিদ্যমান ছিল।(৪)(৫)
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও সমাধান সংক্রান্ত(৬) একটি বৈশ্বিক আলাপ-আলোচনার সূচনা করার জন্য নতুন সংযোগ শৃঙ্খল এবং মনোভাবের উত্থান লক্ষ করা গিয়েছে। এগুলির মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক সৌর জোট (আইএসএ) এবং বিপর্যয় স্থিতিস্থাপক পরিকাঠামো সংক্রান্ত জোট (সিডিআরআই), যেগুলির কথা এই নিবন্ধে আলোচিত হয়েছে।
বিশ্ব জলবায়ু কূটনীতিতে ভারতের অবস্থান
একটি রাষ্ট্রের কেমনভাবে জলবায়ু কূটনীতিতে অভিযোজিত হওয়া উচিত, ভারত তার এক আদর্শ উদাহরণ। দেশটি তার পূর্বতন রক্ষণশীল, নব্য-ঔপনিবেশিক মনোভাব থেকে সরে এসে সাম্প্রতিক জলবায়ু কার্যকলাপে জলবায়ু স্থিতিশীলতার প্রেক্ষিতে আরও সক্রিয় এবং সহযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক মনোভাব দর্শিয়েছে। কূটনীতি এবং স্থিতিশীল জ্বালানি বিনিয়োগের মাধ্যমে তার নিজ দায়িত্বের উপর জোর দেওয়ার জন্য দেশটি এক সহযোগিতামূলক কৌশল গ্রহণ করেছে এবং এমনটা করার মাধ্যমে বৈশ্বিক শক্তিকেন্দ্র হিসেবে নিজের ভূমিকার উপরে জোর দেওয়া ও অংশীদার দেশগুলির উপর প্রভাব বিস্তার করাও সম্ভবপর হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে আন্তঃসহযোগিতার জন্য ভারতের প্রয়াস শুধু মাত্র এক বহুপাক্ষিক সমাধান খোঁজা থেকে প্রসারিত হয়ে উদীয়মান শক্তি অথবা উন্নয়নশীল বিশ্বের নব্য শিল্পোন্নত দেশগুলিকে একটি জোটে সমন্বিত করার লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে।(৭) ভারত তিনটি তাৎপর্যপূর্ণ গোষ্ঠীর অংশ – ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত ও চিন (বেসিক); ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন ও দক্ষিণ আফ্রিকা (ব্রিকস) এবং গ্লোবাল সাউথের ৭৭টি দেশের গ্রুপ (জি৭৭)।(৮) কোপেনহেগেন এবং প্যারিস কনফারেন্স অফ পার্টিজ (কপ২৭) উভয় সমাবেশেই বেসিক এক মুখ্য ভূমিকা পালন করে যেখানে ভারতকে চুক্তিগুলির এক খসড়া লেখকের স্বীকৃতি দেওয়া হয়।(৯) বেসিক এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতাদের মধ্যে শেষ মুহূর্তে স্থির হওয়া এক চুক্তি কোপেনহেগেন অ্যাকর্ড-এর সূচনা করে।(১০)
আফ্রিকার ক্ষেত্রে মহাদেশটির অন্তর্গত সকল দেশই জি৭৭-এর অংশ। গোষ্ঠীটি গ্লোবাল সাউথের দেশগুলির জন্য তাদের যৌথ অর্থনৈতিক আগ্রহের প্রচার, ইউএন ব্যবস্থার অভ্যন্তরে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক বিষয়গুলি নিয়ে যৌথ আলোচনার ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং উন্নয়নের জন্য গ্লোবাল সাউথ-সাউথ আন্তঃসহযোগিতার প্রচারে সাহায্য করে।(১১) ইউএন ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ-এর অধীনে জি৭৭ এবং চিন জোট চিরাচরিত ভাবে ‘অভিন্ন অথচ পৃথক দায়িত্ববোধের’ নীতির ভিত্তিতে উন্নয়নশীল দেশগুলিকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমনে এবং ইতিমধ্যেই পরিবর্তিত জলবায়ুর সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাহায্য করার জন্য ধনী দেশগুলির তরফে আর্থিক সহায়তা প্রদানের কথা বলেছে।
২০২২ সালের কপ ২৭-এ ভারত এক আগ্রাসী অথচ গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী শক্তির ভূমিকা পালন করেছে। এক দিকে দেশটি লস অ্যান্ড ড্যামেজেস ফান্ড স্থাপনের ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছে। অন্য দিকে এ কথাও স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট তহবিলে দেশটি কোনও রকম অবদান রাখবে না, বরং তহবিল থেকে সে তার প্রাপ্য অংশের দাবি জানাবে। ভারতীয় প্রতিনিধিরা দেশগুলিকে শুধু মাত্র কয়লা নয়, সকল প্রকার জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারই পর্যায়ক্রমিক ভাবে বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে সহমত হওয়ার প্রস্তাব দেন। বৈশ্বিক ন্যায় এবং সমানাধিকারের নীতি দর্শিয়ে ভারত শীর্ষ সম্মেলনের কভার টেক্সট-এ ‘প্রধান নিঃসরণকারী’ এবং ‘সর্বোচ্চ নিঃসরণকারী’ জাতীয় শব্দ ব্যবহারের ধনী দেশগুলির প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেয়। এই পদক্ষেপ চিন, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল এবং ভুটান-সহ অন্যান্য দেশ দ্বারা সমর্থিত হয়। একই কনফারেন্স অব পার্টিজ-এ ভারত আইএসএ এবং সিডিআরআই-এর মতো ফোরামগুলির মাধ্যমে শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করার ব্যাপারে তার ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেছে।
আন্তর্জাতিক সৌর জোটের প্রয়োজনীয়তা
প্যারিসে কপ২১ চলাকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষী ‘এক বিশ্ব, এক সূর্য, এক গ্রিড’ উদ্যোগের অধীনে আন্তর্জাতিক সৌর জোটের (আইএসএ) ঘোষণা করেন। সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন তদানীন্তন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলাঁদ। ফ্রান্সের সঙ্গে যৌথভাবে ভারতের আইএসএ গঠন জলবায়ু কর্মকাণ্ডে একটি প্রভাবশালী বৈশ্বিক শক্তি রূপে ভারতের উপস্থিতিকে সুদৃঢ় করবে। প্রাথমিক ভাবে একটি বহুদেশীয় অংশীদারিত্ব সংস্থা হিসেবে আইএসএ-র প্রস্তাবনা দেওয়া হয় যেখানে কর্কটক্রান্তীয় এবং মকরক্রান্তীয় অঞ্চলের মধ্যে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে অবস্থিত ‘সানশাইন বেল্ট’-এর অন্তর্গত দেশগুলি অংশীদার হবে।(১২) ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপুঞ্জ দ্বারা আইএসএ-কে প্রদত্ত বহুপাক্ষিক চুক্তি তকমাটি কার্যকর হয়।
আইএসএ-কে সৌর শক্তি সংক্রান্ত আন্তঃসহযোগিতা, নতুন প্রযুক্তির প্রচার এবং বৈশ্বিক জ্বালানি সাম্য অর্জনে অর্থায়নের এক মঞ্চ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর লক্ষ্য হল বিনিয়োগকৃত ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বিশ্বব্যাপী ১০০০ মেগাওয়াট সৌর শক্তি উৎপাদনক্ষম পরিকাঠামোয় কাজে লাগানো এবং এমনটা করার মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে দূষণমুক্ত শক্তিকে সাশ্রয়ী ও বিশ্বব্যাপী সুলভ করে তোলা।(১৩)
নয়াদিল্লিতে সদর দফতর হওয়ার দরুন আইএসএ আফ্রিকার পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিপ্রকল্পগুলিতে ভারতের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করেছে।(১৪) এটির লক্ষ্য হল উন্নততর শক্তি লভ্যতা, বর্ধিত শক্তি নিরাপত্তা এবং গ্রামীণ ও প্রান্তিক অঞ্চলে উন্নততর কর্মসংস্থানের অধিকতর সুযোগের প্রবিধান সংক্রান্ত অভিন্ন সাধারণ উদ্দেশ্যগুলিতে ইতিবাচক অবদান রাখা।(১৫)
আফ্রিকাকে প্রায়শই ‘সৌর মহাদেশ’ বা ‘সান কন্টিনেন্ট’ বলে অভিহিত করা হয় কারণ সেখানকার সৌর বিকিরণের মাত্রা সর্বোচ্চ।(১৬) মহাদেশটি ৩৭ ডিগ্রি উত্তর ও ৩২ ডিগ্রি দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে অবস্থিত এবং এমন এক সুবিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে প্রসারিত, যা বিষুবরেখা ও উভয় ক্রান্তীয় অঞ্চলকে ছাপিয়ে যায়। বলাই যায়, আফ্রিকার সৌরশক্তির সম্ভাবনা অপরিসীম। যদিও আফ্রিকার অধিকাংশ দেশই তাদের কাছে সুলভ ব্যাপক পরিমাণ সৌরশক্তি কার্যকর ভাবে ব্যবহার করেনি। বিগত দশকে সৌরশক্তি উৎপাদনের ক্রমহ্রাসমান ব্যয়ের দরুন সৌরবিদ্যুৎ আফ্রিকায় বিদ্যুতের সবচেয়ে সস্তা বিকল্প হতে পারে।(১৭) সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা মহাদেশটির সকল দেশ জুড়েই সমানভাবে ব্যাপ্ত এবং সেখানে প্রতি দিন প্রতি বর্গমিটার অঞ্চলে গড়ে ৬ কিলোওয়াট ঘণ্টা (কেডব্লিউএইচ) সৌরশক্তি সহজলভ্য।(১৮) শুধু মাত্র সাব-সাহারান আফ্রিকার সব ক’টি দেশ মিলিয়ে মোট সম্ভাব্য সৌরশক্তির পরিমাণ প্রায় ১০,০০০ গিগাওয়াট।(১৯) ২০১৮ সালের মার্চ মাসে নয়াদিল্লিতে আইএসএ-র প্রথম শীর্ষ সম্মেলনের পর ভারত সংশ্লিষ্ট খাতে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ বরাদ্দ করেছে, যার ১৫-২০ শতাংশ অর্থ আফ্রিকার দেশগুলিতে ১৭৯টি সৌরশক্তি সম্পর্কিত প্রকল্পে খরচ করা হবে।(২০) এ ছাড়াও আইএসএ সাহেল অঞ্চল জুড়ে ১০০০০ মেগাওয়াট সৌরশক্তি উৎপাদন ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য আফ্রিকান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের সঙ্গে অংশীদারি শুরু করেছে, যাতে বিদ্যুৎ-বণ্টন ব্যবস্থার বাইরে থাকা ৬০০ মিলিয়ন আফ্রিকানদের প্রায় অর্ধেককে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায়।(২১) আইএসএ রিপাবলিক অব কঙ্গোকেও এই উদ্যোগে স্বাগত জানিয়েছে এবং সৌরশক্তি প্রসারের সর্বোত্তম অনুশীলনগুলির চর্চার জন্য নয়াদিল্লিতে আফ্রিকার ১৩টি দেশের ৬০ জন অংশগ্রহণকারীর জন্য সমাবেশের আয়োজন করেছে।
আফ্রিকায় আইএসএ পদক্ষেপের চালিকাশক্তি হল তিনটি ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচি: স্কেলিং সোলার অ্যাপ্লিকেশন ফর এগ্রিকালচার, অ্যাফোর্ডেবল ফিন্যান্স অ্যাট স্কেল এবং স্কেলিং সোলার মিনি গ্রিডস। এ ছাড়াও স্কেলিং, রেসিডেন্সিয়াল রুফটপ সোলার এবং স্কেলিং সোলার ই-মোবিলিটি অ্যান্ড স্টোরেজের মতো দু’টি অতিরিক্ত প্রকল্প তালিকায় রয়েছে। আফ্রিকাব্যাপী আইএসএ-র প্রকল্পগুলি হল সৌর পিভি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মিনি গ্রিড এবং অফ গ্রিড উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করা; সৌরবিদ্যুৎ চালিত সেচ ব্যবস্থা; গ্রামাঞ্চলের বিদ্যুদয়ন; রাস্তার আলো; সৌরশক্তি সংযুক্ত শীতল শৃঙ্খল এবং শীতলীকরণ ব্যবস্থা; এবং সৌরশক্তি চালিত হাসপাতাল, স্কুল ও সরকারি নির্মাণের মতো পরিকাঠামো। এ ছাড়াও রয়েছে মালিতে ৫০০ মেগাওয়াট শক্তিসম্পন্ন সোলার পার্ক বা সৌর উদ্যোগ; বুরকিনা ফাসো, উগান্ডা এবং তানজানিয়ায় সৌর ব্যবস্থাপনা এবং সৌর আবাসন ব্যবস্থা; নাইজিরিয়ায় সৌরায়িত এবং সুদক্ষ শীতল খাদ্য শৃঙ্খল; এবং ঘানা ও সেনেগালে সৌরশক্তি চালিত প্যাক হাউস ও কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ।(২২)
আফ্রিকায় আইএসএ-র উদ্যোগ ও কার্যকলাপ বৃদ্ধি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, বর্ধিত উপার্জন, দারিদ্র হ্রাস, উন্নততর উৎপাদনশীলতা, গুণমানসম্পন্ন শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা, খাদ্য নিরাপত্তা এবং সামাজিক স্থিতিশীলতার মাধ্যমে স্থিতিশীল ব্যবহার ও উৎপাদনকে সুনিশ্চিত করে এবং বনাঞ্চল ধ্বংস করা ও ভূমিক্ষয়ের পরিমাণ হ্রাস করে পরিবেশ সংরক্ষণে অবদান রাখে।
আফ্রিকা মহাদেশে আইএসএ-র কার্যকলাপ দুই অঞ্চলের মধ্যে বিদ্যমান প্রাণবন্ত এবং বহুমাত্রিক সম্পর্ককেই দর্শায়, যায় নেপথ্যে রয়েছে সুপ্রতিষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য।(২৩)(২৪) বিগত দশকগুলিতে ভারত-আফ্রিকা সম্পর্ক রাজনৈতিক সংহতির সীমানা ছাড়িয়ে বর্ধিত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ-সহ বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত আন্তঃসহযোগিতায় প্রসারিত হচ্ছে।(২৫)
২০১৮ সালের জুলাই মাসে কাম্পালায় উগান্ডার পার্লামেন্টে বক্তৃতা দেওয়ার সময়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী ইন্দো-আফ্রিকান সম্পৃক্ততার ১০টি নির্দেশক নীতির কথা তুলে ধরেন। আফ্রিকার জন্য এই পরিকল্পনা নীতিগত ধারাবাহিকতাকেই দর্শায়, যা চিরাচরিত ভাবে ইন্দো-আফ্রিকা অংশীদারিত্বকে সংজ্ঞায়িত করে এসেছে।(২৬) লক্ষ্য হল, ভারতের বৃদ্ধির ধারাকে আফ্রিকার এজেন্ডা ২০৬৩-র সঙ্গে সম্পৃক্ত করা এবং পারস্পরিক পুনরুত্থানে অনুপ্রেরণা জোগানো।(২৭)
ইন্ডিয়া-আফ্রিকা ফোরাম সামিট (আইএএফএস) কাঠামোর আওতায় আফ্রিকার দেশগুলির সঙ্গে এক সুসংহত সম্পৃক্ততায় প্রবেশ করার ব্যাপারে ভারতের সিদ্ধান্ত ভারত-আফ্রিকা সম্পর্ক আরও প্রাতিষ্ঠানিক করে তুলেছে। যথাক্রমে ২০০৮, ২০১১, ২০১৫ এবং ২০২০ সালে শীর্ষ সম্মেলনটির চারটি সংস্করণ আয়োজিত হয়েছে। এই শীর্ষ সম্মেলনগুলি করমুক্ত ট্যারিফ প্রকল্প, অনুদান এবং ছাড়-সহ ঋণপ্রদান, জ্ঞান বণ্টন, প্রযুক্তি হস্তান্তর ও দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মসূচির মাধ্যমে ভারত-আফ্রিকা সম্পৃক্ততাকে আরও প্রবল করে তুলেছে। এ ছাড়াও, ইন্ডিয়ান টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন এবং স্পেশ্যাল আফ্রিকান অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রামের মাধ্যমে ভারত আফ্রিকার দেশগুলির সঙ্গে তার উন্নয়নমূলক অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছে।(২৮) সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারত আফ্রিকায় সর্বোচ্চ পাঁচ বিনিয়োগকারীর অন্যতম হিসেবে উঠে এসেছে এবং ২০২১ সালে মহাদেশটিতে ভারতের মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৭৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আফ্রিকার সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ২০২১-২২ সালে ৮৯.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।(২৯)
বিপর্যয় স্থিতিস্থাপক পরিকাঠামোর জন্য জোট
এক ক্রমউষ্ণায়িত বিশ্বের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য বিপর্যয় স্থিতিস্থাপক পরিকাঠামোর গুরুত্বকে চিহ্নিত করে ২০১৯ সালে নিউ ইয়র্কে ইউএন ক্লাইমেট অ্যাকশন সামিট চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী মোদী সিডিআরআই-এর সূচনা করেন। সিডিআরআই-তে আফ্রিকার সদস্য দেশগুলি হল ঘানা, মাদাগাস্কার, মরিশাস এবং দক্ষিণ সুদান।
আইএসএস-র মতোই সিডিআরআই জলবায়ু কর্মসূচি এবং বিপর্যয় স্থিতিস্থাপকতায় ভারতের বৈশ্বিক নেতৃত্বের আর একটি উদাহরণ। সিডিআরআই দেশগুলির সরকার, ইউএন সংস্থা ও কর্মসূচি, বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাঙ্ক ও আর্থিক পদ্ধতি, বেসরকারি ক্ষেত্র এবং জ্ঞান বণ্টনকারী প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে এক বহুপাক্ষিক বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব, জ্ঞানের আদানপ্রদান সহজতর করে তোলা, স্থিতিস্থাপক পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা ও দক্ষতা বৃদ্ধি এবং কাউকে পিছনে ফেলে না রাখার প্রতিশ্রুতি পূরণে স্থিতিস্থাপকতার জন্য বিদ্যমান পরিকাঠামোকে সশক্ত করার লক্ষ্যে সিডিআরআই-কে সহায়তা জোগায়। এটি প্রশাসন ও নীতি, উদীয়মান প্রযুক্তি, ঝুঁকি শনাক্তকরণ ও অনুমান, পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠন, স্থিতিস্থাপকতার গুণমান ও প্রমাণপত্র প্রদান, অর্থায়ন ও ক্ষমতা বৃদ্ধির মতো ক্ষেত্রগুলিতেও ব্যাপ্ত।
সিডিআরআই ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি বিপর্যয় ভরসা তহবিল বা ডিজাস্টার ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছে, যেটির লক্ষ্য হল সেই সকল উন্নয়নশীল দেশ ও দ্বীপদেশগুলিতে বিপর্যয় স্থিতিস্থাপক পরিকাঠামো গড়ে তোলা, যেগুলি জলবায়ু পরিবর্তনের তীব্র ঝুঁকির সম্মুখীন। কপ২৭-এ ইনফ্রাস্ট্রাকচার রেজিলিয়েন্স অ্যাক্সেলেটর ফান্ড (আইআরএএফ) নামক তহবিলের ঘোষণা করা হয়। ঝুঁকি অবগত বিনিয়োগ এবং পরিকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে জনসংখ্যার ঝুঁকি হ্রাস ও পরিকাঠামোর উপর চরম ঘটনাপ্রবাহ ও বিপর্যয়ের প্রভাব হ্রাস করে আইআরএএফ সিডিআরআই-কে তার স্থিতিস্থাপকতার প্রবিধান পূরণে সাহায্য করবে।
সিডিআরআই তার দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মসূচির আওতায় প্রশিক্ষণ এবং প্রকল্পগুলিকে সহজতর করে তোলার মাধ্যমে স্থিতিস্থাপক পরিকাঠামো সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্র এবং অন্য সংস্থাগুলির দক্ষতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য হল সংস্থান ও সম্প্রদায় সংক্রান্ত প্রক্রিয়া, সম্পদের উৎস এবং দক্ষতা গড়ে তোলা ও তার সশক্তিকরণ, যা আরও অধিক কার্যকর ও স্থিতিশীল পরিকাঠামো ব্যবস্থা ও পরিষেবা সম্ভবপর করে তুলবে। আফ্রিকায় সিডিআরআই দ্বারা গৃহীত সাম্প্রতিক দক্ষতা বৃদ্ধি উদ্যোগগুলি হল: মরিশাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পরিকাঠামো পেশাদারদের দক্ষতা বৃদ্ধি প্রস্তাবনা সংক্রান্ত সুপারিশ; মরিশাসের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সেন্টারের সহযোগিতায় দেশটির পরিবহণ, টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা এবং শক্তি ক্ষেত্রে দ্রুত শিক্ষণের প্রয়োজনীয়তার বিশ্লেষণ; এবং রোড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অব মরিশাসের জন্য বিপর্যয় স্থিতিস্থাপক পরিকাঠামো সংক্রান্ত একটি সুনির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ কর্মসূচি নির্মাণ ও সেই কর্মসূচির বিবরণ ভাগ করে নেওয়া। সিডিআরআই-এর অন্য পরিকল্পনাগুলি হল মরিশাসে স্থিতিস্থাপক পরিকাঠামো সংক্রান্ত পরামর্শ প্রদান এবং বিপর্যয় স্থিতিস্থাপক পরিকাঠামো প্রকল্পগুলি সংক্রান্ত সম্ভাব্য আন্তঃসহযোগিতার জন্য মাদাগাস্কার ও রোয়ান্ডার সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পৃক্ততা।
উপসংহার
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মানবজাতি যে অস্তিত্বগত ঝুঁকির মুখে পড়েছে, তা ভারতচালিত আইএসএ এবং সিডিআরআই-এর মতো বহু অংশীদারবিশিষ্ট বৈশ্বিক অংশীদারিতে সংস্থানের উদ্ভব ঘটিয়েছে। আইএসএ এবং সিডিআরআই… উভয়ের সূচনাই অন্যান্য দেশের সঙ্গে তার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে রূপদান ও শক্তিশালী করার জন্য ভারতের আধুনিক ও আন্তঃসহযোগিতামূলক জলবায়ু সম্পৃক্ততার উদাহরণ। এই সকল প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আফ্রিকার সরকারগুলির সঙ্গে অংশীদারিত্ব ও তাদের সমর্থন জোগানো নয়াদিল্লির জন্য তার কূটনৈতিক শক্তিতে কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় কর্মসূচিগুলিকে প্রভাবিত করার সুযোগ করে দেবে।
আফ্রিকায় জলবায়ু পরিবর্তন এবং স্থিতিশীল উন্নয়নের মধ্যকার সংযোগটি দ্বিমুখী এবং জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও অভিযোজন উভয়ের জন্যই বিশাল পুঁজির প্রয়োজন। আফ্রিকাব্যাপী আইএসএ-র উপস্থিতির আনুষঙ্গিক লাভ জলবায়ু প্রশমন এবং লক্ষাধিক আফ্রিকাবাসীর স্থিতিশীল জীবিকার উপর অভিযোজনের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবে বিস্তৃত হলেও মহাদেশটিতে সিডিআরআই কার্যক্রম বিক্ষিপ্ত এবং দেশটির জলবায়ু অভিযোজনের ক্ষমতার ক্ষেত্রে তার অবদান সীমিত। আফ্রিকায় জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য জলবায়ু স্থিতিস্থাপক পরিকাঠামো প্রয়োজন এবং দেশের জনসাধারণকে দারিদ্র থেকে বের করে আনার জন্য দরকার স্থিতিশীল অর্থনৈতিক বৃদ্ধি। মহাদেশটি জুড়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে জলবায়ু স্থিতিস্থাপক পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন বাবদ বার্ষিক ১৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থের প্রয়োজন।(৩০) এই পরিস্থিতি এ কথাই দর্শায় যে, আফ্রিকায় আইএসএ-র উদ্যোগগুলির পরিপূরক হিসেবে আরও বেশি সংখ্যক সিডিআরআই উদ্যোগ এবং প্রকল্পের দরকার রয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত অভিন্ন সাধারণ অসম দুর্বলতার পাশাপাশি একাধিক সুবিধাও বিদ্যমান, যেগুলিকে ভারত ও আফ্রিকা পারস্পরিক স্বার্থে ব্যবহার করতে পারে। এগুলির মধ্যে উভয় দেশের উদ্ভাবনী যুব জনসংখ্যা, দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি, বিশাল বাজার এবং ব্যাপক প্রাকৃতিক সম্পদ উল্লেখযোগ্য। আগামী দিনে বেজিংয়ের সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতার মাঝেও মহাদেশটির সঙ্গে নয়াদিল্লির সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য এবং গ্লোবাল সাউথের – যার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে আফ্রিকা – স্বর হয়ে ওঠার জন্য ভারত সরকারকে জলবায়ু কূটনীতির ঊর্ধ্বে উঠে আফ্রিকার মনোভাব বুঝে দক্ষতার সঙ্গে কূটনৈতিক পদক্ষেপ করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনে উচ্চাকাঙ্ক্ষী নয়াদিল্লির আরও বেশি সুবিধা নিয়ে আফ্রিকার নেতাদের অবশ্যই জলবায়ু কূটনীতিতে ভারতের সম্ভাবনাকে খুঁটিয়ে দেখতে হবে, সেটি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে এবং সেটিকে কাজে লাগাতে হবে।
এই নিবন্ধটি ওআরএফ-এ রাইসিনা ফাইলস ২০২৩-এর ‘অ্যাড্রিফট অ্যাট সি: লাইটহাউস ইন দ্য টেমপেস্ট?’-এর একটি পরিমার্জিত সংস্করণ।
ওলুওয়াসেন জে ওগুনতুয়াসে নাইজিরিয়ার লাগোসের এক জন ইন্টারডিসিপ্লিনারি গবেষক ও কর্মী।
পাদটিকা
ক) বেনিন, বুরকিনা ফাসো, আইভরি কোস্ট, গাম্বিয়া, ঘানা, গিনি, লাইবেরিয়া, মালি, নাইজার, নাইজিরিয়া, সেনেগাল, সিয়েরা লিওন এবং তোগো
১) ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ, ক্লাইমেট চেঞ্জ ২০২২: ইমপ্যাক্টস, অ্যাডাপ্টেশন অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি। কন্ট্রিবিউশন অব ওয়ার্কিং গ্রুপ ২ টু দ্য সিক্সথ অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট অব দি ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ, জেনেভা, ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ, ২০২২
২) রিচার্ড মারকান্তোনিও প্রমুখ, ‘গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন অ্যান্ড কোইন্সিডেন্স অব পলিউশন, ক্লাইমেট ইমপ্যাক্টস, অ্যান্ড হেলথ রিস্ক ইন দি অ্যানথ্রোপোসিন’, পিএলওএস ওয়ান, ১৬ (২০২১): ই০২৫৪০৬০
৩)ওলুওয়াসেন ওগুনতুয়াসে, ‘হোয়াট দি আইপিসিসি’স ২০২১ রিপোর্ট মিনস ফর আফ্রিকা’, দ্য রিপাবলিক, অগস্ট ১৬, ২০২১
৪) নিক মাবে প্রমুখ, ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং ক্লাইমেট ডিপ্লোমেসি – বিল্ডিং ডিপ্লোম্যাটিক ক্যাপাসিটি অ্যান্ড সিস্টেমস টু অ্যাভয়েড ডেঞ্জারাস ক্লাইমেট চেঞ্জ’, অক্টোবর ২০১৩, ইথ্রিজি (থার্ড জেনারেশন এনভারয়নমেন্টালিজম)
৫) আন্না রিতসোভা এবং দোব্রিঙ্কা চাঙ্কোভা, ‘ক্লাইমেট ডিপ্লোমেসি – আ গ্রোয়িং ফরেন পলিসি চ্যালেঞ্জ’, জুডিশিয়াল ট্রিবিউন ১০ (২০২০), ১৯৪-২০৬
৬) রিতসোভা এবং চাঙ্কোভা, ‘ক্লাইমেট ডিপ্লোমেসি – আ গ্রোয়িং ফরেন পলিসি চ্যালেঞ্জ’
৭) আমন ওয়াই ঠক্কর, ‘ইন্ডিয়া অ্যাট দি ইউনাইটেড নেশনস: অ্যান অ্যানালিসিস অফ ইন্ডিয়ান মাল্টিল্যাটেরাল স্ট্র্যাটেজিজ অন ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’, ওআরএফ অকেশনাল পেপার নম্বর ১৪৮, মার্চ ২০১৮, অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন
৮) রেণু মোদী এবং মীরা ভেঙ্কটচলম, ‘ইন্ডিয়া-আফ্রিকা – পার্টনারিং ফর ফুড সিকিউরিটি’, ইন ইন্ডিয়া-আফ্রিকা পার্টনারশিপস ফর ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, আর মোদী এবং এম ভেঙ্কটচলম সম্পাদিত (কেম, প্যালগ্রেভ ম্যাকমিলান, ২০২১), ১-২২
৯) নভরোজ কে দুবাস, ‘অব ম্যাপস অ্যান্ড কম্পাসেস: ইন্ডিয়া ইন মাল্টিল্যাটেরাল ক্লাইমেট নেগোসিয়েশনস’, ইন শেপিং দি ইমার্জিং ওয়ার্ল্ড: ইন্ডিয়া অ্যান্ড মাল্টিল্যাটেরাল অর্ডার, ওয়াহেগুরু পি এস সিধু প্রমুখ সম্পাদিত (ওয়াশিংটন ডিসি: ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশন প্রেস, ২০১৩), ২৬১
১০) ফিওনা হার্ভে এবং সুজান গোল্ডেনবার্গ, ‘দ্য কি প্লেয়ার্স অ্যাট দ্য প্যারিস ক্লাইমেট সামিট’, দ্য গার্ডিয়ান, ডিসেম্বর ৭, ২০১৫
১১) ডেভিড লেসোল, ‘দ্য গ্রুপ অব ৭৭ অ্যান্ড চায়না’স পার্টিসিপেশন ইন ক্লাইমেট চেঞ্জ নেগোসিয়েশনস’, হাইনরিখ বল স্টিফটাং, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৪
১২) ওগুনতুয়াসে, ‘হোয়াট দি আইপিসিসি’জ ২০২১ রিপোর্ট মিনস ফর আফ্রিকা’
১৩) ওগুনতুয়াসে, ‘হোয়াট দি আইপিসিসি’জ ২০২১ রিপোর্ট মিনস ফর আফ্রিকা’
১৪) মোদী এবং ভেঙ্কটচলম, ‘ইন্ডিয়া-আফ্রিকা – পার্টনারিং ফর ফুড সিকিউরিটি’
১৫) ওগুনতুয়াসে, ‘হোয়াট দি আইপিসিসি’জ ২০২১ রিপোর্ট মিনস ফর আফ্রিকা’
১৬) জি বামুনদেরেকে, ‘কন্ট্রিবিউশনস অব রিনিউয়েবল এনার্জি রিসোর্সেস টু সাস্টেনেবল ডেভেলপমেন্ট ইন আফ্রিকা: কেস স্টাডি অব সোলার এনার্জি রিসোর্স ইন রোয়ান্ডা’ (এমএসসি ডিসার্টেশন, প্যান আফ্রিকান ইউনিভার্সিটি অব ওয়াটার অ্যান্ড এনার্জি সায়েন্স, ২০১৯), পৃষ্ঠা ২
১৭) মণীশ রাম প্রমুখ, গ্লোবাল এনার্জি সিস্টেম বেসড অন ১০০% রিনিউয়েবল এনার্জি-পাওয়ার, হিট, ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড ডিস্যালিনেশন সেক্টর (বার্লিন: লাপ্পেরান্তা ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি অ্যান্ড এনার্জি ওয়াচ গ্রুপ, ২০১৯), পিপি, ১০১-১১৪
১৮) সেবন্তী আর দাদওয়াল, ‘ইন্ডিয়া অ্যান্ড আফ্রিকা: টুওয়ার্ডস আ সাস্টেনেবল এনার্জি পার্টনারশিপ’, সাউথ আফ্রিকান ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অকেশনাল পেপার ৭৫, ফেব্রুয়ারি, ২০১১, সাউথ আফ্রিকান ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স
১৯) আন্তন কার্টরাইট, ‘বেটার গ্রোথ, বেটার সিটিজ: রিথিঙ্কিং অ্যান্ড রিডাইরেক্টিং আর্বানাইজেশন ইন আফ্রিকা’, ওয়ার্কিং পেপার, সেপ্টেম্বর ২০১৫, দ্য নিউ ক্লাইমেট ইকোনমি
২০) এম্মা হাকালা, ‘ইন্ডিয়া অ্যান্ড দ্য গ্লোবাল জিওইকোনমিকস অব ক্লাইমেট চেঞ্জ: গেনস ফ্রম কোঅপারেশন?’ ওআরএফ ইস্যু ব্রিফ নম্বর ২৯১, মে ২০১৯, অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন
২১) আস্থা কল, ‘দি ইন্ডিয়া-আফ্রিকা পার্টনারশিপ ফর সাস্টেনেবিলিটি’, ওআরএফ স্পেশ্যাল রিপোর্ট নম্বর ৮৮, এপ্রিল ২০১৯, অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন
২২) আ ক্লাইমেট ইমার্জেন্সি। হোয়াট দি আইপিসিসি’জ ২০২১ রিপোর্ট মিনস ফর আফ্রিকা। ওলুওয়াসেন ওগুনতুয়াসে
২৩) উমানাথ সিং, ‘ইন্ডিয়া-আফ্রিকা রিলেশনস প্রসপারিং অন মিউচুয়াল রেসপেক্টস অ্যান্ড কোঅপারেশনস অ্যামং আদার্স’, নিউজ অন এয়ার, জুন ২, ২০২২
২৪) হর্ন অফ আফ্রিকা অ্যান্ড সাউথ এশিয়া, আন্ড্রু আর মিকলবার্গ, অক্সফোর্ড বিবলিওগ্রাফিজ, https://www.oxfordbibliographies.com/display/document/obo-9780199846733/obo-9780199846733-0222.xml
২৫) ওলুওয়াসেন জে ওগুনতুয়াসে, ‘ইন্ডিয়া অ্যান্ড দ্য গ্লোবাল কমন্স: আ কেস স্টাডি অব দি ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্স’, ওআরএফ ইস্যু ব্রিফ নম্বর ৫২৮, মার্চ ২০২২, অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন
২৬) এইচএইচএস বিশ্বনাথন এবং অভিষেক মিশ্র, ‘দ্য টেন গাইডিং প্রিন্সিপলস ফর ইন্ডিয়া-আফ্রিকা এনগেজমেন্ট: ফাইন্ডিং কোহেরেন্স ইন ইন্ডিয়া’জ আফ্রিকা পলিসি’, ওআরএফ অকেশনাল পেপার নম্বর ২০০, জুলাই ২০১৯, অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন
২৭) মঞ্জু শেঠ, ‘দ্য প্রসপেক্টস অফ ইন্ডিয়া-আফ্রিকা রিলেশনস ইন ২০২২’, ডিপ্লোম্যাটিস্ট, জানুয়ারি ২০, ২০২২
২৮) রেণু মোদী এবং মীরা ভেঙ্কটচলম, ‘ইন্ডিয়া-আফ্রিকা – পার্টনারিং ফর ফুড সিকিউরিটি’, ইন ইন্ডিয়া-আফ্রিকা পার্টনারশিপস ফর ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, আর মোদী এবং এম ভেঙ্কটচলম সম্পাদিত (কেম, প্যালগ্রেভ ম্যাকমিলান, ২০২১), ১-২২
২৯) রোশনী মজুমদার, ‘ইন্ডিয়া উজ আফ্রিকা উইথ ট্রেড, টেক অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট’, দাশ ওয়েল, অক্টোবর ৮, ২০২২, https://www.dw.com/en/india-woos-africa-with-trade-tech-and-investment/a-62770071#
৩০) ইকোনমিক কমিশন ফর আফ্রিকা
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.