-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জের মধ্যে কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তায় ভারত-আফ্রিকা অংশীদারিত্ব ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কিন্তু ভারতের ‘থ্রিএ’ কাঠামো কী এবং এটি কী ভাবে আফ্রিকার বাস্তবতার সঙ্গে মানানসই, সাশ্রয়ী মূল্যের সমাধান প্রদান করে ?
খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, জলবায়ু পরিবর্তন ও কৃষি রূপান্তরের জরুরি প্রয়োজনীয়তার মতো ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জের মধ্যে কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তায় ভারত-আফ্রিকা অংশীদারিত্ব ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই খাতে দুই দেশের সহযোগিতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।
আফ্রিকায় শিল্পায়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য কৃষি এক প্রকারের মেরুদণ্ডসম হলেও এটি জলবায়ু ঝুঁকি, দুর্বল অবকাঠামো এবং সীমিত অর্থ ও প্রযুক্তির লব্ধতার কারণে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
আফ্রিকা একটি বৈপরীত্যের সম্মুখীন
গত কয়েক দশক ধরে খরা, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, তাপপ্রবাহ ও ঝড়-সহ চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলি আফ্রিকার কৃষিকে মারাত্মক ভাবে প্রভাবিত করেছে। ১৯৭০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে খরা ও ভারী বৃষ্টিপাত ছিল সবচেয়ে ঘন ঘন জলবায়ু হুমকি। বিশেষ করে আফ্রিকার বেশির ভাগ কৃষি সেচের পরিবর্তে বৃষ্টিপাতের উপর নির্ভরশীল। এই অপ্রত্যাশিত আবহাওয়ার ধরনগুলি উৎপাদনশীলতায় তীব্র হ্রাস ঘটায়।
এটিকে আরও জটিল করে তোলে যে সমস্যা তা হল, কৃষকরা প্রায়শই আধুনিক অবকাঠামো, নির্ভরযোগ্য বাজার তথ্য, আর্থিক পরিষেবা এবং কৃষি সম্প্রসারণ সহায়তার অভাব বোধ করেন। জলবায়ু পরিবর্তনের পরিণতি কৃষকদের ছাড়িয়ে প্রক্রিয়াকরণকারী, পরিবেশক ও ভোক্তা-সহ সমগ্র কৃষি মূল্য শৃঙ্খলে বিস্তৃত। এই চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করার জন্য একটি সমন্বিত, মূল্য শৃঙ্খল-ভিত্তিক পদ্ধতির প্রয়োজন, যা প্রতিযোগিতামূলকতা ও স্থায়িত্ব নিশ্চিত করার জন্য জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমনকে সমর্থন করে।
আফ্রিকা এক বৈপরীত্যের সম্মুখীন। কৃষিকাজে প্রায় ৬৫ শতাংশ কর্মী নিযুক্ত থাকলেও মহাদেশের জিডিপিতে এর অবদান এখনও কম অর্থাৎ প্রায় ১৫ শতাংশ। তা ছাড়া, আফ্রিকা খাদ্য আমদানির উপর ব্যাপক ভাবে নির্ভরশীল। ২০০০ সাল থেকে সাব-সাহারান আফ্রিকায় খাদ্য আমদানি দেশীয় উৎপাদনের তুলনায় বেড়েছে। গত বছর পর্যন্ত মহাদেশটি প্রতি বছর প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের খাদ্য আমদানি করেছে এবং বিশ্ব জুড়ে সংঘাতের কারণে এই বছরের শেষ নাগাদ এই অঙ্ক ৯০-১১০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছনোর সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রধান উদ্যোগের মাধ্যমে কৃষি উন্নয়ন
খাদ্য আমদানির উপর আফ্রিকার নির্ভরতা এই মহাদেশটিকে বিশেষ ভাবে বহিরাগত ধাক্কার জন্য সংবেদনশীল করে তোলে। উদাহরণস্বরূপ, কোভিড-১৯ অতিমারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত আফ্রিকার খাদ্য সরবরাহ শৃঙ্খলকে মারাত্মক ভাবে ব্যাহত করেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আফ্রিকার বাজারে খাদ্যের দাম উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি করেছে। কারণ এই যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী গম এবং সারের রফতানি ব্যাহত হয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মতে, ২০২০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে সাব-সাহারান আফ্রিকায় খাদ্যের দাম প্রায় ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ফলস্বরূপ, ফসল কাটার পরবর্তী ক্ষতি মোকাবিলা করতে হলে - যা প্রায়শই ৩০ শতাংশের বেশি হয় - এবং জলবায়ু-স্মার্ট কৃষি অনুশীলনগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে এই খাতকেই পুনরুজ্জীবিত করতে হবে এবং আফ্রিকার ক্রমবর্ধমান যুব জনসংখ্যার জন্য টেকসই কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে।
কৃষির গুরুত্ব স্বীকার করে আফ্রিকান ইউনিয়ন (এইউ) এবং আফ্রিকান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক (এএফডিবি) ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগের মাধ্যমে কৃষি উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। এইউ-এর ‘হাই-৫’ কর্মসূচির মধ্যে অন্যতম ‘ফিড আফ্রিকা’ উদ্যোগের লক্ষ্য হল পণ্যের মূল্য সংযোজন করে কৃষিকে ব্যবসায় রূপান্তর করা। এই উদ্যোগটি আফ্রিকার কৃষি ব্যবসার সম্ভাবনা উন্মোচন করে ৩২ কোটি মানুষকে ক্ষুধা থেকে মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করে, যা এই বছরের শেষ নাগাদ ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে অনুমান করা হয়েছে।
একই ভাবে, অ্যাজেন্ডা ২০৬৩-এর অধীনে বিস্তৃত আফ্রিকা কৃষি উন্নয়ন কর্মসূচি (সিএএডিপি) স্থিতিশীল ভূমি ও জল ব্যবস্থাপনার প্রচার, বাজারে প্রবেশাধিকার উন্নত করা, খাদ্য প্রাপ্যতা বৃদ্ধি করা এবং কৃষি গবেষণা ও প্রযুক্তি স্থানান্তরকে এগিয়ে নিয়ে ক্ষুধা দূরীকরণ ও দারিদ্র্য হ্রাসের লক্ষ্যে কাজ করে।
আফ্রিকার কৃষি রূপান্তরে ভারতের ভূমিকা
কৃষি রূপান্তরে ভারত আফ্রিকার জন্য একটি কৌশলগত অংশীদার হয়ে উঠেছে। এই অংশীদারিত্ব ধীরে ধীরে বিকশিত হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলিতে কৃষি উন্নয়ন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি স্থানান্তর ও ব্যক্তিগত বিনিয়োগের মতো ক্ষেত্রে সহযোগিতায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে। এই সহযোগিতা মূলত দ্বিপাক্ষিক সরকারি সহযোগিতা ও বেসরকারি ক্ষেত্রের সঙ্গে সম্পৃক্ততার মাধ্যমে কাজ করে।
কূটনৈতিক স্তরে ভারত অনেক আফ্রিকান দেশকে কূটনৈতিক ঋণ, প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ও প্রযুক্তি সহায়তা প্রদান করেছে। এই প্রচেষ্টার লক্ষ্য হল কৃষিকাজ, সেচ ব্যবস্থা, মাটির গুণমান এবং যান্ত্রিকীকরণ উন্নত করা।
উদাহরণস্বরূপ, অ্যাঙ্গোলা ভারতের এক্সিম ব্যাঙ্ক থেকে ট্র্যাক্টর ও কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের লাইন অফ ক্রেডিট (এলওসি) পেয়েছে। এর পাশাপাশি একটি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ব্যবসার জন্য ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনাও রয়েছে। জিম্বাবুয়ে একটি গ্রামীণ প্রযুক্তি পার্ক, একটি খাদ্য পরীক্ষাগার এবং একটি বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় সহায়তা থেকে উপকৃত হয়েছে।
একই ভাবে, লেসোথো কৃষি সরঞ্জামের জন্য ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের এলওসি পেয়েছে। অন্য দিকে মালাউই শস্য প্রক্রিয়াকরণ, কম্পোস্টিং ও ব্রিকেট উৎপাদনে স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ প্রদানকারী একটি ব্যবসায়িক ইনকিউবেশন সেন্টার তৈরির জন্য ১ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে।
ভারতের বেসরকারি খাত
ভারতের বেসরকারি খাত ভারত-আফ্রিকা কৃষি সহযোগিতা জোরদার করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংস্থা আফ্রিকা জুড়ে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ অবকাঠামোতে বিনিয়োগ করেছে। উদাহরণস্বরূপ, জিম্বাবুয়ের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন ও ভারতের মিডেক্স গ্লোবাল প্রাইভেট লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগ সারফেস উইলমার হারারের কাছে একটি ভোজ্য তেল উৎপাদন সুবিধা তৈরিতে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে, যা দক্ষিণ আফ্রিকার বৃহত্তম রান্নার তেল প্রস্তুতকারক হয়ে উঠেছে।
আফ্রিকার কৃষি খাতে সক্রিয় অন্য উল্লেখযোগ্য ভারতীয় সংস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে ইটিজি (এক্সপোর্ট ট্রেডিং গ্রুপ), যা তানজানিয়া, কেনিয়া, মালাউই, মোজাম্বিক, নাইজেরিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশে পরিচালিত বৃহত্তম সমন্বিত কৃষি সমষ্টিগুলির অন্যতম। আফ্রিকান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক সম্প্রতি ইটিজি-র নারী উদ্যোক্তা ও কর্মসংস্থান প্রকল্পকে সমর্থন করার জন্য ১.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনুদান অনুমোদন করেছে, যা মোজাম্বিক, তানজানিয়া এবং জাম্বিয়া জুড়ে ৬০০টি নারী-নেতৃত্বাধীন ব্যবসার ক্ষমতায়ন করবে।
জিমগোল্ড জিম্বাবুয়ের ভোজ্যতেল ও মার্জারিন উৎপাদনে ৪০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে, যার ফলে ৫০০ জনেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। বরুণ বেভারেজেস জিম্বাবুয়েতে বোতলজাতকরণ কারখানা ও পিউরি প্রক্রিয়াকরণ সুবিধার জন্য ২৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। রাহা কুকিং অয়েল জিম্বাবুয়ের নর্টনে একটি প্রক্রিয়াকরণ কারখানা খুলেছে। এশিয়ান টি কোম্পানি, পিওর ডায়েটস, রাজারামবাপু গ্রুপ এবং এইচকে জালান গ্রুপের মতো ভারতীয় সংস্থাগুলি এই অঞ্চলে বাণিজ্যিক কৃষিতে আরও বিনিয়োগের সন্ধান করছে।
মানবিক সহায়তা ও নারী ক্ষমতায়ন
এ ছাড়াও আফ্রিকায় ভারতের কৃষি সম্পৃক্ততার মধ্যে ক্রমবর্ধমানভাবে ইউএসএআইডি, যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ডিএফআইডি) এবং সাপোর্টিং ইন্ডিয়া'জ ট্রেড প্রেফারেন্সেস ফর আফ্রিকা (এসআইটিএ) প্রোগ্রামের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক সহযোগিতা জড়িত। উদাহরণস্বরূপ, খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে ভারত খাদ্য নিরাপত্তা ও সেচ পরিকল্পনার উন্নতিতে সহায়তা করার জন্য লেসোথোতে কৃষি বিশেষজ্ঞদের পাঠিয়েছে।
অর্থনৈতিক সহযোগিতার ঊর্ধ্বে উঠে ভারত মানবিক সহায়তা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতেও অবদান রাখে। জিম্বাবুয়েতে খরার সময় ভারত খাদ্য সহায়তা পাঠিয়েছিল, যার মধ্যে ২০০৩ সালে ৫০,০০০ টন ও ২০১৫ সালে ৫০০ টন চাল অনুদান ছিল। একই ভাবে, ২০২০ সালে ফসলের ব্যর্থতার সঙ্কটের সময় মালাউইকে ১ মিলিয়ন ডলার মূল্যের কৃষি সরঞ্জাম এবং ১,০০০ মেট্রিক টন চাল দিয়ে সহায়তা করা হয়েছিল। কঙ্গোর গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রও ভারতের ট্র্যাক্টর ও আনুষঙ্গিক অনুদান থেকে উপকৃত হয়েছিল।
ভারতের স্ব-কর্মসংস্থান মহিলা সমিতির (সেবা) এর মতো বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) তৃণমূল পর্যায়ে জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে ভারত-আফ্রিকা সম্পর্ককে আরও গভীর করেছে। সেবা-র নারী ক্ষমতায়নের উদ্যোগগুলি আফ্রিকার মহিলাদের মধ্যে স্থিতিস্থাপকতা ও স্বনির্ভরতা প্রচারের জন্য সফল গ্রামীণ ভারতীয় মডেলগুলিকে গ্রহণ করে এবং সম্প্রদায়-ভিত্তিক কৃষি উন্নয়নকে শক্তিশালী করে।
সুযোগগুলিকে একসঙ্গে কাজে লাগানো
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, জনসংখ্যাগত বৃদ্ধি এবং ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা পরিচালনার ক্ষেত্রে ভারত ও আফ্রিকা উভয়ই একই ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। ২০৩০ সালের মধ্যে আফ্রিকার খাদ্য বাজার ১ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে খাদ্য চাহিদা দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, সেচ, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, পুষ্টি ব্যবস্থাপনা এবং কৃষি গবেষণা ও উন্নয়নে স্থিতিশীল বিনিয়োগের জন্য বিশাল সুযোগ তৈরি করবে।
ক্ষুদ্র কৃষকদের আধুনিক মূল্য শৃঙ্খলে সমন্বিত করা, ফসল কাটার পরবর্তী ক্ষতি হ্রাস করা এবং কৃষি আয় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভারতের অভিজ্ঞতা আফ্রিকার জন্য একটি মূল্যবান মডেল। ভারতের ‘থ্রিএ’ কাঠামো - সাশ্রয়ী মূল্যের, উপযুক্ত এবং অভিযোজিত প্রযুক্তি প্রচার - আফ্রিকান বাস্তবতার সঙ্গে মানানসই ও সাশ্রয়ী মূল্যের সমাধান প্রদান করে।
তবুও ভারত-আফ্রিকা কৃষি সম্পর্ক শক্তিশালী করার জন্য গভীর দ্বিপাক্ষিক ও ত্রিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব, সম্প্রসারিত বেসরকারি খাতের সম্পৃক্ততা এবং শক্তিশালী জ্ঞান ভাগ করে নেওয়ার জন্য মঞ্চের প্রয়োজন হবে। এই ধরনের সহযোগিতার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করা এবং মহাদেশ জুড়ে স্থিতিস্থাপক, স্থিতিশীল কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব।
ভারতের কৃষি দক্ষতা এবং আফ্রিকার বিশাল প্রাকৃতিক ও মানব সম্পদের সমন্বয়ের মাধ্যমে এই অংশীদারিত্ব ভবিষ্যতের খাদ্য সরবরাহ, ক্ষুধা হ্রাস এবং উভয় মহাদেশে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এগিয়ে নেওয়ার জন্য একটি ভিত্তিপ্রস্তর হয়ে উঠতে পারে।
নিবন্ধে প্রকাশিত মতামত লেখক(দের) ব্যক্তিগত।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Samir Bhattacharya is an Associate Fellow at Observer Research Foundation (ORF), where he works on geopolitics with particular reference to Africa in the changing global ...
Read More +