বৈদেশিক নীতি রাষ্ট্র-পরিচালন ব্যবস্থার অন্যতম অপরিহার্য উপাদান এবং এর কার্যকর ব্যবস্থাপনার জন্য অন্যতম অত্যাবশ্যক উপকরণ হল আন্তর্জাতিক আইন। তবুও সাম্প্রতিক বছরগুলিতে তার কাজকর্ম এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে তার বক্তব্যকে বৈধতা প্রদানকারী আন্তর্জাতিক আইনকে ভারত সরকার কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়েছে। বিতর্ক প্যানেলগুলিতে প্রায়শই জাতীয় নিরাপত্তা সামরিক কৌশলবিদ, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশেষজ্ঞ এবং অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিকরাই অংশগ্রহণ করেন এবং আন্তর্জাতিক আইন আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার মূল ভিত্তি হওয়া সত্ত্বেও এই ধরনের বিতর্কে আন্তর্জাতিক আইনি পেশাদারদের অংশগ্রহণের পরিমাণ খুবই কম।
এ কথা লক্ষ্যণীয় যে, ভারতই সম্ভবত একমাত্র দেশ যেটি তার সংবিধানে আন্তর্জাতিক আইনের গুরুত্ব তুলে ধরেছে এবং ভারতীয় সংবিধানের ৫১তম অনুচ্ছেদের আওতায় আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাকে দৃঢ় করে তোলার জন্য এটিকে নির্দেশমূলক নীতি হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করেছে। স্বাধীনতার পর প্রাথমিক দশকগুলিতে ভারত যুদ্ধ-পরবর্তী বছরে আধুনিক আন্তর্জাতিক আইনের বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ইউএন চার্টার বা রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদ-কাঠামো এবং স্ব-নিয়ন্ত্রণের নীতির প্রবল সমর্থক হিসাবে নয়াদিল্লি ঔপনিবেশিকতা থেকে মুক্তির প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু, যিনি আন্তর্জাতিক আইনের নীতির প্রতি বরাবর শ্রদ্ধাশীল ছিলেন, তিনি ১৯৫৯ সালে ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ ইন্টারন্যাশনাল ল (আইএসআইএল) প্রতিষ্ঠা করেন।
ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস-এর (আইসিজে) প্রথম ভারতীয় প্রেসিডেন্ট নগেন্দ্র সিং, বিচারপতি আর এস পাঠক (আইসিজে-র ভারতীয় বিচারক), অধ্যাপক উপেন্দ্র বক্সী, স্যার ফিলিপ সি জেসপ, স্যার হার্শ লাউটারপ্যাক্ট, লর্ড ম্যাকনেয়ারের মতো অসংখ্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক আইন পণ্ডিত এবং অনুশীলনকারী আইএসআইএল-এর সদস্য এবং সম্মানিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আইএসআইএল প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে উদ্দেশ্য ছিল আন্তর্জাতিক আইনে উন্নত গবেষণাকে উৎসাহ প্রদান, ভারতকে প্রভাবকারী আন্তর্জাতিক আইনের প্রতিবন্ধকতাগুলি চিহ্নিত করা, বিশ্বব্যাপী বিষয়ে দৃঢ় জনমত গড়ে তোলা এবং আন্তর্জাতিক আইনি প্রক্রিয়ার সাহায্যে এই জাতীয় সমস্যাগুলির সম্ভাব্য সমাধান অর্জন করা। ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস-এর (আইসিজে) প্রথম ভারতীয় প্রেসিডেন্ট নগেন্দ্র সিং, বিচারপতি আর এস পাঠক (আইসিজে-র ভারতীয় বিচারক), অধ্যাপক উপেন্দ্র বক্সী, স্যার ফিলিপ সি জেসপ, স্যার হার্শ লাউটারপ্যাক্ট, লর্ড ম্যাকনেয়ারের মতো অসংখ্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক আইন পণ্ডিত এবং অনুশীলনকারী আইএসআইএল-এর সদস্য এবং সম্মানিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তবে আইএসআইএল কাঙ্ক্ষিত ফলাফল প্রদানে ব্যর্থ হয়েছে। তার সমধর্মী মার্কিন এবং চিনা সংস্থার তুলনায় আন্তর্জাতিক আইনে মানসম্পন্ন চর্চার ক্ষেত্রে এই সংস্থা যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। এই সংস্থাটি কোনও আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করে না বললেই চলে, কোনও প্রস্তাবও গ্রহণ করে না। তার আমেরিকান এবং চিনা সমকক্ষদের বিপরীতে এটি আন্তর্জাতিক আইনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের রাষ্ট্রীয় অনুশীলনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং প্রশংসাকারী প্রতিবেদন খুব কমই প্রকাশ করেছে।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, সালিশি সংক্রান্ত স্থায়ী আদালত ফিলিপিন্সের পক্ষে দক্ষিণ চিন সাগরের সালিশে সালিশি রায় ঘোষণা করার পরে চাইনিজ সোসাইটি অফ ইন্টারন্যাশনাল ল দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের সরকারি অবস্থানের পক্ষে ৫৪২ পৃষ্ঠা দীর্ঘ অনুপুঙ্ক্ষ গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছে, এমনকি ট্রাইব্যুনালের এক্তিয়ার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। একই ভাবে আমেরিকান সোসাইটি অফ ইন্টারন্যাশনাল ল সন্ত্রাসবাদী এবং তথাকথিত দুর্বৃত্ত রাষ্ট্রগুলির বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানকে সমর্থন জুগিয়ে অসংখ্য প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।
আইএসআইএল-এর জরুরি ভিত্তিতে পুনর্গঠন প্রয়োজন। সমাজের আর্থিক ও প্রশাসনিক স্বাস্থ্য অবশ্যই সংস্কারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া জরুরি। সম্পদ বণ্টনের ক্ষেত্রে আইএসআইএলকে এমপি-আইডিএসএ এবং ইন্ডিয়া কাউন্সিল অফ ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স-এর (আইসিডব্লিউএ) মতো অন্যান্য সরকারি থিঙ্ক ট্যাঙ্কের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে বিবেচনা করা উচিত। এর পাশাপাশি, সংস্থাটি পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত আইন এবং উপ-আইন তৈরি করতে হবে। বিভিন্ন পদে নিয়োগ এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে যাতে কেবলমাত্র সেই ব্যক্তিরাই পদে আসীন হতে পারবেন, যাঁরা আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি তাঁদের জীবনের বেশিরভাগ সময় উৎসর্গ করেছেন।
সম্পদ বণ্টনের ক্ষেত্রে আইএসআইএলকে এমপি-আইডিএসএ এবং ইন্ডিয়া কাউন্সিল অফ ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স-এর (আইসিডব্লিউএ) মতো অন্যান্য সরকারি থিঙ্ক ট্যাঙ্কের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে বিবেচনা করা উচিত।
আর একটি সংস্কার অগ্রাধিকার হল বিদেশ মন্ত্রক দ্বারা রাষ্ট্রীয় অনুশীলনের পর্যাপ্ত নথিকরণ। রাষ্ট্রীয় অনুশীলন বলতে রাষ্ট্র ও সরকার-প্রধান, মন্ত্রী, কূটনীতিকদের দ্বারা প্রদত্ত বিবৃতি এবং একটি নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে একটি দেশ কর্তৃক গৃহীত প্রকৃত অনুশীলনকে বোঝায়, যা একটি বৈশ্বিক বিষয়ে সেই দেশের অবস্থান প্রকাশ করে। আন্তর্জাতিক আইনের গবেষক এবং অনুশীলনকারীদের একটি দল ধারাবাহিক ভাবে একটি তথ্যভাণ্ডার তৈরি করার জন্য এমইএ-র কাছে আবেদন করে আসছে, যা ভারতের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া এবং বিভিন্ন বৈশ্বিক বিষয়ে ভারতের অবস্থান বুঝতে সাহায্য করবে। এই নথিকরণটি আন্তর্জাতিক আইন পণ্ডিতদের জন্য অত্যন্ত সহায়ক হবে, যাঁরা গণতান্ত্রিক পরিবেশে জনসাধারণের পরামর্শের মাধ্যমে নীতিগত হস্তক্ষেপ পরিচালনা করতে সক্ষম হবেন। ভারত কর্তৃক স্বাক্ষরিত এবং অনুমোদিত চুক্তিগুলির বিষয়ে এমইএ-র আইনি ও চুক্তি বিভাগ দ্বারা একটি তথ্যভাণ্ডার রক্ষণাবেক্ষণ করা হলেও সেটি গবেষণার কাজে বহুলাংশে অপ্রতুল। নিছক ভারত দ্বারা স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলির তালিকা তৈরি কোনও মানসম্পন্ন গবেষণায় অবদান রাখবে না।
রাষ্ট্রীয় অনুশীলন নথিভুক্ত করা আন্তর্জাতিক আইন পণ্ডিত এবং এমইএ- উভয়ের জন্যই একটি লাভজনক পরিস্থিতি হবে। এমইএ সাধারণত সেই সব কূটনীতিক নিয়ে গঠিত, যাঁরা আন্তর্জাতিক আইনের সূক্ষ্ম বিষয়গুলির সঙ্গে ভালভাবে পরিচিত না-ও হতে পারেন। আন্তর্জাতিক আইন অনুশীলনকারী এবং গবেষণা সংস্থাগুলির তরফে প্রদত্ত পর্যাপ্ত তথ্য এমইএ-কে একাধিক বিষয়ের প্রেক্ষিতে হওয়া বহুপাক্ষিক সমাবেশগুলিতে সফল হওয়ার জন্য আরও বিশেষভাবে প্রস্তুত করবে। নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাষ্ট্রীয় অনুশীলনকে নথিভুক্ত করার মাধ্যমে এমইএ ভারতের আন্তর্জাতিক আইনি গোষ্ঠীকে গ্লোবাল সাউথের দৃষ্টিকোণ থেকে আন্তর্জাতিক আইনের পরিসরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সাহায্য করতে পারে। যেহেতু ভারতের বিবৃতি এবং অনুশীলনের নথি উপলব্ধ নয়, তাই গবেষকরা কোনও নির্দিষ্ট বিষয়ে আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে গ্লোবাল নর্থের উদ্ধৃতি এবং তথ্যভাণ্ডারের আশ্রয় নেন।
এটি এমন একটি পরিস্থিতির দিকে পরিচালিত করেছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের ‘অ-গণতন্ত্রীকরণ’ এবং ‘পুঁজিকরণ’ হিসাবে অভিহিত করা যেতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তন এবং জলবায়ু অর্থায়ন, বাণিজ্য ও বলপ্রয়োগ এবং মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়গুলির উপর গ্লোবাল সাউথের রাষ্ট্রীয় অনুশীলনের প্রমাণ তুলনামূলকভাবে কম এবং গ্লোবাল নর্থের রাষ্ট্রীয় অনুশীলনের তুলনায় সাধারণত জনপরিসরে সেগুলির লভ্যতা কম। এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা সম্পর্কিত যে কোনও বিতর্কে গ্লোবাল নর্থের আধিপত্যকে ব্যাখ্যা করে, তা সে কোভিড-১৯ টিকার জন্য আইপি মকুব, জলবায়ু অর্থায়ন বা উন্নয়নশীল এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলির রূপান্তর প্রক্রিয়া, যাই হোক না কেন।
বিষয়টিকে শুধুমাত্র গ্লোবাল নর্থের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মতাদর্শ দ্বারা প্রভাবিত করা যাবে না। এমন অসংখ্য বৈশ্বিক সমস্যা রয়েছে, যেগুলি সমাধানের জন্য একটি সম্প্রদায়গত দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন এবং গ্লোবাল সাউথ এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। প্রথম ধাপে রাষ্ট্রীয় অনুশীলনকে জনপরিসরে উপলব্ধ করা জরুরি। ভারত গ্লোবাল সাউথ সংক্রান্ত বিষয়ে একটি নেতৃস্থানীয় কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠায় এ ক্ষেত্রে নেতৃত্ব প্রদানে সক্ষম।
আন্তর্জাতিক আইন অনুশীলনকারী এবং গবেষণা সংস্থাগুলির তরফে প্রদত্ত পর্যাপ্ত তথ্য এমইএ-কে একাধিক বিষয়ের প্রেক্ষিতে হওয়া বহুপাক্ষিক সমাবেশগুলিতে সফল হওয়ার জন্য আরও বিশেষ ভাবে প্রস্তুত করবে।
ভারতের বিদেশনীতি এবং কৌশলগত সিদ্ধান্তগুলিকে সমর্থন জোগানোর জন্য আন্তর্জাতিক আইনের অনুপুঙ্ক্ষ ব্যবহারের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রশাসনের অন্য একটি পদ্ধতি সংস্কার করা দরকার। এর জন্য আন্তর্জাতিক আইনে গভীর জ্ঞান, গবেষণা ও বিশ্লেষণ প্রয়োজন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আইন সিএএটিএসএ-র অধীনে নিষেধাজ্ঞার হুমকির কারণে ইরানের তেল আমদানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ভারত। নিষেধাজ্ঞা আইনের মাধ্যমে আমেরিকার প্রতিপক্ষদের মোকাবিলা করতে ইরান, উত্তর কোরিয়া বা রাশিয়ার সঙ্গে উল্লেখযোগ্য লেনদেন করে এমন যে কোনও দেশের উপর একতরফা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য একটি কাঠামো প্রদান করা হয়েছে। যদিও একতরফা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আইনসম্মত পাল্টা ব্যবস্থা গঠন করতে পারে, যখন তারা একটি রাষ্ট্রকে তার আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে বাধ্য করতে চায়। তবে যে নিষেধাজ্ঞাগুলি হস্তক্ষেপকারী প্রকৃতির, তা কোনও রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতিকে লঙ্ঘন করে।
পদক্ষেপ করার অভিপ্রায় তখনই সন্তুষ্ট হয়, যখন একটি রাষ্ট্র অন্যকে ‘প্রভাব বা প্ররোচনার মাধ্যমে নয়, বরং হুমকি বা নেতিবাচক পরিণতি আরোপের মাধ্যমে তার নীতি বা কর্মের কারণ পরিবর্তন করতে’ বাধ্য করে। মহাশক্তিগুলি তাদের অর্থনৈতিক শক্তির মাধ্যমে সাধারণত অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল দেশগুলিকে চিহ্নিত রাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের আর্থিক সম্পর্কে ইতি টানতে বাধ্য করে। এটি জোরপূর্বক রাষ্ট্রগুলির বৈদেশিক বা বাণিজ্যনীতিতে বহিরাগত পদক্ষেপ। এটি সার্বভৌম সমতা এবং কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের মতো আন্তর্জাতিক আইনের দু’টি মৌলিক নিয়ম-নীতির স্পষ্ট লঙ্ঘনকেই সূচিত করে। ভারত এই লঙ্ঘনের নজির দর্শিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি প্রতিরোধ করতে পারত, কিন্তু তারা তাদের কর্তৃত্ব মেনে নিয়েছে।
উপসংহার
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারত বিশ্ব-বিষয়ক এবং আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় একটি কেন্দ্রীয় মঞ্চ হয়ে উঠেছে। এর ফলে সুবিধার পাশাপাশি চিনের সমস্যা, নিকটবর্তী প্রতিবেশে সন্ত্রাসবাদ, কার্বন নিঃসরণ, জলবায়ু ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত সমস্যা এবং বহুপাক্ষিকতা হ্রাসের মতো চ্যালেঞ্জগুলিও উঠে এসেছে।
ভারতের জন্য সম্ভবত সময় এসেছে আন্তর্জাতিক আইনের অনুপুঙ্ক্ষ অধ্যয়নে নিয়োজিত হওয়ার এবং এটিকে কার্যকরভাবে তার বিদেশনীতি পরিচালনা ও আইনি লড়াইয়ের কাজে নিয়োজিত করার। যাই হোক, আন্তর্জাতিক আইনের মূল বিষয়বস্তু হিসাবে বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানই সর্বদা লক্ষ্য হওয়া উচিত।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.