Author : Akanksha Khullar

Published on Mar 11, 2023 Updated 2 Days ago
মহিলাদের অর্থনৈতিক উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি: জেন্ডার লেন্স ইনভেস্টিং–এর পক্ষে যুক্তি

রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ ও দীর্ঘায়িত কোভিড–১৯ অতিমারি, এই দুই থেকে উদ্ভূত উচ্চ মূল্যস্ফীতি, আর্থিক কঠোরতা এবং সরবরাহ শৃঙ্খলের অনিশ্চয়তার মধ্যে ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। বৈশ্বিক মোট আভ্যন্তর উৎপাদন (‌গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট বা জিডিপি) ২০২১ সালে প্রায় ৫ শতাংশ বাড়ার পরে ২০২২ সালের প্রথমার্ধে সংকুচিত হয়৷ এই সংক্ষিপ্ত নিবন্ধটি অর্থনৈতিক কার্যকলাপে মহিলাদের অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং তার মাধ্যমে বিশ্ব জিডিপি-র উন্নতিতে অবদানের উপায় হিসাবে জেন্ডার লেন্স ইনভেস্টমেন্ট (জিএলআই, সহজ কথায় লিঙ্গভিত্তিক বিনিয়োগ)–এর পক্ষে সওয়াল করে। এখানে যুক্তি দেওয়া  হয়েছে যে সরকার, এবং সেইসঙ্গে সম্পদ ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা সংস্থাগুলিকে, অবশ্যই বিশ্বব্যাপী উৎপাদনশীলতায় মহিলাদের অবদানকে আদর্শ জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য জিএলআই–এর সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে।

আরোপণ:‌ আকাঙ্ক্ষা খুল্লার “ইনক্রিজিং উইমেন’‌স ইকনমিক প্রোডাকটিভিটি: দ্য কেস ফর জেন্ডার লেন্স ইনভেস্টিং,” ওআরএফ ইস্যু ব্রিফ নং ৬০৭, জানুয়ারি ২০২৩।

ভূমিকা

আশঙ্কার তুলনায় বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ অত্যন্ত দ্রুত ব্যাপকভাবে মন্থর হয়ে পড়ছে, আর মূল্যস্ফীতির হার আগের দশকের তুলনায় বেশি রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, ২০২২ সালে অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা বিশ্ব অর্থনীতির প্রধান বিষয় ছিল, যদিও  শুরুতে সতর্ক আশাবাদের সঙ্গে কোভিড–১৯ বিধিনিষেধ ধীরে ধীরে শিথিল করা হয়েছিল। আজ বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি অসম, এবং কিছু দেশ, অঞ্চল বা ভূখণ্ড অন্যদের তুলনায় অতিমারি–পরবর্তী পুনরুদ্ধার আরও ভালভাবে পরিচালনা করছে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন চ্যালেঞ্জ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, কারণ এটি ইউরোপে তীব্র জ্বালানি সংকট সৃষ্টি করেছে, যা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে আরও বাধাগ্রস্ত করেছে। রাশিয়া সরবরাহ ২০২১-এর স্তরের ২০ শতাংশেরও কম করে দেওয়ার ফলে ২০২১ সাল থেকে এই অঞ্চলে গ্যাসের দাম চার গুণেরও বেশি বেড়েছে।[1] সংঘাত খাদ্যের দামকেও বাড়িয়ে দিয়েছে, আর তার ফলে অনেক উন্নয়নশীল দেশে বৃহৎ জনগোষ্ঠীর প্রকৃত আয় হ্রাস পেয়েছে।[2]

সরকারি ঋণের বর্ধিত ব্যয় এবং বৃহৎ মূলধনের বহিঃপ্রবাহও অর্থনীতিগুলিতে রাজস্ব ও অর্থপ্রদানের ভারসাম্যের চাপ বাড়িয়ে তুলছে।[3]  ইতিমধ্যে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে, এবং তাপপ্রবাহ, খরা এবং অন্য চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলি আরও তীব্র হয়েছে এবং ঘন ঘন ঘটতে শুরু করেছে।[4] এছাড়াও অনিশ্চয়তার ক্ষেত্রে অবদান রাখছে কোভিড–১৯–এর পুনরুত্থান, বিশেষত চিনে। দেশের সম্পত্তি ক্ষেত্র সংকটের মধ্যে রয়েছে, যার ফলে দেশীয় ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রের উপর চাপ পড়ছে, এবং তা দেশের বৃদ্ধির উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। এর ফলে নেতিবাচক আন্তঃসীমান্ত প্রভাবও পড়ছে।[5]

এই অস্থির অবস্থার মধ্যেই সাম্প্রতিক তথ্যগুলি দেখাচ্ছে যে ২০২২ সালে বৈশ্বিক অর্থনীতি বৃদ্ধি পাবে মাত্র ২.৫ থেকে ২.৮ শতাংশের মধ্যে —[6] যা কিনা রাষ্ট্রপুঞ্জের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক বিভাগ প্রকাশিত ২০২২ সালের জানুয়ারি[7] ও মে মাসের[8] পূর্বাভাস থেকে একটি উল্লেখযোগ্য নিম্নগামী সংশোধন। মূল্যস্ফীতি, যা অনেকগুলি দশকের মধ্যে সর্বোচ্চে পৌঁছেছে, তা মুদ্রানীতির দ্রুত সংকোচনকে প্ররোচিত এবং পরিবারের বাজেটকে সংকুচিত করেছে। এই আঁটোসাঁটো  আর্থিক পরিসর ভবিষ্যতের অনুমানগুলিকে অত্যন্ত অনিশ্চিত করে তুলেছে। তবে বেশিরভাগ সূচক ২০২৩ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে আরও শ্লথতা আসার কথাই বলেছে।[9]

এই নিবন্ধের যুক্তি হল যে বিশ্বব্যাপী পুনরুদ্ধারের যে কোনও প্রচেষ্টায় নারীদের অন্তর্ভুক্ত করা আবশ্যক। এ কথা তো ঠিক যে নারীরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে অবদান রাখেন, এবং নারীর মানবিক পুঁজিতে বিনিয়োগ অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ ও বৈষম্যহ্রাসে সাহায্য করতে পারে। এই নিবন্ধটি সরকার ও সংস্থাগুলির জন্য তাদের বিনিয়োগের সিদ্ধান্তে লিঙ্গভিত্তিক বিষয়গুলি কঠোরভাবে বিবেচনা করার জন্য একটি যুক্তি তৈরি করে।

বিশেষ করে এই নিবন্ধে বলা হয়েছে জেন্ডার লেন্স ইনভেস্টিং (জিএলআই)–এর সম্ভাবনার ক্ষেত্রটিকে শুধু মোট আভ্যন্তর উৎপাদন (জিডিপি) বাড়ানোর উপায় হিসাবে নয়, বরং লিঙ্গবৈষম্য দূর করা এবং দারিদ্র্য কমানোর একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখা প্রয়োজন।

জেন্ডার লেন্স ইনভেস্টমেন্ট: একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ

জিএলআই হল প্রভাব–বিনিয়োগের একটি রূপ, যা প্রত্যাশিত আর্থিক লাভের পাশাপাশি একটি উপকারী সামাজিক বা পরিবেশগত প্রভাব তৈরি করার উদ্দেশ্যে করা হয়। জিএলআই–কে সবুজ ও অন্যান্য অনুরূপ প্রভাব–বিনিয়োগ থেকে যা আলাদা করে তা হল এই বিনিয়োগ প্রক্রিয়া জুড়ে লিঙ্গভিত্তিক বিষয়গুলির বিবেচনা, যার ফলে নারী ও মেয়েদের জন্য আরও উপকারী পরিবেশ তৈরি হয়। এটি এমন একটি কাঠামো যার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা প্রকৃত প্রভাব তৈরি করতে পারেন।

‘‌জেন্ডার লেন্স ইনভেস্টিং’‌ শব্দবন্ধটি ২০০৯ সালে জ্যাকি ভ্যান্ডারব্রুগ ও জয় অ্যান্ডারসন তৈরি করেছিলেন। এর মাধ্যমে বিনিয়োগের সিদ্ধান্তে লিঙ্গ উপাদানগুলিকে একীভূত করার অনুশীলন বোঝানো হয়; এটি ২০১০–এর দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। জিএলআই–এর একটি প্রাথমিক উদাহরণ হল ভ্যালার ফেমিনিন, যা ইউরোপ মহাদেশ জুড়ে মহিলাদের মালিকানাধীন এবং মহিলাদের নেতৃত্বাধীন ব্যবসায়ে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে ২০০৫ সালে একটি ফরাসি অর্থ–ব্যবস্থাপনা সংস্থা কনসেই প্লু গেস্তিয়ঁ তৈরি করেছিল।[10]

জিএলআই–এর প্রক্রিয়াটিকে দুটি বিস্তৃত শ্রেণিতে ভাগ করা যায়:[11]

১। লিঙ্গসমস্যা সমাধান বা লিঙ্গসমতার প্র‌সারের উদ্দেশ্যে বিনিয়োগ:

❒ মহিলা-নেতৃত্বাধীন বা মহিলা-মালিকানাধীন ব্যবসা/উদ্যোগে বিনিয়োগ করা।

❒ ম্যানেজমেন্ট, বোর্ডরুম রিপ্রেজেন্টেশন থেকে সাধারণ কর্মী নিয়োগ বা সরবরাহ শৃঙ্খলের প্রেক্ষিতে কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গসমতা প্রসারে সাহায্য করে এমন সংস্থাগুলিতে বিনিয়োগ করা।

❒ সেইসব ব্যবসায় বিনিয়োগ করা যেগুলি এমন পণ্য বা পরিষেবা সরবরাহ করে যা মহিলা ও মেয়েদের জীবনকে উন্নত করতে সহায়তা করে৷

২। অন্তর্ভুক্তিমূলক বিনিয়োগ বিশ্লেষণ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুবিধার্থে নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে বিনিয়োগ:

❒ এমন একটি প্রক্রিয়া গ্রহণ যা প্রাক–বিনিয়োগ কার্যক্রমের শুরু থেকে লিঙ্গের উপর দৃষ্টি রাখে, যেমন সোর্সিং এবং ডিউ ডিলিজেন্স থেকে শুরু করে প্রস্থান ও কৌশলগত পরামর্শ–সহ চুক্তি–পরবর্তী পর্যবেক্ষণ পর্যন্ত।

❒একটি পদ্ধতি যা বিনিয়োগকারী উদ্যোগের কিছু বিষয় নজরে রাখে: লিঙ্গসমস্যা সমাধানের জন্য তাদের দৃষ্টি বা লক্ষ্য; তাদের সাংগঠনিক কাঠামো, সংস্কৃতি, অভ্যন্তরীণ নীতি ও কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ; পারফরম্যান্সের লিঙ্গসমতাপূর্ণ ব্যবস্থাপনার জন্য এবং আচরণগত পরিবর্তন ও জবাবদিহিতাকে উৎসাহিত করার জন্য তাদের ডেটা এবং মেট্রিক্সের ব্যবহার; এবং কীভাবে তাদের আর্থিক ও মানব সম্পদ লিঙ্গসমতার সামগ্রিক প্রতিশ্রুতি বহন করে।

২০০৫ সালে জিএলআই–এর প্রথম পরিচিত উদাহরণটি ফ্রান্সে আত্মপ্রকাশ করার পর অন্য বিভিন্ন সংস্থা তাদের কিছু পোর্টফোলিওর জন্য একটি বিনিয়োগ কৌশল হিসাবে জিএলআই সামনে আনতে শুরু করে। ক্রায়টেরিয়ন ইনস্টিটিউট ২০১৩ সালে হার্টফোর্ড, কানেটিকাটে জেন্ডার লেন্স বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করে।[12] একই বছরে, ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (আইএফসি) একটি ‘‌মহিলা বন্ড’‌ নিয়ে আসে, যা বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশে নারী–নেতৃত্বাধীন ব্যবসার জন্য এ পর্যন্ত অন্তত ১৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে।[13] রয়্যাল ব্যাঙ্ক অফ কানাডা ও বার্কলেজ-এর মতো ব্যাঙ্ক তখন থেকে এই উদ্যোগের অনুকরণ করেছে, এবং এমন তহবিল চালু করেছে যা বিভিন্ন অঞ্চলে মহিলাদের মালিকানাধীন ব্যবসা এবং মহিলা উদ্যোক্তাদের জন্য পুঁজিপ্রবাহ বাড়ানোর উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে৷

২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ঘোষণা করেছে যে এটি ৫০০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলারের জেন্ডার ইক্যুইটি বন্ড বিক্রি করেছে।[14] এই বন্ডগুলি ব্যবসার এমন একটি পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগ করা হবে যা ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলীয় সরকারের কর্মক্ষেত্র লিঙ্গসমতা এজেন্সি দ্বারা ‘‌লিঙ্গ ন্যায়সঙ্গত’‌ হিসাবে প্রত্যয়িত হয়েছে।[15] ২০১৮ সালে নারীদের ক্ষমতায়ন ও আর্থিক ক্ষমতা শক্তিশালী করার উপায় হিসাবে জি৭ দেশগুলি ২এক্স চ্যালেঞ্জের সূচনা করে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার একত্র করে, যা শ্রমশক্তি ও নেতৃত্বের পদে আসীন মহিলাদের জন্য বা সরাসরি মহিলাদের উপকার হয় এমন পণ্য ও পরিষেবার জন্য বিনিয়োগ করা হবে।[16]

বছরের পর বছর ধরে জিএলআই জনহিতৈষী ও উচ্চ–সম্পদশালী ব্যক্তিদের মধ্যে আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। মর্গ্যান স্ট্যানলি ইনস্টিটিউট ফর সাসটেনেবল ইনভেস্টিং–এর ২০১৯–এর একটি সমীক্ষায় বৈশ্বিক সম্পদের ৬৭ শতাংশের মালিকেরা বলেছেন যে তাঁদের বিনিয়োগ পোর্টফোলিওতে আগ্রহের  একটি ক্ষেত্র হল ‘‌লিঙ্গ বৈচিত্র্য’‌।[17]

সংস্থা, তহবিল ও ব্যক্তিগত বিনিয়োগকারীদের সামাজিক প্রয়োজন ও চাহিদায় সাড়া দেওয়া কতটা প্রয়োজন — অভ্যন্তরীণভাবে তাদের সাংগঠনিক কাঠামোর মাধ্যমে এবং বাহ্যিকভাবে তাদের বিনিয়োগ উদ্যোগের মাধ্যমে — তা কোভিড–১৯ অতিমারি এবং এর ব্যাপক আর্থ–সামাজিক ফলাফল থেকে প্রতীয়মান হয়েছিল। ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে গোল্ডম্যান শ্যাকস ঘোষণা করেছিল যে তারা বিনিয়োগ ব্যাঙ্ক সংস্থাগুলিকে আইপিও –তে নিয়ে যাওয়ার জন্য গ্রহণ করবে না, যদি না তাদের ন্যূনতম একজন ‘‌ডাইভার্স’‌ বোর্ড–সদস্য থাকেন;পরে ২০২১ সালে সংখ্যাটি দুইতে উন্নীত করা হয়।[18]

একইভাবে, বেশ কয়েকটি বড় প্রাইভেট ইক্যুইটি ফার্ম ইতিমধ্যেই গ্লোবাল ডাইভারসিটি ইন অ্যাকশন ইনিশিয়েটিভ–এ যুক্ত হওয়ার জন্য স্বাক্ষর করেছে, যার জন্য তাদের অভ্যন্তরীণ নিয়োগের পাশাপাশি লিঙ্গ ও বৈচিত্র্য দ্বারা চিহ্নিত প্রচার–পরিসংখ্যানের একটি সঠিক ট্র্যাক রেকর্ড বজায় রাখতে হবে। উদ্যোগটি তাদের বিনিয়োগকারীদের কাছে তথ্য সরবরাহ করতে উৎসাহিত করে, এবং এইভাবে তহবিল সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলাকালীন নতুন প্রতিশ্রুতি উঠে আসতে থাকে।[19]

এই ধরনের উদ্যোগগুলি উল্লেখযোগ্য হতে পারে, কিন্তু জিএলআই প্রক্রিয়ার পিছনে একটি অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি বা পদ্ধতি এখনও নেই। ফোরাম ফর সাসটেনেবল অ্যান্ড রেসপনসিবল ইনভেস্টমেন্ট এই শূন্যতা পূরণ করতে চাইছে এবং জিএলআই–সহ একটি মানসম্মত, স্থিতিশীল, দায়িত্বশীল ও প্রভাবশালী বিনিয়োগ পদ্ধতি[20] বিকাশের জন্য কাজ করছে।

জিএলআই–এর সুবিধা

জিএলআই গ্রহণ করার জন্য একটি সংস্থার অনুপ্রেরণা হতে পারে তার সংস্থা ও বিনিয়োগের কর্মক্ষমতা উন্নত করা অথবা লিঙ্গ–ফলাফল উন্নত করা। অতএব, এই ক্রিয়াকলাপের মূল্য — যেমন মহিলা-মালিকানাধীন ব্যবসায় করা বিনিয়োগ, কর্মক্ষেত্রে সমতার লক্ষ্যে কাজ করে এমন সংস্থা বা যারা মহিলাদের জীবন উন্নত করার মতো পণ্য বা পরিষেবাগুলি সরবরাহ করে এমন সংস্থাগুলিতে বিনিয়োগ — বিভিন্ন উপায়ে প্রকাশ পেতে পারে।

এর একটি ফলাফল অর্থনৈতিক। গবেষণায় একটি সংস্থায় নেতৃপদে নারীদের অনুপাত এবং সেই সংস্থার আর্থিক ফলাফলের মধ্যে একটি ইতিবাচক সম্পর্ক দেখা গিয়েছে। ২০১৫ সালের একটি বিশ্লেষণ এ কথা তুলে ধরেছে যে ‘‌বেশিরভাগ নারীকেন্দ্রিক তহবিল ও বিনিয়োগ কৌশলগুলি, যা কিনা বৈশ্বিক ‌৬.৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের মোট সামাজিকভাবে দায়িত্বশীল বিনিয়োগের একটি ক্ষুদ্র অংশ, তা বছরের পর বছর অসাধারণ ফল করেছে।”[21]

২০১৯ সালের আরেকটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যে সব সংস্থা সমান প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েছে তারা প্রতি বছর তাদের কম বৈচিত্র্যময় প্রতিপক্ষের তুলনায় ৩.১ শতাংশ ভাল ফল করেছে।[22] প্রকৃতপক্ষে, ২০১১ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত আট বছর সময়কালে বৃহত্তর লিঙ্গবৈচিত্র্য আছে এমন সংস্থাগুলি ইক্যুইটিতে এক বছরের রিটার্ন কম লিঙ্গবৈচিত্র্য সংস্থাগুলির থেকে ২ শতাংশ বেশি রেকর্ড করেছে।[23]

একটি লিঙ্গ–ভারসাম্যপূর্ণ পদ্ধতি একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য লিঙ্গসমতার একটি পরিমাপযোগ্য প্রভাব প্রদানের পাশাপাশি মূল্যসৃষ্টির সুবিধা দেয়। আইএফসি অনুসারে, নেতৃত্বের দলে বৃহত্তর লিঙ্গবৈচিত্র্যের অধিকারী ব্যবসাগুলির মূল্যায়ন ছিল কম লিঙ্গসমতাসম্পন্ন সংস্থাগুলির থেকে ২৫ শতাংশ বেশি।[24]

জিএলআই–এর সমর্থকেরা যুক্তি দেখান যে নেতৃপদে মহিলাদের উচ্চ অনুপাতের সংস্থাগুলি তাদের মূল্যসৃ্ষ্টি বৃদ্ধি করে, কারণ নিজেদের অ–বৈষম্যমূলক পদ্ধতি তাদের সেরা উপলব্ধ প্রতিভা নিয়োগের সুযোগ দেয়।[25] এটি সংস্থাকে নতুন বাজার ধরতে, নতুন আয়ের উৎস যোগ করতে, এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম করে, আর এগুলি প্রায়শই একটি ব্যবসা বা বিনিয়োগের শক্তি ও দীর্ঘমেয়াদি সাফল্যের উপর পরিপূরক ও জটিল প্রভাব ফেলে।

তা ছাড়া জিএলআই অনুশীলনের মাধ্যমে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের সুবিধা শুধু সংস্থাগুলির জন্য গুণী–বৃত্ত তৈরির দিকেই চালিত করে না, বরং উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে। জিএলআই–এর উপর ভিত্তি করে অন্তর্ভুক্তিমূলক সিদ্ধান্ত নারীদের ক্ষমতায়িত করে, এবং তাঁদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ ও স্থানীয় ও জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখার সুযোগ দেয়। এই অগ্রগতি আবার বিশ্বব্যাপী জিডিপি উন্নত করতে সাহায্য করে। ইউএন উইমেন উল্লেখ করেছে, ‘‌যদি শ্রমশক্তিতে নারীরা পুরুষদের সমান ভূমিকা পালন করেন, তাহলে ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী বার্ষিক জিডিপিতে আরও ২৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২৬ শতাংশ যোগ করা সম্ভব।’‌[26]

অর্থনৈতিক সুবিধার পাশাপাশি জিএলআই উপকারী সামাজিক ও পরিবেশগত ফলাফল তৈরি, ঝুঁকি কমানো, এবং নতুন বিনিয়োগের সুযোগ উন্মোচন করার চেষ্টা করে। তার প্রভাব আবার পড়ে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মতো নানাবিধ ক্ষেত্রে। শুধুমাত্র নারীশিক্ষায় উচ্চ বিনিয়োগের ফলে প্রচুর লভ্যাংশ পাওয়া যায়। যে দেশে বেশি মেয়েরা স্কুলে যায়, প্রায়শই যে তাদের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি বেশি হয় এমন অনেক প্রমাণ আছে। রাষ্টপুঞ্জ বলেছে যে ‘‌মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্নকারী নারীর সংখ্যা প্রতি ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেলে দেশের মাথাপিছু আয় অন্তত ০.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।”[27]

জিএলআই-কে মূলস্রোতে আনার চ্যালেঞ্জ

জিএলআই–কে মূলস্রোতে আনার জন্য কিছু প্রচেষ্টা চলছে, এবং এটিকে একটি বিশেষ বিনিয়োগের সুযোগ থেকে একটি সামগ্রিক কৌশলে রূপান্তরিত করা হচ্ছে, যা অন্য যে কোনও বিকল্প বিনিয়োগের উপায়ের সমতুল্য। তবে প্রক্রিয়াটি বেশ ধীরগতিতে এগোচ্ছে। তাই এই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ যে সংস্থাগুলি, তা সে সরকারি বা বেসরকারি যাই হোক, যেন মহিলাদের বিরুদ্ধে পক্ষপাত রোধ করতে এবং জিএলআই বাড়াতে সক্রিয় পদক্ষেপ করে৷

এটি করার একটি উপায় হল ইতিবাচক পদক্ষেপ করা, যা সংস্থার সমস্ত স্তরে এবং বিশেষভাবে কর্পোরেট নেতৃত্বে মহিলাদের অনুপাত বাড়াতে সংস্থাকে বাধ্য করে৷ এটি মহিলাদের জন্য বিশেষভাবে বরাদ্দ করা নিয়োগের কোটা আরোপের রূপ নিতে পারে, বা নিয়োগ প্রক্রিয়া চলাকালীন অ–বৈষম্যহীন কৌশল অনুসরণ করার প্রশ্নে সংগঠনের তরফে প্রতিশ্রুতি হিসাবেও আসতে পারে।

সংস্থাগুলি ইনস্টিটিউশনাল লিমিটেড পার্টনারস অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা ২০২০ সালে শুরু হওয়া গ্লোবাল ডাইভারসিটি ইন অ্যাকশন ইনিশিয়েটিভ–এ স্বাক্ষর করতে পারে। এই উদ্যোগের জন্য সংস্থাগুলিকে লিঙ্গ ও বৈচিত্র্যের ভিত্তিতে নিয়োগ ও পদোন্নতির অভ্যন্তরীণ পরিসংখ্যানের খতিয়ান রাখতে হবে, যাতে তহবিল সংগ্রহের নতুন প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সময় বিনিয়োগকারীদের সেই তথ্য দেওয়া যায় ।

জিএলআই সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং জিএলআই–এর বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কিছু ভ্রান্ত ধারণা ভাঙারও প্রয়োজন রয়েছে:‌ যেমন ‘‌নারীর ক্ষমতায়ন’‌ একটি নিছক সামাজিক ভাবনা এবং এর সঙ্গে আর্থিক লাভের কোনও গল্প নেই; জিএলআই বিনিয়োগকারীদের মার্কেট রেট রিটার্ন তুলতে দেবে না; অথবা সামগ্রিকভাবে জিএলআই কোনও আকর্ষণীয় বিনিয়োগ কৌশল নয়। এই কাজ করার জন্য ফেরত-লাভ ও জিএলআই–এর প্রভাবের প্রমাণ তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা সম্ভাব্যভাবে বহুজাতিক সংস্থাগুলি করতে পারে, এবং সরকারি এজেন্সিগুলি তা সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে পারে।

বর্তমানে আইএফসি[28] ও হোয়ার্টন সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট–এর মতো সংস্থাগুলির সীমিত হলেও প্রয়োজনীয় গবেষণা রয়েছে। এই সব অধ্যয়ন সংস্থাগুলিকে জিএলআই বোঝার, বাজারে জিএলআই সুযোগগুলি খুঁজে বার করার, এবং আকর্ষণীয় বিনিয়োগ চুক্তির জন্য নিজস্ব কাঠামো তৈরি করার জন্য রেফারেন্স পয়েন্টগুলি অফার করে৷

উন্নতির আরেকটি ক্ষেত্র হল প্রভাব পরিমাপ। লিঙ্গসমতা বর্ণালী পরিমাপ করার জন্য ডিজাইন–করা কাঠামোগুলির সামঞ্জস্য তৈরি করার প্রয়োজন আছে। বর্তমানে প্রতিটি সংস্থার অগ্রগতি পরিমাপের নিজস্ব স্বাধীন উপায় আছে, যে কারণে বিভিন্ন সংস্থা, ক্ষেত্র ও দেশ জুড়ে ফলাফল তুলনা করা কঠিন হয়। জিএলআই জ্ঞানের বর্ধিত বিস্তারের সঙ্গে এই বৈচিত্র্যময় ব্যবস্থাগুলিকে স্ট্রিমলাইন করা হলে তা এই ধরনের বিনিয়োগ টানার চাবিকাঠি হবে, যাতে সেগুলি প্রভাব–বিনিয়োগ বাজারের মূলস্রোতে এসে যায়।

তাছাড়া জিএলআই বাড়ানোর জন্য সরকারি–বেসরকারি অংশীদারিকেও আনুষ্ঠানিক করা যেতে পারে। স্টক এক্সচেঞ্জের মতো সরকারি প্ল্যাটফর্মগুলি বাণিজ্যিক সত্তা তালিকাভুক্ত করার আগে লিঙ্গসমতার পরামিতিগুলি বিবেচনা করতে পারে, এবং বেসরকারি ক্ষেত্র সরকারকে এমন প্ল্যাটফর্ম বা উপকরণ ডিজাইনে সহায়তা করতে পারে যা লিঙ্গ প্রভাব–বিনিয়োগের কৌশল সহজতর করে।

উপসংহার

মূলগতভাবে জিএলআইকে নিছক নিয়ন্ত্রক সম্মতির বিষয় করে তোলা উচিত নয়। বরং, এটি নারীর অর্থনৈতিক শক্তিকে উন্মুক্ত করা ও আর্থিক অর্জনের জন্য বাজারের উন্নয়নকে চালিত করার একটি সুযোগ হতে পারে, এবং লিঙ্গসমতার জন্য একটি পরিমাপযোগ্য প্রভাব প্রদান করার সঙ্গেসঙ্গে মূল্যসৃষ্টির সুবিধা দিতে পারে, যা বৈশ্বিক জিডিপি–কে উন্নত করবে।

বিনিয়োগ‌–শিল্প বৈশ্বিক অর্থনীতির সুদৃঢ় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও জিডিপি–র ধারাবাহিক বৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করার জন্য জিএলআই–প্রদত্ত সুযোগকে পুঁজি করতে পারে।


আকাঙ্ক্ষা খুল্লার একজন স্বাধীন গবেষক যিনি লিঙ্গসংক্রান্ত বিষয়ে কাজ করছেন।


এন্ড নোট

(‌হাইপারলিঙ্কের জন্য এইখানে মূল নিবন্ধটি দেখুন:‌ https://www.orfonline.org/research/increasing-womens-economic-productivity/)

[1] স্যাম মেরেডিথ, “রাশিয়া ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করেছে। আপনার যা জানা দরকার তা এখানে,” সিএনবিসি, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২।

[2] মার্ক সুইনি, “রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের খরচ বাড়ায় যুক্তরাজ্যের খাবারের দাম রেকর্ড ১০.৬% বেড়েছে,” দ্য গার্ডিয়ান, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২।

[3] ডেভিড ম্যালপাস, “উন্নয়নের সামনের সংকট” (বক্তৃতা, স্ট্যানফোর্ড ইনস্টিটিউট ফর ইকনমিক পলিসি রিসার্চ (এসআইইপিআর), স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২), বিশ্বব্যাঙ্ক।

[4] “ডব্লিউএমও বিশ্বজুড়ে চরম আবহাওয়ার ‘অবিশ্বাস্য লক্ষণ’‌ প্রকাশ করে,’‌’‌ ইউএন নিউজ—বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি ও মানুষের গল্পগুলি, ডিসেম্বর ২৩, ২০২২।

[5] মুহিতা কওর গর্গ, ‘‌‘‌জিরো-কোভিড, একটি বিপর্যস্ত রিয়েল এস্টেট বাজার এবং আরও অনেক কিছু: চিনা অর্থনীতি এবং এর সামনে চ্যালেঞ্জ,” উইঅন নিউজ, অক্টোবর ৫, ২০২২।

[6] “বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং সম্ভাবনা: সেপ্টেম্বর ২০২২ ব্রিফিং, নং ১৬৪’‌

[7] রাষ্ট্রপুঞ্জের অর্থনীতি ও সামাজিক বিষয়ক বিভাগ, বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং সম্ভাবনা ২০২২: রাষ্ট্রপুঞ্জ সতর্ক করেছে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার গতি হারাচ্ছে, রাষ্ট্রপুঞ্জের অর্থনীতি ও সামাজিক বিষয়ক বিভাগ, ২০২২।

[8] রাষ্ট্রপুঞ্জের অর্থনীতি ও সামাজিক বিষয়ক বিভাগ, ২০২২ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং সম্ভাবনা, গ্লোবাল ইকনমিক মনিটরিং শাখা, রাষ্ট্রপুঞ্জের অর্থনীতি ও সামাজিক বিষয়ক বিভাগ, ২০২২।

[9] “ফ্যাক্টবক্স: বড় ব্যাঙ্কগুলি ২০২৩ সালে বিশ্ব অর্থনীতিকে আরও মন্থর হতে দেখেছে, আর মার্কিন মন্দার সম্ভাবনাও আছে’‌’‌ রয়টার্স, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২।

[10] হিরা সাইদ, ‘‌৫ জন সামাজিক উদ্যোক্তা ও ভিসি শেয়ার করেছেন কেন  জেন্ডার লেন্স ইনভেস্টমেন্ট বাস্তুতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ,” মিলার সেন্টার ফর সোশ্যাল এন্ট্রাপ্রেনারশিপ, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯।

[11] জেন্ডার লেন্স ইনভেস্টিং ইনিশিয়েটিভ, ‘‌জেন্ডার লেন্স ইনভেস্টিং ওভারভিউ, ফল ২০১৭ – স্প্রিং ২০১৯,’‌ গ্লোবাল ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টিং নেটওয়ার্ক।

[12] ডেভিড ব্যাঙ্ক, ‘‌উইমেন আর হট…ইনভেস্টমেন্ট,’‌ হাফপোস্ট, ২৪ অক্টোবর, ২০১৩।

[13] সারা কাপলান ও জ্যাকি ভ্যান্ডারব্রুগ, ‘লিঙ্গ ধনতন্ত্রের উত্থান,’‌ ‌স্ট্যানফোর্ড সোশ্যাল ইনোভেশন রিভিউ ১২, নং ৪ (২০১৪)।

[14] ‘‌ন্যাশনাল অস্ট্রেলিয়া ব্যাঙ্ক ৫০০ মিলিয়ন অস্ট্রেলীয় ডলারের বিরল লিঙ্গসমতা বন্ড বিক্রি করেছে,’‌ রয়টার্স, মার্চ ১৭, ২০১৭।

[15] ন্যাশনাল অস্ট্রেলিয়া ব্যাঙ্ক ৫০০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয় ডলারের বিরল লিঙ্গসমতা বন্ড বিক্রি করেছে,’‌ রয়টার্স, মার্চ ১৭, ২০১৭।

[16] “জি৭ দেশগুলির উন্নয়ন অর্থ সংস্থাগুলির সামনে ‘‌জি৭ ২এক্স চ্যালেঞ্জ: মহিলাদের জন্য অর্থায়ন’‌ চালু করা: লিঙ্গসমতার প্রচারের জন্য বিনিয়োগ বাড়ানোর যৌথ উদ্যোগ,” জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি, ১১ জুন, ২০১৮।

[17] মর্গান স্ট্যানলি, টেকসই সংকেত সম্পদের মালিকরা স্থায়িত্বকে বিনিয়োগের ভবিষ্যতের মূল হিসেবে দেখেন, মরগান স্ট্যানলি বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা।

[18] এলিজাবেথ ডিল্টস মার্শাল, ‘‌অন্য সংস্থাদের গোল্ডম্যান শ্যাকস: আপনি যদি পাবলিক হতে চান তাহলে অন্তত একজন মহিলা পরিচালক নিয়োগ করুন,’‌ রয়টার্স, ২৩ জানুয়ারি, ২০২০।

[19] ইনস্টিটিউশনাল লিমিটেড পার্টনারস অ্যাসোসিয়েশন, “ডাইভারসিটি ইন অ্যাকশন সিগনেটরিজ,” ILPA,

[20] গ্যাব্রিয়েল ওলিয়া, “জেন্ডার লেন্স ইনভেস্টমেন্ট সম্পর্কে আপনার যা কিছু জানা দরকার (এবং কেন এটি করা উচিত)”, ইয়াহু নিউজ, ৩ ডিসেম্বর, ২০২২।

[21] ‘‌মহিলা-কেন্দ্রিক লাভজনক তহবিল ভ্রুকুটির জন্ম দিচ্ছে,’‌ বিজনেস ইনসাইডার, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৫।

[22] এমিলি টমাস, “কেন লিঙ্গবৈচিত্র্য বিনিয়োগকারীদের ভাল রিটার্নের দিকে নিয়ে যেতে পারে,” মরগান স্ট্যানলি, ২১ নভেম্বর, ২০২২।

[23] “কেন লিঙ্গবৈচিত্র্য বিনিয়োগকারীদের ভাল রিটার্নের দিকে নিয়ে যেতে পারে,”

[24] আন্তর্জাতিক আর্থিক সহযোগিতা, প্রাইভেট ইক্যুইটি ও ভেঞ্চার ক্যাপিটালের লিঙ্গ ভারসাম্যের দিকে অগ্রসর হওয়া, ওয়াশিংটন ডিসি, বিশ্ব ব্যাঙ্ক গ্রুপ, ২০১৯।

[25] “কেন লিঙ্গবৈচিত্র্য বিনিয়োগকারীদের ভাল রিটার্নের দিকে নিয়ে যেতে পারে”

[26] “যে অর্থনীতিগুলি মহিলাদের জন্য কাজ করে, সেগুলি সকলের জন্য কাজ করে,” ইউএন উইমেন, ২২ জানুয়ারি, ২০১৮।

[27] রিমা সৌরায়া, “কেন মেয়েদের শিক্ষিত করা স্থিতিশীল উন্নয়নের জন্য আবশ্যক,” ইউনাইটেড নেশনস গার্লস এজুকেশন ইনিশিয়েটিভ, অক্টোবর ১২, ২০১৮।

[28] ‘‌প্রাইভেট ইক্যুইটি ও ভেঞ্চার ক্যাপিটালের লিঙ্গ ভারসাম্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া’‌

[29] সুজান বিগেল, স্যান্ড্রা এম হান্ট, ও শেরিল কুলম্যান, প্রজেক্ট সেজ | ট্র্যাকিং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল উইথ আ জেন্ডার লেন্স, দ্য হোয়ার্টন সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট ইনিশিয়েটিভ, ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভানিয়া, ২০১৭।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.