Published on Feb 02, 2022 Updated 0 Hours ago

২০২১ সালে জাতীয় শিক্ষা নীতি (এন ই পি) বাস্তবায়নের জন্য একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং প্রাথমিক ও উচ্চশিক্ষা স্তরে এগুলির ভিন্ন ফলাফল লক্ষ করা গেছে।

নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০-র বাস্তবায়ন: একটি মূল্যায়ন

এই প্রতিবেদনটি গভর্ন্যান্স প্রপোজিশনস অফ ২০২২ সিরিজের অন্তর্গত।


২০২০ সালের ২৯ জুলাই জাতীয় শিক্ষানীতি বা ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি (এন ই পি) প্রস্তাবনার পরে প্রথম একটি গোটা বছর জুড়ে কেন্দ্র, রাজ্য সরকার এবং স্বশাসিত সংস্থাগুলির তরফে এই নীতির বাস্তবায়নের উদ্যোগে মিশ্র ফলাফল পরিলক্ষিত হয়েছে। নীতি বাস্তবায়নের প্রথম পদক্ষেপটি — পূর্বের মিনিস্ট্রি অফ হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট-এর (এম এইচ আর ডি) নাম বদল করে এন ই পি দ্বারা প্রস্তাবিত মিনিস্ট্রি অফ এডুকেশন (এম ও ই) করা — অবিলম্বে গ্রহণ করা হয়। নীতি নির্ধারণের সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার তরফে নামবদল অনুমোদন করা হয়। যদিও এই ঘটনার পর থেকে প্রক্রিয়াটির বাস্তবায়নে ধারাবাহিকতার অভাব লক্ষ করা গেছে।

জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০-এর বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শিক্ষামন্ত্রকের অধীনস্থ দ্য ডিপার্টমেন্ট অব স্কুল এডুকেশন অ্যান্ড লিটারেসি (ডি ও এস ই অ্যান্ড এল) অবিলম্বে একগুচ্ছ পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করে। সংস্থাটি ২০২০ সালের ৮ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর ব্যাপী জাতীয় শিক্ষানীতির বিভিন্ন সুপারিশ আলোচনা এবং সেগুলির বাস্তবায়নের কৌশল নির্ধারণের জন্য রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল , স্বশাসিত সংস্থা এবং অন্য অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে ‘শিক্ষক পর্ব’ আয়োজন করে, যা ছিল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য একটি উৎসব।

‘সার্থক’ কর্মসূচি ২৯৭টি পৃথক পৃথক কাজকে চিহ্নিত করার পাশাপাশি সেগুলির প্রত্যেকটির বাস্তবায়নের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলির চিহ্নিতকরণ, কাজের নির্দিষ্ট সময়সীমা এবং সেগুলির সম্ভাব্য ফলাফলের কথা তুলে ধরে।

এর ফলে ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল ‘সার্থক’ (স্টুডেন্টস অ্যান্ড টিচার্স হোলিস্টিক অ্যাডভান্সমেন্ট থ্রু কোয়ালিটি এডুকেশন) নামক একটি সর্বাত্মক বাস্তবায়ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। ‘সার্থক’ কর্মসূচিতে ২০২০ সালের এন ই পি-র অন্তর্গত প্রত্যেকটি সুপারিশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কার্যাবলিকে চিহ্নিত করা হয়। ‘সার্থক’ কর্মসূচি ২৯৭টি পৃথক পৃথক কাজকে চিহ্নিত করার পাশাপাশি সেগুলির প্রত্যেকটির বাস্তবায়নের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলির চিহ্নিতকরণ, কাজের নির্দিষ্ট সময়সীমা এবং সেগুলির সম্ভাব্য ফলাফলের কথা তুলে ধরে।

প্রাথমিক শিক্ষা

১০+২ ব্যবস্থাকে ৫+৩+৩+৪ ব্যবস্থা দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা এবং তিন বছর বয়সে শিক্ষাদান শুরু করার পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষার যত্ন নেওয়ার জন্য পরবর্তী পাঁচ বছরের উপরে জোর দেওয়ার এন ই পি ২০২০-র উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ডি ও এস ই অ্যান্ড এল-ও ২০২৬-২৭ সালের মধ্যে সব শিশুর ভিত্তিগত সাক্ষরতা এবং সংখ্যাজ্ঞান সুনিশ্চিত করতে উচ্চাকাঙ্ক্ষী নিপুণ ভারত উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এটি একটি অতি প্রয়োজনীয় এবং স্বাগত পদক্ষেপ। কারণ এন ই পি ২০২০-র সব কর্মসূচি অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়বে যদি শিশুরা পড়া, লেখা এবং পাটিগণিতের মতো বিষয়গুলি প্রাথমিক বছরগুলিতে শিখতে ব্যর্থ হয়। পূর্বেও এমনটা ঘটতে দেখা গেছে এবং উচ্চ স্তরে শিক্ষানীতির বাস্তবায়নের জন্য সবার আগে এই ভিত মজবুত করা প্রয়োজন।

জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০-র সুপারিশগুলির পথ ধরে ডি ও এস ই অ্যান্ড এল-ও সমগ্র শিক্ষা অভিযানের মতো বিদ্যমান কর্মসূচিগুলির সশক্তিকরণ এবং পুনর্গঠনে জোর দিয়েছে। সংস্থাটির তরফে শিক্ষাব্যবস্থার ফলাফলগুলিকে উন্নত করার জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের স্বার্থে ‘নিষ্ঠা’ (ন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভ ফর স্কুল হেডস অ্যান্ড টিচারস হোলিস্টিক অ্যাডভান্সমেন্ট) নামক এক সুসংহত শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি জাতীয় স্তরে চালু করা হয়েছে। ডি ও এস ই অ্যান্ড এল-এর এক বছরের সম্পাদিত কার্যতালিকার অন্য উদ্যোগগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল — সমগ্র শিক্ষা উদ্যোগের আওতায় বৃত্তিমূলক শিক্ষা উদ্যোগগুলির সশক্তিকরণ, সফল-এর (স্ট্রাকচারড অ্যাসেসমেন্ট ফর অ্যানালাইজিং লার্নিং) আওতায় সমগ্র ব্যবস্থাটির অবস্থা এবং শিক্ষাগত ফলাফল নির্ধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ধাপগুলির মূল্যায়নের পদ্ধতি চালু করা, এনডিয়ার (ন্যাশনাল ডিজিটাল এডুকেশন আর্কিটেকচার) নামক মুক্ত, আন্তঃপরিচালনযোগ্য, বিকাশযোগ্য, গণ ডিজিটাল শিক্ষার পরিকাঠামোর ঘোষণা যা প্রযুক্তির দ্রুত সম্প্রসারণ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির ব্যবসায়িক সুবিধার উন্নতিকরণের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলবে ইত্যাদি। ডক্টর কে কস্তুরিরঙ্গনের তত্ত্বাবধানে একটি স্টিয়ারিং কমিটি গঠনের মাধ্যমে ডি ও এস ই অ্যান্ড এল জাতীয় পাঠ্যক্রম কাঠামোর পাশাপাশি রাজ্য পাঠ্যক্রম কাঠামোর উন্নয়ন এবং সংস্কারের উদ্দেশ্যে রাজ্যগুলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে।

এন ই পি ২০২০ দ্বারা নির্ধারিত ডিপার্টমেন্ট অব হায়ার এডুকেশনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বগুলির মধ্যে একটি হল সাংবিধানিক আদেশ অনুসারে উচ্চ শিক্ষার মান ধরে রাখা এবং সেটির নিয়ন্ত্রণের জন্য এক নতুন পরিকাঠামো গঠন করা।

উচ্চ শিক্ষা

অন্য দিকে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে বিকাশের গতি অপেক্ষাকৃত মন্থর। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, সামগ্রিক ও বহু বিভাগীয় শিক্ষা বা মুক্তমনা শিক্ষা দানের চার বছর ব্যাপী স্নাতক স্তরের কর্মসূচি — যা জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০-র এক অন্যতম ভিত্তিপ্রস্তর — এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউ জি সি) দ্বারা স্বীকৃত ডিগ্রিগুলির তালিকাভুক্ত হয়নি। এন ই পি ২০২০ দ্বারা নির্ধারিত ডিপার্টমেন্ট অব হায়ার এডুকেশনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বগুলির মধ্যে একটি হল সাংবিধানিক আদেশ অনুসারে উচ্চ শিক্ষার মান ধরে রাখা এবং সেটির নিয়ন্ত্রণের জন্য এক নতুন পরিকাঠামো গঠন করা। এই নতুন পরিকাঠামো অনুযায়ী স্বতন্ত্র, স্বাধীন এবং ক্ষমতাপ্রাপ্ত সংস্থাগুলি পৃথক পৃথক ভাবে নিয়ন্ত্রণ, স্বীকৃতি, অর্থায়ন এবং মান নির্ধারণের কাজগুলি করবে। ভূমিকার এ রূপ পৃথকীকরণ অধিক্ষেত্রগুলির একে অন্যের সঙ্গে মিশে যাওয়া আটকাতে, প্রক্রিয়াটির ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধন করতে, স্বার্থের সংঘাত কমিয়ে আনতে এবং ক্ষমতার কেন্দ্রীভূত হওয়া রুখতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এন ই পি ২০২০-তে কর্মসূচি বাস্তবায়নে সংহতি ধরে রাখার জন্য হায়ার এডুকেশন কমিশন অফ ইন্ডিয়ার (এইচ ই সি আই) — একটি সার্বিক প্রতিষ্ঠান — পরিকাঠামোর মধ্যে এই চারটি স্বতন্ত্র ধারার নির্মাণ অত্যাবশ্যক বলে দর্শানো হয়েছে। এইচ ই সি আই এবং তার সহযোগী ধারাগুলি সংসদে আইন অনুমোদনের মাধ্যমে কার্যকর হতে পারে। কিন্তু এ রকম কোনও বিল তৈরির ইঙ্গিত এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

এন ই পি ২০২০ প্রদত্ত স্থিতিস্থাপকতা অর্জনে কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয় তরফেই একাধিক আইনি সংস্কার প্রয়োজন। এগুলির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত আইন, এবং সেই সব আইন যা ফার্মাসি কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া, দ্য কাউন্সিল অফ আর্কিটেকচার এবং অন্যান্য পেশাদার কাউন্সিলের ভূমিকা নির্ধারণ করে সেগুলি উল্লেখযোগ্য। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পূর্বোল্লিখিত একাধিক কাউন্সিল নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে পরস্পরবিরোধী একাধিক আইনের সঙ্গে যুঝতে হচ্ছে। এন ই পি ২০২০ অনুসারে এই কাউন্সিলগুলিকে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পরিত্যাগ করে পাঠ্যক্রমের মান নির্ধারণ, ফলাফল এবং স্ব স্ব শাখার নৈতিক সততার বিষয়ে মনোনিবেশ করার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কাউন্সিলগুলিকে এ বিষয়ে রাজি করানোর জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হতে পারে। এর সম্পূর্ণ বিপরীতে এক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া (বি সি আই) স্নাতকোত্তর, গবেষণা স্তরের পড়াশোনা, আধিকারিক, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষা সহ আইন শিক্ষাব্যবস্থার সকল প্রেক্ষিত নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে। এগুলির অধিকাংশের সঙ্গেই বি সি আই-এর জন্য বিধিবদ্ধ আদেশ অর্থাৎ উকিলদের নথিভুক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা যাচাইয়ের কোনও সম্পর্ক নেই। স্ব সশক্তিকরণের এই পদক্ষেপ এমন এক সময়ে নেওয়া হয়েছে যখন আইনের অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীই বারের বাইরে গিয়ে কর্পোরেট আইন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং অর্থায়ন ও আন্তর্জাতিক স্তরে সালিশির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহের পথ বেছে নিচ্ছে। ২০১৯ সালের খসড়া এন ই পি-র ধারণা থেকে এন ই পি ২০২০-র সরে আসা এবং প্রস্তাবিত নতুন নিয়ন্ত্রক পরিকাঠামো থেকে মেডিক্যাল (স্বাস্থ্য সংক্রান্ত) এবং আইনি পড়াশোনাকে বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত আগামীতে পুনর্বিবেচনা করে দেখতে হতে পারে। এমনটা না হলে বহু বিভাগীয় এইচ ই আই-গুলির অর্জনের প্রক্রিয়াটি নতুন নিয়ন্ত্রক পরিকাঠামোর সম্পূর্ণ সুবিধা লাভ থেকে বঞ্চিত হবে।

২০১৯ সালের খসড়া এন ই পি-র ধারণা থেকে এন ই পি ২০২০-র সরে আসা এবং প্রস্তাবিত নতুন নিয়ন্ত্রক পরিকাঠামো থেকে মেডিক্যাল (স্বাস্থ্য সংক্রান্ত) এবং আইনি পড়াশোনাকে বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত আগামীতে পুনর্বিবেচনা করে দেখতে হতে পারে। এমনটা না হলে বহু বিভাগীয় এইচ ই আই-গুলির অর্জনের প্রক্রিয়াটি নতুন নিয়ন্ত্রক পরিকাঠামোর সম্পূর্ণ সুবিধা লাভ থেকে বঞ্চিত হবে।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্তশাসনের অধিকার দেওয়ার এন ই পি ২০২০-র সুপারিশ স্বীকৃতি প্রদানকারী পরিকাঠামোগুলির সব উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা এইচ ই আই-গুলিকে প্রতি পাঁচ বছরে অন্তত এক বার প্রত্যয়িত করার ক্ষমতার উপরে বিশেষ ভাবে নির্ভরশীল। কাজের জটিলতা এবং বাস্তবায়নের জন্য জরুরি গতির প্রেক্ষিতে এ হেন প্রয়োজনীয়তা নীতি বাস্তবায়নের সম্মুখে এক কঠিন প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। এইচ ই সি আই বিল এবং এটির বাস্তবায়নের পরিকল্পনার মধ্যে স্বীকৃতি প্রদানকারী সংস্থাগুলির অবিলম্বে পুনর্গঠনের জন্য একটি প্রতিচিত্র থাকা আবশ্যিক। যদিও গণমাধ্যম বা সরকারি বিজ্ঞপ্তির কোথাওই প্রয়োজনীয় তৎপরতার সঙ্গে এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি শুরু করার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

ইতিমধ্যেই বর্তমান নিয়ন্ত্রক তথা অর্থায়ন সংস্থা ইউ জি সি এন ই পি-কে সাহায্য করতে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন ঘটাতে শুরু করেছে। মাত্র কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের জন্য হলেও তারা অ্যাকাডেমিক ব্যাঙ্ক অব ক্রেডিটসের (এ বি সি) ব্যবস্থা চালু করেছে যা ছাত্রছাত্রীদের ক্রেডিট জমাতে এবং একাধিক ডিগ্রি অর্জনে সাহায্য করবে। ক্রেডিট জমানোর প্রক্রিয়াটি দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। বিশেষত সেই মহিলাদের জন্য, যাঁরা আর্থিক এবং সামাজিক কারণে পড়াশোনা ছাড়তে বাধ্য হন। এ বি সি এইচ ই আই-গুলির মধ্যে ছাত্রছাত্রীদের এক প্রতিষ্ঠান থেকে আর এক প্রতিষ্ঠানে পড়তে যাওয়ার সুবিধে এবং কিশোর ও প্রাপ্তবয়স্ক উভয়দের শিক্ষার জন্যই আজীবন সহায়তা প্রদানের মতো কাজ করবে, যা দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে এই মুহূর্তে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়াও ইউ জি সি-র অন্য উদ্যোগগুলির মধ্যে এইচ ই আই-গুলিতে একাধিক বার প্রবেশ ও নির্গমনের নির্দেশিকা, শিক্ষানবিশির সুযোগবিশিষ্ট ডিগ্রি এবং উচ্চ শিক্ষার আন্তর্জাতিকীকরণের নির্দেশিকা জারি করা উল্লেখযোগ্য।

১৯৮৬ সালের নীতির সঙ্গে যেমন প্রোগ্রাম অফ অ্যাকশন (পি ও এ) ১৯৯২ ছিল, ঠিক তেমন ভাবেই এন ই পি ২০২০-র দ্রুত বাস্তবায়ন সহজতর করে তোলার জন্য আবারও একটি পি ও এ প্রস্তুত করার কথা ভাবা যেতে পারে। সর্বোপরি ২০২১ সালে সব এইচ ই আই এবং সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের নীতির মূল ভাবটি বোঝার জন্য আগ্রহী হতে ও নীতির অভিপ্রেত মর্ম অনুযায়ী তাদের নিজস্ব বাস্তবায়ন কর্মসূচি নির্মাণেও ব্রতী হতে দেখা গেছে। এই বছরটি তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে শেষ হলেও আমরা তাকিয়ে থাকব সেই সব রূপান্তরমূলক সম্ভাবনার দিকে যেগুলি ২০২২ সালে উন্মোচিত হবে।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.