Author : Anirban Sarma

Published on Jan 10, 2024 Updated 0 Hours ago

২০২৪ ডিপিআই মডেলের সুযোগ ব্যবহার করার জন্য বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার একত্রীকরণ দেখতে পাবে, এবং এমন ইঙ্গিতও রয়েছে যে ডিপিআই ঘিরে উৎসাহ ব্রাজিলের জি২০ প্রেসিডেন্সিকেও সংক্রামিত করতে পারে৷

২০২৪–এর ভাবনা: ডিজিটাল পাবলিক পরিকাঠামোর বিশ্বব্যাপী পদচিহ্ন

এই প্রবন্ধটি "What to expect in 2024"‌–এর অংশ



এক বছরেরও বেশি সময় আগে, তার জি২০ প্রেসিডেন্সির শুরুতে, ভারত
ঘোষণা করেছিল যে ‘‌প্রযুক্তিগত রূপান্তর এবং ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার (ডিপিআই)’‌ প্রসারিত করা তার মেয়াদের একটি অগ্রাধিকার হবে। বিশেষ করে, ভারত জোর দিয়েছিল যে এটি প্রযুক্তির প্রতি মানবকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির পক্ষে ওকালতি করবে, এবং আন্তঃসংযুক্ত বিষয়ভিত্তিক ক্ষেত্রে, যেমন ‘‌ডিপিআই, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও প্রযুক্তি–সক্ষম উন্নয়ন’‌-এ বৃহত্তর জ্ঞান ভাগ করে নেওয়াকে উন্নত করবে।

২০২৩ সালে জি২০–র নেতা হিসাবে অর্থনৈতিক রূপান্তর, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও উন্নয়ন–এর জন্য একটি নতুন উচ্চস্তরের
টাস্ক ফোর্স জি২০ ডিজিটাল ইকনমি ওয়ার্কিং গ্রুপ এবং অন্য বিভিন্ন জি২০ এনগেজমেন্ট গ্রুপের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে ভারত গ্লোবাল নর্থ ও সাউথের দেশগুলির মধ্যে ডিপিআই সম্পর্কে একটি অসাধারণ স্তরের সচেতনতা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। আজ ডিপিআই মডেল বিশ্বের কাছে একটি প্রধান ভারতীয় অবদান হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে, এবং উন্নয়নের বিভিন্ন পর্যায়ে থাকা দেশগুলি দ্বারা বিবেচিত, গৃহীত বা অভিযোজিত হচ্ছে।


রূপান্তরিত ভারত

 

মৌলিক জনসংখ্যা–আয়তনের প্রযুক্তি ব্যবস্থা হিসাবে ডিপিআই ব্যক্তিসমষ্টি (ডিজিটাল আইডেন্টিটি সিস্টেমের মাধ্যমে), অর্থ (রিয়েল–টাইম সুইফট পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে), ও তথ্য (সম্মতিভিত্তিক, গোপনীয়তা সুরক্ষাসহ, ডেটা–শেয়ারিং সিস্টেমের মাধ্যমে) প্রবাহের ব্যবস্থা করে। ইন্ডিয়া স্ট্যাকের অগ্রগামী ও সমন্বিত স্থাপত্য ভারতকে প্রথম এমন দেশ হতে সাহায্য করেছে যে তিনটি মৌলিক ডিপিআই — আধার অনন্য পরিচয়, ইউনিফাইড পেমেন্টস ইন্টারফেস (ইউপিআই), এবং ডেটা ক্ষমতায়ন ও সুরক্ষা স্থাপত্য (ডিইপিএ) — তৈরি করেছে।

ডিপিআই মডেল বিশ্বের কাছে একটি প্রধান ভারতীয় অবদান হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে, এবং উন্নয়নের বিভিন্ন পর্যায়ে দেশগুলির দ্বারা বিবেচিত, গৃহীত বা অভিযোজিত হচ্ছে। 


একসঙ্গে দেখলে এই তিনটি স্তর পাবলিক সার্ভিস ডেলিভারিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে, এবং এর আগে কখনও দেখা যায়নি এমন আয়তনে গণতান্ত্রিক উদ্ভাবন নিয়ে এসেছে। আজ
৯৯.৯ শতাংশেরও বেশি প্রাপ্তবয়স্ক ভারতীয় গণ–পরিষেবার সুবিধা পাওয়ার জন্য আধার ব্যবহার করেন; ভারতীয়রা প্রতিদিন ৩০ মিলিয়ন লেনদেনের জন্য ইউপিআই ব্যবহার করেন; এবং ডিইপিএ জাতীয় ঋণদান ভূচিত্র পরিবর্তন করছে। গুরুত্বপূর্ণভাবে, ডিপিআইগুলি সরকার ও ব্যবসাগুলিকে ডিপিআই স্তরগুলির উপরে নতুন অ্যাপ্লিকেশন ডিজাইন করার অনুমতি দিয়ে সরকারি ও বেসরকারি উদ্ভাবন চালাচ্ছে; এবং ডিপিআই–তে এম্বেড করা উন্মুক্ত নীতিগুলি স্বাস্থ্য, ঋণ ও বাণিজ্যের পরিসরে খোলা নেটওয়ার্ক তৈরি করতে সাহায্য করছে।


ডিপিআই এর বিশ্বব্যাপী গ্রহণ

 

এর স্বল্প খরচ ও অন্তর্নিহিত আয়তন–বৃদ্ধিযোগ্যতার কথা মাথায় রেখে ডিপিআই–গুলি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করার জন্য অন্যান্য দেশের মধ্যে অনেক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। ভারতীয় প্রেসিডেন্সি এই ক্রমবর্ধমান আগ্রহকে কাজে লাগাতে সক্ষম হয়েছে, এবং এটিকে সুনির্দিষ্ট ফলাফলে রূপ দিতে সক্ষম হয়েছে, অথবা অন্ততপক্ষে ডিপিআই–এর ক্ষমতা ও সম্ভাবনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয় এমন কূটনৈতিক ঘোষণা জনসমক্ষে এনেছে।

উদাহরণস্বরূপ, ২০২৩ সালের মে মাসে
ইইউ–ভারত বাণিজ্য ও প্রযুক্তি কাউন্সিল ‘‌মুক্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশের জন্য ডিপিআই–এর গুরুত্ব’‌ স্বীকার করেছে। ইইউ ও ভারত তাদের নিজ নিজ ডিপিআই–এর আন্তঃব্যবহারযোগ্যতা উন্নত করতে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে, এবং একে উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য নিরাপদ গোপনীয়তা–রক্ষার সমাধান প্রচারের ভিত্তি হিসাবে ব্যবহার করছে। একই মাসে প্রকাশিত কোয়াড লিডারস’ স্টেটমেন্ট–এ ‘‌ইন্দো–প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিতিশীল উন্নয়নকে সমর্থন করার জন্য ডিপিআই–এর […] রূপান্তরমূলক ক্ষমতা’র প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। সাংহাই কো–অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)–এর সদস্যরাও সর্বসম্মতিক্রমে এসসিও সদস্য দেশগুলিকে ইন্ডিয়া স্ট্যাক মূল্যায়ন ও গ্রহণ করতে সহায়তা করার জন্য ভারতের প্রস্তাব সমর্থন করেছে।

ইইউ ও ভারত তাদের নিজ নিজ ডিপিআই–এর আন্তঃব্যবহারযোগ্যতা উন্নত করতে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে, এবং একে উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য নিরাপদ গোপনীয়তা–রক্ষার সমাধান প্রচারের ভিত্তি হিসাবে ব্যবহার করছে।


ডিপিআই–কেন্দ্রিক দ্বিপাক্ষিক ব্যস্ততার অগ্রগতিও চিত্তাকর্ষক হয়েছে। যেমন, জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী মোদীর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় সফরের পর একটি
মার্কিন–ভারত যৌথ বিবৃতি ঘোষণা করেছে যে, উভয় দেশ ‘‌ডিপিআই বাস্তবায়নের জন্য বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব প্রদান’‌ করতে একসঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করে। একইভাবে, জুলাই  মাসে ভারত ও জাপানের বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে একটি শক্তিশালী ও উন্মুক্ত ইন্দো–প্যাসিফিক গড়ে তোলার জন্য প্রযুক্তিগত অংশীদারিত্বের অঙ্গ হিসাবে ডিপিআই শক্তিশালী করার জন্য সহযোগিতার বিষয়ে দূরদর্শী মনোযোগ অন্তর্ভুক্ত ছিল। জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ফ্রান্স সফরে দুই দেশ ফ্রান্সে ইউপিআই উপলব্ধ করার জন্য একটি চুক্তিতে আবদ্ধ হয়, যার উদ্দেশ্য বিরামহীন আন্তঃসীমান্ত লেনদেন সক্ষম করা এবং রেমিট্যান্স পেমেন্ট ও তহবিল স্থানান্তরের খরচ কমানো। এটি ফ্রান্সকে এমন কয়েকটি দেশের মধ্যে সর্বশেষ করে তুলেছে যাদের সঙ্গে ভারতের ইউপিআই–সম্পর্কিত দ্বিপাক্ষিক চুক্তি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, কানাডা, হংকং, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (ইউএই), সৌদি আরব, নেপাল ও ভুটান। ২০২৩ সালের প্রথম দিক থেকে জাপানও ভারতের ইউপিআই সিস্টেম গ্রহণের সম্ভাবনার মূল্যায়ন করছে।


উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য ডিপিআই–এর মূল অবদান, এবং এসডিজি–গুলির
ত্বরণ–সক্ষমকারী  হিসাবে এর মূল্য এখন ব্যাপকভাবে স্বীকৃত। ভারতের মডিউলার ওপেন সোর্স আইডেন্টিটি প্ল্যাটফর্ম (মোসিপ) ২০১৮ সালে তৈরি করা হয়েছিল ভিত্তিগত ডিজিটাল পরিচয় ব্যবস্থা তৈরি করতে চাওয়া দেশগুলিকে সমর্থন করার জন্য। আজ, নয়টি উন্নয়নশীল দেশ মোসিপ–এর মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে অংশীদারিত্ব তৈরি করেছে, এবং তাদের জাতীয় আইডি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে ভারতীয় দক্ষতার উপর নির্ভর করছে। এই ঘটনাটি একটি বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল গণপণ্য হিসাবে ডিপিআই–এর অবস্থানকে আরও সুসংহত করছে। অবশেষে, তার জি২০ প্রেসিডেন্সি চলাকালীন, ভারত আটটি উন্নয়নশীল দেশের সঙ্গে এমওইউ স্বাক্ষর করেছে, যার অধীনে ভারত তাদের ভারত স্ট্যাক আর্কিটেকচার ও ডিপিআই পরিকাঠামোতে বিনা খরচে প্রবেশাধিকার প্রদান করবে।


রাষ্ট্রপুঞ্জ ও অন্যান্য বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠান, যেমন আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডার (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাঙ্ক, দ্ব্যর্থহীনভাবে ডিপিআই পদ্ধতি সমর্থন করেছে।
ডিপিআই–এর উপর সাম্প্রতিক একটি আন্তর্জাতিক সেমিনারে আইএমএফ–এর পর্যবেক্ষণ হল, ভারতের ডিপিআই মডেল বিশ্বব্যাপী দেশগুলির জন্য মূল্যবান পাঠ দেয়, এবং কোভিড–১৯ অতিমা্রি চলাকালীন ভারতের ৮৭ শতাংশ দরিদ্র পরিবারকে সরাসরি সুবিধা স্থানান্তর সক্ষম করার জন্য তারা ডিপিআই–এর প্রশংসা করেছে৷ একইভাবে, বিশ্বব্যাঙ্কের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে ডিপিআইগুলি গত ছয় বছরে ভারতকে ৮০ শতাংশ আর্থিক অন্তর্ভুক্তি অর্জনে সহায়তা করেছে – এমন একটি কৃতিত্ব যার জন্য অন্যথায় ৫০ বছর লাগতে পারে।


২০২৪ সালে কী আশা করা যায়

 

২০২৪ ডিপিআই মডেলের সুবিধার জন্য বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার আরও সংহতিকরণ দেখতে পাবে। আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী এবং স্বতন্ত্র দেশগুলি ভারতীয় প্রেসিডেন্সির ভরবেগ বজায় রাখতে আগ্রহী, এবং বেশ কয়েকটি দেশ তাদের ডিপিআই–এর বিল্ডিং ব্লক স্থাপন করতে পারে। ২০২৩ সালের চুক্তির উপর ভিত্তি করে ভারত, ইইউ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব সম্ভবত তৃতীয় দেশে সক্ষমতা তৈরির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখে ডিপিআই–কেন্দ্রিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে। প্রকৃতপক্ষে, এই ধরনের সহযোগিতামূলক কাজ মার্কিন–ভারত গ্লোবাল ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট অংশীদারির একটি বহুল প্রত্যাশিত উপাদান।

রাষ্ট্রপুঞ্জ ও অন্যান্য বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠান, যেমন আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডার (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাঙ্ক, দ্ব্যর্থহীনভাবে ডিপিআই পদ্ধতি সমর্থন করেছে।


জি২০–তে ভারতের নেতৃত্বে গৃহীত
ডিপিআই–এর সিস্টেমগুলির জন্য উচ্চস্তরের জি২০ ফ্রেমওয়ার্কটি — যা ডিপিআই–গুলি ডিজাইন এবং স্থাপনের জন্য নীতির রূপরেখা দেবে — বিভিন্ন দেশের কাছে তাদের ডিপিআই রোডম্যাপগুলিকে কার্যকর করার সময় একটি অপরিহার্য হাতিয়ার হিসাবে আবির্ভূত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারত বিশ্বজুড়ে ডিপিআই–কেন্দ্রিক সরঞ্জাম, সংস্থান, অনুশীলন ও অভিজ্ঞতাগুলিকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি সহগামী জ্ঞান প্ল্যাটফর্ম — একটি ভার্চুয়াল গ্লোবাল ডিপিআই রিপজিটরি — স্থাপন করবে। বিশ্ব ২০৩০–এর দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন, নিরবচ্ছিন্ন জনসেবা প্রদান এবং ডিজিটাল অর্থনীতির ক্ষেত্রে ডিপিআই–এর প্রমাণিত প্রভাবগুলি দৃষ্টান্তমূলক ভিত্তি হয়ে উঠবে।


এমন ইঙ্গিত রয়েছে যে ডিপিআইগুলিকে ঘিরে উৎসাহের বাতাস ব্রাজিলিয়ান জি২০ প্রেসিডেন্সিকেও সংক্রামিত করতে পারে৷ প্রেসিডেন্ট লুলা ঘোষণা করেছেন যে ব্রাজিলের মেয়াদটি ‘‌
স্থিতিশীল উন্নয়ন অ্যাজেন্ডার জন্য একটি অনন্য সুযোগ’‌ উপস্থাপন করে এবং ‘‌চরম দারিদ্র্য ও অসমতার বিরুদ্ধে লড়াই’‌-এর একটি অগ্রাধিকার হবে। এগুলি এমন চ্যালেঞ্জ যা ডিপিআই–গুলি বিশ্বের অন্যান্য অংশে সুষ্ঠুভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও, ব্রাজিল তার নিজস্ব কিছু জনসংখ্যার আয়তনের ডিজিটাল পরিকাঠামো তৈরি করে অনেক সাফল্য উপভোগ করেছে; এবং ব্রাজিলীয় অংশীদারেরা ভারতীয় ডিপিআই পদ্ধতির সঙ্গে এর ডিজিটাল সিস্টেমগুলিকে সারিবদ্ধ করতে, বা এর অভ্যন্তরীণ প্রেক্ষাপটে ইন্ডিয়া স্ট্যাকের কিছু উপাদান প্রয়োগ করতে, আগ্রহ প্রকাশ করেছে। উদাহরণস্বরূপ, ব্রাজিলের পিক্স ভারতের ইউপিআই–এর প্রায় সমতুল্য; দেশের বহুল প্রশংসিত ওপেন ফাইন্যান্স সিস্টেমটি সম্মতিভিত্তিক ডেটা ভাগ করে নেওয়ার উপর ভিত্তি করে তৈরি এবং ডিইপিএ–এর মতো। এই যুক্তিও দেওয়া হয়েছে যে কনসুমিডর, ব্রাজিল সরকার কর্তৃক চালু করা একটি অনলাইন বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা, একটি ডিপিআই হিসাবে পূর্ণ সম্ভাবনা অর্জন করতে পারে যদি এটি মূল্য সংযোজন পরিষেবাগুলির জন্য ওপেন স্ট্যান্ডার্ড বা অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস (এপিআই) নিয়ে আসে।

মোসিপ–এর মাধ্যমে সহযোগিতা এবং জ্ঞান ভাগ করে নেওয়ার উত্তরাধিকারের প্রেক্ষিতে, এবং সম্প্রতি অংশীদার দেশগুলির সঙ্গে তার সমঝোতাপত্রের মাধ্যমে, ভারত এটি করার জন্য উপযুক্ত।


বিস্তৃতভাবে, ২০২৪ সালে, ভারত সম্ভবত ডিপিআই পরিসরে বিভিন্ন দেশ কী করতে চায়— এবং কিছু ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই কী করেছে— তা আরও ঘনিষ্ঠভাবে বোঝার চেষ্টা করবে, এবং তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে। মোসিপ–এর মাধ্যমে সহযোগিতা এবং জ্ঞান ভাগ করে নেওয়ার উত্তরাধিকারের প্রেক্ষিতে, এবং সম্প্রতি অংশীদার দেশগুলির সঙ্গে তার সমঝোতাপত্রের মাধ্যমে, ভারত এটি করার জন্য উপযুক্ত।

 

অবশেষে, ২০২৪ ডিপিআই ও এআই উন্নয়ন প্রচেষ্টার মধ্যে সংযোগ সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বৃদ্ধির দ্বারা চিহ্নিত হওয়া উচিত। বিপুল পরিমাণ ডেটা হল ডিপিআই–এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, এবং এগুলি এআই মডেলের প্রশিক্ষণের জন্য একটি সম্পদ হতে পারে যদি ডেটা গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার নীতিগুলি দৃঢ়ভাবে বহাল থাকে। ডিইপিএ ২.০–র অংশ হিসাবে ভারত ইতিমধ্যেই কনফিডেন্সিয়াল ক্লিন রুম নামক একটি সমাধান নিয়ে পরীক্ষা করছে, যা হল একটি ‘‌হার্ডওয়্যার–সুরক্ষিত নিরাপদ কম্পিউটিং পরিবেশ, যেখানে মডেল প্রশিক্ষণের জন্য অ্যালগরিদম–নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে সংবেদনশীল ডেটা ব্যবহার করা যেতে পারে’‌। আরও বেশি দেশ এই পদ্ধতিগুলি বুঝতে এবং প্রয়োগ করতে শুরু করলে ডিপিআই–গুলি এআই–ভিত্তিক সমাধানগুলির একটি নতুন তরঙ্গ আনতে সাহায্য করতে পারে।



অনির্বাণ শর্মা ওআরএফ কলকাতা–র ডেপুটি ডিরেক্টর, এবং সেন্টার ফর নিউ ইকনমিক ডিপ্লোম্যাসি–র সিনিয়র ফেলো

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.