Published on Jan 03, 2024 Updated 0 Hours ago

যদিও কঠোর অর্থে ভারতে বিদ্যুতের বাজার নেই, তবে দীর্ঘমেয়াদে সফল হওয়ার জন্য পিএইচএস কিন্তু প্রযুক্তিগত কার্যকারিতা ও পরিবেশগত সুবিধার উপর নির্ভর করতে পারে না।

ভারতে জলবিদ্যুৎ: সাম্প্রতিক চিত্র

এই নিবন্ধটি কম্প্রিহেনসিভ এনার্জি মনিটর: ভারত এবং বিশ্ব  সিরিজের অংশ



১৯৪৭ সালে জলবিদ্যুতের ক্ষমতা ছিল মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার প্রায় 
৩৭ শতাংশ, এবং উৎপাদিত বিদ্যুতের মধ্যে তার অবদান ছিল ৫৩ শতাংশেরও বেশি। ১৯৬০–এর দশকের শেষ দিকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ভারতে জলবিদ্যুৎকে স্থানচ্যুত করতে শুরু করে, এবং ক্ষমতা ও উৎপাদন উভয় ক্ষেত্রেই জলবিদ্যুতের অংশ নাটকীয়ভাবে হ্রাস পায়। ২০২৩ সালের অগাস্টে ভারতে জলবিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৪৬,৮৬৫ মেগাওয়াট, যা ছিল মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার ১১ শতাংশ, আর উৎপাদিত বিদ্যুতে ‌এর অবদান ছিল ১২.৫ শতাংশ। ভারতে ২০২৩ সালে প্রায় ৪৭৪৫.৬ মেগাওয়াট পাম্প করা স্টোরেজ ক্ষমতা ছিল, যার মধ্যে প্রায় ৫৭,৩৪৫ মেগাওয়াট পাম্প করা স্টোরেজ ক্ষমতা ছিল অনুসন্ধান ও নির্মাণের বিভিন্ন পর্যায়ে।


বিশ্বব্যাপী, জলবিদ্যুৎ থেকে ৪,২৫০ টিডব্লিউএইচ (টেরাওয়াট ঘণ্টা) পরিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে, যা ইইউ (ইউরোপীয় ইউনিয়ন)–এর সমগ্র বিদ্যুৎ উপভোগের দেড়গুণ এবং সমস্ত পুনর্নবীকরণযোগ্য উৎপাদনের একত্রিত ক্ষমতার চেয়ে বেশি। 



বিশ্বব্যাপী, জলবিদ্যুৎ হল আজ পর্যন্ত সবচেয়ে প্রভাবশালী নবায়নযোগ্য শক্তির (আরই) উৎস, যা সমস্ত নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের দুই–তৃতীয়াংশেরও বেশি সরবরাহ করে। জলবিদ্যুতের বিশ্বব্যাপী স্থাপন করা বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৬ গিগাওয়াট বৃদ্ধি পেয়ে ২০২১ সালে ১৩৬০ গিগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। বিশ্বব্যাপী, জলবিদ্যুৎ থেকে ৪,২৫০ টিডব্লিউএইচ (টেরাওয়াট ঘণ্টা) পরিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে, যা ইইউ (ইউরোপীয় ইউনিয়ন)–এর সমগ্র বিদ্যুৎ উপভোগের দেড়গুণ এবং সমস্ত পুনর্নবীকরণযোগ্য উৎপাদনের একত্রিত ক্ষমতার চেয়ে বেশি। কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ) ২০৫০ সালের মধ্যে নেট–শূন্য লক্ষ্য পূরণ করতে হলে এবং বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধিতে সীমাবদ্ধ রাখতে হলে যে লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে, এটি সেই ৪৫ গিগাওয়াট বার্ষিক ক্ষমতা সংযোজনের থেকে অনেক কম। তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে বৃদ্ধিতে সীমাবদ্ধ রাখতে হলেও বার্ষিক ৩০ গিগাওয়াট প্রয়োজন হবে। ২০২১ সালে স্থাপিত নতুন জলবিদ্যুৎ ক্ষমতার প্রায় ৮০ শতাংশ চিনে ছিল। ৪.৭ গিগাওয়াট পাম্পড স্টোরেজ হাইড্রোপাওয়ার গ্রিডে যোগ করা হয়েছে, যা ২০২০ সালে যোগ করা পরিমাণের তিনগুণ। জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার বৈশ্বিক বৃদ্ধি ২০২১ সালে ১.৯ শতাংশের সামান্য বেশি ছিল, যা প্যারিস চুক্তির নির্ধারিত লক্ষ্য পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় ২ শতাংশ বার্ষিক গড় বৃদ্ধির কাছাকাছি।


চ্যালেঞ্জ


লার্জ স্টোরেজ হাইড্রো–ইলেকট্রিক প্রকল্পগুলি
কম–কার্বন বিদ্যুৎ উৎপাদন করলেও সেগুলি বিপুলভাবে স্থানীয় পরিবেশগত ও সামাজিক ব্যয় চাপায়। তারা হাজার হাজার মানুষকে বাস্তুচ্যুত করে, এবং নদী বাস্তুতন্ত্রকে ব্যাহত করে, বৃহৎ আকারে বন উজাড় করে, জলজ ও স্থলজ জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি করে, এবং খাদ্য ব্যবস্থা, জলের গুণমান ও কৃষিকে নেতিবাচকভাবে পরিবর্তিত করে। এই পরিবেশগত ও সামাজিক খরচ উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপকে বাঁধ অপসারণের দিকে চালিত করেছে, যদিও সেখানে ১৯৭০–এর দশক পর্যন্ত বড় বাঁধ তৈরি হত। এখন উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপে যত বেশি বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি বাঁধ অপসারণ করা হচ্ছে। এমনকি উন্নয়নশীল দেশগুলিতে যেখানে বাঁধ নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে, সেখানেও এর গতি কমছে। তার কারণ বেশিরভাগ সেরা জায়গাগুলি নেওয়া হয়ে গিয়েছে, এবং তা ছাড়াও আরই–র অন্যান্য উৎস যেমন সৌর ও বায়ু নীতি একচেটিয়া মনোযোগ ও বিনিয়োগ টেনে নিচ্ছে৷ ভঙ্গুর হিমালয় পর্বতমালায়, যেখানে ভারতের বেশিরভাগ নতুন জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে, সেখানে বিধ্বংসী বন্যা ও ভূমিধস এই সব জলপ্রকল্পের জন্য ঝুঁকির মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির শুরুতে উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় ধৌলিগঙ্গা, ঋষিগঙ্গা ও অলকানন্দা নদীতে আকস্মিক বন্যা অনেক প্রাণ নিয়েছিল এবং মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল অনেক জলবিদ্যুৎ প্রকল্পকে। কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ (সিইএ) অনুসারে, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ভারী বৃষ্টিপাত এবং তার ফলে শাটডাউন ও জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলির ক্ষতির কারণে মোট রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে ১.৬ বিলিয়ন ভারতীয় রূপি৷ যদিও কারণ (হিমবাহ বিপর্যয়, তুষারপাত, ভূমিধস) নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে, তাহলেও সাধারণ মতৈক্য রয়েছে যে পর্যাপ্ত মূল্যায়ন ছাড়াই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, মহাসড়ক, রেললাইন ও খননসহ উন্নয়ন প্রকল্পগুলি নিয়ে এগোলে, এবং ক্রমিক প্রভাব ও দুর্যোগের সম্ভাবনাকে অবহেলা করা হলে, তা ক্ষতির পরিমাণই শুধু বাড়ায়।


ভঙ্গুর হিমালয় পর্বতমালায়, যেখানে ভারতের বেশিরভাগ নতুন জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে, সেখানে বিধ্বংসী বন্যা ও ভূমিধস এই সব জলপ্রকল্পের জন্য ঝুঁকির মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে।


প্রকল্পের বিকাশকারীদের পরিবেশগত উদ্বেগের প্রতি ব্যাপক উদাসীনতা ও নিয়ামক সংস্থাগুলির
বিশ্বাসযোগ্য পর্যবেক্ষণ ও সম্মতির অভাব ঝুঁকির পরিমাণ বাড়িয়ে তুলেছে। তবে এর অর্থ এই নয় যে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলি বাতিল করতে হবে৷ ভারতে এমন জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদাহরণ রয়েছে যা সর্বোত্তম আন্তর্জাতিক মান পূরণ করেছে। সিকিমে অবস্থিত তিস্তা–ভি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে ২০১৯ সালে জলবিদ্যুৎ স্থায়িত্বের আন্তর্জাতিক ভাল অনুশীলনের উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরা হয়েছিল। এনএইচপিসি লিমিটেডের (ন্যাশনাল হাইড্রোপাওয়ার কর্পোরেশন) মালিকানাধীন ও পরিচালিত এই ৫১০ মেগাওয়াট পাওয়ার স্টেশনটি আন্তর্জাতিক ভাল অনুশীলন মাত্রার ২০টি কর্মক্ষমতা মানদণ্ডের সব কটিকেই পূরণ করেছে বা অতিক্রম করেছে। ভারতে জলবিদ্যুৎ পরিকল্পনা টেকসই করার জন্য সরকার ও শিল্পকে অবশ্যই নাগরিক সমাজকে, বিশেষ করে যাঁরা সরাসরি প্রকল্পের দ্বারা প্রভাবিত, তাঁদের জড়িত রেখে স্বচ্ছতাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। গবেষণা মডিউলার সমাধানের পরামর্শ দেয় , যা বায়ু, সৌর ও জলবিদ্যুৎকে একত্র করে পরিবেশগতভাবে, সামাজিকভাবে ও আর্থিকভাবে কাম্য বিকল্প শক্তির উৎস সরবরাহ করে। ইনস্ট্রিম টারবাইন পার্কগুলি বাঁধের থেকে অনেক কম বিঘ্নকারী বিকল্প, এবং অনেক কম খরচে শক্তি উৎপাদন করে। বৃহৎ, ‘‌স্মার্ট’‌ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলি তৈরি করা যেতে পারে জাতীয় অর্থনৈতিক সুবিধার পাশাপাশি স্থানীয় ও নিম্নধারার জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক, পরিবেশগত ও সামাজিক উদ্বেগগুলিকে বিবেচনায় রেখে। স্মার্ট প্রকল্পের প্রযুক্তিগত সংস্থান জলজ জীবন ও স্থলজ বাস্তুতন্ত্রের উপর প্রভাব কমাতে পারে। জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলিকে সমর্থন করার জন্য ভারত সরকার পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি বিভাগের অধীনে ২৫ মেগাওয়াটের চেয়ে বড় সব প্রকল্পকে অন্তর্ভুক্ত করেছে, এবং অ–সৌর নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ ক্রয় বাধ্যবাধকতা (আরপিও) হিসাবে জলবিদ্যুৎ ক্রয়ের (এইচপিও) বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে৷ উপযোগিতা বাড়ানোর জন্য প্রকল্পের আয়ু ৪০ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর পর ট্যারিফ ব্যাকলোডিং–সহ শুল্ক যুক্তিযুক্ত করে তোলা, ঋণ পরিশোধের সময়কাল ১৮ বছর বৃদ্ধি করা, ২ শতাংশের ক্রমবর্ধিত শুল্ক প্রবর্তন, রাস্তা ও সেতুর মতো সক্ষমতাদানকারী পরিকাঠামো নির্মাণে বাজেট সহায়তা, এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ পরিষেবাগুলিও চালু করা হয়েছে।


গ্রিড স্থিতিশীলতায় অবদান


বায়ু ও সৌর–সহ অন্যান্য সম্পদের বিপরীতে জলবিদ্যুতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হল এটি যে কোনও সময় দ্রুত প্রেরণ করা যেতে পারে, যা বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থায় লোডের বৈচিত্র্যের ভারসাম্য বজায় রাখতে ইউটিলিটিগুলিকে সক্ষম করে। ভারতে জলবিদ্যুতের লোড–অনুসরণ ক্ষমতা ৫ এপ্রিল ২০২০–তে সবচেয়ে ভালভাবে প্রদর্শিত হয়েছিল, যখন
দেশের অপারেটররা ৩১ গিগাওয়াট চাহিদা কমে যাওয়ার পরেও গ্রিডের স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করেছিলেন। সেই সময় বেশিরভাগ পরিবার ২১.০০ ঘণ্টা থেকে ২১.০৯ ঘণ্টা পর্যন্ত নয় মিনিটের জন্য বৈদ্যুতিক আলো নিভিয়ে দেয়। ঘটনাটি যখন ঘটছিল সেই সময় জলবিদ্যুৎ থেকে উৎপাদন ৬৮ শতাংশেরও বেশি হ্রাস করা হয়েছিল এবং তারপরে অল্প সময়ের মধ্যে তা পুনরুদ্ধার করা হয়, যা না–করা হলে গ্রিডের স্থিতিশীলতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারত।


জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলিকে সমর্থন করার জন্য ভারত সরকার পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি বিভাগের অধীনে ২৫ মেগাওয়াটের চেয়ে বড় প্রকল্পগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করেছে, এবং অ–সৌর নবায়নযোগ্য  ক্রয় বাধ্যবাধকতা (আরপিও) হিসাবে জলবিদ্যুৎ ক্রয়ের (এইচপিও) বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে৷



পাম্পড হাইড্রো স্টোরেজ (পিএইচএস) সুবিধাগুলি উপরের দিকে অবস্থিত জলাধারে জলের সম্ভাব্য শক্তির আকারে শক্তি সঞ্চয় করে, এবং নিম্ন উচ্চতার একটি অন্য জলাধার থেকে তা পাম্প করা হয়। উচ্চ বিদ্যুতের চাহিদার সময় প্রচলিত জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো একই পদ্ধতিতে টারবাইনের মাধ্যমে সঞ্চিত জল ছেড়ে দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। চাহিদা কম থাকার সময় উপরের জলাধারটিতে ফের জল পাম্প করার জন্য গ্রিড থেকে কম খরচে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়। পিএইচএস প্রকল্পগুলি ঐতিহ্যগত জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির থেকে ভিন্ন, কারণ নীচ থেকে উপরের জলাধারে পাম্প করার সময় জলবহন ও বৈদ্যুতিক ক্ষতির কারণে তারা বিদ্যুতের নিট গ্রাহকও বটে। তবে, এই প্ল্যান্টগুলি সাধারণত অত্যন্ত দক্ষ হয় এবং সামগ্রিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে খুব উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। সর্বোচ্চ ও অন্য সময়ের মূল্যের পার্থক্য  এবং গুরুত্বপূর্ণ আনুষঙ্গিক গ্রিড পরিষেবা প্রদানের সম্ভাবনার কারণে পাম্পড–স্টোরেজ সুবিধাগুলি খুব লাভজনক হতে পারে।  বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৬১ গিগাওয়াট পিএইচএস  বিশ্বের বৃহত্তম ‘‌জল ব্যাটারি’‌ হিসাবে কাজ করে, যা স্থাপিত বৈশ্বিক শক্তি সঞ্চয় ক্ষমতার ৯৪ শতাংশেরও বেশি। এটি গ্রিড স্থিতিশীলতা সমর্থন করে এবং সামগ্রিক ব্যবস্থার খরচ ও ক্ষেত্রীয় নির্গমন হ্রাস করে। ভারতে ৪,৭৪৫ মেগাওয়াটের সম্মিলিত ক্ষমতাসহ আটটি পিএইচএস প্ল্যান্ট রয়েছে, এবং ২,৭৮০ মেগাওয়াটের চারটির মতো প্ল্যান্ট তৈরি হচ্ছে। এখন মোট ৪,৭৪৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার মধ্যে পাম্পিং মোডে পরিচালিত হচ্ছে শুধু পাঁচটি প্ল্যান্ট, যাদের সম্মিলিত ক্ষমতা ২,৬০০ মেগাওয়াট। ইতিমধ্যে প্রায় ৯৬,৫০০ মেগাওয়াট মোট সম্ভাব্য পিএইচএস–এর জন্য আরও ৬৩টি সাইট চিহ্নিত করা হয়েছে। ২০২০ সালে ভারতের সোলার এনার্জি কর্পোরেশন (এসইসিআই) বিপরীত নিলাম বা রিভার্স অকশান পদ্ধতির মাধ্যমে বিশ্বের বৃহত্তম পুনর্নবীকরণযোগ্য–ও–শক্তিসঞ্চয়স্থানের শক্তি ক্রয় সংক্রান্ত টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করেছে। গ্রিনকো গ্রুপ পিএইচএস–এর সঙ্গে সৌর শক্তির সমন্বয়ের প্রকল্পে ৬.১২ ভারতীয় রুপি/কেডব্লিউএইচ (কিলোওয়াট ঘণ্টা) পিক পাওয়ার রেট দিয়ে বরাত পেয়েছে।


পিএইচএস–এর অর্থনীতি


বাজারের বাস্তব ও প্রতিযোগিতামূলক চাপের বাইরে কোনও শক্তির সমাধান থাকতে পারে না। যদিও যথাযথ অর্থে ভারতে বিদ্যুতের বাজার নেই, তবে দীর্ঘমেয়াদে সফল হওয়ার জন্য পিএইচএস প্রযুক্তিগত কার্যকারিতা বা পরিবেশগত সুবিধার উপর নির্ভর করতে পারে না।
পিএইচএস–এর জন্য ঐতিহ্যগত আয়ের উৎস হল মূল্যপার্থক্যের সুযোগ নেওয়া:‌ দাম বেশি হলে উৎপাদন সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া, এবং দাম কম হলে পাম্প করা। কিন্তু এটি বিদ্যুতের বাজারে অনুমানযোগ্য পরিবর্তনশীলতার একটি নির্দিষ্ট স্তরের উপর নির্ভর করে, এবং সেই পরিবর্তনশীলতা ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে বলে ধরে নেয়। পিএইচএস একইসঙ্গে কম্পাঙ্ক নিয়ন্ত্রণ, জাড্য ও চ্যুতিস্তর নিয়ন্ত্রণের মতো নেটওয়ার্ক সহায়তা পরিষেবা প্রদান করে, যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সমলয়হীন (‌নন–সিঙ্ক্রোনাস)‌ সৌর ও বায়ু উৎপাদন–সহ একটি গ্রিডে মূল্য সংযোজন করে। এখনও পর্যন্ত এই নেটওয়ার্ক সমর্থন পরিষেবাগুলির জন্য কোনও বাজার নেই। তবে ভবিষ্যতে এই ধরনের পরিষেবাগুলির প্রয়োজনীয়তা এমন পর্যায়ে পৌঁছবে যখন বাজার এর জন্য অর্থ খরচ করতে ইচ্ছুক হবে।



সূত্র: ‌ইন্টারন্যাশনাল হাইড্রোপাওয়ার অ্যাসোসিয়েশন




লিডিয়া পাওয়েল অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের একজন ডিস্টিংগুইশড ফেলো।
অখিলেশ সতী অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের একজন প্রোগ্রাম ম্যানেজার।
বিনোদ কুমার তোমর অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Authors

Lydia Powell

Lydia Powell

Ms Powell has been with the ORF Centre for Resources Management for over eight years working on policy issues in Energy and Climate Change. Her ...

Read More +
Akhilesh Sati

Akhilesh Sati

Akhilesh Sati is a Programme Manager working under ORFs Energy Initiative for more than fifteen years. With Statistics as academic background his core area of ...

Read More +
Vinod Kumar Tomar

Vinod Kumar Tomar

Vinod Kumar, Assistant Manager, Energy and Climate Change Content Development of the Energy News Monitor Energy and Climate Change. Member of the Energy News Monitor production ...

Read More +