যদিও ভারত কোনও ডার্ক হর্স বা আন্ডারডগ নয়, তার বৃদ্ধির পূর্বাভাস সংস্থাগুলির দ্বারা অবমূল্যায়ন করা অব্যাহত রয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) যেখানে ২০২৩-২৪ সালে ৬.৫-৬.৭ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল, ভারত ৮.২ শতাংশের প্রকৃত বৃদ্ধির হার প্রদর্শন করেছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (আরবিআই) ভারতের বৃদ্ধির আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সমালোচনা সত্ত্বেও, তাদের পূর্বাভাসও প্রকৃত সংখ্যার চেয়ে কম ছিল। যাই হোক, হতাশাবাদের তরঙ্গ আবার আঘাত হানে যখন প্রথম ত্রৈমাসিক বৃদ্ধি আগের বছরের ৮.২ শতাংশ থেকে ৬.৭ শতাংশে নেমে আসে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় যখন দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের জিডিপি অনুমান প্রকাশ করে যে বৃদ্ধি ৫.৪ শতাংশে নেমে এসেছে, যা গত বছরে ৮.১ শতাংশ ছিল। বৃদ্ধি গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু তা লক্ষ্যে পৌঁছনোর উপায় হিসাবে, এবং এটি নিজে লক্ষ্য নয়। এই আলোচনা মোট আভ্যন্তর উৎপাদন (জিডিপি) পরিসংখ্যানগুলিকে অন্য বিস্তৃত সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরামিতিগুলির পরিপ্রেক্ষিতে স্থাপন করে।
যেখানে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ২০২৩-২৪ সালে ৬.৫-৬.৭ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল, ভারত ৮.২ শতাংশের প্রকৃত বৃদ্ধির হার প্রদর্শন করে।
সংখ্যার পেছনের গল্প
২০২৪-২৫-এর দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকটি সাতটি ত্রৈমাসিকের মধ্যে সবচেয়ে ধীরগতিতে বৃদ্ধি দেখিয়েছে, যা মিডিয়াতে উদ্বেগের তরঙ্গ তৈরি করেছে। সমালোচনায় ঝাঁপ দেওয়া এবং একটি পদ্ধতিগত সামগ্রিক পরিবর্তনের আহ্বান জানানোর আগে, মন্থরতার কারণগুলি বিশ্লেষণ এবং চিহ্নিত করা প্রয়োজন। সারণী ১ দেখায় যে সরবরাহের দিক থেকে প্রাথমিক ক্ষেত্র স্থবির ছিল, আর ম্যানুফ্যাকচারিং কার্যক্রম উল্লেখযোগ্যভাবে মন্থর হয়েছে। অন্যদিকে, গত বছরের তুলনায় পরিষেবাগুলির মাঝারি বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। চাহিদার দিক থেকে, সরকারি ব্যয় ও বিনিয়োগ উভয়ই ছিল অপ্রতুল, যদিও উপভোগ বেড়েছে এবং ৬ শতাংশ বৃদ্ধি দেখিয়েছে। রপ্তানি বৃদ্ধিতে মন্থরতা থাকলেও সামগ্রিক আমদানিতেও সংকোচন হয়েছে।
সারণী ১: জিডিপি এবং এর উপাদানগুলির বৃদ্ধির হার (স্থির মূল্য)
আইটেম
|
২০২৩-২৪
|
২০২৪-২৫
|
|
ত্রৈমাসিক ১
|
ত্রৈমাসিক ২
|
ত্রৈমাসিক ১
|
ত্রৈমাসিক ২
|
সরবরাহ দিক
|
প্রাথমিক ক্ষেত্র
|
৪.২
|
২.৯
|
২.৭
|
৩.০
|
মধ্যম ক্ষেত্র
|
৫.৯
|
১৩.৭
|
৮.৪
|
৩.৯
|
তৃতীয় ক্ষেত্র
|
১০.৭
|
৬.০
|
৭.২
|
৭.১
|
জিডিপি ৮.২
|
৮.২
|
৮.১
|
৬.৭
|
৫.৪
|
চাহিদার দিক
|
জিএফসিই
|
-০.১
|
১৪.০
|
-০.২
|
৪.৪
|
পিএফসিই
|
৫.৫
|
২.৬
|
৭.৪
|
৬.০
|
জিএফসিএফ
|
৮.৫
|
১১.৬
|
৭.৫
|
৫.৪
|
পণ্য ও পরিষেবা রপ্তানি
|
-৬.৬
|
৫.০
|
৮.৭
|
২.৮
|
পণ্য ও পরিষেবা আমদানি
|
১৫.২
|
১১.৬
|
৪.৪
|
-২.৯
|
সূত্র: এমওএসপিআই
ত্রৈমাসিক জিডিপিতে নির্বাচনের মরসুম এই মরসুমি ওঠানামার বড় অংশ ব্যাখ্যা করতে পারে। পরিকাঠামোগত বিনিয়োগ এবং মোটের উপর বললে মূলধন ব্যয় (ক্যাপেক্স), যা গত কয়েক ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, তা নির্বাচনী খরচের কারণে সীমাবদ্ধ হয়েছে। এটি সরকারি ব্যয় ও বিনিয়োগের হ্রাসকে প্রতিফলিত করে। যদিও নির্বাচনের মুখে নিয়মিত উপভোগ-স্থানান্তর অর্থপ্রদান উপভোগ বাড়াতে সহায়তা করে, কিন্তু তা প্রত্যক্ষভাবে জিডিপির আনুমানিক হিসাবে ধরা হয় না। ২০২৩-২৪ সালের প্রথমার্ধের তুলনায়, সরকারের মোট ব্যয় একই স্তরে রয়ে গিয়েছে, যেখানে ক্যাপেক্স প্রায় ৮০,০০০ কোটি টাকা কমেছে। উচ্চ রাজস্ব সত্ত্বেও, ক্যাপেক্সে সংকোচন অদক্ষতা নির্দেশ করে। আগের বছরের একটি শক্তিশালী পারফরম্যান্সের পর নির্বাচন বা আত্মতুষ্টি, যে কারণকেই দায়ী করা হোক না কেন, ক্যাপেক্স বাড়ানো প্রয়োজন — বাজেটের প্রাককলনের ৬০ শতাংশের বেশি দ্বিতীয়ার্ধে পূরণ করতে হবে।
ম্যানুফ্যাকচারিং পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্স (পিএমআই) এগারো মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম হয়েছে; কিন্তু এটি এমন অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে যা সামগ্রিক অর্থনৈতিক বৃদ্ধির উপর মানচিত্রায়িত করা যেতে পারে।
অর্থনীতির উৎপাদনের দিক থেকে, ম্যানুফ্যাকচারিং দমিত হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। ম্যানুফ্যাকচারিং পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্স (পিএমআই) এগারো মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম হয়েছে; কিন্তু এটি এমন অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে যা সামগ্রিক অর্থনৈতিক বৃদ্ধির উপর মানচিত্রায়িত করা যেতে পারে। শক্তিশালী প্রতিযোগিতা ও উচ্চ মূল্যের কারণে ম্যানুফ্যাকচারিং কর্মক্ষমতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এটি অভ্যন্তরীণ চাহিদা নিয়ন্ত্রণ করছে, কিন্তু আন্তর্জাতিক চাহিদার উপর বিপরীত প্রভাব ফেলেছে, যা চার মাসে সেরা পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেছে। কারখানার কর্মসংস্থানও বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বুঝিয়ে দেয় যে উদ্বেগের কারণ নেই, এবং সংস্কারের জরুরি প্রয়োজনও নেই। এই তথ্য থেকে আশ্বস্ত হওয়া যেতে পারে যে, উৎপাদন পিএমআই ও ইভেন্ট প্রোডাকশন দীর্ঘমেয়াদি গড়ের উপরে রয়েছে। এটি জিডিপির ক্ষেত্রেও সত্য, যেখানে এই ত্রৈমাসিকে প্রকৃত আউটপুট দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
সংখ্যার পিছনে: আরও সংখ্যা
শুধুমাত্র জিডিপি সংখ্যার দিকে তাকানো বিভ্রান্তিকর হতে পারে - অন্যান্য পরামিতি যেমন মূল্যস্ফীতি, অর্থ প্রদানের ভারসাম্য এবং বেকারত্ব বিবেচনা করা প্রয়োজন। মূল্যস্ফীতির ফ্রন্টে, ২০২৩-২৪ সালের এপ্রিল-সেপ্টেম্বর সময়ের জন্য গড় মূল্যস্ফীতি ছিল প্রায় ৪.৮ শতাংশ। এটি এখন বেড়ে ৫.৪ শতাংশ হয়েছে। এই পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় উপাদান হল শাক-সবজির মূল্যস্তর, যেখানে অক্টোবর ২০২৪-এ ৪২.১৮ শতাংশ মূল্যস্ফীতি ঘটেছে। এর ফলে খাদ্য ও পানীয়ের মূল্যস্ফীতি প্রায় ৯.৭ শতাংশ হয়েছে, যার ফলে পরিবার ও ব্যবসার মধ্যে একই রকম অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। সবজির মূল্যস্ফীতির জন্য উৎপাদনের মরসুমি প্রবণতা, চরম আবহাওয়া-জনিত ঘটনাগুলির জন্য সরবরাহ শৃঙ্খলের সংবেদনশীলতা, বাজারে মজুতদারি, এবং আঞ্চলিক চাহিদা বৃদ্ধিকে দায়ী করা যেতে পারে। যদিও এগুলি কৃষি বাজার সংস্কার, হেজিং মেকানিজম এবং স্টোরেজ সম্প্রসারণ দ্বারা মোকাবিলা করা যেতে পারে, বাজারকে ঠান্ডা করার জন্য স্বল্পমেয়াদি প্রতিকার প্রয়োজন।
সবজির মূল্যস্ফীতির জন্য উৎপাদনের মরসুমি প্রবণতা, চরম আবহাওয়া-জনিত ঘটনাগুলির জন্য সরবরাহ শৃঙ্খলের সংবেদনশীলতা, বাজারে মজুতদারি, এবং আঞ্চলিক চাহিদা বৃদ্ধিকে দায়ী করা যেতে পারে।
এপ্রিল-জুন সময়ের জন্য ব্যালান্স অফ পেমেন্টস (বিওপি) ঘাটতি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাসের প্রেক্ষিতে দেশের বাহ্যিক ফ্রন্ট নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। যাই হোক, ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং ভারতে ও বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই নির্বাচনের কারণে, বিদেশী পোর্টফোলিও বিনিয়োগকারীরা (এফপিআই) উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে এবং দেশ থেকে তহবিল সরিয়ে নিয়েছে, যা দেশীয় স্টক মার্কেটকে প্রভাবিত করছে। বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই), যা বিদেশি আস্থার অনেক ভাল পরিমাপ, অবশ্য বছরের প্রথমার্ধে ৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি রেকর্ড করেছে। এর ফলে দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবসায়িক কার্যকলাপের সম্প্রসারণ ঘটা উচিত, যার ফলে ম্যানুফ্যাকচারিং ক্ষেত্র পুনরুজ্জীবিত হবে। চলতি খাতের দিকে তাকালে দেখা যায়, প্রথমার্ধে পণ্য রপ্তানি বেড়েছে মাত্র ০.৯২ শতাংশ। এভাবে রপ্তানির ক্ষেত্রে পরিষেবা ক্ষেত্রের আধিপত্য অব্যাহত রয়েছে। আমদানি হ্রাস সত্ত্বেও, রপ্তানি-নেতৃত্বাধীন বৃদ্ধির উপর ভারতের যৎসামান্য নির্ভরশীলতার পরিপ্রেক্ষিতে, শুধুমাত্র চলতি খাত বিনিয়োগ ও সরকারি ব্যয়ের প্রভাবের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে না।
সারণি ২: কর্মসংস্থান সূচক
সর্ব-ভারতীয়
|
male
|
female
|
person
|
জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০২৩
|
এপ্রিল-জুন ২০২৪
|
জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০২৪
|
জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০২৩
|
এপ্রিল-জুন ২০২৪
|
জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০২৪
|
জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০২৩
|
এপ্রিল-জুন ২০২৪
|
জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০২৪
|
এলএফপিআর
|
৭৩.৮
|
৭৪.৭
|
৭৫
|
২৪
|
২৫.২
|
২৫. ৫
|
৪৯.৩
|
৫০.১
|
৫০. ৪
|
ইউআর
|
৬
|
৫.৮
|
৫. ৭
|
৮.৬
|
৯
|
৮. ৪
|
৬.৬
|
৬.৬
|
৬. ৪
|
সূত্র: এমওএসপিআই
চাকরির ক্ষেত্রে, যা ভারতীয় নীতিনির্ধারকদের জন্য উদ্বেগের একটি প্রধান কারণ, ভাল অগ্রগতি হয়েছে। শ্রমশক্তি অংশগ্রহণের হার (এলএফপিআর) সব লিঙ্গের ক্ষেত্রেই সামগ্রিক স্তরে বেড়েছে। একইভাবে, বেকারত্বের হার (ইউআর) একটি সুস্থিত পতন রেকর্ড করেছে। বেশি কর্মসংস্থান এবং কম আউটপুট—এটা কি প্যারাডক্স নাকি স্পিন ডকটরিং? না। অর্থনীতি কৃষি থেকে উৎপাদন ও পরিষেবায় উদ্বৃত্ত শ্রমের স্থানান্তরের সঙ্গে সামঞ্জস্যবিধান করছে। যাই হোক, এই শ্রম সাধারণত কম দক্ষ এবং অবিলম্বে শিল্প উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে পারে না। এখানেই রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়ে। প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক ক্ষেত্রে উত্তরণের সুবিধার্থে দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ অপরিহার্য। এটি শুধুমাত্র শ্রম প্রবাহ বৃদ্ধি করবে না, সেইসঙ্গে গন্তব্য ক্ষেত্রগুলিতে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করবে।
সমাপনী বিশ্লেষণ
এটা স্পষ্ট যে বৃদ্ধি মন্থর হয়েছে, কিন্তু খুঁটিনাটিগুলি এই কথাই তুলে ধরে যে এটি উদ্বেগের কারণ নয়। অনেক বিশ্লেষক এই ঘটনাটিকে ‘স্ট্যাগফ্লেশন’ এর পাঠ্যপুস্তকের কেস হিসাবে চিহ্নিত করেছেন, যেখানে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি সত্ত্বেও জিডিপি হ্রাস পায়। এটি ভারতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় — জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে, যদিও তা ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকশিত ভারত’ হওয়ার লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, আবহাওয়া পরিস্থিতি এবং বিশ্ব বাজারের পরিবর্তন ত্রৈমাসিক বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করেছে; এখন সরকারের প্রয়োজন দ্বিতীয়ার্ধে ক্যাপেক্স বাড়ানোর উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা। মূল্যস্ফীতির সমস্যা আরবিআই-কে মোকাবিলা করতে হবে, কিন্তু সমস্ত মুদ্রানীতির ক্ষেত্রের মতোই, সময় স্থির করাই হল মূল বিষয়। বৃহত্তর রাষ্ট্রীয় দক্ষতা ও মুক্ত বাজারের উপর জোর দেওয়া উৎপাদনশীলতাকে উদ্দীপিত করতে পারে, এবং মূল্যস্ফীতির সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ডেটা পদ্ধতিগত সংস্কারের প্রয়োজন তুলে ধরে না, বরং এটি বর্তমান নীতিগুলিতে দক্ষতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।
আর্য রায় বর্ধন অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সেন্টার ফর নিউ ইকনমিক ডিপ্লোম্যাসির একজন গবেষণা সহকারী।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.