Published on Sep 28, 2023 Updated 0 Hours ago

কর ও সরকারি ঋণ চালিত সক্রিয় শিল্পনীতি মডেল অনুসরণ করলে তা ব্যক্তিগত চাহিদা–চালিত ভোগ ও বেসরকারি বিনিয়োগ–চালিত বৃদ্ধির পথ খুলে দিতে পারে

বৃদ্ধির আবাহন

এই ভাল খবরটি প্রত্যাশিত মনোযোগ পায়নি যে চতুর্থ ত্রৈমাসিকে (‌জানুয়ারি–মার্চ ২০২৩)‌ ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৬.‌১ শতাংশ ও পুরো অর্থবর্ষে (‌২০২২–২৩)‌ ৭.‌১ শতাংশ। তার আগের অর্থবছর (২০২১–২২) ছিল কোভিড–পরবর্তী প্রথম সাধারণ বছর। একটি সাধারণ ভিত্তি বছরের তুলনায় ৭.১ শতাংশ বৃদ্ধির হার একটি আশার সংকেত। দ্বিতীয়ত, এটি ২০১৮–১৯ থেকে পরিলক্ষিত সেই দুঃখজনক প্রবণতাকে উল্টে দিয়েছে যেখানে শেষ ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধি হ্রাস পায়, যা পরের বছরের জন্য খারাপ খবরের ইঙ্গিত দেয়। এই দুর্ভাগ্যটি শেষ হয়েছে পূর্ববর্তী ছয় অর্থবছরের যে কোনোটির তুলনায় চতুর্থ ত্রৈমাসিকের বৃদ্ধির হার বেশি হওয়ায় এবং বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের বৃদ্ধির হারের প্রায় সমান হওয়ায় (সারণি ১ দেখুন)।

সারণি ১:‌ ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির গতিপথ

২০২২–২৩ সালে ভাগ্যের আকস্মিক পরিবর্তনের ব্যাখ্যা করা আরও কঠিন। একটি ব্যাখ্যা হতে পারে যে তেল আমদানির দাম চতুর্থ ত্রৈমাসিকে সংযত হয়েছিল। জানুয়ারি থেকে মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত গড় মূল্য আগের বছরের একই মাসগুলির তুলনায় ১৭ শতাংশ কম ছিল। ভারতের জিডিপি আমদানিকৃত তেলের দামের জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল। তেলের দামে ১৭ শতাংশ হ্রাস অবশ্যই বৃদ্ধিকে উচ্চতর জায়গায় পৌঁছে দেয়।

এটি কোনও আকস্মিক পড়ে–পাওয়া লাভ ছিল না, বরং ছিল ভারতের বিকশিত বাস্তববাদী কূটনৈতিক অবস্থানের একটি অর্জন। ভারত এমন সময়ে বাজারের হারের চেয়ে কম দামে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত আমদানি অব্যাহত রেখেছিল যখন রাশিয়ার উপর পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞা ও ইউক্রেন সংকট–সংযুক্ত সরবরাহ ব্যাঘাতের কারণে বাজারে দাম বেড়ে গিয়েছিল। এইভাবে, ভারত ইউক্রেনে শান্তি পুনরুদ্ধারের জন্য বহুপাক্ষিক পদক্ষেপকে সমর্থন করার বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি থেকে তার মূল অর্থনৈতিক স্বার্থকে বিযুক্ত করেছিল।

রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ–চালিত বৃদ্ধি

ব্যক্তিগত উপভোগ, যা জিডিপি বৃদ্ধির চালক, এখনও চাঙ্গা নয়। কিন্তু স্থির মূলধন গঠন (বিনিয়োগ), যা বৃদ্ধির আরেকটি চালক, তা পুনরুজ্জীবিত হয়েছে;‌ যদিও বেশির ভাগটাই বর্ধিত রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রের মূলধনী ব্যয়ের হাত ধরে। এই কৌশলটি নেওয়া হয়েছে বিনিয়োগকারীদের আস্থা জাগাতে এবং অর্থনীতিতে ব্যক্তিগত বিনিয়োগকে ঝুঁকিমুক্ত করার উদ্দেশ্যে। সারণি ২ কোভিড–১৯ সংকটের ঠিক আগেকার ২০১৯–২০ সালের জিডিপি–র ২৬.৯ শতাংশ মূলধনী বিনিয়োগের নিম্নবিন্দু থেকে ২০২২–২৩ সালে জিডিপি–র সর্বোচ্চ ২৯.২ শতাংশে পুনরুজ্জীবনের দৃশ্যটি দেখায়।৷

সারণি ২:‌ ভারতের জিডিপি–তে ব্যয়ের উপাদান

সরকার অর্থনীতিতে কতটা বিনিয়োগ করতে পারে তা সীমিত করে ফিসকাল রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড বাজেট ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট ২০০৩–এর অধীনে সরকারি ঋণ ও রাজস্ব ঘাটতির সর্বোচ্চ সীমার নিয়মের মতো আর্থিক সীমাবদ্ধতা। তা সত্ত্বেও সরকার কোভিড–১৯ সময়কালে সমস্ত রকম চেষ্টা করেছে। ২০২০–২১ অর্থবছরে রাজস্ব ঘাটতি (এফডি) জিডিপির ৯.২ শতাংশে পৌঁছেছিল। এটি ২০২৩–২৪ সালে (চলতি অর্থবছর) জিডিপির ৫.৯ শতাংশ হিসাবে এখনও উচ্চ রয়ে গেছে।

সরকার সম্ভবত বর্ধিত আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন স্বীকার করে নিয়ে আর্থিক ঘাটতির আদর্শ শৃঙ্খলায় ফিরে যাওয়ার সময়কাল ২০২৫–২৬–এর পরে করে দিয়েছে, যে বছরে আদর্শ ৪ শতাংশের জায়গায় আর্থিক ঘাটতি জিডিপির ৪.৫ শতাংশের মতো থাকবে বলে ধরা হয়েছে। এটা উদ্বেগজনক হতে পারে। ৭ শতাংশের উপরে জিডিপি বৃদ্ধি বজায় রাখা নির্ভর করে কতটা দ্রুত বেসরকারি বিনিয়োগ পুনরুজ্জীবিত হবে তার উপর। বর্ধিত রাজস্ব ঘাটতি–চালিত বৃদ্ধি অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে কাউন্টার–সাইক্লিক্যাল পাবলিক ফান্ডিংয়ের ক্ষমতা হ্রাস করে অর্থনীতির স্থিতিস্থাপকতাকে ধাক্কা দেয়।

স্থিতিস্থাপক রপ্তানি

২০২২–২৩ সালে উচ্চতর জিডিপি বৃদ্ধির দ্বিতীয় চালক রপ্তানি। জিডিপি–তে রপ্তানির অংশ ২২.৮ শতাংশ ছিল, যা গত ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এটি ভাগ্যের একটি স্বাগত পরিবর্তন, কারণ ভারতীয় নীতি প্রতিষ্ঠানকে খুব সহজেই রপ্তানি হতাশা গ্রাস করে। রপ্তানি–নেতৃত্বাধীন বৃদ্ধির গতিপথ নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী মন্দা ও ক্রমবর্ধমান ভূ–রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা একটি কঠিন প্রেক্ষাপট উপস্থাপন করে। ১৩টি শিল্প ক্ষেত্রের জন্য প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেনটিভ (পিএলআই) প্রকল্পে প্রণোদনা প্রদানের সঙ্গে যুক্ত রপ্তানি কর্মক্ষমতা লক্ষ্যমাত্রাটি একটি বিশ্বব্যাপী প্রতিকূল অর্থনৈতিক পরিবেশের জন্য ক্ষতিপূরণের লক্ষ্য। রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ভারতে বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খল প্রতিষ্ঠা করতে ইচ্ছুক বৈশ্বিক টাইটানদের জন্য নগদ প্রণোদনা দেয়, যা রাজনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য।

১৩টি শিল্প ক্ষেত্রের জন্য প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেনটিভ (পিএলআই) প্রকল্পে প্রণোদনা প্রদানের সঙ্গে যুক্ত রপ্তানি কর্মক্ষমতা লক্ষ্যমাত্রাটি একটি বিশ্বব্যাপী প্রতিশাপঅর্থনৈতিক পরিবেশের জন্য ক্ষতিপূরণের লক্ষ্য।

যাই হোক, এই প্রণোদনার জন্য নির্বাচিত প্রকল্পগুলির মানের উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। একটি সম্পর্কিত সমস্যা হল, যদি চিনা আমদানি কৌশলগতভাবে ব্লক করা হয়, তা হলে বেশি মূল্যের ইনপুট আমদানির সম্ভাব্য বৃদ্ধি। ২০২২–২৩ সালে জিডিপিতে ২৬.৪ শতাংশ আমদানির অংশ তার আগের বছরের ২৪.২ শতাংশের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি ছিল;‌ এবং আগের বছরের তুলনায় ৯ শতাংশ বেশি;‌ যদিও জিডিপি–তে রপ্তানির অংশ মাত্র ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পিএলআই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে নেট রপ্তানি কীভাবে বৃদ্ধি পায় তা আমাদের দেখতে হবে। প্রাথমিক তথ্যের উপর তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্তে পৌঁছনো বিভ্রান্তিকর হতে পারে।

দ্বিতীয় স্তরের স্বদেশিকরণ

আত্মনির্ভর উৎপাদনের সারমর্ম উপলব্ধি করতে হলে বন্ধু বলে বিবেচিত দেশগুলির বিশ্ব ব্র্যান্ডগুলিতে ইনপুটের দেশীয় সরবরাহ একটি ফোকাস ক্ষেত্র হওয়া উচিত। ইনপুট তৈরির জন্য একা না–এগিয়ে তৃতীয় দেশগুলি সহ বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা দেশীয় বাস্তুতন্ত্রের মান বাড়াতে পারে ও গভীরতা যোগ করতে পারে।

জাতীয় উৎপাদন ক্ষমতার উন্নয়ন কখনওই সস্তা নয়। এটাই ছিল স্বাধীনতার পর সরকারি ক্ষেত্রের শিল্পায়নের চার দশকের অভিজ্ঞতা। সেই সময়ে পরিকাঠামো ও ধাতুগুলিতে মূলগত বিনিয়োগের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। আজ, সহ–অবস্থিত বিশ্ব প্রস্তুতকারকদের বেসরকারি আনুষঙ্গিক সরবরাহকারীদের একটি স্তর যুক্ত করা আরও বেশি মৌলিক কাজ। দক্ষ চাকরির প্রাপ্যতার পুনরুজ্জীবন, যার জন্য মানব সম্পদ ইতিমধ্যেই বিদ্যমান, এর একটি ভাল ফলাফল হতে পারে।

অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধি

ব্যয়বহুল আয় সহায়তা কর্মসূচি থাকা সত্ত্বেও ব্যক্তিগত উপভোগ উল্লেখযোগ্য হয়নি — ২০১৭–১৮ সালে জিডিপির ৫৯ শতাংশ বনাম অর্থনীতির নোটবন্দীকরণ–চালিত পুনর্বিন্যাসের পরে ৬০.৬  শতাংশ। উপভোগ ও বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার একটি আরও টেকসই উপায় হল মূল্যস্ফীতি ৪ শতাংশের মধ্যে নিয়ন্ত্রণযোগ্য হয়ে উঠলে নীতিগত সুদের হার কমানো।

আত্মনির্ভর উৎপাদনের সারমর্ম উপলব্ধি করতে হলে বন্ধু বলে বিবেচিত দেশগুলির বিশ্ব ব্র্যান্ডগুলিতে ইনপুটের দেশীয় সরবরাহ একটি ফোকাস ক্ষেত্র হওয়া উচিত।

মূল্যস্ফীতি কমেছে, কিন্তু আদর্শ মানের উপরে

ভোক্তা মূল্যস্ফীতি মার্চে ৫.৬৬ শতাংশ থেকে কমে ২০২৩ সালের এপ্রিলে ৪.৭ শতাংশে নামার চালিকাশক্তি ছিল খাদ্যমূল্যের মূল্যস্ফীতি মার্চের ৫.১১ শতাংশ থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়ে এপ্রিলে ৪.২ শতাংশ হওয়া। উদ্ভিজ্জ তেল ও চর্বি, মাংস ও শাক–সবজির দাম ব্যাপকভাবে কমেছিল। কিন্তু খাদ্যশস্য, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেশি ছিল। জ্বালানি মূল্যস্ফীতিও মার্চের ৮.৯১ থেকে এপ্রিলে ৫.৫২ শতাংশে নেমে এসেছিল, তবে মূল মূল্যস্ফীতি উচ্চতর ছিল।

জিডিপির অংশ হিসাবে কর রাজস্বের একটি সীমা নির্ধারণ

একটি দ্বিতীয় বিকল্প হল:‌ এ কথা মাথায় রেখে করের হার কমানো যে স্থির করের হার ও মূল্যস্ফীতি–সামঞ্জস্যহীন আয়করের হার সৎ করদাতাকে শাস্তি দেয়। করের হার কমানোর ঝুঁকি হল তা কর প্রাপ্তি থেকে ক্রমবর্ধমান রাজস্ব সীমিত করে, যা কি না এমন একটি সংস্থান যা সরকার বিনিয়োগ বাড়াতে এবং রাজস্ব ঘাটতি ও ঋণের মাত্রা ‌নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহার করেছে। জাতীয় নির্বাচনের মুখোমুখি সময়ে করের হার হ্রাস করা সৎ, ব্যক্তিগত করদাতাদের রাষ্ট্রগঠনের প্রচেষ্টার একটি উপযুক্ত স্বীকৃতি হতে পারে। সরকার যে পরিমাণকে জিডিপি–র ন্যায্য করের অংশ হিসাবে বিবেচনা করে, তা স্বচ্ছভাবে সীমাবদ্ধ করা সরকারের উপর একটি কঠিন বাজেটের সীমাবদ্ধতা আরোপ করে। কিন্তু তা আর্থিক অগ্রাধিকারের সঙ্গে সম্পর্কহীন বিপুল ব্যয়কেও সীমাবদ্ধ করতে পারে।

কর যৌক্তিকতা

অসংজ্ঞায়িত, অদক্ষ ‘‌সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা’‌ এবং সরকারি ক্ষেত্রের অদক্ষ পরিষেবা প্রদানকারীদের জন্য ভর্তুকির ক্রমবর্ধমান মাত্রার অর্থায়নের বোঝা ৮০ মিলিয়ন ব্যক্তিগত আয়করদাতা সম্পূর্ণভাবে বহন করতে পারেন না। এই করদাতারাই উপভোগের চাহিদার সিংহভাগ তৈরি করেন, যা শিল্প বিনিয়োগ ও চাকরি পুনরুজ্জীবিত করার একমাত্র স্থিতিশীল উপায়। করের পরিবর্তে তাদের পকেটে টাকা রেখে দেওয়া এবং তারপরে পুনরায় বিতরণ করা আরও ভাল।

সরকার যে পরিমাণকে জিডিপি–র ন্যায্য করের অংশ হিসাবে বিবেচনা করে, তা স্বচ্ছভাবে সীমাবদ্ধ করা সরকারের উপর একটি কঠিন বাজেটের সীমাবদ্ধতা আরোপ করে।

আরও বিস্তৃত ক্ষেত্রে, সরকারকে ক্ষুদ্রস্তরে বিনিয়োগের ব্যবস্থাপনা বা সরকারি পরিষেবা সরাসরি দেওয়ার পরিবর্তে বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে দক্ষতার পুনর্নির্মাণ করতে হবে। বর্তমানে সরকার তার মূল আদেশের পরিধির বাইরের উদ্বেগের সমাধান করতেই ব্যস্ত রয়েছে। শুধু বাজারের ব্যর্থতার ক্ষেত্রগুলিকে সরকারি হস্তক্ষেপের জন্য বেছে নেওয়া হলে তা ব্যয় হ্রাস করতে পারে। তার ফলে সরকার প্রাথমিক কাজগুলিতে নজর দিতে পারে এবং তার বাইরের কাজকর্ম থেকে কৌশলগত দূরত্ব রক্ষা করতে পারে। এই বাকি কাজগুলি সরকারের নিম্ন স্তর বা হালকাভাবে নিয়ন্ত্রিত বেসরকারি বাজার বা জনসম্প্রদায় অংশীদারিত্ব দ্বারা সর্বোত্তমভাবে পরিচালিত হয়। কর ও সরকারি ঋণ চালিত সক্রিয় শিল্পনীতি মডেল অনুসরণ করলে তা ব্যক্তিগত চাহিদা–চালিত ভোগ ও বেসরকারি বিনিয়োগ–চালিত বৃদ্ধির পথ খুলে দিতে পারে


সঞ্জীব অহলুওয়ালিয়া অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের একজন উপদেষ্টা।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.