-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
ফেমটেক যেমন লিঙ্গ-কেন্দ্রিক উদ্ভাবনের সম্ভাবনা তুলে ধরে, তেমনই তহবিল, গবেষণা ও নীতি সহায়তায় নারীর প্রবেশাধিকার সীমিতকারী কাঠামোগত বাধাকেও স্পষ্ট করে
"ফেমটেক" শব্দটি ২০১৬ সালে উদ্যোক্তা ইডা টিন তৈরি করেছিলেন। এই শব্দটি প্রবর্তনের পিছনে তাঁর উদ্দেশ্য ছিল প্রযুক্তি জগতে নারীর স্বাস্থ্য সম্পর্কে কথোপকথনকে স্বাভাবিক করা। এটি স্বাস্থ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রের ব্যবসাগুলির জন্য একটি সার্বিক শব্দ হিসাবে কাজ করে, এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, যার মধ্যে রয়েছে সিসজেন্ডার, লিঙ্গ-অননুসারী ও যৌন সংখ্যালঘু মহিলাদের প্রভাবিত করে এমন সমস্যাও, যদিও তা এর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। মহিলাদের উপর অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রভাব ফেলতে পারে এমন অন্য স্বাস্থ্য সমস্যাগুলির পাশাপাশি ফেমটেক যে সমাধানগুলি নিয়ে আসে তা মাতৃত্বকালীন স্বাস্থ্য, মাসিক স্বাস্থ্য, উর্বরতা, মেনোপজ এবং গর্ভরোধের মতো ক্ষেত্রগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে। এই শিল্পের প্রাথমিক ফোকাস মূলত মাসিক এবং উর্বরতার উপর ছিল, কিন্তু তারপর থেকে এটি ফিটনেস, মানসিক স্বাস্থ্য ও যৌন সুস্থতা প্রযুক্তি, এবং সেইসঙ্গে বেশ কয়েকটি সাধারণ স্বাস্থ্য অবস্থা নিয়ে কাজ করে যা মহিলাদের অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে বা ভিন্নভাবে প্রভাবিত করে (যেমন অস্টিওপোরোসিস বা হৃদরোগ)।
এই শিল্পের প্রাথমিক ফোকাস মূলত মাসিক এবং উর্বরতার উপর ছিল, কিন্তু তারপর থেকে এটি ফিটনেস, মানসিক স্বাস্থ্য ও যৌন সুস্থতা প্রযুক্তি, এবং সেইসঙ্গে বেশ কয়েকটি সাধারণ স্বাস্থ্য অবস্থা নিয়ে কাজ করে যা মহিলাদের অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে বা ভিন্নভাবে প্রভাবিত করে।
বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সমাজ দিবস ২০২৫ ‘ডিজিটাল রূপান্তরে লিঙ্গ সমতা’ প্রতিপাদ্যকে কেন্দ্র করে উদযাপন করা হয়েছে। সেই সময়, ফেমটেক একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রায়শই উপেক্ষিত দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে: কীভাবে ডিজিটাল প্রযুক্তিকে নারীর স্বাস্থ্যের চাহিদা পূরণে কাজে লাগানো যেতে পারে। প্রাপ্তিযোগ্য এবং ব্যক্তিগতকৃত স্বাস্থ্যসেবা সমাধানের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ নারীর ক্ষমতায়নের সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও, ফেমটেক বাধা পায় তহবিলে লিঙ্গ পক্ষপাত, নিয়ন্ত্রক বাধা এবং সামাজিক নিষেধাজ্ঞার মতো কাঠামোগত চ্যালেঞ্জ দ্বারা, যা নিম্নলিখিত বিভাগগুলিতে আলোচনা করা হয়েছে।
ফেমটেক ভূদৃশ্যের মানচিত্র তৈরি করা
এক সময় স্বাস্থ্যসেবার মধ্যে একটি বিশেষ ক্ষেত্র হিসাবে বিবেচিত ফেমটেক এখন বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত একটি ক্ষেত্র। ক্রমবর্ধমান সচেতনতা এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তিগতকৃত স্বাস্থ্য সমাধানের চাহিদা ক্রমবর্ধমান। ফেমটেক পিরিয়ড-ট্র্যাকিং অ্যাপ থেকে উর্বরতা, মাতৃত্বকালীন যত্ন, মেনোপজ সহায়তা এবং দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা ব্যবস্থাপনাকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রসারিত হয়েছে। পরিধেয় প্রযুক্তি, মোবাইল প্ল্যাটফর্ম এবং এআই-সক্ষম ডায়াগনস্টিকস গ্রহণের ফলে এর প্রসার আরও ত্বরান্বিত হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী, এর বাজারে দুই অঙ্কের বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, এবং শুধুমাত্র ভারতেই ২০২৩ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশীয় চাহিদার উপর জোর দিয়ে এটি তিনগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, প্রতিবেদন অনুসারে, স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজনে ডিজিটাল সরঞ্জাম গ্রহণের ক্ষেত্রে পুরুষদের তুলনায় নারীদের সম্ভাবনা ৭৫ শতাংশ বেশি, যা ফেমটেককে বিশাল সম্ভাবনার বাজারে পরিণত করেছে।
ফেমটেক পিরিয়ড-ট্র্যাকিং অ্যাপ থেকে উর্বরতা, মাতৃত্বকালীন যত্ন, মেনোপজ সহায়তা এবং দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা ব্যবস্থাপনাকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রসারিত হয়েছে।
এই গতি সত্ত্বেও, ফেমটেক এখনও সামগ্রিক স্বাস্থ্য প্রযুক্তি বিনিয়োগের খুব সামান্য অংশ পায়, যা তহবিল এবং গবেষণার অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রে গভীর লিঙ্গ বৈষম্যকে প্রতিফলিত করে। ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের মতে, ফেমটেকের বিনিয়োগ মোট স্বাস্থ্য প্রযুক্তি তহবিলের মাত্র ১-২ শতাংশ, এবং চিকিৎসা গবেষণা তহবিলের ২ শতাংশেরও কম আজও গর্ভাবস্থা, প্রসব এবং মহিলা প্রজনন স্বাস্থ্যের জন্য ব্যয় করা হয়।
ফেমটেকের বৃদ্ধির প্রতিবন্ধকতা
ফেমটেক নারীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি এবং অভিজ্ঞতার রূপান্তরের প্রতিশ্রুতি দিলেও, এর বৃদ্ধি এখনও লিঙ্গ বৈষম্যের বাস্তবতা দ্বারা প্রভাবিত। প্রতিটি উদ্ভাবনের পিছনে কিছু কাঠামোগত বাধা রয়েছে যা প্রায়শই প্রযুক্তি ও চিকিৎসা উভয় ক্ষেত্রেই নারীদের কথা শোনা, অর্থায়ন এবং গুরুত্ব সহকারে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে দৈনন্দিন চ্যালেঞ্জগুলির প্রতিফলন ঘটায়:
❅ প্রযুক্তি খাতে ক্রমবর্ধমান লিঙ্গ বৈষম্য
বিশ্বব্যাঙ্কের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, প্রযুক্তি-সম্পর্কিত ক্ষেত্রে বিশ্বের কর্মীবাহিনীর এক-তৃতীয়াংশেরও কম নারী। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নারীর অনুপাত হ্রাস পেয়েছে। বিশ্বব্যাপী, প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট পদের মাত্র ৩২ শতাংশ নারীর দখলে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের পদে এই নিম্ন প্রতিনিধিত্ব ফেমটেক পরিসরসহ পণ্যগুলির উন্নয়ন এবং অগ্রাধিকার নির্ধারণকে প্রভাবিত করতে পারে।
❅ তহবিলে লিঙ্গ বৈষম্য
ফেমটেকের ক্রমবর্ধমান দৃশ্যমানতা সত্ত্বেও, তহবিলের ধরনগুলি এখনও প্রতিষ্ঠিত লিঙ্গ পক্ষপাতকে প্রতিফলিত করে। নারী প্রতিষ্ঠাতারা প্রায়শই লিঙ্গ পক্ষপাতপূর্ণ একটি স্টার্টআপ বাস্তুতন্ত্রে তাঁদের অবস্থান খুঁজে পেতে লড়াই করেন। বিশ্বব্যাপী এবং ভারতে ফেমটেক এন্টারপ্রাইজগুলির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ নারীদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। এর অনেকগুলি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যগত ব্যবধান বা জীবনের অভিজ্ঞতা দ্বারা পরিচালিত হয়। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল (ভিসি) তহবিলের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য লিঙ্গ বৈষম্য রয়েছে। প্রতিষ্ঠাতা দলে একজন মহিলা থাকা স্টার্টআপগুলির তুলনায় পুরুষ প্রতিষ্ঠাতাদের তহবিল পাওয়ার সম্ভাবনা চারগুণ বেশি। মহিলা-প্রতিষ্ঠিত সংস্থাগুলিকে লিঙ্গভিত্তিক দৃষ্টিকোণ থেকে মূল্যায়ন করা হয়, যেখানে ভিসি-রা এই প্রতিষ্ঠাতাদের সীমিত প্রযুক্তিগত জ্ঞান, ব্যবসায়িক ধারণা বাস্তবায়নে কম সক্ষম এবং আরও বেশি ঝুঁকি তৈরি করে বলে মনে করেন।
❅ নারী-নেতৃত্বাধীন ফেমটেক স্টার্টআপগুলির জন্য ছোট তহবিল চুক্তি
এমনকি যখন নারী-নেতৃত্বাধীন ফেমটেক কোম্পানিগুলি তহবিল পেতে সক্ষম হয়, তখনও তারা সাধারণত তাদের পুরুষ প্রতিপক্ষের তুলনায় কম মূলধন পায়। সাম্প্রতিক একটি বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে ২০১০ সাল থেকে, মহিলা প্রতিষ্ঠাতাদের ফেমটেক কোম্পানিগুলি তুলনীয় পুরুষ-প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিগুলির থেকে গড়ে প্রতি চুক্তিতে ২৩ শতাংশ কম মূলধন সংগ্রহ করেছে। তাছাড়া, শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য প্রতিষ্ঠিত ফেমটেক স্টার্টআপগুলি এই খাতে প্রায় ২৮ শতাংশ ভেঞ্চার তহবিল পেয়েছে, যেখানে শুধুমাত্র পুরুষদের জন্য প্রতিষ্ঠিত সংস্থাগুলি প্রায় ৩৮ শতাংশ দখল করেছে।
সাম্প্রতিক একটি বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে ২০১০ সাল থেকে, মহিলা প্রতিষ্ঠাতাদের ফেমটেক কোম্পানিগুলি তুলনীয় পুরুষ-প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিগুলির থেকে গড়ে প্রতি চুক্তিতে ২৩ শতাংশ কম মূলধন সংগ্রহ করেছে।
এই বৈষম্যগুলি শুধু পরিসংখ্যান নয়। এগুলি কী ধরনের পণ্য তৈরি করা হয়, কাদের সেবা দেওয়া হয় এবং কতদূর তারা এগোতে পারে, তা নির্ধারণ করে। উর্বরতা বা মাসিক স্বাস্থ্যের মতো গভীর ব্যক্তিগত এবং প্রায়শই সাংস্কৃতিকভাবে সংবেদনশীল ক্ষেত্রগুলিতে কাজ করা অনেক মহিলা প্রতিষ্ঠাতার জন্য বিনিয়োগকারীদের সহানুভূতি বা বোঝাপড়ার অভাব একটি স্থায়ী বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলস্বরূপ এমন একটি তহবিল পরিবেশ তৈরি হয় যেখানে মহিলাদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে উদ্ভাবনের জন্য সবচেয়ে বেশি সক্ষম ব্যক্তিরা প্রায়শই সম্পদের অভাবে ভোগেন এবং উপেক্ষিত হন।
❅ স্বাস্থ্য এবং প্রযুক্তি গবেষণায় লিঙ্গভিত্তিক তথ্যের ঘাটতি
চিকিৎসা গবেষণা বছরের পর বছর ধরে পুরুষদের উপর অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে কেন্দ্রীভূত হয়েছে, যার ফলে নারীর স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্যের উল্লেখযোগ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এই লিঙ্গ পক্ষপাতের ফলে বিভিন্ন রোগের ও ওষুধ সম্পর্কে ফলাফল পুরুষদের উপর পরিচালিত পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, এবং তারপর মহিলাদের উপর তা প্রয়োগ করা হয়েছে। মহিলাদের স্বাস্থ্যের চাহিদা, বিশেষ করে প্রজনন স্বাস্থ্য, মেনোপজ বা হরমোনজনিত ব্যাধি সম্পর্কিত চিকিৎসা তথ্য এবং ক্লিনিকাল ট্রায়ালের অভাব রয়েছে। এটি একটি বড় বাধা উপস্থাপন করে, কারণ শক্তিশালী ডেটাসেট ছাড়া, ফেমটেক উদ্ভাবকদের প্রায়শই প্রমাণ-সমর্থিত পণ্য তৈরি করতে বা ক্লিনিকাল কার্যকারিতা প্রদর্শন করতে লড়াই করতে হয়। এটি শুধু পণ্য বিকাশকেই প্রভাবিত করে না, বরং জাতীয় ডিজিটাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নিয়ম মেনে চলা এবং তার সঙ্গে সংযুক্তিকেও জটিল করে তোলে।
❅ সাংস্কৃতিক কলঙ্ক এবং সামাজিক ট্যাবু
সম্ভবত ফেমটেকের সবচেয়ে অনন্য চ্যালেঞ্জ হল নারীর দেহকে ঘিরে সাংস্কৃতিক নীরবতা কাটিয়ে ওঠা। অনেক নারীস্বাস্থ্য বিষয় ঐতিহাসিকভাবে ব্যক্তিগত, বিব্রতকর বা এমনকি নিষিদ্ধ বলে বিবেচিত হয়েছে, এবং এই কলঙ্কের ধারণা ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও ছড়িয়ে পড়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, ২০২৫ সালে, ইউরোপের ছয়টি নারী স্বাস্থ্য স্টার্টআপের একটি দল ফেমটেক কন্টেন্টের সিস্টেমিক ডিজিটাল সেন্সরশিপ সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করে। তারা এমন অসংখ্য ঘটনা নথিভুক্ত করেছে যেখানে নারী স্বাস্থ্য বিজ্ঞাপন বা সামাজিক পোস্টগুলিকে নীতি লঙ্ঘনের জন্য "শ্যাডোব্যান" করা হয়েছিল বা সরানো হয়েছিল, এমনকি যখন সেগুলিতে কেবল শারীরবৃত্তীয় ভাষা বা ক্লিনিকাল তথ্য ছিল। ইতিমধ্যে, পুরুষ-কেন্দ্রিক পণ্যের জন্য সামগ্রী (যেমন ইরেক্টাইল ডিসফাংশন ঔষধ) একই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এই সেন্সরশিপ ফেমটেক ব্যবসাগুলিকে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত করে — কেউ কেউ ব্লক করা বিজ্ঞাপন এবং অ্যাকাউন্ট সাসপেনশনের কারণে উল্লেখযোগ্য রাজস্ব হারানোর কথা জানিয়েছেন, যার ফলে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছনো এবং বিনিয়োগ পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
অনেক নারীস্বাস্থ্য বিষয় ঐতিহাসিকভাবে ব্যক্তিগত, বিব্রতকর বা এমনকি নিষিদ্ধ বলে বিবেচিত হয়েছে, এবং এই কলঙ্কের ধারণা ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও ছড়িয়ে পড়েছে।
একত্রে, এই চ্যালেঞ্জগুলি একটি গভীর সমস্যার দিকে ইঙ্গিত করে: ফেমটেক এন্টারপ্রাইজগুলি একটি সক্রিয় বাস্তুতন্ত্র ছাড়াই উদ্ভাবন করে চলেছে। এটি আরও সক্রিয় নীতি পরিবেশ কেমন হতে পারে তা বিবেচনা করার জন্য প্ররোচিত করে।
লিঙ্গ অন্তর্ভুক্ত ডিজিটাল স্বাস্থ্য ভবিষ্যতের দিকে নীতি তৈরি করা
ক্রমবর্ধমান ভোক্তা চাহিদা এবং সামাজিক প্রাসঙ্গিকতা সত্ত্বেও, ফেমটেক আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোয় মূলত অনুপস্থিত। ভারতের বর্তমান ডিজিটাল স্বাস্থ্য নীতি এবং স্টার্টআপ ইন্ডিয়া বা জাতীয় ডিজিটাল স্বাস্থ্য মিশনের মতো স্টার্টআপ সহায়তা প্রকল্পগুলি এখনও ফেমটেককে একটি স্বতন্ত্র ফোকাস ক্ষেত্র হিসাবে স্বীকৃতি দেয়নি। এই অনুপস্থিতি নিরপেক্ষ নয় — এটি স্বীকৃতির অভাবকে ইঙ্গিত করে যা শেষ পর্যন্ত কীভাবে তহবিল বরাদ্দ হবে, কোন উদ্ভাবনগুলি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে, এবং কে গুরুত্বপূর্ণ সমাধান তৈরি করতে পারে, তার উপর নির্ভর করে।
এই পরিসরটির পর্যবেক্ষণকারী একজন গবেষক হিসাবে, সংযোগ বিচ্ছিন্নতা বিশেষভাবে তীব্র বলে মনে হয়, কারণ প্রতিষ্ঠাতা এবং ব্যবহারকারী উভয়ের মধ্যেই উচ্চাকাঙ্ক্ষা বিদ্যমান। তবুও, বর্তমান নীতিগুলি, যদিও সদুদ্দেশ্যপূর্ণ, এমনভাবে ক্ষেত্র-নিরপেক্ষ বা লিঙ্গ-নিরপেক্ষ হতে থাকে যা ঋতুস্রাব, মেনোপজ বা উর্বরতার মতো কলঙ্কিত বা গভীরভাবে লিঙ্গ-বিদ্বেষপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যাগুলিতে কাজ করা ব্যক্তিদের চাহিদা সম্পূর্ণরূপে পূরণ করতে পারে না। এই বিষয়গুলির সমাধান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলি অর্ধেক জনসংখ্যার স্বাস্থ্য ও উদ্দেশ্যপূর্ণ হস্তক্ষেপের কেন্দ্রবিন্দু, এবং সেইসঙ্গে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি ও জনস্বাস্থ্য সমতার বৃহত্তর লক্ষ্যও বটে।।
ডিজিটাল রূপান্তরে যখন আমরা লিঙ্গ সমতা নিয়ে আলোচনা করছি, তখন আমাদের জিজ্ঞাসা করা উচিত: আমরা কি এমন এমন উদ্ভাবনের জন্য জায়গা তৈরি করছি যা নারীর বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ? কখনও কখনও, জায়গা তৈরির জন্য ব্যাপক সংস্কারের প্রয়োজন হয় না — শুধু সঠিক ক্ষেত্রে চিন্তাশীল, দৃশ্যমান সমর্থন প্রয়োজন।
তনুশা ত্যাগী অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সেন্টার ফর ডিজিটাল সোসাইটির গবেষণা সহকারী
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Tanusha Tyagi is a research assistant with the Centre for Digital Societies at ORF. Her research focuses on issues of emerging technologies, data protection and ...
Read More +