Published on Dec 18, 2021 Updated 0 Hours ago

দেশের তিন রাজ্যের সঙ্গে আগে আলোচনা না–করে সেখানে বিএসএফ–এর এক্তিয়ার বাড়ানোর ঘটনার মধ্যে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ফাটল স্পষ্ট হল।

রাজ্যগুলোতে বিএসএফ–এর এক্তিয়ার বাড়ানো নিয়ে কেন্দ্র–রাজ্য বিরোধের ব্যবচ্ছেদ

আন্তর্জাতিক সীমান্ত সংলগ্ন তিনটি রাজ্যে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (‌বিএসএফ)‌–এর কাজের এক্তিয়ার বাড়ানোর যে সিদ্ধান্ত সম্প্রতি নেওয়া হয়েছে, তার ফলে ভারতে কেন্দ্র–রাজ্য বিবাদ নতুন করে শুরু হয়েছে। যে তিনটি রাজ্যে বিএসএফ–এর এক্তিয়ার বাড়ানো হয়েছে সেগুলি হল অসম, পশ্চিমবঙ্গ ও পঞ্জাব। এর মধ্যে পঞ্জাব  পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আছে বিজেপি–বিরোধী শক্তি, আর তারাই বিজেপি–শাসিত কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। তাদের অভিযোগ, এ ভাবে ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ করা হচ্ছে।

বিএসএফ–এর এক্তিয়ার বাড়ানো হয়েছে শুধু ফৌজদারি বিধি (‌সিআরপিসি)‌, ১৯২০ সালের পাসপোর্ট (‌ভারতে প্রবেশ)‌ আইন ও ১৯৬৭ সালের পাসপোর্ট আইনের ক্ষেত্রে।

১৯৬৮–র বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স আইনের আওতায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের জারি করা সাম্প্রতিক একটি নির্দেশে বলা হয়েছে, ভারতের আন্তর্জাতিক সীমান্ত পাহারা দেওয়ার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রের অধীন বিএসএফ–এর এক্তিয়ার এই তিনটি রাজ্যে আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত করা হল। বিএসএফ–এর ক্ষমতার মধ্যে আছে তল্লাশি ও গ্রেফতার করা, এবং এত দিন পর্যন্ত এই রাজ্যগুলিতে সেই অধিকার ছিল সীমান্ত থেকে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। ওই নির্দেশেই গুজরাতে বিএসএফ–এর কাজের পরিধি ৮০ কিলোমিটার থেকে কমিয়ে সীমান্তের ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত করা হয়েছে। তবে বিএসএফ–এর এক্তিয়ার বাড়ানো হয়েছে শুধু ফৌজদারি বিধি (‌সিআরপিসি)‌, ১৯২০ সালের পাসপোর্ট (ভারতে প্রবেশ)‌ আইন ও ১৯৬৭ সালের পাসপোর্ট আইনের ক্ষেত্রে। এনডিপিএস (নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস)‌ আইন, অস্ত্র আইন ও কাস্টমস আইনের মতো অন্যান্য আইনের আওতায় গ্রেফতার, তল্লাশি ও বাজেয়াপ্ত করার ক্ষমতা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

জাতীয় নিরাপত্তা বনাম রাজ্যের স্বাধিকার বিতর্ক

পঞ্জাব ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন্দ্রকে যুক্তরাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বণ্টন দুর্বল করে দেওয়ার দায়ে অভিযুক্ত করেছে। কেন্দ্র কিন্তু নিজের সমর্থনে বলেছে, এই নতুন নির্দেশ জারি করার প্রয়োজন পড়েছিল বিএসএফের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য, যাতে ভারতের আন্তর্জাতিক সীমান্তকে মুক্ত রাখা যায় বেআইনি সীমালঙ্ঘন বা আন্তঃসীমান্ত অপরাধ থেকে, ‘‌যার মধ্যে পড়ে মাদক, অস্ত্রশস্ত্রের চোরাচালান বন্ধ করা এবং গবাদি পশু চোরাচালান ও জাল টাকার র‌্যাকেট ভেঙে ফেলা’‌। এ কথাও বলা হয়েছে যে এই সাম্প্রতিক সংশোধনীর মাধ্যমে সীমান্তবর্তী পঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাত, রাজস্থান ও অসমে বিএসএফের এক্তিয়ার সম্পর্কে একটি অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নেওয়া হল, কারণ এই সব রাজ্যেই বিএসএফ এখন সীমান্তের ৫০ কিলোমিটার ভেতর পর্যন্ত কাজ করতে পারবে। কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্রে আরও বলা হয়েছে যে এই ব্যবস্থা নেওয়ার অন্যতম কারণ হল পঞ্জাব ও জম্মু-কাশ্মীরের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় ড্রোনের মাধ্যমে অস্ত্র নামানো ও মাদক পাচারের ঘটনা বেড়ে যাওয়া। সিদ্ধান্তের সমর্থনে এই যুক্তিও দেওয়া হচ্ছে যে আগে বিএসএফের এক্তিয়ার সীমিত হওয়ার ফলে এই রাজ্যগুলির আরও ভেতর দিকে অবস্থিত ‘‌পয়েন্টস অফ অরিজিন’–এ‌, অর্থাৎ যেখানে চোরাচালানের সামগ্রী রাখা হয় এবং তার সঙ্গে সংযুক্ত নেটওয়ার্ক সক্রিয় থাকে, সেখানে তারা সক্রিয় ভাবে কাজ করতে পারত না। এই সিদ্ধান্তের ফলে বিএসএফ–এর পুলিশি ক্ষমতা বেড়ে গেল, এমন সংশয় নিরসন করতে এ কথা জোর দিয়ে বলা হয়েছে যে এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিএসএফ–কে কোনও অপরাধের তদন্ত করার ক্ষমতা দেওয়া হয়নি, এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট রাজ্যের স্থানীয় কর্তৃপক্ষের হাতেই তুলে দেওয়া হবে।

এ কথাও বলা হয়েছে যে এই সাম্প্রতিক সংশোধনীর মাধ্যমে সীমান্তবর্তী পঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাত, রাজস্থান ও অসমে বিএসএফের এক্তিয়ার সম্পর্কে একটি অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নেওয়া হল, কারণ এই সব রাজ্যেই বিএসএফ এখন সীমান্তের ৫০ কিলোমিটার ভেতরে পর্যন্ত কাজ করতে পারবে।

কিন্তু সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট বিরোধী–শাসিত রাজ্যগুলির সন্দেহের বৈধ কারণ আছে। তাদের সন্দেহ, প্রস্তাবিত প্রয়াসের ফলে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ ঘটতে পারে। বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে যে রাজ্যের আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে, সেই পশ্চিমবঙ্গে সংশোধিত নোটিশের ফলে ‘‌রাজ্যের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এলাকা এবং উত্তরবঙ্গের রাজনৈতিক ভাবে সংবেদনশীল অঞ্চলের অধিকাংশ বিএসএফ–এর এক্তিয়ারের মধ্যে চলে এল’‌। পঞ্জাব, যার সঙ্গে পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে, সেই রাজ্যটির ‘‌অন্তত ন’‌টি জেলা’‌ পুরোপুরি ভাবে বা অংশত বিএসএফ–এর বর্ধিত এক্তিয়ারের মধ্যে পড়বে। ইতিমধ্যেই বিএসএফ–এর সঙ্গে পঞ্জাব পুলিশের সমন্বয়ের অভাবের উদাহরণ রয়েছে, এবং এমন উদ্বেগ তৈরি হয়েছে যে বিএসএফ–এর বর্ধিত ক্ষমতার ফলে রাজ্য পুলিশের মধ্যে এক্তিয়ার ও ক্ষমতাগত অস্পষ্টতা নিয়ে সংশয় বাড়বে। এই রাজ্যগুলি যে কারণে আরও উদ্বিগ্ন তা হল কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এই রাজ্যগুলির সঙ্গে পরামর্শ করেনি, এবং তার ফলে ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো দুর্বল করা হয়েছে। টিএমসি এই প্রসঙ্গে নাগা পিপলস মুভমেন্ট অফ হিউম্যান রাইটস বনাম কেন্দ্রীয় সরকার মামলায় (‌নভেম্বর ২৭, ১৯৯৭)‌ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উদাহরণ দিয়ে বলেছে, সর্বোচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল যে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের সময় কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলির ক্ষমতাকে প্রতিস্থাপন করতে পারে না, এবং একটি রাজ্যের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর কাজের সময় সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সহযোগিতা চাইতে হবে। সংশয় তৈরি হয়েছে যে যথেষ্ট রক্ষাকবচ ছাড়া বিএসএফের ক্ষমতা বাড়ানোর ফলে সেই ক্ষমতার অপব্যবহার হতে পারে, এবং তার ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হতে পারে। এই উদ্বেগও প্রকাশ করা হয়েছে যে এই ক্ষমতাগুলির অপব্যবহার করে বিরোধী নেতাদের এই সব রাজ্যে মাদক বা অস্ত্র পাচারের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হতে পারে।

কেন্দ্রীকরণের ধারাবাহিকতা

জাতীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের এই ভাবে কেন্দ্রীকরণের প্রবণতা একটা ধারাবাহিক ঘটনা যা কোনও একটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার যখন কেন্দ্রে ক্ষমতায় ছিল, তখন ২০১২ সালের মার্চ মাসে রাজ্যসভায় পেশ করা হয়েছিল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (সংশোধনী)‌ বিল, যার মাধ্যমে যেখানে বিএসএফ মোতায়েন করা হয়েছে দেশের তেমন যে কোনও জায়গায় তাদের তল্লাশি চালানো, বাজেয়াপ্ত করা ও গ্রেফতারের ক্ষমতা দিতে চাওয়া হয়েছিল। এই বিলটি সেই সময় বিরোধী বিজেপি–শাসিত রাজ্যগুলির তীব্র বাধার মুখে পড়েছিল। অভিযোগ করা হয়েছিল রাজ্যের স্বাধিকার লঙ্ঘন করতে কেন্দ্র ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছে। ইউপিএ শাসনকালে জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত আরেকটি নীতিগত বিষয় ছিল সন্ত্রাসবিরোধী নিরাপত্তা সংস্থা ন্যাশনাল কাউন্টার টেররিজম সেন্টার (‌এনসিটিসি) তৈরির প্রস্তাব, যা শুধু বিজেপি–শাসিত রাজ্যগুলির তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়েনি, সেই সঙ্গেই আঞ্চলিক দলগুলি শাসিত বেশ কিছু রাজ্য এর বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়েছিল। বলা হয়েছিল এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর আঘাত নেমে আসবে। ইউপিএ ছিল একটা জোট সরকার যেখানে তার নিজের গরিষ্ঠতা ছিল না, আর সেই কারণেই রাজনৈতিক বিরোধিতার মুখে দুটি ক্ষেত্রেই তাদের বাধ্য হয়ে পিছু হটতে হয়েছিল। তবে জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ কাজে লাগিয়ে রাজ্যের এক্তিয়ারের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের ঢুকে পড়ার প্রয়াস কিন্তু ইউপিএ ও এনডিএ উভয়ের শাসনকালেই পুনরাবৃত্ত হচ্ছে।

প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে রাজনৈতিক পক্ষপাত

জাতীয় নিরাপত্তা ও রাজ্যের স্বাধিকারের আখ্যান শুধু কোন দল কেন্দ্রে ক্ষমতায় আছে তার উপরই নির্ভর করে না, সেই সঙ্গেই তা কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে রাজ্য সরকারগুলির ও তাদের নেতৃত্বের সম্পর্কের গতিশীলতার উপরেও নির্ভরশীল। তাই এই ধরনের বিষয়গুলি নিয়ে কী মনোভাব নেওয়া হবে তা বিষয়গত শর্তাবলির থেকেও রাজনৈতিক পক্ষপাতের উপর বেশি নির্ভর করে। কংগ্রেসের শাসনের সময় বিজেপি দলনেতারা কেন্দ্রের ক্ষমতা এই ভাবে বৃদ্ধি করার প্রস্তাবকে যুক্তরাষ্ট্রীয়তার উপর আঘাত হিসেবে আক্রমণ করেছিলেন। একই ভাবে এখন বিশেষ করে পঞ্জাবে, বিরোধী শিবিরে থাকা কংগ্রেস এখনকার কেন্দ্রীয় শাসক বিজেপি–র একই ধরনের ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণের প্রয়াসের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছে। রাজনৈতিক মেরুকরণ কী ভাবে ঘটছে তা দেখা যাচ্ছে এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে যে বিজেপি–বিরোধী দলগুলির দ্বারা শাসিত পশ্চিমবঙ্গ ও পঞ্জাব এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলেও একই ভাবে এই নির্দেশের আওতায় আসা বিজেপি–শাসিত অসম কিন্তু কেন্দ্রের সাম্প্রতিক বিজ্ঞপ্তিটিকে স্বাগত জানিয়েছে। চিত্তাকর্ষক ঘটনা হল পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং, যিনি আগে ছিলেন কংগ্রেস দলে আর এখন সেই কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ত হওয়ার পরে বিজেপির শরিক হতে আগ্রহী, তিনি সাম্প্রতিক নির্দেশটিকে সমর্থন করছেন, যদিও অতীতে ২০১৬ সালে পঞ্জাবে ক্ষমতায় থাকার সময় কংগ্রেস নেতা হিসেবে তিনি বিএসএফ–এর ভূমিকা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন।

তবে জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ কাজে লাগিয়ে রাজ্যের এক্তিয়ারের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের ঢুকে পড়ার প্রয়াস কিন্তু ইউপিএ ও এনডিএ উভয়ের শাসনকালেই পুনরাবৃত্ত হচ্ছে।

সামনের পথ

এই সত্য অনস্বীকার্য যে ভারতের মতো আয়তন ও গুরুত্বের একটি দেশে, যেখানে দক্ষিণ এশিয়ার মতো অস্থির অঞ্চলে একাধিক ছিদ্রযুক্ত ও সংবেদনশীল আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে, সেখানে সীমান্ত–নিরাপত্তা সম্পর্কে সতর্ক হওয়া দরকার। বিষয়টি আরও গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে যে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ ও অন্যান্য অপরাধ ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু এটাও ঘটনা যে ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থায় রাজ্যগুলোকে নিজের এক্তিয়ারের মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিচালনার প্রাথমিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, এবং সেই কারণেই রাজ্যগুলির কর্তৃত্বের ক্ষেত্রটিকে প্রভাবিত করে এমন সুরক্ষা–ব্যবস্থা সম্পর্কিত যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করা উচিত। পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বিএসএফ ও রাজ্য পুলিশের মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতার ক্ষেত্রটি তৈরি করতে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির যৌথ ভাবে এগিয়ে আসা উচিত। ইন্টারস্টেট কাউন্সিল–এর মতো যুক্তরাষ্ট্রীয় আলোচনার প্রাতিষ্ঠানিক পরিসরগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করা প্রয়োজন, যাতে রাজনৈতিক পক্ষপাতের বাধ্যবাধকতা অতিক্রম করে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মধ্যে অতি–প্রয়োজনীয় সংলাপ ও আলাপ–আলোচনা চালানো যায়। একটি পরামর্শমূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোই শুধু ভারতের গণতান্ত্রিক রাজনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে পারে।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.