সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের জন্য প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেনটিভ (পিএলআই) স্কিমটি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ৭৬,০০০ কোটি ভারতীয় রুপি (১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) ব্যয় বরাদ্দের সঙ্গে চালু করা হয়েছিল, যা এই কৌশলগত শিল্পের জন্য প্রথম জাতীয় কর্মসূচি চিহ্নিত করেছিল। পিএলআই স্কিম হল ক্রমবর্ধমান উৎপাদনের উপর ভিত্তি করে প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে ভারতের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সরকারের পছন্দের নীতিগত হাতিয়ার। বর্তমানে, এই প্রকল্পটি ভারতীয় অর্থনীতির ১৪টি ক্ষেত্রব্যাপী প্রয়োগ করা হয়। সেমিকন্ডাক্টরদের জন্য পিএলআই স্কিম হল যে কোনও শিল্পের প্রতি সরকারের সবচেয়ে বড় প্রতিশ্রুতি, যা এই শিল্পের গুরুত্ব তুলে ধরে। তুলনায়, পিএলআই স্কিমের অধীনে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৃহত্তম ব্যয় যথাক্রমে অটোমোবাইল (২৫,৯৩৮ কোটি ভারতীয় রুপি) এবং অ্যাডভান্স কেমিস্ট্রি সেল (১৮,১০০ কোটি ভারতীয় রুপি) উৎপাদনকে দেওয়া হয়েছিল। এটি ভারতে সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন ইউনিট স্থাপনের জন্য বেশ কয়েকটি সংস্থাকে আকৃষ্ট করে, যা তার সেমিকন্ডাক্টর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি চিহ্নিত করেছে। পিএলআই স্কিমের অধীনে পাঁচটি প্রকল্প পাইপলাইনে রয়েছে। যাই হোক, সম্ভাব্য ত্রুটিগুলি তুলে ধরতে এবং কাটিয়ে উঠতে এবং দীর্ঘমেয়াদি সাফল্য নিশ্চিত করতে স্কিমটির মূল্যায়ন করা গুরুত্বপূর্ণ।
পিএলআই স্কিম হল ক্রমবর্ধমান উৎপাদনের উপর ভিত্তি করে প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে ভারতের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সরকারের পছন্দের নীতিগত হাতিয়ার।
সেমিকন্ডাক্টরের জন্য পিএলআই স্কিমের লক্ষ্য সেমিকন্ডাক্টর ফাউন্ড্রি, অ্যাসেম্বলি, টেস্টিং, মার্কিং ও প্যাকেজিং (এটিএমপি)/ আউটসোর্সড সেমিকন্ডাক্টর অ্যাসেম্বলি অ্যান্ড টেস্ট (ওস্যাট) [১] কেন্দ্রগুলিতে এবং ডিসপ্লে ফ্যাব্রিকেশন কেন্দ্রগুলিতে [২] ম্যানুফ্যাকচারিং ক্ষমতা তৈরি করা। প্রকল্পটি উৎপাদন সুবিধা স্থাপনের জন্য প্রকল্প ব্যয়ের ৫০ শতাংশ দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। কিছু রাজ্য অতিরিক্ত প্রণোদনাও দেয়। যাই হোক, এই ভর্তুকি ওই ক্ষেত্রের প্রতিটি নির্মাতার কাছে যায় না। সারণি ১-এ দেখানো হিসাবে বিনিয়োগ, রাজস্ব সীমা, প্রযুক্তি ও ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে প্রকল্পগুলি নির্বাচন করা হয়।
সারণি ১: সেমিকন্ডাক্টরের জন্য পিএলআই-এর অধীনে বিভিন্ন ধরনের ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের জন্য যোগ্যতার মানদণ্ড
ম্যানুফ্যাকচারিং
|
বিনিয়োগ নিম্নসীমা
|
রাজস্ব নিম্নসীমা*
|
প্রযুক্তি
|
ক্ষমতা
|
সিলিকন সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাব্রিকেশন কেন্দ্র
|
২০০ বিলিয়ন ভারতীয় রুপি
|
৭৫ বিলিয়ন ভারতীয় রুপি
|
৩০০ এমএম ওয়েফার আকার
|
৪০,০০০ ওয়াফটার স্টেটার/ প্রতি মাস
|
ডিসপ্লে ফ্যাব্রিকেশন কেন্দ্র
|
১০০ বিলিয়ন ভারতীয় রুপি
|
৭৫ বিলিয়ন ভারতীয় রুপি
|
টিএফটি এলডিসি-র জন্য জেনারেশন ৪ বা তার বেশি অথবা অ্যামোলেড-এর জন্য জেনারেশন ৬ বা তার বেশি
|
টিএফটি এলসিডি-র জন্য ৬০,০০০ প্যানেল/ প্রতি মাস বা তার বেশি, অথবা অ্যামোলেড-এর জন্য ৩০,০০০ প্যানেল/ প্রতি মাস বা তার বেশি
|
এটিএমপি/ওস্যাট
|
৫০০ মিলিয়ন ভারতীয় রুপি
|
তথ্য অমিল
|
১৫০/২০০ এমএম বা বেশি
|
৫০০ বা তার বেশি ওয়েফার স্টার্টস/ প্রতি মাসে
|
সূত্র: ইন্ডিয়া সেমিকন্ডাক্টর মিশন ওয়েবসাইটে উপলব্ধ স্কিম ডকুমেন্টের উপর ভিত্তি করে লেখকের সংকলন
* জমা দেওয়ার বছরের আগের তিনটি আর্থিক বছরের যেকোনো একটিতে সংস্থা গোষ্ঠীর রাজস্ব অন্তর্ভুক্ত করা
একবার প্রকল্পটি নির্বাচিত হয়ে গেলে সরকার সম-ভিত্তিতে প্রণোদনা প্রদান করে, যার অর্থ ভর্তুকি সংস্থার কাছে অবিলম্বে উপলব্ধ হয়। ভর্তুকিটি সুবিধাভোগীর একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়, যাকে "নো-লিয়েন অ্যাকাউন্ট" (এনএলএ) বলা হয়। এই অ্যাকাউন্টটি তহবিলের প্রবাহ ট্র্যাক করতে এবং প্রকল্প-বহির্ভূত উদ্দেশ্যে বিচ্যুতি এড়াতে সাহায্য করে। ভর্তুকি বিভিন্ন কিস্তিতে বিতরণ করা হয়। সুবিধাভোগী তার তহবিলের অংশ জোগাড় করে এনএলএ-তে জমা করার পরে ভর্তুকি জমা পড়ে। সুবিধাভোগী একটি প্রকল্প প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরেই পরবর্তী কিস্তি দেওয়া হয়। যোগ্য আর্থিক সহায়তার সম্পূর্ণ পরিমাণ প্রদান না হওয়া পর্যন্ত প্রক্রিয়াটি চলতে থাকে।
সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের মধ্যে উদ্ভাবন ও প্রতিযোগিতার জন্য এটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বিবেচনা করে বলতেই হবে যে, আরঅ্যান্ডডি-এর উপর স্কিমটির ফোকাস তুলনামূলকভাবে কম।
একবার ভর্তুকি বিতরণ প্রক্রিয়া শুরু হলে, সুবিধাভোগীরা কিছু দায়বদ্ধতার অধীন হন। তাঁদের অবশ্যই (১) স্ব-প্রত্যয়িত ত্রৈমাসিক পর্যালোচনা প্রতিবেদন (কিউআরআর) জমা দিতে হবে, (২) বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হওয়ার পরে এটি কমপক্ষে তিন বছরের জন্য উৎপাদন বজায় রাখবে তা নিশ্চিত করে একটি অঙ্গীকারপত্র জমা দিতে হবে, এবং (৩) সময়সীমা মেনে চলতে হবে যে সমগ্র প্রকল্পটি অবশ্যই অনুমোদনের ছয় বছরের মধ্যে কার্যকর হবে।
সম্ভাব্য ধাক্কার জায়গা
১। গবেষণা ও উন্নয়নে অপ্রতুল ফোকাস (আরঅ্যান্ডডি)
পিএলআই স্কিম আরঅ্যান্ডডি-র জন্য ব্যয়ের ২.৫ শতাংশ আলাদা করে রেখেছে। কিন্তু সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের মধ্যে উদ্ভাবন ও প্রতিযোগিতার জন্য এটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বিবেচনা করে বলতেই হবে যে, আরঅ্যান্ডডি-এর উপর স্কিমটির ফোকাস তুলনামূলকভাবে কম। তার উপর, পিএলআই স্কিমের অধীনে আরঅ্যান্ডডি ব্যয়ের সুস্পষ্ট দিকনির্দেশের অভাব রয়েছে, এবং কোনও নির্দিষ্ট লক্ষ্য বা অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র উল্লেখ করা হয়নি।
প্যাকেজিং, টেস্টিং, ম্যানুফ্যাকচারিং প্রযুক্তি এবং কর্মীদের উন্নয়নের উপর গবেষণার অগ্রগতির মতো নির্দিষ্ট আরঅ্যান্ডডি লক্ষ্যগুলি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পিএলআই স্কিমটি সংশোধন করা উচিত। গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং অ্যাকাডেমিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করা হলে তা পিএলআই স্কিমের কার্যকারিতা বাড়াবে। আরও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তি কেন্দ্রের মতো সেমিকন্ডাক্টর গবেষণার জন্য একটি জাতীয় কেন্দ্রবিন্দু স্থাপন করা হলে তা ভারতের গবেষণা ক্ষমতাকে শক্তিশালী করবে।
২। উৎপাদনের জন্য স্পষ্ট কৌশলের অভাব
পিএলআই স্কিম সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় সমান প্রণোদনা প্রদান করে। যাই হোক, ভারতের সক্ষমতা ম্যানুফ্যাকচারিং প্রক্রিয়ার প্রতিটি অংশের সঙ্গে সমানভাবে সারিবদ্ধ হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ফ্যাব্রিকেশন কেন্দ্র বাড়ানোর জন্য সরকারের পরিকল্পনা ভারতের জন্য অত্যধিক উচ্চাভিলাষী হতে পারে। একটি ফ্যাব্রিকেশন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত মূলধন-নিবিড়, এবং বিনিয়োগ প্রায়ই ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যায়। একটি ফ্যাব্রিকেশন ইউনিটকে ভর্তুকি দেওয়া সরকারের জন্য একটি বিশাল খরচ, যেমন পিএসএমসি (পাওয়ারচিপ সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কর্পোরেশন)-টাটা প্রকল্প ৯১,০০০ কোটি টাকা মূল্যের, যার মধ্যে ৫০ শতাংশ পিএলআই স্কিমের অধীনে ভর্তুকি পেয়েছিল ৷ ফ্যাব্রিকেশন ম্যানুফ্যাকচারিং সরবরাহ শৃঙ্খলে প্রবেশ করার জন্য এটি একটি উপযুক্ত মুহূর্তও নয়। ভূ-রাজনৈতিক উন্নয়নের কারণে, বেশ কয়েকটি দেশ বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলের উপর নির্ভরতা কমাতে তাদের সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাব্রিকেশন কেন্দ্র স্থাপনের দিকে কাজ করছে। দেশগুলির মধ্যে তাদের ফ্যাব্রিকেশন প্ল্যান্ট তৈরির দৌড় একটি খণ্ডিত বৈশ্বিক সেমিকন্ডাক্টর বাজার এবং বিশ্বব্যাপী উৎপাদন ক্ষমতার অতিরিক্ত সরবরাহের দিকে নিয়ে যেতে পারে। ভারত ম্যানুফ্যাকচারিং মূল্যশৃঙ্খলে এক নতুন প্রবেশকারী, এবং ফ্যাব্রিকেশন প্ল্যান্টে বিনিয়োগ করার প্রত্যাশিত লভ্যাংশ নাও পেতে পারে।
সংস্থাগুলি ঐতিহাসিকভাবে উন্নয়নশীল বিশ্বে এটিএমপি সুবিধা স্থাপন করেছে, কারণ মূল্য শৃঙ্খলের এই অংশটি শ্রম-নিবিড়। ফ্যাব্রিকেশনের তুলনায় উৎপাদনে এটি একটি নিম্ন-মূল্য সংযোজন হিসাবে বিবেচিত হয়।
পরিবর্তে, পিএলআই স্কিম এমন একটি এলাকা চিহ্নিত করে আরও কৌশলী হতে পারে যেখানে ভারত দ্রুত কলেবর বৃদ্ধি করতে পারে এবং বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। এটিএমপি/ওএসএটি ভারতের জন্য একটি সুযোগ উপস্থাপন করে, কারণ এতে প্রবেশে বাধা কম। সংস্থাগুলি ঐতিহাসিকভাবে উন্নয়নশীল বিশ্বে এটিএমপি সুবিধা স্থাপন করেছে, কারণ মূল্য শৃঙ্খলের এই অংশটি শ্রম-নিবিড়। ফ্যাব্রিকেশনের তুলনায় উৎপাদনে এটি একটি নিম্ন-মূল্য সংযোজন হিসাবে বিবেচিত হয়। যাই হোক, উন্নত প্যাকেজিংয়ে উদ্ভাবনী সুযোগগুলি আবির্ভূত হয়েছে, যা আরও বেশি মূল্য সংযোজনের অনুমতি দিয়েছে। এটিএমপি-তে ভারতের ব্যয়জনিত সুবিধা রয়েছে এবং দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ানের উদাহরণগুলি অনুসরণ করা যেতে পারে, যা এটিএমপি/ওএসএটি-তে দক্ষ হওয়ার পরে আরও জটিল মূল্য শৃঙ্খল প্রক্রিয়াগুলিতে চলে গিয়েছে৷
৩। সক্ষমতার সীমাবদ্ধতা
ইন্ডিয়া সেমিকন্ডাক্টর মিশন (আইএসএম) ক্ষমতার সীমাবদ্ধতার ঝুঁকির সম্মুখীন। এটি বর্তমানে একটি ১৮ ব্যক্তির দল হিসাবে কাজ করে, যার দেখভালের বিস্তৃত দায়িত্ব রয়েছে। আইএসএম-এর দায়িত্বগুলির মধ্যে রয়েছে সুবিধাভোগীদের দাবি যাচাই করা, ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের কাছে নিয়মিত প্রতিবেদন জমা দেওয়া, প্রকল্পের মধ্যমেয়াদি মূল্যায়ন করা, এবং অবিচ্ছিন্নভাবে প্রকল্প পর্যবেক্ষণ করা। এই সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পদ-নিবিড়, এবং সীমিত কর্মীদের সংখ্যা বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তার উপর, সরকার সেমিকন্ডাক্টরের জন্য পিএলআই স্কিমের অধীনে একটি বৃহত্তর দ্বিতীয় প্যাকেজ চালু করার পরিকল্পনা করার ফলে আইএসএম-এর দায়িত্ব শীঘ্রই বাড়তে চলেছে৷ এই সম্প্রসারণের জন্য উচ্চমূল্যের প্রকল্পগুলি মূল্যায়ন করতে এবং একাধিক সরকারি সংস্থা ও বেসরকারি সংস্থাগুলির সঙ্গে সমন্বয় করতে আইএমএম প্রয়োজন হবে, যা আরও চাপ সৃষ্টি করতে পারে। স্কিমের অধীনে অনুমোদিত নতুন প্রকল্পগুলি আইএসএম-এর ক্রমাগত মূল্যায়ন ও পর্যবেক্ষণের কাজের চাপ যুক্ত করবে।
এই অবস্থায়, কারিগরি সহায়তা ও কমপ্লায়েন্স অডিটের জন্য বহিরাগত বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আসা হলে তা কাজের চাপ কিছুটা কমাতে সাহায্য করতে পারে। উপরন্তু, কোর টিমটিকে বিভিন্ন কার্যগত প্রয়োজন চালনার জন্য প্রসারিত করা যেতে পারে।
৪। স্পষ্ট সময়-সীমাবদ্ধ লক্ষ্য এবং মাইলফলকের অভাব
যদিও পিএলআই স্কিমটি বিস্তৃত উদ্দেশ্যগুলির রূপরেখা দেয়, এতে অগ্রগতি নজর করার জন্য বিশদ, সময়সীমাবদ্ধ এবং পরিমাণগত মাইলফলকের অভাব রয়েছে। সুস্পষ্ট সময়রেখা এবং মধ্যবর্তী লক্ষ্য ছাড়া কর্মক্ষমতা মূল্যায়ন, বাধা চিহ্নিত করা, এবং কৌশলগুলির সামঞ্জস্য করা কঠিন বলে প্রমাণিত হবে। সু-সংজ্ঞায়িত মাইলফলক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়াতে পারে।
দীর্ঘমেয়াদি সাফল্যের জন্য সেমিকন্ডাক্টর মূল্য শৃঙ্খলের মধ্যে আরঅ্যান্ডডি সমর্থন এবং পরিমার্জিত ফোকাস এলাকাগুলি চিহ্নিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উপসংহার
সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের জন্য পিএলআই স্কিম হল ভারতকে বৈশ্বিক ম্যানুফ্যাকচারিং কেন্দ্র হিসাবে প্রতিষ্ঠার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তবে মূল চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করা অপরিহার্য। দীর্ঘমেয়াদি সাফল্যের জন্য সেমিকন্ডাক্টর মূল্য শৃঙ্খলের মধ্যে আরঅ্যান্ডডি সমর্থন এবং পরিমার্জিত ফোকাস এলাকাগুলি চিহ্নিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তহবিলের আরও কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে হলে ভারতের এটিএমপি/ওস্যাট উৎপাদন ক্ষমতাকে বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক করে গড়ে তোলার জন্য আরও লক্ষ্যযুক্ত কৌশল প্রয়োজন। উপরন্তু, আইএসএম-এর ক্ষমতার সীমাবদ্ধতাগুলিকে মোকাবিলা করা এবং পিএলআই স্কিমে সময়-সীমাবদ্ধ মাইলফলকগুলি অন্তর্ভুক্ত করা জবাবদিহিতা উন্নত করবে এবং অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করতে সহায়তা করবে। এই পরিবর্তনগুলি করা হলে পিএলআই স্কিম ভারতের শক্তির সঙ্গে আরও ভালভাবে সারিবদ্ধ হতে পারে এবং এটিকে বিশ্বব্যাপী সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে উন্নতি করতে সাহায্য করতে পারে।
আনিকা চিল্লার অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের একজন রিসার্চ ইন্টার্ন।
[১] এটিএমপি (অ্যাসেম্বলি, টেস্টিং, মার্কিং ও প্যাকেজিং) বলতে সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং-এর পোস্ট-ফ্যাব্রিকেশন পর্যায়কে বোঝায়, যেখানে ওয়েফারগুলিকে একত্র করা হয়, পরীক্ষা করা হয়, চিহ্নিত করা হয় এবং চূড়ান্ত চিপগুলিতে প্যাকেজ করা হয়। ওএসএটি (আউটসোর্সড সেমিকন্ডাক্টর অ্যাসেম্বলি অ্যান্ড টেস্ট) কোম্পানিগুলি এই ব্যাকএন্ড পরিষেবাগুলি দেয়, যা চিপ নির্মাতাদের আউটসোর্স অ্যাসেম্বলি করতে, খরচ কমাতে এবং উন্নত প্রযুক্তির স্বাদ পেতে সক্ষম করে৷
[২] ডিসপ্লে ফ্যাব্রিকেশন ফেসিলিটি হল বিশেষ কারখানা যেখানে বিভিন্ন ধরনের ডিসপ্লে প্যানেল যেমন এলসিডি, ওএলইডি এবং মাইক্রোএলইডি তৈরি করা হয়।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.