-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
ইউরোপিয়ান ইনস্ট্যান্ট পেমেন্টস রেগুলেশন (আইপিআর): ইউরোপের অর্থপ্রদানের ভিত্তি সশক্তকরণ
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) জুড়ে অর্থপ্রদানের পরিকাঠামো পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে ইউরোপিয়ান ইনস্ট্যান্ট পেমেন্টস রেগুলেশন (তাৎক্ষণিক অর্থপ্রদান নিয়ন্ত্রণবিধি, সংক্ষেপে আইপিআর) একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে ইউরোজোনের মধ্যে সমস্ত অর্থপ্রদান পরিষেবা প্রদানকারী (পিএসপি)-কে ৯ জানুয়ারি ২০২৫ সালের মধ্যে তাৎক্ষণিক অর্থপ্রদান গ্রহণের ক্ষমতা কার্যকর করা, এবং ৯ অক্টোবর ২০২৫ সালের মধ্যে তাৎক্ষণিক অর্থপ্রদানের সুযোগ করে দেওয়ার, নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই নিয়ন্ত্রণ আরও নিরবচ্ছিন্ন ও দক্ষ আর্থিক বাস্তুতন্ত্র গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। এই নীতিগত উদ্যোগ অর্থের দ্রুত প্রবাহ বৃদ্ধি, লিকুইডিটি ব্যবস্থাপনা উন্নত করা, এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিস্তৃত করার সম্ভাবনা রাখে।
নিয়ন্ত্রক আদেশ ও বাজার প্রস্তুতির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক পরিকাঠামোগত পর্যাপ্ততা, ব্যয়ের প্রভাব, এবং ছোট পিএসপি-গুলির ন্যায়সঙ্গত প্রাপ্যতা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করে।
তবে, আইপিআর অনেক জটিল চ্যালেঞ্জও উপস্থাপন করে, যা সাবধানে পরীক্ষা করার প্রয়োজন আছে। নিয়ন্ত্রক আদেশ ও বাজার প্রস্তুতির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক পরিকাঠামোগত পর্যাপ্ততা, ব্যয়ের প্রভাব, এবং ছোট পিএসপি-গুলির ন্যায়সঙ্গত প্রাপ্যতা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করে। তার উপর, বিভিন্ন জাতীয় কাঠামোজুড়ে তাৎক্ষণিক অর্থপ্রদান ব্যবস্থার সমন্বয় এমন কার্যকরী জটিলতা তৈরি করে যার জন্য শক্তিশালী আন্তঃসীমান্ত সমন্বয় প্রয়োজন। আইপিআর-কে একটি পুরনো সিস্টেমের অন্তর্নিহিত কোডগুলির ফের প্রোগ্রামিংয়ের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে — এটি দক্ষতার প্রতিশ্রুতি দেয়, কিন্তু যথাযথতা দাবি করে। পাশাপাশি এর সঠিকভাবে প্রয়োগ নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তিও প্রয়োজন।
সংক্ষেপে আইপিআর
২০২৪ সালের মার্চ মাসে গৃহীত আইপিআর হল ইইউ-এর আর্থিক আধুনিকীকরণ অ্যাজেন্ডায় একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির প্রতীক, যা নিশ্চিত করে যে তহবিল স্থানান্তর মাত্র দশ সেকেন্ডের মধ্যে প্রক্রিয়াজাত করা যাবে। আর্থিক অন্তর্ভুক্তির প্রসার এবং প্রতিযোগিতামূলক পেমেন্ট বাস্তুতন্ত্র গড়ে তোলার জন্য ইইউ-এর বৃহত্তর কৌশলের অংশ হিসাবে, আইপিআর এমন একটি নিয়ন্ত্রক কাঠামো প্রবর্তন করে যা গতির সঙ্গে প্রাপ্তিযোগ্যতার সমন্বয় ঘটায়। এর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিধানগুলির মধ্যে একটি হল পিএসপি-গুলিকে ঐতিহ্যবাহী ব্যাঙ্ক ট্রান্সফারের তুলনায় তাৎক্ষণিক পেমেন্টের জন্য উচ্চতর ফি আরোপ করা থেকে বিরত রাখা।
আইপিআরের মূল বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে রয়েছে রিয়েল-টাইম প্রক্রিয়াকরণ, বিলম্ব ছাড়াই তাৎক্ষণিক পেমেন্ট নিষ্পত্তি করার ব্যবস্থা করা, এবং সর্বজনীন প্রাপ্তিযোগ্যতা, যা নিশ্চিত করে যে প্রতিটি গ্রাহকের এই প্রযুক্তি ব্যবহার করার বিকল্প রয়েছে। তাছাড়া, তাৎক্ষণিক ও ঐতিহ্যবাহী পেমেন্ট পদ্ধতির মধ্যে খরচের সমতা প্রয়োগ করে নিয়ন্ত্রণটি মূল্য নির্ধারণের বাধা দূর করে, যা অন্যথায় ছোট ব্যবসা বা নিম্ন-আয়ের গ্রাহকদের বাদ রেখে দিতে পারে। এই উদ্যোগটি আর্থিক বাজারে ন্যায্যতা, দক্ষতা ও উদ্ভাবনের প্রতি ইইউ-এর প্রতিশ্রুতির প্রতিধ্বনি করে, যে নীতিগুলি এসইপিএ (সিঙ্গল ইউরো পেমেন্ট এরিয়া)-এর মতো সফল উদ্যোগগুলিকে চালিত করেছে। ইউরোপ যখন এই পরিবর্তনকে গ্রহণ করছে, সেই সময় আইপিআর-এর লিকুইডিটি ব্যবস্থাপনা ও নগদ প্রবাহের গতিশীলতাকে পুনরায় সংজ্ঞায়িত করার সম্ভাবনা রয়েছে, ঠিক যেমনটি আমরা উন্নত রিয়েল-টাইম পেমেন্ট ইকোসিস্টেম-সহ বাজারে দেখেছি।
নীলনকশার বাইরে
ইউরোপের আর্থিক বাস্তুতন্ত্রের আধুনিকীকরণের দিকে আইপিআর একটি সাহসী পদক্ষেপ, তবে এর বাস্তবায়ন জটিলতার এমন বিভিন্ন স্তর সামনে আনে যা নিবিড়ভাবে পরীক্ষা করা প্রয়োজন। দশ সেকেন্ডের পেমেন্ট প্রক্রিয়াকরণের আদেশ, যদিও উচ্চাভিলাষী, বিদ্যমান ইউরোপীয় পেমেন্ট কাউন্সিল (ইপিসি) মানগুলির সঙ্গে প্রযুক্তিগত সংঘাতের সৃষ্টি করে, এবং এইভাবে লেগ্যাসি সিস্টেম বা পুরনো ব্যবস্থাগুলির সঙ্গে নতুন নিয়মগুলির সমন্বয়ের চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে। তার উপর, পিএসডি৩ (পেমেন্ট সার্ভিসেস ডায়রেকটিভ ৩) ও এএমএল৬ (ইইউ অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং ৬)-এর মতো বৃহত্তর নিয়ন্ত্রক কাঠামোর সঙ্গে আইপিআর-কে সারিবদ্ধ করার জন্য প্রয়োজন সূক্ষ্ম সমন্বয়, যাতে নিয়ন্ত্রক সমাপতন (ওভারল্যাপ) ও কার্যকরী সমন্বয়কে ক্ষুণ্ন করার ঝুঁকি এড়ানো যায়।
দশ সেকেন্ডের পেমেন্ট প্রক্রিয়াকরণের আদেশ, যদিও উচ্চাভিলাষী, বিদ্যমান ইউরোপীয় পেমেন্ট কাউন্সিল (ইপিসি) মানগুলির সঙ্গে প্রযুক্তিগত সংঘাতের সৃষ্টি করে, এবং এইভাবে লেগ্যাসি সিস্টেম বা পুরনো ব্যবস্থাগুলির সঙ্গে নতুন নিয়মগুলির সমন্বয়ের চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে।
সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগের বিষয় হল ভোক্তা সুরক্ষার জন্য নতুন নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি। বিনামূল্যে তাৎক্ষণিক অর্থ প্রদানের প্রতিশ্রুতি প্রশংসনীয় হলেও, জালিয়াতি এবং লেনদেনের ত্রুটির বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য শক্তিশালী ব্যবস্থার অনুপস্থিতি একটি উল্লেখযোগ্য দুর্বলতা প্রকাশ করে। অর্থপ্রাপকের যাচাইকরণ (ভিওপি)-এর মতো সরঞ্জামগুলির উপর নির্ভরতা আরও ব্যাপক সুরক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে, বিশেষ করে যেহেতু তাৎক্ষণিক অর্থপ্রদান ব্যবস্থার বিস্তৃতি বিভিন্ন ব্যবহারকারীকে অন্তর্ভুক্ত করে। ইইউ তাৎক্ষণিক অর্থপ্রদানের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে চায়, আর সে জন্য নীতিনির্ধারকদের ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে দক্ষতা, নিরাপত্তা ও পদ্ধতিগত স্থিতিস্থাপকতার মধ্যে এমন একটি সূক্ষ্ম ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে যাতে নিয়ন্ত্রণটি তার রূপান্তরমূলক সম্ভাবনা অর্জন করে।
ব্যবধান কমানো
ইউরোপীয় ব্যাঙ্কগুলি আইপিআর-এর বর্ধিত চাহিদামতো লেনদেনের পরিমাণ মোকাবিলা করার জন্য পুরনো লেগ্যাসি সিস্টেমগুলির আধুনিকীকরণ করতে গিয়ে উল্লেখযোগ্য কার্যগত বাধার মুখোমুখি হচ্ছে, আবার একই সঙ্গে তাদের ডাউনটাইমও কমিয়ে আনতে হচ্ছে। এই অসুবিধাগুলিকে আরও জটিল করে তোলে প্রমিতকরণের (স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন) অভাব, বিশেষ করে ভিওপি পরিষেবা বাস্তবায়নে, যা সুবিধাভোগী যাচাইকরণে অসঙ্গতি তৈরি করে এবং লেনদেনগত ত্রুটি ও জালিয়াতির ঝুঁকি বাড়ায়। তদুপরি, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে সীমিত সচেতনতা ও অপ্রতুল প্রশিক্ষণের একটি বৃহত্তর সমস্যা দেখা দিয়েছে, কারণ অনেকেরই আইপিআর-এর প্রয়োজন সম্পর্কে ব্যাপক ধারণার অভাব রয়েছে। এই জ্ঞানের ঘাটতি কর্মীদের অনুবর্তিতার জটিলতাগুলি পরিচালনা করতে অক্ষম করে তোলে, যা সময়মত বাস্তবায়ন ও নিয়ন্ত্রণের বৃহত্তর উদ্দেশ্যগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করার হুমকি দেয়।
আগামীকালের জন্য প্রস্তুতি
আইপিআর তাৎক্ষণিক অর্থপ্রদানের ক্ষেত্রে সর্বজনীন প্রাপ্যতা বাধ্যতামূলক করে ইউরোপে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধির জন্য একটি উল্লেখযোগ্য সুযোগ উপস্থাপন করে। এটি ইইউ-এর ন্যায়সঙ্গত আর্থিক পরিষেবার বৃহত্তর লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। প্রাপ্তিযোগ্যতা উন্নত করার পাশাপাশি, নিয়ন্ত্রণটি উদ্ভাবনে গতি আনে ব্যাঙ্কগুলিকে উন্নত প্রযুক্তি গ্রহণ এবং প্রতিযোগিতামূলক, সৃজনশীল অর্থপ্রদান সমাধানগুলি ব্যবহারে উৎসাহিত করে। এটি ব্যাঙ্ক ও ফিনটেক ফার্মগুলির মধ্যে সহযোগিতার সুযোগ তৈরি করে, যা ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানগুলিকে নতুন প্রযুক্তি সংহত করতে সাহায্য করে এবং পরিকাঠামোগত বোঝা কমিয়ে দেয়। তদুপরি, তাৎক্ষণিক অর্থপ্রদানের পদক্ষেপ ব্যাঙ্কগুলিতে দ্রুত লেনদেনের মাধ্যমে গ্রাহকদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির সুযোগ দেয়, এবং গতি ও সুবিধাকে মূল্য দেন এমন গ্রাহকদের মধ্যে আনুগত্য তৈরি করে। জটিল হলেও, আইপিআর আর্থিক আধুনিকীকরণ এবং বৃহত্তর অন্তর্ভুক্তির ভিত্তি স্থাপন করে, ভারতের ডিজিটাল অর্থপ্রদানের সাফল্য থেকে শিক্ষাসহ।
আইপিআর তাৎক্ষণিক অর্থপ্রদানের ক্ষেত্রে সর্বজনীন প্রাপ্যতা বাধ্যতামূলক করে ইউরোপে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধির জন্য একটি উল্লেখযোগ্য সুযোগ উপস্থাপন করে।
২০১৬ সালে চালু হওয়া ইউনিফায়েড পেমেন্টস ইন্টারফেস (ইউপিআই)-এর মাধ্যমে ভারতের সাফল্য তাৎক্ষণিক অর্থপ্রদানের দিকে ইউরোপের প্রচেষ্টা সম্পর্কে মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। ইউপিআই-এর দ্রুত গ্রহণযোগ্যতার জন্য শক্তিশালী সরকারি সমর্থন, ব্যবহারকারী-বান্ধব ইন্টারফেস, এবং ব্যাঙ্ক ও প্ল্যাটফর্মগুলির নিরবচ্ছিন্ন আন্তঃকার্যক্ষমতাকে কৃতিত্ব দেওয়া যেতে পারে। তবে, সাইবার নিরাপত্তা ও ডেটা গোপনীয়তার মতো চ্যালেঞ্জগুলি ভারত সরকারকে টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন ও ডেটা এনক্রিপশনের মতো ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে চালিত করেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইপিআর ভারতের ইউপিআই-এর সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ, যা আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি এবং উদ্ভাবন চালানোর জন্য একটি উল্লেখযোগ্য সুযোগ প্রদান করে। তবে ইউরোপ নিয়ন্ত্রক অস্পষ্টতা, পরিচালনাগত বাধা এবং ভোক্তা সুরক্ষা উদ্বেগের চ্যালেঞ্জগুলির মুখোমুখি, এবং সফল বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে অবশ্যই এগুলির সমাধান করা উচিত।
ইউরোপীয় নিয়ন্ত্রকেরা ডিজিটাল পেমেন্ট ক্ষেত্রে ভারতের অভিজ্ঞতা থেকে পাঠ নিয়ে — বিশেষ করে সরকারি সহায়তা, ব্যবহারকারী-কেন্দ্রিক নকশা, এবং সিস্টেমগুলির মধ্যে আন্তঃব্যবহারযোগ্যতার মতো ক্ষেত্রগুলিতে — আইপিআরের জটিলতাগুলিকে আরও ভালভাবে মোকাবিলা করতে পারেন। যদিও অন্যান্য অঞ্চলে, বিশেষ করে ভারতে কী কাজ হয়েছে তা বোঝা অপরিহার্য, তবে মূল বিষয় হল এই শিক্ষাগুলিকে খাপ খাইয়ে নেওয়া এবং প্রাসঙ্গিক করা। ভারতে পেমেন্ট সিস্টেমের অর্থনৈতিক গতিশীলতা ইউরোপের থেকে আলাদা, এবং একটি অঞ্চলের সফল কৌশলগুলি সরাসরি অন্যত্র প্রযোজ্য নাও হতে পারে। তবে, ভারতের সাফল্যের ভিত্তি যে নীতিগুলি, যেমন আর্থিক পরিষেবাগুলির বিস্তৃত প্রাপ্যতা এবং দক্ষ সিস্টেম ডিজাইন, সর্বজনীনভাবে প্রাসঙ্গিক। আসল চ্যালেঞ্জ হল এই নীতিগুলিকে ইউরোপীয় প্রেক্ষাপটের সঙ্গে কীভাবে খাপ খাইয়ে নেওয়া যেতে পারে তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা। যদিও ভারতে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি একটি কেন্দ্রীয় লক্ষ্য ছিল, ইউরোপে তা ততটা জরুরি নাও হতে পারে। তবুও, ভারতের সাফল্যের অন্তর্নিহিত চালিকাশক্তিগুলির মধ্যে যেগুলি ইউরোপের জন্য প্রাসঙ্গিক সেগুলির অনুধাবন আইপিআর-এর সাফল্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।
ভারতে পেমেন্ট সিস্টেমের অর্থনৈতিক গতিশীলতা ইউরোপের থেকে আলাদা, এবং একটি অঞ্চলের সফল কৌশলগুলি সরাসরি হস্তান্তরযোগ্য নাও হতে পারে।
গ্লোবাল সাউথ থেকে আরেকটি মূল্যবান শিক্ষা এসেছে ব্রাজিল থেকে, যেখানে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ২০২০ সালের নভেম্বরে পিক্স চালু করে। এই সিস্টেমটি ব্যবহারকারীদের মোবাইল ফোন নম্বর বা কিউআর কোডের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক অর্থপ্রদান করতে সক্ষম করে, এবং একটি নিরবচ্ছিন্ন ও দক্ষ লেনদেনের অভিজ্ঞতা প্রদান করে। চব্বিশ ঘণ্টা রিয়েল-টাইম লেনদেন সহজতর করে পিক্স পুরনো নগদ স্থানান্তর ও ক্রেডিট কার্ড পেমেন্টকে ছাড়িয়ে গিয়েছে, যা উদীয়মান বাজারগুলিতে তাৎক্ষণিক অর্থপ্রদান সমাধানের জন্য ক্রমবর্ধমান পছন্দ তুলে ধরে।
ইউরোপে তাৎক্ষণিক অর্থপ্রদানের ভবিষ্যৎ একটি শক্তিশালী বাস্তবায়ন কাঠামো, শক্তিশালী নিয়ন্ত্রক তদারকি এবং উন্নয়নের জন্য একটি পুনরাবৃত্তিমূলক পদ্ধতির উপর নির্ভর করবে। ফলাফল যাই হোক না কেন, ইউরোপে একটি শক্তিশালী ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমের তরঙ্গ প্রভাবগুলি অন্বেষণ করা আকর্ষণীয় হবে।
সৌরদীপ বাগ অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সেন্টার ফর সিকিউরিটি, স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড টেকনোলজির আ্যাসোসিয়েট ফেলো।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Sauradeep is an Associate Fellow at the Centre for Security, Strategy, and Technology at the Observer Research Foundation. His experience spans the startup ecosystem, impact ...
Read More +