Author : Snehashish Mitra

Published on Jan 01, 2024 Updated 0 Hours ago

রাজনীতি ও গণতন্ত্রে যুব প্রজন্মের বর্ধিত অংশগ্রহণকে অগ্রাধিকার দিয়ে দেশের মূল গণতান্ত্রিক নীতিগুলিকে শক্তিশালী করে তোলার জন্য ভারতকে অবশ্যই তার যুবশক্তি উন্মোচন করতে হবে

ভারতীয় গণতন্ত্রে শহুরে যুবকদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা: তাৎপর্য এবং উপায়

মহারাষ্ট্রের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদন ইঙ্গিত করে যে, রাজ্যের ১৮-১৯ বছর বয়সি গোষ্ঠীর যুব জনসংখ্যার মোট ৪২,০৯,০০০ জনের মধ্যে মাত্র ৭,৯০,০০০০ জন ভোটার হিসাবে নিবন্ধিত হয়েছে১৮-১৯ বছর বয়সের বিভাগটি রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ৪.৫ শতাংশ হলেও এই বয়সের নিবন্ধিত ভোটারের পরিমাণ রাজ্যের জনসংখ্যার মাত্র ০.৬ শতাংশ। রাজ্যব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলিতে নিয়মিত প্রচারাভিযান চালানো সত্ত্বেও ১৮-১৯ বছর বয়সি গোষ্ঠীর ভোটারের নিবন্ধন যৎসামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে অর্থাৎ ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে জনসংখ্যার ০.৩ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে ০.৬ শতাংশ হয়েছে৷

এই ফলাফল আসলে ভারত জুড়ে শহরগুলিতে ভোটারদের উদাসীনতার পরিসংখ্যানকেই দর্শায়, যেখানে স্থানীয় নির্বাচনে সাধারণত রাজ্য এবং জাতীয় স্তরের তুলনায় কম ভোটারদের উপস্থিতি দেখা যায়। বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে যে, দেশের অনেক শহুরে যুবক নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করাঅনাগ্রহী২০১৪ সালে জাতীয় যুব নীতিতেও এই একই উদ্বেগের কথা তুলে ধরা হয়েছে। রাজনীতিতে তরুণদের বৃহত্তর অংশগ্রহণের উপর জোর দেওয়ার পাশাপাশি নীতিটি স্বীকার করে নিয়েছে যে, রাজনীতি ও প্রশাসনে যুব সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততাকে উন্নত করার জন্য খুব কম সমন্বিত পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে।’

 

বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যাগত লভ্যাংশের সুবিধাজনক অবস্থানের বিষয়ে বহুপাক্ষিক স্তরে ভারতের জন্যও বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।

 

মহারাষ্ট্র ভারতের নগরায়িত রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যত। তাই মহারাষ্ট্রের মতো বৃহৎ নগরায়িত রাজ্যে কম ভোটারের নিবন্ধন হওয়ায় ভারতের গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে গঠনমূলক কাজে যুব সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততা বাড়াতে পর্যাপ্ত নীতিগত মনোযোগ দেওয়া উচিত। যেহেতু ভোটারের তালিকাভুক্তি একটি অংশগ্রহণমূলক, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং প্রাণবন্ত গণতন্ত্রের অভিমুখে প্রথম ধাপ, তাই বিশেষ ভারতের শহুরে অঞ্চলে আগামী দশকে জনসংখ্যা উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হলে ভোটারদের তালিকায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করার জন্য বিশেষ করে শহুরে এলাকা যুবকদের অনাগ্রহ দূর করা অপরিহার্য। বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যাগত লভ্যাংশের সুবিধাজনক অবস্থানের বিষয়ে বহুপাক্ষিক স্তরে ভারতের জন্যও বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।

 

আন্তর্জাতিক জনসংখ্যাগত প্রবণতা: ভারতের বড় সুযোগ

ভারতের কর্মক্ষম জনসংখ্যা ২০১০-২০৫৬-এর সময়কালের অনুমানযোগ্য জনসংখ্যাগত হার ৫১ থেকে ৫৬ শতাংশের মধ্যে থাকবে। এর উলটো দিকে, কম জন্মের হার ও স্থিতিশীল মৃত্যুর হারের কারণে একাধিক দেশে জনসংখ্যার পাশাপাশি কর্মক্ষম জনসংখ্যাউল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পাচ্ছে। দক্ষ কর্মীদের ব্যাপক অভিবাসনের কারণে পূর্ব ইউরোপের কিছু দেশ জনসংখ্যা হ্রাসের সম্মুখীন হচ্ছে। অন্য দিকে, ৩৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে কঠোর ভাবে প্রয়োগ করা ‘ওয়ান চাইল্ড’ বা ‘এক সন্তান নীতির কারণে চিনের জনসংখ্যা হ্রাস আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নানা প্রতিবেদনে আরও উঠে এসেছে যে, রাশিয়ার সাম্প্রতিক সামরিক ক্ষেত্রে (ভুল) দুঃসাহসিক কার্যকলাপ আখেরে তার জনসংখ্যাগত মৃত্যুর পরিমাণকে স্পাইরাল বা উত্তরোত্তর হারে বৃদ্ধি করেছে, বিশেষ করে পুরুষদের ক্ষেত্রে। দক্ষিণ কোরিয়া জাপানের মতো উন্নত পূর্ব এশীয় অর্থনীতিগুলি রেকর্ড হারে কম জন্মের সাক্ষী থেকেছে এবং বৃহৎ আকারের সামাজিক নিরাপত্তার বোঝার সম্মুখীন হচ্ছে। উদার গণতান্ত্রিক নীতি দ্বারা পরিচালিত ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতি জার্মানি শ্রমের ঘাটতি মেটাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের মানুষদের দিয়ে প্রতি বছর প্রায় ৬০,০০০ চাকরির সুযোগ পূরণ করতে অভিবাসন, দক্ষতা প্রশিক্ষণেসংস্কার চালু করেছে। যাই হোক, রাশিয়া এবং চি-সহ বেশির ভাগ দেশ একাধিক সামাজিক-রাজনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে জার্মানিকে অনুকরণ করতে সক্ষম হবে না

 

দক্ষিণ কোরিয়া জাপানের মতো উন্নত পূর্ব এশীয় অর্থনীতিগুলি রেকর্ড হারে কম জন্মের সাক্ষী থেকেছে এবং বৃহৎ আকারের সামাজিক নিরাপত্তার বোঝার সম্মুখীন হচ্ছে।

 

বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল এবং সর্বকনিষ্ঠ দেশ হিসেবে ভারতকে অবশ্যই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে এবং রাজনীতি ও গণতন্ত্রে যুব সম্প্রদায়ের বর্ধিত অংশগ্রহণকে অগ্রাধিকার দিয়ে দেশের মূল গণতান্ত্রিক নীতিগুলিকে শক্তিশালী করতে তার যুবশক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বব্যবস্থার মধ্যে তাদের আকাঙ্ক্ষা বিবেচনা করে নীতিনির্ধারকদের অবশ্যই ভারতের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যুব প্রজন্মের অংশগ্রহণকে সুনিশ্চিত করতে হবে।

 

একটি শূন্যতা: ভারতীয় রাজনীতিতে যুব সম্প্রদায়

ভারতের রাজনীতি তরুণ দেশ, প্রবীণ নেতা দ্বারা চিহ্নিত। ভারতীয় রাজনীতিতে উজ্জ্বল উপস্থিতি তৈরি করতে সমর্থ হওয়া বেশির ভাগ তরুণ নেতা সুপ্রতিষ্ঠিত ও উল্লেখযোগ্য রকমের প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের অন্তর্ভুক্ত প্রায় প্রতিটি মূলধারার রাজনৈতিক দলের একটি করে কার্যকরী ছাত্র শাখা থাকলেও এবং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়ন নির্বাচনে জোরদার ভাবে অংশগ্রহণ করলেও ছাত্র নেতাদের আইনি রাজনীতিতে উন্নীত করার জন্য একটি পদ্ধতিগত ব্যবস্থা এবং পরামর্শের অভাব রয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, ১৭তম লোকসভায় (২০১৯-২০২৪) নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ১২ শতাংশ (এমপি) ৪০ বছরের নিচে, যেখানে প্রথম সংসদে (স্বাধীনতা-পরবর্তী) ৪০ বছর বয়সের নিচে থাকা এমপি-পরিমাণ ছিল ২৬ শতাংশ।

উল্লেখযোগ্য ভাবে স বড় নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলের ইশতেহারে উচ্চাভিলাষী যুব কর্মসূচির রূপরেখা সাবেক গণমাধ্যম এবং সামাজিক গণমাধ্যমে ব্যাপক হারে প্রচার করা হয়। তরুণ প্রজন্ম রাজনৈতিক প্রচারে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অংশগ্রহণ করে এবং রাজনৈতিক দলগুলি প্রায়ই নির্বাচনের আগে শক্তি প্রদর্শন হিসাবে এই প্রজন্মকে অংশগ্রহণের বিজ্ঞাপন করে তোলে। যাই হোক, তরুণদের প্রধান বিষয়গুলি অর্থাৎ শিক্ষা কর্মসংস্থান নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে নিতান্তই কম মনোযোগ পায়, যা নির্বাচনী কাঠামো তরুণ ভোটারদের দাবিগুলিকে সমন্বিত করার ক্ষমতার অভাবকেই দর্শায়। এমনকি ছাত্র নেতারা যখন আইন প্রণয়নের রাজনীতিতে উন্নীত হন, তখনও তাঁদের সুবিধা সীমিত থাকে। এই পরিস্থিতিতে যুব ভোটারদের কম অংশগ্রহণকে অসঙ্গতির পরিবর্তে একটি প্রত্যাশিত ফলাফল বলে মনে করা যেতে পারে।

উল্লেখযোগ্য ভাবে স বড় নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলের ইশতেহারে উচ্চাভিলাষী যুব কর্মসূচির রূপরেখা ছাপানো হয় এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ব্যাপক হারে প্রচার করা হয়।

 

তরুণদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির অভিমুখে

ভারতের রাজনৈতিক দল এবং নীতিনির্ধারকদের অবশ্যই তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার উপায়গুলি তৈরি করতে হবে এবং দেশের উন্নয়নের গতিপথে তাঁদের অংশগ্রহণ করতে অনুপ্রাণিত করতে হবে। প্রতিনিধিত্বের ঊর্ধ্বে উঠে বৃহত্তর ভাবে যুব সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ আসলে তাঁদের সম্মুখীন সমস্যাগুলির উপর মনোযোগ দেওয়ার বিষয়টিকে সুনিশ্চিত করবে। শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের চিরাচরিত প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি প্রশাসন ব্যবস্থাকে অবশ্যই তরুণদের প্রভাবিত করে এমন অসংখ্য অন্য সমস্যার সমাধান করতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, আর্থিক চাপ এবং চিরাচরিত লিঙ্গ ভূমিকার মতো কারণগুলি - যা যুব সম্প্রদায়কে জাপান এবং চিনের মতো উন্নত অর্থনীতিতে সন্তান ধারণ করা থেকে বিরত রাখে - ভারতেও লক্ষ করা যাচ্ছেবহু সংখ্যক নারী সন্তান ধারণ না করতে এবং যুব সম্প্রদায়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বিয়ে না করতে পছন্দ করছেন। ক্ষেত্রে সমস্যাটি শুধু ফলাফলের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, বরং সমস্যা সংক্রান্ত কারণগুলির সঙ্গেও সম্পর্কিত এবং তার পরিণতিকে কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, সেই সংক্রান্তও। প্রাসঙ্গিক সরকারি প্রতিবেদনগুলি সামাজিক মানসিকতার পরিবর্তনের অধ্যয়ন করলেও কথা স্পষ্ট নয় যে, ভারত কী ভাবে যুব সম্প্রদায়ের সম্মুখীন এই নতুন বাস্তবতার প্রতি সাড়া দিচ্ছেএর জন্যও নগরকেন্দ্রিক মনোযোগের প্রয়োজন রয়েছে

এই ধরনের প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করার জন্য একটি দ্বিমুখী পদ্ধতির প্রয়োজন: তরুণ ভোটারদের এই কথা বোঝানো যে, তাঁদের সমস্যাগুলি গুরুত্বপূর্ণ এবং সরকার নীতিনির্ধারক সংস্থাগুলি একটি অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতির মাধ্যমে সেগুলিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়; এবং ভারতের নির্বাচন ও গণতন্ত্রে সক্রিয় যুবকদের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে নির্বাচনী সংস্কার করা জরুরি। অন্যান্য সফল গণতন্ত্রের কয়েকটি উদাহরণ একটি সহায়ক নমুনা প্রদান করে। টাফট ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর ইনফর্মেশন অ্যান্ড রিসার্চ অন সিভিক লার্নিং অ্যান্ড এনগেজমেন্ট এমন একটি নিবিড় গবেষণা পরিচালনা করে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নীতিকে অবহিত করে এবং যাতে গণমাধ্যমের বাস্তুতন্ত্র, লিঙ্গ, এবং তরুণ-প্রাপ্তবয়স্কদের অংশীদারিত্বের প্রভাব তরুণ ভোটারদের উপর নির্ভর করে ভোটারদের ভোট দানের পরিমাণ বৃদ্ধি করা যায়। ডিউক ইউনিভার্সিটির একটি সমীক্ষায় স্কুলের ব্যস্ততা, অ-জ্ঞানমূলক দক্ষতা এবং নাগরিক মনোভাবের দিকগুলির উপর জোর দিয়ে ব্যাপক ভাবে স্কুল-স্তরের ছাত্র সমীক্ষা পরিচালনা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তরুণ ভোটারদের উত্সাহিত করার জন্য নীতি সংস্কারের নকশার উপর বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। টাটা ইনস্টিটিউট অ সোশ্যাল সায়েন্সেস, আজিম প্রেমজি ইউনিভার্সিটি ইত্যাদির মতো প্রতিষ্ঠানের দক্ষতার সাহায্য নিয়ে ভারতে একই ধরনের অধ্যয়ন চালু করা যেতে পারে। অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন দ্বারা পরিচালিত #ওআরএফস্পিকস-এর মতো ছাত্রদের সম্পৃক্ততা কর্মসূচি সমসাময়িক নীতির সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংযুক্তিকরণ ঘটায়। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তাকে জাগিয়ে তোলার জন্য বিষয়গুলিকে প্রসারিত উপযোগী করে তোলা যেতে পারে। অনলাইন পদ্ধতি বৃদ্ধি এবং সরকারি অফিসে একাধিক পরিদর্শন কমানোর উপর মনোযোগ দিয়ে ভোটার তালিকাভুক্তি প্রক্রিয়াগুলির সরলীকরণ করতে হবে। এই হস্তক্ষেপগুলিকে অবশ্যই শহরাঞ্চলের নির্বাচনে তরুণদের কম অংশগ্রহণের জন্য দায়বদ্ধ করে তুলতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কৌশল প্রণয়ন করতে হবে।

 

ভারতের নির্বাচন কমিশনকে অবশ্যই এই ধরনের অভিবাসী যুবকদের জন্য শহুরে গ্রামীণ এলাকা জুড়ে বাড়ি ফিরে না গিয়ে নিজেদের জন্মস্থানে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে।

 

ভারতও শিক্ষা, কর্মসংস্থান, বিবাহ এবং কর্মসূত্রে দেশের মধ্যে তরুণদের অভিবাসন বৃদ্ধির সাক্ষী থেকেছে। ভারতের নির্বাচন কমিশনকে অবশ্যই এই ধরনের অভিবাসী যুবকদের জন্য শহুরে গ্রামীণ এলাকা জুড়ে বাড়ি ফিরে না গিয়ে নিজেদের জন্মস্থানে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। এই উদ্দেশ্যে সরকারকে তার ডিজিটাল ইন্ডিয়া উদ্যোগের সাফল্যগুলিকে কাজে লাগাতে হবে। এটি স্থানীয় রাজনীতিতে যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে অভিবাসীদের সমস্যাগুলিতে আরও বেশি মনোযোগ সুনিশ্চিত করবে। ডিজিটাল হস্তক্ষেপ ছাড়াও এই জাতীয় সমস্যাগুলির জন্য সমস্ত প্রাসঙ্গিক সামাজিক অংশীদারদের দ্বিপাক্ষিক ভাবে সম্পৃক্ত থাকার জন্য একটি সমন্বিত আন্তঃবিভাগীয় উদ্যোগের প্রয়োজন।

যুব সম্প্রদায়ের জন্য সমান সুযোগ সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি ভারতের গণতন্ত্রের সঙ্গে তাদের উৎপাদনশীল সম্পৃক্ততার পথ প্রশস্ত করার মাধ্যমে ভারতকে অবশ্যই নিজের অনন্য জনসংখ্যাগত লভ্যাংশকে সর্বাধিক ভাবে কাজে লাগাতে হবে। একটি কার্যকরী, প্রাণবন্ত, প্রতিনিধিত্বশীল এবং সমন্বিত গণতন্ত্র হিসেবে ভারতের অবস্থান শুধু মাত্র অভ্যন্তরীণ ভাবেই নয়, আন্তর্জাতিক মঞ্চেও গুরুত্ব বহন করে, বিশেষ করে যখন সারা বিশ্ব কর্তৃত্ববাদের অভিমুখেই চালিত হচ্ছে। শহুরে ভারতে বৃহত্তর যুব ভোটারদের তালিকাভুক্তিকেই সুনিশ্চিত করা প্রথম পদক্ষেপ।


 

স্নেহাশিস মিত্র অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের আর্বান স্টাডিজ-এর ফেলো।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.