-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
যুদ্ধ শুরু হওয়ার তিন বছর পর রাশিয়া দুর্বল, ইউক্রেন বিধ্বস্ত, ইউরোপ বিশৃঙ্খল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কার্যত হতাশ। কিন্তু পুতিন যে যুদ্ধ শুরু করেছিলেন, ট্রাম্প নিজেই তা শেষ করার দায়িত্ব নিয়েছেন। তাই এই যুদ্ধের সমাধান সম্ভব বলে মনে হচ্ছে।
ইউরোপীয় নেতারা শান্তি প্রচেষ্টা থেকে দূরে সরে থেকেছেন এবং ২০১৪-১৫ সালের মিনস্ক চুক্তি সক্রিয় করার বিষয়েও গড়িমসি করেছেন। এটি এমন এক চুক্তি, যা ওএসসিই, জার্মানি এবং ফ্রান্সকে শান্তি চুক্তির নিশ্চিতকারী হিসেবে সাহায্য করতে পারত।
নিশ্চিত ভাবেই, রাশিয়া এখন যুদ্ধক্ষেত্রে জয়লাভ করছে এবং ইউক্রেনের এক-পঞ্চমাংশ ভূখণ্ড দখল করার পাশাপাশি তার পারমাণবিক অস্ত্রকে মারাত্মক হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু এত দিন ধরে চলা যুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় যা অবাক করার মতো তা হল, যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটানোর জন্য উল্লেখযোগ্য শান্তি প্রস্তাবের অভাব। ইউরোপীয় নেতারা শান্তি প্রচেষ্টা থেকে দূরে সরে থেকেছেন এবং ২০১৪-১৫ সালের মিনস্ক চুক্তি সক্রিয় করার বিষয়েও গড়িমসি করেছেন। এটি এমন এক চুক্তি, যা ওএসসিই, জার্মানি এবং ফ্রান্সকে শান্তি চুক্তির নিশ্চিতকারী হিসেবে সাহায্য করতে পারত। এ ছাড়াও সুইস, তুর্কি, চিনা বা ভারতীয় উদ্যোগের মতো আরও অনেক উদ্যোগ উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও পরিসরের নিরিখে হয় আংশিক নয়তো সীমিত থেকেছে। স্পষ্ট ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা ছিল, এটি রাশিয়াকে দুর্বল করার জন্য সমষ্টিগত পশ্চিমীদের পক্ষে উপযুক্ত, যেখানে ইউক্রেনকে প্রক্সি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। মার্কিন ইচ্ছা ও রাশিয়ার অংশগ্রহণ ছাড়া যে কোনও শান্তি প্রক্রিয়া অকার্যকর।
তড়িঘড়ি চুক্তির কৌশল
কিন্তু শান্তি কাঠামোর রূপরেখা অবশেষে প্রকাশ্যে আসছে। যদি এই শেষের অঙ্কের একটি নাম দেওয়া যায়, তা হলে তা হবে ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ট্রাম্প ২.০ বিশ্বক্রমে ওলট-পালট ঘটিয়েছে এবং মার্কিন বিদেশনীতিতে আমূল পরিবর্তন এনেছে। যদি তাঁর প্রশাসন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে একটি অতি-দক্ষিণপন্থী বিশৃঙ্খলার প্রতিনিধিত্ব করে, তা হলে তা অর্থনৈতিক বলপ্রয়োগের পাশাপাশি বিস্ময়কর কূটনীতির মাধ্যমে বিশ্ব ব্যবস্থাকে পুনর্গঠনের একটি অনিয়ন্ত্রিত প্ররোচনাকেও তুলে ধরে।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেনের সংঘাতের সমাধান করার ট্রাম্পের দাবি নির্বাচনী চমক হলেও তাঁর প্রশাসন দৃঢ় বাধাগুলি অতিক্রম করার ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট সংকল্প দর্শিয়েছে। সামরিক জটিলতা এড়িয়ে যাওয়ার বিষয়ে ট্রাম্পের ইচ্ছা ব্যাপক শুল্ক বৃদ্ধির আবেগের সঙ্গে সমাপতিত হয়েছে, যা তিনি প্রতিপক্ষ এবং মিত্র উভয়ের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছেন। কিন্তু তাঁর রাষ্ট্রপতিত্বের সময়ে একাধিক বিশৃঙ্খলা হওয়া সত্ত্বেও ট্রাম্পই এই গুলিবর্ষণকারী যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারেন।
ট্রাম্পের দল এই দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করে বলে মনে হচ্ছে যে, ইউরোপে যুদ্ধ আমেরিকার ঠান্ডা লড়াই-পরবর্তী ন্যাটো সম্প্রসারণের নীতির ফল। এটি এমন একতরফা নীতি, যা নির্ধারিত হয়েছিল এমন এক সময়ে, যখন পৃথিবীর ধ্বংস প্রায় অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছিল। অব্যবহিত মার্কিন প্রশাসন পূর্ব-অভিমুখী জোটগুলিকে প্রশ্রয় দিয়েছিল এবং ২০০৮ সালে জর্জিয়া ও ২০১৪ সালে ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার প্রতিরোধকে উপেক্ষা করেছিল। এই বৃহৎ শক্তির খেলায় ইউক্রেনকে প্রক্সি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল এবং বর্তমানে ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণই ইউক্রেনের ভাগ্য নির্ধারণ করে।
সামরিক জটিলতা এড়িয়ে যাওয়ার ট্রাম্পের ইচ্ছা ব্যাপক শুল্ক বৃদ্ধির আবেগের সঙ্গে সমাপতিত হয়েছে, যা তিনি প্রতিপক্ষ এবং মিত্র উভয়ের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছেন।
ট্রাম্প স্বীকার করেছেন যে, সংঘাতের অবসানের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া অর্থাৎ তাঁর ও পুতিনের মতো দুই শক্তিশালী পক্ষের মধ্যেই চুক্তি হওয়া উচিত। শান্তি সম্মেলনে অন্য অংশীদারদের সম্পৃক্ত করার বিষয়টি ইতিবাচক বলে মনে হলেও তা ট্রাম্পের দ্রুত সমাধানের লক্ষ্য পূরণ করে না। যুদ্ধক্ষেত্রে প্রভাবশালী পুতিন ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার জন্য ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করেছেন। রুশ নেতা এমন এক মার্কিন প্রতিপক্ষের সম্মুখীন হবেন, যিনি নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার পুনরুজ্জীবন করবেন না, বরং ক্ষমতার প্রবাহের উপর ভিত্তি করে বাস্তববাদী বিশ্বে প্রভাবের ক্ষেত্রগুলিকে স্বীকৃতি দেবেন। তাই ইউক্রেনের শেষ অঙ্কে সম্ভবত একটি যুদ্ধবিরতি ব্যবস্থার পরে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে, যা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে ভার্সাই (যখন পরাজিত জার্মানিকে বিশাল ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য করা হয়েছিল) বা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ইয়াল্টা (যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন ইউরোপে প্রভাবের ক্ষেত্র তৈরি করেছিল) চুক্তির অনুরূপ।
শান্তির শর্তাবলি
আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হওয়ার আগেই মার্কিন শর্তাবলি কার্যকর ভাবে নির্ধারণ করা হয়েছিল। ট্রাম্পের সেক্রেটারি অফ ডিফেন্স পিট হেগসেথ স্পষ্ট করে বলেছেন যে, আমেরিকা সর্বোচ্চ দাবি দিয়ে আলোচনা শুরু করবে না এবং পুতিনের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ দাবি মেনে নেবে: ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দেবে না এবং তার ২০১৪ সালের সীমান্ত পুনরুদ্ধার করা হবে না। সুতরাং রাশিয়ায় ক্রিমিয়ার সংযুক্তি বহাল থাকবে এবং চারটি পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলের উপর রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণ আলোচনাসাপেক্ষ। বিনিময়ে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে এবং পশ্চিম ইউক্রেনের ইইউ-তে যোগদান বা কিয়েভে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের দাবির বিষয়ে মস্কো কোনও আপত্তি জানাবে না।
সবচেয়ে জটিল বিষয় হল ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা। রাশিয়া ন্যাটো-আওতাধীন শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রত্যাখ্যান করেছে। ওয়াশিংটনের ইউক্রেন নীতি অসঙ্গত বলে মনে হলেও, তার লক্ষ্য স্পষ্ট এবং তা হল যুদ্ধের অবসান। প্রাথমিক চুক্তির জন্য আপস প্রয়োজন হবে। তাই ‘ন্যায্য ও স্থিতিশীল’ শান্তি নয়, বরং দ্রুত ও সমীচীন শান্তির পথেই সকলে হাঁটবে।
ট্রাম্পের লক্ষ্য হল তার পূর্বসূরির নজরদারিতে শুরু হওয়া উভয় যুদ্ধের অবসান ঘটানো। প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি মার্কিন সৈন্যদের চূড়ান্ত প্রস্থান তত্ত্বাবধান করতে পারেননি, যা শেষ পর্যন্ত জো বাইডেনের উপর ন্যস্ত হয়। তাঁর সমালোচকরা মনে করেন যে, আফগানিস্তানের মতো ট্রাম্প ইউক্রেন চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য মরিয়া হয়ে ‘জমি ছেড়ে দিয়েছেন’। তবে তিনি এ বার তাঁর নিজস্ব সময়সীমার মধ্যে একটি সমাধান সুনিশ্চিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং তা সম্ভবত হবে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে। একটি ব্যয়বহুল যুদ্ধের অবসানের রাজনৈতিক সুবিধার পাশাপাশি নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রাপ্তির সম্ভাবনা ট্রাম্পকে যথেষ্ট অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
ট্রাম্পের লক্ষ্য হল তার পূর্বসূরির নজরদারিতে শুরু হওয়া উভয় যুদ্ধের অবসান ঘটানো। প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি মার্কিন সৈন্যদের চূড়ান্ত প্রস্থান তত্ত্বাবধান করতে পারেননি, যা শেষ পর্যন্ত জো বাইডেনের উপর ন্যস্ত হয়।
১৮ ফেব্রুয়ারি রিয়াধে আলোচনা শুরু হয় এবং জেনেভার মতো চিরাচরিত ইউরোপীয় স্থান থেকে ইচ্ছাকৃত ভাবে সরে আসা হয়েছে। ‘রিয়াধ রিসেট’-এর অর্থ হল শুধু ইউক্রেনে নয়, গাজার ক্ষেত্রেও ট্রাম্পের সৌদি আরবকে ভূ-রাজনৈতিক মধ্যস্থতাকারী হিসেবে চতুরতার সঙ্গে অগ্রাধিকার দেওয়া। পুতিনের দূতরা ট্রাম্পের দলের সঙ্গে একই টেবিলে উপস্থিত ছিলেন, যেখানে ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয় নেতারা ছিলেন না। রিয়াধে আসন্ন ট্রাম্প-পুতিন শীর্ষ সম্মেলন সম্ভবত চুক্তিটি চূড়ান্ত করবে এবং আনুষ্ঠানিক শান্তি চুক্তিতে পৌঁছনোর আগে যুদ্ধবিরতির সূচনা হবে।
বিশৃঙ্খল ইউরোপ
ট্রাম্পের পদক্ষেপ ইউরোপকে বিচলিত করে তুলেছে। মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স ইউরোপের পতনের কথা স্পষ্ট ভাবে বলেছেন। প্যারিসে দু’টি জরুরি শীর্ষ সম্মেলন এই আতঙ্কেরই প্রতিফলন ঘটায় যে, ইউরোপ একটি ‘দুই ফ্রন্ট পরিস্থিতি’র সম্মুখীন এবং সেখানে এক দিকে আছে রাশিয়ার আগ্রাসন ও অন্য দিকে রয়েছে মার্কিন শত্রুতা। ফ্রান্সের ম্যাক্রোঁ এবং ব্রিটেনের স্টারমার তাঁদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দ্রুতই ওয়াশিংটনে যাবেন এবং অন্য দিকে জার্মানির নতুন চ্যান্সেলর নির্বাচনের আবহ কেটে গেলেই ওয়াশিংটনের পথেই পাড়ি জমাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ইউক্রেনে জেলেনস্কি যুদ্ধক্ষেত্রে পরাজয় এবং একই সঙ্গে ট্রাম্পের ব্যঙ্গের সম্মুখীন হচ্ছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাঁর বিশেষ দূত কিথ কেলগকে কিয়েভে পাঠিয়েছিলেন, যাতে তিনি জেলেনস্কিকে ‘স্বৈরাচারী’ বলে খারিজ করে দেওয়ার আগে ‘বিশেষ সফল নন এমন কৌতুকাভিনেতা’ বলে ব্যঙ্গ করেছিলেন। ট্রাম্প রুশ গুজব দ্বারা প্রভাবিত… এ হেন ইঙ্গিত দেওয়ার আগেই জেলেনস্কি আলাপ-আলোচনার উপর কার্যত তাঁর সকল প্রভাব হারান।
অনেকেই মনে করেন, মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্টকে এমন এক ‘তোলাবাজি’র অভিযানে পাঠানো হয়েছিল, যেটিতে যুদ্ধ প্রচেষ্টায় মার্কিন সহায়তার বিনিময়ে ইউক্রেনের কৌশলগত খনিজ মজুদের ৫০০ বিলিয়ন ডলারে প্রবেশাধিকার চাওয়া হয়েছিল।
ট্রাম্প ইউক্রেনে মার্কিন তহবিল পুনরুদ্ধার করতেও চান। কারণ তাঁর মতে, জেলেনস্কি ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ৩৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করে এমন একটি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে প্ররোচিত করেছে, যা জেতা সম্ভব নয়।’ অনেকেই মনে করেন, মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্টকে এমন এক ‘তোলাবাজি’র অভিযানে পাঠানো হয়েছিল, যেটিতে যুদ্ধ প্রচেষ্টায় মার্কিন সহায়তার বিনিময়ে ইউক্রেনের কৌশলগত খনিজ মজুদের ৫০০ বিলিয়ন ডলারে প্রবেশাধিকার চাওয়া হয়েছিল। এটি ট্রাম্পের ভূ-রাজনীতির নীতিগত এক সম্প্রসারণ, যার লক্ষ্য রিয়েল এস্টেট চুক্তি, গ্রিনল্যান্ড, পানামা খাল, গাজা এমনকি কানাডাকেও মার্কিন ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযোজন করা।
একটি বিশ্বব্যাপী পুনর্বিন্যাস
ইউক্রেন সমস্যার নিষ্পত্তি একটি বৃহত্তর কৌশলগত পুনর্বিন্যাসের অংশ হবে। রাশিয়ার সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক পুনর্বিন্যাস করার প্রয়োজন হতে পারে। কারণ দেশটি একটি বৃহত্তর চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন এবং তা হল আগ্রাসী চিনের উত্থান। এই যুদ্ধ মস্কোকে বেজিংয়ের আরও কাছাকাছি ঠেলে দিয়েছে, তবে একটি সমাধান সেই রাশিয়া-চিন বন্ধন শিথিল করার সুযোগ তৈরি করতে পারে। ট্রাম্পের এই দৃষ্টিভঙ্গি নিক্সনের ঠান্ডা লড়াইয়ের কূটনীতির প্রতিচ্ছবি হতে পারে, যেখানে ১৯৭০-এর দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছ থেকে চিনকে ভাঙিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়েছিল। যদিও এ বার ভূমিকা বদলে গিয়েছে।
বিশ্বের বেশির ভাগ অংশের জন্য, যুদ্ধের অবসান অর্থনৈতিক স্বস্তি বয়ে আনবে। নিষেধাজ্ঞাগুলি বিশ্ব বাজার, খাদ্য সরবরাহ ও জ্বালানি নিরাপত্তা ব্যাহত করেছে। একটি শান্তি প্রস্তাব জ্বালানির প্রবাহ স্থিতিশীল করবে, শস্য রফতানি পুনরুদ্ধার করবে এবং মুদ্রাস্ফীতির চাপও কমাবে। ট্রাম্পের রাষ্ট্রপতিত্ব নিঃসন্দেহে অস্থিরতা তৈরি করলেও এটি ইউক্রেনে শান্তিও নিয়ে আনতে পারে। তবে এই প্রস্তাব স্থায়ী হবে না কি কেবল আর একটি স্থবির সংঘাত ঘনিয়ে আসবে… সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন রিয়াধে বসে থাকা দুই শক্তিশালী ব্যক্তি।
এই প্রতিবেদনটি সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এ।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Ajay Bisaria is a Distinguished Fellow at ORF. He is also a strategic consultant and commentator on international affairs. He has had a distinguished diplomatic ...
Read More +