Published on Nov 23, 2024 Updated 0 Hours ago

নেবারহুড ফার্স্ট বা প্রতিবেশ প্রথম নীতির অধীনে ভারত কম বন্ধুত্বপূর্ণ শাসনব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে শুরু করেছে এবং সুবিধা তৈরি করতে ও নিজের স্বার্থকে আরও এগিয়ে নিতে সংযোগের জন্য চাপ দিয়েছে

ভারতের প্রতিবেশ প্রথম নীতিতে পক্ষপাতিত্ব নিয়ে বিতর্ক

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ২০২৪ সালের গস্ট মাসে পদত্যাগ করেন, তখন ভারতের নেবারহুড ফার্স্ট বা প্রতিবেশ প্রথম নীতি আবারও ব্যাপক নিরীক্ষণের মুখে পড়ে এবং বিশ্লেষক ভাষ্যকাররা কোনও বিশেষ দল অথবা বিশেষ নেতার ক্ষেত্রে খুব বেশি বিনিয়োগ করার জন্য ভারতের সমালোচনা করেছিলেন। এই যুক্তি কিছু বিশ্বাসযোগ্যতা অবশ্যই আছে। এটা কোন গোপন বিষয় নয় যে, ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ নেতা এবং দলগুলিসঙ্গেই কাজ করতে পছন্দ করেছেতবে ধীরে ধীরে ভারত কিন্তু সতর্কতার সঙ্গে বাস্তববাদও গ্রহণ করতে শুরু করেছেপ্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর ভারতে রাষ্ট্রীয় সফরের সাম্প্রতিক পর্ব এবং নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট অনুরা দিসানায়েকে-কে অভিনন্দন জানাতে ভারতীয় ইএএম এস জয়শঙ্করের শ্রীলঙ্কা সফর এই প্রবণতাকেই দর্শায়। নেবারহুড ফার্স্ট বা প্রতিবেশ প্রথম নীতির অধীনে ভারত কম বন্ধুত্বপূর্ণ শাসনব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে শুরু করেছে এবং সুবিধা তৈরি করতে ও নিজের স্বার্থকে আরও এগিয়ে নিতে সংযোগের জন্য চাপ দিয়েছে। যেহেতু রাজনীতি, ভূ-রাজনীতি, ইতিহাস জাতীয়তাবাদের প্রকৃতি বাগাড়ম্বর এবং নীতিগুলিকে ইন্ধন দেয় যা আদতে ভারতের জন্য ক্ষতিকর, তাই ভারতের সর্বোত্তম বাজি হল তার সুবিধা প্রচারের মাধ্যমে তাদের প্রভাবগুলি হ্রাস করা।

স্থায়ী বন্ধু এবং বহুবর্ষজীবী আগ্রহ

প্রায়শই যুক্তি দেওয়া হয় যে, বন্ধুত্ব নয়, বরং স্বার্থই একটি দেশের বিদেশনীতি নির্ধারণ করে। ভারতের প্রতিবেশ এলাকায় একটি রাজনৈতিক দল বা কোনও নেত্রীর ক্ষেত্রে অত্যধিক বিনিয়োগ করার প্রেক্ষিতে ভারতের সমালোচনা করার জন্য এই ধরনের বক্তব্য ব্যবহার করা হয়। যাই হোক, কথাও মনে রাখা জরুরি যে, ভারতের কিছু দল এবং নেতার সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ এই অঞ্চলের রাজনীতি, ইতিহাস জাতীয়তাবাদ দ্বারা নির্ধারিত হয়। একাধিক স্বাধীন রাজ্যে বিভক্ত একটি উপমহাদেশে দুর্বল নিরাপত্তা অবকাঠামো নয়াদিল্লিকে এমন সব সত্তার সঙ্গে নিবিড় ভাবে কাজ করতে বাধ্য করেছে, যারা ক্ষমতার অধিকারী এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে আরও বেশি রাজনীতিকরণ ভারত-বিরোধী মনোভাব ছাড়াই এগিয়ে নিয়ে যেতে ইচ্ছুক। ভারত অতীতে বিভিন্ন উপদলের সঙ্গে জড়িত ছিল। কারণ এটি তার স্বার্থকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তার মিত্রদেশগুলির সঙ্গে যথেষ্ট বাজি ধরেছিল। এই সব কিছুই ভারতের এক অভিভাবক হিসাবে কাজ করা এবং তার প্রতিবেশীদের বিপদে-আপদে দেখভাল করার আখ্যানটিকেও কার্যকর করে তুলেছে

ভারত ২০১৫ সালে মলদ্বীপে একটি রাষ্ট্রীয় সফর বাতিল করে দেয়, যখন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদকে ১৩ বছরের জন্য কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

২০১৪ সালে ভারত যখন তার প্রতিবেশ প্রথম নীতি চালু করেছিল, তখন থেকেই এই বিষয়সমূহ এবং বোঝা বজায় থেকেছে। এমনকি আজও ভারত দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য ভারতের উপর আস্থাশীল দলগুলির সঙ্গে নিবিড় ভাবে কাজ করে চলেছে এমন একটি অঞ্চলে যেখানে ভারত-বিরোধী মনোভাব এবং প্রচারের প্রবাহ উঠছে এবং চি তার বিনিয়োগের দিকে দেশ ঝুঁকছে, তখনও নিজের ক্ষমতাই ভারতকে স্থিতিশীলতা প্রদান করে চলেছে। ফলস্বরূপ, ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ দলগুলির সঙ্গে তার নিজের সহযোগিতা দ্বিগুণ করেছে। সুস্পষ্ট অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক মূল্য সত্ত্বেও ভারত তার বন্ধুদের পাশে দাঁড়িয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ভারত ২০১৫ সালে মলদ্বীপে একটি রাষ্ট্রীয় সফর বাতিল করে দেয়, যখন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদকে ১৩ বছরের জন্য কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর ভারত হাসিনাকে নিজের দেশে থাকার অনুমতি দিতে তৎপর হয়ে ওঠে। ভারতের এই ধরনের পদক্ষেপ নানাবিধ সমালোচনার জন্ম দিলেও ভারতের অবস্থান আসলে তার বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলির কাছে এই বার্তা পাঠাতে সাহায্য করেছে যে, পরিস্থিতি যা-ই হোক না কেন, ভারত তাদের পাশে রয়েছে। ফলে এই সব কিছুই ভারতের স্বার্থকে এগিয়ে নেওয়ার আরও সুযোগ তৈরি করেছে।

প্রথমে প্রতিবেশে বাস্তববাদের সঞ্চার ঘটানো

প্রায়শই বলা হয়ে থাকে যে, গত এক দশকে ভারত এমন সব দল ও নেতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, যারা জাতীয়তাবাদী, ভারতবিরোধী, চিনপন্থী বা ভারতের স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর। ভারতের এ হেন পদক্ষেপের নেপথ্যে বেশ কিছু কারণও রয়েছে। প্রথমত, ভারত এ কথা বুঝতে সক্ষম যে, সরাসরি দূরত্ব আনা, অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়া এবং একটি অ-বান্ধব সরকারের বিরুদ্ধে জনসমক্ষে সমালোচনা করা আসলে সেই দেশগুলিকে ভারতের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে আনবে এবং চিনের দিকে আরও ঠেলে দেবে। দ্বিতীয়ত, ভারত এ বিষয়ে অবগত যে, চিন এখন দক্ষিণ এশিয়ার এক অনিবার্য অংশ হয়ে উঠেছে এবং গত দুই দশক ধরে বেজিং নিজেকে বিশেষ করে অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে নয়াদিল্লির বিকল্প হিসেবে তুলে ধরেছে। তৃতীয়ত, ভারত উপলব্ধি করে যে, সরকার বা ভারত-বান্ধব প্রশাসনের পরিবর্তন সবসময় ভারতেনিজের স্বার্থকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে না। প্রতিবেশী দেশগুলি নিজস্ব রাজনীতি, উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষা এবং স্বার্থ রয়েছে, যা তাদের বিদেশনীতিকে আকার দেবে।

ভারত প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে বিচলিত করতে চায়নি। কারণ হাসিনা এমন একজন নেতা, যিনি বরাবর ভারতের বিপদরেখাকে সম্মান করে এসেছেন এবং ভারতের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন।

বাস্তবসম্মত সম্পৃক্ততা অবশ্য একাধিক কারণের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ: সরকার বা দল বা নেতাদের ভারতীয় বিপদরেখা স্বার্থকে সম্মান করার ক্ষমতা; ক্ষমতায় থাকাকালীন ভারত-বিরোধী মনোভাব প্রশমিত করা; এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, বন্ধুত্বপূর্ণ নেতাদের ক্ষমতা দেশীয় রাজনীতি। বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টির (বিএনপি) সঙ্গে ভারতের মিথস্ক্রিয়া এই ধরনের সম্পৃক্ততার সীমাবদ্ধতার এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ। উদাহরণস্বরূপ, ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানতেন যে, তাঁর পদক্ষেপের দরুন ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকতে পারে। তার পরেও মোদী বিএনপি-খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। ২০১৭ সালে বিএনপি-র একটি প্রতিনিধিদলও ভারত সফর করেছিল এবং ২০২৩ সালে বিএনপি নেতারা বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এই মিথস্ক্রিয়া সত্ত্বেও বিএনপি দলটি যে আদৌ ভারতের উদ্বেগের প্রতি সংবেদনশীল… তেমন কোনও প্রমাণ ভারত খুঁজে পায়নি। সবচেয়ে বড় কথা, ভারত প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে বিচলিত করতে চায়নি। কারণ হাসিনা এমন একজন নেতা, যিনি বরাবর ভারতের বিপদরেখাকে সম্মান করে এসেছেন এবং ভারতের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। তবে হাসিনার পদত্যাগের পরই ভারত ও বিএনপি বরফ গলতে’ শুরু করে।

অর্থনৈতিক সুবিধা

সর্বোপরি, ভারত তার সুবিধা বৃদ্ধির জন্য সংযোগ ভূ-অর্থনীতিকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। এই ধরনের দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ অর্থনৈতিক সংযোগ সরকারগুলিকে (অ-বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ-সহ) আরও সহযোগিতা করতে বাধ্য করবে। ফলস্বরূপ, ভারত  বর্তমানে নেপাল, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং মায়ানমারে সড়ক, বিমান, বন্দর, রেল যোগাযোগ এবং টেলিযোগাযোগে ১০০টিরও বেশি প্রকল্পে কাজ করছে। এর মধ্যে কয়েকটি ক্ষেত্রে, ভারত এই দেশগুলিকে তাদের প্রকল্প এবং উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষাগুলিতে সহায়তা করার জন্য ১.৫ শতাংশ থেকে ১.৭৫ শতাংশ সুদের হার-সহ অনুদান, আর্থিক সহায়তা এবং ক্রেডিট লাইনও অফার করছে। সারণি ১-এ গত দশকে ভারতের ক্রেডিট লাইনের বৃদ্ধির পরিসংখ্যান দর্শানো হয়েছে। উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষার পাশাপাশি ভারত তার প্রতিবেশীদের উদ্বেগ এবং সংবেদনশীলতার বিষয়েও আগ্রহ দেখিয়েছে। সম্প্রতি, ভারত মলদ্বীপ থেকে তার সৈন্য প্রত্যাহার করেছে সেখানে নিজের দেশের কারিগরি কর্মী নিয়োগ করেছে। এমনকি ভারতীয় সৈন্য এবং হাইড্রোগ্রাফিক জাহাজ মোতায়েনের বিষয়ে বর্তমান সরকারের আপত্তির কথা উল্লেখ করে দেশটিকে তার হাইড্রোগ্রাফি উচ্চাকাঙ্ক্ষার সঙ্গে প্রযুক্তিগত ভাবে সহায়তা করতে সম্মত হয়েছে।

সারণি ১. ভারতের ক্রেডিট লাইন

দেশ

২০১৫ (মার্কিন ডলারে)

২০২৩ (মার্কিন ডলারে)

বাংলাদেশ

২.৮ বিলিয়ন

৭.৯ বিলিয়ন

নেপাল

১.৩ বিলিয়ন

১.৬ বিলিয়ন

শ্রীলঙ্কা

১.৭ বিলিয়ন

২.৭ বিলিয়ন

মলদ্বীপ

৮০ মিলিয়ন

১.৪ বিলিয়ন

সূত্র: ওআরএফ

অন্য দিকে, ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এই অঞ্চলের জন্য সম্ভাব্য আশাবাদ সৃষ্টি করেছে। ভুটানের গেলফু বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল, স্থল সেতু এবং বন্দর খাতে বিনিয়োগের জন্য শ্রীলঙ্কার চাপ, নেপালের জলবিদ্যুৎ রফতানি এবং রেল যোগাযোগের জন্য বাংলাদেশের চাপএই সব কিছুই ক্রমবর্ধমান আশাবাদকে দর্শায়। মন উপলব্ধিও রয়েছে যে, ভৌগোলিক প্রসঙ্গটিকে নেহাতই খারিজ করে দেওয়া যায় না এবং ভারতের উপস্থিতি এই অঞ্চলে এতটাই বিশাল যে, চাইলে যে কোনও বড় শক্তিকেই তারা প্রতিস্থাপন করতে পারে। সম্পর্কের বৈচিত্র্যের বিষয়ে যথেষ্ট আলোচনার পর মুইজ্জুর ভারত সফর এ হেন উপলব্ধিকেই দর্শায়। এই আশাবাদ সংযোগের জন্য চাপ ভারত ও তার প্রতিবেশীদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে সাহায্য করেছে।

এর সঙ্গে যোগ হয়েছে চিনের ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ, দক্ষিণ এশীয় সরকারগুলিকে ধারাবাহিক ভাবে প্ররোচিত করা এবং নিজের প্রভাব বৃদ্ধি করা, যা প্রায়শই ভারতের জন্য ক্ষতিকর।

একটি আদর্শ, নির্দলীয় দক্ষিণ এশিয়া?

এই বাস্তবসম্মত সম্পৃক্ততা, সংযোগ অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততার বিনিময়ে ভারত প্রতিবেশী সরকারগুলিকে তার বিপদরেখা ও উদ্বেগকে সম্মান করার অনুরোধ করেছে। কিছু বিপদরেখার মধ্যে রয়েছে চিনের সঙ্গে সহযোগিতা। কারণ চিন ভারতের নিরাপত্তাজনিত মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। অন্য কারণগুলির মধ্যে অন্যতম হল ন্তঃদেশীয় প্রভাব-সহ দেশীয় উন্নয়ন। যাই হোক, ইতিহাস, রাজনীতি, ভূ-রাজনীতি এবং জাতীয়তাবাদের প্রকৃতির পরিপ্রেক্ষিতে, দক্ষিণ এশীয় সরকারগুলির জন্য ভারতকে নিশ্চয়তা প্রদান বেশ কঠিন এক কাজ। কারণ দেশগুলি নিজেরা প্রায়শই তাদের নিজস্ব রাজনীতি এবং স্বার্থে জর্জরিত। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে চিনের ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ, দক্ষিণ এশীয় সরকারগুলিকে ধারাবাহিক ভাবে প্ররোচিত করা এবং নিজের প্রভাব বৃদ্ধি করা, যা প্রায়শই ভারতের জন্য ক্ষতিকর।

একটি প্রধান শক্তি হওয়ায় ভারত সব সময় সমমনস্ক বন্ধুত্বপূর্ণ সরকারগুলির সঙ্গেই কাজ করতে পছন্দ করবে, যারা সম্পর্কের রাজনীতিকরণে কম বিনিয়োগ করে। এটি এই দেশগুলির ক্ষুদ্র ব্যবস্থাপনা এড়াতে সাহায্য করলেও ভারতের ভবিষ্য সম্পর্কগুলি আসলে এই অ-বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলির কথা বলার ক্ষমতা এবং ভারতের প্রসঙ্গে তাদের ক্ষমতা অনুভব করা ভারতের বিপদরেখাগুলিকে সম্মান করার ইচ্ছার উপর নির্ভর করবে। আঞ্চলিক দৃশ্যপটের পরিপ্রেক্ষিতে, পক্ষপাতিত্ব তাই অব্যাহত থাকবে। ভারত সর্বোত্তম যে কাজটি করতে পারে তা হল, বাস্তবসম্মত সম্পৃক্ততা চালিয়ে যাওয়া এবং এর প্রভাবগুলি প্রশমিত করার জন্য তার সংযোগ প্রচেষ্টার সুবিধা নেওয়া।

 


আদিত্য গৌদারা শিবমূর্তি অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের অ্যাসোসিয়েট ফেলো।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Author

Aditya Gowdara Shivamurthy

Aditya Gowdara Shivamurthy

Aditya Gowdara Shivamurthy is an Associate Fellow with the Strategic Studies Programme’s Neighbourhood Studies Initiative.  He focuses on strategic and security-related developments in the South Asian ...

Read More +