Published on Oct 17, 2024 Updated 0 Hours ago

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চলতি সাইবার অপরাধ মোকাবিলায় শক্তিশালী প্রক্রিয়া ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন

সাইবার কেলেঙ্কারি ও পাচার: ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার চ্যালেঞ্জ

জুলাই মাসের শুরুতে অনুষ্ঠিত বিমস্টেক বিদেশমন্ত্রীদের রিট্রিটে ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর মায়ানমার ও তাইল্যান্ডের বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে অনলাইন স্ক্যাম ইস্যুতে আলোচনা করেন। ২৭ জুলাই লাওসে অনুষ্ঠিত ৩১তম অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান) আঞ্চলিক ফোরামে তিনি এই উদ্বেগ আবার উত্থাপন করেছিলেন, এবং চলতি সাইবার অপরাধ মোকাবিলায় শক্তিশালী প্রক্রিয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় সম্মিলিত প্রচেষ্টার গুরুত্বের উপর জোর দেন।

ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টার (১৪সি) অনুসারে, জানুয়ারি থেকে এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে উদ্ভূত সাইবার কেলেঙ্কারির কারণে ভারত উল্লেখযোগ্য আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে: ৬২,৫৮৭টি বিনিয়োগ কেলেঙ্কারি থেকে আনুমানিক ১৬.৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার;‌ ২০,০৪৩টি ট্রেডিং কেলেঙ্কারি থেকে ২.৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার;‌ ৪,৬০০টি ডিজিটাল অ্যারেস্ট স্ক্যাম থেকে ১.৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার;‌ এবং ১,৭২৫ ডেটিং কেলেঙ্কারি থেকে ০.১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২৩ সালে জাতীয় সাইবার ক্রাইম পোর্টালে ১০০,০০০টিরও বেশি বিনিয়োগ কেলেঙ্কারি এবং ১০,০০০টি সম্পর্কিত এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল, যা ক্রমবর্ধমান মামলাগুলির বিষয়ে উদ্বেগ বাড়ায়।


ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টার (১৪সি) অনুসারে, জানুয়ারি থেকে এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে উদ্ভূত সাইবার কেলেঙ্কারির কারণে ভারত উল্লেখযোগ্য আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।



সাইবার জালিয়াতি মানব পাচারের একটি আধুনিক রূপ হিসাবে বিকশিত হয়েছে। পাচারকারীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় কাজের নিয়োগকারী হিসাবে পরিচয় দেয়, এবং যাদের ইংরাজিতে দক্ষতা বা প্রযুক্তিগত পটভূমি রয়েছে তাদের উচ্চ বেতনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রলুব্ধ করে। একবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় গেলে ভুক্তভোগীদের সাইবার কেলেঙ্কারি চালাতে বাধ্য করা হয়, কারাগারের মতো অবস্থায় রাখা হয়, এবং অনলাইন জুয়া ও রোমান্স কেলেঙ্কারির মতো অবৈধ কার্যকলাপের মাধ্যমে তাদের "ঋণ" শোধ করতে বাধ্য করা হয়। মায়ানমারের অস্থিতিশীলতা এবং কোভিড-১৯ অতিমারি সৃষ্ট অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যে এই প্রয়াসগুলির বাড়বাড়ন্ত হয়েছে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অনলাইন কেলেঙ্কারি

স্ক্যামিং ক্রিয়াকলাপগুলি হাজার হাজার লোককে জড়িত করে, যাদের মধ্যে অনেকেই লাভজনক প্রযুক্তিগত কাজের জন্য প্রতারণামূলক অনলাইন বিজ্ঞাপন দ্বারা প্রতারিত হন, এবং অবশেষে স্ক্যাম কমপ্লেক্সে পাচার হয়ে যান। অল্প সংখ্যক ইচ্ছুক অংশগ্রহণকারীদের পাশাপাশি এই পাচার হওয়া ব্যক্তিরা ভারতসহ
বিশ্বের ৬০টিরও বেশি দেশ থেকে আসেন

দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যগুলি (কেরালা বাদে) এবং উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান ও বিহারের মতো উত্তর ভারতের রাজ্যগুলির গ্রামীণ এলাকার যুবসমাজের অনেকে তাদের ভৌগোলিক নৈকট্য ও আকর্ষণীয় বেতন প্যাকেজের কারণে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিকে পছন্দ করে। তাদের প্রধানত
"ডিজিটাল সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ" বা "গ্রাহক সহায়তা পরিষেবা" হিসাবে নিয়োগ করা হয়।


দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যগুলি (কেরালা বাদে) এবং উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান ও বিহারের মতো উত্তর ভারতের রাজ্যগুলির গ্রামীণ এলাকার যুবসমাজের অনেকে তাদের ভৌগোলিক নৈকট্য ও আকর্ষণীয় বেতন প্যাকেজের কারণে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিকে পছন্দ করে।



মায়ানমারের অরাজক পরিবেশ জুয়া ও ফিশিং-‌সহ বেআইনি কার্যকলাপকে উৎসাহিত করেছে। তাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে অবস্থিত কায়িন রাজ্যের মায়াওয়াদ্দি এখন সামরিক জুন্টার সঙ্গে বিদ্রোহী আন্দোলন ও সংঘর্ষের একটি স্থান হয়ে উঠেছে, এবং এটি একটি স্ক্যামিং হাবে পরিণত হয়েছে। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই স্থানগুলি সারাক্ষণ পাহারা দেওয়া হয়। কম্বোডিয়ায় পরিত্যক্ত জায়গাগুলিকে, বিশেষ করে ক্যাসিনো ও হোটেলগুলিকে, অনলাইন কনিং করার জন্য নতুন করে সাজানো হয়েছে, এবং কর্তৃপক্ষের থেকে এগুলিকে রক্ষা করা হয় অপরাধী নেটওয়ার্কের মাধ্যমে।
লাওসে ঝাও উয়েই-এর কুখ্যাত গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল এসইজেড-এর মতো এসইজেড-গুলি হল বেআইনি কার্যক্রমের প্রাথমিক কেন্দ্র।

যেহেতু এই দেশগুলির অপরাধী নেটওয়ার্কগুলির মধ্যে দৃঢ় আন্তঃসম্পর্ক রয়েছে, তাই তারা ধরা পড়া এড়াতে এই দেশগুলির নতুন নতুন অবস্থানে স্থানান্তরিত হচ্ছে। যেমন, ২০২৩ সালের শেষের দিকে চিন-মায়ানমার সীমান্তে এই ধরনের অবৈধ কারবারগুলির উপর চিনের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ক্র্যাকডাউনের ফলে এই অপারেশনগুলির
অনেকগুলি চলে যায় দক্ষিণে তাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী মায়ানমারের কারেন রাজ্যে এবং সেইসঙ্গে কম্বোডিয়া ও লাওসে।

ভারতীয় কর্তৃপক্ষের গৃহীত ব্যবস্থা

ভারতীয়দের লক্ষ্য করে আন্তর্জাতিক সাইবার অপরাধের ক্রমবর্ধমান হুমকির প্রতিক্রিয়ায় ভারত সরকার একটি আন্তঃমন্ত্রক কমিটি গঠন করেছে। ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টার (১৪সি), যা ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠিত, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে সাইবার ক্রাইমগুলি ব্যাপকভাবে মোকাবিলা করার জন্য একটি ব্যবস্থা প্রদান করে৷


রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলির সহযোগিতায় ১৪সি বর্তমান আইটি আইনের ধারা ৬৯এ-‌র অধীনে প্রায় ৩২৫,০০০ মিউল অ্যাকাউন্ট, ৩,০০০ ইউআরএল ও ৫৯৫টি অ্যাপ্লিকেশন ব্লক করা সহ উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ করেছে৷ উপরন্তু, ৫৩০,০০০ সিম কার্ড এবং ৮০,৮৪৮ আইএমইআই নম্বর কয়েক মাসের মধ্যে আইটি আইনের ৭৯(৩)(খ) ধারার অধীনে বাতিল করা হয়েছে।

এ ছাড়া বিদেশ মন্ত্রক যথাযথ যাচাই-বাছাই করা হয়নি এমন
জাল র‌্যাকেটগুলির, যেগুলি ভারতীয়দের লক্ষ্যবস্তু করছে, তাদের চাকরির ফাঁদে পা দেওয়ার বিষয়ে অ্যাডভাইসরি জারি করেছে, বিশেষ করে যারা মায়ানমারে যেতে বলছে। মায়ানমার, কম্বোডিয়া, তাইল্যান্ড, ও লাওসের ভারতীয় দূতাবাসগুলিকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। ভারতীয় দূতাবাসগুলি এই অপরাধ দমন করতে এবং বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের রক্ষা করতে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্বে কাজ করে।


২০২৪ সালের মে মাসে ভারতীয় দূতাবাস মায়ানমারের মায়াওয়াদ্দির এইচপা লু অঞ্চলে একটি
চাকরির প্রস্তাব সংক্রান্ত কেলেঙ্কারি থেকে আট ভারতীয় নাগরিককে উদ্ধারের খবর দিয়েছে। উদ্ধারকৃত নাগরিকদের নিরাপদে মায়ানমারের পুলিশ ও অভিবাসন কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। উপরন্তু মায়াওয়াদ্দিতে ১৯ জন ভারতীয় নাগরিককে কেলেঙ্কারি-‌ক্ষেত্র থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। কম্বোডিয়ার নম পেনে ভারতীয় দূতাবাস সক্রিয়ভাবে ভারতীয় ক্ষতিগ্রস্তদের ফিরিয়ে আনছে, এবং প্রায় ৬৫০ জন ইতিমধ্যেই ফিরে এসেছে। লাওস থেকে ৫১৮ ভারতীয়কেও উদ্ধার করা হয়েছে। এত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আরও অনেকে এই কেন্দ্রগুলিতে আটকা পড়েছে।


ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অবৈধ নিয়োগ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত একাধিক জনকে গ্রেপ্তার করেছে। মে মাসে বিশাখাপত্তনম সাইবার ক্রাইম পুলিশ সাইবার ক্রাইম হাবগুলিতে পাঠানোর সঙ্গে জড়িত তিনজন এজেন্টকে গ্রেপ্তার করেছিল, এবং ওডিশাতেও অনুরূপ গ্রেপ্তার হয়েছিল৷
আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল গুজরাট,, হরিয়ানা ও চণ্ডীগড় থেকে।



ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অবৈধ নিয়োগ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত একাধিক জনকে গ্রেপ্তার করেছে। মে মাসে বিশাখাপত্তনম সাইবার ক্রাইম পুলিশ সাইবার ক্রাইম হাবগুলিতে পাঠানোর সঙ্গে জড়িত তিনজন এজেন্টকে গ্রেপ্তার করেছিল, এবং ওডিশাতেও অনুরূপ গ্রেপ্তার হয়েছিল৷



ভারত সরকার আশা করে যে
ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (বিএনএস) ধারা ১১১, যা সংগঠিত অপরাধকে স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করে এবং ১ জুলাই ২০২৪-এ কার্যকর হয়েছে, ‌তা অপরাধীদের বিচারের উন্নতি ঘটাবে। এই আইনটি সমন্বিত ও ব্যাপক তদন্ত নিশ্চিত করতে সিবিআই, এনআইএ ও রাজ্য পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে যৌথ টাস্ক ফোর্স গঠনের অনুমতি দেয়। এটি জাতীয় এবং রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলির মধ্যে বুদ্ধিমত্তা এবং তথ্য ভাগ করে নেওয়ার জন্য শক্তিশালী প্রক্রিয়াও তৈরি করে।


এই আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে সংগঠিত অপরাধের সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনদের সনাক্ত, গ্রেপ্তার ও ডিপোর্ট করতে আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় সাধন। এর সঙ্গে তথ্য নিয়ে এগিয়ে আসা ব্যক্তিদের নিরাপত্তা ও নাম গোপন রাখার শর্ত প্রদান করে এমন ব্যাপক সাক্ষী সুরক্ষা প্রোগ্রাম তৈরি করা অপরিহার্য হবে।

প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ

ভারত ও কম্বোডিয়ার সরকার ২০১৮ সালে মানব পাচার প্রতিরোধে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের ট্রান্সন্যাশনাল অর্গানাইজড ক্রাইম (ইউএনসিটক) কনভেনশন অনুমোদন করেছে, যা ব্যক্তির এবং বিশেষ করে নারী ও শিশুদের পাচার বন্ধ করার আহ্বান জানায়।
মায়ানমার সরকারের সঙ্গেও একই ধরনের চুক্তি রয়েছে। এ ক্ষেত্রে মানব পাচারের বিষয়ে লাওসের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারকও প্রয়োজন।


মায়ানমারের মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং চলতি সংঘর্ষ উল্লেখযোগ্যভাবে পাচার প্রতিরোধ ও ক্ষতিগ্রস্তদের সুরক্ষার জন্য পরিকল্পিত পদক্ষেপের কার্যকর বাস্তবায়নে বাধা দেয়। যখন সামরিক কর্তৃপক্ষ ভারতীয় নাগরিকদের উদ্ধার ও প্রত্যাবাসনে সহায়তা করছে, তখন ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার ও প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে সকল অংশীদারের সঙ্গে আলোচনা অপরিহার্য।

সংগঠিত অপরাধ গোষ্ঠীগুলি সনাক্তকরণ এড়াতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে। সেই জন্য আইন প্রয়োগকারীদেরও সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করতে বিশেষ দক্ষতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার প্রয়োজন হয়। কার্যকরী প্রয়োগের জন্য পর্যাপ্ত তহবিল ও প্রশিক্ষিত কর্মী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উদ্ধার প্রচেষ্টার অতিরিক্ত ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও মনস্তাত্ত্বিক সহায়তা প্রদান তাদের সুস্থতা ও পুনঃসংযুক্তিকরণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

এই জটিল সমস্যাটি মোকাবিলা করার জন্য ভারত, মায়ানমার ও কম্বোডিয়া থেকে একটি সমন্বিত পদ্ধতির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজন, যাতে ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় এবং কার্যকরভাবে এই গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে লড়াই করা যায়। এ বিষয়ে আঞ্চলিক ব্লক আসিয়ানের প্রচেষ্টা অপরিহার্য হবে। যদিও
আসিয়ান নেতারা ২০২৩ সালে সীমান্ত তত্ত্বাবধান, নিরাপত্তা প্রয়োগ, আইনি পদক্ষেপ ও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রত্যাবাসনে সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত হয়েছেন , তবে এই বিষয়ে আরও প্রচেষ্টার প্রয়োজন আছে। উপরন্তু, শক্তিশালী আন্তর্জাতিক চাপ ও সমর্থন এই জাতীয় নেটওয়ার্কগুলি ভেঙে ফেলার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধুমাত্র টেকসই ও ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই কার্যকলাপগুলি নির্মূল করা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনার আশা করা যেতে পারে।



শ্রীপর্ণা ব্যানার্জি অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের জুনিয়র ফেলো

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.