Author : B. Rahul Kamath

Published on Jan 31, 2022 Updated 0 Hours ago

ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট পদ গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে আগামী ছয় মাসের মধ্যে একটি উচ্চাভিলাষী কর্মসূচি পূরণের চেষ্টা করবে।

ইইউ কাউন্সিল: ম্যাক্রোঁর নেতৃত্বে প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব নিল ফ্রান্স

স্লোভেনিয়ার কাছ থেকে ২০২২-এর ১ জানুয়ারি ফ্রান্স ১৪ বছরের মধ্যে প্রথম বার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাউন্সিলের সভাপতিত্ব গ্রহণ করল। ফ্রান্স ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন ২০২২ পর্যন্ত ছয় মাসের জন্য ইইউ কাউন্সিলের সভাপতিত্বে থাকবে। কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট সভা পরিচালনা, কর্মসূচি নির্ধারণ ও ইইউ–এর অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ তাঁর সভাপতিত্বের সময় ফ্রান্সের অগ্রাধিকারগুলি তুলে ধরতে এলিজে প্রাসাদে এক ঘণ্টার উপস্থাপনায় যে মোটো ব্যবহার করেন, তা হল:‌ ‘‌পুনরুদ্ধার, ক্ষমতা ও ভাগিদারি’‌। সার্বভৌমত্ব ও কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের উপর জোর দিয়ে ইউরোপে সহযোগিতা বৃদ্ধিই হল ম্যাক্রোঁর লক্ষ্য, এবং এই ভাবেই ফ্রান্স তার প্রেসিডেন্সির সময় ইউরোপ জুড়ে একাধিক সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে৷ প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ ২০১৭ সালে ফরাসি প্রেসিডেন্সির জন্য নির্দিষ্ট কাঠামো নির্ধারণ করেছিলেন, এবং তারপর থেকে তাঁর সরকার কাজ করছে এমন প্রকৃত ইউরোপীয় সার্বভৌমত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে যা ইউরোপের মূল্যবোধ ও স্বার্থ রক্ষা করার দিকে নজর কেন্দ্রীভূত করে। একটি সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ এক শক্তিশালী ও সম্পূর্ণ সার্বভৌম ইউরোপের দিকে অগ্রসর হওয়ার পথে তাঁর অগ্রাধিকারগুলিকে চিহ্নিত করেন।

ফ্রান্সের ইইউ প্রেসিডেন্সি গ্রহণের সময় পশ্চাৎপটে আছে স্বাস্থ্য, শক্তি ও অভিবাসন সংকট, বিশেষ করে ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘর্ষের দরুন ইইউ-এর পূর্ব সীমান্তে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা। তাঁর বক্তৃতায় ম্যাক্রোঁ অভিবাসনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য ইউরোপীয় সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে উন্নতির কথা বলেছিলেন, এবং সেই লক্ষ্যে তিনি একটি রাজনৈতিক স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করে শ্যেনগেন সীমান্তমুক্ত এলাকা সংস্কারের কথা তুলে ধরেন। তা ছাড়া ফ্রান্স শরণার্থী সংকটের জন্য এমার্জেন্সি বর্ডার সাপোর্ট মেকানিজম তৈরির সিদ্ধান্ত অনুসরণ করবে, যে ব্যবস্থাটি ২০১৬ সালে তৈরি করা হয়েছিল অভিবাসন সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে ইইউ-এর ভেতরে মানবিক চাহিদা পূরণের জন্য। বেলারুস আশ্রয়প্রার্থীদের পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া ও লাটভিয়ায় ঢুকতে উদ্বুদ্ধ করার কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নতুন অভিবাসন সংকটের মুখোমুখি হয়েছে।

এর বাইরে ম্যাক্রোঁ আফ্রিকা মহাদেশের গুরুত্বের কথাও বলেছেন, এবং ব্রাসেলসে ফেব্রুয়ারিতে একটি ইইউ-আফ্রিকা শীর্ষ সম্মেলন করবেন বলে ঘোষণা করেছেন। ফ্রান্স এখনও আফ্রিকা ও পশ্চিম বলকানে কাঠামোগত উদ্যোগ নেওয়ার কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি ইউরোপের গ্লোবাল গেটওয়ে উদ্যোগের বাইরেও আফ্রিকার সঙ্গে একটি নতুন অর্থনৈতিক ও আর্থিক চুক্তি শুরু করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আর পশ্চিম বলকান হল ফ্রান্স ও ইইউ-এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঞ্চল। ম্যাক্রোঁ এই অঞ্চলে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়া এবং ইইউ–তে যাতে আরও পশ্চিম বলকান দেশ যোগ দেয় সেই উদ্দেশ্যে আলোচনার উপর জোর দিয়েছিলেন। পশ্চিম ইউরোপে পৌঁছনোর চেষ্টা করছে এমন অনিয়মিত অভিবাসীদের জন্যও এই অঞ্চলটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট রুট এবং অতীতে এই রুটটি এই অঞ্চলে মাদক চোরাচালান, ছোটখাট চুরি ও মানব পাচারের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। এর আগে, ২০২১ সালে, ইইউ-ওয়েস্টার্ন বলকান শীর্ষ সম্মেলনে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডের লেয়েন বলেছিলেন পশ্চিম বলকান ছাড়া ইইউ সম্পূর্ণ নয়। তাই, ফ্রান্সের লক্ষ্য তার প্রেসিডেন্সির সময় এই অঞ্চলের যোগদানের আলোচনাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।

প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ ইইউ জুড়ে ব্যাপক বেকারত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং মহাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন আনতে ‘‌একটি নতুন ইউরোপীয় মডেল কল্পনা করার’‌ আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি ম্যাক্রোঁ বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় বিনিয়োগ পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন, এবং কিছু নতুন শিল্প জোটও ২০২২ সালের মার্চের মধ্যে কাজ শুরু করবে৷ নতুন মডেলটির লক্ষ্য একটি সরলীকৃত ও স্বচ্ছ কাঠামো তৈরি করা, বিশেষ করে ইউরোপে একটি ব্যাঙ্কিং ইউনিয়ন তৈরি করা। ফ্রান্সের লক্ষ্য ইউরোপের বাজেট কাঠামো পুনর্বিবেচনা করা, বিশেষত কোভিড-১৯ এর চতুর্থ তরঙ্গ মোকাবিলার পরে। নতুন মডেলে ফ্রান্স ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনকে শীর্ষ অগ্রাধিকার হিসেবে চিহ্নিত করেছে, কারণ এর মাধ্যমে ইইউ–এর ডিজিটাল বাজার আইন (ডিএমএ) ও ডিজিটাল পরিষেবা আইন (ডিএসএ) সফল ভাবে তৈরি হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ নতুন ইউরোপীয় বৃদ্ধি সংক্রান্ত মডেলটি পরিবেশগত উচ্চাকাঙ্ক্ষাকেও তুলে ধরে। ম্যাক্রোঁ একটি কার্বন অ্যাডজাস্টমেন্ট মেকানিজম, যা কার্বন ট্যাক্স নামেও পরিচিত, গ্রহণ ও বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এটি ইউরোপীয় শিল্পগুলিকে তাদের প্রতিযোগী সত্তা রক্ষা করতে সাহায্য করবে। নতুন মডেলটি চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। ফ্রান্সের লক্ষ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ইউরোপের নির্ভরতা হ্রাস করা, এবং ম্যাক্রোঁ ওই মহাদেশটিকে একটি ডিজিটাল পাওয়ারহাউস হিসেবে গড়ে তুলে ইউরোপের প্রকৃত প্রযুক্তিগত সার্বভৌমত্ব অর্জনের জন্য ইউরোপীয়দের উপর চাপ দিচ্ছেন।

নতুন ইউরোপীয় বৃদ্ধি সংক্রান্ত মডেলটি পরিবেশগত উচ্চাকাঙ্ক্ষাকেও তুলে ধরে। ম্যাক্রোঁ একটি কার্বন অ্যাডজাস্টমেন্ট মেকানিজম, যা কার্বন ট্যাক্স নামেও পরিচিত, গ্রহণ ও বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এটি ইউরোপীয় শিল্পগুলিকে তাদের প্রতিযোগী সত্তা রক্ষা করতে সাহায্য করবে।

ফরাসি প্রেসিডেন্সির অধীনে অন্য প্রধান অগ্রাধিকারগুলির মধ্যে একটি হল ইইউ প্রতিরক্ষা নীতিতে অগ্রগতি আনা। ফ্রান্স ২০১৭ সাল থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাধারণ নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা নীতির (সিএসডিপি) আওতায় ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা তহবিল ও পার্মানেন্ট স্ট্রাকচার্‌ড কোঅপারেশন (পেসকো) প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়ে ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা বিষয়ে যথেষ্ট অগ্রগতি এনেছে। উল্লেখযোগ্য ভাবে, পেসকো–কে অন্যান্য ইইউ সদস্য রাষ্ট্র ন্যাটোর পরিপূরক বলে মনে করে। ইইউ বর্তমানে একটি ইউরোপিয়ান স্ট্র‌্যাটেজিক কম্পাস (ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত শ্বেতপত্র) নিয়ে কাজ করছে। এটি একটি নথি যা পরবর্তী দশকের জন্য নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে ইইউ-এর সংজ্ঞায়িত লক্ষ্যগুলি তালিকাভুক্ত করবে, এবং তারপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন কার্যকর করবে ও ব্রাসেলসকে অনুমতি দেবে সরাসরি ইউরোপের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে। নথিটি ফরাসি প্রেসিডেন্সির সময় ২০২২ সালের প্রথমার্ধে গৃহীত হতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর উপর ইউরোপের নির্ভরতা হ্রাস করার জন্য প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ সক্রিয় ভাবে একটি ইউরোপীয় সেনাবাহিনী প্রতিষ্ঠার জন্য উদ্যোগী হয়ে কাজ করছেন।

আইনের শাসন সংক্রান্ত বিষয়গুলি পশ্চিম ও পূর্ব ইউরোপকে বিভক্ত করেছে, এবং ম্যাক্রোঁ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার প্রশ্নে কোনও দর কষাকষিতে রাজি নন। হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড ও স্লোভেনিয়ার নেতারা তাঁদের নিজ নিজ উপায়ে সংবাদমাধ্যম ও বিচার বিভাগের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তন ঘটাচ্ছেন, আর পোল্যান্ড এমনকি ইইউ আইনের উপর জাতীয় আইনকে প্রাধান্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। ইইউ–এর ফরাসি প্রেসিডেন্সির সময়ে ২০২২ সালে আইনের শাসন কার্যকর করার প্রশ্নে এমন কিছু ঘটনা বড় বিপদ হিসেবে দেখা দেবে। হাঙ্গেরিতে পার্লামেন্ট নির্বাচন হবে; ২০২২ সালের প্রথমার্ধে আসন্ন নির্বাচনে স্লোভেনিয়ার পরীক্ষা হবে; এবং একাধিক ইস্যুতে ওয়ারশ ও ব্রাসেলসের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা ফ্রান্স ও ইইউর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।

হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড ও স্লোভেনিয়ার নেতারা তাঁদের নিজ নিজ উপায়ে সংবাদমাধ্যম ও বিচার বিভাগের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তন ঘটাচ্ছেন, আর পোল্যান্ড এমনকি ইইউ আইনের উপর জাতীয় আইনকে প্রাধান্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। ইইউ–এর ফরাসি প্রেসিডেন্সির সময়ে ২০২২ সালে আইনের শাসন কার্যকর করার প্রশ্নে এমন কিছু ঘটনা বড় বিপদ হিসেবে দেখা দেবে।

যাই হোক, ২০২২ সালের এপ্রিলে নির্ধারিত ফরাসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ইউরোপীয় বিষয়গুলিতে একটি সন্ধিক্ষণ হয়ে দেখা দেবে, যদিও ফরাসি প্রেসিডেন্টের দৌড়কে ইইউ-এর ফরাসি প্রেসিডেন্সির ক্ষেত্রে ছোট করে দেখানোর চেষ্টা করা হবে। প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ এখনও দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেননি। তবে রিপাবলিকান পার্টির তরফে ভ্যালেরি পেক্রেস তাঁর দলের মনোনয়ন পেয়েছেন ম্যাক্রোঁর লা রেপাবলিক অঁ মার্শ–এর বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে লড়ার জন্য। মেরিন ল পেন ও এরিক জেমুরের উপস্থিতি সত্ত্বেও পলিটিকো পরিচালিত পোল–এ পেক্রেস এগিয়ে চলেছেন। তবে প্রেসিডেন্ট পদের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন ম্যাক্রোঁ। আসন্ন ফরাসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল এই দশকের জন্য ইউরোপীয় শাসনব্যবস্থাকে হয় ইউরোপ-পন্থী অথবা ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিরোধিতার দিকে ঠেলে দিতে পারে, কারণ ফরাসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নেতৃস্থানীয় প্রার্থীরা অভিবাসনকে কেন্দ্রীয় বিষয় করেছেন৷ অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের পদত্যাগের পরে ইউরোপীয় রাজনৈতিক বিষয়গুলির একটি নতুন অধ্যায় শুরু হবে, এবং বর্তমানে ম্যাক্রোঁ ইইউ স্তরে রাজনৈতিক ভাবে অনেক বেশি সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছেন। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাউন্সিলের ফরাসি প্রেসিডেন্সি চলবে এমন সময় যখন কোভিড–১৯ বেড়ে চলেছে এবং মহাদেশ জুড়ে ব্যাপক বিধিনিষেধ জারি রয়েছে। আসন্ন মাসগুলিতে ম্যাক্রোঁর মনোযোগ অভ্যন্তরীণ ও ইউরোপীয় সমস্যাগুলির মধ্যে ব্যাপক ভাবে বিভক্ত হবে। ২০১৭ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে তিনি যে কথা বলে আসছেন, এখন মার্কেলের প্রস্থান ম্যাক্রোঁকে তাঁর সেই ইউরোপপন্থী উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ করার সুযোগ দিয়েছে। ইইউ এখন গোষ্ঠীটির প্রতিনিধিত্ব করার জন্য একটি মুখ খুঁজে বার করার চেষ্টা করছে, এবং ইতালির মারিও ড্রাগির পাশাপাশি ম্যাক্রোঁ এ ক্ষেত্রে একজন নেতৃস্থানীয় প্রার্থী। তবে ম্যাক্রোঁ এবং ড্রাগি উভয়েই ২০২২ সালের প্রথমার্ধে নির্বাচনের মুখোমুখি হচ্ছেন, এবং ততক্ষণ পর্যন্ত ইউরোপ অনিশ্চয়তা এবং অস্পষ্টতার দিকে অগ্রসর হতে পারে।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.