Published on Jun 24, 2023 Updated 0 Hours ago

অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধের ক্রমবর্ধমান বিশ্বব্যাপী আশঙ্কা প্রশমিত করার জন্য নীতি এবং উপযুক্ত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন

অনিশ্চিত সিস্টেমে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স-এর (এএমআর) বিরুদ্ধে লড়াই

অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) জনস্বাস্থ্যের নিরিখে এক  ক্রমবর্ধমান বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ হয়ে উঠেছে এবং অনুমান করা হচ্ছে যে, ২০৫০ সালের মধ্যে এর ফলে প্রতি বছর ১ কোটি মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে এবং সম্মিলিত আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ হতে পারে ১০০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। এএমআর-এর নেপথ্যে একটি অন্যতম প্রধান চালিকা শক্তি হল অ্যান্টিবায়োটিকের অত্যধিক ব্যবহার ও অপব্যবহার, যা ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী স্ট্রেনগুলির উত্থান ঘটাতে পারে। এই সমস্যাটি বিশেষত উন্নয়নশীল দেশগুলিতে দেখা যায়, যেখানে অ্যান্টিবায়োটিকগুলি প্রায়ই প্রেসক্রিপশন ছাড়াই দোকানে কিনতে পাওয়া যায়। দুর্বল জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিকের অনুপযুক্ত ব্যবহার এই সমস্যাটিকে আরও বাড়িয়ে তোলে।

আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় স্তরে এএমআর মোকাবিলার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত চ্যালেঞ্জগুলি শনাক্ত করা হয়েছে:

  • শিশুদের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিকের অনুপযুক্ত ব্যবহার: অনেক সংক্রমণ ভাইরাসের কারণে হয় এবং সেগুলির ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন না হলেও অ্যান্টিবায়োটিকগুলি শিশুদের জন্য সবচেয়ে সাধারণ ভাবে নির্ধারিত ওষুধের তালিকায় পড়ে। অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের পরামর্শ এবং তার অনুপযুক্ত ব্যবহার অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার জন্ম দিতে পারে। একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, বহিরাগত রোগীদের নিরিখে শিশুদের জন্য নির্দেশিত ৪১ শতাংশ পর্যন্ত অ্যান্টিবায়োটিক অপ্রয়োজনীয় অথবা অনুপযুক্ত।
  • নতুন অ্যান্টিবায়োটিক বিকাশে বাধা: নতুন অ্যান্টিবায়োটিকের বিকাশের গতি গত কয়েক দশক ধরে হ্রাস পেয়েছে এবং আগামী দিনে নতুন অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কারের সম্ভাব্য সংখ্যাও কম। এর ফলে অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার নতুন স্ট্রেনগুলির সঙ্গে মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে পড়্ছে।
  • দুর্বল অ্যান্টিবায়োটিক স্টুয়ার্ডশিপ: অ্যান্টিবায়োটিক স্টুয়ার্ডশিপ বলতে অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা সংরক্ষণের জন্য দায়বদ্ধ ব্যবহার বোঝায়। সুতরাং স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের এই জীবনরক্ষাকারী ওষুধের অব্যাহত কার্যকারিতা সুনিশ্চিত করার জন্য তাদের ক্লিনিক্যাল অনুশীলনে অ্যান্টিবায়োটিক স্টুয়ার্ডশিপকে অগ্রাধিকার দেওয়া অপরিহার্য।

অতএব, এএমআর-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার হল বয়সোপযুক্ত অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি করা, যা শিশুদের জন্য কার্যকর এবং নিরাপদ। এই প্রয়োজনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) বিশ্ব ও জাতীয় পর্যায়ে কিছু গবেষণা ও উন্নয়ন অগ্রাধিকার পেশ করেছে:

মানুষ এবং প্রাণী উভয়ের মধ্যে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ব্যবহার এবং প্রতিরোধ ট্র্যাক করার জন্য নজরদারি ব্যবস্থা সশক্ত করা। এবং এই ভাবে মানুষ ও প্রাণী উভয়ের মধ্যেই অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালগুলির দায়িত্বশীল ব্যবহারের প্রচার চালানো।

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বয়সোপযুক্ত অ্যান্টিবায়োটিকের গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য তিনটি মূল অগ্রাধিকারের রূপরেখা নির্মাণ করা হয়েছিল। প্রথমত, মানুষ এবং প্রাণী উভয়ের মধ্যে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ব্যবহার এবং প্রতিরোধ ট্র্যাক করার জন্য নজরদারি ব্যবস্থা সশক্ত করা। এবং এই ভাবে মানুষ ও প্রাণী উভয়ের মধ্যেই অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালগুলির দায়িত্বশীল ব্যবহারের প্রচার চালানো। দ্বিতীয়ত, শিশুদের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিকের ফার্মাকোকাইনেটিক্স এবং ফার্মাকোডাইনামিক্সের সম্পর্কে ধারণা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, যা এটিকে বয়সোপযুক্ত ডোজ বা মাত্রা এবং তা প্রদানের কৌশলগুলিকে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে। বিশেষ করে শিশুদের জন্য পরিকল্পিত নতুন অ্যান্টিবায়োটিকের বিকাশও গবেষণার একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। এটি এ কথা সুনিশ্চিত করতে পারে, যাতে সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠীর মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার কার্যকর ও সুরক্ষিত হয়। সর্বোপরি, বিদ্যমান অ্যান্টিবায়োটিকের মধ্যে শিশুদের জন্য উপযোগী অ্যান্টিবায়োটিকের পরিমাণ বাড়ানো দরকার। একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক যা সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ব্যবহার করা হয়, সেগুলি শিশুদের জন্য উপযুক্ত ফর্মুলেশনে পাওয়া যায় না এবং তা কার্যকর চিকিৎসা কঠিনতর করে তোলে।

জাতীয় স্তরে বয়সোপযুক্ত অ্যান্টিবায়োটিকের প্রাপ্যতা এবং ব্যবহারের উন্নতি ঘটানোর জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ করা প্রয়োজন। প্রথমত, শিশুদের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ উন্নত করার প্রয়োজন রয়েছে, যার মধ্যে উপযুক্ত প্রেসক্রিপশন দেওয়ার বিষয়ে প্রচার এবং সরাসরি ওষুধের দোকান থেকে বিক্রি নিয়ন্ত্রণ উল্লেখযোগ্য। দ্বিতীয়ত, শিশুদের জন্য তৈরি অ্যান্টিবায়োটিকের গুণমান ও নিরাপত্তার উন্নতি সাধন প্রয়োজন। সর্বোপরি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলিতে বয়সোপযুক্ত অ্যান্টিবায়োটিকের প্রাপ্যতা এবং ব্যবহারের সুযোগের উন্নতি ঘটানোর প্রয়োজন রয়েছে। সরবরাহ শৃঙ্খল উন্নত করা, দাম কমানো এবং অ্যান্টিবায়োটিকের স্থানীয় উৎপাদনের প্রচারের মতো একগুচ্ছে পদক্ষেপের মাধ্যমে এমনটা অর্জন করা যেতে পারে।

শিক্ষাক্ষেত্র, শিল্পক্ষেত্র এবংসরকারের মধ্যে আন্তঃসহযোগিতা বয়সোপযুক্ত অ্যান্টিবায়োটিকের বিকাশের সুবিধার্থে তাদের অনন্য শক্তি এবং সংস্থানগুলিকে একত্র করতে সক্ষম। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, ড্রাগ ফর নেগলেক্টেভ ডিজিজ ইনিশিয়েটিভ বা অবহেলিত রোগের জন্য ওষুধ উদ্যোগ (ডিএনডিআই) ফেক্সিনিডাজল নামক একটি নতুন অ্যান্টিবায়োটিক তৈরির জন্য নতুন অংশীদারদের সঙ্গে একজোটে কাজ করেছে। এটি বর্তমানে টিবি গ্যাম্বিয়েন্সে আক্রান্ত শিশুদের চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে, যা আফ্রিকায় স্লিপিং সিকনেস নামেও পরিচিত। আর একটি উদাহরণ হল ইনোভেটিভ মেডিসিন ইনিশিয়েটিভ (আইএমআই), যা একটি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব এবং যার লক্ষ্য হল নতুন ওষুধ এবং টিকার বিকাশ ত্বরান্বিত করা। তারা ড্রাইভ-এবি প্রকল্প-সহ শিশুদের জন্য নতুন অ্যান্টিবায়োটিক বিকাশের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে, যা অ্যান্টিবায়োটিক বিকাশের জন্য উদ্ভাবনী মডেল তৈরির উপর মনোযোগ দেয়।

পৃথিবীর ভবিষ্যৎ অনুমান করে ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনে (ডব্লিউটিও) স্বত্ব মকুব করার জন্য ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা সচেষ্ট হলেও আন্তর্জাতিক সংস্থাটি অনেক দেরিতে ও খুব সামান্যই আগ্রহ প্রদর্শন করে।

কমিউনিটিজ ইন অ্যাকশন: পাথওয়েজ টু হেলথ ইক্যুইটি ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহার করে আমরা সম্প্রদায়গুলিকে সম্পৃক্ত করে এবং তাদের সুনির্দিষ্ট প্রয়োজনের জন্য গৃহীত পদক্ষেপগুলি বাস্তবায়নের মাধ্যমে এএমআর সমস্যাটির সমাধান করতে পারি। এটি স্বাস্থ্যের সমতাকে উন্নীত করতে এবং দুর্বল জনগোষ্ঠীর উপর এএমআর-এর বোঝা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এই কাঠামো বাস্তবায়নের জন্য এখানে কিছু উপায়ের কথা উল্লেখ করা হল: (ক) সচেতনতা বৃদ্ধি; (খ) অ্যান্টিবায়োটিকের যথাযথ ব্যবহারের প্রচার চালানো; (গ) সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করা; (ঘ) সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণ প্রচার; (ঙ) গবেষণা ও উন্নয়নে সমর্থন করা; (চ) বহুক্ষেত্রীয় আন্তঃসহযোগিতা এবং অংশীদারিত্বকে সশক্ত করা।

জি২০ এবং আইবিএসএ-এর ভূমিকা:

জি২০ এবং আইবিএসএ (ভারত, ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকা) এএমআর-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এই বহুপাক্ষিক গোষ্ঠীগুলি এ কথা সুনিশ্চিত করতে পারে যে, আমাদের কাছে তহবিল বৃদ্ধি, বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকে উত্সাহ জোগানো, দায়িত্বশীল ব্যবহারের প্রচার, নজরদারি ও পর্যবেক্ষণ জোরদার করা, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং নীতিগুলির বিকাশ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে সমস্ত বয়সের মধ্যে সংক্রমণের চিকিত্সার জন্য কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিক রয়েছে৷ উদাহরণ স্বরূপ বলা  যায়, ভারত সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স-এর (এএমআর) বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করছে। দেশটি এএমআর সংক্রান্ত একটি ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান বা জাতীয় কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছে, যা সচেতনতা বৃদ্ধি, উন্নততর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ এবং অ্যান্টিবায়োটিকের দায়িত্বশীল ব্যবহার প্রচারের কৌশলগুলির রূপরেখা প্রদান করে৷ ভারত এএমআর কন্টেনমেন্টের উপর একটি জাতীয় কর্মসূচিরও সূচনা করেছে অর্থাৎ প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়াগুলির বিস্তার নিরীক্ষণ করতে, তাদের প্রকোপের উপর নজরদারি চালাতে, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধ সংক্রান্ত গুণমানসম্পন্ন তথ্য উৎপাদন করতে দেশে একটি পরীক্ষাগারভিত্তিক এএমআর নজরদারি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে। এ ছাড়াও সরকার স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত পেশাদারদের শুধু মাত্র প্রয়োজনের সময় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের পরামর্শ দিতে এবং সঠিক চিকিত্সা নির্দেশিকা অনুসরণ করতে উত্সাহ দেওয়ার জন্য প্রচার শুরু করেছে। ভারতও অ্যান্টিবায়োটিকের বিক্রি এবং বিতরণ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রবিধান প্রয়োগ করেছে, যার মধ্যে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই অ্যান্টিবায়োটিকের ওভার-দ্য-কাউন্টার বিক্রি সীমাবদ্ধ করা রয়েছে। ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকাও এএমআর মোকাবিলায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। উভয় দেশই নজরদারি, সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের শিক্ষাপ্রদান ও জনসাধারণের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিকের উপযুক্ত ব্যবহারের উপরে জোর দিয়ে এএমআর সংক্রান্ত জাতীয় কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছে।

একটি অতিমারি-প্রস্তুত ভবিষ্যৎ বলতে বোঝায়, কোনও প্রাদুর্ভাবের সময়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালগুলিকে অবশ্যই একটি গুণমানসম্পন্ন মাস্টার প্রোটোকল মেনে চলতে হবে এবং প্রতিটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল একটি নির্দিষ্ট ডেটাবেসে উপলব্ধ হওয়া জরুরি, যাতে পৃথিবীর প্রতিটি দেশ তা ব্যবহার করতে পারে এবং উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে।

অস্ট্রেলিয়ার হাসপাতালগুলিতে বাস্তবায়িত অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল স্টুয়ার্ডশিপ প্রোগ্রাম এএমআর-এর বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষেত্রে আর একটি অপরিহার্য উপাদান। এই প্রকল্পগুলির লক্ষ্য হল অ্যান্টিবায়োটিকের যথাযথ ব্যবহার উন্নত করা এবং প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার বিকাশ ও বিস্তার হ্রাস করা। তারা অ্যান্টিবায়োটিকের দায়িত্বশীল ব্যবহারকে উন্নত করতে এবং তাদের কার্যকারিতা সংরক্ষণের জন্য শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, নজরদারি, নিরীক্ষা, প্রতিক্রিয়ার মতো বিভিন্ন কৌশল অন্তর্ভুক্ত করে। ডব্লিউএইচও-এর নেতৃত্বাধীন উদ্যোগ যেমন ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন অব দি ইউনাইটেড নেশনস (এফএও), ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন ফর অ্যানি্ম্যাল হেলথ (ডব্লিউওএএইচ), ইউএন এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনইপি) এবং ডব্লিউএইচও দ্বারা স্বাক্ষরিত এএমআর সংক্রান্ত চতুর্পাক্ষিক চুক্তির মতো ডব্লিউএইচও পরিচালিত উদ্যোগটি বিশ্বব্যাপী এএমআর-এর মোকাবিলা করার জন্য সমন্বিত মনোভাবের একটি উদাহরণ। এই চুক্তির মাধ্যমে সংস্থাগুলি পশুপালনে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালগুলির দায়িত্বশীল ব্যবহারকে উন্নত করতে এএমআর-এর উপর নজরদারি ব্যবস্থার সশক্তিকরণ এবং নতুন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালগুলির উপর গবেষণা ও উন্নয়নে সহায়তা জোগানোর জন্য একত্রে কাজ করছে। জি২০ দেশগুলির বিভিন্ন ক্ষেত্রের মধ্যে সমন্বয় এএমআর মোকাবিলা করার জন্য একটি ব্যাপক, সহযোগিতামূলক পদ্ধতির (সর্বোত্তম অনুশীলন, সম্পদ ভাগ করে নেওয়া এবং দক্ষতার উন্নয়ন) বিকাশ ঘটাতে পারে। যেমন দ্রুত ডায়াগনস্টিকস ও ফেজ থেরাপি সম বিকল্প চিকিত্সার মতো নতুন প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনী কৌশলগুলিতে বিনিয়োগ করার একটি সমন্বিত প্রচেষ্টা এএমআর-এর বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইকে আরও শক্তিশালী করতে পারে। এটি কেবল জনসাধারণকেই উপকৃত করবে, তা নয়, বরং বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অবদান রাখবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অ্যান্টিবায়োটিকের অব্যাহত কার্যকারিতা সুনিশ্চিত করবে।

উপসংহারে বলা যায়, এএমআর এমন একটি জটিল সমস্যা যা একাধিক বিষয়ের মিথস্ক্রিয়ায় গড়ে ওঠে। একটি ব্যবস্থাগত চিন্তা পদ্ধতি এই বিষয়গুলির আন্তঃসম্পর্ক এবং একটি বহুক্ষেত্রীয় ও বহুবিভাগীয় প্রতিক্রিয়ার প্রয়োজনীয়তাকে স্বীকৃতি দেয়। এটির মধ্যে ওয়ান হেলথ বা এক-স্বাস্থ্য মনোভাবটি অন্তর্গত, যা স্বাস্থ্যসেবার পরিসরে অ্যান্টিবায়োটিকের দায়িত্বশীল ব্যবহার এবং স্টুয়ার্ডশিপ প্রোগ্রামগুলির জন্য দায়বদ্ধ। তাই অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের পরামর্শের ব্যাপারে উন্নতি, স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং এএমআর-এর ঝুঁকি সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, এএমআর-এর উপর নজরদারি ও পর্যবেক্ষণ এবং নতুন অ্যান্টিবায়োটিকের গবেষণা ও উন্নয়নে সহায়তা করার পাশাপাশি মানুষ, প্রাণী এবং পরিবেশের স্বাস্থ্যকে স্বীকৃতি দেবে। আন্তঃসংযুক্ত এই কৌশলগুলি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা এমন এক ভবিষ্যতের লক্ষ্যে কাজ করতে পারি যেখানে অ্যান্টিবায়োটিকগুলি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিত্সায় কার্যকর থাকবে এবং এএমআর-কে প্রশমিত করার জন্য নীতি এবং উপযুক্ত হস্তক্ষেপগুলি নির্ধারণে ব্যবহার করা যাবে।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Authors

Helmut Brand

Helmut Brand

Prof. Dr.Helmut Brand is the founding director of Prasanna School of Public Health Manipal Academy of Higher Education (MAHE) Manipal Karnataka India. He is alsoJean ...

Read More +
Viola Savy Dsouza

Viola Savy Dsouza

Miss. Viola Savy Dsouza is a PhD Scholar at Department of Health Policy Prasanna School of Public Health. She holds a Master of Science degree ...

Read More +