Author : uzma praveen

Published on Aug 03, 2023 Updated 0 Hours ago

জলবায়ু পরিবর্তন কীভাবে মালদ্বীপের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে তার একটি নিবিড় অধ্যয়ন দেশটির অভিযোজন প্রয়োজনীয়তা বিশ্লেষণ করতে এবং ভবিষ্যতের সুযোগগুলি চিহ্নিত করতে সহায়তা করবে

জলবায়ু পরিবর্তন ও মালদ্বীপের অর্থনীতি: ডুবে যাবে না এগিয়ে যেতে পারবে?

ক্ষুদ্র উন্নয়নশীল দ্বীপরাষ্ট্রগুলি (‌এসআইডিএস)‌ বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জলবায়ু–সম্পর্কিত ঝুঁকির কারণে ‘‌জলবায়ু পরিবর্তনের হটস্পট’‌ হিসেবে স্বীকৃত, এবং এখন অস্তিত্বের সংকটের সম্মুখীন। জলবায়ু পরিবর্তনের আন্তঃসরকার প্যানেল (আইপিসিসি) অনুসারে, জলবায়ু পরিবর্তনের দ্বারা এসআইডিএস প্রথমে এবং সবচেয়ে বেশি করে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে এই দ্বীপরাষ্ট্রগুলির কয়েকটির ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মালদ্বীপের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ তাঁদের দুর্দশার প্রতি বিশ্বব্যাপী দৃষ্টি আকর্ষণ করার লক্ষ্যে একটি আবেগপূর্ণ আবেদন জানাতে ২০০৯ সালের অক্টোবরে জলের নিচে মন্ত্রিসভার বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন। সাহায্যের জন্য মালদ্বীপের প্রতীকী কিন্তু উচ্চস্বরের ও স্পষ্ট আর্তনাদের পর প্রায় দেড় দশক ধরে এসআইডিএস তাদের ভাগ্যের প্রতি আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য নিরলসভাবে চেষ্টা করেছে।

পর্যটন ও মৎস্য ক্ষেত্র মিলে মালদ্বীপের জিডিপি–তে ৪০ শতাংশ অবদান রাখে, এবং মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ এতে নিযুক্ত।

ইউনাইটেড নেশনস এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনইপি)–এর অনুমান অনুসারে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ০.৫–০.৮ মিটার বৃদ্ধির পূর্বাভাসের অর্থ হল ২১০০ সাল নাগাদ মালদ্বীপ তার বেশিরভাগ ভূমি এলাকা হারাবে। মালদ্বীপ গোটা বিশ্বের মধ্যে ভূপৃষ্ঠের সর্বনিম্ন অবস্থানের দেশ, এবং মূল ভূখণ্ডে তার কোনও প্রতিবেশী নেই। এই অবস্থায় এর উচ্চ জনসংখ্যার ঘনত্ব এবং অর্থনীতিতে ইন্ধন জোগানোর জন্য পর্যটন ও মৎস্য চাষের মতো জলবায়ু–সংবেদনশীল ক্ষেত্রের উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা   দেশটিকে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। অতএব, জলবায়ু পরিবর্তন কীভাবে মালদ্বীপের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে তার অধ্যয়ন বিভিন্ন ক্ষেত্রের অভিযোজন প্রয়োজনীয়তা, বিদ্যমান ব্যবস্থার কার্যকারিতা বিশ্লেষণ, এবং ভবিষ্যতের পদক্ষেপের সুযোগগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়ার মতো বিষয়গুলিতে সহায়তা করবে।

অর্থনৈতিক ঝুঁকি
জলবায়ু পরিবর্তন অর্থনীতির প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও তৃতীয় ক্ষেত্রগুলির ক্ষতি করে, যার আর্থ–সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাব পড়ে। পর্যটন ও মৎস্য ক্ষেত্র মিলে মালদ্বীপের জিডিপি–তে ৪০ শতাংশ অবদান রাখে, এবং মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ এতে নিযুক্ত। এই ক্ষেত্রগুলি জলবায়ু ঘটনাগুলির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ ৭০–৯০ শতাংশ পর্যটন ও মৎস্য পরিকাঠামো উপকূলের ১০০ মিটারের মধ্যে রয়েছে। উপকূলের কাছাকাছি থাকার কারণে বাণিজ্য ও পরিবহণ পরিকাঠামো সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার প্রেক্ষিতে ঝুঁকিপূর্ণ। এই পরিকাঠামোগুলির ক্ষতির ফলে জিডিপি ও চাকরির ক্ষতি হয় এবং এর জন্য উচ্চ পুনর্গঠন ব্যয় হয়।

বন্যা, নোনা জলের অনুপ্রবেশ, অপ্রত্যাশিত বৃষ্টিপাত, এবং পরিবহণ ও যোগাযোগ পথের ক্ষতি খাদ্য নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করে। উপরন্তু, খাদ্য আমদানির উপর মালদ্বীপের ব্যাপক নির্ভরতা রয়েছে, কারণ দেশের অভ্যন্তরে শুধু কয়েকটি জীবন–নির্বাহী ফসলের চাষ হয়। ফসলের ক্ষতি নারীদের জীবিকাকে প্রভাবিত করবে এবং তাদেরকে আরও প্রান্তিক করে তুলবে। একইভাবে মালদ্বীপের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনকারী এবং মোট মাছ রপ্তানির ৯০ শতাংশ হল টুনা, যা তাপমাত্রা ওঠানামার জন্য সংবেদনশীল।

সাহায্য বা ভর্তুকি চাহিদার কারণে সরকার কর রাজস্বের ক্ষতি ও কোষাগারের ক্ষতির সম্মুখীন হবে, যা অভ্যন্তরীণ কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বাধা তৈরি করবে। প্রবালপ্রাচীর, অর্থাৎ মাঝখানে একটি নোনা জলের লেগুন সহ আঙটি আকৃতির দ্বীপগুলি হল পর্যটন কেন্দ্র। এগুলি সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যাকে কর্মসংস্থান প্রদান করে এবং দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ দরিদ্রের বাসস্থান। পরবর্তীকালে কর্মসংস্থানের সম্ভাব্য ক্ষতি রাষ্ট্রের সম্পদের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে, যা ইতিমধ্যেই অত্যন্ত নির্ভরশীল জনসংখ্যার বোঝা বয়ে চলেছে। কোভিড–১৯ অতিমারি চলাকালীন এই বিষয়টি স্পষ্টভাবে দেখা গিয়েছে। উপরন্তু, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার নিম্ন স্তর বহুমাত্রিক দারিদ্র্য ও সীমিত সম্পদের উপর চাপ বাড়াবে।

একইভাবে মালদ্বীপের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনকারী এবং মোট মাছ রপ্তানির ৯০ শতাংশ হল টুনা, যা তাপমাত্রা ওঠানামার জন্য সংবেদনশীল।

এছাড়াও, জলবায়ু পরিবর্তন প্রধান বিদেশী–অর্থায়নকৃত পরিকাঠামো প্রকল্প  — যেমন গ্রেটার মালে কানেক্টিভিটি প্রজেক্ট (জিএমসিপি), সিনামালে ব্রিজ, হানিমাধু ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট ও ফেইধু ফিনোলহু দ্বীপে রিসর্টের উন্নয়ন ইত্যাদি — থেকে প্রত্যাশিত রাজস্ব আয়কে বিপদের মুখে ফেলেছে। প্রকল্পগুলি দেশের ঋণ পরিশোধের ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করে এবং ভবিষ্যতের বিনিয়োগকে প্রভাবিত করে। পরিকাঠামো প্রকল্পে বিনিয়োগের উপর আনুমানিক লাভ নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন ঝুঁকিপ্রবণ এলাকায় বিমা বিনিয়োগকে বিপন্ন করে। যাই হোক, এই নেতিবাচক প্রভাবগুলি সত্ত্বেও উপযুক্ত অভিযোজন ও প্রশমন ব্যবস্থা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে হ্রাস করতে পারে।
 

জলবায়ু অভিযোজন
মালদ্বীপের পর্যটন শিল্প জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে নরম ও কঠোর উভয় ধরনের পদক্ষেপ করছে। ২০১১ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেসকো) প্রবাল প্রাচীর ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য ‘‌বা অ্যাটল’‌–কে জীবমণ্ডল সংরক্ষিত হিসাবে ঘোষণা করেছে। এটি দ্বীপটির ইকোট্যুরিজম শিল্পের উত্থান ঘটায়। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে স্থিতিস্থাপকতা বাড়ানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার সময় মালদ্বীপ নীতি ও প্রকৃত বাস্তবতার মধ্যে একটি বড় ব্যবধান প্রত্যক্ষ করেছে। সুদৃঢ় নীতি উপকরণের অভাব, এবং জলবায়ু–স্থিতিস্থাপক বিল্ডিং কোড ও অর্থায়নের অনুপস্থিতি হল প্রধান সমস্যা। এর জন্য শিল্প ক্ষেত্র ও বিশ্ব ব্যাঙ্ক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডার (আইএমএফ), বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও), রাষ্ট্রপুঞ্জ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) ও গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফেসিলিটি (জিইএফ)–র মতো বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠান থেকে সহ–অর্থায়ন প্রয়োজন, যা দেশের আন্তর্জাতিক ঋণ বাড়াবে।

একইভাবে, মালদ্বীপ মাছ ধরার জন্য ‘‌কোনও জাল, রড বা লাইন নয়’‌ নীতি চালু করেছে, এবং দৈনিক মাছ ধরার উপর একটি সীমা আরোপ করেছে। দেশটি মৎস্য চাষকে স্থিতিশীল পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য ইন্ডিয়ান ওশন টুনা কমিশনের সঙ্গেও যোগ দিয়েছে, এবং ক্ষয়প্রাপ্ত স্কিপজ্যাক টুনা স্টক  সংরক্ষণ ও পরিচালনার জন্য একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। বিশ্ব ব্যাঙ্ক মাছ ধরার জাহাজগুলিকে মাছের অবস্থান সনাক্ত করতে এবং দুর্দশাগ্রস্ত জাহাজগুলির খোঁজ রাখতে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করছে। একইভাবে, কৃষকরা জৈব কৃষি, বৃষ্টিনির্ভর কৃষি, জলবায়ু–প্রতিরোধী ফসল, শেড নেট ও পট ক্রপ পদ্ধতি ব্যবহার করছে।

গ্রিন স্মার্ট আইল্যান্ডস পাইলট প্রোজেক্টের মতো প্রোগ্রামগুলি জৈব চাষকে সমর্থন করে এবং জৈব সার ব্যবহার করার বিষয়ে জনসাধারণের মধ্যে জ্ঞান ও সচেতনতা প্রচার করে। মৎস্য ও কৃষি ক্ষেত্রে অভিযোজিত ক্ষমতার একটি জনসম্প্রদায় স্তরের মূল্যায়নে দেখা গেছে যে স্বল্প জ্ঞান ও সচেতনতা মৎস্যজীবী ও কৃষকদের অভিযোজন ক্ষমতাকে সীমিত করে। সেই অনুযায়ী জনসম্প্রদায়গুলি বৃত্তাকার, অস্থায়ী ও মরসুমি স্থানান্তর যাত্রার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিচ্ছ;‌ তবে এই ব্যবস্থা সবার জন্য করা সম্ভব নয়।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে স্থিতিস্থাপকতা বাড়ানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার সময় মালদ্বীপ নীতি ও প্রকৃত বাস্তবতার মধ্যে একটি বড় ব্যবধান প্রত্যক্ষ করেছে।

উপরন্তু, মালদ্বীপ বিভিন্ন নীতিগত ব্যবস্থাও নিয়েছে, যেমন ২০০১ ও ২০১৬ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (ইউএনএফসিসিসি)–এর কাছে পেশ করা ফার্স্ট অ্যান্ড সেকেন্ড ন্যাশনাল কমিউনিকেশন (‌এসএনসি),‌ ন্যাশনাল অ্যাডাপটেশন প্রোগ্রাম অফ অ্যাকশন (এনএপিএ), এবং মলডিভস ক্লাইমেট চেঞ্জ পলিসি ফ্রেমওয়ার্ক (এমসিসিপিএফ)। কোরাল রিফ রিসার্চ প্রোগ্রাম, অ্যাটল ইকোসিস্টেম কনজারভেশন প্রজেক্ট, মেরিন রিসার্চ সেন্টার এবং ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট সেন্টার (এনডিএমসি)–ও সমাধান খুঁজতে কাজ করছে। যাই হোক, মালদ্বীপের প্রধান ত্রুটিগুলির মধ্যে রয়েছে সীমিত সরকারি অর্থায়ন ক্ষমতা, বেসরকারি ক্ষেত্রের অত্যন্ত সীমিত অংশগ্রহণ, দায়বদ্ধতার অভাব এবং আন্তর্জাতিক অর্থ সংগ্রহের সীমিত ক্ষমতা।

মালদ্বীপ অভিযোজন কর্মের প্রভাবকে উন্নত করার জন্য একটি সমন্বিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পদ্ধতির মাধ্যমে এই ফাঁকগুলি পূরণ করতে পারে।

আরও অভিযোজন ব্যবস্থা নেওয়া
বিদ্যমান নীতি ও অভিযোজন ফাঁক পূরণ করার জন্য এই ধরনের একটি সমন্বিত পদ্ধতির মধ্যে নিম্নলিখিত বিষয়গুলিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে:

❒ আর্থিক ও প্রযুক্তিগত ক্ষমতা বাড়াতে আরও বেশি করে ‌দেশব্যাপী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে  সহযোগিতাকে উৎসাহিত করতে হবে। যেমন, স্থিতিশীল কৃষিতে জাপান, ইউএনডিপি ও মালদ্বীপের মধ্যে সহযোগিতা মালদ্বীপে জৈব চাষের সম্ভাবনাকে উন্নত করেছে।

❒ উদ্ভাবনী সমাধানের বিকাশে বেসরকারি ক্ষেত্রের বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য আরও প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে। নেদারল্যান্ডস–ভিত্তিক ডাচ ডকল্যান্ডস ভাসমান শহর প্রকল্প মালদ্বীপের জনসংখ্যার জন্য পুনরায় বসতি স্থাপনের বিকল্প প্রদান করে প্রতিকূল প্রভাব প্রশমিত করার ক্ষেত্রে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।

❒ সাউথ–সাউথ কোঅপারেশন ও অ্যালায়েন্স অফ স্মল আইল্যান্ড স্টেটস (এওএসআইএস)–এর মাধ্যমে পরিবেশগত কূটনীতিকে উৎসাহিত করতে হবে, যাতে সার্বভৌমত্ব ও দেশের নাগরিকদের শরণার্থী অধিকার সংক্রান্ত সমস্যাগুলির মোকাবিলায় অন্যান্য দেশে জনগণের নতুন হোমল্যান্ড কেনার দেশীয় নীতির জন্য বিমাকরণ নিশ্চিত করা যায়।

❒ পর্যটন, কৃষি ও মৎস্য চাষে জনসম্প্রদায়ের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে বিশ্বব্যাপী সর্বোত্তম অনুশীলনগুলি গ্রহণ করতে হবে। জার্মানির উপকূলীয় রিজর্ট শহর টিমেনডর্ফার স্ট্র্যান্ড স্থানীয় জনসম্প্রদায়ের সঙ্গে জড়িত খরচ–সুবিধা বিশ্লেষণের মাধ্যমে স্থানীয় সম্পদ ব্যবহার অবশ্যই ব্যয়–কার্যকর অভিযোজন ব্যবস্থা বাস্তবায়নে সহায়তা করেছে। একইভাবে, প্যাসিফিক আইল্যান্ড প্রোটেক্টেড এরিয়া পোর্টাল (পিআইপিএপি)–এর মাধ্যমে সংরক্ষিত এলাকার মানচিত্র তৈরিতে অংশীদারদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ঘটনা জনসম্প্রদায়গত সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে এবং ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করেছে।

❒ পরিস্থিতিগত বিশ্লেষণ ও বিদ্যমান ফাঁকগুলি সমাধানের জন্য জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা ও জাতীয় বাজেটের সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন পরিকল্পনাগুলিকে একীভূত করতে হবে। বাংলাদেশে অ্যাকোয়া বায়োডাইভারসিটি কনজারভেশন প্রকল্পের উপর পরিচালিত বিশ্ব ব্যাঙ্কের সমীক্ষা একটি সমন্বিত পদ্ধতির ইতিবাচক ফলাফল দেখিয়েছে। প্রকল্পটি সাশ্রয়ী প্রমাণিত হয়েছে এবং এর ফলে উচ্চতর মৎস্য ফলন হয়েছে।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমর্থন এবং সর্বোত্তম অনুশীলনের মাধ্যমে একটি সমন্বিত পদ্ধতি অবশ্যই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলি‌র সঙ্গে অভিযোজন বা সেগুলি প্রশমনের আরও ভাল সমাধান দিতে পারে। বিদ্যমান অর্থনৈতিক ঝুঁকির মূল্যায়ন, অভিযোজন ব্যবস্থা, এবং ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রগুলির নীতি উদ্যোগের কার্যকারিতা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশনা দিতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে একটি আইনি পরামর্শ জারি করার জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতকে (আইসিজে) আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের গৃহীত সাম্প্রতিক ‘‌ল্যান্ডমার্ক রেজুলেশন’‌ গ্লোবাল সাউথের পরিবেশগত কূটনীতির ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক লক্ষণ। আইসিজে–এর পরামর্শ একটি নজির স্থাপন করবে, এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক মনোযোগ ও সহযোগিতাকামী এসআইডিএস–কে ভরসা দেবে।


উজমা পারভীন ওআরএফ–এর একজন রিসার্চ ইন্টার্ন ছিলেন

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.