Author : Ayjaz Wani

Published on Dec 18, 2023 Updated 0 Hours ago

বেজিং এবং তালিবান উভয়ই দ্বিপাক্ষিক ভাবে সম্পৃক্ত থেকে নিজেদের স্বার্থ সুরক্ষিত করার আশা করছে এবং উভয় পক্ষই একে অপরের সাহায্যে নিজ নিজ দেশে দমন-পীড়নের মাত্রা বৃদ্ধি করছে।

তালিবান এবং উইঘুরদের সঙ্গে চিনের দু’মুখো সম্পর্ক

১৩ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ হাসান আখুন্দ এবং বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি কাবুলের প্রেসিডেন্ট ভবনে চিনের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ঝাও সেংকে স্বাগত জানান। এর পরবর্তী সময়ে আফগানিস্তানে চিনা দূতাবাস আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তালিবানের সঙ্গে আলাপ-আলোচনায় সম্পৃক্ত থাকার জন্য আহ্বান জানায় এবং এর ফলস্বরূপ তা তালিবানকে মধ্যপন্থী নীতি গ্রহণ করতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে উৎসাহিত করে। দূতাবাসের বিবৃতিতে পশ্চিমী এবং অন্য কয়েকটি দেশের সমালোচনা করার পাশাপাশি তাদের আফগানিস্তানের পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিতে, সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত দুমুখো অবস্থা পরিত্যাগ করতে, নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে এবং দেশের বৈদেশিক সম্পদ ফেরত দিতে বলা হয়েছে। এই উপলক্ষ্যটিকে তালিবানরা অন্যান্য দেশকে ইসলামিক এমিরেতের সঙ্গে যুক্ত হতে উৎসাহিত করার একটি সুযোগ বলে মনে করছে

তালিবানের সঙ্গে বেজিংয়ের নতুন ঘনিষ্ঠতা চিনের দুমুখো অবস্থানের কথাই দর্শায়। কারণ চিন তালিবান-শাসিত আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী জিনজিয়াং অঞ্চলে মুসলিম সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। অগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহে শি জিনপিং জিনজিয়াংয়ে একটি  আকস্মিক সফরে যান এবং চিনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) আধিকারিকদের কঠোর সামাজিক স্থিতিশীলতারক্ষার জন্য অবৈধ ধর্মীয় কার্যকলাপ’-এর উপর নিয়ন্ত্রণ আরও সুদৃঢ় করার আহ্বান জানান। বেজিং তার কর্তৃত্ববাদী জিনজিয়াং নীতির অধীনে বোরখা পরা’, ‘লম্বা দাড়িরাখা এবং সিসিপি- পরিবার পরিকল্পনা নীতি লঙ্ঘনকে অবৈধ ধর্মীয় কার্যকলাপ বা চরমপন্থা বলে মনে করে।

 

আফগানিস্তানে চিনা দূতাবাস আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তালিবানের সঙ্গে আলাপ-আলোচনায় সম্পৃক্ত থাকার জন্য আহ্বান জানায় এবং এর ফল স্বরূপ তা তালিবানকে মধ্যপন্থী নীতি গ্রহণ করতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে উৎসাহিত করে।

 

চিনের বৈদেশিক নীতির মধ্যে রয়েছে আত্ম-স্বার্থচালিত কূটনীতি তার নিরাপত্তা এবং ভূ-অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ অর্জনের জন্য আধিপত্যবাদী সাধনা। এই বৈদেশিক নীতির কর্মসূচি তালিবানের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক গড়ে তোলার ব্যাখ্যাই প্রদান করে। তবে চিনের অভ্যন্তরীণ নীতিটি ভিন্ন; এর মধ্যে রয়েছে চৈনিক করে তোলার লক্ষ্যে অবৈধ ধর্মীয় কার্যকলাপের অজুহাতে উইঘুর মুসলমানদের দমন করা

 

তালিবানদের সঙ্গে হাত মেলানো, উইঘুরদের প্রতি অত্যাচার

সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং প্রধান শক্তিগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতার প্রেক্ষাপটেই বেজিং তালিবান নেতৃত্বাধীন আফগানিস্তানের প্রতি আরও সক্রিয় দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেছে। এই পদক্ষেপগুলির লক্ষ্য হল চিনের আঞ্চলিক প্রভাবকে শক্তিশালী করা এবং নিরাপত্তা ভূ-অর্থনীতি সম্পর্কিত কারণে তার বন্ধুদের বৃত্তকে প্রসারিত করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এনসার্কলমেন্ট স্ট্র্যাটেজি মোকাবিলা করা। চিন সক্রিয় ভাবে দ্বিতীয় তালিবান প্রশাসনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে এবং ২০২১ সালের অগস্ট মাসের পর এই গোষ্ঠীর সঙ্গে ১৪২টিরও বেশি কূটনৈতিক সম্পৃক্ততায় যুক্ত হয়েছে। যাই হোক, এই দ্রুত সিদ্ধান্তের ভিত্তিটি আগে থেকেই নির্মিত হয়েছিল। চিন ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রথম তালিবান শাসনের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছিল। সম্পর্কের প্রাথমিক লক্ষ্যই ছিল ইস্টার্ন তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্টের (ইটিআইএম) সঙ্গে যারা ১৯৯৮ সালে আফগানিস্তানে তার ঘাঁটি স্থাপন করেছিল -  অস্থিতিশীল জিনজিয়াং অঞ্চলের নিরাপত্তা প্রদানের বিষয়ে আলোচনা করা। জিনজিয়াং-এ সন্ত্রাসবাদের যে কোনও বিস্ফোরণবা আক্রমণরোধ করতে চিনা আধিকারিকরা তালিবান নেতা মোল্লা ওমরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বৈঠকে ওমর জোর দিয়ে বলেছিলেন যে, তালিবান উইঘুরদের জিনজিয়াংয়ে হামলা চালাতে দেবে না। তবে তার পাশাপাশি তিনি এ-ও বলেছিলেন যে, উইঘুররা তালিবানের পদমর্যাদাসম্পন্নই থাকবে।

অভ্যন্তরীণ ভাবে, জিনজিয়াংয়ে চিন ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের পর উইঘুর মুসলমানদের সাংস্কৃতিক নৈতিকতা এবং ধর্মীয় পরিসরকে লক্ষ্য করার জন্য সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধকেই ব্যবহার করে যা কিনা হান সম্প্রদায়ের স্থানান্তর বৃদ্ধির মাধ্যমে জনসংখ্যাগত ভারসাম্যহীনতা তৈরির একটি কৌশলের পরিপূরক। পরবর্তী কালে ২০০৯ সালে প্রদেশের ধর্মনিরপেক্ষ ইসলামিক সংস্কৃতির অর্থনৈতিক শোষণ, সিনিসাইজেশন বা চৈনিকীকরণ এবং দমনের ফলে জিনজিয়াংয়ে ব্যাপক জাতিগত দাঙ্গা শুরু হয়। ২০১৩ সালে বহুল আলোচিত বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ-এর (বিআরআই) সূচনার ফলে মধ্য এশিয়া, ইউরোপ ইউরেশিয়ার সঙ্গে বিআরআই-এর নানাবিধ উচ্চাভিলাষী সংযোগ প্রকল্পের সূচনাস্থল জিনজিয়াং কৌশলগত এবং অর্থনৈতিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ২০১৪ সালে শি জিনজিয়াং-এ জাতীয় ঐক্য ও সংহতি রক্ষা করতে এবং শতাব্দীর প্রকল্পবিআরআই-কে সুরক্ষিত করতে গ্রেট ওয়াল অফ আয়রন নির্মাণে জোর দিয়েছিলেন।

 

জিনজিয়াং-এ সন্ত্রাসবাদের যে কোনও বিস্ফোরণবা আক্রমণরোধ করতে চিনা আধিকারিকরা তালিবান নেতা মোল্লা ওমরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন

 

২০১৬ সালের অগস্ট মাসে তাঁর সংখ্যালঘু-বিরোধী নীতির জন্য এবং চিনের জাতিগত নীতির উদ্ভাবক হিসাবে পরিচিত পার্টি সেক্রেটারি চেন কোয়ানগুওকে সিকিউরিটাইজেশন বা নিরাপত্তাকরণ কৌশলটি চালু করার জন্য জিনজিয়াং-এ পাঠানো হয়েছিল। তিনি উচ্চ প্রযুক্তিগত নজরদারি শুরু করেন এবং এই অঞ্চলের মুসলমানদের ডিএনএ প্রোফাইলিং করেন, যার ফলে জিনজিয়াংকে চিনের সর্বাধিক সামরিকীকৃত অঞ্চলে পরিণত করা হয়। ২০১৭ সাল নাগাদ শি- নির্দেশে সিসিপি ১২০০টি আটক কেন্দ্র নির্মাণের জন্য বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেছে এবং উইঘুর, কাজাক, উজবেক কিরঘিজ-সহ মিলিয়নেরও বেশি মুসলমানকে কারাগারে বন্দি করেছে। এই আটক কেন্দ্রগুলিতে মুসলমানদের সিসিপি-র প্রতি আনুগত্য অঙ্গীকার করতে এবং ইসলাম ও ইসলামি সংস্কৃতির নিন্দা করতে বাধ্য করা হয়েছিল, যার মধ্যে লম্বা দাড়ি রাখা বোরখা পরার মতো নিয়ম ত্যাগও ছিল অন্তর্ভুক্ত। ২০১৭ সালে  মুসলমানদের নামাজ (প্রার্থনা) পড়া নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সেই নিয়ম লঙ্ঘন করে নামাজ পড়লে জরিমানা এবং আটক শিবিরে বন্দি করা হয়।

 

ইতিমধ্যেই চিন মৌলবাদী তালিবানদের প্রতি ক্রমবর্ধমান আগ্রহ দেখিয়েছে এবং তাদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ স্থাপন করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দলটির সঙ্গে আলোচনা নাকচ করে দেওয়া পর বেজিং ২০১৯ সালে একটি তালিবান প্রতিনিধিদলের সফর আয়োজন করেছিল। ২০২১ সালের জুলাই মাসে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই তিয়ানজিন শহরে তালিবানদের আতিথ্য দেন, যিনি তালিবানকে একটি প্রধান শক্তি হিসাবে বর্ণনা করেন। তালিবান আফগানিস্তান দখলের পরই চিন দ্রুত ১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মানবিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেয় এবং বলে যে, আফগানিস্তানে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য একটি নতুন অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। চিন আফগানিস্তানের পুনর্গঠন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং আফগানিস্তানের বিদেশি সম্পদ মুক্ত করতে সক্রিয় ভাবে আন্তর্জাতিক সমর্থন চেয়েছে। এ ছাড়াও, শুল্ক ছাড়াই আফগান পণ্য আমদানি করে এবং আফগানিস্তান থেকে তেল উত্তোলনের উদ্দেশ্যে পরবর্তী তিন বছরের জন্য ৫৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করার মাধ্যমে বেজিং তালিবানের সঙ্গে তার সম্পর্ক দৃঢ় করার পদক্ষেপ নিয়েছে। অতি সম্প্রতি চিনা টেলিকম সংস্থা হুওয়াই তালিবানরা যাতে নজরদারি চালাতে পারে, সেই উদ্দেশ্যে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল, যা মৌলবাদী গোষ্ঠীর উপর চিনের প্রভাব আরও বৃদ্ধি করেছে।

 

শুল্ক ছাড়াই আফগান পণ্য আমদানি করে এবং আফগানিস্তান থেকে তেল উত্তোলনের উদ্দেশ্যে পরবর্তী তিন বছরের জন্য ৫৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করার মাধ্যমে বেজিং তালিবানের সঙ্গে তার সম্পর্ক দৃঢ় করার পদক্ষেপ নিয়েছে।

 

এর বিনিময়ে, তালিবান চিন-আফগানিস্তান সীমান্ত থেকে উইঘুর যোদ্ধাদের স্থানান্তরিত করেছে এবং কয়েক দশক ধরে আফগানিস্তানে বসবাসকারী ,০০০ জাতিগত উইঘুরদের উপর নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। যাই হোক, তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) এখনও চিনের নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক স্বার্থ, বিশেষ করে পাকিস্তানে চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর (সিপিইসি) প্রকল্পগুলির জন্য একটি উল্লেখযোগ্য হুমকি। টিটিপি ২০২১ সালের জুলাই মাসে উত্তর পাকিস্তানে একটি আত্মঘাতী বোমা হামলার জন্য দায়ী ছিল, যে ঘটনায় জন চিনা শ্রমিক নিহত হন ২০২১ সালের অগস্ট মাস থেকে ২০২২ সালের অগস্ট মাসের মধ্যে টিটিপি- ২৫০টি হামলায় ৪৩৩ জন বেসামরিক এবং নিরাপত্তা কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তালিবান টিটিপি মতাদর্শগত ভাবে ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীর বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই করেছে। বেজিং পাকিস্তানে সিপিইসি চিনা শ্রমিকদের সুরক্ষিত করতে টিটিপি-কে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য তালিবানের সাহায্য চেয়েছে।

আফগানিস্তানের পরিস্থিতি ক্রমশই উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে তালিবানরা নারী ও মেয়েদের প্রতি আরও নিপীড়নমূলক হয়ে উঠেছে, তাদের স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ করেছে এবং নারীদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। এই দমন-পীড়ন খারাপতর হয়েছেকারণ সম্প্রতি কাবুল ইসলামিক আইন দর্শিয়ে সব রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করেছে। চিন এবং তালিবানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক গণতান্ত্রিক দেশগুলি ও রাষ্ট্রপুঞ্জের জন্য নারীদের অধিকার এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনের জন্য চাপ দেওয়ার বিকল্পগুলিকে সীমিত করেছে। এমনকি বেজিংয়ের সহায়তায় তালিবান বিশ্বব্যাপী বিচ্ছিন্নতার মধ্যেও পাকিস্তান, রাশিয়া, চিন, কাজাখস্তান এবং ইরান-সহ বিদেশে ১৪টি কূটনৈতিক মিশন নিয়ন্ত্রণ করেছে।

ইসলামপন্থী ও কমিউনিস্ট শক্তির মধ্যে সুবিধাবাদী যোগসাজশ উভয় দেশেই সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের পরিবেশ তৈরি করেছে। যাইহোক, আফ-পাক অঞ্চলে অন্যান্য সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের উপস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে কাবুলের শাসকদের সঙ্গে বেজিংয়ের হাত মেলানোর বিষয়টি উভয় পক্ষের জন্যই অস্থায়ী লাভ প্রদান করবে এবং দীর্ঘমেয়াদে এই ব্যবস্থা ক্ষতির দিকেই চালিত করবে।

 


আয়জাজ ওয়ানি অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের ফেলো।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Author

Ayjaz Wani

Ayjaz Wani

Ayjaz Wani (Phd) is a Fellow in the Strategic Studies Programme at ORF. Based out of Mumbai, he tracks China’s relations with Central Asia, Pakistan and ...

Read More +