Author : Suyash Desai

Published on Dec 28, 2023 Updated 0 Hours ago

নানাবিধ প্রমাণ দর্শিয়েছে যে, নিজের পারমাণবিক কৌশল সম্পর্কে চিনের দৃষ্টিভঙ্গি বিবর্তিত হচ্ছে। এই পরিবর্তনগুলির লক্ষ্য বোঝা অত্যন্ত জরুরি।

চিনের ক্রমবিবর্তিত পারমাণবিক কৌশল

চিনের পারমাণবিক কৌশল গত কয়েক দশক ধরে তুলনামূলক ভাবে স্থিতাবস্থায় পৌঁছলেও দেশটির পারমাণবিক অস্ত্রাগার গত কয়েক বছরে দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে বলে মনে করা হয়। বেজিং তার পারমাণবিক অস্ত্রের সরবরাহ ব্যবস্থার ক্রমাগত আধুনিকীকরণ ও বৈচিত্র্যকরণে ব্যস্ত হয়েছে। চিনের ২০০৬ সালের প্রতিরক্ষামূলক শ্বেতপত্র বেজিংয়ের পারমাণবিক কৌশলের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রামাণিক আখ্যান প্রদান করে। এই নথিতে বলা হয়েছে যে, চিন একটি আত্মরক্ষামূলক পারমাণবিক কৌশলঅনুসরণ করে। দেশটির চিরাচরিত পারমাণবিক কৌশল সুনিশ্চিত ভাবে প্রত্যাঘাতের জন্য একটি সীমিত পারমাণবিক অস্ত্রাগারের উপর ভিত্তি করে গৃহীত এবং প্রথম সেই অস্ত্র প্রয়োগ না করার নীতি গ্রহণ করা হয়েছেযাই হোক, সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলি, বিশেষ করে চারটি উপাদান অর্থাৎ পরিমাণ, গুণমান, বৈচিত্র্য এবং কার্যকরমূলক বিন্যাস কিন্তু চিনের পরিবর্তিত পারমাণবিক কৌশলের দিকেই আঙুল তুলেছে।

 

চিন তার রকেট ফোর্স ব্রিগেডেরও সম্প্রসারণ করছে। ২০১৭ এবং ২০১৯ সালের মধ্যে চিন ১০টিরও বেশি নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্রিগেডের সংযোজন করেছে এবং মাত্র তিন বছরে এই সংখ্যাটি ২৯ থেকে ৩৯ হওয়ায় ব্রিগেডের অভূতপূর্ব সম্প্রসারণ ঘটেছে বলা যায়

 

প্রথমত, চিনের পারমাণবিক ক্ষমতার পরিমাণগত পরিবর্তন ঘটেছে ২০২০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (ইউএস) ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স চায়না মিলিটারি পাওয়ারের রিপোর্টে অনুমান করা হয়েছে যে, পিপলস রিপাবলিক অব চায়নার (পিআরসি) অস্ত্রাগারে প্রায় ২০০টি পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে। যাই হোক, ২০২২ সালের সর্বশেষ চায়না মিলিটারি পাওয়ার রিপোর্ট দর্শিয়েছে যে, পিআরসি-র পারমাণবিক অস্ত্রাগারে কার্যকর পারমাণবিক ওয়ারহেডের সংখ্যা সম্ভবত ৪০০ অতিক্রম করেছে। পেন্টাগনের পূর্ববর্তী অনুমান অনুসারে, এই সংখ্যায় উপনীত হওয়া আসলে এমন একটি স্তর, যা এক দশকে অর্জন করা সম্ভব নয়। এ ছাড়াও পেন্টাগন অনুমান করেছে যে, এই গতিতে এগোতে থাকলে ২০৩১ সালের মধ্যে চিনের কাছে প্রায় ১০০০টি এবং ২০৩৫ সালের মধ্যে ১৫০০টি ওয়ারহেড থাকবেঅর্থাৎ চিনের অস্ত্রাগার ২০১০ সালের নতুন কৌশলগত অস্ত্র হ্রাস চুক্তি বা নিউ স্ট্র্যাটেজিক আর্মস রিডাকশন ট্রিটি- (নিউ স্টার্ট ট্রিটি) অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়াকে অনুমোদিত ১৫৫০টি ওয়ারহেডের সমতুল্য হবে সর্বোপরি চিন তার রকেট ফোর্স ব্রিগেডেরও সম্প্রসারণ করছে। ২০১৭ এবং ২০১৯ সালের মধ্যে চিন ১০টিরও বেশি নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্রিগেড সংযোজন করেছে এবং মাত্র তিন বছরে এই সংখ্যাটি ২৯ থেকে ৩৯ হওয়ায় ব্রিগেডের অভূতপূর্ব সম্প্রসারণ ঘটেছে বলা যায়বর্তমানে চিনের কাছে ৪০টিরও বেশি কার্যকর পিএলএ আরএফ ব্রিগেড রয়েছে। এটি সম্প্রতি ইউমেন, হামি, হ্যাঙ্গিং ব্যানার এবং জিলান্তাইতে প্রায় ৩৫০ থেকে ৪০০ সলিড-ফুয়েল মিসাইল সাইলো তৈরি করেছে। এর আগে চিন তার ডিএফ-৫ তরল-জ্বালানিযুক্ত আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (আইসিবিএম) জন্য কয়েক দশক ধরে শুধু মাত্র ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র সাইলো পরিচালনা করেছিল। সাইলোর ক্রমবর্ধমান নির্মাণ চিনের কার্যকরী ভঙ্গি এবং অনুশীলনে পরিবর্তনের ইঙ্গিত করে উদাহরণস্বরূপ, উল্লেখ করা হয়েছে যে, জিলান্তাইয়ের ১৪টি সাইলোর প্রশিক্ষণ এবং কার্যকারিতার নতুন ধারণাগুলি বিকাশের জন্য স্পষ্টতই সংরক্ষিত।

 

 

সারণি ১: আনুমানিক বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক ওয়ারহেড ইনভেন্টরির সংখ্যা

দেশ

কার্যকর নিউক্লিয়ার ওয়ারহেডের সংখ্যা

বিশদ

রাশিয়া

৫৮৮৯

১৬৭৪ নিয়োজিত + ২৮১৫ সংরক্ষিত + ১৪০০ রিটায়ার্ড বা অকার্যকর

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

৫২৪৪

 

১৬৭০ নিয়োজিত + ১০০ অকৌশলী ভাবে নিয়োজিত + ১৯৩৮ সংরক্ষিত + ১৫৩৬ রিটায়ার্ড বা অকার্যকর

চিন

৪০০-৪১০

অপ্রযোজ্য

ফ্রান্স

২৯০

অপ্রযোজ্য

ব্রিটেন

২২৫

অপ্রযোজ্য

পাকিস্তান

১৭০

অপ্রযোজ্য

ভারত

১৬৪

অপ্রযোজ্য

ইজরায়েল

৯০

অপ্রযোজ্য

উত্তর কোরিয়া

৩০

অপ্রযোজ্য

মোট ইনভেন্টরির সংখ্যা

১২৫১২

 

সূত্র: হান্স এম ক্রিস্টেনসেন, ম্যাট কোর্দা এবং এলিয়ানা

রেনল্ডস, ফেডারেশন অফ আমেরিকান সায়েন্টিস্টস, ২০২৩

 

দ্বিতীয়ত, চিন তার পারমাণবিক সরবরাহ ব্যবস্থার মানও উন্নত করছে। গত কয়েক বছর ধরে চিন তার পারমাণবিক অস্ত্রাগারের নির্ভুল পরিচালনা এবং রক্ষা করার বিষয়ে কাজ করেছে। উদাহরণস্বরূপ, চিনের সর্বশেষ দূরপাল্লার আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম), কঠিন-জ্বালানিচালিত ডংফেং (ডিএফ)-৪১-র আসলে ১০০ মিটার সীমানার মধ্যে চক্রাকার ত্রুটির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে এর পাশাপাশি, এর দ্বৈত-সক্ষম হট-সোয়্যাপেবলথিয়েটার-রেঞ্জড ডেলিভারি সিস্টেম, ডিএফ-২৬ ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ডিএফ-২১ ক্ষেপণাস্ত্রের পুরনো সংস্করণের চেয়ে আরও নির্ভুলমেয়াদকালের প্রসঙ্গের নিরিখে চিনের একটি সাইলোভিত্তিক আইসিবিএম বাহিনীর দ্রুত সম্প্রসারণ একটি লঞ্চ-অন-ওয়ার্নিং (এলওডব্লিউ) পারমাণবিক ভঙ্গির দিকে অগ্রসর হওয়ার প্রয়াসকেই তুলে ধরে। এলওডব্লিউ বলতে প্রতিপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার আগে একটি আগত ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করার জন্য প্রতিপক্ষের কোনও উৎক্ষেপণকে বোঝায়। চিনের পারমাণবিক কৌশল গবেষক ফিওনা কানিংহাম উল্লেখ করেছেন যে, এটি ভূমিভিত্তিক মোবাইল পারমাণবিক শক্তিগুলির অসুবিধা, তাদের কার্যকর থাকার ক্ষমতা, গতিশীলতা, যোগাযোগ বা খরচ সম্পর্কে চিনা উদ্বেগকেই প্রতিফলিত করে। পিআরসি একাধিক স্বাধীন ভাবে লক্ষ্যযোগ্য পুনঃপ্রবেশযোগ্য যানবাহন (এমআইআরভি) নিয়েও কাজ করছে এবং সর্বশেষ ২০২২ চায়না মিলিটারি পাওয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, চিনের ডিএফ-৫বি আইসিবিএম পাঁচটি এমআইআরভি বহন করতে সক্ষম।

 

সারণি ২: চিনের পরমাণু-সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রের তালিকা

নাম

শ্রেণি

পরিসীমা (কিলোমিটারে দর্শানো)

ডিএফ-৪১

আইসিবিএম

১৩০০০-১৫০০০

ডিএফ-৫

আইসিবিএম

১৩০০০

জেএল-৩

এসএলবিএম

অজানা

জেএল-২

এসএলবিএম

৮০০০-৯০০০

ডিএফ-৩১

আইসিবিএম

৭০০০-১১৭০০

ডিএফ-৪

আইসিবিএম / আইআরবিএম

৪৫০০-৫৫০০

ডিএফ-২৬

আইআরবিএম

৪০০০

ডিএফ-২১

এমআরবিএম

২১৫৯

ডিএফ-১৭

এইচজিভি

১৮০০-২৫০০

ডিএফ-১৬

এসআরবিএম

৮০০-১০০০

ডিএফ-১৫

এসআরবিএম

৬০০

ডিএফ-১১

এসআরবিএম

২৮০-৩০০

ডিএফ-১২

এসআরবিএম

২৮০

সিজে-১০

ক্রুজ

২০০০

সূত্র: মিসাইল ডিফেন্স প্রজেক্ট, মিসাইল অব চায়না, মিসাইল থ্রেট, সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ, ১২ এপ্রিল, ২০২১, চিন, মিসাইল ডিফেন্স অ্যাডভোকেসি অ্যালায়েন্স, জানুয়ারি ২০২৩

 

তৃতীয়ত, পরিমাণ এবং গুণমানের পাশাপাশি চিন বৈচিত্র্য আনছে পারমাণবিক বণ্টন ব্যবস্থাতেওএটি স্থলভিত্তিক, সমুদ্রভিত্তিক এবং বায়ুভিত্তিক পারমাণবিক সরবরাহ ব্যবস্থা সমন্বিত তার পারমাণবিক ত্রয়ীকে অগ্রসর করছে। চিনা পারমাণবিক শক্তির সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপাদান হল স্থলভিত্তিক, সড়ক পথে চলতে সক্ষম, এমআইআরভি-যুক্ত ডিএফ-৪১, যার অপারেশনাল রেঞ্জ বা কার্যকারিতার পরিধি ১৫০০০ কিলোমিটারযাই হোক, চিনের টাইপ ০৯৪ পারমাণবিক শক্তিচালিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সাবমেরিন (এসএসবিএন) - যা বুমার নামেও পরিচিত - তাদের কৌশলগত প্রতিরোধের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় হাতিয়ার বলে বিবেচিত হয়। জানা গিয়েছে যে, চিনের কাছে জেএল-২ এবং সম্ভবত জেএল- সাবমেরিন লঞ্চ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (এসএলবিএম) দ্বারা সজ্জিত প্রায় পাঁচ থেকে ছটি কার্যকর জিন-শ্রেণির এসএসবিএন রয়েছে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত পৌঁছতে সক্ষম। এ ছাড়াও স্টকহম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, পারমাণবিক অস্ত্র সরবরাহে সক্ষম চিনা এইচ-৬ বোমারু বিমানগুলি এখন পুরোপুরি কার্যকর বলে মনে করা হচ্ছে। পিআরসি একটি নতুন পারমাণবিক-সক্ষম সাবসনিক কৌশলগত স্টিলথ বোমারু বিমান জিয়ান এইচ-২০ এবং একটি বায়ুচালিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও নির্মাণ করছে, যে দুটিই আগামী কয়েক বছরের মধ্যে পরিষেবা প্রদানে সক্ষম হতে পারে। এ হেন ঘটনাপ্রবাহ পিআরসি-কে প্রথমবারের জন্য একটি বিশ্বাসযোগ্য পারমাণবিক পিরামিডের চূড়ায় স্থান করে দিয়েছে।

 

চিনা পারমাণবিক শক্তির সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপাদান হল স্থলভিত্তিক, সড়ক পথে চলতে সক্ষম, এমআইআরভি-যুক্ত ডিএফ-৪১, যার অপারেশনাল রেঞ্জ বা কার্যকারিতার পরিধি ১৫০০০ কিলোমিটার

 

সর্বোপরি, পিআরসি নতুন অপারেশনাল প্যাটার্ন বা কার্যকরী বিন্যাস এবং ধারণারও জন্ম দিয়েছে। সাম্প্রতিক অবকাঠামোমূলক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই পিএলএ আরএফ সম্ভবত তার লঞ্চ ব্রিগেড বা সাইলোর কাছাকাছি পারমাণবিক ওয়ারহেড সংরক্ষণ করার কাজ শুরু করবে। চিরাচরিত ভাবে, বেস ৬৭ (পূর্বে বেস ২২ নামে পরিচিত) কিনলিং [] পর্বতশ্রেণীর গভীরে অবস্থিত এবং সেটি চিনের পারমাণবিক ওয়ারহেড রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দায়ীকিন্তু চিনা নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ডেভিড লোগান এবং ফিলিপ সন্ডার্স তাঁদের সর্বশেষ গবেষণাপত্রে আলোকপাত করেছেন যে, রকেট ফোর্সের পারমাণবিক-ওয়ারহেড হ্যান্ডলিং রেজিমেন্ট - যা কিনা ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটির এক্তিয়ারে ছিল বর্তমানে কেন্দ্রীয় ওয়ারহেড ডিপোর অধীনে রয়েছে। এর অর্থ হল বণ্টনকৃত ওয়ারহেড হ্যান্ডলিং অনুশীলনের মাধ্যমে একটি কেন্দ্রীভূত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার দিকে অগ্রসর হওয়ার অভিপ্রায় চিনের রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে চিন তাদের সাইলোবাহিনীকে এলওডব্লিউ ক্ষমতাসম্পন্ন করার জন্য উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে ঘূর্ণায়মান ভিত্তিতে লাইভ ওয়ারহেড-সহ উৎক্ষেপণের জন্যও প্রস্তুত।

 

সারণি ৩: পিএলএ আরএফ ঘাঁটি

ঘাঁটি বা বেসের নম্বর

কাজের প্রকৃতি

শহর

বেস ৬১

কার্যকর

হুয়াংশান

বেস ৬২

কার্যকর

কুনমিং

বেস ৬৩

কার্যকর

হুয়াইহুয়া

বেস ৬৪

কার্যকর

লানঝো

বেস ৬৫

কার্যকর

শেনইয়াং

বেস ৬৬

কার্যকর

লুওইয়াং

বেস ৬৭

ওয়ারহেড স্টকপাইলিং

বাওজি

বেস ৬৮

ইঞ্জিনিয়ারিং

লুওইয়াং

বেস ৬৯

টেস্ট অ্যান্ড ট্রেনিং

ইয়ুনচান

সূত্র: মা শিউ, পিএলএ রকেট ফোর্স অর্গানাইজেশন, চায়না অ্যারোস্পেস স্টাডিজ ইনস্টিটিউট

 

এই ঘটনাপ্রবাহ ছাড়াও চিন প্রাথমিক সতর্কতা দূরবর্তী সেন্সিং স্যাটেলাইট এবং উন্নত ভূমিভিত্তিক রাডারের মতো সহায়তামূলক অবকাঠামো নির্মাণেও রত হয়েছে। চিন সম্প্রতি তার নতুন হাইপারসনিক গ্লাইড গাড়ি পরীক্ষার পাশাপাশি সম্ভবত একটি অরবিটাল বম্বার্ডমেন্ট সিস্টেমের ভগ্নাংশের উপরেও পরীক্ষা চালিয়েছে। এই সব কিছুই ইঙ্গিত করে যে, নিজের পারমাণবিক কৌশল সম্পর্কে চিনের দৃষ্টিভঙ্গি ক্রমশই বিবর্তিত হচ্ছে। এই পরিবর্তনগুলির লক্ষ্য সম্পর্কে অনুধাবন করাও অত্যন্ত জরুরি। ডেভিড লোগান এবং ফিলিপ সি সন্ডার্সের সাম্প্রতিক গবেষণায় স্পষ্টতই এই কারণগুলি বোঝার চেষ্টা করা হয়েছেবিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের গবেষকদের কাছ থেকে এই ধরনের আরও নিরীক্ষণ পিআরসি-র ঘোষণামূলক পারমাণবিক নীতি পারমাণবিক ক্ষমতার অগ্রগতির মধ্যে ক্রমবর্ধমান বৈষম্য সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত বোঝাপড়া প্রদান করতে সহায়ক হবে।

 


সুযশ দেশাই চিনের প্রতিরক্ষা ও বিদেশনীতি সংক্রান্ত রিসার্চ স্কলার।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.