-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
চিন বুঝতে পেরেছে যে অস্ত্রের বাণিজ্য তার বিভিন্ন বৈদেশিক নীতি ও অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারে
সাম্প্রতিক অতীতে চিনা প্রতিরক্ষা শিল্প দ্রুত অগ্রগতি করেছে। ২০২১ সালের জন্য স্টকহলম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইআরপিআই) সংকলিত তথ্য ইঙ্গিত করে যে চিনা প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলি এশিয়া–ওশিয়ানিয়া অঞ্চলে প্রতিরক্ষা বিক্রয়ের শীর্ষে ছিল। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা শিল্প বিশ্বের প্রধান অস্ত্র প্রস্তুতকারকদের মধ্যে সবার উপরে রয়েছে, চিনারা এশিয়া–ওশিয়ানিয়া অঞ্চলে তাদের প্রভাব উল্লেখযোগ্যভাবে প্রসারিত করেছে; এই অঞ্চল থেকে সামগ্রিক অস্ত্র বিক্রির ৮০ শতাংশেরও বেশি তাদেরই। কী কারণে পিপলস রিপাবলিক অফ চায়না (পিআরসি)–র প্রতিরক্ষা শিল্প অস্ত্র বিক্রি ও গতিশীলতা থেকে এই লাভ পেল? কারণ, ১৯৪৯ সালে একটি কমিউনিস্ট রাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশের পর থেকে বৈশ্বিক মঞ্চে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা শিল্প হিসাবে উঠে আসার জন্য পিআরসি পদ্ধতিগতভাবে ও অবিরত বিনিয়োগ করেছে।
কার্যত মহাকাশ প্রযুক্তি থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিকস, জাহাজ নির্মাণ ও সিন্থেটিক রাসায়নিকের মতো চিনের প্রধান প্রতিরক্ষা শিল্পের পুরোটারই উৎস এই শিল্পগুলিতে পিএলএ–র চুক্তিভিত্তিক সহায়তা।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি আজকের পিআরসি–র প্রতিরক্ষা শিল্পভিত্তির মজবুত জায়গাকে ব্যাখ্যা করে তা হল পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) ও তার ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের চিনের প্রতিরক্ষা শিল্পের প্রতি ক্রমিক দায়বদ্ধতা ও পৃষ্ঠপোষকতা। কার্যত মহাকাশ প্রযুক্তি থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিকস, জাহাজ নির্মাণ ও সিন্থেটিক রাসায়নিকের মতো চিনের প্রধান প্রতিরক্ষা শিল্পের পুরোটারই উৎস এই শিল্পগুলিতে পিএলএ–র চুক্তিভিত্তিক সহায়তা। ১৯৫০ ও ১৯৬৯ সালের মধ্যে, বাহ্যিক হুমকির পরিবেশের সবচেয়ে বিপজ্জনক পর্যায়ে, চিনের অর্থনীতির প্রাতিষ্ঠানিক, সাংগঠনিক ও আদর্শগত স্তরে চিনা সামরিক বাহিনীর প্রবেশ ঘটেছিল। ১৯৭৮ সালে শুরু হওয়া সংস্কার যুগেও নীতি, আদর্শ, সংগঠন ও প্রক্রিয়ার স্তরে পিএলএ–র প্রভাব অক্ষুণ্ণ ছিল। জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি পিআরসি–র উদ্ভাবনী সাংগঠনিক কৌশলের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ছিল বিদেশ থেকে পর্যায়ক্রমিক ক্রয় ও সহ–উৎপাদন সত্ত্বেও স্বনির্ভরতার প্রতি পূর্ণ অঙ্গীকার। প্রতিরক্ষা শিল্প সফলভাবে এমন প্রতিষ্ঠানগুলির মিশ্রণ ঘটিয়েছে যেগুলি স্তালিনবাদী কায়দায় সম্পদের উপর থেকে নিচের দিকে প্রবাহকে সংযুক্ত করেছে প্রণোদনা কাঠামোর সঙ্গে। শেষোক্ত কাঠামোটি ঝুঁকি গ্রহণ, ব্যক্তিগত প্রণোদনা, উদ্যোগ এবং প্রযুক্তিগত বিশেষজ্ঞদের মধ্যে সহযোগিতার নেটওয়ার্কগুলির দ্বারা চিহ্নিত সিলিকন ভ্যালির উদ্যোগ–কৌশলকে হুবহু অনুকরণ করে৷ শি জিনপিং–এর আমলে বৃহত্তর সংস্কার বাধাপ্রাপ্ত হলেও চিনের প্রতিরক্ষা শিল্পভিত্তির কোনও বাস্তব বা দৃশ্যমান ক্ষতি হয়নি। ফলস্বরূপ, চিনা প্রতিরক্ষা শিল্প উন্নতি করেছে, এবং সর্বশেষ সিপরি রিপোর্টে তা প্রতিফলিত হয়েছে ২০২১ সালে বিশাল পরিমাণ অস্ত্র বিক্রির আকারে। চার্ট ১–এর দিকে একবার তাকালেই বোঝা যাবে কেন চিন কোভিড–১৯ অতিমারি ও সমস্ত সরবরাহ শৃঙ্খলজনিত সমস্যা (যা অন্যান্য দেশের প্রতিরক্ষা শিল্পে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে) অতিক্রম করে উন্নতি করেছে। চায়না নর্থ ইন্ডাস্ট্রিজ গ্রুপ কর্পোরেশন লিমিটেড (নরিনকো)–এর বিক্রি ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল; দ্বিতীয় স্থানে থাকা সংস্থা এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন অফ চায়না (এভিআইসি)–র ২০২০–র থেকে ২০২১ সালে বিক্রয় ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে; ২০২০–র থেকে ২০২১ সালে তৃতীয় যে বড় সংস্থার বিক্রি বেড়েছিল তা ছিল চায়না অ্যারোস্পেস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কর্পোরেশন (সিএএসসি), এবং তাদের বৃদ্ধি ছিল ৪.২ শতাংশ; চায়না অ্যারোস্পেস সায়েন্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কর্পোরেশন (ক্যাসিক)–এর বিক্রিও ২০২০–র তুলনায় ২০২১ সালে ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু চায়না ইলেকট্রনিকস টেকনোলজি গ্রুপ কর্পোরেশন (সিইটিসি), যা তথ্য প্রযুক্তি ও ইলেকট্রনিক পণ্য তৈরি করে, তা মোট বিক্রির পরিমাপে সিএএসসি ও ক্যাসিককে ছাড়িয়ে গেলেও ৫.৬ শতাংশ পতনের সম্মুখীন হয়েছিল; কিন্তু এটাও ঘটনা যে অতিমারির কারণে সরবরাহ শৃঙ্খল বিঘ্নের ফলে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এই প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রগুলিই।
চার্ট – ১
পিআরসি–র প্রতিরক্ষা শিল্পের দ্রুত অগ্রগতি সত্ত্বেও তিনটি মূল ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে চিনারা এখনও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি: অতি উন্নত ইলেকট্রনিকস, সাবমেরিনের শব্দ কম করার প্রযুক্তি, এবং প্রপালশনের ক্ষেত্রে জাহাজ নির্মাণ প্রযুক্তি, যার জন্য নির্ভুল প্রকৌশল প্রয়োজন হয়। তবে চিন চিরাচরিত সাবমেরিন নির্মাণের ক্ষেত্রে এখন এয়ার–ইনডিপেনডেন্ট প্রপালশন সিস্টেম থেকে লিথিয়াম–আয়ন ব্যাটারির দিকে চলে যাচ্ছে। আগামী দিনে সাবমেরিনের শব্দ কম করার প্রযুক্তিতে রাশিয়ার সহায়তা বেজিংকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো আরও উন্নত নৌশক্তির সঙ্গে ব্যবধান কমাতে সাহায্য করবে। চিনারা মহাকাশ, সাইবার, ইলেকট্রনিক যুদ্ধ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও কোয়ান্টাম প্রযুক্তিতেও যথেষ্ট বিনিয়োগ করেছে। দেশীয় প্রতিরক্ষা সক্ষমতা ও বিভিন্ন উদীয়মান প্রযুক্তিতে চিনাদের অগ্রগতিই অনেকাংশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ‘থার্ড–অফসেট’ কৌশল নিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সাইবার সক্ষমতা, মানবহীন সিস্টেম ও মেশিন লার্নিং–এর মতো নির্দিষ্ট প্রযুক্তির ক্ষেত্রে তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের উপর প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখার প্রশ্নে জয় এনে দিয়েছে ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে গত বছর পাস করা দ্য ক্রিয়েটিং হেল্পফুল ইন্ডাস্ট্রিজ টু প্রোডিউস সেমিকন্ডাক্টরস অ্যান্ড সায়েন্স অ্যাক্ট (চিপস অ্যাক্ট) হল একটি ৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আইন, যার উদ্দেশ্য মার্কিন সেমিকন্ডাক্টর শিল্পকে চিনা প্রতিযোগিতা থেকে রক্ষা করার জন্য ভর্তুকি ও সহায়তা দেওয়া। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আধুনিক গবেষণা ও উন্নয়ন (আরঅ্যান্ডডি)–এর ‘অনুঘটক ’ হিসাবে মার্কিন সংস্থাগুলিকে কাজে লাগাতে এই আইনের অধীনে ভর্তুকির সুবিধাভোগীদের চিনের সেমি–কন্ডাক্টর শিল্পে বিনিয়োগ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হল, ক্ষেপণাস্ত্র থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) থেকে স্বয়ংচালিত যন্ত্রাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত অস্ত্রসম্ভারের মধ্যে সেমি–কন্ডাক্টর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, এবং তা নিয়ে চিনের সঙ্গে গোল বেধেছে। নিশ্চিতভাবে সেমি–কন্ডাক্টর ও সাবমেরিন প্রপালশন হল উচ্চ–মূল্যের প্রযুক্তি। যাই হোক, চিনা প্রতিরক্ষা শিল্পের সাফল্য শিক্ষণীয়: তারা একটি শোষণভিত্তিক (অ্যাবসর্পশন বেসড) ‘মোটামুটি ভাল উন্নয়ন মডেল’ গ্রহণ করেছে, যা খরচ কম রাখে এবং দ্রুত সক্ষমতা অর্জন করে। এভাবে চিনারা একটি বিশাল দেশীয়করণ অভিযান চালনা করেছে, যার দৌলতে তারা চিনা সশস্ত্র পরিষেবাগুলির কাছে প্রতিরক্ষা পণ্যের মোটামুটি কার্যকর বিক্রেতার পাশাপাশি প্রতিযোগিতাভিত্তিক প্রতিরক্ষা রপ্তানিকারক হয়ে উঠেছে। কিন্তু বেজিং শোষণভিত্তিক উন্নয়ন মডেল থেকে একটি উদ্ভাবনী উন্নয়নে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে, কারণ এর সঙ্গে আরও আধুনিক অস্ত্রের বিকাশ জড়িত। এখন সশস্ত্র পরিষেবাগুলির ক্রয়ের প্রয়োজন মেটাতে উদ্ভাবনের পাশাপাশি খরচ কম রাখার বিষয়টি চিনা প্রতিরক্ষা শিল্পের ক্ষমতা পরীক্ষা করবে। ২০১৬–২০২০–র মধ্যে পিআরসি–র প্রাথমিক প্রতিরক্ষা রপ্তানি গন্তব্য ছিল পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আলজেরিয়া, যারা যথাক্রমে ৩৮ শতাংশ, ১৭ শতাংশ এবং ৮.২ শতাংশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আমদানি করেছিল। উল্লিখিত দেশগুলি ছাড়াও ২০১১ সালে চিনারা সৌদি আরব, মিশর ও উজবেকিস্তানে যুদ্ধ বা সশস্ত্র মানবহীন এরিয়াল ভেহিকল (ইউএভি) রপ্তানি শুরু করে। সেই সময় পর্যন্ত সশস্ত্র ইউএভি শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইজরায়েল ও ব্রিটেন ব্যবহার করত, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুধু ফ্রান্সে ইউএভি রপ্তানি করত। অস্ত্রের একটি বড় আমদানিকারক থেকে এখন পিআরসি–র একটি প্রধান প্রতিরক্ষা রপ্তানিকারক হয়ে ওঠা বুঝিয়ে দেয় তারা কতটা দূরত্ব অতিক্রম করছে।
পিআরসি’র প্রতিরক্ষা উদ্দেশ্যসাধনের উপায়: উন্নয়নশীল বিশ্বের এলিটকে আঁকড়ে ধরা
‘চিন–আফ্রিকা অ্যাকশন প্ল্যান’-এর মতো উদ্যোগের মাধ্যমে সিভিল সার্ভিসের জন্য প্রশিক্ষণ ও আপগ্রেডেশন প্রোগ্রামের অজুহাতে চিন বেশি করে প্রতিরক্ষা কর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করা শুরু করেছে।
মনে হচ্ছে পিআরসি বুঝতে পেরেছে যে অস্ত্রের বাণিজ্য চিনের বিভিন্ন বৈদেশিক নীতি ও অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারে। আফ্রিকার ক্ষেত্রেই ধরুন, এটি হাইড্রোকার্বন ও খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ, এবং সেই কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চিনের জন্য একটি আকর্ষণ। মহাদেশটি চিনের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ শি–র ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগের লক্ষ্য বন্দর, রেললাইন, শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলির নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বেজিংকে আফ্রিকা ও ইউরোপের সঙ্গে সংযুক্ত করা। এখানে চিন আফ্রিকার অন্যান্য একদলীয় রাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তুলতে চায়, এবং পশ্চিমের বিরুদ্ধে বিদ্বেষের সূত্রে তাদের সঙ্গে অভিন্ন বন্ধন তৈরি করে। ২০২১ সালের নভেম্বরে চিন–আফ্রিকা সহযোগিতার ফোরামের আগে, শি–র ভাষণ ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ, জাতিগত বৈষম্য ও একতরফা নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করার … এবং আমাদের অভিন্ন আকাঙ্খা ও স্বার্থকে যৌথ পদক্ষেপে রূপান্তর করার’ প্রয়োজনের উপর জোর দিয়েছিল। এসব বলা হয়েছিল পশ্চিমকে ইঙ্গিত করে, যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য আফ্রিকার বিভিন্ন সরকারকে একাধিকবার দায়ী করেছে। ‘চিন–আফ্রিকা অ্যাকশন প্ল্যান’-এর মতো উদ্যোগের মাধ্যমে সিভিল সার্ভিসের জন্য প্রশিক্ষণ ও আপগ্রেডেশন প্রোগ্রামের অজুহাতে চিন বেশি করে প্রতিরক্ষা কর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করা শুরু করেছে। ২০১৮ সালে চিন প্রতিরক্ষা কর্তাদের মধ্যে প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্যে চিন–আফ্রিকা প্রতিরক্ষা ফোরামে আফ্রিকার ৫০টি দেশের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের অতিথি হিসাবে নিয়ে এসেছিল। যদিও এটি একটি আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা ছিল, আফ্রিকার সিনিয়র সামরিক ব্যক্তিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা চিনকে ভূ–রাজনৈতিক বক্ররেখা থেকে এগিয়ে রেখেছে, এবং অস্থির আফ্রিকান দেশগুলিতে নেতৃত্বের পরিবর্তনের ফলে তার যাতে ক্ষতি না–হয় তা নিশ্চিত করেছে। যেমন জিম্বাবোয়ের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল কনস্টান্টিনো চিওয়েঙ্গা চিনে গিয়েছিলেন এবং ২০১৭ সালে আফ্রিকার সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে দায়িত্ব পালনকারী নেতা রবার্ট মুগাবেকে ক্ষমতাচ্যুত করার তিন দিন আগে সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। ফলে বেজিং অভ্যুত্থান সম্পর্কে অবহিত ছিল কি না তা নিয়ে জল্পনা চলেছিল। পিআরসি উন্নয়নশীল বিশ্বে বিশেষ করে সিনিয়র প্রতিরক্ষা কর্মীদের দলে টানার ক্ষেত্রে খুবই সক্রিয়। সামরিক বাহিনী বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশের মেরুদণ্ড গঠন করে এবং নামেমাত্র অসামরিক নেতাদের তাঁদের সমর্থনের প্রয়োজন হয়। ফলস্বরূপ, চিনা শিল্পের কাছে সহজ প্রতিরক্ষা রপ্তানি বাজার রয়েছে।
যে কোনও শিল্পের রাজস্ব আনার জন্য একটি বাজার এবং তার পণ্য উন্নত করার জন্য একটি পরীক্ষাস্থল প্রয়োজন। চিনের অস্ত্র শিল্প যেভাবে সমৃদ্ধ হচ্ছে, আফ্রিকার সঙ্গে তার সম্পর্কের গতিশীলতা আকর্ষণীয় হবে। উভয় পক্ষেরই একে অপরকে দেওয়ার মতো অনেক কিছু আছে। সম্পদের অপ্রতুলতায় ভোগা চিন আফ্রিকার দিকে তাকিয়ে আছে তার অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য; আর আফ্রিকান দেশগুলি, যারা নিষ্কাশন শিল্প অর্থনীতি দিয়ে উন্নতি করলেও নিজেদের নাগরিকদের জনসেবা থেকে বঞ্চিত রাখে, তারা তাদের শাসনকে শক্তিশালী করার জন্য কঠোর শক্তির উপকরণ অর্জনের জন্য ক্রমবর্ধমানভাবে চিনের দিকে তাকাবে।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Kartik Bommakanti is a Senior Fellow with the Strategic Studies Programme. Kartik specialises in space military issues and his research is primarily centred on the ...
Read More +Kalpit A Mankikar is a Fellow with Strategic Studies programme and is based out of ORFs Delhi centre. His research focusses on China specifically looking ...
Read More +