বর্তমানে এমন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে বেজিং তার কোভিড বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে এবং দেশটি তার প্রতিবেশী অঞ্চলে নতুন উদ্যমে অভিযান শুরু করছে। ভুটান ও চিনের মধ্যে সীমান্ত আলোচনার নতুন পর্যায়টি এর একটি উদাহরণ। মায়ানমারের কোকো দ্বীপপুঞ্জে একটি সামরিক স্থাপনা নির্মাণ এবং শ্রীলঙ্কায় একটি প্রস্তাবিত দূরবর্তী স্যাটেলাইট রিসিভিং গ্রাউন্ড স্টেশন ভারতের কাছে নতুন মাথাব্যথার কারণ। এ সবের কারণ বোঝা খুব কঠিন কিছু নয়। সত্য হলে, এই ধরনের পদক্ষেপ সমগ্র অঞ্চল জুড়ে চিনের সম্ভাব্য নজরদারি সহজতর করতে পারে।
ফেব্রুয়ারিতে বেলজিয়ামের একটি সংবাদপত্রে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিংয়ের সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হওয়ার পর চিনের কুনমিং–এ দ্বিপাক্ষিক সীমান্ত আলোচনা নিয়ে ভারতে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। জানুয়ারিতে কুনমিং আলোচনায় দুই দেশের বিশেষজ্ঞরা তাঁদের সীমান্ত আলোচনাকে এগিয়ে নিতে এবং বিভিন্ন চুক্তি সম্পাদন করতে সম্মত হন। এক মাস পরে তাঁর দেওয়া অন্য একটি সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেরিং পার্থক্যগুলি ছোট করে দেখান এবং বলেন যে ‘কিছু অঞ্চল (শুধু?) এখনও চিহ্নিত করা হয়নি’।
জানুয়ারিতে কুনমিং আলোচনায় দুই দেশের বিশেষজ্ঞরা তাঁদের সীমান্ত আলোচনাকে এগিয়ে নিতে এবং বিভিন্ন চুক্তি সম্পাদন করতে সম্মত হন।
চিন সম্পর্কে প্রচলিত উদ্বেগগুলি ছাড়াও, এই নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে, ভারত ডোকলাম ত্রি–সংযোগ অঞ্চল নিয়ে ভুটানের অবস্থান জানতে আগ্রহী ছিল। স্মরণ করা যেতে পারে, ২০১৭ সালে চিন ভুটানি ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে থিম্পু নয়াদিল্লির সহায়তা চাওয়ার পরে ভারত ও চিনের মধ্যে একটি সামরিক অচলাবস্থা তৈরি হয়। তবে ভারতীয় উদ্বেগের সমাধান ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেলের নয়াদিল্লি সফরের সময়েই হয়ে গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অন্য শীর্ষ সরকারি নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন।
হস্তক্ষেপ না–করার ধারা
এই সামগ্রিক পটভূমিতে একটি মার্কিন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সাম্প্রতিক একটি স্যাটেলাইট ছবি ব্যাখ্যা করে ভারতের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের অদূরে মায়ানমারের কোকো দ্বীপপুঞ্জে চিনা স্থাপনা তৈরির সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে শ্রীলঙ্কার চিন-নিয়ন্ত্রিত হাম্বানটোটা অঞ্চলে অনুরূপ আর একটি স্থাপনার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিশ্লেষণাত্মক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে একটি আবাসন ব্লক সহ কোকো দ্বীপের স্থাপনাগুলি সমগ্র অঞ্চলে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। চিনের উদ্দেশ্য বা ক্রিয়াকলাপ নির্বিশেষে বিষয়টি ভারতের পক্ষে উদ্বেগজনক তার নিজের জন্য এবং তার ছোট প্রতিবেশীদের জন্য।
একটি মার্কিন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সাম্প্রতিক একটি স্যাটেলাইট ছবি ব্যাখ্যা করে ভারতের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের অদূরে মায়ানমারের কোকো দ্বীপপুঞ্জে চিনা স্থাপনা তৈরির সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছে।
বিশেষভাবে প্রতিবেদনটিতে গত বছরে হাম্বানটোটায় চিনা গুপ্তচর জাহাজ ইউয়ান ওয়াং–৫–এর নোঙর ফেলার বিতর্কিত ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা নয়াদিল্লি ও অনেক পশ্চিমের রাজধানীতে তাপমাত্রা বাড়িয়েছিল। এতে বলা হয়েছে যে গ্রাউন্ড স্টেশনগুলি সমস্ত জাহাজ যা করার জন্য তৈরি সে কাজ সম্পাদন করতে পারে, এবং এর বিপরীতটাও সত্য। মার্কিন বিশ্লেষণে চিন ও আর্জেন্টিনার মধ্যে একটি অতীত চুক্তির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে, যা ইঙ্গিত করে যে চিনের নতুন স্থাপনা থেকে তাদের কার্যকলাপ নিয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের প্রশ্ন বা হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই। শ্রীলঙ্কার ভূখণ্ড চিনকে ৯৯ বছরের জন্য লিজ দেওয়ার সময় হাম্বানটোটা ডেট–টু–ইক্যুইটি চুক্তিতে এই ধরনের কোনও ধারা ছিল কি না তা স্পষ্ট নয়।
শ্রীলঙ্কার অস্বীকৃতি
শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী আলি সাবরি থিঙ্ক ট্যাঙ্কের প্রতিবেদনটি অস্বীকার করে বলেছেন, রাডার–ঘাঁটি বা এই জাতীয় কোনও স্থাপনা তৈরির জন্য (চিনের তরফে) কোনও অনুরোধ করা হয়নি। তাই কোনও ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। এটি কি এ কথাই বোঝায় যে যদি লিজ ডিডে আর্জেন্টিনার ধরনের ধারা আগে থেকেই লেখা থাকে তাহলে হাম্বানটোটার সম্পত্তিতে কোনও কিছু করার জন্য চিনকে মোটেই শ্রীলঙ্কা সরকারের অনুমোদন নিতে হবে না?
যাই হোক না কেন, শ্রীলঙ্কায় ক্ষমতাসীন জোটের প্রতিনিধিত্বকারী ১৫–সদস্যের প্রতিনিধিদলের চিন সফর দেশের অভ্যন্তরে এবং বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এই দলে প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহের ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) পাঁচজন প্রতিনিধি ছিলেন, যাদিও ২২৫ আসনের পার্লামেন্টে তাদের এক জন মাত্র সদস্য রয়েছেন।
দলের দশজন সদস্য ছিলেন রাজাপক্ষদের প্রতিষ্ঠিত শ্রীলঙ্কা পোডুজানা পেরামুনা (এসএলপিপি) দলের, যাদের সরকারে অংশগ্রহণ ও সংসদীয় সমর্থন একাই বিক্রমসিংহে প্রেসিডেন্সি বজায় রাখছে। তালিকায় রাজাপক্ষের এক আত্মীয়ও ছিলেন। এই সফর থেকে স্বতন্ত্রভাবে কুখ্যাত প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে সম্ভবত ছিলেন এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে কোভিড–পরবর্তী চিন সফরকারী প্রথম শ্রীলঙ্কার নেতা।
পেট্রোলিয়াম চুক্তি
এই ঘটনাগুলি থেকে স্বতন্ত্রভাবে জাফনা থেকে শ্রীলঙ্কার একটি তামিল ভাষার সংবাদপত্র জানিয়েছে যে চিনা গ্লোবাল টেলিভিশন ১০ দিনের স্যাটেলাইট–ভিত্তিক পরীক্ষামূলক ট্রান্সমিশন করেছে, যা দ্বীপরাষ্ট্রটির ভারতীয় উপকূলের কাছাকাছি উত্তর–পূর্ব অঞ্চলকে কভার করেছে। এই টিভির বেশ কিছু বছর ধরেই দেশের কিছু অংশে টেরেস্ট্রিয়াল ট্রান্সমিশন রয়েছে।
আরেকটি ঘটনা যা নয়াদিল্লির জন্য বৃহত্তর উদ্বেগের কারণ হতে পারে তা হল চায়না পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড কেমিক্যাল কর্পোরেশন বা সিনোপেক–এর সঙ্গে শ্রীলঙ্কা পেট্রোলিয়াম পণ্য আমদানি ও খুচরা বিক্রয়ের জন্য একটি চুক্তি, যা মে মাসে সম্পাদিত হয়েছে।
ডলারের ঘাটতির কারণে গত বছরের জ্বালানি সংকটের পর নীতি হিসাবে সরকার একটি খোলা টেন্ডার প্রক্রিয়ায় প্রাপ্ত ২৬টি প্রস্তাবের মধ্যে থেকে অস্ট্রেলিয়ার আনটায়েড পেট্রোলিয়াম কোম্পানি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এম পার্কস কোম্পানির কাছ থেকেও একই ধরনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। যখন জ্বালানি সংকট দেখা দেয় তখন রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রের সিলোন পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (সিপিসি) ও ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের যৌথ উদ্যোগ লঙ্কা আইওসি (এলআইওসি) যে সারা দেশে পেট্রোলিয়াম পণ্য বিপণন করার দায়িত্বে ছিল, তা নজর এড়ায়নি।
সরকার একটি খোলা টেন্ডার প্রক্রিয়ায় প্রাপ্ত ২৬টি প্রস্তাবের মধ্যে থেকে অস্ট্রেলিয়ার আনটায়েড পেট্রোলিয়াম কোম্পানি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এম পার্কস কোম্পানির কাছ থেকেও একই ধরনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
যৌথ স্টোরেজ ও ব্যবহারের জন্য পূর্ব ত্রিনকোমাল্লিতে দুটি ‘ট্যাঙ্ক ফার্ম’–এ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভিনটেজ তেল ট্যাঙ্ক পুনর্নির্মাণের জন্য ভারত গত বছরের শুরুর দিকে (অর্থনৈতিক সঙ্কট এবং এর ফলে আরাগালায় গণবিক্ষোভের আগে) একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। এই চুক্তি অনুযায়ী উভয় পক্ষ যৌথভাবে খামারের ৯৯টি ট্যাঙ্কের মধ্যে ৬১টি সংস্কার করবে, ২৪টি সিপিসি এবং ১৪টি এলআইওসি তৈরি করবে৷ এই ব্যবস্থা ৫০ বছর ধরে বহাল থাকবে। বিনিয়োগগুলি বিশাল হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং কাজগুলি হাতে নেওয়ার পর সেগুলি শেষ করতে যথেষ্ট সময় লাগবে৷
মালদ্বীপে চিনা প্রকল্প
প্রতিবেশী মালদ্বীপে চাইনিজ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কো–অপারেশন এজেন্সি (সিআইডিসিএ)–র ভাইস–চেয়ারম্যান ডেং বোকুইনের সাম্প্রতিক সফরের সময় চিন চারটি এমওইউ/লেটার অফ এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে নতুন করে সে দেশে প্রবেশ করেছে। মালদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লাহ শহিদ ও চিনের রাষ্ট্রদূত ওয়াং লিক্সিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মূল চুক্তিগুলির মধ্যে আছে ২০২৩–২৫–এর জন্য দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগিতা পরিকল্পনা, মালদ্বীপের জাতীয় জাদুঘরের সংস্কার, রাজধানী মালে ও হুলহুমলে বিমানবন্দর দ্বীপকে সংযুক্তকারী চিন–অর্থায়নকৃত সিনামালে সমুদ্র সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ, এবং চারটি দ্বীপ হাসপাতাল নির্মাণের সম্ভাব্যতা খতিয়ে দেখা। বোকুইন ভাইস–প্রেসিডেন্ট ফয়সল নাসিমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতও করেছিলেন, যিনি মন্তব্য করেছিলেন যে চিন মালদ্বীপের ‘আর্থ–সামাজিক উন্নয়নে প্রচুর অবদান রেখেছে’।
একটি পৃথক কিন্তু সম্পর্কিত ঘটনায় মালদ্বীপ ফান্ড ম্যানেজমেন্ট কর্পোরেশন (এমএফএমসি) দক্ষিণাংশের আদ্দু সিটিতে চিন–অর্থায়নকৃত ১৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের হানকেডে পর্যটন উন্নয়ন প্রকল্পটির দায়িত্ব দিয়েছে চায়না ন্যাশনাল ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিকে (সিএনইইসি)। ক্ষমতাসীন এমডিপি–র আদ্দুর মেয়র আলি নিজার দীর্ঘদিন ধরে বিলম্বিত এই কাজটি বরাদ্দ করার ঘটনাকে স্বাগত জানালেও স্থানীয় মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে চিনা সংস্থাটি জাম্বিয়াতে অন্যায় কাজের জন্য বিশ্বব্যাঙ্কের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে। বিরোধী দল পিপিএম–পিএনসি নিয়ন্ত্রিত মালে মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিল মালেতে চিনের হুনান কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনকে একটি প্রধান সড়ক বোদুথকুরুফানুমাগু সংস্কারের জন্য ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রকল্পের দায়িত্ব দিয়েছে। ২০১৮ সালে নতুন করে তৈরি করা মালে–হুলহুমালে সড়কটি ৩২টি জায়গায় ভেঙে যাওয়ায় তার সংস্কার করতে হচ্ছে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ৩০ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে।
ক্ষমতাসীন এমডিপি–র আদ্দুর মেয়র আলি নিজার দীর্ঘদিন ধরে বিলম্বিত এই কাজটি বরাদ্দ করার ঘটনাকে স্বাগত জানালেও স্থানীয় মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে চিনা সংস্থাটি জাম্বিয়াতে অন্যায় কাজের জন্য বিশ্বব্যাঙ্কের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে।
দেশটির অর্থনৈতিক মূল ভিত্তি পর্যটনের ক্ষেত্রে কোভিড–পরবর্তী মাসগুলিতে দ্রুতগতিতে দেশটি এগিয়েছে। চিনা দূত বলেছিলেন যে পাঁচ দিনের মে দিবসের ছুটি থেকে শুরু করে আগামী মাসগুলিতে আরও বেশি চিনা পর্যটক মালদ্বীপে আসবেন। বর্তমানে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ সত্ত্বেও মালদ্বীপে বিদেশী পর্যটকদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রুশীরা, যারা ভারতীয়দের দ্বিতীয় স্থানে ঠেলে দিয়েছে।
শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ দুটি দেশই কোভিড লকডাউন থেকে অনেক দূর এগিয়ে এসেছে। ভারতের অ্যাফকনস মর্যাদাপূর্ণ ও ভারত–অর্থায়িত ৫০০ মিলিয়ন ডলারের থিলামলে সমুদ্র সেতুর কাজ শুরু করেছে। কাজ শেষ হলে সেতুটি মালেকে দুটি বাণিজ্যিক বন্দর ও শিল্প দ্বীপের সঙ্গে সংযুক্ত করবে, এবং রাজধানীতে যানজট কমাতে সাহায্য করবে। মালে হল বিশ্বের সবচেয়ে ঘিঞ্জি রাজধানীগুলির মধ্যে একটি।
প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলির সরকার বলেছে যে যদিও ভারতীয় নির্মাণ সংস্থাটির সাম্প্রতিক সময়ে হাত বদল হয়েছে এবং তা নিয়ে মালদ্বীপ কর্তৃপক্ষকে আস্থায় নেওয়া হয়নি, তবে দেশটি তাদের দেওয়া এই প্রকল্পটি এবং অন্য প্রকল্পগুলির কাজে কোনও বাধা দেবে না। বর্তমান প্রসঙ্গে এই কথাগুলো অনেক কিছুই বলে।
যাই হোক, চিনের চুক্তি এবং খুচরা জ্বালানি বিক্রয় এখান থেকে কীভাবে কোথায় যায় তা দেখা বাকি আছে। এটি কি পেট্রোলিয়াম সরবরাহে শ্রীলঙ্কাকে সমর্থন করার জন্য, না এই ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার জন্য? তা থেকেই অনেক কিছু বোঝা যাবে।