-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
চিনের নিরাপত্তা শ্বেতপত্রে তার নির্বাচিত মনোযোগ প্রকাশ পেয়েছে — যদিও দক্ষিণ এশিয়ার কথা খুব কমই উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতের জন্য এর কৌশলগত প্রভাব বাস্তব।
১২ মে ২০২৫ তারিখে, চিনের স্টেট কাউন্সিল ইনফরমেশন অফিস "নতুন যুগে চিনের জাতীয় নিরাপত্তা " শীর্ষক একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করে, যা এই ধরনের প্রথম নথি।। যদিও এই নথিটি অনেকেই খতিয়ে দেখেছেন, তবুও দক্ষিণ এশিয়ায় চিনের লক্ষ্য কী সেই প্রশ্নটির উত্তর এতে পাওয়া যায়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (ইউএস) ধাঁচের জাতীয় নিরাপত্তা শ্বেতপত্রের আদলে তৈরি এই নথিটি তার বৈশ্বিক নিরাপত্তা দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশে বেজিংয়ের ক্রমবর্ধমান আত্মবিশ্বাসকে প্রতিফলিত করে। চিন পশ্চিমী নেতৃত্বাধীন শাসন কাঠামো থেকে আলাদা একটি বিকল্প বহুমেরু বিশ্বব্যবস্থা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের ধারণা সামনে আনতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেছে। নথিটি নিয়ে নয়াদিল্লির নীতিগত বৃত্তে আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি শি জিনপিংয়ের বৈশ্বিক নিরাপত্তা উদ্যোগের প্রধান ধারণার একটি বিস্তৃত পরিসরে দেশীয় ও বিদেশী উভয় সুরক্ষা উদ্বেগের কৌশলগত ধারণাগুলিকে একত্র করে। যদিও নথিতে স্পষ্টভাবে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলকে বৃহৎ শক্তির প্রতিযোগিতার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, এবং বিশেষ করে এই বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি বিপদ হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে, সীমান্ত-সম্পর্কিত চলতি আলোচনার উল্লেখ ছাড়া ভারত এবং এই অঞ্চলের অন্য দক্ষিণ এশীয় শক্তিগুলির কথা নথিতে উল্লেখযোগ্যভাবে অনুপস্থিত। এই মনোযোগের অভাব ইচ্ছাকৃত অস্পষ্টতা বা চিনা উদ্দেশ্যের সম্ভাব্য পুনর্নির্মাণের ঘটনা হতে পারে। পরিশেষে, এটি একটি মৌলিক প্রশ্ন উত্থাপন করে: নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে চিন দক্ষিণ এশিয়াকে কীভাবে দেখে?
চিন পশ্চিমী নেতৃত্বাধীন শাসন কাঠামো থেকে আলাদা একটি বিকল্প বহুমেরু বিশ্বব্যবস্থা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের ধারণা সামনে আনতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেছে।
এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিরাপত্তা উদ্বেগের উল্লেখ
শ্বেতপত্রে বৃহত্তর এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের কৌশলগত গুরুত্ব নিয়ে উদ্বেগের বিষয়টি সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, এবং এটিকে আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলায় একটি ‘স্টেবল প্লেট’ হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে। বেজিং স্পষ্টভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার ‘একচেটিয়া ছোট গোষ্ঠী’-কে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার একমাত্র উপদ্রব হিসেবে চিহ্নিত করেছে, আর তাদের বিরুদ্ধে ‘ঠান্ডা যুদ্ধের উত্তরাধিকারের বিষয়’ আঁকড়ে থাকা এবং আঞ্চলিক ও সামুদ্রিক বিরোধের সমাধান অসম্ভব করে তোলে এমন পরিস্থিতি তৈরি করার অভিযোগ তুলেছে। এই শ্বেতপত্রটি সংস্কারক হিসেবে চিনকে প্রদর্শনের একটি ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা, যা নিরাপত্তার বৈশ্বিক মানদণ্ডগুলিকে পুনর্গঠন করা এবং তার ক্রমবর্ধমান উচ্চাকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার চেষ্টা করছে, এবং একই সাথে ‘গ্লোবাল সাউথ’ বাগাড়ম্বর ব্যবহার করে নিজেকে বহুপাক্ষিকতার আরও বৈধ সমর্থক হিসেবে চিত্রিত করার চেষ্টা করছে।
এই অঞ্চলে সমস্যা সৃষ্টিকারী হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে চিহ্নিত করার সময়, শ্বেতপত্রের মূল অ্যাজেন্ডা ছিল চিনের গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভ (জিএসআই)-কে তুলে ধরা — যা ২০২২ সালে শি শাসনকালের একটি প্রধান উদ্যোগ। এতে উল্লেখ করা হয়েছে যে বহিরাগত নিরাপত্তা চাপ, অর্থাৎ বিদেশী হস্তক্ষেপ, বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং তা বিভিন্ন নাশকতামূলক কার্যকলাপের মাধ্যমে চিনকে সীমাবদ্ধ ও দমন করার চেষ্টা করেছে। তার অভিযোগ এই ‘শক্তিগুলো’ চিনের ‘প্রতিবেশী’দের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে, যার ফলে জিনজিয়াং, তিব্বত ও হংকং সম্পর্কিত বিষয়গুলিতে সমস্যা তৈরি হয়েছে। নথিটি বিদেশের মাটি থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনগুলিকে — বিশেষ করে তিব্বতের স্বাধীনতার সঙ্গে যেগুলি সম্পর্কিত — চিনের সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রে বহিরাগত বিপদ হিসাবে চিহ্নিত করেছে।
বেজিং স্পষ্টভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার ‘একচেটিয়া ছোট গোষ্ঠী’-কে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার একমাত্র উপদ্রব হিসেবে চিহ্নিত করেছে, আর তাদের বিরুদ্ধে ‘ঠান্ডা যুদ্ধের উত্তরাধিকারের বিষয়’ আঁকড়ে থাকা এবং আঞ্চলিক ও সামুদ্রিক বিরোধের সমাধান অসম্ভব করে তোলে এমন পরিস্থিতি তৈরি করার অভিযোগ তুলেছে।
বেজিং আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক সংস্থাগুলির সমর্থন অর্জন করতে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী হিসেবে বিবেচিত হতে আগ্রহী বলে মনে হচ্ছে । নথিটি রাষ্ট্রপুঞ্জের (ইউএন) সনদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি 'সাধারণ, ব্যাপক, সহযোগিতামূলক এবং স্থিতিশীল নিরাপত্তা ধারণার' প্রবক্তা হিসেবে চিনের জিএসআই-কে তুলে ধরে। এই নথি থেকে উদ্ভূত সাম্প্রতিক বিশ্লেষণে দক্ষিণ এশিয়ার উপর এর প্রভাব কীভাবে পড়বে তা বিশেষভাবে অনুপস্থিত।
চিন দক্ষিণ এশিয়াকে কীভাবে দেখে?
দক্ষিণ এশিয়ায় চিনের প্রভাবের প্রধান হাতিয়ার হল অর্থনীতি। ২০১৩ সালে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) চালু হওয়ার পর এই প্রবণতা আরও গভীর হয়েছে, যা চিনা অভিপ্রায়ের ইঙ্গিত দেয়। কার্নেগি এনডাউমেন্টের 'কৌশলগত অঞ্চলের উপর চিনের প্রভাব ' শীর্ষক প্রকল্পটি কিছু আকর্ষণীয় পর্যবেক্ষণ প্রদান করে, যেখানে ব্যাখ্যা করা হয়েছে বেজিং কীভাবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে — বিশেষ করে বাংলাদেশ, মলদ্বীপ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় —তাদের নির্দিষ্ট দুর্বলতাগুলিকে কৌশলগতভাবে কাজে লাগায় এবং তার নিজস্ব স্বার্থরক্ষাকারী সম্পৃক্ততাগুলি আয়োজক দেশের জন্য উপকারী বলে নিশ্চিত করে।
মলদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে, চিন এখনও বন্দর ও বিমানবন্দর থেকে শুরু করে জ্বালানি সুবিধা পর্যন্ত পরিকাঠামোগত প্রকল্পগুলির মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করে। তবে, বাংলাদেশ ভিন্ন গতিশীলতা উপস্থাপন করে। স্টকহলম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ২০২০ সালের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী চিনের সামরিক সরঞ্জামের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রেতা।
গত দশকে এই দেশগুলির শাসকগোষ্ঠীর রাজনৈতিক মতাদর্শেও চিনপন্থী প্রবণতা দেখা গিয়েছে, আর সাম্প্রতিক পরিবর্তনটি ঘটেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস ঢাকার চিনের প্রতি আনুগত্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে খোলামেলা বক্তব্য বলেছেন, যা বেজিংয়ে তাঁর রাষ্ট্রীয় সফর থেকে স্পষ্ট, যেখানে পরিকাঠামো সহায়তা, আন্তঃসীমান্ত নদী তথ্য ভাগাভাগি এবং সামরিক সহযোগিতায় চিনা বিনিয়োগের প্রতি তাঁর মরিয়া উৎসাহ দেখা গিয়েছে।
গত দশকে এই দেশগুলির শাসকগোষ্ঠীর রাজনৈতিক মতাদর্শেও চিনপন্থী প্রবণতা দেখা গিয়েছে, আর সাম্প্রতিক পরিবর্তনটি ঘটেছে বাংলাদেশ।
নেপালের ক্ষেত্রে, চিনের সঙ্গে সহযোগিতার সবচেয়ে শক্তিশালী বৈশিষ্ট্য হল সামরিক সম্পর্ক। তবে, পোখরা আন্তর্জাতিক আঞ্চলিক বিমানবন্দর, উচ্চ মার্সিয়াংদি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং কেরুং কাঠমান্ডু আন্তঃসীমান্ত রেল প্রকল্পের মতো প্রকল্পগুলি চিনের পরিকাঠামোগত শক্তিশালী হাতিয়ার, যা এই অঞ্চলে চিনের বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী হিসেবে ধারণা উন্নত করবে।
পাকিস্তান তর্কাতীতভাবে দক্ষিণ এশিয়ায় চিনের সবচেয়ে বড় কৌশলগত মিত্র বা 'ক্লায়েন্ট'। দেশটি চিনের উপর সামরিক ও অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতার দ্বারা চিহ্নিত। পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পর সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় চিনা ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহারের মাধ্যমে এই নির্ভরতা বেশ স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা গিয়েছে। যদিও চিন নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ পর্যবেক্ষক হিসেবে আচরণ করেছে, এবং এই উত্তেজনায় সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে, বাস্তবে তার কূটনৈতিক প্রবণতা অত্যন্ত অবিশ্বাস্য থেকে গিয়েছে।
ভারতের চ্যালেঞ্জ?
অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে চিন দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন প্রবেশকারী হলেও, দেশটি সামরিক বা কিছু ক্ষেত্রে উন্নয়নমূলক সহায়তার মাধ্যমে তার আধিপত্য বিস্তারের জন্য এই অঞ্চলের ভঙ্গুর রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠানগুলিকে ব্যবহার করেছে। মলদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই ধরনটি ধারাবাহিকভাবে চলেছে। যদিও ভারত উপমহাদেশ এবং বিশ্বে একটি শক্তিশালী খেলোয়াড় হিসেবে রয়ে গিয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার পরিস্থিতি মনোযোগ দাবি করে। সাম্প্রতিক শ্বেতপত্রে স্পষ্টভাবে 'চিন-বিরোধী' কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার ক্ষেত্রে চিনের অস্বস্তি তুলে ধরা হয়েছে। কূটনৈতিকভাবে, এই অংশীদারিত্ব দক্ষিণ এশিয়ার জীবনরেখা। এই অঞ্চলে চিনা প্রবণতার সাফল্যের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য ভারতকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ফ্রান্সের মতো খেলোয়াড়দের সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে স্থিতিশীল সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। চিন যখন নিজেকে শান্তিপ্রিয় ও আদর্শ-মান্যকারী হিসেবে উপস্থাপন করে তার আসল উদ্দেশ্যগুলিকে ঢেকে রাখার চেষ্টা করছে, তখন ভারতকে শুধু সামরিক উন্নয়নের মাধ্যমে নয়, অর্থনীতির মাধ্যমেও কৌশলগত স্পষ্টতা তৈরি করতে হবে।
চিনের সহায়তায় ব্রিটিশ আমলের লালমনিরহাট বিমানঘাঁটি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য বাংলাদেশের সর্বশেষ পরিকল্পনা এবং শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তাঁর আলোচনায় ইউনূসের ভারতের কৌশলগত চিকেনস নেক-এর উল্লেখ বুঝিয়ে দেয় চিনের অর্থনৈতিক প্রকল্পগুলিও কৌশলগতভাবে ভারতকে এবং ভারতের সার্বভৌমত্বকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে।
যেহেতু পাকিস্তান সন্ত্রাসী পরিকাঠামোর বিরুদ্ধে ভারতের সাম্প্রতিক অপারেশন সিন্দুর-এর সময় ভারতের বিরুদ্ধে চিনা অস্ত্র ব্যবহার করেছে, তাই এই শ্বেতপত্রের মাধ্যমে চিন যা প্রক্ষেপণের চেষ্টা করছে তা ভারতের অনুধাবন করা প্রয়োজন। পাকিস্তানের ৮১ শতাংশ অস্ত্র চিন থেকে আসে। চিনের সহায়তায় ব্রিটিশ আমলের লালমনিরহাট বিমানঘাঁটি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য বাংলাদেশের সর্বশেষ পরিকল্পনা এবং শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তাঁর আলোচনায় ইউনূসের ভারতের কৌশলগত চিকেনস নেক-এর উল্লেখ বুঝিয়ে দেয় চিনের অর্থনৈতিক প্রকল্পগুলিও কৌশলগতভাবে ভারতকে এবং ভারতের সার্বভৌমত্বকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে। একইভাবে, নেপাল সম্প্রতি তিব্বতের জন্য তার সরকারি নথিতে 'শিজাং' শব্দটি ব্যবহার শুরু করেছে, যা চিনের পছন্দের পরিভাষার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির বেজিং সফরের পর জারি করা একটি যৌথ বিবৃতিতে এই পরিবর্তনটি উল্লেখযোগ্যভাবে স্পষ্ট হয়ে ওঠে, যেখানে নেপাল তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলকে 'শিজাং' বলে উল্লেখ করে, এবং পুনর্ব্যক্ত করে যে "শিজাং বিষয়গুলি চিনের অভ্যন্তরীণ বিষয়", এবং নেপাল তার মাটিতে চিনের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ চালানোর অনুমতি দেবে না। এটি ভারতের জন্য উদ্বেগের বিষয়, কারণ চিন ভারতের সার্বভৌম অঞ্চল অরুণাচল প্রদেশকে দক্ষিণ তিব্বত বা 'জাংনান' হিসেবেও দাবি করে। 'শিজাং' শব্দটি তিব্বতের পরিভাষা হিসেবে স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার মুহূর্তে, যা মোটামুটিভাবে 'পশ্চিমী ধনভাণ্ডার' হিসেবে অনুবাদ করা হয়, অরুণাচল প্রদেশকে — যা পশ্চিমী ধনভাণ্ডার বা 'শিজাং'-এর ঠিক নীচে অবস্থিত — দক্ষিণ তিব্বত হিসেবে দাবি করার জন্য চিনের প্রচেষ্টা সূক্ষ্মভাবে স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। এটি চিন যে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ ব্যবহার করে তার একটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক দিক। সুতরাং, নতুন শ্বেতপত্রে নিরাপত্তাকামী সুরটি বিবেচনা করে, ভারতকে আরও ভালভাবে প্রস্তুত হওয়ার জন্য নিহিত অর্থ বুঝতে নথিটি সাবধানে পড়তে হবে।
শ্রীপর্ণা পাঠক ওপি জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির জিন্দাল স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স-এর চায়না স্টাডিজের অধ্যাপক।
উপমন্যু বসু মানব রচনা ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ রিসার্চ অ্যান্ড স্টাডিজের বিহেভিয়ারাল অ্যান্ড সোশাল সায়েন্সেস-এর সোশাল অ্যান্ড পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Dr Sriparna Pathak is Professor of China Studies and the founding Director of the Centre for Northeast Asian Studies at O.P. Jindal Global University (JGU), ...
Read More +
Upamanyu Basu is an Assistant Professor of Politics and International Relations at the Manav Rachna International Institute of Research and Studies. He is currently pursuing ...
Read More +