-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
এ কথা ব্যাপকভাবে স্বীকৃত যে চিন ও ইরান স্থায়ী ও ফলপ্রসূ সামরিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে, এবং চিন উল্লেখযোগ্যভাবে অস্ত্র প্ল্যাটফর্ম এবং গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও দ্বৈত-ব্যবহার প্রযুক্তি ইসলামি প্রজাতন্ত্রে পাঠাচ্ছে। তবে, তাদের দ্বিপাক্ষিক সামরিক সম্পর্ক সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। এই নিবন্ধটি গত পাঁচ দশকে অস্ত্র বিক্রির ইতিহাস পরীক্ষা করে, ভবিষ্যতের প্রবণতা নির্দেশক বিস্তৃত নিদর্শনগুলি চিহ্নিত করে, এবং ইরানের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে চিনের প্রধান ভূমিকার প্রাথমিক ধারণা কতটা সঠিক বা বিশ্বাসযোগ্য তার মূল্যায়ন করে।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ইতিহাস
চিন ও ইরান হল এশিয়ার দুটি সভ্যতা যাদের বাণিজ্যিক, কূটনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে (গারভার, ২০০৬, পৃষ্ঠা ৩-৭)। এ সত্ত্বেও, তারা ঠান্ডা যুদ্ধের সময় বিপরীত দিকে অবস্থান নিয়েছিল: চিন তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে ছিল, আর শাহ রেজা পহলভি মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমী ব্লকের সঙ্গে থেকে গিয়েছিলেন। যাই হোক, ১৯৭৯ সালে শাহের অপসারণের পর থেকে উভয় দেশই একটি সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বজায় রেখেছে — যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে প্রথমে আগেকার সোভিয়েত ইউনিয়নকে মোকাবিলা করার জন্য, এবং তারপর ১৯৯১ সাল থেকে মার্কিন আধিপত্য মোকাবিলায় (ফ্যান, ২০১১, পৃষ্ঠা ৪৮-৫০; শি, ২০১৬)।
তারা শক্তি বাণিজ্যে জড়িত এবং অর্থনৈতিক ও সামরিক পরিসরগুলি অন্বেষণ করেছে। শক্তি তাদের সম্পর্কের একটি প্রধান উপাদান হয়ে ওঠে, বিশেষ করে ১৯৯৩ সাল থেকে, যখন চিন অপরিশোধিত তেলের নেট আমদানিকারক হয়ে ওঠে। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৩ সালে, আমেরিকা সংক্রান্ত উদ্বেগ শান্ত করার জন্য চিন পরোক্ষভাবে ৯০% ইরানি তেল কিনেছিল (হানাফুসা ও অন্যান্য, ২০২৪)। এই পুরো সময় জুড়ে তারা ধারাবাহিকভাবে একে অপরের ক্ষমতা ও অবস্থানকে স্বীকার করেছে, এবং তাদের পরিপূরক অর্থনৈতিক শক্তি থেকে উদ্ভূত পারস্পরিক সুবিধার স্বীকৃতি দিয়েছে (গারভার, ২০০৬, পৃষ্ঠা ৩-৭)। সিল্ক রোড চিন ও ইরান উভয়ের জন্যই গর্বের উৎস এবং তাদের প্রাচীন সমৃদ্ধিকে চিত্রিত করে, যদিও তাদের সহযোগিতা প্রাথমিকভাবে সংহতির উচ্চ ধারণার পরিবর্তে যৌথ জাতীয় স্বার্থ দ্বারা অনুপ্রাণিত। চিনের অস্ত্র বিক্রি তাদের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বকে শক্তিশালী করার আরেকটি পরিমাপ।
শাহের আমলে অস্ত্র হস্তান্তর
শাহের শাসনকালে, ইরান চিনা অস্ত্র ব্যবসায় বিশেষভাবে স্থান পায়নি। ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত ইরানি সশস্ত্র বাহিনী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমী সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্সের জন্য পছন্দের বাজার ছিল। ইরানের শাহ ছিলেন একজন দক্ষ পাইলট, এবং ইরানকে একটি প্রধান অ-পরমাণু সশস্ত্র বাহিনী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার আকাঙ্ক্ষাসহ সর্বশেষ প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ও অস্ত্র প্ল্যাটফর্ম সংগ্রহে, বিশেষ করে তার বিমানবাহিনীর জন্য, তাঁর বিশেষ আগ্রহ ছিল (পেস, ১৯৭৭)।
১৯৭৩ সালের তেল সংকটের পর ইরান পেট্রোডলারে ভরে যায়, যা শাহকে তাঁর সশস্ত্র বাহিনীর জন্য সামরিক পণ্যে বিনিয়োগ করার জন্য যথেষ্ট তহবিল সরবরাহ করে। ফলস্বরূপ, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের থেকে অত্যাধুনিক রেডার, আর্টিলারি, অ্যাওয়াকস প্লেন, নেভাল ক্রাফট, মার্কিন এম-৬০ ও ব্রিটিশ চিফটেন ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া কর্মিবাহক, এরিয়াল ট্যাঙ্কার এবং এফ-৪ ও এফ-৫ ফাইটার সংগ্রহ করেন (দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস, ১৯৭৭)। পেট্রোডলার ছাড়াও, শাহের পশ্চিম থেকে ক্রয় চালিয়ে যাওয়ার আরও কারণ ছিল।
১৯৭৩ সালের তেল সংকটের পর ইরান পেট্রোডলারে ভরে যায়, যা শাহকে তাঁর সশস্ত্র বাহিনীর জন্য সামরিক পণ্যে বিনিয়োগ করার জন্য যথেষ্ট তহবিল সরবরাহ করে।
১৯৭৩ সালে আরব-ইজরায়েল যুদ্ধ সেই সময়কার প্রযুক্তি ও সামরিক মতবাদের গুরুত্ব তুলে ধরেছিল। ইরাকের সঙ্গে শাহের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতা ছিল আরেকটি কারণ, এবং তিনি প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে ইরাকের উল্লেখযোগ্য অস্ত্র সংগ্রহের মোকাবিলা করতে অস্ত্র ক্রয় করেছিলেন (বার্গকুইস্ট, ১৯৮৮, পৃ. ২৪)। তার উপর, হরমুজ প্রণালীর মধ্য দিয়ে তেলের বাণিজ্য তার অর্থনীতির জন্য অত্যাবশ্যক ছিল, যার ফলে এর ব্যাঘাত রোধ করা অপরিহার্য ছিল (ম্যাকগ্লিনশ্যে, ২০১৩; পেস, ১৯৭৭)। উপরন্তু, ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ এবং পরবর্তীকালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা শাহকে অস্থির করে দিয়েছিল, যিনি এটিকে রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি সদস্য রাষ্ট্রে একটি সংগঠিত সশস্ত্র হস্তক্ষেপ হিসাবে দেখেছিলেন (মালিক, ২০২৪)। ফলস্বরূপ, তিনি নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছিলেন যে ইরান ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা রোধ করতে যথেষ্ট শক্তিশালী থাকবে।
প্রত্যাশিত হিসাবে, ১৯৭৮-১৯৭৯ সাল নাগাদ, ইরানের সশস্ত্র বাহিনী চিনের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে আরও উন্নত ও অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র ও সামরিক প্ল্যাটফর্মে সজ্জিত ছিল, এবং তার কাছে প্রাক্তন সোভিয়েত রিভার্স-ইঞ্জিনিয়ারড মেটেরিয়ালের সঞ্চিত ভান্ডার ছিল। ইরানি আমদানির তুলনায় চিনা সামরিক রপ্তানি তুলনামূলকভাবে ছিল কম মানের এবং সাধারণ (ওয়াং, ২০১১)। তাই, এই সময়ের মধ্যে ইরান চিনের কাছ থেকে কোনও অস্ত্র বা সামরিক প্ল্যাটফর্ম অর্জনে কোনও আগ্রহ দেখায়নি, যেমনটি সারণি ১ এবং চিত্র ১-এ নির্দেশিত হয়েছে।
সারণি ১: চিনের অস্ত্র রপ্তানি ১৯৮১-২০২৩: বিশ্ব বনাম ইরান (মিলিয়ন মার্কিন ডলার)
সূত্র: সিপরি, ইউএসআইপি ইরান প্রাইমার
শাহের পর ইরানে চিনের অস্ত্র হস্তান্তর
শাহের পর ইরানে চিনের অস্ত্র হস্তান্তরের সাড়ে তিন দশকের ইতিহাসে দুটি প্রধান বৈশিষ্ট্য স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। প্রথমত, চিন ১৯৮০-১৯৯৮ সালের মধ্যে পূর্ণ মূল্যে ইরানকে এমন অস্ত্র বিক্রি করতে আগ্রহী ছিল যেগুলি হয় সোভিয়েতে তৈরি, না হলে রিভার্স-ইঞ্জিনিয়ারড বা নিম্ন প্রযুক্তির ছিল। তবে চিন ক্রুজ মিসাইল, আর্টিলারি, সাঁজোয়া যান, নৌযান ও মাল্টি-লঞ্চার রকেট (গারভার, ২০০৬, পৃষ্ঠা ১৮৭) ও গুরুত্বপূর্ণ সামরিক প্ল্যাটফর্মগুলির জন্য স্থানীয় উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনে ইরানকে সহায়তা করেছিল। উপরন্তু, ইরান প্রাথমিক পর্যায়ে বেজিং থেকে তার পারমাণবিক, জৈবিক ও রাসায়নিক অস্ত্র কর্মসূচিতে উল্লেখযোগ্য সহায়তা পেয়েছিল (গারভার, ২০০৬, পৃষ্ঠা ১৪৬-১৪৭)।
যদিও এই সমর্থন আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে হ্রাস পেয়েছে, এটি অনস্বীকার্য যে ১৯৮০-১৯৯৮-এর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য সময়কালের জন্য চিন ছিল ইরানের গণবিধ্বংসী কর্মসূচির অস্ত্রের একটি প্রধান শিল্প উৎস। চোরাচালানের মাধ্যমে ইরানের মার্কিন-নির্মিত অস্ত্রের অবৈধ খুচরা যন্ত্রাংশ সরবরাহেও চিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তবে চিন দেশীয় উচ্চ প্রযুক্তির সামরিক পণ্য, যেমন উন্নত ড্রোন বা উন্নত ফাইটার এয়ারক্র্যাফ্ট, নিয়ে সহযোগিতা করতে বা বিক্রিতে অনীহা দেখিয়েছিল।
রাষ্ট্রগুলির মধ্যে অস্ত্র ব্যবসা অস্ত্রের গুণমান ও নির্ভরযোগ্যতার উপর যথেষ্ট পরিমাণে আস্থার পাশাপাশি অস্ত্রের চালু থাকার সময় জুড়ে পর্যাপ্ত প্রযুক্তিগত ও পরিষেবা সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রেও আস্থার ইঙ্গিত দেয়। চিনের প্রধান গ্রাহকেরা, যেমন পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও মায়ানমার, এই বৈশিষ্ট্যগুলির উদাহরণ দেয়। তবে, ইরান একই স্তরের উৎসাহ প্রদর্শন করেনি। ইরান ১৯৭৯ সাল থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ব্যাপক আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হচ্ছে, যা ইরানের শক্তি সম্পদ বিক্রি এবং অস্ত্র সংগ্রহের ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করেছে, এবং এইভাবে এর অর্থনীতি ও আঞ্চলিক প্রভাবকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। সুতরাং, চিন সরবরাহকারী হিসাবে ইরানের কাছে সাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ উভয় কৌশলগত অস্ত্রের জন্য শেষ অবলম্বন হতে পারে।
যাই হোক, বাস্তব পরিস্থিতি কিন্তু অনুমিত দৃশ্য থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে পৃথক। চিন ২০০৫ সালে ইরানের সঙ্গে নতুন করে অস্ত্র রপ্তানি চুক্তি করা বন্ধ করে দেয়, যদিও এটি ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিদ্যমান চুক্তি অনুযায়ী সরবরাহগুলি পূরণ করে। ২০০৭ সালে ইরানের উপর ইউএনএসসি নিষেধাজ্ঞা আরোপ (একটি ইতিবাচক চিনা ভোটের সঙ্গে) চিনের একটি উল্লেখযোগ্য ও বাধ্যতামূলক দায়বদ্ধতার উপর জোর দেয়। এটি ২০০৫ সালে ইরানের সঙ্গে নতুন করে অস্ত্র চুক্তি স্বাক্ষর করা বন্ধ করে দেয়, এবং ২০২০ সালের অক্টোবরে (ইয়াং, ২০২০) রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও আবার অস্ত্র বিক্রি শুরু করেনি। প্রকৃতপক্ষে, ২০১৫ সাল থেকে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের কাছে চিনা অস্ত্র বিক্রির কোনও বিশ্বাসযোগ্য রেকর্ড নেই।
উপসংহার
গত দুই দশকে চিন ইরানের প্রচলিত অস্ত্রের তালিকায় উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাব ফেলেনি। তেহরান প্রধানত বিমান ও প্রতিরক্ষা খাতে একটি ছোটখাটো উৎপাদন ভূমিকা বজায় রেখেছে স্থানীয় বা রাশিয়ান বিকল্পগুলিকে আশ্রয় করে, এবং উন্নত প্রযুক্তি-ভিত্তিক অস্ত্রের রিভার্স-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। তার উপর, ইরান তার ড্রোন উৎপাদন খাতে চিনের কাছ থেকে সহায়তা চায়নি, যে ক্ষেত্রটিতে তেহরান নিজেকে একটি উল্লেখযোগ্য উৎপাদনকারী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। অবশেষে, যদিও চিন ইরানের সামরিক অগ্রগতি এবং ক্রয়ের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে, ইরানের প্রাথমিক শক্তি হল তার নিজস্ব অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ক্ষমতা। ইজরায়েলের উপর ইরানের সাম্প্রতিক হামলা থেকে উদ্ভূত সাধারণ বিশ্বাস সত্ত্বেও, ইরানের আঞ্চলিক নিবৃত্তিমূলক ব্যবস্থা বা অ্যান্টি-অ্যাক্সেস/এরিয়া-ডিনায়াল ক্ষমতার ক্ষেত্রে চিনের পথ অনুসরণ করতে পারে, কিন্তু বেজিংয়ের উপর নির্ভরশীলও নয় এবং চিন থেকে সরবরাহকৃতও নয়।
চিন তার পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতা এড়ানোর দিকে লক্ষ্য রেখেছে, এবং ইরানের পারমাণবিক, জৈবিক ও রাসায়নিক অস্ত্র ক্ষেত্রে গভীরভাবে জড়িত হওয়া থেকে বিরত রয়েছে। ২০০৭ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের রেজোলিউশন ১৭৪৭-এ বেজিংয়ের সম্মতি ইরানের সঙ্গে প্রকাশ্য অস্ত্র বাণিজ্য বন্ধের দিকে পরিচালিত করে। ২০২০ সালের অক্টোবরে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও ইসলামি প্রজাতান্ত্রিক ইরানে চিনা অস্ত্র সরবরাহের পুনরুত্থানের কোনও বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এই নিবন্ধটি ‘চায়না’জ আর্মস ট্রান্সফার টু ইরান: মোর নয়েজ, লেস সাবস্ট্যান্স’ থেকে নেওয়া হয়েছে। এটি ‘কনটেমপোরারি রিভিউ অফ দ্য মিডল ইস্ট জার্নাল’-এ প্রকাশিত হয়েছিল, এবং সম্পূর্ণ নিবন্ধটি এই ওয়েবলিঙ্ক-এ পাওয়া যাবে।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Atul Kumar is a Fellow in Strategic Studies Programme at ORF. His research focuses on national security issues in Asia, China's expeditionary military capabilities, military ...
Read More +