৯ মার্চ ২০২৪-এ মেজর জেনারেল ঝাং বাওকুনের নেতৃত্বে একটি চিনা সামরিক প্রতিনিধি দল নেপাল সফর করেন। তাঁরা নেপালের সামরিক প্রতিষ্ঠানগুলি পরিদর্শন করেন এবং নেপালের সেনাপ্রধান প্রভু রাম শর্মার সঙ্গে বিভিন্ন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেন। সামরিক প্রতিনিধি দল এসেছিল চিনা কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বিভাগের উপ-প্রধান সান হাইয়ানের নেতৃত্বে একটি রাজনৈতিক প্রতিনিধিদলের সফরের পরেপরেই, যেটি ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে কাঠমান্ডুতে পৌঁছেছিল। চিন ও নেপালের মধ্যে বিদ্যমান রাজনৈতিক ও সামরিক সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে পরপর সফরগুলি একটি জটিল দৃশ্য উপস্থাপন করে।
সামরিক প্রতিনিধি দল এসেছিল চিনা কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বিভাগের উপ-প্রধান সান হাইয়ানের নেতৃত্বে একটি রাজনৈতিক প্রতিনিধিদলের সফরের পরেপরেই, যেটি ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে কাঠমান্ডুতে পৌঁছেছিল।
এই সফর এবং কাঠমান্ডুতে চিনা নেতাদের প্রকাশ্য বিবৃতি চিন-নেপাল সম্পর্ককে টেকসই বলে তুলে ধরার চেষ্টা করছে। কিন্তু তলে তলে, নেপালের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের উন্নতি, চিনের অস্বস্তি বাড়িয়েছে। ঘটনাটি নেপালের রাজনৈতিক ও সামরিক অভিজাতদের আকৃষ্ট করার জন্য তাদের প্রচেষ্টা জোরদার করতে চিনা নেতাদের উদ্বুদ্ধ করেছে। এই প্রবন্ধটি সামরিক মাত্রার উপর আলোকপাত করে এবং নেপালে চিনের দুর্দশা এবং ভারতের সম্ভাবনার মূল্যায়ন করার সময় এই প্রতিনিধি দলের প্রস্তাবগুলি খতিয়ে দেখে।
নেপাল-চিন সামরিক সম্পর্ক
সাম্প্রতিক দশকগুলিতে উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক যোগাযোগ হওয়া সত্ত্বেও নেপালের সঙ্গে চিনের সামরিক সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে তার অন্য দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশীদের তুলনায় সবচেয়ে দুর্বল। এই অনুন্নয়ন কাঠামোগত কারণগুলির জন্য অব্যাহত থাকে, আর এতে সামরিক দিকটি একটি মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
প্রাথমিক দশকগুলিতে চিন ও নেপালের মধ্যে সামরিক সংযোগ ছিল ন্যূনতম। নেপালের সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ হিসাবে নেপালের রাজা চিনাদের উত্থাপিত বেশিরভাগ সামরিক সমস্যাগুলির সমাধান করে দিয়েছিলেন। যাই হোক, ২০০৮ সালে নেপালের একটি প্রজাতন্ত্রে রূপান্তর এবং বেজিং অলিম্পিকের পূর্বে চিনবিরোধী বিক্ষোভ, চিনকে নেপালের সাথে তার রাজনৈতিক ও সামরিক সম্পৃক্ততাকে বৈচিত্র্যময় ও শক্তিশালী করতে প্ররোচিত করে। তা সত্ত্বেও, এই সহযোগিতা প্রাথমিকভাবে রাষ্ট্রপুঞ্জে শান্তিরক্ষা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য নেপালের সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছিল, যা অনুদান, প্রশিক্ষণ, পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং যৌথ মহড়ার মাধ্যমে সহজতর হয়েছিল।
চিন ২০২২-২৩-এ সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছিল এবং ২০২৩ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত সমস্ত সামরিক কর্মকাণ্ড স্থগিত করেছিল, যা উপাদান ও কর্মী বিনিময়কে বাধা দিয়েছিল।
এই প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ভারতের সঙ্গে নেপালের স্থায়ী বিশেষ সামরিক সম্পর্কের কারণে তাদের দ্বিপাক্ষিক সামরিক মিথস্ক্রিয়ায় একটি দীর্ঘস্থায়ী দ্বিধা রয়ে গেছে। ঘন ঘন যৌথ সামরিক মহড়া, বস্তুগত সহায়তা এবং গোর্খা ও অভিজ্ঞ সেনাদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি দ্বারা চিহ্নিত এই সম্পর্কগুলি যথেষ্ট মজবুত। তারা নেপালের সঙ্গে সমানভাবে প্রভাবশালী সামরিক অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠায় চিনের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
তার উপর কোভিড-১৯ অতিমারি চিন-নেপালের সামরিক সম্পর্ককে আরও কঠিন করে। চিন ২০২২-২৩-এ সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছিল এবং ২০২৩ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত সমস্ত সামরিক কর্মকাণ্ড স্থগিত করেছিল, যা উপাদান ও কর্মী বিনিময়কে বাধা দিয়েছিল। ফলস্বরূপ, এই অনানুষ্ঠানিক অবরোধটি পারস্পরিক বিশ্বাসকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করে, এবং বৃহত্তর ভূ-রাজনৈতিক গতিশীলতার মধ্যে সামরিক সম্পর্কের ভঙ্গুরতাকে তুলে ধরে।
কোভিড-পরবর্তী সামরিক সহযোগিতা
২০২৩ সালে কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ শিথিল করার পরে, পিএলএ-র তিব্বত সামরিক কমান্ডের মেজর জেনারেল ইউ আন্দের নেতৃত্বে একটি চিনা সামরিক প্রতিনিধিদল ১৬ আগস্ট ২০২৩-এ নেপাল সফর করে। এই সফরের সময় সগরমাথা যৌথ সামরিক অনুশীলন সিরিজ পুনরুজ্জীবিত করার জন্য চুক্তি হয়েছিল, এবং চিনা সামরিক প্রশিক্ষণ একাডেমিতে নেপাল সেনাবাহিনী (এনএ) অফিসারদের জন্য একাধিক আসন রাখার প্রস্তাব করা হয়েছিল। চায়না’স কলেজ অফ ডিফেন্স স্টাডিজ (সিডিএস)-এর বার্ষিক প্রতিরক্ষা ও কৌশলগত অধ্যয়ন কোর্সেও চিন চারটি আসনের প্রস্তাব করেছে। এই সফর দ্বিপাক্ষিক সামরিক বাহিনীর মিথস্ক্রিয়ায় একটি সম্ভাব্য পুনরুত্থানের ইঙ্গিত দেয়।
ঝাং বাওকুন প্রতিনিধিদল সাত মাসের মধ্যে নেপাল সফরকারী দ্বিতীয় সত্তা। এর লক্ষ্য ছিল একটি সাঁজোয়া কর্মী বাহক (এপিসি) সংগ্রহের চুক্তির অগ্রগতি, একটি গোলাবারুদ কারখানা স্থাপনের প্রস্তাব, সগরমাথা যৌথ সামরিক মহড়া পুনরায় শুরু করা, চিনা সামরিক প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণের জন্য আরও এনএ অফিসারদের আমন্ত্রণ জানানো এবং সামগ্রিক সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সামরিক সহযোগিতা জোরদার করা।
কাঠামোগত বিষয়: ছদ্মরূপ
প্রথম নজরে ঝাং-এর প্রস্তাবগুলি নিরীহ বলে মনে হচ্ছে, যেন এগুলি চিন ও নেপালের মধ্যে সামরিক বন্ধুত্ব পুনরুজ্জীবিত করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। যাই হোক, এতে নেপালে চিনা সামরিক প্রভাব বাড়ানোর বিষয়টি জড়িত, সম্ভাব্যভাবে ভারতের মূল্যে।
উদাহরণস্বরূপ, ২৬টি এপিসি কেনার প্রক্রিয়া গত কয়েকটি নেপাল প্রশাসনের সময় থেকে বহাল রয়েছে। এনএ অবশেষে একটি মার্কিন কালো তালিকাভুক্ত চিনা প্রস্তুতকারক নরিনকোর কাছ থেকে তা কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবং সস্তা ভারতীয় বিড প্রত্যাখ্যান করেছে। ২০২৩ সালে দুর্নীতি ও মূল্যস্ফীতির অভিযোগ উঠেছিল, যার ফলে নেপালের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী চুক্তিটি বন্ধ করে দেন। তা সত্ত্বেও প্রস্তুতকারকের সঙ্গে তার ঐতিহাসিক সম্পর্কের ভিত্তিতে এনএ সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে। তাই চিনা প্রতিনিধিদলগুলি নেপালের প্রশাসনকে এটাকে তাড়াতাড়ি শেষ করতে এবং অন্য কোনও প্রতিযোগীকে বাদ দিতে রাজি করাতে কঠোর লবিং করছে।
দুর্নীতি ও মূল্যস্ফীতির অভিযোগ উঠেছিল, যার ফলে নেপালের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী চুক্তিটি বন্ধ করে দেন। তা সত্ত্বেও প্রস্তুতকারকের সঙ্গে তার ঐতিহাসিক সম্পর্কের ভিত্তিতে এনএ সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে।
একইভাবে, ২০২২ পর্যন্ত, নেপাল তার দক্ষিণের প্রতিবেশীর বদলে গোলাবারুদ সরবরাহকারী হিসাবে চিনা নির্মাতাদের পছন্দ করেছিল। তবে চিনা গোলাবারুদের গুণমান কম। ফলস্বরূপ, ২০২২ সালে, নেপাল একটি ভারতীয় কোম্পানি এসএসএস ডিফেন্স থেকে গোলাবারুদ সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ভারতীয় কোম্পানি একটি উন্মুক্ত বিডিংয়ে চিনা নির্মাতাদের পরাজিত করেছে। প্রত্যাশিত হিসাবে, ঝাং-এর প্রতিনিধি দল এনএ-র জন্য একটি গোলাবারুদ কারখানা স্থাপনের প্রস্তাব করেছে, যার লক্ষ্য হল এনএ-র গোলাবারুদ ইনভেন্টরিতে ভারতীয় পুনঃপ্রবেশকে ক্ষুণ্ণ করা।
একইভাবে, কেপি শর্মা ওলি সরকারের উৎসাহী সমর্থনে ২০১৭ ও ২০১৮ সালে দুবার অনুষ্ঠিত হওয়ার পরে সগরমাথা যৌথ সামরিক অনুশীলন ২০১৯ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে। ওলির প্রশাসনের লক্ষ্য ছিল চিনের সঙ্গে তার কমিউনিস্ট চরিত্র শক্তিশালী করা এবং এনএ-তে ভারতের প্রভাব হ্রাস করা। যাই হোক, ওলির প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, পরিবর্তনশীল আঞ্চলিক রাজনীতি এবং সামরিক গতিশীলতা তাঁর উদ্দেশ্যগুলিকে ব্যর্থ করে দেয়, যার ফলে চিনের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া স্থগিত হয়। আগস্ট ২০২৩ সাল থেকে চিন কোনও সফলতা ছাড়াই যৌথ মহড়াটিকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছে।
কলেজ অফ ডিফেন্স স্টাডিজে সামরিক প্রশিক্ষণ
চিনের পিএলএ প্রায় ৬৭টি সামরিক অ্যাকাডেমি পরিচালনা করে, যার প্রায় অর্ধেক বিদেশী সামরিক কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করে।[১] কলেজ অফ ডিফেন্স স্টাডিজ (সিডিএস) পিএলএ-র জাতীয় প্রতিরক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনডিইউ) অংশ, এবং স্নাতক-স্তরের আন্তর্জাতিক সামরিক শিক্ষার প্রাথমিক প্রতিষ্ঠান। সংক্ষিপ্ত এবং বর্ধিত কোর্স-সহ সিডিএস-এর লক্ষ্য হল আধিকারিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং বৈশ্বিক দক্ষিণের প্রশিক্ষণ-প্রার্থীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা। কর্নেল ও ব্রিগেডিয়ারদের জন্য এর বছরব্যাপী প্রতিরক্ষা ও কৌশলগত অধ্যয়ন কোর্স বিদেশী অফিসারদের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করে, এবং অংশগ্রহণকারী দেশগুলির সামরিক অভিজাতদের আকৃতি প্রদান করে।
বিদেশী সামরিক স্নাতকদের পিএলএ এনডিইউ-তে সমকক্ষদের থেকে আলাদা করে উত্তর বেজিংয়ের একটি স্যাটেলাইট ক্যাম্পাসে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই ব্যবস্থা তাদের পিএলএ অফিসারদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং সম্পর্ক তৈরির সুযোগকে সীমিত করে। সিডিএস-এর প্রশিক্ষকরা আলোচনার সুযোগ কমিয়ে দেন এবং অফিসিয়াল পার্টি লাইন কঠোরভাবে মেনে চলেন। নেপালের অফিসারসহ বিদেশী অফিসার ও চিনা প্রশিক্ষণ-প্রার্থীদের মধ্যে এই বিচ্ছিন্নতা দীর্ঘায়িত ভাষা বাধার সঙ্গে যুক্ত হয়, এবং এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির একটি উল্লেখযোগ্য দুর্বলতা হয়ে দাঁড়ায়।
সামরিক ক্ষেত্রে ভারত চিনের থেকে দীর্ঘকাল ধরে এগিয়ে রয়েছে, যা হ্রাস করতে চিন প্রাণপণ চেষ্টা করছে।
বিপরীতে, নেপালি অফিসাররা ভারতীয় অফিসার প্রশিক্ষণার্থীদের পাশাপাশি ভারতীয় অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। এই ভাগ করা অভিজ্ঞতা সামরিক ভাষা, সংস্কৃতি, শিক্ষার মাধ্যম এবং অন্যান্য বিভিন্ন দিককে অন্তর্ভুক্ত করে, তাদের প্রশিক্ষণকে সমৃদ্ধ করে, এবং ভারতীয় ব্যবস্থার মধ্যে গভীর সংযোগ গড়ে তোলে। ফলস্বরূপ, সামরিক ক্ষেত্রে ভারত চিনের থেকে দীর্ঘকাল ধরে এগিয়ে রয়েছে, যা হ্রাস করতে চিন প্রাণপণ চেষ্টা করছে।
উপসংহার
চিনা সামরিক প্রতিনিধি দল এবং তাদের প্রস্তাব তিনটি লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি নিরন্তর প্রচেষ্টাকে নির্দেশ করে। চিন তার সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্স এবং নেপালি সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্য রাখে। এটি একটি বিস্তৃত সামরিক উপাদান সরবরাহ সম্পর্ককে উৎসাহিত করে, যা নেপালকে একটি বর্ধিত সময়ের জন্য চিনের সঙ্গে আবদ্ধ করবে, বিশেষ করে খুচরো যন্ত্রাংশ এবং পরিষেবা সহায়তা কার্যাবলির জন্য।
তদুপরি, চিন মনে করে যে ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলির সামরিক সক্ষমতা জোরদার করার জন্য তার মনোযোগী প্রচেষ্টা তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে সহজতর করবে। চিনে প্রশিক্ষিত সামরিক অভিজাতদের সঙ্গে উন্নত সক্ষমতা মিলিতভাবে ভারতের সঙ্গে সংলাপে জড়িত হওয়ার ক্ষেত্রে এই রাষ্ট্রগুলির আস্থা বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে। উপরন্তু, ভারতের মনোযোগ সরানো এবং এর সামর্থ্যকে ক্ষুণ্ণ করার জন্য তারা বিরোধ উস্কে দেওয়ার প্রশ্নে নমনীয় হতে পারে।
চিনে প্রশিক্ষিত সামরিক অভিজাতদের সঙ্গে উন্নত সক্ষমতা মিলিতভাবে ভারতের সঙ্গে সংলাপে জড়িত হওয়ার ক্ষেত্রে এই রাষ্ট্রগুলির আস্থা বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অবশেষে, পিএলএ চিনের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা এবং তার কূটনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্যও তৎপর রয়েছে। একটি উন্নত সামরিক সম্পর্ক নেপালে চিনের অন্যান্য অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উদ্যোগকেও সহায়তা করবে। এর মধ্যে রয়েছে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের মন্থর অগ্রগতির মোকাবিলা করা।
এই চিনা উদ্দেশ্যগুলিকে প্রতিহত করতে ভারতকে অবশ্যই নেপালে তার প্রয়াস বাড়াতে হবে, বিশেষ করে নেপালের সশস্ত্র বাহিনীর ব্যাপারে। ঐতিহ্যগত শক্তিকে কাজে লাগানো এবং বকেয়া সমস্যার সমাধান করা ভারতকে কার্যকরভাবে চিনা হস্তক্ষেপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
অতুল কুমার অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ইউনিভার্সিটি অফ সিডনির চায়না স্টাডিজ সেন্টারের একজন অ্যাসোসিয়েট মেম্বার।
[১] ডেভিড এল শামবফ, চায়না গোজ গ্লোবাল: দ্য পারশিয়াল পাওয়ার, (অক্সফোর্ড: অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, ২০১৩), ২৫৬।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.