Published on Jul 29, 2023 Updated 0 Hours ago

চিনে কোভিড-১৯ সংক্রমণের পুনরুত্থানের সঙ্গে সঙ্গে চিনের কর্তৃত্ববাদী প্রশাসন অতিমারির বিরুদ্ধে তার সংগ্রামকে বিপন্ন করে তুলছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে

চিন, ভারত, কোভিড-১৯: গণতন্ত্রের সশক্তিকরণে অতিমারির ভূমিকা

বিগত সপ্তাহগুলিতে চিনে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ফের মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে অবশিষ্ট বিশ্ব পুনরায় বিশ্বব্যাপী সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া  রুখতে সতর্কতা অবলম্বন করতে শুরু করেছে। অধিকাংশ দেশই  ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সমর্থ হয়েছে। কিন্তু তার নানা জবরদস্তিমূলক পদক্ষেপ সত্ত্বেও কোভিড-১৯-এর সঙ্গে চিনের অবিরাম লড়াই এ প্রশ্ন তুলতে বাধ্য করে যে, চিনের কর্তৃত্ববাদী প্রশাসন অতিমারির বিরুদ্ধে তার সংগ্রামকে বিপন্ন করে তুলছে না তো?

এ কথা সর্বজনবিদিত যে, উন্নয়নের সকল সূচকের নিরিখে চিন ভারতের থেকে কয়েক যোজন এগিয়ে রয়েছে। উভয় দেশই ১৯৭০-এর দশক পর্যন্ত, এমনকি কোনও কোনও ক্ষেত্রে ১৯৮০-র দশকের প্রথম দিকেও, উন্নয়নের নিরিখে খুব কাছাকাছি ছিল। কিন্তু পরবর্তী তিন দশকে বিশ্বব্যাপী ‘বিস্ময়কর’ বলে স্বীকৃত চিনের অগ্রগতি এতটাই দ্রুত ছিল যে, তা ভারতকে বহু পিছনে ফেলে দেয়। এ কথা অর্থনৈতিক ও মানবিক উন্নয়ন সূচক উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সূচক দর্শিয়েছে যে, ১০০০০ জন মানুষ প্রতি চিকিৎসকের সংখ্যা চিনে ১৪ ও ভারতে ৬ এবং ১০০০০ জন মানুষ প্রতি চিনে হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা ৩০ হলে, ভারতে তা মাত্র ৫। তা সত্ত্বেও একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা হিসেবে ভারত বহুলাংশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের প্রবাহকে রোধ করতে সফল হয়েছে।

চিনের কর্তৃত্ববাদী মডেল এবং স্বচ্ছতার অভাব

উন্নয়নের নিরিখে ব্যাপক অগ্রগতি সত্ত্বেও চিন তার ‘শূন্য কোভিড’ নীতি নিয়ে গভীর সমস্যায় পড়েছে, যখন ভারত-সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে, সর্বক্ষেত্রে না হলেও, বহুলাংশে কোভিড বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরে অবস্থা স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। প্রথমত, কোভিড-১৯ সংক্রমণ এবং মৃত্যুর তথ্যের অবাধ প্রবাহ সম্পর্কে চিনের কর্তৃত্ববাদী ব্যবস্থার ঢিলেমি । কোভিড-১৯ সংক্রমণের ব্যাপক প্রবাহের সম্মুখীন প্রথম দেশ হওয়া সত্ত্বেও চিন ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সংক্রমিত মানুষের মোট সংখ্যা দর্শিয়েছে ১.৮৬ মিলিয়ন, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই কম। চিনে মিলিয়ন প্রতি সংক্রমণ সংখ্যা দাঁড়ায় ১,৩০৭.৭৭-এ, যেখানে ভারতে একই সময়ে মিলিয়ন মানুষ প্রতি সংক্রমণের এই সংখ্যা ছিল ৩১,৫২৪.৭৬। চিনে ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোভিড-১৯ সংক্রমণের ফলে ঘটা মোট মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৫২৩৫ যেখানে ভারতে এই সংখ্যা ছিল ৫,৩০,৬৫৮। অর্থাৎ প্রতি মিলিয়নে নথিবদ্ধ মৃত্যুর সংখ্যা ভারতের ৩৭৪.৪৫-এর তুলনায় চিনে ৩.৬৭। চিন এবং ব্রিটেন অথবা চিন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তুলনা করলে এই বৈপরীত্য প্রকটতর হয়ে ওঠে।

অতিমারির প্রাথমিক পর্যায়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-চিন যৌথ মিশন (২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে) তার রিপোর্টে চিনের প্রশংসা করে এবং দেশব্যাপী কোভিড-১৯ সংক্রমণের প্রবাহ রোধ করার জন্য চিনা পদ্ধতিকে স্বীকৃতি দেয়। ২০২০-র শেষে চিন অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী ছিল এবং সে সমগ্র বিশ্বের কাছে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বহুলাংশে জয়ী হওয়ার কথা ঘোষণা করে ও একই সঙ্গে পশ্চিমী গণতন্ত্রের তুলনায় তার নিজস্ব রাজনৈতিক মডেলের শ্রেষ্ঠত্বের দাবি জানায়। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে, বর্তমানে ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে পড়েছে। সাফল্যের গল্প হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়েছে এবং চিন অতিমারির ব্যাপক পুনরুত্থানের এক ভয়াবহ বাস্তবতার সম্মুখীন হতে চলেছে। তবুও চিনের পক্ষে আর তার কুখ্যাত ‘শূন্য কোভিড’ নীতিতে ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। কারণ এটির বিরুদ্ধে হওয়া ব্যাপক পথ বিক্ষোভ ইতিমধ্যেই প্রেসিডেন্ট শি-র কর্তৃত্বকে খর্ব করেছে। যদিও শি ইইউ প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেলের সঙ্গে কথোপকথনের সময় এই বিক্ষোভগুলিকে তিন বছর দীর্ঘ অতিমারির ফলে ‘হতোদ্যম’ ছাত্রছাত্রীদের কাজ বলে উল্লেখ করে সমস্যার তীব্রতাকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন।

নীরবতা এবং জনসাধারণের সম্মতিকে সাফল্যের চিহ্ন রূপে ধরে নিয়ে এটি সময়ের আগেই গণতন্ত্রের উপর কর্তৃত্ববাদের বিজয় ঘোষণা করেছিল।

সায়েন্স  জার্নালের একটি গবেষণাপত্রে, ডব্লিউএইচও-চিন যৌথ কমিশনের রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে উদ্ভট কোভিড বিধিনিষেধ প্রয়োগের কৌশলটিকে তুলে ধরা হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে, কঠোর বিধিনিষেধ মেনে চলার জন্য নাগরিকদের বাধ্য করার চিনা উপায় অন্যান্য দেশে অকার্যকর। জর্জটাউন সেন্টার ফর গ্লোবাল হেলথ সায়েন্স অ্যান্ড সিকিউরিটির চিন বিশেষজ্ঞ আইনজীবী আলেকজান্দ্রা ফেলান বলেন, ‘এমনটা হওয়াও উচিত নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘কোনও পদক্ষেপ সফল হওয়া বা না হওয়া দর্শায় না যে, সেই সরকারি জনস্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিটি আদৌ ভাল। প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণকারী একাধিক উপাদানই বর্তমান, যা আমরা এক ন্যায্য ও মুক্ত সমাজের জন্য উপকারী বলে মনে করি না।’ চিন শুধুমাত্র কঠোর ‘শূন্য কোভিড’ নীতিই অনুসরণ করেনি, একই সঙ্গে এটিকে সফল প্রমাণ করার জন্য দেশটি যেকোনও মতামত বা তথ্য প্রকাশের উপর কড়া নিয়ন্ত্রণ জারি করেছে, যেগুলি রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম এবং সেন্সরকৃত সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সরকার প্রদত্ত তথ্যের বিপরীত। নীরবতা এবং জনসাধারণের সম্মতিকে সাফল্যের চিহ্ন রূপে ধরে নিয়ে এটি সময়ের আগেই গণতন্ত্রের উপর কর্তৃত্ববাদের বিজয় ঘোষণা করেছিল।

যদিও এতে আশ্চর্যের কিছু ছিল না। কর্তৃত্ববাদী ব্যবস্থা সর্বদা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার চেয়ে দ্রুত এবং আরও সুদক্ষ হয়। কারণ গণতন্ত্রে বহুস্তরীয় জবাবদিহিমূলক শাসন পদ্ধতি প্রাথমিকভাবে দুর্বল, সিদ্ধান্তহীন এবং উদ্বেগজনক জনসমালোচনার লক্ষ্যবস্তু হয়ে ওঠে। কিন্তু কর্তৃত্ববাদী সাফল্য সর্বদা স্বল্পমেয়াদি, দীর্ঘমেয়াদে গণতন্ত্রঅনুমিতভাবে অধিক সফল। এই অ্যারিস্টটলীয় প্রজ্ঞা আবার আমাদের অতিমারি সংক্রান্ত অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে সত্যি বলে প্রমাণিত হয়েছে। তা এ কথাই ব্যাখ্যা করে, কেন ভারত আজ চিনের তুলনায় ভাইরাসের নিয়ন্ত্রণে অনেকটাই ভাল অবস্থানে রয়েছে।

ভারতে গণতান্ত্রিক দায়বদ্ধতার কর্মপ্রণালী

অতিমারির প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে ভারত সরকার যে একাধিক সমস্যা ও প্রশাসনিক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছে, এ কথা অনস্বীকার্য। কিন্তু দায়বদ্ধতা পালন করার একাধিক প্রতিষ্ঠান, যেমন এর যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো, বিভিন্ন রাজ্যে ক্ষমতায় থাকা বিভিন্ন দল, সতর্ক গণমাধ্যম, স্বাধীন বিচারব্যবস্থা এবং নাগরিক সমাজ, কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয় স্তরেই ক্রমাগত পথ সংশোধন এবং অতিমারির সময়ে জনগণের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার প্রেক্ষিতে সরকারের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করেছে। ভারত রাষ্ট্র হিসেবে সাম্প্রতিক সময়ে কখনও কখনও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নিরিখে কঠোর কর্তৃত্বপূর্ণ মনোভাবের জন্য অভিযুক্ত হলেও অতিমারির মতো একটি অজানা এবং অতি ধ্বংসাত্মক শত্রুর মোকাবিলায় সরকার একেবারে প্রয়োজনীয় না হলে মৌলিক গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা লঙ্ঘন করা এড়িয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের  কাজ বলে মনে করেছিল। এর ফলে একটি সক্রিয় গণমাধ্যম— সংবাদপত্র, টেলিভিশন এবং ডিজিটাল ব্যবস্থা – প্রতিটি ভুল পদক্ষেপ, মানুষের পক্ষে বিপজ্জনক নীতি, নীতি বিভ্রান্তি এবং ফাঁকিবাজির অভ্যাসের নিরিখে কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারেরই সমালোচনা শুরু করে। নিঃসন্দেহে এটি সরকারের জন্য শিক্ষার পাশাপাশি অস্বস্তির আর এক বড় উৎস ছিল।

কেন্দ্র কর্তৃক ২০২০ সালের মার্চ মাসে দেশব্যাপী লকডাউনের আকস্মিক ঘোষণা এবং জনসাধারণের জন্য, বিশেষ করে বিপুল সংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য সৃষ্ট চরম দুর্দশা গণমাধ্যম দ্বারা কঠোর ভাবে সমালোচিত হয়েছিল এবং বিচারবিভাগীয় পর্যবেক্ষণের আওতায় এসেছিল। ২০২০ সালের মে মাস নাগাদ রাজ্যগুলির চাপের মুখে পড়ে কেন্দ্র কন্টেনমেন্ট জোন এবং অর্থনৈতিক কার্যকলাপ সংক্রান্ত ক্ষমতা রাজ্যগুলির হাতে তুলে দিতে শুরু করে। গণমাধ্যমের কিছু প্রতিবেদনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ব্যবহার করে কেন্দ্র দ্বারা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যকে এড়িয়ে যাওয়ার সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। বিশেষত বিপক্ষ দলগুলি দ্বারা পরিচালিত রাজ্যগুলির তরফে রাজ্যকে প্রদত্ত আর্থিক সহায়তা এবং জিএসটি ক্ষতিপূরণের অভাব  সম্পর্কিত সমালোচনার মুখে পড়ে কেন্দ্র ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে রাজ্যগুলিকে ১৭০০০ কোটি টাকার তহবিল স্থানান্তর করতে সম্মত হয়েছিল এবং আত্মনির্ভর কোভিড-১৯ ত্রাণ প্যাকেজের ঘোষণা করেছিল। রাজ্যগুলিতে তহবিল স্থানান্তরের বিষয়টি অতিমারির টালমাটাল সময় জুড়ে ফেডারেল বিতর্ককেই আরও উস্কে দেয়। এ ছাড়া দরিদ্রদের কাছে কেন্দ্র দ্বারা নগদ টাকা স্থানান্তরের বিষয়টি এবং অতিমারির সময়ে তীব্র জীবিকা সঙ্কটের সম্মুখীন সমাজের অরক্ষিত  সম্প্রদায়কে সাহায্য করার জন্য একাধিক রাজ্যকে নগদ টাকা প্রদানের প্রকল্প সূচনার বিষয়টি বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পুনরাবৃত্ত হয়েছে। এমনকি দ্বিতীয় তরঙ্গের মাঝামাঝি সময়ে সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করে রাজ্যগুলিকে বিনামূল্যে রেশন সরবরাহের জন্য পরিচয়পত্রের উপর জোর না দেওয়ার এবং আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য খাদ্য ও পরিবহণের ব্যবস্থা করার আদেশ দেয়।

এ ক্ষেত্রে ভারতের জন্য শিক্ষা হল, কোনও স্বল্পমেয়াদি সুবিধের জন্য গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গে আপস না করা।

অতিমারির দ্বিতীয় তরঙ্গ চলাকালীন অক্সিজেন সঙ্কট নিয়ে কেন্দ্রের ভুল ব্যবস্থাপনা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত সুবিধা ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থাগুলির নিরিখে একাধিক রাজ্যের প্রস্তুতিহীনতা বিরোধী দল, গণমাধ্যম, বিশেষজ্ঞ, বিচারবিভাগ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়-সহ সমস্ত মহলের তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট এবং একাধিক হাইকোর্ট অক্সিজেন সঙ্কট, হাসপাতালে শয্যার স্বল্পতা এবং অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ সম্পর্কিত মামলার আবেদন শুনেছে এবং সমস্যাগুলি প্রশমন করার জন্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে। কিছু রাজ্যে মৃতদেহ সৎকার সংক্রান্ত শ্মশানগুলির ভয়ঙ্কর অকার্যকারিতা টেলিভিশনের পর্দায় এবং সোশ্যাল মিডিয়া সাইটের মাধ্যমে জনসমক্ষে এসেছে এবং এর নেপথ্যে থেকেছে সতর্ক গণমাধ্যম ও নাগরিকদের কণ্ঠস্বর। টিকা লভ্য হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলির বণ্টন ও মূল্য নির্ধারণ নিয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলির মধ্যে অসন্তোষ দানা বাধে এবং এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রকে প্রধানত গণমাধ্যম ও জনসাধারণের দ্বারা সমর্থিত রাজ্যগুলির দাবি মেনে নিতে হয়।

গণতান্ত্রিক দায়বদ্ধতা স্বৈরাচারী জবরদস্তির চেয়ে সফলতর

একাধিক উদাহরণ দর্শায় যে, কীভাবে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার উভয়েই গণমাধ্যম এবং জনসাধারণের সমালোচনার মুখে পড়ে তাদের পথ পরিবর্তনে বাধ্য হয়, যার ফলে ভারত অতিমারির প্রেক্ষিতে একটি সুবিধাজনক অবস্থানে দাঁড়াতে পেরেছে। কর্তৃত্ববাদী চিনে এগুলির কোনওটিই সম্ভব ছিল না, যে কারণে চিন আজ গভীর সংকটের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। এ ক্ষেত্রে ভারতের জন্য শিক্ষা হল, কোনও স্বল্পমেয়াদি সুবিধের জন্য গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গে আপস না করা। তবে চিনের আসন্ন অবশ্যম্ভাবী কোভিড-১৯ সঙ্কট কর্তৃত্ববাদিতার নিন্দার চেয়েও বিশ্বব্যাপী কোভিড তরঙ্গের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আদর্শ সময় এটি। আজকের বাস্তবতা এই যে, উনিশ শতকের অস্ট্রিয়ান চ্যান্সেলর প্রিন্স মেটারনিকের কথা অনুযায়ী, চিন হাঁচলে বাকি বিশ্বও সংক্রমণের মুখে পড়বে।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Authors

Amlan Bibhudatta

Amlan Bibhudatta

Amlan Bibhudatta hails from Odisha and currently works at CEEW Centre for Energy Finance as a Research Analyst. He holds a BA in economics from ...

Read More +
Ambar Kumar Ghosh

Ambar Kumar Ghosh

Ambar Kumar Ghosh is an Associate Fellow under the Political Reforms and Governance Initiative at ORF Kolkata. His primary areas of research interest include studying ...

Read More +