Author : Atal Ahmadzai

Published on Aug 07, 2023 Updated 0 Hours ago
আফগানিস্তান থেকে উদ্ভূত অভিন্ন সন্ত্রাসবাদের  মোকাবিলায় চিন ও রাশিয়া

তালিবান সরকারকে সম্পূর্ণ স্বীকৃতি দেওয়া থেকে বিরত থাকলেও চিন এবং রাশিয়া উভয় দেশই কাবুলে তালিবানদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী। এই সংক্ষিপ্ত নিবন্ধটিতে আফগানিস্তানে চিন ও রাশিয়ার সমন্বিত স্বার্থের ব্যাপারটি খতিয়ে দেখা হয়েছে এবং এই যুক্তির পক্ষে সওয়াল তোলা হয়েছে যে, তাদের প্রাথমিক উদ্বেগ হল আফগানিস্তানের সন্ত্রাসবাদ থেকে উদ্ভূত এক অভিন্ন অস্তিত্বগত সঙ্কটের মোকাবিলা। বেজিং এবং মস্কো আফগানিস্তানকে আন্তঃআঞ্চলিক অস্থিতিশীলতার একটি সম্ভাব্য উৎস হিসেবেই বিবেচনা করে এবং তারা নানাবিধ হুমকি নিয়ন্ত্রণে বাস্তবসম্মত পন্থা অবলম্বন করছে। সংক্ষিপ্ত ভাবে নিবন্ধটির উপসংহারে বলা হয়েছে যে, তালিবানের আদর্শগত দিকনির্দেশনা এবং সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের কারণে চিন ও রাশিয়া তালিবান এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের মধ্যকার সমন্বয়কে সহজে ভাঙতে সক্ষম হবে না। প্রধানত মধ্য এশিয়ায় সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করতে এবং তাদের আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক স্বার্থ রক্ষা করতে আফগানিস্তানকে নিয়ন্ত্রণ করা ছাড়া তাদের আর অন্য কোনও বিকল্প থাকবে না


আরোপণ: অটল আহমেদজাই, ‘চায়না অ্যান্ড রাশিয়া নেভিগেট শেয়ারড থ্রেট অব টেররিজম ফ্রম আফগানিস্তান’, ওআরএফ ইস্যু ব্রিফ নং ৬৩৬, এপ্রিল ২০২৩, অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন।


 

ভূমিকা

২০২১ সালে মার্কিন-চিনের ক্রমবর্ধমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা বৃদ্ধি ও ভারসাম্য রক্ষাকারী শক্তি হিসেবে রাশিয়ার পুনরুত্থানের পাশাপাশিই আফগানিস্তান থেকে মার্কিন প্রস্থানের ঘটনাটি ঘটেছে। এই ধরনের সমান্তরাল ঘটনাপ্রবাহের ফলে বিশ্লেষকরা মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ফলে আফগানিস্তানে সৃষ্ট ক্ষমতার শূন্যতা পূরণের উদ্দেশ্যে সংশোধনবাদী শক্তির জন্য একটি সুযোগের কথা লক্ষ করেছেন। এই সময়ে যে পশ্চিমী ভাষ্যটি প্রভাব বিস্তার করে, তা হল চিন এবং রাশিয়া তাদের আঞ্চলিক আধিপত্যবাদী উদ্দেশ্য সাধনে দ্রুত আফগানিস্তানের মাটিতে তাদের কৌশলগত উপস্থিতির সূচনা করবে ও বৃদ্ধি ঘটাবে।(১) ভাষ্যকাররা মার্কিন সেনা প্রত্যাহারকে মস্কোর জন্য আশীর্বাদ বলে মনে করলেও(২) তাঁরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-পরবর্তী আফগানিস্তানে বেজিংয়ের অব্যবহিত অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের প্রত্যাশা করেছিলেন; চিনা বিশেষজ্ঞ এবং তালিবান কর্মকর্তারাও একই ধারণা পোষণ করেন।(৩)(৪)(৫)(৬)

নিশ্চিত ভাবে বলা যায়, বেজিং এবং মস্কো অন্তত ২০১৫ সাল থেকে তালিবানের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে আন্তর্জাতিক কৌশলগত পট পরিবর্তন উভয় দেশকেই কাবুলের সঙ্গে তাদের নিজ নিজ সম্পর্ক জোরদার করতে বাধ্য করেছে। এখন প্রশ্ন হল, পরিবর্তনশীল আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার মাঝে আফগানিস্তান চিন এবং মস্কো উভয়েরই কৌশলগত উচ্চাকাঙ্ক্ষার নিরিখে কী প্রদান করতে পারে। আফগানিস্তান উভয়ের জন্যই নিজ নিজ প্রভাবের বলয়ে মূল্য সংযোজন করবে না কি দেশটি উভয় দেশের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে তাদের প্রতিরক্ষামূলক বাফারের জন্য কৌশলগত দুর্বলতা বৃদ্ধি করবে?

ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হলে আন্তর্জাতিক কৌশলগত পট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আফগানিস্তানের সম্ভাব্য ভূ-কৌশলগত প্রভাব চিন ও রাশিয়ার জন্য অব্যবহিত সাধারণ নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে। উভয় দেশই আরও বৈচিত্র্যময় এবং বহু মেরুসম্পন্ন বিশ্বব্যবস্থার কল্পনা করে(৭) এবং এই ধরনের ব্যবস্থা আফগানিস্তান ও এর বর্তমান রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে তাদের আঞ্চলিক স্বার্থ ও প্রভাবের প্রত্যাশিত ক্ষেত্রগুলির জন্য অপরিহার্য করে তোলে। দীর্ঘমেয়াদি স্বতন্ত্র লক্ষ্য এবং স্বার্থ সংগঠিত করার পরিবর্তে মস্কো ও বেজিং উভয়েই আফগানিস্তানে তাৎক্ষণিক কৌশলগত লক্ষ্যগুলি অনুসরণে ব্রতী হয়েছে। তারা তালিবান শাসনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার ক্ষেত্রে কৌশলগত সতর্কতা প্রদর্শন করছে এবং আফগানিস্তান থেকে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলির হুমকির উপর নজর রাখছে, যেগুলি উদীয়মান বহু মেরুসম্পন্ন বিশ্বব্যবস্থায় তাদের অর্থনৈতিক ও কৌশলগত প্রভাবের ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করে।

এই সংক্ষিপ্ত নিবন্ধটিতে এমনটা মনে করা হয়নি যে, আফগানিস্তানে চিন এবং রাশিয়ার স্বার্থ একই রকম। যাই হোক, আফগানিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিসর দুই শক্তির জন্য অব্যবহিত অভিন্ন হুমকির জন্ম দিয়েছে। তাদের দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ  ভিন্ন হলেও সাধারণ লক্ষ্য হল আফগানিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘরে পরিণত হওয়া থেকে বিরত রাখা, যা মধ্য এশিয়া ও তাদের নিজ নিজ পরিধিকে অস্থিতিশীল করে তোলার মাধ্যমে তাদের কৌশলগত স্বার্থকে ক্ষুণ্ণ করে। ক্রম-পরিবর্তনশীল মার্কিন-চিন এবং মার্কিন-রুশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা মধ্য এশিয়ার কৌশলগত তাত্পর্য বৃদ্ধি করেছে। পশ্চিম এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ এশিয়া-সহ অন্যান্য অঞ্চলের কেন্দ্র হিসাবে চিনের পশ্চিম অভিমুখে সম্প্রসারণ এবং দক্ষিণ এশিয়ায় রাশিয়ার সম্ভাব্য প্রসারের নিরিখে মধ্য এশিয়ার অনন্য ভূ-অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিদ্যমান।

এই সংক্ষিপ্ত নিবন্ধটি মার্কিন নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের সময় কাবুলে তালিবান বিদ্রোহ এবং সরকারের সঙ্গে বেজিং ও মস্কোর সম্পৃক্ততাকে খতিয়ে দেখা হয়েছে। এর পাশাপাশি মার্কিন-পরবর্তী আফগানিস্তানের প্রতি বেজিং ও মস্কোর আরও বাস্তববাদী ও দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গিকে তুলে ধরা হয়েছে এবং আফগানিস্তান কেন চিন এবং রাশিয়ার জন্য একটি কৌশলগত দুর্বলতাই রয়ে যাবে, তার পক্ষে যুক্তি দর্শানো হয়েছে।

তালিবান অভ্যুত্থানের সঙ্গে বেজিং এবং মস্কোর সম্পর্ক

আফগানিস্তানে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দুই দশকের যুদ্ধের সময় চিন ও রাশিয়া মূলত পর্যবেক্ষকের ভূমিকাই পালন করে এসেছিল। আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতা সরাসরি তাদের স্বার্থের অনুকূল হলেও তারা সন্ত্রাস দমন, রাষ্ট্র-নির্মাণ এবং পুনর্গঠন প্রচেষ্টায় সক্রিয় অংশগ্রহণ থেকে বিরত ছিল।(৮)

আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ বিরোধী ঐকমত্যকে কাজে লাগিয়ে(৯) বেজিং দেশের মুসলিম জনসংখ্যার বিরুদ্ধে তার নিপীড়নমূলক অভ্যন্তরীণ নীতিকে তীব্রতর করেছে এবং ব্যাখ্যা প্রদান করেছে।(১০) এর পাশাপাশি আফগানিস্তানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অতি প্রসারিত আর্থিক ও সামরিক বিনিয়োগ চিনকে বিভিন্ন কৌশলগত অঞ্চলে তার অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তি সম্প্রসারণের দিকে মনোনিবেশ করতে বাধ্য করে।(১১) রাশিয়ার ক্ষেত্রে পশ্চিমী সন্ত্রাসবাদবিরোধী জোট এবং ক্রেমলিনের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বিভিন্ন কারণ দ্বারা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। বুদ্ধিমত্তা সংক্রান্ত এবং লজিস্টিক সহায়তা প্রদানের সময়(১২) অনিয়মিত হলেও মস্কো পশ্চিমী শক্তির রাজনৈতিক ও সামরিক মতবাদে সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধের দুই দশকব্যাপী প্রাধান্যের সুবিধাকে কাজে লাগিয়েছিল। একটি বিশ্বশক্তি হিসেবে উঠে আসার নিরিখে তার নিরাপত্তা সাধনী, সামরিক সক্ষমতায় বিনিয়োগ এবং সেগুলিকে সশক্ত করার উপর মনোযোগ দেওয়া হয়েছে।(১৩)

অন্য দিকে চিন এবং রাশিয়া তালিবানদের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার মাধ্যমে এবং  তালিবান অভ্যুত্থানের সঙ্গে কোনও গোপন বা প্রকাশ্য সম্পৃক্ততায় না গিয়ে দেশটির ভঙ্গুর নিরাপত্তামূলক পরিস্থিতিকে আরও অস্থিতিশীল করে তোলা থেকে বিরত থাকে। তবে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটে, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করে যে, ২০১১ সাল থেকে দেশটি আফগানিস্তানে তার সম্পৃক্ততা হ্রাস করতে চলেছে।(১৪) বেজিং এবং মস্কো তখন আফগানিস্তানে তাদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতে শুরু করে। বেজিং তার প্রতিবেশে মার্কিন উপস্থিতিকে খর্ব করার চেষ্টা চালায় এবং আফগানিস্তানে তার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উপস্থিতি প্রসারিত করে। রাশিয়ার জন্য তার লক্ষ্যটি ছিল বাস্তবসম্মত এবং সুনির্দিষ্ট: দেশটি সে সময়ে তীব্রতর হয়ে ওঠা তালিবান অভ্যুত্থানের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে চায়।

চিনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা

তার আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেজিং আফগানিস্তানে তার সীমিত সম্পৃক্ততা পুনর্বিবেচনা করেছে। এটি আফগান সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে জোরদার করে এবং তালিবান অভ্যুত্থানের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা চালায়।(১৫) ২০০২ সালের পর থেকে প্রথম বারের মতো ২০১৪ সালে আফগান সরকারকে বর্ধিত সরকারি সহায়তা প্রদানের সমান্তরালে বেজিং তালিবানদের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের কাছে গোপন আমন্ত্রণ পাঠায়।(১৬) অন্যান্য কারণের মধ্যে চিনের প্রতি আফগান সরকারের নেতৃবৃন্দের দৃষ্টিভঙ্গি আফগানিস্তানে বেজিংয়ের বর্ধিত গতিশীলতাকে রূপ দিতে পারে।(১৭)

বিগত দুই ধারাবাহিক আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই এবং আশরাফ গনি (২০০২-২০১৪ এবং ২০১৪-২০২১) উভয়েই দেশে বেজিংয়ের পক্ষে সক্রিয় ভূমিকার পক্ষাবলম্বন করেন। যদিও তাঁরা এর নেপথ্যে বিভিন্ন কৌশলগত কারণ দর্শিয়েছিলেন। কারজাইয়ের শাসনকালের শেষ দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তিক্ত হওয়ার পর তাঁর ভূ-রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষায় পরিবর্তন আসে। রবার্ট কাপলানের ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষণ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে(১৮) কারজাই আফগানিস্তানের ‘অভিশপ্ত’ ভূ-কৌশলগত অবস্থানকে বহুপাক্ষিকতার সুবিধা কাজে লাগানোর মাধ্যমে ‘আশীর্বাদ’-এ রূপান্তরিত করতে চেয়েছিলেন।(১৯) তিনি বেজিংকে দেশটিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো আধিপত্যবাদী শক্তির সম্পৃক্ততার বিপরীতে ভারসাম্য রক্ষাকারী শক্তি হিসেবেও প্রত্যাশা করেন(২০), যা আফগান সরকারকে আরও বেশি দর কষাকষির ক্ষমতা প্রদান করবে বলে তিনি মনে করেছিলেন।

তাঁর পূর্বসূরিদের থেকে উলটো পথে হেঁটে চিনের প্রতি গনির দৃষ্টিভঙ্গি ছিল আরও বাস্তববাদী এবং ভূ-অর্থনীতির যুক্তি দ্বারা অনুপ্রাণিত। আফগানিস্তানের যে ভাবমূর্তি তিনি বেজিংয়ের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন, তা আর প্রতিযোগী শক্তিগুলির জন্য কোনও বাফার বা নিরপেক্ষ অঞ্চল হিসেবে নয়, বরং আঞ্চলিক সংযোগের কেন্দ্র এবং চিনের ফ্ল্যাগশিপ বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ-এর (বিআরআই) সমন্বিতকরণের চাবিকাঠি হিসেবে।(২১) গনি চেয়েছিলেন, বেজিং আফগানিস্তানে তার অর্থনৈতিক উপস্থিতি বৃদ্ধি করুক।(২২) পাকিস্তানের উপর কৌশলগত সুবিধা থাকার কারণে বেজিংয়ের অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব আফগান শান্তি প্রক্রিয়ায় আরও গতিশীল ভূমিকা পালনে তার আগ্রহকে বাড়িয়ে তুলবে বলে মনে করা হয়েছিল।

কারজাইয়ের বিপরীতে যিনি তালিবান বিদ্রোহ প্রশমনে পাকিস্তানকে সরাসরি জড়িত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছিলেন, সেই গনি বেজিংয়ের মুখাপেক্ষী হন। গনি জোর দিয়েছিলেন যে, আফগানিস্তানে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করে বেজিং বিদ্রোহীদের সমর্থন জোগানো বন্ধ করার জন্য পাকিস্তানের উপর তার কৌশলগত সুবিধা প্রয়োগ করাকে যুক্তিসঙ্গত বলে মনে করবে।(২৩) সেই লক্ষ্যে গনি আফগান বিদেশনীতির পুনর্গঠন করেন এবং চিনকে নতুন ভাবে গুরুত্ব দেন।(২৪) তিনি বেজিংয়ের সঙ্গে অংশীদার এবং লেনদেন সংক্রান্ত সম্পর্কের প্রস্তাবও দিতে চেয়েছিলেন। তাঁর প্রশাসন উইঘুর জঙ্গিদের চিনের কাছে হস্তান্তর করে আফগান বিরোধ সমাধানে বেজিংয়ের সক্রিয় অংশগ্রহণকে অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা চালায়।(২৫) চিন এই আহ্বানে সাড়া দিয়েছে, তবে সতর্কতা বজায় রেখেছে। বেজিং তালিবানের সঙ্গে যোগাযোগ বিস্তৃত করার সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানের উপর ক্রমাগত চাপ বৃদ্ধি করতে থাকে। বেজিং এ বিষয়ে সতর্ক থাকলেও তালিবানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর মাধ্যমে আফগানিস্তানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাবনাকে খর্ব করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়।

২০১৫ সালে বেজিং একটি তালিবান প্রতিনিধি দলকে গোপন আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানায়।(২৬) চিন আফগান সরকারকে রাজি করায় যাতে তারা উচ্চপদস্থ তালিবান বিদ্রোহীদের মৃত্যুদণ্ড না দেয়, যার মধ্যে আত্মঘাতী বোমা হামলায় সহায়তা করার ক্ষেত্রে তার ভূমিকার নিরিখে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হাক্কানি নেটওয়ার্কের এক সক্রিয় নেতাও অন্তর্ভুক্ত ছিল।(২৭) ২০১৮ সালে মার্কিন-তালিবান আলোচনার সূচনা বেজিং এবং তালিবানের মধ্যে একটি নতুন গতিশীলতার উদ্রেক করে। বেজিংয়ের জন্য মার্কিন-পরবর্তী আফগানিস্তানের স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হয়।

রাশিয়ার বাজি

বেজিংয়ের বিপরীতে, আফগান সংঘাতে মস্কোর ভূমিকা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িত কোনো অংশীদারের জন্যই আগ্রহজনক ছিল না। ওয়াশিংটন রাশিয়ার  জড়িত হওয়াকে কৌশলগত জটিলতার একটি সমস্যা বলে মনে করে।(২৮) ঘৃণ্য সোভিয়েত আক্রমণের স্মৃতিকে উস্কে দিয়ে কাবুল রাশিয়ার প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততাকে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের বৈধতার জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করেছে। তা সত্ত্বেও আফগান সরকার আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদ দমন এবং রাষ্ট্র-নির্মাণের উদ্যোগের বৈধতার বিষয়ে ওয়াশিংটন এবং মস্কোর অভিন্নতাকে স্বাগত জানিয়েছিল। ক্রেমলিনে সোভিয়েত আগ্রাসনের অত্যধিক খরচের ভার দেশে যে কোনও নতুন রুশ সম্পৃক্ততার জন্যই একটি প্রতিবন্ধকতাসম।(২৯)

মস্কো রাজনৈতিক ভাবে আফগানিস্তানে ন্যাটো মিশনকে সমর্থন জুগিয়েছিল এবং কিছু সময়ের জন্য মার্কিন সন্ত্রাসবাদ বিরোধী মিশনে ২০০৯ সালে তার আকাশপথ খোলা রেখে লজিস্টিক এবং গোয়েন্দা সহায়তা প্রদান করেছিল।(৩০) ২০০৭ সালে আফগানিস্তান থেকে মধ্য এশীয় প্রজাতন্ত্রের মাধ্যমে রাশিয়ায় অবৈধ মাদক পাচারের বিষয়ে তালিবানের সঙ্গে একটি সংক্ষিপ্ত গোপন যোগাযোগ বাদ দিয়ে মস্কো এই মিশন সমর্থন করেছিল। এই সমীকরণ অবশ্য ২০১৫ সাল থেকে পরিবর্তিত হতে শুরু করে।

সিরিয়ার সংঘাতের সময় ওয়াশিংটন এবং মস্কোর মধ্যে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রত্যাবর্তন মস্কোর কৌশলগত অবস্থান পরিবর্তন করে এবং মস্কো আফগানিস্তানে ন্যাটো মিশনকে সমর্থন জোগানোর পরিবর্তে তালিবান বিদ্রোহের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে বিপরীত পথে হাঁটতে শুরু করে। বেজিং এবং মস্কো এই ভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আফগানিস্তান থেকে বের করে দেওয়ার অভিন্ন লক্ষ্যে একত্র হয়েছিল। ২০১৫ সালে ক্রেমলিন আফগানিস্তানকে তার বিদেশ নীতির অগ্রাধিকারের অন্যতম বলে মনোনীত করে এবং তালিবানের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা শুরু করে।(৩১)(৩২) আফগানিস্তানের খোরাসান প্রদেশে (আইএস-কে) ইসলামিক স্টেটের অভ্যুত্থান মস্কোকে তালিবানের প্রতি আরও আগ্রহী করে তোলে এবং উভয় পক্ষই আইএস-কে সংক্রান্ত তথ্য পরস্পরের সঙ্গে ভাগ করে নেয়। মস্কো দ্রুতই আফগানিস্তান সরকারকে আমন্ত্রণ না জানিয়ে চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে আফগানিস্তানের বিষয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করে। আফগান সরকার  এই সম্মেলনটিকে ‘অবৈধ’ বলে ঘোষণা করে এবং তালিবান বিদ্রোহকে সমর্থন করার জন্য মস্কোকে অভিযুক্ত করে।(৩৪) তালিবান এই উদ্যোগকে স্বাগত জানায় এবং এটিকে এই অঞ্চলে একটি সম্ভাব্য মার্কিন-বিরোধী জোট বলে মনে করে।(৩৫)

২০১৮ সালে মার্কিন-তালিবান আলোচনার সূচনা বিদ্রোহীদের রাজনৈতিক বৈধতা প্রদান করে, যা বেজিং এবং মস্কো উভয়েই তালিবানের সঙ্গে নিজেদের সম্পর্ক জোরদার করতে এবং তাদের বিভিন্ন সম্মেলন, বৈঠক এবং বন্ধ দরজার আড়ালে কূটনীতিতে আমন্ত্রণ জানিয়ে তাদের সুবিধার জন্য ব্যবহার করে।(৩৬) ওয়াশিংটন এবং মস্কোর মধ্যে উত্তেজনা তীব্রতর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মস্কোকে তালিবানকে অস্ত্র সরবরাহ করার দায়ে অভিযুক্ত করে।(৩৭) আফগানিস্তানের ভৌগোলিক নৈকট্য এবং কৌশলগত স্বার্থের কারণে বেজিং ও মস্কো মার্কিন-পরবর্তী আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে চেয়েছে। এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক শক্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতা বৃদ্ধির দ্বারা চিহ্নিত আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক পরিসরে আফগানিস্তানে দু’টি সংশোধনবাদী রাষ্ট্রের কৌশলগত পদক্ষেপের সূচনা করে।

মার্কিন প্রত্যাহার পরবর্তী-আফগানিস্তান: কৌশলগত দ্বিধা থেকে হুমকি পর্যন্ত

তালিবান ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পরিসর পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করে। মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক উদারপন্থী ব্যবস্থায় সংশোধনবাদী রাষ্ট্র হিসেবে চিন ও রাশিয়াকে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন প্রত্যাহারের সুবিধাভোগী হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং তারা সে দেশের ক্ষমতার শূন্যতা পূরণ করবে বলে আশা করা হয়েছিল।(৩৮) বিশ্লেষকরা অনুমান করেছিলেন যে, চিন অবিলম্বে আফগানিস্তানে তার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শক্তি প্রয়োগ করবে।(৩৯) এমনকি তালিবানরা আফগানিস্তানের অব্যবহৃত বিশাল প্রাকৃতিক সম্পদে বিনিয়োগের জন্য বেজিংকে অবাধ স্বাধীনতা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে সুযোগটিকে কাজে লাগাতে আগ্রহী ছিল।(৪০) রাশিয়া কাবুলে তার কূটনৈতিক মিশন সচল রেখেছে এবং তালিবানদের ক্ষমতা দখলের বিষয়ে আন্তরিক ভাবে আলাপ-আলোচনা চালাচ্ছে।(৪১) বৃহৎ শক্তির মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে তালিবান আশা করেছিল, বেজিং এবং মস্কো তাদের প্রশাসনকে স্বীকৃতি দেবে।

তবে রাশিয়া বা চিন কেউই হিসেবনিকেশ না করে তালিবান প্রশাসনের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেনি এবং তার পরিবর্তে দ্বৈত পন্থা গ্রহণ করেছে। এক দিকে তারা কাবুলের সঙ্গে নির্বাচিত সম্পৃক্ততা বজায় রেখেছে, যার মধ্যে তালিবান কূটনীতিকদের স্বীকৃতি দেওয়া(৪২)(৪৩) এবং নারীদের শিক্ষা প্রদান নিষিদ্ধ করা-সহ তার অন্যান্য নীতির সমালোচনা না করে প্রশাসকদের বিরূপ মনোভাবে পড়া থেকে বিরত থেকেছে।(৪৪) একই সময়ে বেজিং এবং মস্কো পদ্ধতিগত ভাবে তাদের নিয়ন্ত্রণের কৌশলগুলি পরিচালনা করেছে। তাদের প্রভাবের অভিন্ন সাধারণ কৌশলগত পরিসরে তারা আফগানিস্তান থেকে মধ্য এশিয়া পর্যন্ত সন্ত্রাসবাদের অস্তিত্বগত আশঙ্কার প্রতি সচেতন বলে মনে করা হচ্ছে। তারা হুমকি নিয়ন্ত্রণে এই অঞ্চলে সামরিক স্থাপনা এবং সক্ষমতা নির্মাণ-সহ সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পথে হেঁটেছে।

তালিবানের প্রতি তাদের দ্বৈত দৃষ্টিভঙ্গি বেজিং এবং মস্কোর অভিন্ন তাৎক্ষণিক কৌশলগত উদ্বেগ ও আফগানিস্তান সম্পর্কিত প্রতিরক্ষামূলক লক্ষ্যগুলিকেই নির্দেশ করে। দেশে সন্ত্রাসবাদের ক্রমবর্ধমান হুমকি নিয়ন্ত্রণে তালিবান প্রশাসনের অক্ষমতা বা অনিচ্ছা হল তাদের অভিন্ন সাধারণ উদ্বেগ। এই হুমকি নিয়ে আরও বিশদে আলোচনা করার আগে বেজিং এবং মস্কোর ভূ-কৌশলগত সমীকরণের নিরিখে আফগানিস্তানের পুনর্নবীকৃত তাৎপর্যের পর্যালোচনা গুরুত্বপূর্ণ।

আন্তর্জাতিক শক্তিগুলির মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তীব্র হওয়ার আগের বছরগুলিতে বেজিং এবং মস্কো আফগানিস্তানে সামান্যই কৌশলগত গুরুত্ব প্রদর্শন করলেও ইউক্রেনের যুদ্ধ সেই সমীকরণ বদলে দিয়েছে। বেজিং এবং মস্কো উভয়ই বিদ্যমান সঙ্কটকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বৃহত্তর বহুমেরুকরণের দিকে এক অনিবার্য স্থানান্তর হিসাবে দেখে(৪৫), যা তাদের নিজ নিজ প্রভাবের ক্ষেত্রে ক্ষমতা সুদৃঢ় করা এবং তাদের প্রতিরক্ষামূলক নিরপেক্ষ অঞ্চলগুলিকে সুরক্ষিত করার বিষয়টিকে প্রয়োজনীয় করে তোলে এবং আফগানিস্তানকে তাদের হিসেবনিকেশের অংশ করে তোলে।

দক্ষিণ, মধ্য এবং পশ্চিম এশিয়ার সংযোগস্থলে অবস্থিত আফগানিস্তান আঞ্চলিক সংযোগ এবং সমন্বিতকরণের জন্য একটি অনন্য কৌশলগত কেন্দ্র। এর সুবিশাল অব্যবহৃত প্রাকৃতিক সম্পদ ছাড়াও দেশটি পশ্চিম এশিয়া/পারস্য এবং মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে তার উদীয়মান অর্থনৈতিক সমন্বিতকরণ- সহ বেজিংকে একাধিক সুবিধা প্রদান করে। এই অঞ্চলের উদীয়মান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতা এবং ঘটনাপ্রবাহ আফগানিস্তানের ভূ-কৌশলগত গুরুত্বকে শক্তিশালী করে তোলে।

উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, চিন-ইরান কম্প্রিহেনসিভ স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপের আওতায় বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য আফগানিস্তান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৪০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা কর্মসূচিতে স্বাক্ষর করার পরে ইরান আফগানিস্তানের মধ্য দিয়ে ইরান এবং মধ্য এশিয়ার প্রজাতন্ত্রগুলির মধ্যে দু’টি অক্ষীয় বাণিজ্য করিডোর ঘোষণা করেছে - কিরঘিজস্তান-তাজিকিস্তান-আফগানিস্তান-ইরান (কেটিএআই) এবং ইরান-আফগানিস্তান-উজবেকিস্তান করিডোর। এই চুক্তির লক্ষ্য হল চিনের তেল আমদানিকারী বন্দরগুলিকে বৈচিত্র্যময় করে ভারত মহাসাগর ও মালাক্কা প্রণালীর উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে তার শক্তি নিরাপত্তাকে উন্নত করা। চুক্তিটিতে বেজিংকে পারস্য উপসাগরে চাবাহার এবং জাস্ক বন্দরের কাছে একটি নতুন তেল টার্মিনাল তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।(৪৬) যেহেতু চিনকে এই বন্দরে স্থলপথের মাধ্যমে প্রবেশ করতে হবে, সে ক্ষেত্রে আফগানিস্তান একটি ট্রানজিট হাব হিসেবে কাজ করতে পারে।

দক্ষিণ অভিমুখে প্রায় ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমস্যাজনক চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোরকে (সিপিইসি) কেন্দ্র করে চিন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। অন্যান্য উদ্যোগের মধ্যে, সিপিইসি-র অন্তর্গত সড়ক পরিকাঠামো প্রকল্পগুলিতে বিআরআই-এর মধ্য এশিয়ার সম্প্রসারণ অর্থাৎ সিল্ক রোড ইকোনমিক বেল্টকে আরব সাগরের গোয়াদর বন্দরের সঙ্গে সংযুক্ত করে। পাকিস্তানের সঙ্গে পরিকাঠামো এবং সংযোগ প্রকল্পগুলি আফগানিস্তানের মধ্য দিয়ে প্রসারিত না হলেও এর ভৌগোলিক নৈকট্য এবং রাজনৈতিক  নিরাপত্তাহীনতা সহজেই প্রকল্পগুলির কার্যকারিতাকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সিপিইসি-র বিরোধিতা করেছে এবং চিনের ‘ঋণ ফাঁদ’ উদ্যোগের শিকার হওয়া এড়াতে পাকিস্তানকে চাপ দিচ্ছে।(৪৭) তালিবানের ক্ষমতায় ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানের তেহরিক তালিবান (টিটিপি) ও আইএস-কে-সহ সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি এবং বালুচ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনগুলি(ক) পাকিস্তানে চিনা স্বার্থের বিরুদ্ধে তাদের আক্রমণকে তীব্রতর করেছে, যার মধ্যে সিপিইসি-র অধীনস্থ একাধিক প্রকল্পও রয়েছে।(৪৮) সম্পদ বণ্টনে বৈষম্য দ্বারা চালিত বালুচ বিদ্রোহ চিনের শোষণমূলক অনুশীলন যেমন ঘরের মাটিতে বালুচিস্তান প্রদেশ, যেখানে গোয়াদর বন্দরও অবস্থিত, সেখানে ভূমি দখলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।(৪৯)

যদিও আফগানিস্তানে মস্কোর তাৎক্ষণিক অর্থনৈতিক স্বার্থ ততটা তীব্র না হলেও ২০২৩ সালে প্রকাশিত তার নতুন বিদেশ নীতি মতবাদে ক্রেমলিন আফগানিস্তানকে ইউরেশীয় পরিসরে সমন্বিত করার কল্পনা করেছে।(৫০) আফগানিস্তান দীর্ঘ মেয়াদে মস্কোকে সম্ভাব্য কৌশলগত সুবিধা প্রদান করে। ইউক্রেনে যুদ্ধের ফলে শক্তির ভূ-রাজনীতি পশ্চিমী শক্তির বাজারের উপর দেশটির নির্ভরতার সঙ্গে যুক্ত ক্রেমলিনের কৌশলগত দুর্বলতাকেও প্রকাশ্যে এনেছে। প্রকৃত পক্ষে রাশিয়া ইতিমধ্যে এশিয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে, যেখানে দক্ষিণ এশিয়া, বিশেষ করে রুশ শক্তি ক্ষেত্রের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে পারে। অঞ্চলটি ইতিমধ্যে রাশিয়া থেকে সমুদ্রবাহিত তেল আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে।(৫১)

দীর্ঘমেয়াদে আফগানিস্তান মধ্য এশিয়া হয়ে জ্বালানির অভাবে ধুঁকতে থাকা দক্ষিণ এশিয়ায় রাশিয়ার প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করতে পারে। এটি নিঃসন্দেহে একটি দীর্ঘ পরিকল্পনা হলেও এহেন সম্ভাবনা মস্কোর কৌশলবিদদের ভাবনায় রয়েছে। ২০২৩ সালে মস্কো তুর্কমেনিস্তান-আফগানিস্তান-পাকিস্তান-ভারত (টিএপিআই) গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্পে অংশগ্রহণের জন্য তার আগ্রহ প্রকাশ করেছে, যা মধ্য এশিয়া থেকে ভারতীয় উপমহাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা করা হচ্ছে।(৫২) ইউক্রেন যুদ্ধের আগে রাশিয়া এই প্রকল্পটিকে ‘আকর্ষণীয়’ বলে মনে করলেও নিরাপত্তার কারণে এই প্রকল্পের অংশ হতে আগ্রহী ছিল না।(৫৩)

যদিও আফগানিস্তানে তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থ বাস্তবায়িত করা বেজিং বা মস্কোর জন্য তাৎক্ষণিক অগ্রাধিকার নয়, বরং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং সন্ত্রাসবাদের মতো নিরাপত্তা উদ্বেগের প্রাধান্য দেওয়া। তালিবানরা আফগানিস্তানকে অব্যবহৃত প্রাকৃতিক সম্পদের খনি হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইলেও(৫৪) বেজিং এবং মস্কোর মধ্যে এ নিয়ে নানাবিধ উদ্বেগ রয়েছে।

একটি অভিন্ন সন্ত্রাসবাদের হুমকি

চিন এবং রাশিয়া একটি বহুমুখী বিশ্বব্যবস্থার কল্পনা করায় তারা তাদের নিজ নিজ প্রভাবের ক্ষেত্রে ক্ষমতা একত্র করতে ইচ্ছুক। ভৌগোলিক নৈকট্য, সন্ত্রাসবাদ এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা-সহ আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কিত কারণগুলি বেজিং এবং মস্কোর আঞ্চলিক স্বার্থ এবং নিরাপত্তাকে বিপন্ন করতে পারে। আরও সুনির্দিষ্ট ভাবে, ইস্ট তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্ট (ইটিআইএম), ইসলামিক মুভমেন্ট অফ উজবেকিস্তান (আইএমইউ), আইএস-কে এবং আল-কায়েদা-সহ মধ্য এশিয়ায় অনুপ্রবেশের জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ গোষ্ঠীগুলির দ্বারা সন্ত্রাসবাদের হুমকির সৃষ্টি হয়েছে।

বেজিং আফগানিস্তান থেকে উদ্ভূত সন্ত্রাসবাদকে এই অঞ্চল ও বিশ্বের পরিপ্রেক্ষিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা হুমকি বলে মনে করে এবং তালিবানকে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে।(৫৫)(৫৬)(৫৭) একই রকম ভাবে মস্কো আফগানিস্তান থেকে ক্রমবর্ধমান জিহাদিদের মধ্য এশীয় প্রজাতন্ত্রগুলিতে ছড়িয়ে পড়া সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।(৫৮) ২০২২ সালে রুশ বিদেশমন্ত্রী দাবি করেন যে, আইএস-কে, জামাত আনসারুল্লাহ এবং ইসলামিক মুভমেন্ট অফ উজবেকিস্তান (আইএমইউ) আফগানিস্তানকে একটি ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করছে, যেখান থেকে তারা মধ্য এশিয়ার দেশগুলিকে অস্থিতিশীল করে রাশিয়ায় অস্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করার চেষ্টা চালাচ্ছে।(৫৯)

বেজিং এবং মস্কো তাদের অভিন্ন স্বার্থ রক্ষায় সহযোগিতা চাইছে।(৬০) তবে কিছু বিশ্লেষক সন্ত্রাসবাদ এবং মধ্য এশিয়া প্রসঙ্গে বেজিং এবং মস্কোর সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে সন্দিহান।(৬১) ভারতের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়ে, মধ্য এশিয়ায় তাদের কৌশলগত লক্ষ্য এবং তালিবানের প্রতি ভিন্ন মনোভাব তাদের সহযোগিতায় বাধা সৃষ্টি করে। তবু মধ্য এশিয়ার বিষয়ে তাদের ভিন্ন অবস্থান একটি শূন্য-সম শক্তির লড়াইকে তুলে ধরে না। পশ্চিমী কৌশলগত মতবাদের বিপরীতে অ-পশ্চিমী অনুশীলনগুলি অনমনীয় দ্বিধাবিভক্তির উপর ভিত্তি করে না-ও গড়ে উঠতে পারে। অন্ততপক্ষে মধ্য এশিয়ার দুই দেশের কৌশলগত স্বার্থের জন্য আফগানিস্তান যে অভিন্ন সাধারণ সন্ত্রাসবাদের হুমকি তুলে ধরেছে, তা তাদের প্রচেষ্টার মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। দ্বিতীয়ত, বেজিং এবং মস্কো উভয়ই একটি বহুমুখী আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার কল্পনা করছে, যার অর্থ পারস্পরিক একচেটিয়া কৌশলগত পরিসরকে বোঝায় না। বরং এর বিপরীতে, আফগানিস্তান এবং সন্ত্রাসবাদের বিষয়-সহ অভিন্ন সাধারণ কৌশলগত ও অর্থনৈতিক বাধ্যবাধকতা এবং স্বার্থকেও দর্শায়, যা সমন্বয় ঘটাতে পারে।(৬২)

তালিবানের ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে চিন এবং রাশিয়া উভয়ই মধ্য এশিয়ার প্রজাতন্ত্রগুলিতে তাদের কৌশলগত উপস্থিতি প্রসারিত করেছে। তাজিকিস্তানে সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের পাশাপাশি(৬৩) চিন তাজিকিস্তানের সঙ্গে আফগানিস্তানের সীমান্তের কাছে যৌথ সামরিক মহড়া পরিচালনা করেছে।(৬৪) ২০২২ সালের শেষের দিকে উভয় দেশই আরও বেশ কিছু সন্ত্রাসবিরোধী সামরিক মহড়া চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। কিছু পর্যবেক্ষক অনুমান করেছিলেন যে, এটি দুশানবের মস্কো থেকে বেজিংয়ের দিকে দূরত্ব বজায় রাখার স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল।(৬৫) তাজিকিস্তানও রুশ সামরিক বাহিনীর সঙ্গে অনুরূপ মহড়া পরিচালনা করেছে, যার সর্বশেষটি সংঘটিত হয় ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে।(৬৬) এটি স্পষ্টতই ইঙ্গিত দেয় যে, বেজিং এবং মস্কো উভয়ই সন্ত্রাসবাদকে শুধু মাত্র একটি সাধারণ হুমকি হিসেবেই দেখে না, বরং হুমকি মোকাবিলা এবং মধ্য এশিয়ায় এর বিস্তার রোধে ঘনিষ্ঠ আন্তঃসহযোগিতার জন্য তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একই সঙ্গে তালিবানের ক্ষমতায় উত্থানের পর থেকে প্রধানত আইএস-কে-র মতো সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী মধ্য এশিয়ার সীমান্তবর্তী দেশের উত্তরাঞ্চলে অনুপ্রবেশ করেছে।(৬৭)

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে আইএস-কে উইঘুরদের প্রতি বেজিংয়ের নীতির বিরুদ্ধে অনলাইন প্রচার জোরদার করেছে।(৬৮) এর পাশাপাশি গোষ্ঠীটি আফগানিস্তানে চিনা ও রুশ স্বার্থ এবং নাগরিকদের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালাতে শুরু করে, যার মধ্যে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কাবুলের একটি হোটেলে চিনা নাগরিকদের বাড়িতে একটি সমন্বিত আক্রমণ পরিচালনার ঘটনাও অন্তর্ভুক্ত।(৬৯) আইএস-কে কাবুলের বিদেশ মন্ত্রকে একটি আত্মঘাতী বোমা হামলার দায়ও স্বীকার করে নেয়, যেদিন একটি চিনা প্রতিনিধিদলের সংশ্লিষ্ট তালিবান কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল।(৭০) ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কাবুলে রুশ দূতাবাসে একটি আত্মঘাতী হামলায় দুই রুশ কূটনীতিক নিহত হন। গোষ্ঠীটি মধ্য এশীয় প্রজাতন্ত্র থেকে অপারেটিভ বা সক্রিয় কর্মী নিয়োগের কাজের গতি বৃদ্ধি করেছে।(৭১) পূর্ব আফগানিস্তান থেকে দেশটির উত্তরাঞ্চলে আইএস-কে-র স্থানান্তর মধ্য এশিয়ার সীমান্তের ওপার থেকে নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে সংগঠনের জন্য কৌশলগত সুবিধাও প্রদান করে। উত্তর আফগানিস্তানের বাসিন্দাদের মধ্যে ভাষাগত ও জাতিগত পটভূমি অভিন্ন হওয়ার ফলে প্রতিবেশী মধ্য এশিয়ার প্রজাতন্ত্রের মানুষদের সঙ্গে আইএস-কে সীমান্তের ওপার থেকে যোদ্ধাদের নিয়োগ করতে ও স্থান প্রদানে সাহায্য করে।(৭২)

একই সময়ে তালিবান শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ বেজিং ও মস্কোর জন্য উদ্বেগের আর একটি কারণ। এই তালিবান-বিরোধী সশস্ত্র প্রতিরোধ প্রধানত হিন্দুকুশ পর্বতমালায় সক্রিয় অ-পশতুন জাতিগোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত। প্রাথমিক ভাবে ২০২১ সালে তালিবানদের দ্বারা পর্যুদস্ত হওয়ার পর(৭৩) গোষ্ঠীটি ২০২২ সাল থেকে উত্তর আফগানিস্তানে সক্রিয়তা দেখিয়েছে।(৭৪) প্রকৃত পক্ষে তালিবানের অব্যাহত নিপীড়নমূলক নীতি, প্রাক্তন আফগান নিরাপত্তা কর্মীদের বিচারবহির্ভূত হত্যা, জাতিগত পরাধীনতা এবং ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের বাদ দেওয়ার কারণে সশস্ত্র প্রতিরোধের সম্ভাবনা আরও বাড়তে পারে। কিছু প্রাক্তন আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মী, যাঁরা তালিবান কর্তৃক মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন, তাঁরাও প্রতিরোধ বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন।(৭৫)

যে সব অঞ্চলে সশস্ত্র প্রতিরোধ বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেখানে একটি শক্তি শূন্যতা সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলি পূরণ করতে পারে। এই ভাবে তালিবান-বিরোধী সশস্ত্র প্রতিরোধ বেজিং ও মস্কোর প্রভাবের ক্ষেত্র এবং তার আশেপাশে নিরপেক্ষ অঞ্চলগুলিকে অস্থিতিশীল করতে পারে। দুই দেশ কাবুলে একটি সুবিস্তৃত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক মীমাংসার প্রয়োজনীয়তার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে, যা হিংসা ও সন্ত্রাসবাদের বৃদ্ধি রোধ করবে।(৭৬)(৭৭)

এখন প্রশ্ন হল তালিবানের সঙ্গে বেজিং এবং মস্কোর নিজ নিজ সম্পর্কের গতিশীলতা সন্ত্রাসবাদের হুমকির অবসান ঘটাবে কি না। বেজিং এবং মস্কোর সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষেত্রে তালিবানের রাজনৈতিক ইচ্ছা এবং ক্ষমতার উপর খুব কমই আস্থা রয়েছে। তালিবানদের জন্য পরীক্ষাটি আইএস-কে, আল-কায়েদা, আইএমইউ, টিটিপি এবং ইটিআইএম-সহ আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক জিহাদি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হতে চলেছে। তাদের অভ্যন্তরীণ শক্তি সমীকরণ, আদর্শগত বিন্যাস এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী শৃঙ্খলের সঙ্গে ঐতিহাসিক মিথস্ক্রিয়ার সম্পর্ক তালিবানদের জন্য সন্ত্রাসবিরোধী দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করার কাজটিকে কঠিনতর করে তুলবে।

তালিবানের সুরক্ষায় কাবুলে আল-কায়েদা নেতা আয়মান আল জাওয়াহিরির হত্যা এবং পাকিস্তানে টিটিপি-র ক্রমবর্ধমান কর্মকাণ্ড আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ইচ্ছার বিষয়ে উদ্বেগকে শক্তিশালী করে তোলে। মেয়েদের স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ করা এবং প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা-সহ গোষ্ঠীর নীতিগুলি আফগানিস্তানকে ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে ফিরিয়ে নিয়ে যায়, যখন তালিবানরা প্রথম দেশটির ক্ষমতা দখল করেছিল।

তাই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বেজিং এবং মস্কো-র তালিবান প্রশাসনের উপর নির্ভর করা ঝুঁকির কাজ হবে। তাদের তাৎক্ষণিক উদ্দেশ্য আফগানিস্তানকে তাদের নিজ নিজ প্রভাবের ক্ষেত্রে পুনর্বিন্যাস করা নয়। বরং আফগানিস্তান থেকে উদ্ভূত অস্থিতিশীলতার উপাদানগুলির ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোর উদ্দেশ্যে তালিবানের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক স্থাপন একটি বাস্তববাদী এবং পূর্বনির্ধারিত পদ্ধতিও বটে। আঞ্চলিক কূটনীতিতে তালিবানকে সংযুক্ত করার উদ্দেশ্য তাদের প্রশাসনের কঠোরতা ক্ষমা করা নয়; বরং আফগানিস্তান থেকে উদ্ভূত প্রধানত সন্ত্রাসবাদের বিস্তার-সহ রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা প্রতিরোধ করা।

সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে তালিবান প্রশাসনের অবস্থান অবশ্য সন্দেহজনকই রয়ে গিয়েছে। এটি আল-কায়েদার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক বজায় রেখে মধ্য এশিয়া এবং উইঘুর জঙ্গি-সহ(৭৮) দেশের মধ্যে বিদেশি অস্তিত্বকে স্পষ্টতই অস্বীকার করেছে।(৭৯) খোরাসান প্রদেশে (আইএস-কে) ইসলামিক স্টেটের স্থানীয়/আফগান উপস্থিতির বিরুদ্ধে সীমিত কিন্তু নৃশংস যুদ্ধে শাসকগোষ্ঠীও জড়িত। যদিও তালিবানরা সংগঠনের বিদেশি সদস্যদেরই লক্ষ্য করে, এমন কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি।(৮০) সাম্প্রতিক বছরগুলিতে তালিবান অভ্যুত্থানের ফলে আফগানিস্তানে পুনর্বাসিত অন্তত শতাধিক আইএমইউ এবং ইটিআইএম যোদ্ধার কোনও চিহ্নমাত্র নেই।(৮১)(৮২) তালিবান প্রশাসন সংস্থাটিকে নির্মূল করেছে এ হেন দাবি করলেও আইএস-কে-র উপস্থিতি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।(৮৩) ২০২২ সাল নাগাদ মধ্য এশীয় প্রজাতন্ত্রগুলি থেকে আইএস-কে-র জঙ্গিরা আফগানিস্তানে সুসমন্বিত উচ্চ পর্যায়ের আক্রমণ চালিয়েছে।(৮৪)

চিন ও রাশিয়া কূটনীতিতে তালিবানকে সংযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিলেও পদ্ধতিটি এখনও কার্যকর প্রমাণিত হয়নি। যতক্ষণ না তালিবান মূলধারায় ফিরে আসে এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে দায়িত্বশীল আচরণ করে, বেজিং ও মস্কো পদ্ধতিগত ভাবে কাবুলের প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করার জন্য একমাত্র অন্য বিকল্পের দিকেই এগিয়ে যাবে: মধ্য এশিয়ার সঙ্গে তার সীমানা সুদৃঢ় করে আফগানিস্তানকে নিরপেক্ষ অঞ্চল হিসেবে ব্যবহার করা এবং মধ্য এশিয়ার প্রজাতন্ত্রগুলিতে সামরিক উপস্থিতি ও আন্তঃসহযোগিতা বৃদ্ধি করা।

উপসংহার

চিন ও রাশিয়ার আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রেক্ষিতে উভয়ের কাছেই আফগানিস্তানের ভূ-অর্থনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। এর নিছক কৌশলগত অবস্থান দেশটিকে পারস্য এবং মধ্যপ্রাচ্যে বেজিংয়ের পশ্চিমমুখী সম্প্রসারণের জন্য একটি সম্ভাব্য ট্রানজিট হাব করে তুলেছে এবং একই সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার প্রবেশদ্বার হিসেবেও তুলে ধরেছে, যেখানে রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের চাহিদা বেশি। এর পাশাপাশি, আফগানিস্তান লিথিয়াম এবং অন্যান্য বিরল খনিজ উপাদান-সহ প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ।

আফগানিস্তানকে তাদের নিজ নিজ সুবিশাল কৌশলগত সমীকরণে সংযুক্ত করার আগে বেজিং ও মস্কোকে তাদের আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক স্বার্থের জন্য দেশটি যে অস্তিত্বের হুমকির সম্মুখীন, তার মোকাবিলা করতে হবে। আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদ ও রাজনৈতিক হিংসা মধ্য এশিয়ায় চিন ও রাশিয়ার নিজ নিজ ক্ষমতার ক্ষেত্রগুলিকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। তালিবান ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে সন্ত্রাসবাদের পরিধি ও তীব্রতা বেড়েই চলেছে। উপরন্তু, তালিবান আল-কায়েদা, আইএমইউ, ইটিআইএম এবং টিটিপি-সহ আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কোনও অভিপ্রায় প্রদর্শন করেনি এবং প্রকৃত পক্ষে এই নেটওয়ার্কগুলির সঙ্গে তার সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। এর পাশাপাশি, তালিবান শাসনব্যবস্থা তার মূল এবং মৌলিক কঠোর মতাদর্শগত অভিমুখপানে পরিকল্পিত ভাবে এগিয়ে চলেছে, যা আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী নেটওয়ার্কগুলির সঙ্গে তার সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ককে আরও গভীর ও শক্তিশালী করে তুলতে পারে। তালিবান সরকার জিহাদি নেটওয়ার্কগুলির জন্য যে বিদ্যমান অনুকূল পরিবেশ তৈরি করেছে, তা বেজিং এবং মস্কোর জন্যও কৌশলগত প্রভাব বহন করে। বৃহৎ শক্তি প্রতিযোগিতার প্রত্যাবর্তন দু’টি পার্শ্ববর্তী শক্তির জন্য এই ধরনের হুমকির গুরুত্বকে আরও উল্লেখযোগ্য করে তোলে।

আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পরিসর একটি বহুমুখী ব্যবস্থার দিকে পরিবর্তিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেজিং এবং মস্কো তাদের প্রভাবের ক্ষেত্রগুলির পুনর্পরিকল্পনা এবং সমন্বয় করতে ইচ্ছুক। এই পুনর্বিন্যাস বেজিং এবং মস্কো উভয়ের কৌশলগত সমীকরণে আফগানিস্তানের তাত্পর্যকে বৃদ্ধি করার পাশাপাশি আফগানিস্তানের অস্থিতিশীলতা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলির জন্য ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। আফগানিস্তান এই ভাবে দুই শক্তির জন্য একটি কৌশলগত দ্বিধায় পরিণত হয়েছে।

আফগানিস্তানের একটি অপরিকল্পিত পুনর্বিন্যাস তার সীমানা ছাড়িয়ে সংশ্লিষ্ট হুমকির বিস্তার এবং সম্প্রসারণকে তীব্রতর করে তুলবে। অন্য দিকে এর সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্নতা তালিবান প্রশাসনকে বিশ্বব্যাপী জিহাদি কর্মসূচি গ্রহণের আরও কাছে নিয়ে যাবে। বেজিং এবং মস্কো নির্বাচিত সম্পৃক্ততার মধ্যম পথ বেছে নিয়েছে অর্থাৎ প্রশাসনের পূর্ণ স্বীকৃতি এড়িয়ে হুমকি কমানোর জন্য কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় তালিবানকে সংযুক্ত করেছে।

কৌশলটি কাবুলের প্রশাসনকে মূলধারায় আনার সম্ভাবনা কমিয়ে আনে বলে মনে করা হচ্ছে। তাদের আদর্শগত অভিমুখিতা, সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ার সম্পর্কের ইতিহাস এবং অভ্যন্তরীণ শক্তির গতিশীলতার কারণে তালিবানরা জিহাদি গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং তাদের আদর্শগত সামাজিকীকরণ পরিবর্তন করার কাজটিকে কঠিন বলে মনে করে। এ ছাড়া নির্বাচিত সম্পৃক্ততা সন্ত্রাসবাদী নেটওয়ার্কগুলিকে তাদের জিহাদি কর্মসূচি কার্যকর করতে এবং তার বিস্তার ঘটাতে সময় প্রদান করে। কারণ আইএস-কে মধ্য এশিয়ার প্রজাতন্ত্রগুলিতে তার বিস্তার প্রসারিত করছে।

মধ্য এবং দীর্ঘমেয়াদে বেজিং ও মস্কোর কাছে কাবুলে তালিবান প্রশাসনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া ছাড়া এবং আফগানিস্তানকে পৃথক ও নিরপেক্ষ অঞ্চল হিসেবে ব্যবহার করা ছাড়া কোনও বিকল্প থাকবে না। একটি আন্তঃসংযুক্ত কিন্তু অস্থিতিশীল এবং বিরোধী আফগানিস্তান গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলির সংযোগস্থলে অবস্থিত কোনও সীমাবদ্ধ অঞ্চলের চেয়ে বেশি অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে। আফগানিস্তান-উদ্ভূত হুমকি থেকে মধ্য এশিয়াকে সুরক্ষা জোগানোর কাজে দুই দেশই আরও বেশি করে বিনিয়োগ করবে। চিন ইতিমধ্যে আফগানিস্তানের সঙ্গে তার সামান্য পরিসরের সীমান্তকে শক্তিশালী করে তুলেছে। বেজিং এবং মস্কো উভয়ের জন্যই চ্যালেঞ্জ হল আফগানিস্তানের সঙ্গে মধ্য এশিয়ার প্রজাতন্ত্রের সীমান্তকে সুরক্ষিত করা। তালিবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই প্রজাতন্ত্রগুলি তাদের সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। রুক্ষ ভূখণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে সন্ত্রাসবাদ-সহ আন্তঃসীমান্ত হুমকির জন্য এই সীমান্তগুলিকে দুর্ভেদ্য করে তোলাই একটি চ্যালেঞ্জ। তালিবানের অধীনে আফগানিস্তান আগামী বছরগুলিতে তাই রাশিয়া ও চিন উভয়ের জন্যই এক কৌশলগত হুমকি হয়েই থাকবে।


ডক্টর অটল আহমেদজাইনিউ ইয়র্কের সেন্ট লরেন্স ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস-এর অধ্যাপক। তাঁর গবেষণার ক্ষেত্র হল দ্বন্দ্ব, নিরাপত্তা এবং উন্নয়ন।


পাদটীকা

ক) এটি বালুচ জাতীয়তাবাদী এবং ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলির দ্বারা বিদ্যমান সশস্ত্র প্রতিরোধের জন্য ব্যবহৃত একটি শব্দবন্ধ, যা পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশে তাদের স্বদেশে আরও স্বায়ত্তশাসনের দাবি রাখে। এই অঞ্চলটি প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ হলেও প্রদেশটি পাকিস্তানের সবচেয়ে বঞ্চিত এবং দারিদ্র্যপীড়িত অঞ্চল হিসেবেই রয়ে গিয়েছে।

১) নিলোফার শাখাই, ‘হাউ রাশিয়া, চায়না অ্যান্ড ইরান উইল শেপ আফগানিস্তান’স ফিউচার’, দি আটলান্টিক কাউন্সিল, জুন ১৮, ২০২১

২) মাইকেল কফম্যান, অ্যারন স্টেইন অ্যান্ড ইয়ুন সান, ‘আফটার উইথড্রয়াল: হাউ চায়না, টার্কি অ্যান্ড রাশিয়া উইল রেসপন্ড টু দ্য তালিবান’, ওয়ার অন দ্য রকস, অগস্ট ৩১, ২০২১

৩) ডেরেক গ্রসম্যান, ‘চাইনিজ রেকগনিশন অব দ্য তালিবান ইজ অল বাট ইনএভিটেবল’, র‍্যান্ড কর্পোরেশন, অগস্ট ২৭, ২০২১

৪) এরিয়াল কোহেন, ‘অ্যাজ ইউএস রিট্রিটস, চায়না লুকস টু ব্যাক তালিবান উইথ আফগান মাইনিং ইনভেস্টমেন্টস’, ফোর্বস, অগস্ট ১৭, ২০২১

৫) আয়েশা তানজিম, ‘তালিবান: চায়না ইজ রেডি টু ইনভেস্ট বিলিয়নস ইন আফগানিস্তান’, ভয়েস অফ আমেরিকা (ভিওএ), অক্টোবর ১৪, ২০২১

৬) ঝাউ বো, ‘ইন আফগানিস্তান, চায়না ইজ রেডি টু স্টেপ ইনটু দ্য ভয়েড’, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস, অগস্ট ২০, ২০২১

৭) বোবো লো, ‘টার্নিং পয়েন্ট? পুতিন, শি অ্যান্ড দ্য রাশিয়ান ইনভেশন অফ ইউক্রেন’, লোয়ি ইনস্টিটিউট, মে ২৫, ২০২২

৮) রবার্ট কাপ্লান, ‘বেজিং’স আফগান গ্যাম্বল’, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস, অক্টোবর ০৬, ২০০৯

৯) এরিকা ডাউনস, ‘চায়না বাইজ ইনটু আফগানিস্তান’, এসএআইএস রিভিউ ৩২, নং ২ (২০১২): ৬৫-৮৪

১০) লিন্ডসে মেইজল্যান্ড, ‘চায়না’জ রিপ্রেশন অফ উইঘুরস ইন জিনজিয়াং’, কাউন্সিল অব ফরেন রিলেশনস, মার্চ ০১, ২০২১

১১) সান ইয়ুন, ‘চায়না’জ স্ট্র্যাটেজিক অ্যাসেসমেন্ট অফ আফগানিস্তান’, ওয়ার অন দ্য রকস, এপ্রিল ৮, ২০২০, https://warontherocks.com/2020/04/chinas-strategic-assessment-of-afghanistan/

১২) অ্যাঞ্জেলা স্টিন্ট, ‘দি ইমপ্যাক্ট অব সেপ্টেম্বর ১১ অন ইউএস-রাশিয়ান রিলেশনস’, দ্য ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশন, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১, https://www.brookings.edu/blog/order-from-chaos/2021/09/08/the-impact-of-september-11-on-us-russian-relations/

১৩) হেনরি প্ল্যাটার-জায়বার্ক, ‘রাশিয়া’জ কন্ট্রিবিউশন অ্যাজ আ পার্টনার ইন দ্য ওয়ার অন টেররিজম’, ইউএস আর্মি ওয়ার কলেজ প্রেস ৪৮৯ (২০১৪), https://press.armywarcollege.edu/monographs/489

১৪) ঝাও হং, ‘চায়না’জ আফগান পলিসি: দ্য ফর্মিং অব দ্য ‘মার্চ ওয়েস্ট’ স্ট্র্যাটেজি?’ দ্য জার্নাল অফ ইস্ট এশিয়ান অ্যাফেয়ার্স ২৭, নং ২ (২০১৩) : ১-২৯

১৫) হং, ‘চায়না’জ আফগান পলিসি’

১৬) হাবিব খান তোতাখিল এবং জশ চিন, ‘চায়না ক্রিয়েটস নিউ অ্যাভিনিউ ফর আফগান পিস টকস’, দি ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, জানুয়ারি ৬, ২০১৫, https://www.wsj.com/articles/china-creates-new-avenue-for-afghan-peace-talks-1420564492

১৭) ভন্দা ফেলবাব-ব্রাউন, ‘ব্রিজ টু ফার: দি আনফুলফিলড প্রমিস অ্যান্ড লিমিটেশনস অব চায়না’জ ইনভলভমেন্ট ইন আফগানিস্তান’ দ্য ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশন, জুন ২০২০, https://www.brookings.edu/research/a-bridge-too-far-the-unfulfilled-promise-and-limitations-of-chinas-involvement-in-afghanistan/

১৮) রবার্ট কাপলান, দ্য রিভেঞ্জ অব জিওগ্রাফি: হোয়াট দ্য ম্যাপ টেলস আস অ্যাবাউট কামিং কনফ্লিক্টস অ্যান্ড দ্য ব্যাটল এগেনস্ট ফেট (নিউ ইয়র্ক: র‍্যানডম হাউস, ২০১২)

১৯) রাইসিনা ডায়লগ, ‘দ্য নিউ নর্মাল মাল্টিল্যাটেরালিজম উইথ মাল্টিপোলারিটি: কনফারেন্স রিপোর্ট ২০১৭’, অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন (২০১৭), https://www.orfonline.org/wp-content/uploads/2020/01/Raisina-Report-2017-WEB.pdf

২০) ভন্দা ফেলবাব-ব্রাউন, অ্যাসপিরেশন অ্যান্ড অ্যাম্বিভ্যালেন্স: স্ট্র্যাটেজিস অ্যান্ড রিয়্যালিটিস অব কাউন্টারইনসার্জেন্সি অ্যান্ড স্টেট-বিল্ডিং ইন আফগানিস্তান (দ্য ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশন প্রেস, ২০১২)

২১) গভর্নমেন্ট অফ আফগানিস্তান, ‘ট্রানস্ক্রিপ্ট অব প্রেসিডেন্ট মহম্মদ আশরাফ গনি’জ স্পিচ ইন সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশন সামিট’, বখতার নিউজ এজেন্সি, জুন ৬, ২০১৬, https://bakhtarnews.af/en/transcript-of-president-mohammad-ashraf-ghanis-speech-in-shanghai-cooperation-organization-summit/

২২) অন্বেষা ঘোষ, ‘চায়না’জ গ্রোয়িং ইনফ্লুয়েন্স ইন আফগানিস্তান অ্যান্ড ইটস ইমপ্লিকেশনস ফর দ্য পিস প্রসেস’, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স, নভেম্বর ২৬, ২০১৯, https://www.icwa.in/show_content.php?lang=1&level=3&ls_id=3856&lid=2935

২৩) নভিদ জাফরি, ‘ক্যান চায়না বি  পিসমেকার ইন আফগানিস্তান?’ দি ইন্টারপ্রেটার, অক্টোবর ২০, ২০২০, https://www.lowyinstitute.org/the-interpreter/can-china-be-peacemaker-afghanistan

২৪) শুভাঙ্গী পাণ্ডে, ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং চায়না’জ আফগানিস্তান পলিসি: ফ্রম ক্যালকুলেটেড ইনডিফারেন্স টু স্ট্র্যাটেজিক এনগেজমেন্ট’, অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন, ইস্যু ব্রিফ নং ৩০৫ (২০১৯)

২৫) হামিদ শালিজি, ‘আফগানস অ্যারেস্টেড চাইনিজ উইঘুরস টু এইড তালিবান টকস বিড: অফিশিয়ালস’, রয়টার্স, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৫, https://www.reuters.com/article/us-afghanistan-taliban-china/afghans-arrested-chinese-uighurs-to-aid-taliban-talks-bid-officials-idUSKBN0LO18020150220

২৬) এডওয়ার্ড ওয়ং এবং মুজিব মাশাল, ‘তালিবান অ্যান্ড আফগান অফিশিয়ালস হ্যাভ সিক্রেট টকস ইন চায়না’, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস, মার্চ ২৫, ২০১৫, https://www.nytimes.com/2015/05/26/world/asia/taliban-and-afghan-peace-officials-have-secret-talks-in-china.html

২৭) সুজান কোয়েলব, ‘ইউ আস্ক কোয়েশ্চেনস লাইক অ্যান ইনভেস্টিগেটর’, স্পিগেল ইন্টারন্যাশনাল, জুলাই ৮, ২০২২, https://www.spiegel.de/international/world/der-spiegel-interview-with-taliban-leader-anas-haqqani-you-ask-questions-like-an-investigator-a-da3d8658-fcce-4865-a4f2-91eb3e1aff93

২৮) প্ল্যাটার-জায়বার্ক, ‘রাশিয়া’জ কন্ট্রিবিউশন’, ১-২৯

২৯) দিমিত্রি ত্রেনিন এবং অ্যালেক্সেই মালশেঙ্কো, ‘আফগানিস্তান আ ভিউ ফ্রম মস্কো’, কার্নেগি এনডাউমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস, ২০১০, https://carnegieendowment.org/files/trenin_afghan_final.pdf

৩০) পিটার বেকার, ‘রাশিয়া টু ওপেন এয়ারস্পেস টু ইউএস ফর আফগান ওয়ার’, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস, জুলাই ৩, ২০০৯, https://www.nytimes.com/2009/07/04/world/europe/04russia.html

৩১) নুরল্যান আলিয়েভ, ‘হাউ রাশিয়া ভিউজ আফগানিস্তান টুডে’, ওয়ার অন দ্য রকস, অক্টোবর ১৯, ২০২০, https://warontherocks.com/2020/10/russias-contemporary-afghan-policy/

৩২) মাসুদ সইফুল্লা, ‘হোয়াই ইজ রাশিয়া সো ইন্টারেস্টেড ইন আফগানিস্তান অল অফ আ সাডেন?’ দাস ওয়েল (ডিডব্লিউ), জানুয়ারি ০৩, ২০১৭, https://www.dw.com/en/why-is-russia-so-interested-in-afghanistan-all-of-a-sudden/a-36989680

৩৩) রয়টার্স স্টাফ, ‘রাশিয়া’জ ইন্টারেস্টস কোইনসাইড উইথ তালিবান’স ইন ফাইট এগেনস্ট আইএসআইএস: এজেন্সি সাইটস ডিপ্লোম্যাট’, রয়টার্স, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৫, https://www.reuters.com/article/us-mideast-crisis-russia-taliban/russias-interests-coincide-with-talibans-in-fight-against-isis-agency-cites-diplomat-idUSKBN0U61EQ20151223

৩৪) পিটার কজলোভ এবং অ্যানা রায়ান্ডা, ‘আফগান ক্রাইসিস: রাশিয়া প্ল্যানস ফর নিউ এরা উইথ তালিবান রুল’, দ্য ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (বিবিসি), অগস্ট ২১, ২০২১, https://www.bbc.com/news/world-europe-58265934

৩৫) শামিল শামস, ‘অ্যান আফগানিস্তান কনফারেন্স উইদাউট আফগানিস্তান’, দাস ওয়েল (ডিডব্লিউ), ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬, https://www.dw.com/en/an-afghanistan-conference-without-afghanistan/a-36922029

৩৬) একাতেরিনা স্তেপানোভা, ‘রাশিয়া অ্যান্ড দ্য সার্চ ফর আ নেগোশিয়েটেড সলিউশন ইন আফগানিস্তান’, ইউরোপ-এশিয়া স্টাডিজ ৭৩, নং ৫ (২০১২) : ৯২৮-৯৫২

৩৭) জাস্টিন রাওলাট, ‘রাশিয়া ‘আর্মিং দি আফগান তালিবান’, সেজ ইউএস’, ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (বিবিসি), মার্চ ২৩, ২০১৮, https://www.bbc.com/news/world-asia-43500299

৩৮) সাবিন ফিশার এবং অ্যাঞ্জেলা স্ট্যাঞ্জেল, ‘আফগানিস্তান: দ্য ওয়েস্ট ফেলস – আ উইন ফর চায়না অ্যান্ড রাশিয়া?: দ্য ভিউজ ফ্রম বেজিং অ্যান্ড মস্কো’, জার্মান ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাফেয়ার্স (২০২১)

৩৯) গ্রসম্যান, ‘চাইনিজ রেকগনিশন অব দ্য তালিবান’

৪১) তানজিম, ‘তালিবান: চায়না ইজ রেডি’

৪১) কজলোভ এবং রায়ান্ডা, ‘আফগান ক্রাইসিস’

৪২) রয়টার্স, ‘রাশিয়া অ্যাক্রেডিটস তালিবান এনভয়, ভয়েসেস কনসার্ন অ্যাবাউট ইসলামিস্ট গ্রুপস’, রয়টার্স, মার্চ ৩১, ২০২২,

৪৩) হাশ্ত এ শুভ, ‘চায়না ওয়েলকামস তালিবান’স ডিপ্লোম্যাটস’, হাশ্ত এ শুভ, এপ্রিল ৪, ২০২২, https://www.reuters.com/world/russia-concerned-islamic-states-plans-destabilise-central-asia-report-2022-03-31/https://8am.media/eng/china-welcomes-talibans-diplomats/

৪৪) আকমাল দাওয়ি, ‘রাশিয়া অফারস এক্সকিউজেস ফর তালিবান ক্লোজিং স্কুলস ফর গার্লস’, ভয়েস অফ আমেরিকা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২, https://www.voanews.com/a/russia-offers-excuses-for-taliban-closing-schools-for-girls/6746153.html

৪৫) দ্য পিপল’স রিপাবলিক অব চায়না, ‘ওয়াং ই হোল্ডস টকস উইথ রাশিয়ান ফরেন মিনিস্টার সের্গেই লাভরভ’, মিনিস্ট্রি অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স (এমএফএ), মার্চ ৩০, ২০২২, https://www.fmprc.gov.cn/mfa_eng/zxxx_662805/202203/t20220331_10658029.html#:~:text=On%20March%2030%2C%202022%2C%20State,%2C%20in%20Tunxi%2C%20Anhui%20Province

৪৬) সাদ আল-কাতানি, ‘উইল দ্য সিনো-ইরানিয়ান এগ্রিমেন্ট সার্ভ দ্য অ্যাম্বিশাস জিওপলিটিক্যাল ইন্টারেসটস অব চায়না?’ কার্নেগি এনডাওমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস, অগস্ট ৯, ২০২১, https://carnegieendowment.org/sada/85122

৪৭) দোস্ত মহম্মদ ব্যারেক, ‘ইউএস গ্রাজ এগেনস্ট সিপিইসি’, পাকিস্তান অবজার্ভার, জানুয়ারি ২১, ২০২০, https://pakobserver.net/us-grudge-against-cpec/

৪৮) জেনিফার মুর্তাজাশভিলি, ‘চায়না’স অ্যাক্টিভিটিজ অ্যান্ড ইনফ্লুয়েন্স ইন সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল এশিয়া’, কার্নেগি এনডাওমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস, মে ২০২২, https://carnegieendowment.org/2022/05/17/china-s-activities-and-influence-in-south-and-central-asia-pub-87146

৪৯) ম্যাট ম্যাকগ্রেগর, ‘বালোচ ইনসার্জেন্সি কন্টিনিউস অ্যামিড সিপিইসি ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল পিআর ক্যাম্পেন’, দি অবজার্ভার, মার্চ ২০২১, https://theobserver-qiaa.org/baloch-insurgency-continues-amid-cpec-development-and-international-pr-campaign

৫০) দ্য রাশিয়ান ফেডারেশন, ‘দ্য কনসেপ্ট অব দ্য ফরেন পলিসি অব দ্য রাশিয়ান ফেডারেশন’, পার্মানেন্ট মিশন অব দ্য রাশিয়ান ফেডারেশন টু দ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, মার্চ ৩১, ২০২৩, https://russiaeu.ru/en/news/concept-foreign-policy-russian-federation#:~:text=Russian%20foreign%20policy%20is%20peaceful,problems%20and%20promote%20common%20interests

৫১) স্মৃতি এস পট্টনায়ক, ‘রাশিয়ান অয়েল ফর সাউথ এশিয়া’, দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট, মার্চ ১৭, ২০২৩, https://asianews.network/russian-oil-for-south-asia/

৫২) ইন্টারফ্যাক্স, ‘রাশিয়া মাইট বি ইন্টারেস্টেড ইন পার্টিসিপেটিং ইন টাপি গ্যাস পাইপলাইন – এনার্জি মিনিস্টার’, ইন্টারফ্যাক্স, জানুয়ারি ২০, ২০২৩, https://interfax.com/newsroom/top-stories/87088/#:~:text=ISLAMABAD.,with%20television%20channel%20PTV%20World

৫৩) টাস, ‘রাশিয়া কনসিডারস টাপি পাইপলাইন আইডিয়া ইন্টারেস্টিং – স্পেশ্যাল এনভয়’, টাস, জানুয়ারি ৩১, ২০২২, https://tass.com/economy/1395497

৫৪) রিয়োসুকে হানাদা, ‘তালিবান বিল্ড টাইজ টু ইউএস রাইভালস উইথ নিউ চায়না অয়েল ডিল’, নিক্কেই এশিয়া, জানুয়ারি ১৯, ২০২৩, https://asia.nikkei.com/Politics/International-relations/Taliban-build-ties-to-U.S.-rivals-with-new-China-oil-deal2

৫৫) দ্য পিপলস রিপাবলিক অব চায়না,  ‘চায়না’জ পজিশন অন দ্য আফগান ইস্যু’, মিনিস্ট্রি অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স, এপ্রিল ১২, ২০২৩, https://www.fmprc.gov.cn/mfa_eng/zxxx_662805/202304/t20230412_11057785.html

৫৬) দ্য পিপল’স রিপাবলিক অব চায়না, ‘ওয়াং ই হোল্ডস টকস’, মার্চ ২৫, ২০২২

৫৭) দ্য পিপল’স রিপাবলিক অব চায়না, ‘ওয়াং ই চেয়ারস দ্য ফরেন মিনিস্টারস’ মিটিং অ্যামং চায়না, আফগানিস্তান অ্যান্ড পাকিস্তান’, মিনিস্ট্রি অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স, মার্চ ৩১, ২০২২, https://www.fmprc.gov.cn/eng/gjhdq_665435/2675_665437/2676_663356/2678_663360/202203/t20220331_10658064.html#:~:text=On%20March%2030%2C%202022%2C%20State,Khan%20Muttaqi%20attended%20the%20meeting

৫৮) স্যামুয়েল রামানি, ‘রাশিয়া অ্যান্ড দ্য তালিবান: প্রস্পেক্টিভ পার্টনারস?’ আরইউএসআই, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১, https://rusi.org/explore-our-research/publications/commentary/russia-and-taliban-prospective-partners

৫৯) রয়টার্স, ‘রাশিয়া অ্যাক্রেডিটস তালিবান এনভয়, ভয়েসেজ কনসার্ন অ্যাবাউট ইসলামিস্ট গ্রুপস’, রয়টার্স, মার্চ ৩১, ২০২২, https://www.reuters.com/world/russia-concerned-islamic-states-plans-destabilise-central-asia-report-2022-03-31/

৬০) লিউ কাইয়ু, ‘মস্কো ফরম্যাট টকস হাইলাইট চায়না-রাশিয়া কোঅর্ডিনেশন অন আফগান ইস্যু, কনস্পিকুয়াস ইউএস অ্যাবসেন্স’, গ্লোবাল টাইমস, অক্টোবর ২০, ২০২১, https://www.globaltimes.cn/page/202110/1236854.shtml

৬১) এলিজাবেথ উইশনিক, ‘প্রসপেক্টস ফর সিনো-রাশিয়া কোঅর্ডিনেশন ইন আফগানিস্তান’, ওয়ার অন দ্য রকস, নভেম্বর ৮, ২০২১

৬২) দ্য পিপল’স রিপাবলিক অব চায়না, ‘জয়েন্ট স্টেটমেন্ট অব দ্য সেকেন্ড ইনফর্মাল মিটিং অন আফগানিস্তান বিটুইন ফরেন মিনিস্টারস অব চায়না, রাশিয়া, পাকিস্তান অ্যান্ড ইরান’, মিনিস্ট্রি অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স, এপ্রিল ১৪, ২০২৪

৬৩) অনন্ত কৃষ্ণন, ‘আই অন আফগানিস্তান, চায়না টু বিল্ড মিলিটারি বেস ইন তাজিকিস্তান’, দ্য হিন্দু, অক্টোবর ২৮, ২০২১

৬৪) লরা ঝাউ, ‘চায়না কনডাক্টস অ্যান্টি-টেরর ড্রিল উইথ তাজিকিস্তান, অ্যাজ আফগান স্পিলওভার ওয়ারিজ গ্রিপ সেন্ট্রাল এশিয়া’, সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট, অগস্ট ১৮, ২০২১

৬৫) রেড স্ট্যানডিশ, ‘সেন্ট্রাল এশিয়া কট বিটুইন ‘টু ফায়ারস’ অ্যাজ ইট ব্রাঞ্চেস আউট ফ্রম রাশিয়া’, রেডিও ফ্রি ইউরোপ, ডিসেম্বর ৬, ২০২২

৬৬) ফিদেল রহমাতি, ‘রাশিয়া, তাজিকিস্তান ট্রুপস হোল্ড মিলিটারি এক্সারসাইজেস নিয়ার আফগানিস্তান বর্ডার’, খামা প্রেস, এপ্রিল ৩, ২০২৩

৬৭) অটল আহমদজাই, ‘আইএস-খোরাসান: অর্গানাইজেশনাল স্ট্রাকচার, ইডিওলজিক্যাল কনভারজেন্স উইথ দ্য তালিবান, অ্যান্ড ফিউচার প্রসপেক্টস’, পার্সপেক্টিভস অন টেররিজম ১৬, নং ৫ (২০২২): ২-১৯

৬৮) দি ইসলামিক স্টেট উইলায়াত খোরাসান, ‘ভয়েস অব খোরাসান’, ইস্যু ১৭, রজব ৬, ১৪৪৪

৬৯) লুকাস ওয়েবার, ‘আইএসকেপি অ্যাটাক অন চাইনিজ ন্যাশনালস ইন কাবুল আনলিশেস ওয়েভ অফ অ্যান্টি-চাইনিজ জিহাদিস্ট প্রোপাগান্ডা’, টেররিজম মনিটর, ২১, নং ১ (২০২৩)

৭০) দ্য ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন, ‘আফগানিস্তান: ডেডলি সুইসাইড বম্বিং আউটসাইড ফরেন মিনিস্ট্রি’, বিবিসি, জানুয়ারি ১২, ২০২৩

৭১) লুকাস ওয়েবার এবং রিকার্দো ভাল্লে, ‘ইসলামিক স্টেট ইন আফগানিস্তান লুকস টু রিক্রুট রিজিওনাল তাজিকস, ইনফ্লিক্ট ভায়োলেন্স এগেনস্ট তাজিকিস্তান’, দ্য ডিপ্লোম্যাট, এপ্রিল ২৯, ২০২২

৭২) আহমদজাই, ‘আইএস-খোরাসান, ২-১৯

৭৩) ক্লেটন থমাস, ‘আফগানিস্তান: ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যান্ড ইউএস পলিসি: ইন ব্রিফ’, কনগ্রেশনাল রিসার্চ সার্ভিস, আর৪৫১২২, ২০২২

৭৪) পিটার মিলস, ‘আফগানিস্তান ইন রিভিউ: তালিবান অ্যান্ড অপোজিশন গ্রুপস প্রিপেয়ার ফর আ নিউ স্প্রিং ফাইটিং সিজন ইন আফগানিস্তান’, ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অফ ওয়ার (আইএসডব্লিউ), মার্চ ৯, ২০২২

৭৫) ইউনাইটেড স্টেটস কংগ্রেস, ‘কোয়ার্টারলি রিপোর্ট টু দি ইউনাইটেড স্টেটস কংগ্রেস’, স্পেশ্যাল ইনস্পেকশন জেনারেল ফর আফগানিস্তান রিকনস্ট্রাকশন (সিগার), জানুয়ারি ৩০, ২০২২

৭৬) দ্য পিপল’স রিপাবলিক অব চায়না, ‘ভিডিও মেসেজ বাই স্টেট কাউন্সিলর অ্যান্ড ফরেন মিনিস্টার ওয়াং ই টু দ্য সেকেন্ড মিটিং অব ফরেন মিনিস্টারস অব দ্য নেবারিং কান্ট্রিজ অফ আফগানিস্তান’, মিনিস্ট্রি অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স (এমএফএ), অক্টোবর ২৭, ২০২১

৭৭) দ্য পিপল’স রিপাবলিক অব চায়না, ‘জয়েন্ট স্টেটমেন্ট অব দ্য সেকেন্ড ইনফর্মাল মিটিং অন আফগানিস্তান বিটুইন ফরেন মিনিস্টারস অব চায়না, রাশিয়া, পাকিস্তান অ্যান্ড ইরান’, মিনিস্ট্রি অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স, এপ্রিল ১৪, ২০২৩

৭৮) ইসলামউদ্দিন সাজিদ, ‘নো প্লেস ফর দায়েশ/ আইএসআইএস ইন আফগানিস্তান: তালিবান স্পোকসম্যান’, আন্দালু এজেন্সি, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১

৭৯) রেজাউল লস্কর, ‘ওসামা বিন লাদেন’স সন ভিজিটেড আফগানিস্তান ইন অক্টোবর, হেল্ড মিটিংস উইথ তালিবান: ইউএন রিপোর্ট’, দ্য হিন্দুস্তান টাইমস, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২২

৮০) আহমদজাই, ‘আইএস-খোরাসান’, ২-১৯

৮১) আহমফ বারিল, ‘দ্য ফাইট বিটুইন দ্য তালিবান অ্যান্ড আইএসআইএস মিলিট্যান্টস ফর্ম উজবেকিস্তান এন্ডেড ইন জাবুল’, নানএশিয়া, নভেম্বর ৯, ২০১৫

৮২) সৌদ মাশুদ এবং মারিয়া গলভনিনা, ‘ফ্রম হিজ পাকিস্তান হাইডআউট, উইঘুর লিডার ভাওজ রিভেঞ্জ অন চায়না’, রয়টার্স, মার্চ ১৪, ২০১৪

৮৩) আসফানদায়র মির, ‘হোয়াট ডাজ আইএস-কে’জ রিসার্জেন্স মিন ফর আফগানিস্তান অ্যান্ড বিয়ন্ড?’, ইউনাইটেড স্টেটস ইনস্টিটিউট অব পিস (ইউএসআইপি), ওয়াশিংটন ডিসি, ২০২১

৮৪) আকমল দাওয়ি, ‘আইএস রিক্রুটস মাল্টিএথনিক ফাইটারস ইন আফগানিস্তান, থ্রেটনিং রিজিওনাল সিকিউরিটি, ইউএস সেজ’, ভয়েস অফ আমেরিকা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২২

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.