Author : Sabrina Korreck

Published on Dec 25, 2021 Updated 0 Hours ago

ফ্রিলান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলোর মাধ্যমে কাজের সুযোগ সদ্ব্যবহারের জন্য মানুষকে সক্ষম করতে হবে। সম্ভাব্য ফ্রিলান্সারদের বাজারে প্রবেশ ও তাঁদের পরিষেবার বিশ্বব্যাপী চাহিদার সুযোগ নেওয়ার জন্য প্রয়োজন সাশ্রয়ী ও নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ, বিশেষ করে বড় শহর থেকে দূরবর্তী অঞ্চলে।

কাজের পরিবর্তনশীল ভূগোল: ডিজিটালাইজড শ্রম বাজারে ভারতের অনলাইন গিগ কর্মীরা

ডিজিটাল লেবার প্ল্যাটফর্ম, বা কাজের–সন্ধানে–থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে যাঁরা কাজ দেন তাঁদের মধ্যে যোগসূত্র হিসেবে অনলাইন বাজার, নিঃসন্দেহে ভবিষ্যতে কাজের চেহারা নির্ণয়ে সাহায্য করবে। এই নিবন্ধে পর্যালোচনা করা হয়েছে গিগ কর্মীদের (বা ফ্রিলান্সারদের)‌ কাজে লাগানোর জন্য তৈরি প্ল্যাটফর্মগুলোকে, যেগুলোকে কর্মপ্রার্থীরা তাঁদের দেশের বাজারে বা অন্যত্র ডিজিটাল কাজের সুযোগ খুঁজতে ব্যবহার করেন এবং তারপর তাঁদের পরিষেবা দূর থেকেই সরবরাহ করেন। এই নিবন্ধে এর অন্তর্নিহিত প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি এবং কোভিড–১৯ অতিমারি কী ভাবে এই প্রবণতাকে আরও জোরদার করেছে তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এখানে ভারতের বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে, এর সম্ভাব্য লাভ ও অসুবিধার দিকগুলির মূল্যায়ন করা হয়েছে, এবং নীতি প্রণয়নের সময় কোন বিষয়গুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিৎ সেই সংক্রান্ত সুপারিশের রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।

আরোপন:‌ সাবরিনা কোরেক, “চেঞ্জিং জিওগ্রাফিজ অফ ওয়র্ক: ইন্ডিয়া’‌জ অনলাইন গিগ ওয়র্কর্স ইন আ ডিজিটালাইজড লেবার মার্কেট,” ওআরএফ ইস্যু ব্রিফ নাম্বার ৫০৭, নভেম্বর ২০২১, অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন।


ভূমিকা

ডিজিটাল প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গেই রূপান্তর ঘটছে শ্রম বাজারের। এই পরিবর্তনগুলোর মধ্যে আছে প্ল্যাটফর্ম অর্থনীতির উদয়, এবং বিশেষ করে ডিজিটাল লেবার প্ল্যাটফর্ম, অর্থাৎ কাজের–সন্ধানে–থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে যাঁরা কাজ দেন তাঁদের মধ্যে যোগসূত্র হিসাবে অনলাইন বাজারগুলো। এই শতাব্দীর গোড়ার দিকে এগুলো প্রথম আসতে শুরু করেছিল;‌ তারপর বিশ্ব জুড়ে সেগুলোর সংখ্যা ২০১০ সালের ১৪২ থেকে ক্রমশ বেড়ে ২০২০তে দাঁড়াল ৭৭৭-এরও বেশি।[১] এখন এগুলোর সুযোগ আরও বাড়ছে, কারণ এদের ব্যবসার মডেলের প্রসার ঘটছে ভৌগোলিক ভাবে, নতুন নতুন পেশায়, এবং নতুন নতুন পরিষেবায় (‌যেমন অর্থনৈতিক পরিষেবা অথবা কাজকর্মগত বা ঝুঁকি পরিচালন)‌। এই প্ল্যাটফর্মগুলোর পরিপূরক হিসেবে আসছে একটা বর্ধিষ্ণু বাস্তুতন্ত্র, যার মধ্যে আছে পেমেন্ট বা দক্ষতাবৃদ্ধি নিয়ে কোর্স করানোর মতো লোকজন, বিমা সংস্থা, এবং সেই সঙ্গে সামাজিক নেটওয়র্কগুলো যেখানে কর্মীরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করতে ও পরস্পরের কাছ থেকে সাহায্য পেতে পারেন।[২] এতে প্রায় কোনও সংশয় নেই যে ডিজিটাল লেবার প্ল্যাটফর্মগুলো ভবিষ্যতে কাজের চেহারা নির্ণয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।

এখন অনেক ধরনের ডিজিটাল লেবার প্ল্যাটফর্ম আছে, এবং সেগুলোকে মোটের উপর দুই শ্রেণিতে ভাগ করা যায়: স্থাননির্ভর প্ল্যাটফর্ম, যেগুলো নির্দিষ্ট জায়গায় সশরীরে করতে হয় এমন কাজের মধ্যস্থতা করে (‌যেমন ট্যাক্সি, ডেলিভারি, বাড়িতে জিনিস পৌঁছে দেওয়া, গৃহকর্ম ও দেখাশোনার কাজ)‌ ও ওয়েব–নির্ভর প্ল্যাটফর্ম যা অসংখ্য লোকের বা বাছাই–করা কিছু লোকের অনলাইন কাজের মধ্যস্থতা করে।[৩] এই আলোচনায় নজর থাকবে দ্বিতীয় ধরনের প্ল্যাটফর্মের উপর যেগুলোর কাজ অনলাইন গিগ কর্মীদের বা ফ্রিলান্সারদের নিয়ে।[ক] অতীতে অধিকাংশ কাজের জায়গায় কর্মীর শারীরিক উপস্থিতির প্রয়োজন হত। কিন্তু ডিজিটাল প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে এখন দূর থেকে উৎপাদন করা বা তা পৌঁছে দেওয়ার নতুন নতুন সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। এই পরিষেবাগুলো বিক্রি হতে পারে প্ল্যাটফর্মগুলোর মাধ্যমে যেগুলো ভৌগোলিক ভাবে দূর দূরান্তরে থাকা বহু বিভিন্ন ধরনের ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে যোগাযোগ ঘটায়। ফ্রিলান্সাররা সেখানে নিজেদের প্রোফাইল তৈরি করে দক্ষতার বিবরণ দেন, কাজের জন্য প্রতিযোগিতায় নামেন, এবং দেশের বাজারে বা বিশ্বের যে কোনও জায়গায় ডিজিটাল কাজের সুযোগ পান। অন্য দিকে, বাণিজ্যিক সংস্থাগুলো, যারা পরিষেবা আউটসোর্স করতে চায়, অর্থাৎ বাইরে থেকে কিনতে চায় এমন সব পরিষেবা যা আগে তারা নিজেরাই তৈরি করত, তারা ওই প্ল্যাটফর্মে তাদের প্রকল্পগুলো তুলে ধরে বিশ্বের নানা জায়গা থেকে এবং যোগ্যতার এক বৃহত্তর ক্ষেত্র থেকে দক্ষ পেশাদারদের কাজে নিয়োগ করতে পারে।

বাকি নিবন্ধের কাঠামোটি এই রকম:‌ দ্বিতীয় পর্বে ব্যাখ্যা করা হয়েছে অনলাইন গিগ কাজের বা ফ্রিলান্সিংয়ের বেড়ে–চলা প্রবণতার অন্তর্নিহিত প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক চালিকাশক্তিগুলোকে, এবং সেই সঙ্গেই দেখানো হয়েছে কী ভাবে অতিমারি এই প্রবণতাকে আরও জোরদার করে তুলল। তার পরের অংশ ভারতে এই প্রক্রিয়া কী ভাবে এগোচ্ছে তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। চতুর্থ পর্বে কর্মসৃষ্টি ও অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিকরণের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য লাভগুলি নিয়ে এবং তার পাশাপাশি অনলাইন ফ্রিলান্সারদের জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বা এর ক্ষতিকর দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আলোচনার শেষে নীতিগত অগ্রাধিকারসমূহ কী হওয়া উচিত তার সুপারিশ করা হয়েছে।

অনলাইন গিগ কাজের চালিকাশক্তি

অনলাইন কাজে ফ্রিলান্সিং বেড়ে যাওয়ার পেছনে প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক কারণ আছে, আর গত দু’‌বছরের কোভিড–১৯ অতিমারি এই প্রবণতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন আর তা ঘরোয়া বাজারে সীমাবদ্ধ নয়, বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে তা বিশ্বায়নের একটা নতুন পর্ব হিসেবে ক্রমাগত বেশি করে বিশ্বজনীন পরিষেবায় পরিণত হচ্ছে। অতীতে বিশ্বায়ন শুধু সরকার, বহুপাক্ষিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা বড় বহুজাতিক সংস্থাগুলোর হাত ধরে এগোত। এখন বিশ্বব্যাপী পরিসরের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলো এতে বড় ভূমিকা নিচ্ছে এবং ফ্রিলান্সারদের (‌ও ছোট সংস্থার)‌ প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে।[৪] হিসাব অনুযায়ী কিছু পরিষেবা, যার মধ্যে আউটসোর্স–করা বাণিজ্যও আছে, সেগুলো ক্রমেই স্থান–নির্ভরতা ছেড়ে বিশ্বায়িত হচ্ছে। এর পরিসর ও পরিমাণ এতই বেশি যে তা বহুজাতিকেরা যে পণ্য তৈরি করে তাকেও ছাপিয়ে যেতে পারে।[৫]

প্রযুক্তিগত চালিকাশক্তি

পরিষেবার উৎপাদন ও তা পৌঁছে দেওয়ার কাজটা অতীতে মুখোমুখি যোগাযোগের মাধ্যমে সম্পাদিত হত, এবং তার জন্য যিনি পরিষেবা দেবেন কর্মক্ষেত্রে তাঁর উপস্থিতির প্রয়োজন হত। এখন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ডিজিটাল যোগাযোগ ও প্ল্যাটফর্মের সংখ্যা বাড়তে থাকায় এবং নতুন ডিজিটাল প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ফলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি)‌ নেটওয়র্কের মাধ্যমে দূর থেকে কাজ সম্পাদন ও সরবরাহের নতুন নতুন সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।

এই নতুন পরিস্থিতিতে কর্মীরা থাকতে পারেন এক জায়গায়, আর কাজ করতে পারেন অন্য জায়গার সংস্থা বা সংগঠনের সঙ্গে। কাজ কোথায় সম্পাদিত হচ্ছে তার উপর বিধিনিষেধ কমে যাওয়ায় ফ্রিলান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলো ‘‌বিশ্বায়িত’‌ শ্রম বাজারের ‘‌প্রক্সি’‌ হয়ে উঠেছে, যেখানে স্থাননির্বিশেষে সকলেই কাজ পাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতায় নামতে পারেন।[৬]

প্ল্যাটফর্মগুলো ছাড়াও অন্যান্য উন্নত ডিজিটাল প্রযুক্তি শারীরিক দূরত্বমোচনে এবং ‘‌দূরবর্তী’‌ কর্মীদের কাছে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে সহায়তা করছে। এর মধ্যে আছে সহযোগিতামূলক, ক্লাউড–নির্ভর সফটঅয়্যার প্যাকেজ ও টেলিযোগাযোগ হার্ডঅয়্যার, মেশিন ট্রান্সলেশন প্রযুক্তি যা শীঘ্রই ফ্রিলান্সারদের চলনসই ইংরেজিতে কর্মক্ষম করে তুলবে, এবং সেই সঙ্গে টেলিপ্রেজেন্স কক্ষ ও রোবট যার দৌলতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে থাকা সহকর্মীদের বা ক্লায়েন্টদের মনে হবে তাঁরা একই ঘরে বসে কাজ করছেন।[৭]

অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি

ক্রমবর্ধমান দ্রুতগতিসম্পন্ন ও অনিশ্চিত বাণিজ্যিক পরিবেশের মধ্যে নমনীয়তাই হল মূল কথা। ফ্রিলান্সারদের কাছে কাজ আউটসোর্স করে বাণিজ্যিক সংস্থাগুলো তাদের পুরো সময়ের কর্মী নিয়োগের নির্দিষ্ট খরচকে বদলে নিতে পারে চাহিদা অনুযায়ী কাজ করিয়ে নিয়ে পেমেন্ট করার পরিবর্তনশীল খরচে। এর ফলে শ্রমের জন্য খরচ কমে যায়, কারণ প্ল্যাটফর্ম থেকে ফ্রিলান্সারদের নিয়োগ করা যায় এবং যোগ্যতাসম্পন্ন কনট্র‌্যাক্টরদের মধ্যে প্রতিযোগিতার ফলে মজুরির উপরে নিম্নমুখী চাপ পড়ে।[৮] তা ছাড়া ২০২০ সালের একটি বহুদেশীয় সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ফ্রিলান্সারদের ৮৩ শতাংশ বাড়ি থেকে কাজ করেন, আর ১৭ শতাংশ কাজ করেন অন্য কোথাও অনেকে এক সঙ্গে মিলে বা কফি শপ, ক্লায়েন্টের অফিস, লাইব্রেরি বা ব্যক্তিগত অফিস থেকে।[৯] এর অর্থ অফিসের আসবাব বা যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য নির্দিষ্ট খরচের জন্য বিনিয়োগের প্রয়োজন কমে যাওয়া।

ফ্রিলান্সার ভাড়া করার অর্থনৈতিক যুক্তি আরও পোক্ত হয় যখন বিভিন্ন দেশের মধ্যে মজুরির হারের তফাত হয়। এর ফলে সংস্থাগুলো শ্রমিকের সঙ্গে দর–কষাকষির সুবিধা পেয়ে যায়। উন্নয়নশীল দেশগুলোর ফ্রিলান্স প্ল্যাটফর্মের কর্মীরা কাজের মূল চরিত্র এবং ধরন অক্ষুণ্ণ রাখা সত্ত্বেও উন্নত দেশগুলোর কর্মীদের থেকে ৬০ শতাংশ কম টাকা রোজগার করেন।[১০] সেই কারণেই উন্নত দেশগুলোর সংস্থার কাছে উন্নয়নশীল বা উদীয়মান দেশগুলিতে আউটসোর্স করে দেওয়া লাভজনক। এমন প্রমাণ আছে যে পাঁচটি বড় অনলাইন ওয়েব–নির্ভর প্ল্যাটফর্মের কাজের চাহিদার সিংহভাগ আসে উন্নত দেশগুলো থেকে, আর শ্রমের সরবরাহ মূলত করে উন্নয়নশীল দেশগুলো।[১১] এই ভাবে পরিষেবার উৎপাদন ক্রমশ সরে আসছে বেশি–মজুরির দেশগুলো থেকে কম–মজুরির দেশগুলোতে। কিছু বিদ্বজ্জন আশা প্রকাশ করেছেন যে আগামী বছরগুলোতে উদীয়মান বাজারগুলোর পরিষেবা রফতানির বিস্ফোরণ ঘটবে।[১২]

কোভিড–১৯ অতিমারির প্রভাব

গত পাঁচ বছরে অনলাইন ফ্রিলান্সিং–এর বিশ্বব্যাপী চাহিদা বেড়েছে বার্ষিক ১১ শতাংশ।[১৩] ২০২০ সালের গোড়ার দিকে শুরু হওয়া কোভিড–১৯ অতিমারি এই প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন দীর্ঘমেয়াদে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ কর্মী দূর থেকে কাজ করতে পারেন। সব মিলিয়ে অতিমারি শুরুর আগের সময়ের থেকে দূর থেকে কাজ করা কর্মীর সংখ্যা এখন চার থেকে পাঁচ গুণ বেড়ে গিয়েছে।[১৪]

যখন লকডাউন ঘোষিত হল এবং অফিসগুলো বন্ধ হয়ে গেল, তখন ব্যবসা–বাণিজ্য নির্ভরশীল হয়ে পড়ল ডিজিটাল পদ্ধতির উপর, এবং কাজ চালিয়ে যেতে, নতুন বাজারে পৌঁছতে ও খরচ কমাতে ডিজিটাল লেবার প্ল্যাটফর্মগুলোকে ব্যবহার করতে শুরু করল।[১৫] তার উপর উন্নত দেশগুলির কিছু সংস্থা অতিমারির সুযোগ নিয়ে এমন কর্মীদের ছাঁটাই করতে শুরু করল যাদের কাজ মেশিন দিয়ে আরও ভাল ভাবে করা যায়। এর মধ্যে সেই সব অ্যাপলিকেশনও আছে যেগুলো অফিসের কাজও করে। তবে যে হেতু এখনও এই ধরনের অনেক অ্যাপ পুরোপুরি অটোমেটেড নয় এবং মানবিক দক্ষতার উপর নির্ভরশীল, তাই অতিমারি কাজগুলোকে নিম্ন–আয়ের দেশগুলোতে ফ্রিলান্স কর্মীদের কাছে পাঠিয়ে দিতে পেরেছে।[১৬] ভারতে ২০২০ সালের শুরু, অর্থাৎ অতিমারির আগে থেকে মার্চ–এপ্রিলের মধ্যে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের কাজের চাহিদা ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।[১৭]

একই সঙ্গে অতিমারির প্রভাব পড়েছে শ্রমের সরবরাহের উপর। প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মিত চাকুরিজীবীরা বাড়ি থেকে অফিস করছেন ও ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহার করছেন, এবং তার ফলে আরও অভিজ্ঞ ও দক্ষতাসম্পন্ন হয়ে উঠছেন। তাঁরা দূর থেকে কাজ করায় অভ্যস্ত হয়ে যাওয়ার পর ফ্রিলান্স কাজে সরে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন। তা ছাড়া কিছু মানুষ যাঁরা কাজ হারালেন তাঁরা অন্য আয়ের উপায়ের সন্ধানে ডিজিটাল লেবার প্ল্যাটফর্মের দিকে নজর দিলেন। ভারতে ২০২০ সালের প্রথম ও দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের মধ্যে নতুন ফ্রিলান্সার বেড়ে গেল ৪৬ শতাংশ।[১৮]

ভারতের দিকে নজর

২০১৮–র একটা সমীক্ষায় প্রকাশ পায় অনেক ভারতীয় সংস্থা ফ্রিলান্স কর্মীদের নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু করেছে এবং তার আগের বছরে ১৯ শতাংশ সংস্থা অন্তত একজন ফ্রিলান্সারকে নিয়ে কাজ করেছে।[১৯] ঘরোয়া বাজারে ফ্রিলান্স প্ল্যাটফর্মের প্রাসঙ্গিকতা তো বাড়ছেই, তা ছাড়াও ভারতীয়রা এই কারণে লাভবান হতে পারেন যে আগে সীমান্তপারে বিনিময়ের ক্ষেত্রে অসুবিধা হত এমন অনেক পরিষেবা এখন আন্তর্জাতিক হয়ে গিয়েছে। প্ল্যাটফর্মগুলো অনলাইন ফ্রিলান্সারদের পরিষেবা রফতানি করার সুযোগ দিয়েছে, আর আইটি–এনেবেল্‌ড পরিষেবা, যা বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (‌বিপিও)‌–এর সমার্থক, তা এ দেশে কোনও নতুন ঘটনা নয়। আন্তর্জাতিক আউটসোর্সিং–এর গতি বাড়ছিল ১৯৯০–এর দশক থেকে, আর পরবর্তী সময়ে অনেক সংস্থা ভারতে কাজের আউটসোর্স করেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভারত হয়ে গেছে আইটি পরিষেবার দ্বিতীয় বৃহত্তম (‌ইওরোপিয়ান ইউনিয়নের পর)‌ রফতানিকারী দেশ;‌ আর এখন আইটি শিল্প হল ১৬,৭০০ কোটি মার্কিন ডলারের। এগুলোর অধিকাংশই সফটঅয়্যার পরিষেবা বা আইটি সাপোর্ট দেয়।[২০]

সময় বদলাচ্ছে, আর যে হেতু বাণিজ্যিক প্রক্রিয়া আউটসোর্স করে দেওয়া যাচ্ছে তাই ফ্রিলান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলোর মাধ্যমে ব্যক্তিভিত্তিক অনলাইন কাজ উঠে আসছে নতুন ধরনের পরিষেবা–আউটসোর্সিং হিসেবে। ফলে পুরনো ব্যবসার মডেল প্রতিস্থাপিত হচ্ছে, আর সেই সঙ্গে আউটসোর্সিং–এর জন্য তাদের মধ্যস্থতার প্রয়োজন ফুরনোয় বিপিও সংগঠনগুলো অকেজো হয়ে যাচ্ছে।[২১] ভারতে ডিজিটাল লেবার প্ল্যাটফর্মের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অংশ (‌মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর, ৮ শতাংশ) আছে‌, আর সেই সঙ্গেই আছে অনেকগুলো বড় ফ্রিলান্সিং প্লাটফর্ম।[২২] ইতিমধ্যে দেশের ফ্রিলান্সাররা বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল রূপান্তরে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছেন, এবং ভারত হয়ে উঠেছে বিশ্বের অনলাইন শ্রমের বৃহত্তম সরবরাহকারী (‌যার পরে আছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিপিনস, ব্রিটেন ও ইউক্রেন)‌।[২৩] ২০১৮ থেকে ২০২০–র মধ্যে ভারতের অংশভাগ ২৬ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৪ শতাংশ,[২৪] আর এর কারণ হল সফটঅয়্যার তৈরি ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অনলাইন গিগের সংখ্যাবৃদ্ধি। এই ক্ষেত্রে ভারতই সবার আগে, এবং বিশ্বব্যাপী অনলাইন গিগের সবচেয়ে বড় অংশ ভারতের।[২৫] এখন ভারতে আছেন হিসাবমতো ১.‌৫ কোটি ফ্রিলান্সার, আর ভারত হল সারা পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বাধিক দ্রুত প্রসারমান ফ্রিলান্সিং বাজার।[২৬]

ভারতে প্ল্যাটফর্মের ও ফ্রিলান্সারদের সংখ্যাবৃদ্ধি ছাড়াও আউটসোর্স কাজের গুণগত পরিবর্তনও হয়েছে। সফটঅয়্যার উন্নয়ন ও প্রযুক্তি, বিক্রি ও বিপণন সহায়তা, সৃষ্টিশীল কাজ ও মাল্টিমিডিয়া, লেখা ও অনুবাদ, ক্ল্যারিক্যাল ও ডেটা এন্ট্রি ও পেশাদারি পরিষেবা হল এই প্ল্যাটফর্মগুলোর মাধ্যমে মূল কাজ।[২৭] তবে পুরনো বিপিও শিল্পের কম–জ্ঞাননিবিড় কাজের পরিবর্তে এখন বরং উচ্চতর দক্ষতার কাজও ক্রমেই বেশি করে আউটসোর্স হচ্ছে। পশ্চিমের তুলনায় অনেক কম পারিশ্রমিকে ভারতের বৃহৎ, শিক্ষিত, ইংরেজি–জানা শ্রমশক্তি যে কোনও কাজ করতে পারে, তা সে কম দক্ষতার হোক বা বেশি দক্ষতার। বাইরে কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে কর্মীর শিক্ষাগত মানের চেয়ে এখন বেশি গুরুত্ব পেতে চলেছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সহজে সরবরাহ সম্ভব কি না সেই বিষয়টি।[২৮] তা ছাড়া অনলাইন কাজের ক্ষেত্রের প্রসার হচ্ছে, বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (‌‌‌এআই)‌ হয়ে উঠেছে ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির বিশেষ একটি দিক। তবে তার জন্য মেশিন বুঝবে এমন অ্যালগরিদ্‌ম তৈরির কাজের প্রশিক্ষণ এখনও অন্তরালে–কাজ–করা মানুষের ক্ষমতার উপরেই নির্ভরশীল। বিষয়বস্তু পর্যালোচনা, প্রতিলিপিকরণ, টীকারচনা ও ইমেজ ট্যাগিংয়ের কাজগুলো এখন অনেক সময়েই মূলত উন্নয়নশীল দেশের বিপিও কর্মীদের দেওয়া হয়, যাঁদের অনেক সময়েই বলা হয় অনলাইন ওয়েব–নির্ভর প্ল্যাটফর্মগুলোর ‘‌অদৃশ্য’‌ কর্মী।[২৯]

ফ্রিলান্স কাজের সম্ভাবনা ও বিপদ

ভবিষ্যতেও পুরো সময়ের কর্মীদের কাজের জায়গা থাকবে, কিন্তু ক্রমেই আরও বেশি বেশি সংস্থা নানা ধরনের কাজের জন্য ফ্রিলান্স কর্মী নেবে।[৩০] কাজেই ফ্রিলান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলো ক্রমেই বেশি সংখ্যক ভারতীয় ফ্রিলান্স কর্মীর কাছে সুযোগ এনে দেবে শুধু ভারতের নয়, বরং বিশ্বের যে কোনও জায়গায় অবস্থিত সংস্থার জন্য কাজ করার। তাঁরা ভৌগোলিক সীমানা ও স্থানীয় বাজারের সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে বৃহত্তর জায়গায় কাজের অতিরিক্ত উৎস ও উপার্জনের চেষ্টা করতে পারবেন। ভৌগোলিক ভাবে সীমাবদ্ধ শ্রম বাজারে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের দক্ষ কর্মীর সামনে থাকেন অল্প কিছু নিয়োগকর্তা। তা ছাড়া অন্যত্র যাওয়ার চড়া খরচের জন্য তাঁরা অন্য জায়গায় ভাল কাজের সুযোগ নিতে পারেন না। এখন ডিজিটাল কাজ তাঁদের সামনে সুযোগ করে দিচ্ছে যিনি সবচেয়ে বেশি দাম দেবেন তাঁর কাছে শ্রম বিক্রি করার, তা সে ক্রেতা যেখানকারই হোন না কেন। এর অর্থ আরও বেশি পারিশ্রমিক পাওয়ার সম্ভাবনা।[৩১] কিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে অভিজ্ঞ কনট্র‌্যাক্টররা, বিশেষ করে যাঁদের ক্লায়েন্টদের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক, তাঁরা তুলনায় ঘণ্টাপ্রতি বেশি রেট আদায় করে নিতে পারেন।[৩২]

প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ফ্রিলান্স কাজের পক্ষে আর একটা সাধারণ যুক্তি হল নিয়মিত শ্রম বাজারে যাঁরা অসুবিধায় পড়েন তেমন জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা। ফ্রিলান্সিং কাজ সময় ও জায়গার ক্ষেত্রে নমনীয়, এবং সেই কারণে অন্য দায়বদ্ধতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই কাজ করা যায়। যেমন মহিলারা, অন্তত তত্ত্বগত ভাবে, নিজেদের বাড়ির দায়িত্ব সামলে কিছু বাড়তি উপার্জন করতে পারেন। তবে তা আবার লিঙ্গবৈষম্য আরও পোক্ত করার কারণও হয়ে দাঁড়াতে পারে। এই পক্ষপাত অতিক্রম করা সম্ভব কর্মীদের দক্ষতার যাচাইযোগ্য তথ্যের মাধ্যমে। তা ছাড়া প্ল্যাটফর্মগুলো ডিজিটাল কর্মীদের ভৌগোলিক ভাবে দূরের এমন বাজারে কাজের সুযোগ দেয় যেখানে বৈষম্য কম হতে পারে, এবং পরিচয় গোপন রেখে স্থানীয় বাজারে প্রবেশের সুযোগও করে দেয়।[৩৩] তা ছাড়া এত দিন আউটসোর্সিং পরিষেবা শিল্প শুধু বড় শহরাঞ্চলের মানুষকে সুযোগ দিত;‌ তার জায়গায় এত দিন যাঁদের কাজে লাগানো হয়নি তেমন এক শ্রেণির মানুষ, অর্থাৎ বড় শহর থেকে দূরে–থাকা শিক্ষিত ও দক্ষ কর্মীরা, এখন লাভবান হতে পারেন।[৩৪]

তবে অনলাইন গিগ কর্মীদের নিশ্চিত ভাবেই কিছু অসুবিধা আছে। তার মধ্যে মুখ্য হল ডিজিটাল লেবার প্ল্যাটফর্মগুলো সাধারণ ভাবে শুধু অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের ব্যবস্থা করে, কারণ তারা কাজ করে নিয়ন্ত্রকবিহীন পরিবেশে যেখানে দেশের শ্রম আইনও তেমন ভাবে কার্যকর নয়।[৩৫] ন্যূনতম মজুরি, কর্মীদের নিরাপত্তা, বা কর দেওয়া, এই বিষয়গুলো প্ল্যাটফর্মগুলোর বা সেগুলোর মাধ্যমে যাঁরা কাজ দিচ্ছে তাদের কাছে ঐচ্ছিক বিষয়।[৩৬] অন্য দিকে, কাজের শর্ত নির্ভর করছে প্ল্যাটফর্ম ডিজাইন বা অ্যালগরিদম ম্যানেজমেন্টের উপর, এবং তা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে পরিষেবা চুক্তির শর্ত দ্বারা।[৩৭] ফলে ফ্রিলান্সারদের কাজের স্বাধীনতা প্ল্যাটফর্মগুলো অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে, এবং কেউ কখন কোথায় কাজ করবেন সেই ক্ষেত্রে বহুচর্চিত নমনীয়তাই আর থাকে না। তা ছাড়া উন্নয়নশীল দেশের কর্মীদের অনেক সময়েই উন্নত দেশের ক্লায়েন্টের কাজের সময়ের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে চলতে হয়। অর্থাৎ তাঁদের অ–সামাজিক সময়ে কাজ করতে হয়, যা তাঁদের কাজ ও জীবনের মধ্যে সমন্বয়ের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।[৩৮]

ফ্রিলান্সাররা যে হেতু চাহিদার ভিত্তিতে কাজ করেন, তাই তাঁদের কাজের সময় হয়ে যায় এলোমেলো আর কাজের নিরাপত্তাও থাকে না। অনেক সময়েই চাহিদার থেকে শ্রমের জোগান বেশি থাকে, আর তার ফলে কাজ পাওয়ার জন্য ভয়ঙ্কর প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। ফলে পারিশ্রমিক কমতে থাকে। তা ছাড়া প্ল্যাটফর্মের পৌঁছ বিশ্বব্যাপী হওয়ায় ক্লায়েন্টরা দরাদরি করার এবং সবচেয়ে কম দামে পরিষেবা কেনার সুযোগ পেয়ে যায়।
ফলে ফ্রিলান্সারদের দর ঠিক করার স্বাধীনতা থাকে না, কারণ তা হলে অন্য কেউ কম দর হেঁকে কাজ নিয়ে নেবে। ফ্রিলান্সারদের সামনে প্রতিকারের কোনও পথ থাকে না। সহযোগিতা তো ভুলেই যান, প্ল্যাটফর্মগুলোয় কথাবার্তা বলারই সুযোগ থাকে না। এদিকে ফ্রিলান্সাররা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকায় তাঁরা সংগঠিত হয়ে ভাল পারিশ্রমিক বা কাজের শর্তের জন্য দরাদরি করতে পারেন না। তাঁদের অনেকটা সময় যায় এমন কাজ করতে যার জন্য পারিশ্রমিক পাওয়া যায় না (‌যেমন কাজ খোঁজা বা প্রোফাইল তৈরি করা)। তা ছাড়াও চড়া কমিশন ফি বা কাজ পছন্দ না–হওয়ার ফলে পারিশ্রমিক না–পাওয়ার কারণে তাঁদের আয় আরও কমে যায়।[৩৯]

নীতি অগ্রাধিকার ও উপসংহার

এই নিবন্ধে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ফ্রিলান্সিং–এর ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হল। সেই সঙ্গেই ব্যাখ্যা করা হল এর প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি যা কোভিড–১৯–এর ফলে আরও গতি পেয়েছে, ভারতে এর বিকাশের বিষয়টি, এবং এই ধরনের কাজের প্রতিশ্রুতির দিকটি ও তার পাশাপাশি এর বিপদসমূহ। এই চ্যালেঞ্জগুলোর মোকাবিলার সঙ্গে জড়িত নীতিপ্রণয়নের বিভিন্ন দিক ও তার সাফল্য নির্ভর করবে দেশে এবং বিদেশে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তার উপর। নীতিসংক্রান্ত প্রস্তাবগুলোর ভিত্তি হওয়া প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট সব অংশীদারকে নিয়ে বিস্তারিত আলাপ–আলোচনা, এবং সেখানে থাকা প্রয়োজন ফ্রিলান্সার ও তাদের ক্লায়েন্ট এবং প্ল্যাটফর্ম সংস্থা ও সরকারের প্রতিনিধিদের। নীতিগত অগ্রাধিকারের বিষয়টি কয়েকটি স্তম্ভের উপর নির্ভরশীল।

এক দিকে ফ্রিলান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলোর মাধ্যমে কাজের সুযোগ সদ্ব্যবহারের জন্য মানুষকে সক্ষম করতে হবে। সম্ভাব্য ফ্রিলান্সারদের বাজারে প্রবেশ ও তাঁদের পরিষেবার বিশ্বব্যাপী চাহিদার সুযোগ নেওয়ার জন্য প্রয়োজন সাশ্রয়ী ও নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ, বিশেষ করে বড় শহর থেকে দূরবর্তী অঞ্চলে। তা ছাড়া কমবয়সীদের অনলাইন ফ্রিলান্সিং কাজ খোঁজা এবং কাজে সাফল্যলাভের জন্য নতুন ডিজিটাল পৃথিবীর চাহিদা পূরণ করতে পারে এমন পাঠক্রম সাধারণ ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এর মধ্যে থাকবে পড়ুয়াদের প্রাথমিক ডিজিটাল সাক্ষরতার ও প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষতা অর্জনের ব্যবস্থা করা। অন্য দিকে, যে সব ক্ষেত্রে ডিজিটাল ফ্রিলান্স কাজ সুস্থিত উন্নয়ন (‌সাসটেনেব্‌ল ডেভলপমেন্ট)‌–এর লক্ষ্য পূরণ করছে না, সেখানে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা দেখতে হবে। এর অর্থ অনানুষ্ঠানিকতা কমিয়ে এমন ভাবে পরিকাঠামো–নকশা তৈরি করা যাতে সকলে যথাযথ ডিজিটাল কাজের সুযোগ পান। ফ্রিলান্সারদের একটা ন্যূনতম সামাজিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষা দেওয়ার জন্য তাঁদের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ শ্রম মানদণ্ডের আওতাভুক্ত করতে হবে।

ভারত উপরে উল্লেখিত চ্যালেঞ্জগুলোর মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। তবে তা এখনও যথেষ্ট নয়। কোনও নিয়মবিধির রূপায়ণের ক্ষেত্রে সমস্যা হল বিষয়টা দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এবং ফ্রিলান্সাররা, ক্লায়েন্টরা ও প্ল্যাটফর্মগুলো আলাদা আলাদা কর্তৃপক্ষের অধীন। কাজেই জাতীয় নীতির পরিপূরক হিসেবে আন্তর্জাতিক স্তরে নীতি সংক্রান্ত আলাপ–আলোচনা ও সমন্বয় প্রয়োজন;‌ তবেই সারা বিশ্বের ডিজিটাল লেবার প্ল্যাটফর্মগুলোর ক্ষেত্রে আরও কার্যকর ও সামঞ্জস্যপূর্ণ নিয়ামক–নিশ্চয়তার ব্যবস্থা করা যাবে এবং প্রয়োগ করা যাবে সর্বজনীন শ্রম মানদণ্ড।[৪০]


সাবরিনা কোরেক ওআরএফ–এর সিনিয়র ফেলো। লেখিকা অজ্ঞাতনামা রিভিউয়ারদের তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ মতামতের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছেন।


এন্ডনোটস

[ক] এখানে ‘‌অনলাইন গিগ কর্মী’‌ ও ‘‌ফ্রিলান্সার’‌ শব্দদুটি দিয়ে সেই কর্মীদের কথা বলা হয়েছে যারা বিভিন্ন সংস্থার (‌শুধু একটির পরিবর্তে)‌ হয়ে কাজ করেন, অনেক সময়েই স্বল্পমেয়াদে, এবং টাকা পান সময় বা নির্দিষ্ট কাজের ভিত্তিতে।

[১] নিলস বিয়ারপোর্ট, বার্ট ল্যামব্রেগেট্‌স, “ কমপিটিশন ইন অনলাইন জব মার্কেটপ্লেসেস: টুওর্ডস আ গ্লোবাল লেবার মার্কেট ফর আউটসোর্সিং সারভিসেস?” গ্লোবাল নেটওয়র্কস, ২০১৫, ১৫(২), ২৩৬—২৫৫; “ইন্ডিয়া লারজেস্ট সাপ্লায়ার অফ ওয়রকর্স অন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মস: আইএলও,” ব্লুমবার্গ কুইন্ট, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১।

[২] জোন ইয়াঙ্গার, “ পেঅনিয়ার: বিল্ডিং দ্য ইকোসিস্টেম ফর দ্য ফ্রিলান্স রেভলিউশন,” ফোর্বস, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২১।

[৩] আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন (আইএলও), “ওয়র্ল্ড এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল আউটলুক: দ্য রোল অফ ডিজিটাল লেবার প্ল্যাটফর্মস ইন ট্রান্সফর্মিং দ্য ওয়র্ল্ড অফ ওয়র্ক,” ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১; আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন (আইএলও), “ ডিজিটাল লেবার প্ল্যাটফর্মস এ্যান্ড দ্য ফিউচার অফ ওয়র্ক,” সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৮।

[৪] ম্যাকিনসে গ্লোবাল ইনস্টিটিউট, “ডিজিটাল গ্লোবালাইজেশন: দ্য নিউ ইরা অফ গ্লোবাল ফ্লোজ,” মার্চ ২০১৬; নিলস বিয়ারপোর্ট, বার্ট ল্যামব্রেগেট্‌স, “কমপিটিশন ইন অনলাইন জব মার্কেটপ্লেসেস: টুওর্ডস আ গ্লোবাল লেবার মার্কেট ফর আউটসোর্সিং সারভিসেস?” গ্লোবাল নেটওয়র্কস, ২০১৫, ১৫(২), ২৩৬–২৫৫।

[৫] বিশ্ব বাণিজ্য সংগঠন, “ওয়র্লড ট্রেড রিপোর্ট ২০১৯:‌ দ্য ফিউচার অফ সারভিসেস ট্রেড,” ২০১৯।

[৬] নিলস বিয়ারপোর্ট, বার্ট ল্যামব্রেগেট্‌স, “কমপিটিশন ইন অনলাইন জব মার্কেটপ্লেসেস: টুওর্ডস আ গ্লোবাল লেবার মার্কেট ফর আউটসোর্সিং সারভিসেস?” গ্লোবাল নেটওয়র্কস, ১৫(২), ২৩৬–২৫৫

[৭] রিচার্ড বল্ডউইন, “ডিজিটাল টেকনোলজি অ্যান্ড টেলিমাইগ্রেশন,” ইন: বিশ্ব বাণিজ্য সংগঠন, “ওয়র্লড ট্রেড রিপোর্ট ২০১৯:‌ দ্য ফিউচার অফ সারভিসেস ট্রেড“, ২০১৯।

[৮] নিলস বিয়ারপোর্ট, বার্ট ল্যামব্রেগেট্‌স, “কমপিটিশন ইন অনলাইন জব মার্কেটপ্লেসেস: টুওর্ডস আ গ্লোবাল লেবার মার্কেট ফর আউটসোর্সিং সারভিসেস?” গ্লোবাল নেটওয়র্কস, ২০১৫, ১৫(২), ২৩৬২৫৫।

[৯] পেঅনিয়ার, “দ্য ২০২০ ফ্রিলান্সার ইনকাম রিপোর্ট”।

[১০] আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন (আইএলও), “ওয়র্ল্ড এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল আউটলুক: দ্য রোল অফ ডিজিটাল লেবার প্ল্যাটফর্মস ইন ট্রান্সফর্মিং দ্য ওয়র্ল্ড অফ ওয়র্ক,” ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১

[১১] আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন (আইএলও), “ওয়র্ল্ড এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল আউটলুক: দ্য রোল অফ ডিজিটাল লেবার প্ল্যাটফর্মস ইন ট্রান্সফর্মিং দ্য ওয়র্ল্ড অফ ওয়র্ক,” ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১।

[১২] রিচার্ড বল্ডউইন, “ডিজিটাল টেকনোলজি অ্যান্ড টেলিমাইগ্রেশন,” ইন: বিশ্ব বাণিজ্য সংগঠন, “ওয়র্লড ট্রেড রিপোর্ট ২০১৯:‌ দ্য ফিউচার অফ সারভিসেস ট্রে,” ২০১৯।

[১৩] ফেবিয়ান স্তেফানি, ‘‌‘‌হাউ বিগ ইজ দ্য অনলাইন লেবার ওয়র্কফোর্স? আওয়ার ডেটা–ড্রিভন অ্যাপ্রোচ টু দিস ট্রিকি কোয়েসচেন,” অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউট, দ্য আইলেবার প্রোজেক্ট, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১।

[১৪] ম্যাকিনসে, “হাউ এশিয়া ক্যান প্রিপেয়ার ফর দ্য ফিউচার অফ ওয়র্ক আফটার কোভিড–১৯,” এপ্রিল ৮, ২০২১, পডকাস্ট (‌ট্রানসক্রিপ্ট)‌।

[১৫] আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন (আইএলও), “ওয়র্ল্ড এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল আউটলুক: দ্য রোল অফ ডিজিটাল লেবার প্ল্যাটফর্মস ইন ট্রান্সফর্মিং দ্য ওয়র্ল্ড অফ ওয়র্ক,” ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১।

[১৬] টিনা জিন্ট্‌ল অ্যান্ড এলভিস মেলিয়া, “ইজ দ্য প্যানডেমিক ডিপেনিং দ্য ডিজিটাল ডিভাইড?,” জারমান ডেভলপমেন্ট ইনস্টিটিউট, এপ্রিল ২২, ২০২০।

[১৭] ইন্ডিয়া লারজেস্ট সাপ্লায়ার অফ ওয়রকর্স অন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মস: আইএলও,” ব্লুমবার্গ কুইন্ট, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১।

[১৮] হিমানী শেঠ, “ইন্ডিয়া ইজ সেকেন্ড–ফাস্টেস্ট গ্রোয়িং ফ্রিলান্স মার্কেট ইন দ্য ওয়র্ল্ড, সেজ রিপোর্ট ,” দ্য হিন্দু বিজনেসলাইন, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২০।

[১৯] টেরি চ্যাপম্যান, সমীর সারন, রাকেশ সিনহা, সূচি কেডিয়া, শ্রীরাম গুট্টা, “দ্য ফিউচার অফ ওয়র্ক ইন ইন্ডিয়া: ইনক্লুশন, গ্রোথ, অ্যান্ড ট্র‌্যান্সফরমেশন,” অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন, অক্টোবর ২০১৮

[২০] বিশ্ব বাণিজ্য সংগঠন, “ওয়র্লড ট্রেড রিপোর্ট ২০১৯:‌ দ্য ফিউচার অফ সারভিসেস ট্রেড,” ২০১৯।

[২১] মার্ক গ্র‌্যাহাম, আইসিস হর্থ, ভিলি লেডনভিরটা, “ডিজিটাল লেবার অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট: ইমপ্যাক্টস অফ গ্লোবাল ডিজিটাল লেবার প্ল্যাটফর্মস অ্যান্ড দ্য গিগ ইকনমি অন ওয়র্কর্স লাইভলিহুডস,” ট্র‌্যান্সফার: ইওরোপিয়ান রিভিউ অফ লেবার অ্যান্ড রিসার্চ, ২০১৭, ২৩(২), ১৩৫–১৬২।

[২২] ইন্ডিয়া লারজেস্ট সাপ্লায়ার অফ ওয়রকর্স অন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মস: আইএলও,” ব্লুমবার্গ কুইন্ট, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১।

[২৩] ফেবিয়ান স্তেফানি, ‘‌‘‌আইএলও রিপোর্ট:‌ দ্য রোল অফ ডিজিটাল লেবার প্ল্যাটফর্মস ইন ট্রান্সফর্মিং দ্য ওয়র্ল্ড অফ ওয়র্ক,” অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউট, দ্য আইলেবার প্রোজেক্ট, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১।

[২৪] ইন্ডিয়া লারজেস্ট সাপ্লায়ার অফ ওয়রকর্স অন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মস: আইএলও,” ব্লুমবার্গ কুইন্ট, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১। ফেবিয়ান স্তেফানি, ‘‌‘‌আইএলও রিপোর্ট:‌ দ্য রোল অফ ডিজিটাল লেবার প্ল্যাটফর্মস ইন ট্রান্সফর্মিং দ্য ওয়র্ল্ড অফ ওয়র্ক,” অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউট, দ্য আইলেবার প্রোজেক্ট, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১।

[২৫] ফেবিয়ান স্তেফানি, ‘‌‘‌ILO report: The role of digital labour platforms in transforming the world of work,” অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউট, দ্য আইলেবার প্রোজেক্ট, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১; ভিলি লেডনভিরটা, “হোয়্যার আর অনলাইন ওয়র্কর্স লোকেটেড?‌ দ্য ইন্টারন্যাশনাল ডিভিশন অফ ডিজিটাল গিগ ওয়র্কর্স,” অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউট, দ্য আইলেবার প্রোজেক্ট, জুলাই ১১, ২০১৭।

[২৬] হিমানী শেঠ, “ইন্ডিয়া ইজ সেকেন্ড–ফাস্টেস্ট গ্রোয়িং ফ্রিলান্স মার্কেট ইন দ্য ওয়র্ল্ড, সেজ রিপোর্ট,” দ্য হিন্দু বিজনেসলাইন, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২০।

[২৭] যে ভাবে আইএলও শ্রেণিবিন্যাস করেছে। দেখুন “ইন্ডিয়া লারজেস্ট সাপ্লায়ার অফ ওয়রকর্স অন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মস: আইএলও,” ব্লুমবার্গ কুইন্ট, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১।

[২৮] নিলস বিয়ারপোর্ট, বার্ট ল্যামব্রেগেট্‌স, “কমপিটিশন ইন অনলাইন জব মার্কেটপ্লেসেস: টুওর্ডস আ গ্লোবাল লেবার মার্কেট ফর আউটসোর্সিং সারভিসেস?” গ্লোবাল নেটওয়র্কস, ২০১৫, ১৫(২), ২৩৬—২৫৫;

[২৯] আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন (আইএলও), “ওয়র্ল্ড এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল আউটলুক: দ্য রোল অফ ডিজিটাল লেবার প্ল্যাটফর্মস ইন ট্রান্সফর্মিং দ্য ওয়র্ল্ড অফ ওয়র্ক,” ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১।

[৩০] হিমানী শেঠ, “ইন্ডিয়া ইজ সেকেন্ড–ফাস্টেস্ট গ্রোয়িং ফ্রিলান্স মার্কেট ইন দ্য ওয়র্ল্ড, সেজ রিপোর্ট,” দ্য হিন্দু বিজনেসলাইন, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২০।

[৩১] মার্ক গ্র‌্যাহাম, আইসিস হর্থ, ভিলি লেডনভিরটা, “ডিজিটাল লেবার অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট: ইমপ্যাক্টস অফ গ্লোবাল ডিজিটাল লেবার প্ল্যাটফর্মস অ্যান্ড দ্য গিগ ইকনমি অন ওয়র্কর্স লাইভলিহুডস,” ট্র‌্যান্সফার: ইওরোপিয়ান রিভিউ অফ লেবার অ্যান্ড রিসার্চ, ২০১৭, ২৩(২), ১৩৫–১৬২।

[৩২] নিলস বিয়ারপোর্ট, বার্ট ল্যামব্রেগেট্‌স, “কমপিটিশন ইন অনলাইন জব মার্কেটপ্লেসেস: টুওর্ডস আ গ্লোবাল লেবার মার্কেট ফর আউটসোর্সিং সারভিসেস?” গ্লোবাল নেটওয়র্কস, ২০১৫, ১৫(২), ২৩৬—২৫৫।

[৩৩] মার্ক গ্র‌্যাহাম, আইসিস হর্থ, ভিলি লেডনভিরটা, “ডিজিটাল লেবার অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট: ইমপ্যাক্টস অফ গ্লোবাল ডিজিটাল লেবার প্ল্যাটফর্মস অ্যান্ড দ্য গিগ ইকনমি অন ওয়র্কর্স লাইভলিহুডস,” ট্র‌্যান্সফার: ইওরোপিয়ান রিভিউ অফ লেবার অ্যান্ড রিসার্চ, ২০১৭, ২৩(২), ১৩৫–১৬২।

[৩৪] নিলস বিয়ারপোর্ট, বার্ট ল্যামব্রেগেট্‌স, “কমপিটিশন ইন অনলাইন জব মার্কেটপ্লেসেস: টুওর্ডস আ গ্লোবাল লেবার মার্কেট ফর আউটসোর্সিং সারভিসেস?” গ্লোবাল নেটওয়র্কস, ২০১৫, ১৫(২), ২৩৬—২৫৫।

[৩৫] নিলস বিয়ারপোর্ট, বার্ট ল্যামব্রেগেট্‌স, “কমপিটিশন ইন অনলাইন জব মার্কেটপ্লেসেস: টুওর্ডস আ গ্লোবাল লেবার মার্কেট ফর আউটসোর্সিং সারভিসেস?” গ্লোবাল নেটওয়র্কস, ২০১৫, ১৫(২), ২৩৬—২৫৫

[৩৬] মার্ক গ্র‌্যাহাম, আইসিস হর্থ, ভিলি লেডনভিরটা, “ডিজিটাল লেবার অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট: ইমপ্যাক্টস অফ গ্লোবাল ডিজিটাল লেবার প্ল্যাটফর্মস অ্যান্ড দ্য গিগ ইকনমি অন ওয়র্কর্স লাইভলিহুডস,” ট্র‌্যান্সফার: ইওরোপিয়ান রিভিউ অফ লেবার অ্যান্ড রিসার্চ, ২০১৭, ২৩(২), ১৩৫–১৬২।

[৩৭] আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন (আইএলও), “ওয়র্ল্ড এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল আউটলুক: দ্য রোল অফ ডিজিটাল লেবার প্ল্যাটফর্মস ইন ট্রান্সফর্মিং দ্য ওয়র্ল্ড অফ ওয়র্ক,” ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১।

[৩৮] আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন (আইএলও), “ ওয়র্ল্ড এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল আউটলুক: দ্য রোল অফ ডিজিটাল লেবার প্ল্যাটফর্মস ইন ট্রান্সফর্মিং দ্য ওয়র্ল্ড অফ ওয়র্ক,” ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১।

[৩৯] আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন (আইএলও), “ওয়র্ল্ড এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল আউটলুক: দ্য রোল অফ ডিজিটাল লেবার প্ল্যাটফর্মস ইন ট্রান্সফর্মিং দ্য ওয়র্ল্ড অফ ওয়র্ক,” ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১।

[৪০] আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন (আইএলও), “ওয়র্ল্ড এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল আউটলুক: দ্য রোল অফ ডিজিটাল লেবার প্ল্যাটফর্মস ইন ট্রান্সফর্মিং দ্য ওয়র্ল্ড অফ ওয়র্ক,” ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.