Published on Mar 04, 2024 Updated 0 Hours ago

সিবিএএম ন্যায্যতার নীতির উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়নি, এবং এটি দক্ষতার এমন মানদণ্ডের সঙ্গেও সঙ্গতিপূর্ণ নয় যা ন্যায্য রূপান্তরের লক্ষ্যকে সাহায্য করবে

কার্বন বর্ডার অ্যাডজাস্টমেন্ট মেকানিজম: একটি ‘অন্যায্য’ রূপান্তরের প্রতীক?

আমদানিকৃত উচ্চ–কার্বন পণ্যের উপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কার্বন শুল্ক ‘‌কার্বন বর্ডার অ্যাডজাস্টমেন্ট মেকানিজম’‌ (সিবিএএম) ২০২৬ সালে ইউরোপীয় গ্রিন ডিলের একটি উপাদান হিসাবে প্রয়োগ করা হবে। তবে, এর প্রাথমিক প্রতিবেদন ২০২৩ সালে শুরু হয়েছে। এই আর্থিক পদক্ষেপটি ইইউ–এর পরিবেশগত লক্ষ্যগুলি পূরণে সুসংহত ব্যবস্থার একটি উপাদান, বিশেষ করে ‘কার্বন লিকেজ’‌–এর আলোকে। সিবিএএম–এর ক্রমান্বয়ে রোলআউট সেই সময়েই ঘটছে যখন ইইউ নির্গমন ট্রেডিং সিস্টেমে (ইটিএস) বিনামূল্যের ভাতা ধীরে ধীরে বাদ দেওয়া হচ্ছে, যার লক্ষ্য ইইউ–এর শিল্প ডিকার্বনাইজেশন প্রচেষ্টাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। সিবিএএম শংসাপত্রের মূল্য, এই প্রক্রিয়ায়, ইইউ–ইটিএস–এর মূল্যের সঙ্গে যুক্ত। তাই, যদিও সিবিএএম প্রাথমিকভাবে সিমেন্ট, লোহা ও ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম, সার, বিদ্যুৎ ও হাইড্রোজেনের মতো ক্ষেত্রের জন্য প্রস্তাবিত হয়েছে, পরে কৃষি, বস্ত্র, ইলেকট্রনিক্স ও আইটি–র মতো নানা ক্ষেত্রকে অন্তর্ভুক্ত করে এর পরিধি প্রসারিত করার পরিকল্পনা রয়েছে, যা ইটিএস–আওতাধীন ক্ষেত্রে নির্গমনের ৫০ শতাংশেরও বেশি অন্তর্ভুক্ত করবে।


সিবিএএম–এর ক্রমান্বয়ে রোলআউট সেই সময়েই ঘটছে যখন ইইউ নির্গমন ট্রেডিং সিস্টেমে (ইটিএস) বিনামূল্যের ভাতা ধীরে ধীরে বাদ দেওয়া হচ্ছে, যার লক্ষ্য ইইউ–এর শিল্প ডিকার্বনাইজেশন প্রচেষ্টাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।

ইইউ সিবিএএম–কে একটি ল্যান্ডমার্ক ইনস্ট্রুমেন্ট হিসাবে বিবেচনা করে, যা তাদের অঞ্চলগুলিতে প্রবেশ করা কার্বন–নিবিড় পণ্যগুলির উৎপাদনের বাহ্যিকতা হিসাবে নির্গত কার্বনের ন্যায্য মূল্য আবিষ্কার করতে সাহায্য করবে। ইইউ এটিকে নন–ইইউ অর্থনীতিগুলির জন্য পরিচ্ছন্ন উৎপাদন অনুশীলনে স্থানান্তরের জন্য ‘উৎসাহদান’‌ হিসাবে বিবেচনা করে। আমদানির কার্বন খরচ যাতে ইইউ–এর দেশীয় উৎপাদনের সঙ্গে মিলে যায়, তা নিশ্চিত করার জন্য সিবিএএম যাচাই করে দেখে নেয় যে ইইউ–তে আমদানি করা নির্দিষ্ট পণ্যের উৎপাদনে এমবেড করা কার্বন নির্গমনের খরচ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ু লক্ষ্যগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করে। অতিরিক্তভাবে, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নিয়মের সঙ্গে সারিবদ্ধ করার জন্য সিবিএএম তৈরি করা হয়েছে।

উপরে যা বলা হল তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা শুধু রূপান্তরের দৃষ্টিকোণ থেকে সিবিএএম–এর বিরুদ্ধে প্রশ্ন উত্থাপন করি, এবং যুক্তি দিই যে কীভাবে প্রক্রিয়া এবং উপকরণটি স্বীকৃত উদ্দেশ্যের বিপরীত। বর্তমানে মানবজাতি ‘‌বৃদ্ধির মূল্য’‌–এর কথা বিবেচনা না করে লাগামহীন অর্থনৈতিক বৃদ্ধির জন্য তার ঝোঁকের পরিণতির মুখোমুখি হচ্ছে। এই বিষয়টি শয়তানের অবতার জলবায়ু পরিবর্তনের আকারে প্রকাশ পেয়েছে। বিশ্বব্যাপী, একটি বিপর্যয় প্রতিরোধ করার জন্য স্থিতিশীলতা ও নেট–শূন্য ভবিষ্যতের উপর জোর দেয় এমন নতুন উন্নয়নের পথ তৈরির প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে ঐকমত্য রয়েছে। এই রূপান্তর দ্রুত হলেও ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে হবে। গ্লোবাল নর্থের শিল্পায়নের ধাক্কা বহন করেছে যে গ্লোবাল সাউথ, তার জন্য এই বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তা আরও বেশি এই কারণে যে গ্লোবাল সাউথের বৃহৎ অংশ যারা গ্লোবাল নর্থের শিল্পায়নের মূল্য বহন করছে, তাদেরও নিজস্ব আকাঙ্ক্ষা রয়েছে — তাদের পক্ষে হয়তো বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক মঙ্গল জলাঞ্জলি দেওয়ার আকারে বিশাল অর্থনৈতিক মূল্য বহন না–করে এই রূপান্তর সম্ভব নয়। প্রশ্ন হল এই মূল্য কে বহন করবে?


বর্তমানে মানবজাতি ‘‌বৃদ্ধির মূল্য’‌–এর কথা বিবেচনা না করে লাগামহীন অর্থনৈতিক বৃদ্ধির জন্য তার ঝোঁকের পরিণতির মুখোমুখি হচ্ছে।


ন্যায্য রূপান্তরের ধারণাটি হল একটি ভবিষ্যৎমুখী চিন্তা, একটি ঐক্যবদ্ধ পদ্ধতি, যার লক্ষ্য নীতি, প্রক্রিয়া ও অনুশীলনের উপর ভিত্তি করে আমাদের অর্থনীতিকে একটি শোষণমূলক মডেল থেকে একটি পুনরুৎপাদক মডেলে রূপান্তরিত করা। আরও সামগ্রিক ও বর্জ্যমুক্ত হওয়ার জন্য এর মধ্যে উৎপাদন ও উপভোগ পুনর্বিবেচনা করার বিষয়টি জড়িত। অন্যদিকে দক্ষিণের প্রয়োজন মেটাতে উত্তর–দক্ষিণ স্থানান্তরও  প্রয়োজন, কারণ গ্লোবাল সাউথের বৃহৎ অংশের সবুজ অর্থনীতিতে রূপান্তরের জন্য যা প্রয়োজন হবে তা হল যার দায় তাদের নয়, অন্য কারও, তেমন কাজের জন্য তাদের বর্তমান উচ্চাকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সমঝোতার। সেই অর্থে, শুধুমাত্র দূষণকারী, অর্থাৎ গ্লোবাল নর্থের শিল্পোন্নত দেশগুলিকে দক্ষিণের জন্য এই পরিবর্তনের খরচ বহন করতে হবে।

সরে যাওয়ার জায়গাগুলি

এ কথা মনে রাখা দরকার যে গ্লোবাল সাউথের অনেক দেশে কার্বন–নিবিড় উৎপাদন প্রক্রিয়া থাকতে পারে, এবং ২০২৬ সালের মধ্যে তাদের সবুজ অর্থনীতিতে রূপান্তর ঘটবে না। এমনকি আজও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (‌১৩.৬৮ টন)‌, কানাডার (১৪.৪৩ টন), অস্ট্রেলিয়ার (১৫.২২ টন) এবং ইইউ (৫.৫ টন)–এর মাথাপিছু কার্বন নির্গমন ভারত (১.৬), বাংলাদেশ/নেপাল (০.৫), মায়ানমার (০.৬) ইত্যাদির মতো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির চেয়ে অনেক বেশি। মাথাপিছু নির্গমনের প্রান্তিক হার (মাথাপিছু উৎপাদনের অতিরিক্ত এককের কারণে নির্গমনের অতিরিক্ত একক) ইইউ সহ উত্তরের বেশিরভাগ দেশের তুলনায় এই দেশগুলিতে কম। এটি
অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন (ওআরএফ)–এর একটি গবেষণাতেও প্রদর্শিত হয়েছে যে, জি২০ এবং ওইসিডি–র মতো বিভিন্ন ব্লকের মধ্যে ব্রিকস (বা উদীয়মান দেশগুলির ব্লক) জলবায়ু কর্মক্ষমতা সংক্রান্ত বিষয়ে সেরা পারফর্ম করে। আবার, ব্রিকস দেশগুলির মধ্যে ভারত সেরা পারফর্ম করে৷ আরেকটি ওআরএফ পেপার এ কথা প্রকাশ করে যে জি২০ দেশগুলির মধ্যে ভারতে বৃদ্ধির কার্বন খরচ (বা জিডিপি বৃদ্ধির একটি অতিরিক্ত ইউনিটের জন্য নির্গমন) সবচেয়ে কম।

তারপরেও, দক্ষিণ এশিয়ার যে দেশগুলি এখনও কম কার্বন–তীব্রতার শিল্প উৎপাদনের দিকে যেতে পারেনি তাদের গ্লোবাল নর্থের সঙ্গে তুলনা করা হবে, এবং তারা সিএবিএম স্কিমের অধীনে শাস্তি পাবে, যা তাদের পণ্যগুলিকে ইইউ বাজারে কম প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে। এটা ন্যায্য রূপান্তরের নীতির বিরুদ্ধে যাবে। অন্যদিকে, ইইউ দেশগুলি সবুজ অর্থ প্রদানের জন্যও দায়বদ্ধ (প্রশমন, অভিযোজন, এবং হানি ও ক্ষয়ক্ষতি);‌ কিন্তু তারা বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও রেডিমেড গারমেন্টস (আরএমজি) শিল্পকে শাস্তি দেবে যা দেশটির রপ্তানি সম্পদের একটি উল্লেখযোগ্য উপাদান এবং তাদের বৃদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ চালক।
টেক্সটাইল শিল্পের এই উদ্বেগ ইতিমধ্যেই স্পষ্ট যে যদি সিএবিএম টেক্সটাইলগুলিতে কার্যকর করা হয়, তবে ছোট অর্থনীতিগুলির প্রতিযোগিতা–ক্ষমতা ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। অতএব, ইইউ থেকে সিএবিএম এবং উন্নয়ন ও জলবায়ু অর্থায়ন, একসঙ্গে দেখা হলে, গ্লোবাল সাউথকে অর্থ প্রদান এবং তারপরে তা ছিনতাই করার সমতুল্য।


ইইউ দেশগুলি সবুজ অর্থ প্রদানের জন্যও দায়বদ্ধ (প্রশমন, অভিযোজন, এবং হানি ও ক্ষয়ক্ষতি);‌ কিন্তু তারা বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও রেডিমেড গার্মেন্টস (আরএমজি) শিল্পকে শাস্তি দেবে যা দেশটির রপ্তানি সম্পদের একটি উল্লেখযোগ্য উপাদান এবং তাদের বৃদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ চালক।

বৈষম্যটি এই সত্য থেকেও বোঝা যায় যে ‌সিবিএএম কার্যকর করার মাধ্যমে ইইউ প্যারিস চুক্তির অধীনে তাদের প্রতিশ্রুতিগুলির চেয়ে অনেক বেশি অর্জন করতে উন্নয়নশীল দেশগুলিকে বাধ্য করছে। প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী বিভিন্ন দেশ তাদের সক্ষমতা ও উন্নয়নের স্তর অনুযায়ী প্রশমন ও অভিযোজনের জন্য জলবায়ু কর্ম পরিকল্পনা হিসাবে জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান (এনডিসি)–এর জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে৷ যেমন, ভারত ২০০৫ সালের পরিসংখ্যানের তুলনায় ২০৩০ সালের মধ্যে তার জিডিপি–তে নির্গমনের তীব্রতা ৪৫ শতাংশ কমাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। কিন্তু, ভারত সিবিএএম–এর অধীনে অন্তর্ভুক্ত ক্ষেত্রগুলিতে ইইউ স্তরে কার্বন নির্গমন কমাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই পদক্ষেপটি অতএব তাদের মূর্খতার প্রায়শ্চিত্তের জন্য তাদেরই নির্ধারিত মান মেনে চলতে উন্নয়নশীল বিশ্বকে বাধ্য করার সমতুল্য, যা ইইউ ঐতিহাসিকভাবে করে এসেছে। একটি ভুল কাজ করা এবং প্রায়শ্চিত্তের দায়ভারের একটি অংশও ক্ষতিগ্রস্তদের উপর চাপিয়ে দেওয়া কখনওই ন্যায্য বা ন্যায়সঙ্গত নয়, যে নীতিগুলির কপ আলোচনার ভিত্তি। 

বাজারভিত্তিক মূল্যায়নের প্রশ্ন

অন্য সমস্যা হল সিবিএএম–এর বাজারভিত্তিক মূল্যায়ন নিয়ে। এই মূল্যায়ন করা হচ্ছে ইইউ–ইটিএস মূল্য দিয়ে। কোনও ভাবেই, বাজার কার্বন আটকের দাম আবিষ্কার করেনি (মজুদ করে বা জব্দ করে)। যে লক্ষ্য নিয়ে কার্বন বাজার তৈরি করা হয়েছিল তা ছিল কার্বন নিঃসরণ কমানো, কোনও জল্পনা–কল্পনার কেন্দ্র হিসাবে আবির্ভূত হওয়া নয়। এই বাজারগুলির কার্বন ক্রেডিট মূল্য আবিষ্কার করে কার্বন শোষণ, সিকোয়েস্ট্রেশন ও মজুদের মূল্য প্রতিফলিত করার কথা ছিল। এই মানটি কার্বনের সোশ্যাল কস্ট অফ কার্বন (এসসিসি) দ্বারা যথাযথভাবে ধরা হয়েছে, যেমনটি
উইলিয়াম নর্ডহাউস ধারণা করেছেন (যদিও স্টার্ন রিভিউতে এটি উপস্থাপন করা হয়েছে):‌ কার্বন নির্গমনের একটি অতিরিক্ত ইউনিটের কারণে সমাজ যে মূল্য বহন করে।

যাই হোক, দামের মধ্যে সমস্ত প্রাসঙ্গিক তথ্য সঠিকভাবে একত্র করা এবং দামকে মূল্যের দিকে অভিকর্ষিত করার ক্ষেত্রে বাজারের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন আছে।
প্রতিকূল বাছাইয়ের
উপর জর্জ আকারলফের ১৯৭০ সালের গবেষণায় তুলে ধরা হয়েছিল যে, কীভাবে অসম্পূর্ণ তথ্য বাজারের অদক্ষতার দিকে পরিচালিত করে, যার ফলে দামগুলি তাদের অন্তর্নিহিত মূল্য থেকে বিচ্যুত হয়। এই সমস্যাটি পরিবেশগত বাজারগুলিতে বিশেষভাবে তীব্র, যেখানে বাস্তুতন্ত্র পরিষেবাগুলির সম্পূর্ণ পরিসর এবং তাদের প্রভাব সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানের অভাব রয়েছে। ফলস্বরূপ, কার্বন বাজার মূল্য প্রায়ই সঠিকভাবে কার্বন নির্গমনের প্রকৃত অভাব বা সামাজিক খরচ প্রতিফলিত করে না।


যে লক্ষ্য নিয়ে কার্বন বাজার তৈরি করা হয়েছিল তা ছিল কার্বন নিঃসরণ কমানো, কোনও জল্পনা–কল্পনার কেন্দ্র হিসাবে আবির্ভূত হওয়া নয়।

সার্টিফায়েড এমিশন রিডাকশন (সিইআর) বাজারের এই সংযোগ–বিচ্ছিন্নতার উদাহরণ। ২০১২ সালের পরে শিল্প কার্যকলাপ হ্রাসের কারণে সিইআর–এর দাম কমেছে। এর মানে কি ম্যানগ্রোভ অরণ্য দ্বারা কার্বন সিকোয়েস্ট্রেশনের মূল্য হ্রাস পেয়েছে? অবশ্যই না! এই পরিস্থিতি দেখায় যে প্রকৃতি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করে, এবং বাজারের মূল্যনির্বিশেষে জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ ও পুষ্টির বৃত্ত চালনার মতো বাস্তুতন্ত্রের পরিষেবাগুলি ক্রমাগত প্রদান করে যায়। ফলস্বরূপ, এই পরিষেবাগুলির প্রকৃত মূল্য এবং তাদের বাজার মূল্যের মধ্যে একটি সংযোগ বিচ্ছিন্নতা রয়েছে৷ পরিবেশগত বাজার মূল্য, যা প্রায়শই স্থিতিস্থাপক সরবরাহের কারণে চাহিদা–চালিত হয়, তার ভিত্তি এই সংস্থান বা পরিষেবাগুলির উপযোগিতা সম্পর্কে সীমিত অনুধাবন। এর ফলে সত্যিকারের পরিবেশগত মূল্য এবং বাজার মূল্যায়ন মোটেই এক সারিভুক্ত হয় না। সেই অর্থে, সিবিএএম মূল্যগুলির ভিত্তি যেহেতু ইইউ–ইটিএস সিস্টেম, তাই তা অ–প্রাচুর্যের মূল্যের প্রতিফলন নয়।

ন্যায্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে

অতএব, এই প্রবন্ধটি যে মূল বিষয়টি তুলে ধরতে চায় তা হল সিবিএএম–এর ভিত্তি যেমন ন্যায্যতার নীতি নয় (এটি ন্যায্য রূপান্তরের নীতি থেকে বিচ্যুতির কারণে অন্যায্য), তেমনই এটি স্থায়িত্ব ও বণ্টনমূলক ন্যায়বিচারের লক্ষ্যকে সহায়তা করবে এমন দক্ষতার মানদণ্ডের সঙ্গেও সঙ্গতিপূর্ণ নয় (অদক্ষ বাজারের কারণে)। অতএব, যখন সাস্টেনমিক্সের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হয়, যা কিনা যাদের মধ্যে সমন্বয় অসম্ভব সেই সাম্য, দক্ষতা ও স্থিতিশীলতার ত্রিত্বের সমন্বয়ের কথা বলে, তখন সিবিএএম মুখ থুবড়ে পড়ে।



নীলাঞ্জন ঘোষ অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের একজন ‌ডিরেক্টর

অজয় ত্যাগী অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ডিস্টিংগুইশড ফেলো


The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Authors

Nilanjan Ghosh

Nilanjan Ghosh

Dr. Nilanjan Ghosh is a Director at the Observer Research Foundation (ORF), India. In that capacity, he heads two centres at the Foundation, namely, the ...

Read More +
Ajay Tyagi

Ajay Tyagi

Ajay Tyagi specialises in the financial sector especially the capital markets. He has also worked extensively in the environment and energy sectors. He served as the ...

Read More +