বঙ্গোপসাগর অবৈধ, অনিয়ন্ত্রিত এবং অপ্রতিবেদিত (ইললিগ্যাল, আনরেগুলেটেড এবং আনরিপোর্টেড বা সংক্ষেপে আইইউইউ) মাছ ধরার স্বর্গরাজ্য। ইন্ডিয়ান ওশান টুনা কমিশনের সংরক্ষণ ব্যবস্থা লঙ্ঘন করে মাঝসমুদ্রে অননুমোদিত লংলাইনিং পদ্ধতিতে (নৌকোর পিছনে জাল লাগিয়ে) টুনা মাছ ধরা এবং জাহাজে চালানের কাজ করা হয়। কর্তৃপক্ষের কাছে এই বেআইনি ভাবে মাছ ধরার ব্যাপারে কখনও রিপোর্ট করা হয় না, এবং/অথবা কম রিপোর্ট করা হয়, জাহাজে বা নৌকোয় সুবিধেজনক পতাকা লাগানো হয়, জাল রেজিস্ট্রেশন তথ্য ব্যবহার করে এমন জাহাজের মাধ্যমে মাছ ধরা হয় যা আদতে কোনও রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্তই নয় অথবা জাহাজের গায়ের চিহ্ন ইচ্ছাকৃত ভাবে অস্পষ্ট করে দেওয়া হয়, বা জাহাজের তথ্যই রাখা হয় না। আইইউইউ ফিশিংয়ের ক্ষেত্রে ভারত মহাসাগরে এটি একটি বড় সমস্যা। এর বিপরীতে রয়েছে পশ্চিম-মধ্য প্রশান্ত মহাসাগর, যেখানে এই আইইউইউ ফিশিংয়ের সমস্যা মোকাবিলা করার সেরা পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। অন্যান্য মহাসাগরের মতোই প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে আইইউইউ ফিশিং নানা পদ্ধতিতে হয়ে থাকে। কিন্তু প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এই বেআইনি ভাবে মাছ ধরা এবং চালান করার বিষয়টি বেশি উদ্বেগজনক। কারণ বিশ্বের ইইজেড-এর (এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন) ২৮ শতাংশ প্যাসিফিক আইল্যান্ড ফোরাম ফিশারিজ এজেন্সির (এফএফএ) সদস্য দ্বারা অধিকৃত এবং বিশ্বব্যাপী টুনা উৎপাদনের ৫৫ শতাংশ, যার মূল্য প্রায় ২৫০ কোটি মার্কিন ডলার, এই অঞ্চল থেকেই উৎপাদিত হয়। স্বাভাবিক ভাবেই ভারত মহাসাগর এই সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রশান্ত মহাসাগরের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে পারে এবং কার্যত একটি শক্তিশালী ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য দুটি মহাসাগরকে একত্র করতে সক্ষম। কিন্তু এই সমস্ত শিক্ষা বোঝার আগেও জরুরি সমস্যাগুলির সূক্ষ্মতা এবং গুরুত্ব সম্পর্কে অবগত হওয়া।
আইইউইউ ফিশিংয়ের প্রকৃতি
আইইউইউ ফিশিং শব্দপ্রবন্ধটিই তৈরি হয়েছে তিনটি উপাদান নিয়ে: অবৈধ, অনিয়ন্ত্রিত এবং অপ্রতিবেদিত। এই তিনটি উপাদানের প্রত্যেকটিই পারস্পরিক ভাবে সম্পর্কিত। যদি কোনও বেআইনি জাহাজ অবৈধ ভাবে মাছ ধরে, তা হলে সেই কার্যকলাপ তারা নথিভুক্ত করে রাখবে এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। ফলে এটি অপ্রতিবেদিত অবস্থাতেই রয়ে যায়। একই ভাবে বেআইনি জাহাজগুলি সাধারণত হয় রাষ্ট্রবিহীন অথবা এগুলি এমন কোনও রাজ্যের পতাকার অধীনে কাজ করে, যেখানে নানা কারণে নিয়ন্ত্রণ শিথিল করা হয়েছে। অতএব এই জাহাজগুলির কার্যকলাপ অনিয়ন্ত্রিত। সুতরাং এই তিনটি উপাদানের প্রত্যেকটির মধ্যে পারস্পরিক গভীর সংযোগ রয়েছে। আন্তর্জাতিক স্তরে এই অপ্রতিবেদিত প্রেক্ষিতটিই আইইউইউ ফিশিংয়ের ঝুঁকির সবচেয়ে প্রতারণাপূর্ণ এবং সর্ববৃহৎ উপাদান। আনরিপোর্টেড বা অপ্রতিবেদিত শব্দটির মধ্যে রয়েছে আন্ডার রিপোর্টিং বা তথ্য কম জানানো, মিসরিপোর্টিং বা ভুল তথ্য দেওয়া এবং নন-রিপোর্টিং বা তথ্য না দেওয়া। এই ভাবেই অপ্রতিবেদিত মাছ ধরার প্রক্রিয়াটি অনিয়ন্ত্রিত এবং অবৈধ ভাবে মাছ ধরার সীমারেখা অতিক্রম করে যায়।
অনিয়ন্ত্রিত মাছ ধরার সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক দিকটি হল — এর ফলে ফিশারিগুলির উন্নয়নে সরকারি তরফে একজোট হওয়া, পারস্পরিক সহযোগিতা এবং সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবের দিকটি ফুটে ওঠে।
মাছ চুরি সংক্রান্ত ভুল খবর জানানো, আদৌ না-জানানো বা এই ধরনের খবর হাল্কা করে জানানোর পিছনে নানা ধরনের বাণিজ্যিক লাভ আছে। কোটার নিয়ন্ত্রণ এড়াতে অথবা ফি, চার্জ এবং লেভি ফাঁকি দিতে এই ধরনের কাজ করা হতে পারে। অবাঞ্ছিত মাছ চুরির ঘটনা যে সমস্ত অঞ্চলে ঘটে, সে সমস্ত ঘটনা ঢেকে রাখার জন্য অথবা সংরক্ষিত প্রজাতির মাছ ধরা গোপন করতে এমনটা করা হয়ে থাকে। সুতরাং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে যথেষ্ট যত্ন এবং পর্যবেক্ষণ না করার দরুন, যদি সেই আন্ডার-রিপোর্টিং, ভুল রিপোর্টিং ইচ্ছাকৃত ভাবে বা এমনকি বেপরোয়া ভাবে ঘটে থাকে, তা হলে এটি আইইউইউ ফিশিংয়ের মধ্যে পড়ে। একটি অতিরিক্ত সমস্যা হল সঠিক তথ্যের অভাব যা মজুত ভান্ডার মূল্যায়নের নির্ভুলতাকে প্রভাবিত করে এবং ব্যবস্থাপনার কাজে নজরদারি ও বাস্তবায়নের ক্ষমতাকে দুর্বল করে তোলে। বেহিসেবি মাছ ধরার ফলে আর্থিক এবং সামাজিক ভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন সেই সব সম্প্রদায়ের মানুষ যাঁরা এর ফলে নিজেদের মালিকানাভুক্ত মাছ ধরার ক্ষেত্রগুলি থেকে সম্ভাব্য লাভের মুখ দেখতে পান না। অনিয়ন্ত্রিত মাছ ধরার সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক দিকটি হল — এর ফলে ফিশারিগুলির উন্নয়নে সরকারি তরফে একজোট হওয়া, পারস্পরিক সহযোগিতা এবং সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবের দিকটি ফুটে ওঠে। ভারত মহাসাগরে অনিয়ন্ত্রিত মাছ ধরার ক্ষেত্রে প্রশান্ত মহাসাগর থেকে কী কী শিক্ষা পাওয়া যেতে পারে, তা বিবেচনা করার আগে উপরের আলোচনার কয়েকটি দিক তুলে ধরা হল।
প্রথমত, আইইউইউ ফিশিং একটি বিশ্বব্যাপী সমস্যা এবং এর একটি আন্তর্জাতিক সমাধান প্রয়োজন। দ্বিতীয়ত, আইইউইউ ফিশিংয়ের শুধু মাত্র বেআইনি ভাবে মাছ ধরার দিকটিই বিবেচনা করলে চলবে না। তৃতীয়ত, এই বেআইনি মাছ ধরার চেয়েও ফিশারি পরিচালন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ক্ষতিকর হল পরিসংখ্যানের কারচুপির মাধ্যমে মাছ ধরা সংক্রান্ত ভুল তথ্যের আদানপ্রদান। চতুর্থত, অনিয়ন্ত্রিত মাছ ধরা সরকারি পর্যায়ে মোকাবিলা করা প্রয়োজন। পঞ্চমত, আইইউইউ ফিশিংয়ের ফলে তৈরি হওয়া ঝুঁকি সম্পর্কে প্রত্যেকটি দেশকে সচেতন হতে হবে। যদিও আইইউইউ ফিশিংয়ের সব ক’টি উপাদানের মোকাবিলা করা সম্ভব নয়, তবুও গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলির উপরে জোর দেওয়া অবশ্য কর্তব্য। সর্বোপরি, আইইউইউ ফিশিংয়ের ফলে ক্ষতি রুখতে সমুদ্র উপকূলবর্তী রাজ্যগুলির পারস্পরিক সহযোগিতা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আইইউইউ ফিশিংয়ের প্রসঙ্গে প্রশান্ত মহাসাগরীয় শিক্ষা
আইইউইউ ফিশিংয়ের মতো সমস্যার মোকাবিলায় প্রশান্ত মহাসাগর থেকে ভারত মহাসাগর যে শিক্ষাগুলি নিতে পারে, সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সমুদ্র উপকূলবর্তী দেশগুলির মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে মনিটরিং কন্ট্রোল অ্যান্ড সার্ভেল্যান্সকে (এমসিএস) আরও কার্যকর করে তোলা। এই দুই মহাসাগরবর্তী দেশগুলির মধ্যে তথ্য পরিসংখ্যান এবং জাহাজ পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি সংক্রান্ত তথ্য আদানপ্রদানের গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ রয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলি এখন ফিশারিগুলির পর্যবেক্ষকদের সহায়তা এবং তাঁদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বৈদ্যুতিন নজরদারি ব্যবস্থার দিকে এগোচ্ছে।
ভারত মহাসাগরের জন্য প্রশান্ত মহাসাগরের সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ করার এবং তথ্য নথিবদ্ধ করার জন্য একটি কেন্দ্রীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলার সুযোগ রয়েছে।
সলোমন দ্বীপপুঞ্জের হোনিয়ারাতে অবস্থিত আঞ্চলিক মৎস্য নজরদারি কেন্দ্র থেকে ভারত মহাসাগরস্থ দেশগুলির শেখার বাস্তব সুযোগ রয়েছে। জাতীয় স্তরে স্বাধীন পর্যবেক্ষকদের বিধিবদ্ধ পর্যবেক্ষক প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে ভারত মহাসাগরস্থ দেশগুলি অনেক কিছু শিখতে পারে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে; প্রশান্ত মহাসাগরের তুলনায় ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যা কম উন্নত। প্যাসিফিক আইল্যান্ড ফোরাম ফিশারিজ এজেন্সির সমতুল্য ভারত মহাসাগরীয় সংস্থানটি হল ইন্ডিয়ান ওশান টুনা কমিশন (জি১৬) গঠনকারী ১৬টি সমমনস্ক উপকূলীয় দেশ। তারা আইইউইউ ফিশিংয়ের সমস্যাটিকে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করতে পারে এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় মাছ ধরার সংস্থাগুলির সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এর সদস্যদের মধ্যে সক্ষমতা ও বিশ্বাসের বাতাবরণ গড়ে তুলতে পারে।
দেখা যাচ্ছে ভারত মহাসাগরের ফিশারিগুলিতে অন্যায় ভাবে মাছ ধরার যে খবর উঠে আসছে, তা অনেক সময় পুনরাবৃত্ত হচ্ছে। ভারত মহাসাগরে এটি তিনটি আলাদা আলাদা জায়গায় নথিবদ্ধ হচ্ছে। ভারত মহাসাগরের জন্য এ ক্ষেত্রে প্রশান্ত মহাসাগরের সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ করার এবং তথ্য নথিবদ্ধ করার জন্য একটি কেন্দ্রীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলার সুযোগ রয়েছে।
উপকূলবর্তী দেশগুলির জন্য নির্মিত ইইজেড-এ ফিশারিগুলির অন্তর্ভুক্তিকরণের সামঞ্জস্যপূর্ণ ন্যূনতম শর্তাবলির নির্ণয়ের ক্ষেত্রে প্রশান্ত মহাসাগরীয় ফিশারিগুলির সঙ্গে আরও আলাপ-আলোচনা ভারত মহাসাগরের দেশগুলির জন্য লাভজনক হতে পারে। এর মাধ্যমে নিজেদের স্বার্থে বৃহৎ মৎস্যজীবী দেশগুলির দ্বারা ছোট দ্বীপগুলিকে একে অন্যের বিরুদ্ধে লড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনাকে প্রতিহত করা যায়। ভারত মহাসাগরে মাছ চালানের ব্যবস্থা আর একটি বড় সমস্যা; প্রশান্ত মহাসাগরের সঙ্গে মৎস্যচালান পর্যবেক্ষণ কর্মসূচি সংক্রান্ত তথ্যের পারস্পরিক আদানপ্রদান এ ক্ষেত্রে সাহায্যকারী হবে।
বন্দর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আন্তঃ-সামুদ্রিক তথ্য আদানপ্রদানের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে।
ভারত মহাসাগরে সমগ্র মাছ ধরার প্রক্রিয়ার বেশির ভাগটিই হয়ে থাকে মাঝ সমুদ্রে, প্রশান্ত মহাসাগরে ব্যাপারটি ঘটে থাকে ইইজেড-এর মধ্যে। ফলে ভারত মহাসাগরের উপকূলীয় দেশগুলির পক্ষে তাদের মৎস্য আহরণের উপরে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু ভারত মহাসাগরের উপকূলীয় দেশগুলির ২০০ মাইল পরিধির মধ্যে ঘটা সব ঘটনাকে নিয়ন্ত্রণ ও ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষমতা বন্দর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার হাতে রয়েছে। বন্দর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আন্তঃ-সামুদ্রিক তথ্য আদানপ্রদানের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে।
প্রশান্ত মহাসাগরের মতো ভারত মহাসাগরে মৎস্যবিজ্ঞানের কোনও একক স্বাধীন সংস্থা নেই। কিন্তু নউমিয়ায় প্যাসিফিক কমিউনিটি আঞ্চলিক সংস্থার মতো স্বাধীন মৎস্যবিজ্ঞান কেন্দ্রের সুযোগ ও সক্ষমতা থাকায় প্রশান্ত মহাসাগর যথেষ্ট ভাগ্যবান। স্বাধীন বৈজ্ঞানিক গবেষণার ক্ষেত্রে ভারত মহাসাগর প্রশান্ত মহাসাগরের মডেলকে অনুসরণ করতে পারে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল আইইউইউ নিয়ে সর্বাত্মক সংখ্যাগত গবেষণা সম্পন্ন করেছে। সংখ্যাগত গবেষণা আইইউইউ ফিশিং সমস্যা নিয়ে একত্রে কাজ করার জন্য ভারত মহাসাগরস্থ উপকূলের দেশগুলির জন্য তথ্য এবং সুযোগ প্রদান করবে।
গ্লোবাল ফিশিং ওয়াচের মতো বেসরকারি সংস্থাগুলির ভারত মহাসাগরস্থ অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। পশ্চিম ভারত মহাসাগরে বেআইনি মাছ ধরা রুখতে ফিশ-ওয়ান আফ্রিকা জাতীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, আঞ্চলিক সংস্থান এবং আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের একত্র করতে সক্ষম হয়েছে। স্টপ ইললিগাল ফিশিং গ্রুপ একই বিষয়ে আফ্রিকার দেশগুলির সঙ্গে কাজ করছে। এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি আইইউইউ প্রসঙ্গে প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক মৎস্য সংস্থাগুলির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালালে উপকৃত হবে৷ মৎস্যকেন্দ্রগুলির বিষয়ে এফএও-এর কমিটির মতো মঞ্চগুলিতে আইইউইউ সংক্রান্ত বিশ্বব্যাপী আলোচনায় অংশগ্রহণ করা ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগর উভয়ের জন্যই লাভজনক হবে।
প্রশান্ত মহাসাগরের মতো ভারত মহাসাগরে মৎস্যবিজ্ঞানের কোনও একক স্বাধীন সংস্থা নেই।
যদিও এই শিক্ষাগুলি রাতারাতি বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয় এবং ভারত মহাসাগরে এমনটা শুরু করার সর্বোত্তম ক্ষেত্র হবে এই অঞ্চল জুড়ে ফিশারিগুলির এমসিএস অফিসারদের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস ও সহযোগিতার অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করা। ভারত মহাসাগরের পক্ষে ফিশারিগুলির ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কণ্টকময় বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনার তুলনায় আইইউইউ সংক্রান্ত ব্যাপারে সহযোগিতা করা সহজতর হবে। বর্তমানে এমনটা করলেও পরবর্তী কালে এই উপকূলীয় দেশগুলির অধীনস্থ ফিশারিগুলির মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের পথ খোলা থাকবে।
অ্যান্টনি বারগিন ক্যানবেরার অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউটের সিনিয়র ফেলো।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.