Author : Vivek Mishra

Published on Jul 11, 2024 Updated 0 Hours ago

ট্রান্সটলান্টিক নিরাপত্তা প্রসঙ্গে ট্রাম্পের মনোভাব, ইন্দো-প্যাসিফিকে মার্কিন মিত্ররা এবং পশ্চিম এশিয়ায় নিরাপত্তা উদ্বেগ আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার বিষয়ে ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গিকে আকার দেবে।

আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা নিয়ে ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গির মূল্যায়ন

আইওয়া, নিউ হ্যাম্পশায়ার এবং সাউথ ক্যারোলিনাতে ধারাবাহিক সাফল্যে ভর  করে সম্ভাব্য রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের অবস্থানকে দৃঢ় করেছেন বলে মনে হচ্ছে। বেশিরভাগ ভোটে ডেমোক্র্যাটিক ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের তুলনায় নির্বাচনী ফলাফলে ট্রাম্পের এগিয়ে থাকা অবশিষ্ট বিশ্বের জন্য এমন এক বিদেশনীতিকে মেনে চলার উল্লেখযোগ্য সূচক হিসেবে কাজ করতে পারে, যা চিরাচরিত মনোভাব ও শৈলী থেকে স্পষ্টতই আলাদা। ট্রাম্প যদি প্রেসিডেন্ট হতে সমর্থ হন, তবে তাঁর ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেন’ (এমএজিএ) স্লোগানটি চার বছর আগে ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পর থেকে ব্যাপক ভাবে পরিবর্তিত আন্তর্জাতিক পরিসরে প্রযোজ্য হবে।

প্রথম মেয়াদে তাঁবিদেশনীতিকে আকার দানকারী বিষয়গুলিকে এক ঝলক দর্শিয়ে ট্রাম্প জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন (জেসিপিওএ) এবং ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ (টিপিপি) থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদেশগুলির প্রতি হুমকি দিলেও তিনি তহবিল কমানো বা ন্যাটো থেকে নিজেদের পুরোপুরি প্রত্যাহার করা থেকে বিরত ছিলেন। সম্ভাব্য দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি তাঁর নিজের রাজনীতি এবং প্রচারের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই হারানো সুযোগগুলিকে পুনরায় কাজে লাগানোর চেষ্টা করতে পারেন। ২০২০ সালে ন্যাটোর তহবিলের প্রায় ৬৯ শতাংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে বরাদ্দ করার পর তিনি এখন ন্যাটোর তহবিল হ্রাস করার পক্ষে যথাযোগ্য যুক্তি দর্শাতে পারেন। বিশেষত যুদ্ধ এবং শান্তিরক্ষামূলক কর্মকাণ্ডে মার্কিন তহবিল নিঃশেষিত হওয়ার পর ট্রাম্প আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিশ্রুতি প্রত্যাহার করে নেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তি সম্ভবত ন্যাটোকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অসামঞ্জস্যপূর্ণ সহায়তাকে অন্যায্য হিসাবে চিত্রিত করার দিকে মনোনিবেশ করবে এবং এইভাবে ন্যাটোকে আর্থিক সহায়তায় ট্রান্স-আটলান্টিক সমতা অর্জনের প্রয়োজনীয়তার পক্ষে সমর্থন জোগাবে। ট্রাম্পের বৈদেশিক ও নিরাপত্তা নীতিকে রূপদানকারী আরও কয়েকটি পদক্ষেপের মধ্যে ট্রাম্প প্রশাসন এর আগে আফগানিস্তান থেকে দ্রুত সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছিল এবং নির্দিষ্ট দেশগুলিকে লক্ষ্য করে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।

 

ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তি সম্ভবত ন্যাটোকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অসামঞ্জস্যপূর্ণ সহায়তাকে অন্যায্য হিসাবে চিত্রিত করার দিকে মনোনিবেশ করবে এবং এইভাবে ন্যাটোকে আর্থিক সহায়তায় ট্রান্স-আটলান্টিক সমতা অর্জনের প্রয়োজনীয়তার পক্ষে সমর্থন জোগাবে

 

ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বিবৃতি দর্শায় যে, তাদের আর্থিক দায়বদ্ধতা পূরণে ব্যর্থ হলে ট্রাম্প ন্যাটো সদস্য দেশগুলিকে আক্রমণ করার জন্য রাশিয়াকে উৎসাহিত করবেন এবং তাঁর দেওয়া সর্বশেষ ইঙ্গিতে এমনটা মনে হচ্ছে যে, তাঁর নীতিগুলি প্রধানত মার্কিন বিদেশনীতির অতিরক্ষণশীল এমএজিএ দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রোথিত।

ডেমোক্র্যাটদের তুলনায় রিপাবলিকান শিবিরে রাশিয়ার প্রতি তুলনামূলক ভাবে অনুকূল দৃষ্টিভঙ্গি বিদ্যমান। মিত্র, অংশীদার এবং বন্ধুদের প্রতি ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি দেশে পরিস্থিতি শক্তিশালী এবং একত্রিত করতে ধারাবাহিক ভাবে বিদেশে মার্কিন স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, এমনকি অবকাঠামোমূলক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও।

মার্কিন বিদেশনীতির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বব্যাপী আধিপত্য ও প্রভাবের চলমান সাধনা একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য, যা গত শতাব্দীর বেশিরভাগ সময় ধরে উদার আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করেছিল। যাই হোক, গত এক দশকে এই ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে কারণ বৃহৎ শক্তিরা নিজেরাই ইউরোপ এবং এশিয়া উভয়েরই স্থিতাবস্থা পরিবর্তন করতে চেয়েছে। এর জন্য বিদেশে এবং দেশে উভয় ক্ষেত্রেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা পুনর্নির্মাণের প্রয়োজন হয়েছে। এই অভিযোজনের একটি মূল দিক হল একটি অসংলগ্ন নীতি পদ্ধতি, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী একটি প্রভাবশালী শক্তির ভঙ্গি বজায় রাখে কিন্তু কিছু নির্দিষ্ট পরিসরে সেই দৃষ্টিভঙ্গিকে তীব্রতর করতে চায়। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল সেই ক্ষেত্রে একটি কেন্দ্রীয় কৌশলগত মনোযোগের কেন্দ্রে উঠে এসেছে, যা পশ্চিম এশিয়ার উপর নিরাপত্তামূলক মনোযোগ থেকে সরে এসে প্যাসিফিক অঞ্চল এবং বৃহত্তর ভারত মহাসাগর অঞ্চলকে ঘিরে একটি যৌথ দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। এই দৃষ্টিভঙ্গি এই বিশ্বাস থেকেই উদ্ভূত হয়েছে যে, এই অঞ্চলের আরও বেশি সংখ্যক দেশ তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করলে তারা আঞ্চলিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা (এইচএডিআর) এবং অন্যান্য অপ্রচলিত দিকের মতো ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বিধান এবং দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়ার ক্ষেত্রে বৃহত্তর ভূমিকা পালন করতে স্বাভাবিক ভাবে আগ্রহী হবে। এই ঘটনাপ্রবাহে ইন্দো-প্যাসিফিক নিরাপত্তার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে ভারতের অবস্থান সুনির্দিষ্ট করা এক উল্লেখযোগ্য উদাহরণ।

 

এই অভিযোজনের একটি মূল দিক হল একটি অসংলগ্ন নীতি পদ্ধতি, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী একটি প্রভাবশালী শক্তির ভঙ্গি বজায় রাখে কিন্তু কিছু নির্দিষ্ট পরিসরে সেই দৃষ্টিভঙ্গিকে তীব্রতর করতে চায়।

 

বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা সম্পর্কে ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি মার্কিন নিরাপত্তা নীতি এবং বিশ্বব্যাপী এর বিস্তৃত বিদেশনীতির কিছু মৌলিক এবং কাঠামোগত ধারণার সঙ্গে বিরোধপূর্ণ, যা হয়তো সময়-পরীক্ষিত পরিস্থিতিতে টিকে থেকেছে। পরিবর্তনশীল বিশ্বে নিরাপত্তা নীতিকে কী ভাবে পুনর্নির্মাণ করা উচিত সে সম্পর্কে ট্রাম্পের ধারণার নেপথ্যে রয়েছে তিনটি মূল কারণ। প্রথমটি অভ্যন্তরীণ বাধ্যবাধকতা থেকে উদ্ভূত হয়, যা অভিবাসীদের আদারাইজেশন বা পৃথক ভাবে চিহ্নিত করা এবং বহু চর্চিত অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা দ্বারা চালিত বিশেষ করে ৯/১১ পরবর্তী সময়ে নিরাপত্তা পদক্ষেপ সংক্রান্ত একটি অভ্যন্তরীণ উত্থান। এই আবেগ মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্ত বরাবর একটি প্রাচীর নির্মাণের আহ্বান সংক্রান্ত নীতি গ্রহণের দিকে এবং মার্কিন সমাজ জুড়ে বিরাজমান গভীর ভাবে অভিবাসী বিরোধী মনোভাবের মতো নীতির দিকে চালিত করেছে। দ্বন্দ্ব এবং অভিবাসনের সম্মিলিত প্রভাব মার্কিন অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিসরে এবং ট্রাম্পের ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরবর্তী বছরগুলিতে একটি প্রত্যক্ষ টানাপড়েন সৃষ্টি করে যা দ্বিতীয় দফায় ট্রাম্পের সম্ভাব্য রাষ্ট্রপতিত্বের অধীনে সিদ্ধান্ত গ্রহণকে প্রভাবিত করতে বাধ্য।

দ্বিতীয় কারণটি হল বিশ্বের অন্যান্য অংশের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি অংশের মধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী ব্যবস্থার অতিপ্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো সংক্রান্ত বিশ্বাসের ধীরে ধীরে ক্ষয়। রিপাবলিকান চিন্তাধারার একটি সুস্পষ্ট ধারা রয়েছে যা বর্তমানের পাশাপাশি গত শতাব্দীর প্রতিষ্ঠিত অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা যুক্তির প্রাসঙ্গিকতাকেও প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। চিনের উত্থান এবং বাকিদের উত্থান প্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার মৌলিক বিশ্বাসকে প্রসারিত করেছে, স্থায়িত্ব এবং রাষ্ট্রীয় আচরণের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে, গ্রে জোন কৌশল এবং অনিয়মিত যুদ্ধের মাধ্যমে এক নতুন মাত্রার জন্ম দিয়েছে। এই রূপান্তরগুলি ধীরে ধীরে উদার আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে ক্ষয় করেছে এবং অন্যান্য রাষ্ট্র, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোজন ক্ষমতার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছে। পৃথক রাষ্ট্র এবং মিত্ররা তাদের নিজস্ব নিরাপত্তার জন্য দায়বদ্ধ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার নিজস্ব সীমাবদ্ধতার কারণে বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তার একমাত্র গ্যারান্টার হতে পারে নাট্রাম্পের এ হেন বিশ্বাস এই বোঝাপড়ার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল এই পরিবর্তনগুলি ক্ষণস্থায়ী এবং পরবর্তী দশকে ক্ষণস্থায়ী পর্যায়টি অব্যাহত থাকতে পারে।

 

চিনের উত্থান এবং বাকিদের উত্থান প্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক ক্রমের মৌলিক বিশ্বাসকে প্রসারিত করেছে, স্থায়িত্ব এবং রাষ্ট্রীয় আচরণের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে, গ্রে জোন কৌশল এবং অনিয়মিত যুদ্ধের মাধ্যমে এক নতুন মাত্রার জন্ম দিয়েছে

 

ট্রান্স-আটলান্টিক নিরাপত্তা এবং বৃহত্তর আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি হয়তো উদার-উত্তর আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে আগে থেকেই প্রকাশ করে দিচ্ছে, যার কাঠামো এখনও সম্পূর্ণ হয়নি এবং প্রতিদিন নতুন আকার পাচ্ছে। ন্যাটোর জন্য তহবিল প্রদানের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় দেশগুলিকে দেওয়া ট্রাম্পের সাম্প্রতিক হুমকি মার্কিন অবস্থানকে সশক্ত করবে এবং ট্রান্স-আটলান্টিক অংশীদারদের আরও বেশি কিছু করার জন্য প্ররোচিত করবে, যখন অন্য দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই তহবিলকে সরিয়ে এনে দেশের অভ্যন্তরে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আরও সুনির্দিষ্ট ভাবে কাজে লাগাতে পারে। যদিও ন্যাটো অংশীদারদের কাছে ট্রাম্পের বার্তাটিকে ট্রান্স-আটলান্টিক অঞ্চলে সম্মিলিত নিরাপত্তায় বর্ধিত অবদানের আহ্বান হিসাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজের সম্পৃক্ততার মাত্রা কমাচ্ছে, যা ট্রাম্পের এই বিশ্বাসকেই দর্শায় যে, যৌথ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে শুধু মাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বের যুগ এ বার ফুরিয়ে এসেছে। এই বৈশিষ্ট্যগুলি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে মার্কিন কার্যকলাপ থেকে স্পষ্ট, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সংযোগ, অবকাঠামোকে শক্তিশালী করা এবং অন্যান্য আঞ্চলিক অংশীদারের তরফে এক সমন্বয়মূলক মনোভাব হিসেবে একটি নিয়মভিত্তিক ব্যবস্থা সমুন্নত রাখার উপর জোর দিয়েছে। এর পরিবর্তে, ট্রাম্প পরামর্শ দেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্ব দিতে পারলেও সম্পূর্ণ দায়ভার একা বহন করবে না। বরং তিনি যৌথ উদ্যোগ দ্বারা পরিচালিত এক নেতৃত্ব এবং মার্কিন উদ্বেগগুলির অগ্রাধিকারের উপর জোর দেন। যদিও এই ভারসাম্য অর্জন করা কঠিন বলে প্রমাণিত হতে পারে। কারণ এমনটা করার জন্য যে কোনও মার্কিন নেতৃত্বকেই উল্লেখযোগ্য ও দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে এবং উদার আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার প্রতি যে কোনও হুমকি মোকাবিলায় মার্কিন নিরাপত্তা বলয়কে শেষ সম্বল রূপে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি প্রকৃতপক্ষে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আসেন, তা হলে তিনটি পরিসর আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার বিষয়ে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গিকে আকার দিতে পারে। ট্রান্স-আটলান্টিক সংহতির ক্ষেত্রে - বিশেষ করে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ চলতে থাকলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কী ভাবে ন্যাটোকে সমর্থন করে - সম্ভবত ট্রাম্পের মনোভাব এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতির মানদণ্ড হিসেবে কাজ করবে। আর কটি পরীক্ষা হবে ট্রাম্পের অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদের সঙ্গে কেমন আচরণ করে, বিশেষ করে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো মিত্রদের সঙ্গে। এবং পরিশেষে, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার বিষয়ে ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি গঠনের তৃতীয় মূল কারণটি এই অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা উদ্বেগের মধ্যে পশ্চিম এশিয়া এবং আফ্রিকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা ভূমিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের রাষ্ট্রপতিত্বের পদ কতটা দৃঢ় সংকল্প হবে, তার উপর নির্ভর করবে।

 


বিবেক মিশ্র অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের ফেলো।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.