Published on Jun 10, 2023 Updated 0 Hours ago

ভারত সমাধান ত্বরান্বিত করতে পারে, এবং বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে খাদ্য ও শক্তির মতো অগ্রাধিকার ক্ষেত্রগুলি সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আন্তর্জাতিক ঐকমত্য গড়ে তুলতে পারে

বিমস্টেক-এর অগ্রাধিকার: খাদ্য নিরাপত্তা ও বাণিজ্য-উজ্জীবন

ভারত এই বছর জুড়ে জি২০ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করছে, ‌এবং একটি বিশ্বব্যাপী প্ল্যাটফর্মে বঙ্গোপসাগর অঞ্চল তথা উন্নয়নশীল বিশ্বের অগ্রাধিকারগুলিকে প্রসারিত করার প্রশ্নে ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে৷ যেমন ভারতের জি২০ প্রেসিডেন্সির সময়কালটি বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মতো বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি–সেক্টোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকনমিক কো–অপারেশন (বিমস্টেক) দেশগুলির জন্য অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ;‌ এবং তার কারণ হল এই দেশগুলির সঙ্গে ভারতের বিদ্যমান বাণিজ্যিক সম্পর্ক, ভারতের উত্তর–পূর্বে প্রবেশাধিকার, এবং আরও ভাল বহুপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য ভারতের ‘‌প্রতিবেশী প্রথম’‌ ও ‘‌পূবে কাজ করা’‌র নীতিতে তাদের কেন্দ্রীয়তা।

উপরন্তু, শ্রীলঙ্কা বা নেপালের মতো ভারতের প্রতিবেশী অঞ্চলের সবচেয়ে দুর্বল দেশগুলির মধ্যে কয়েকটি যখন অতিমারি বা রাশিয়া–ইউক্রেন দ্বন্দ্বের মতো সাম্প্রতিক বৈশ্বিক ব্যাঘাতের অর্থনৈতিক পরিণতিগুলি ভোগ করে চলেছে, সেই সময়ে ভারতীয় কেন্দ্রীয়তা সমাধান ত্বরান্বিত করতে পারে, এবং বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে খাদ্য ও শক্তির মতো অগ্রাধিকার ক্ষেত্রগুলি সম্পর্কিত জটিল বিষয়ে আন্তর্জাতিক ঐকমত্য গড়ে তুলতে পারে।

খাদ্য নিরাপত্তা

রাশিয়া–ইউক্রেন দ্বন্দ্ব এবং তার পরবর্তী খাদ্য সংকটের আলোকে খাদ্য নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ইউক্রেন ও রাশিয়া বিশ্বব্যাপী খাদ্য সরবরাহ শৃঙ্খলের অপরিহার্য কুশীলব, এবং এই দ্বন্দ্ব এখন বিমস্টেকের অর্থনীতি–সহ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলির দুর্বল জনগোষ্ঠীর উপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলেছে। তার উপরে আবার এই দেশগুলি আগেই অতিমা্রির পরে ক্ষুধা সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল।

রাশিয়া–ইউক্রেন দ্বন্দ্বের বৈশ্বিক প্রভাব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, কারণ এটি প্রয়োজনীয় পণ্য রপ্তানি ব্যাহত করেছে। রাশিয়া ও ইউক্রেন গম, বার্লি ও সূর্যমুখী তেলের উল্লেখযোগ্য রপ্তানিকারী হওয়ায় তাদের রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনাটি বিশ্বব্যাপী দেশগুলির জন্য মারাত্মক পরিণতি ডেকে এনেছে। যুদ্ধের কারণে আনুমানিক ২০ মিলিয়ন টন ইউক্রেনীয় শস্যের রপ্তানি ব্যাহত হয়েছিল, এবং তা আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়া জুড়ে দেশগুলিকে প্রভাবিত করেছে, কারণ তারা মাসিক আনুমানিক ৬ মিলিয়ন টন কৃষিপণ্য রপ্তানির উপর নির্ভরশীল। যাই হোক, ২০২২ সালের জুনে এই রপ্তানির পরিমাণ তার প্রাথমিক মূল্যের এক–পঞ্চমাংশে নেমে এসেছে, যা বৈশ্বিক ঘাটতি এবং কৃষি ক্ষেত্রের উপর সংঘাতের প্রভাবকে বাড়িয়ে তুলেছে।

রাশিয়া ও ইউক্রেন গম, বার্লি ও সূর্যমুখী তেলের উল্লেখযোগ্য রপ্তানিকারী হওয়ায় তাদের রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনাটি বিশ্বব্যাপী দেশগুলির জন্য মারাত্মক পরিণতি ডেকে এনেছে।

চিত্র ১: মায়ানমার, নেপাল, তাইল্যান্ড ও  বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার ব্যাপকতা (জনসংখ্যা শতাংশ)
 Bimstec Imperatives
সূত্র:‌ লেখকের নিজস্ব, বিশ্ব ব্যাঙ্কের তথ্য

উপরন্তু, শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকট স্থানীয় জনগণের খাদ্য নিরাপত্তার উপর গুরুতর প্রভাব ফেলেছে, আর বাংলাদেশ খাদ্য মূল্যস্ফীতির চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে চলেছে। শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে ২০২১ সালে জৈব কৃষিতে আকস্মিক রূপান্তর দেশটির কৃষি বাণিজ্য কর্মক্ষমতার উপর খুবই ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেছিল। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে ওঠে যে দেশটিকে চাল, চিনি ও অন্যান্য পণ্য, এবং এমনকি আধা-প্রস্তুত পণ্য, আমদানি করতে হয়, যেগুলি তার আগে সে দেশে উদ্বৃত্ত ছিল। ২০২২ সালের মধ্যে দেশের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য পণ্য চা শিল্প ৪২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হয়, এবং তা অর্থনীতির বৈদেশিক মুদ্রার বিপর্যয়কে আরও বাড়িয়ে তোলে। এই পরিস্থিতিতে ভূ–রাজনৈতিক ঘটনা এবং দেশীয় সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের কারণে তাদের খাদ্য নিরাপত্তাকে বিপদাপন্ন করার মতো সংকটের বিরুদ্ধে সুরক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা আঞ্চলিক জোটগুলির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আসিয়ান ফুড ব্যাঙ্কের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বিমস্টেক দেশগুলির জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা একটি খাদ্য ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠা করা এমন একটি প্রতিশ্রুতিবাহী উদ্যোগ যা মূল্য স্থিতিশীলতায় অবদান রাখতে পারে। এ ছাড়াও ২০২২ সালের নভেম্বরে ভারত বিমস্টেক দেশগুলির জন্য কৃষিবিষয়ক দ্বিতীয় মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করেছিল। এর লক্ষ্য ছিল সদস্য দেশগুলিকে কৃষি রূপান্তর এবং খাদ্য ব্যবস্থায় বাজরার প্রসারের জন্য একটি আঞ্চলিক কৌশল তৈরিতে সহযোগিতা করতে উৎসাহিত করা। উদ্বৃত্ত উৎপাদনের দেশগুলিতে বাজরার মতো খাদ্য সামগ্রীর উৎপাদন ও সেগুলির আন্তঃআঞ্চলিক বাণিজ্যের প্রসার এই অঞ্চলের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে পারে।

শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে ২০২১ সালে জৈব কৃষিতে আকস্মিক রূপান্তর দেশটির কৃষি বাণিজ্য কর্মক্ষমতার উপর খুবই ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেছিল।

শক্তি বাণিজ্য
শক্তি আমদানি সংক্রান্ত তথ্য পরীক্ষা করার সময় এই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে সমস্ত বিমস্টেক দেশ, বিশেষ করে ভারত, মায়ানমার ও ভুটান এই ধরনের আমদানির উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। জ্বালানি বাণিজ্যের উপর নির্ভরতা এই অঞ্চলের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করে, এবং বহিরাগত সামষ্টিক অর্থনৈতিক ধাক্কার জন্য সংবেদনশীল করে তোলে। অধিকন্তু রাশিয়া–ইউক্রেন দ্বন্দ্ব শক্তির সম্পদে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনকারী দেশগুলির গুরুত্ব তুলে ধরে।

সারণী ২: বিমস্টেক অর্থনীতিতে জ্বালানি আমদানি (পণ্য আমদানির শতাংশ হিসাবে)

দেশ সাম্প্রতিকতম বছর  আমদানির শতাংশ
বাংলাদেশ ২০১৫ ১১
ভুটান ২০১২ ১৮
ভারত ২০২১ ৩০
মায়ানমার ২০২১ ২০
নেপাল ২০২১ ১৫
শ্রীলঙ্কা ২০২১ ১৬
তাইল্যান্ড ২০২১ ১৬

সূত্র:‌ লেখকের নিজস্ব, বিশ্ব ব্যাঙ্কের  তথ্য

নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে অগ্রসর হতে না–পারা এবং জ্বালানি আমদানির উপর অত্যধিক নির্ভরতার কারণে বাংলাদেশ জ্বালানি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে। এছাড়া রাশিয়া–ইউক্রেন দ্বন্দ্ব এসব উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বিদ্যুতের দাম এবং ভর্তুকি বিল বৃদ্ধির ফলে আর্থিক ভারসাম্যহীনতা ও চলতি খাতের ঘাটতি উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক সমস্যা সৃষ্টি করেছে। ফলস্বরূপ সরকার কঠোর ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে বাধ্য হয়েছে। আগস্ট ২০২২–এ, ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রোলের অভ্যন্তরীণ দাম যথাক্রমে ৪২.৫ শতাংশ, ৪২.৫ শতাংশ, ৫১.৬ শতাংশ এবং ৫১.১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে যথাক্রমে ১১৪ টাকা, ১১৪ টাকা, ১৩৫ টাকা ও ১৩০ টাকায় পৌঁছেছে। এটি প্রায় দুই দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধি, যা ভারত, চিন ও নেপালের মতো প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে দামের সামঞ্জস্য তৈরি করেছে৷

২০০৫ সালের অক্টোবরে ‘‌বিমস্টেকের শক্তি সহযোগিতার জন্য কর্ম পরিকল্পনা’‌ এবং বিমস্টেক গ্রিড আন্তঃসংযোগ স্থাপনের জন্য আগস্ট ২০১৮–এ একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হওয়া সত্ত্বেও বিমস্টেক দেশগুলি শক্তি সহযোগিতার অগ্রগতিতে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। এই চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে রয়েছে আরও প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো, নমনীয় শক্তি বাজার এবং বৈদ্যুতিক শক্তি ও প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইন প্রযুক্তির জন্য উপযুক্ত সিঙ্ক্রোনাইজড গ্রিড সিস্টেম ও গ্রিড কোডের অনুপস্থিতি। এর উপর আর্থিক নীতির অভাব এবং সংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলিও এই অঞ্চলের দেশগুলির মধ্যে শক্তি সহযোগিতার ধীর অগ্রগতিতে অবদান রেখেছে। যাই হোক, ২০২১ সালে, বিমস্টেক গ্রিড আন্তঃসংযোগ সমন্বয় কমিটি এই সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য তার দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণ করেছে। এটির লক্ষ্য হল বাণিজ্য ও বিদ্যুৎ বিনিময়ের জন্য একটি নীতি কাঠামো তৈরি করা, একটি শুল্ক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা এবং বিমস্টেক গ্রিড ইন্টারকানেকশন মাস্টার প্ল্যান স্টাডি (বিজিআইএমপিএস) হাতে নেওয়া।

ভারতের জাতীয় সবুজ হাইড্রোজেন মিশন দেশে সবুজ হাইড্রোজেনের উৎপাদন, ব্যবহার ও রপ্তানি বাড়াতে পারে, এবং আঞ্চলিক মূল্য শৃঙ্খলের শিল্প ও পরিবহণ কার্যক্রমের ডিকার্বোনাইজেশনকে ত্বরান্বিত করতে পারে।

২০২২ সালে ২৭তম কনফারেন্স অফ পার্টিজ (কপ২৭) –এ ভারত কয়লা ও তেল–সহ সমস্ত ধরনের জীবাশ্ম জ্বালা্নির ব্যবহার ধাপে ধাপে বন্ধ করার জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি কৌশল সহ তার ২০৭০ সালের নেট–শূন্য প্রতিশ্রুতির পুনর্নবীকরণ করেছে। তার দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভারত এবার বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে সৌর ও বায়ু শক্তির মতো নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসগুলিতে উদ্ভাবনী অগ্রগতির নেতৃত্ব দিতে পারে। এছাড়াও ভারতের জাতীয় সবুজ হাইড্রোজেন মিশন দেশে সবুজ হাইড্রোজেনের উৎপাদন, ব্যবহার ও রপ্তানি বাড়াতে পারে, এবং আঞ্চলিক মূল্য শৃঙ্খলের শিল্প ও পরিবহণ কার্যক্রমের ডিকার্বোনাইজেশনকে ত্বরান্বিত করতে পারে।

উপসংহারে বলা যায়, জি২০ ফোরাম উন্নত ও উদীয়মান অর্থনীতিগুলিকে বৈশ্বিক শাসন সংক্রান্ত বিষয়ে সহযোগিতা করার সুযোগ দেয়, এবং প্রাসঙ্গিক চ্যালেঞ্জগুলির উপর আলোচনাকে উৎসাহিত করে। এই প্রসঙ্গে, বিশেষ করে বিমস্টেক অঞ্চল তথা ইন্দো–প্যাসিফিকের বৃহত্তর বৈশ্বিক দক্ষিণ সম্প্রদায়ের মধ্যে আঞ্চলিক মূল্য শৃঙ্খলের তাৎপর্য তুলে ধরে স্বনির্ভরতা অর্জনের গুরুত্বের উপর জোর দেওয়ার একটি অনন্য সুযোগ ভারতের কাছে রয়েছে। খাদ্য ও শক্তি ক্ষেত্রে ফোকাস করে ভারত দেখাতে পারে যে কীভাবে শক্তিশালী আঞ্চলিক অংশীদারির বিকাশ অর্থনৈতিক বৃদ্ধি বাড়াতে পারে, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে এবং শক্তির স্থিতিশীলতাকে শক্তিশালী করতে পারে। অধিকন্তু, এই ধরনের প্রয়াস বিমসটেক দেশগুলির মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা, প্রযুক্তি ভাগাভাগি এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির পথ প্রশস্ত করতে পারে, যা শেষ পর্যন্ত আরও সমৃদ্ধ এবং আন্তঃসংযুক্ত ইন্দো–প্যাসিফিক অঞ্চলের দিকে চালিত করবে৷


সৌম্য ভৌমিক অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সেন্টার ফর নিউ ইকনমিক ডিপ্লোম্যাসির একজন সহযোগী ফেলো

দেবস্মিতা সরকার অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সেন্টার ফর নিউ ইকনমিক ডিপ্লোম্যাসির একজন জুনিয়র ফেলো

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Authors

Debosmita Sarkar

Debosmita Sarkar

Debosmita Sarkar is an Associate Fellow with the SDGs and Inclusive Growth programme at the Centre for New Economic Diplomacy at Observer Research Foundation, India. Her ...

Read More +
Soumya Bhowmick

Soumya Bhowmick

Soumya Bhowmick is a Fellow and Lead, World Economies and Sustainability at the Centre for New Economic Diplomacy (CNED) at Observer Research Foundation (ORF). He ...

Read More +