Published on Jan 05, 2023 Updated 0 Hours ago

সীমান্ত বিরোধের অবসান ঘটানোর জন্য তিনটি পক্ষের —ভুটান, ভারত ও চিনের— তৎপরতা সত্ত্বেও বিভিন্নমুখী স্বার্থ উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করে চলেছে

ভুটানের সীমান্ত সমস্যা: সমাধান দূর অস্ত

ভারতে চিনা রাষ্ট্রদূত ১০ থেকে ১৩ অক্টোবর ভুটানে তিন দিনের সফরে গিয়েছিলেন, যেখানে তিনি রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক, প্রধানমন্ত্রী   লোটে শেরিং ও বিদেশমন্ত্রী তান্ডি দোরজির সঙ্গে দেখা করেন। ভুটান ও চিনের মধ্যে সীমান্ত আলোচনা ত্বরান্বিত করার জন্য একটি ত্রিস্তরীয় পরিকল্পনার সমঝোতাপত্র (এমওইউ) স্বাক্ষর করার এক বছর পর এই সফর। সূক্ষ্ম অথচ তাপর্যপূর্ণ ঘটনাপ্রবাহ ইঙ্গিত দেয় যে ভুটানের সীমান্ত বিরোধের নিষ্পত্তি সব পক্ষের —ভুটান, ভারত ও চিনের —কাছেই জরুরি প্রয়োজন। তবুও এই তিন অংশীদারের বিভিন্নমুখী স্বার্থ এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ হয়েই থাকবে।

সীমান্ত বিরোধ: একটি পর্যালোচনা

ভারত ও চিনের মধ্যে অবস্থিত স্থলবেষ্টিত ভুটান ১৯৪৯ সালে স্বাক্ষরিত বন্ধুত্ব ও  সহযোগিতা চুক্তির পর থেকে ভারতের সঙ্গে একটি বিশেষ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। চিনের সঙ্গেও ভুটান কোনও কূটনৈতিক সম্পর্ক ছাড়াই একটি নিরপেক্ষ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। চিন ভুটানের কাছ থেকে কিছু অঞ্চল দাবি করে:‌ উত্তরের পাসমলুং ও জাকারলুং উপত্যকা, যে দুই অঞ্চল ভুটানের জন্য সাংস্কৃতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ; এবং পশ্চিমে ডোকলাম, ড্রামানা ও শাখাতো, ইয়াক চু ও চারিথাং চু, সিনচুলুংপা এবং ল্যাংমারপো উপত্যকা—এই ভূমিগুলি চারণভূমি সমৃদ্ধ এবং কৌশলগতভাবে ভুটান–ভারত–চিন ত্রিদেশীয় সংযোগস্থলে অবস্থিত, যা বিপজ্জনকভাবে ভারতের শিলিগুড়ি করিডোরের নিকটবর্তী। ২০২০ সালে চিন নতুন দাবি করেছে ভুটানের পূর্বে সাকতেং অভয়ারণ্যের উপর।

সূক্ষ্ম অথচ তাপর্যপূর্ণ ঘটনাপ্রবাহ ইঙ্গিত দেয় যে ভুটানের সীমান্ত বিরোধের নিষ্পত্তি সব পক্ষের ভুটান, ভারত চিনএরকাছেই জরুরি প্রয়োজন।

১৯৮৪ সালে ভুটান চিনের সঙ্গে তার প্রথম সীমান্ত–আলোচনা শুরু করে। ১৯৮৮ সালে উভয় পক্ষই আলোচনার পথনির্দেশের জন্য মৌলিক নীতির প্রসঙ্গ তোলে, এবং ১৯৯৮ সালে তারা আলোচনা চালিয়ে যেতে এবং স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এখনও পর্যন্ত উভয় দেশের মধ্যে ১০ বার বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠীর বৈঠক এবং ২৪ দফা সীমান্ত আলোচনা হয়েছে। তার ভৌগোলিক আকার ও কৌশলগত অবস্থান বিবেচনা করে ভুটান অত্যন্ত আত্মরক্ষামূলক ছিল। ২০২১ সালে ভুটান ও চিন আলোচনা ত্বরান্বিত করতে এবং সীমান্ত বিরোধ সমাধানের জন্য একটি এমওইউ স্বাক্ষর করে।

শক্তিপ্রদর্শন প্রলোভন নীতি

ভুটানে চিনা রাষ্ট্রদূতের সাম্প্রতিক সফর বন্ধুত্বপূর্ণ আদানপ্রদান বজায় রাখা, সম্পর্কের উন্নতি, উভয়ের পক্ষে লাভজনক সহযোগিতা সম্প্রসারণ, চিন–ভুটান সীমান্ত আলোচনার অগ্রগতি এবং তিন ধাপের রোডম্যাপ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখেছিল। চিনের এই উসাহ সীমান্ত আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যেতে বেজিংয়ের ক্রমবর্ধমান আগ্রহ এবং এই অঞ্চলে তার কৌশলগত মর্যাদাগত স্বার্থ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিতবাহী।

ভুটানের সঙ্গে মীমাংসা করতে চিন প্রায়ই শক্তিপ্রদর্শন ও প্রলোভন নীতি প্রয়োগ করেছে। চিন ভুটানকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেছে, বিশেষ করে সহায়তা ও জনগণের মধ্যে যোগাযোগের প্রস্তাব দিয়ে। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে চিন ভুটানকে কোভিড–১৯–এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য চিকিসা সংক্রান্ত সরবরাহ করে সাহায্য করেছিল।

তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শক্তির ব্যবহার তীব্র হয়েছে। ৯০–এর দশকের শেষ দিক থেকে চিন তার নাগরিকদের বিতর্কিত এলাকা ও চারণভূমিতে বসতি স্থাপন করতে উসাহিত করেছে। পরবর্তী শকগুলিতে বেজিং ভুটানি অঞ্চলের মধ্যে রাস্তা, পরিকাঠামো, এমনকি স্থায়ী বসতি নির্মাণ করেছে। ২০২০–২০২১এর মধ্যে স্যাটেলাইট চিত্রগুলি উত্তর এবং পশ্চিমে নতুন গ্রাম তৈরি হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। এই গ্রামগুলিকে সামরিক বা পুলিশ ফাঁড়ি, বসতি, ভালভাবে সংযুক্ত রাস্তা এবং সেতু দিয়ে শক্তিশালী করা হয়েছে। ভুটানকে ক্রমশ বেশি ভীতিপ্রদর্শন এই ইঙ্গিতই দেয় যে সীমান্ত–বিরোধের অবসান ঘটাতে এবং ভারতের বিরুদ্ধে কৌশলগত সুবিধা পেতে চিন তপর হয়েছে।

ভুটানে চিনা রাষ্ট্রদূতের সাম্প্রতিক সফর বন্ধুত্বপূর্ণ আদানপ্রদান বজায় রাখা, সম্পর্কের উন্নতি, উভয়ের পক্ষে লাভজনক সহযোগিতা সম্প্রসারণ, চিনভুটান সীমান্ত আলোচনার অগ্রগতি এবং তিন ধাপের রোডম্যাপ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখেছিল।

এই তপরতা একাধিক কারণ থেকে উদ্ভূত: ভারতের সঙ্গে ভুটানের বিশেষ সম্পর্ক, পূর্বের অমীমাংসিত সীমানা, এবং চিনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের অনুপস্থিতি বেজিংয়ের এশীয় শক্তি হওয়ার আকাঙ্ক্ষার পথে বাধা হয়ে থেকেছে। ভারতের সঙ্গে বৈরিতা বেজিংকে অনুপ্রাণিত করেছে ভুটানকে চাপ দিতে এবং ভুটানের পশ্চিমের বিতর্কিত অঞ্চলগুলি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতে। পশ্চিম অঞ্চলটি শিলিগুড়ি করিডোরের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের বিরুদ্ধে বেজিংয়ের আক্রমণাত্মক অবস্থানকে উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী করে। ১৯৯০ সালে বেজিং এমনকি পশ্চিমের বিরোধপূর্ণ অঞ্চলের বিনিময়ে ভুটানের উত্তরের বিতর্কিত অঞ্চলগুলির উপর দাবি তুলে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। পরিশেষে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সঙ্গে বেজিংয়ের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে এক অ–বন্ধুত্বপূর্ণ ভুটান থেকে তিব্বতে সম্ভাব্য অস্থিরতায় সহায়তা করা সহ একটি অস্থায়ী চ্যালেঞ্জের বিষয়ে চিনের উদ্বেগ তৈরি করেছে।

অভিন্ন বিপদের জন্য অভিন্ন পরিকল্পনা

অন্যদিকে, সাম্প্রতিক ঘটনাবলি চিনের সম্প্রসারণবাদকে কীভাবে মোকাবিলা করা যায় সে বিষয়ে ভারত ও ভুটানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান জরুরি প্রয়োজনীয় যোগাযোগ ও বোঝাপড়ার ইঙ্গিত দেয়। প্রথমত, উভয় দেশই ক্ষেত্রভিত্তিক আলোচনায় অংশ নিচ্ছে। ভুটান ১৯৯০–এর দশক থেকে এই অবস্থান বজায় রাখলেও ভারত ২০২০ সাল থেকে প্রকাশ্যে এই কৌশলটিতে আগ্রহ দেখিয়েছে। গালওয়ানে চিনের সঙ্গে উত্তেজনা চরমে উঠলে ভারত ভুটানকে চিনের সঙ্গে তার আঞ্চলিক বিরোধগুলি সমাধান করতে বলেছে, যাতে সমস্ত অংশীদার ত্রিদেশীয় সংযোগস্থলের জটিলতার দিকে মনোনিবেশ করতে পারে। জুলাই মাসে ভুটানের বিদেশমন্ত্রী জোর দিয়ে ব্যাখ্যা করেছেন যে ২০২১ সালের সমঝোতাপত্রটি শুধুমাত্র চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সমস্যা সমাধানের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, এবং তা পশ্চিম সীমান্তের ত্রিসংযোগ অঞ্চলকে প্রভাবিত করবে না।

দ্বিতীয়ত, চিনের সম্প্রসারণবাদকে সীমিত করার জন্য ২০১২ সালের চুক্তি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে পারস্পরিক স্বার্থ রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। ২০১৭ ডোকলাম অচলাবস্থার সময় ভারত ২০১২ সালের চুক্তি মেনে না–চলার জন্য দৃঢ়ভাবে চিনের নিন্দা করে বলেছিল যে ত্রিপক্ষীয় সংযোগস্থলগুলি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। যাই হোক, ভুটানের ভূখণ্ডের মধ্যে রাস্তা নির্মাণের জন্য চিনের সমালোচনা করা সত্ত্বেও ভুটান অচলাবস্থার সময় এমন কোনও বিবৃতি দেয়নি। তবে ত্রিপাক্ষিকভাবে বিরোধ সমাধানের জন্য সাম্প্রতিক উদ্যোগ এই ইঙ্গিত দেয় যে ভুটান এখন ওই চুক্তিতে আরও আগ্রহ দেখাচ্ছে এবং ভারতীয় উদ্বেগকে সম্মান করছে, এবং তার অবস্থান অনুসরণ করছে।

সামনের চ্যালেঞ্জ:

এই আশু প্রয়োজন ও বোঝাপড়া সত্ত্বেও, বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে:

প্রথম চ্যালেঞ্জ হল ভারতের সঙ্গে ত্রিসংযোগ অঞ্চল নিয়ে আলোচনা করতে চিন আগ্রহী কিনা তা দেখা। আলোচনা করতে হলে বেজিংকে তার অনেক দশকের পুরনো ভুটান–চিন সীমান্ত বিরোধকে দ্বিপাক্ষিক ইস্যু হিসাবে দেখার নীতি পরিহার করতে হবে। পশ্চিমের বিরোধপূর্ণ অঞ্চলের কৌশলগত সুবিধা ও বেজিংয়ের সঙ্গে ভারতের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিবেচনা করে বলা যায় এই ধরনের পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম।

জুলাই মাসে ভুটানের বিদেশমন্ত্রী জোর দিয়ে ব্যাখ্যা করেছেন যে ২০২১ সালের সমঝোতাপত্রটি শুধুমাত্র চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সমস্যা সমাধানের উপর দৃষ্টি  নিবদ্ধ করে, এবং তা পশ্চিম সীমান্তের ত্রিসংযোগ অঞ্চলকে প্রভাবিত করবে না।

দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হল ভুটানের পশ্চিমের বিরোধপূর্ণ অঞ্চলে চিনা সম্প্রসারণ নিয়ে ভারতের ক্ষোভ প্রশমিত করা। ভারত একাধিকবার চিনের ক্রমবর্ধমান প্রবেশের বিষয়ে ভুটানকে অবহিত করেছে এবং বিষয়টি কতটা সংবেদনশীল তা ব্যাখ্যা করেছে। ২০২২ সালের জুলাইয়ে যখন ভুটানে চিনা নির্মাণের স্যাটেলাইট চিত্রগুলি পাওয়া গিয়েছিল, সেই সময় ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক জোর দিয়ে বলেছিল যে তারা এই নিরাপত্তা সম্পর্কিত ঘটনাপ্রবাহের উপর কড়া নজর রাখছে। সেই মাসে ভারতের সেনাপ্রধান ভুটানের রাজার সঙ্গে, যিনি দেশের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা  বিষয়গুলির ক্ষেত্রে কার্যত সুপ্রিমো, এবং ভুটানের সেনাপ্রধান–সহ অন্য প্রধান নেতাদের সঙ্গে আরও প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ভুটানের রাজা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ও বিদেশসচিবের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন। এই ক্রমবর্ধমান সহযোগিতা ও উদ্বেগের কারণ এই সত্য যে ক্রমাগত অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ভুটানের উপকরণগত সক্ষমতা ও অবস্থিতির অভাব থাকলেও দেশটি চিনের রক্তচক্ষুর ভয়ে আরও ভারতীয় সহায়তা চাইতে অনিচ্ছুক থাকে।

তৃতীয় চ্যালেঞ্জ হল সীমান্ত বিরোধের সমাধানে চিন প্রায়ই ভুটানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করার বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্ত করে। বেজিংয়ের দিক থেকে এই ধরনের চাপ আরও তীব্র হবে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সঙ্গে তার উত্তেজনা বাড়বে। এই ঘটনাগুলি ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সাবধানী করবে এবং ভুটানের উপর চাপ বাড়বে।

ভুটান চিনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহী, কিন্তু গভীর সম্পৃক্ততা বা কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন মূলত অন্যান্য কারণের দ্বারা চালিত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে, উভয় প্রতিবেশীর সঙ্গে ভুটানের সম্পর্ক ‘‌হুমকির ভারসাম্য’‌ দ্বারা নির্ধারিত হয়। এই বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে ভুটান বিচ্ছিন্ন থাকার নীতি পরিহার করছে এবং চিনের ভয় বৃদ্ধির সঙ্গেসঙ্গে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করছে। ফলস্বরূপ ভুটান ভারতের অর্থনীতি, নিরাপত্তা নিশ্চয়তা, এবং উন্নয়ন সহায়তার সঙ্গে একীভূত হতে চলেছে। অন্যদিকে, চিনের পূর্ববর্তী চুক্তি লঙ্ঘন, ধারাবাহিক ভীতিপ্রদর্শন এবং নতুন আঞ্চলিক দাবি তোলা এই হুমকির ধারণা প্রশমনে কোনও সহায়তা করেনি।

ভুটান চিনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহী, কিন্তু গভীর সম্পৃক্ততা বা কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন মূলত অন্যান্য কারণের দ্বারা চালিত হয়েছে।

ভুটানের গ্রস ন্যাশনাল হ্যাপিনেস বৃদ্ধির মডেলও চিনের সঙ্গে গভীর অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততাকে বাধা দেবে, কারণ বেজিংয়ের সহায়তা প্রায়শই অর্থনৈতিক ও পরিবেশগতভাবে স্থিতিশীল নয়। বেজিং থেকে বিপদের ধারণা প্রশমিত না–হলে এটি বেশি করে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও চিনা রাষ্ট্রদূতের সাম্প্রতিক সফর বিপদের ধারণা প্রশমন করার কিছু লক্ষণের ইঙ্গিতবাহী, তবে চিনের কাজকর্ম দিয়ে অনেক কিছু নির্ধারিত হবে। যাই হোক, যেহেতু শি জিনপিং তাঁর তৃতীয় মেয়াদ শুরু করছেন এবং তিব্বত সীমান্তকে শক্তিশালী করার দিকে মনোনিবেশ করেছেন, হুমকির ধারণাটি সম্ভবত প্রবল হবে। অবশেষে, চিনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে হলে ভুটানকেও পি–৫ দেশগুলির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন না–করার এবং তাদের মহাশক্তির রাজনীতি থেকে দূরে থাকার নীতি পরিহার করতে হবে।

এই সীমান্ত বিরোধের সমাধান ভুটানের জন্য একটি কঠিন কাজ হবে। এই বিরোধের অবসান ঘটাতে সব পক্ষই আগ্রহ ও তপরতা দেখিয়েছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। তবুও, আগামী দিনের গতি নির্ভর করবে কীভাবে তাদের স্বার্থ সুরক্ষিত হয় তার উপর; ততদিন পর্যন্ত একটি সম্ভাব্য সীমান্ত সমাধান অনেক দূরের ঘটনা বলে মনে হচ্ছে।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.