এই মাসের শুরুর দিকে, মিডিয়া রিপোর্টে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে ভুটান জুলাই ২০২১ থেকে জুন ২০২৩ পর্যন্ত ক্রিপ্টো-মাইনিং সুবিধাকেন্দ্রগুলিতে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। ঘটনাটি ক্রিপ্টো-মাইনিং ক্ষেত্রটিতে দেশের ক্রমবর্ধমান আগ্রহ প্রদর্শন করে। হিমালয়ের একটি নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ ভুটানে সামান্যই অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য আছে, এবং বেসরকারি ক্ষেত্রটিও সবে বিকশিত হতে শুরু করেছে। জলবিদ্যুৎ, পর্যটন ও কৃষি ক্ষেত্রের উপর উল্লেখযোগ্য নির্ভরতার পাশাপাশি রাজস্ব ধারার বহুমুখীকরণ এবং একটি স্থিতিশীল রাজস্ব ভিত্তি গড়ে তোলা নিয়ে প্রায়শই দেশটিতে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় বিতর্ক হয়েছে। এর অর্থনীতিকে প্রসারিত করতে সরকার ক্রিপ্টো-মাইনিং ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করছে। এই নিবন্ধটি দেশের ক্রিপ্টো মাইনিং ক্ষেত্রের বৃদ্ধির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেয় এবং এই ধরনের বৃদ্ধি কীভাবে এর অর্থনীতি ও বৈদেশিক নীতিকে প্রভাবিত করে তার উপর আলোকপাত করে।
ভুটানের ক্রিপ্টো মাইনিং ক্ষেত্র
বৃহৎ পুনর্নবীকরণযোগ্য জলবিদ্যুতের মজুদ এবং খনির পরিকাঠামো ঠান্ডা করার জন্য উপযুক্ত জলবায়ু থাকায় ভুটান ক্রিপ্টো মাইনিংয়ের জন্য উপযুক্ত স্থান হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। যদিও খনির ক্রিয়াকলাপের বিবরণ জনসাধারণের জ্ঞানের বাইরে, প্রতিবেদনগুলি ২০১৭ সাল থেকে একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিটকয়েন খনির অস্তিত্বের ইঙ্গিত দেয়৷ এই দিকে মনোযোগ দুটি কারণে আসে: অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য এবং ক্রিপ্টো-মাইনিং প্রযুক্তির ব্যবহার, যাতে দেশে ডিজিটাল রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করা যায় ৷
ফ্রেমওয়ার্ক-টি কেওয়াইসি, ভোক্তা সুরক্ষা, গ্রাহক শনাক্তকরণ, এবং আরএমএ থেকে বিভিন্ন ধরনের অনুমোদন সহ ক্রিপ্টো মাইনিং-এর জন্য শর্ত এবং সবিস্তার বিবরণী প্রদান করে।
ক্রিপ্টো মাইনিং নিয়ে ভুটানের আকাঙ্ক্ষা স্পষ্ট হয়েছিল যখন ভুটানের রয়্যাল মনিটারি অথরিটি (আরএমএ) জানুয়ারি ২০১৯-এ এর জন্য রেগুলেটরি স্যান্ডবক্স ফ্রেমওয়ার্ক ফর মাইনিং ক্রিপ্টোকারেন্সি তৈরি করে। এই নীতি প্রবর্তনের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য ছিল দেশের কম খরচে বিদ্যুৎ ও জলবায়ুর প্রেক্ষিতে ক্রিপ্টো মাইনিংয়ে বিনিয়োগের কার্যকারিতা মূল্যায়ন করা। এই ফ্রেমওয়ার্ক-টি কেওয়াইসি, ভোক্তা সুরক্ষা, গ্রাহক শনাক্তকরণ, এবং আরএমএ থেকে বিভিন্ন ধরনের অনুমোদন সহ ক্রিপ্টো মাইনিং-এর জন্য শর্ত এবং সবিস্তার বিবরণী প্রদান করে। এই নিবন্ধটি লেখার সময় ভুটানে পাঁচটি ক্রিপ্টো-মাইনিং সুবিধাকেন্দ্র ছিল (মানচিত্র ১ দেখুন)। ২০২৪ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে ষষ্ঠ সুবিধাকেন্দ্র হিসাবে জিগমেলিং ডেটা সেন্টার -এর নির্মাণ শুরু হয়েছে।
চিনের যোগসাজশ
ক্রিপ্টো-মাইনিংয়ে ভুটানের বৃদ্ধিকে দুটি ধাপে ভাগ করা যেতে পারে—প্রথম ধাপ, যা সম্ভবত ২০২০ সালে শুরু হয়েছিল, ঋণ ও বন্ড দ্বারা অর্থায়ন করা হয়েছিল। এরপর ভুটান মাইনিংয়ের ক্ষেত্রে প্রায় ৫৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (২০২১-এর জিডিপির ২১ শতাংশ) বিনিয়োগ করেছে। এই সময়ে আরএমএ ভুটানের রাজকীয় সরকারের বাণিজ্যিক শাখা ড্রুক হোল্ডিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস (ডিএইচআই)-এর দ্বারা জারি করা তিন বছরের বৈদেশিক মুদ্রা বন্ড সাবস্ক্রাইব করেছিল। এই ঋণগুলি ছিল ক্রিপ্টো-মাইনিংয়ের পরিকাঠামো ও সরঞ্জাম আমদানি করার জন্য, যার একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ছিল চিন থেকে। ২০২১ ও ২০২৩ সালে আমদানির মূল্য ছিল ৪ বিলিয়ন ভারতীয় রুপি; এবং, ২০২২ সালে ১২ বিলিয়ন ভারতীয় রুপি। পরবর্তীটি ছিল সরকারের বাজেটের ১৫ শতাংশ। একই সময়ে, ২০২০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে চিন থেকে ভুটানের আমদানি ২ বিলিয়ন ভারতীয় রুপি থেকে বেড়ে ১৫ বিলিয়ন ভারতীয় রুপিতে পৌঁছেছে।
ভুটান এই পর্যায়ে সরঞ্জাম আমদানিতে কম জড়িত, এবং তার লক্ষ্য শক্তি বিক্রি করা, জমি লিজ দেওয়া, পরিকাঠামো ও একটি আইনি কাঠামো তৈরি করা, এবং লাভের একটি অংশ পাওয়ার মাধ্যমে রাজস্ব উপার্জন।
দ্বিতীয় পর্যায়টিতে, যা ২০২৩ সালের শেষের দিকে শুরু হয়েছিল, ব্যক্তিগত বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি প্রাধান্য পেয়েছে। এই পর্যায়ে ভুটানের ডিএইচআই চিনা নাগরিক উ জিহানের মালিকানাধীন সিঙ্গাপুরের ফার্ম বিটডিয়ারের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করেছে। উদ্দেশ্য ছিল যৌথভাবে ভুটানে সবুজ ডিজিটাল সম্পদ মাইনিং কার্যক্রমের বিকাশ ঘটানো। তারা ২০২৬ সালের মধ্যে ভুটানে একটি ৬০০ মেগাওয়াট মাইনিং সংস্থা সম্প্রসারণ করতে আগ্রহী, যার জন্য বিটডিয়ার ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তহবিল সংগ্রহ করছে। প্রথম ১০০ মেগাওয়াট সুবিধাকেন্দ্রটি সেপ্টেম্বরে শুরু হয়েছিল, এবং এটি প্রায় ৩০,০০০ মাইনিং মেশিন রাখবে, যা সরাসরি বিটডিয়ার দ্বারা আমদানি করা হয়েছে। ভুটান এই পর্যায়ে সরঞ্জাম আমদানিতে কম জড়িত, এবং তার লক্ষ্য শক্তি বিক্রি করা, জমি লিজ দেওয়া, পরিকাঠামো ও একটি আইনি কাঠামো তৈরি করা, এবং লাভের একটি অংশ পাওয়ার মাধ্যমে রাজস্ব উপার্জন। ২০২৪ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে ভুটান দ্বারা শুধুমাত্র ৪৮ মিলিয়ন ভারতীয় রুপি মূল্যের আইটি সরঞ্জাম আমদানি করা হয়েছে।
ভারত ও জলবিদ্যুতের রাজনীতি
ক্রিপ্টো-মাইনিং সহ শক্তিনিবিড় শিল্পের বাড়বাড়ন্তের সঙ্গে বিদ্যুতের অভ্যন্তরীণ চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে দেশে অভ্যন্তরীণ শক্তির ব্যবহার ১,৪০০ থেকে ১,৮০০ জিডাবলুএইচ–এর মধ্যে ওঠানামা করত। যাই হোক, ২০২২ সালের মধ্যে দেশে ব্যবহৃত মোট শক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে ২,৮৬০ জিডাবলুএইচ-এ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই শক্তির বেশির ভাগই খরচ হয় ভারতের সহায়তায় তৈরি মেগা-জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলি থেকে। মানচিত্র ১ বিটকয়েন মাইনিং সেন্টার এবং ভারতের সহায়তায় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলির অবস্থান সম্পর্কে সর্বজনীনভাবে উপলব্ধ ডেটা (এখানে এবং এখানে) ব্যবহার করে দেখায় যে এই কেন্দ্রগুলি (সাইট ১ ব্যতীত) প্রকল্পগুলির কাছাকাছি এবং সম্ভবত সেগুলি থেকে শক্তি গ্রহণ করছে৷
মানচিত্র ১. ভুটানে মাইনিং সাইট এবং ভারতীয় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প
দ্রষ্টব্য: নীলে চিহ্নিত: ভারত জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে সহায়তা করেছে। হলুদে চিহ্নিত: বিটকয়েন মাইন
সূত্র: লেখকের সংকলন
অভ্যন্তরীণ শক্তি খরচ বৃদ্ধির ফলে ভারতে ভুটানের জলবিদ্যুৎ রপ্তানি কমে গেছে। ভারত হল ভুটানের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার এবং ঋণ ও অনুদানের মাধ্যমে সে দেশে মেগা-জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলি তৈরি করে। প্রকল্পটি চালু হওয়ার পর ভারত ট্যারিফ রেটে জলবিদ্যুৎ আমদানি করে, যা ভুটানের জন্য রাজস্ব তৈরি করে এবং এর রপ্তানি বাড়ায়। অতীতে, উদ্বৃত্ত শক্তি ছিল এই রপ্তানির একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ, যা এখন অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধির ফলে হ্রাস পেয়েছে। নীচের সারণী ১ দেখায় যে জলবিদ্যুতের রপ্তানি এবং মোট রপ্তানি আয় ২০২০ সাল থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে — যখন দেশে বিটকয়েন মাইনিং শুরু হয়েছিল।
সারণী ১. ভারতে ভুটানের জলবিদ্যুৎ রপ্তানি
প্রকল্প
|
এমইউ ২০১৭
|
এমইউ ২০১৮
|
এমইউ ২০১৯
|
এমইউ ২০২০
|
এমইউ ২০২১
|
এমইউ ২০২০
|
এমইউ ২০২৩
|
ইউনিটপ্রতি ট্যারিফ
|
চুখা
|
১,৩৮৮
|
১,৪৮৪
|
১,৬৭৩
|
২,০৪০
|
১,৮৩৫
|
১,৬২৫
|
৯৬৭
|
২.৫৫
|
কুরিছু
|
৮০
|
৯১
|
৯৪
|
৯৪
|
৪৭
|
২০
|
২৬
|
২.২৩
|
টালা
|
২,৯৯৯
|
২,৫৯৮
|
২,৬৮৮
|
৩,৩৮৯
|
২,৭৬২
|
২,৩৮৫
|
১,২২৫
|
২.২৩
|
দাগাছু
|
৪৫৫
|
৩৬২
|
৩৯৩
|
৫১৩
|
৪৮৬
|
৪৬৮
|
৩৭৮
|
৩.৪
|
মাংদেছু
|
-
|
-
|
১,২৯৮
|
৩,১৭১
|
২,৯৪৫
|
২,৭৭৩
|
২,৪৩৬
|
৪.১২
|
মোট রপ্তানি
|
৫,৩৭২
|
৪,৫৩৫
|
৬,১৪৬
|
৯,২০৬
|
৮,০৭৬
|
৭,২৭০
|
৫,০৭৩
|
-
|
মোট রপ্তানি মূল্য (মিলিয়ন)
|
১১,৯৮৩
|
১০৫৭৮
|
১৬,২৩৭
|
২৭,৫২৩
|
২৪,৪৩৫
|
২২,৪৭৫
|
১৬,৬৭৫
|
-
|
সূত্র: অর্থ মন্ত্রক
দ্রষ্টব্য: মাংদেছু মাত্র ২০১৯ সালে এর কাজ শুরু করেছে
ভুটান কম ট্যারিফের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলি থেকে অভ্যন্তরীণভাবে শক্তি গ্রহণ করা এবং উচ্চ ট্যারিফের প্রকল্পগুলি থেকে শক্তি রপ্তানি করা অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক বলে মনে করেছে (টেবিল ১ দেখুন)। অতএব, টালা, চুখা এবং কুরিছু প্রকল্পের উৎপাদিত জলবিদ্যুৎ ৫৩ শতাংশ অভ্যন্তরীণভাবে ব্যবহার করা হয় এবং বাকি ৪৭ শতাংশ রপ্তানি করা হয়। অন্যদিকে মাংদেছু প্রকল্পে রপ্তানির ৭৭ শতাংশ এবং অভ্যন্তরীণ ভোগের ২৩ শতাংশ।
রপ্তানি হ্রাসের পাশাপাশি, ভারত থেকে বিদ্যুতের আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা আরও বাণিজ্য ঘাটতিতে অবদান রাখছে। ঐতিহ্যগতভাবে, ভুটান ভারত থেকে মাত্র তিন মাসের জন্য বিদ্যুৎ আমদানি করত, যখন তার জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা শীতকালে দুর্বল থাকত। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৪ সালে, এই চাহিদা চার মাসে বৃদ্ধি পাবে, যা এর বাণিজ্য ভারসাম্যকে আরও প্রভাবিত করবে। বিশ্ব ব্যাঙ্ক অনুমান করেছে যে ২০২২-২০২৩ সালে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি ৬০ শতাংশ বেড়েছে। ২০২০ সালে, যখন মাংদেছু প্রকল্পটি তার সম্পূর্ণ ক্ষমতায় কাজ শুরু করে, তখন বাণিজ্যের ভারসাম্য ছিল ৭ বিলিয়ন ভারতীয় রুপি। কিন্তু, ২০২৩ সালের মধ্যে এটি বেড়ে হয়েছে ৪২ বিলিয়ন ভারতীয় রুপি।
ভুটান ভারত থেকে মাত্র তিন মাসের জন্য বিদ্যুৎ আমদানি করত, যখন তার জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা শীতকালে দুর্বল থাকত।
জলবিদ্যুৎ রপ্তানি এবং রাজস্বের এই হ্রাসগুলি ভুটানের জিডিপি এবং ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ভারসাম্যকে প্রভাবিত করে, উভয় দেশের মধ্যে জলবিদ্যুৎ সহযোগিতার উভয়ের-জন্য-লাভজনক প্রেক্ষিতটিতে একটি নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করে৷
ক্রিপ্টো মাইনিংয়ের প্রভাব এবং ভবিষ্যৎ
ভুটানে ক্রিপ্টো মাইনিংয়ের বৃদ্ধি তার সুবিধা এবং সমস্যাগুলির ন্যায্য অংশ নিয়ে এসেছে। বিনিয়োগের প্রথম পর্যায় সরকারকে ২০২৩ সালে সিভিল সার্ভিস বৃদ্ধির জন্য ৪ বিলিয়ন ভারতীয় রুপি তুলতে সক্ষম করেছিল। গেদুতে দ্বিতীয় পর্যায়ের মাইনিং কেন্দ্র ইতিমধ্যে লাভ,, মাইনিং কার্যক্রম এবং উৎপাদন বাড়িয়েছে।
যাই হোক, ক্রিপ্টো মাইনিংয়ের দিকে অগ্রসর হওয়া ভুটানের বিদ্যমান সম্পর্ককে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করে। দ্বিতীয় ধাপের (৬০০ মেগাওয়াট) সম্পূর্ণ বাস্তবায়নে বাকি দেশের মিলিত শক্তির চেয়ে বেশি শক্তির ব্যবহার হবে। এটি জলবিদ্যুতের ব্যবহার বৃদ্ধি করবে, এবং এর হ্রাসপ্রাপ্ত রাজস্ব ও রপ্তানিকে প্রভাবিত করবে। অধিকন্তু, খুব বেশি স্বচ্ছতা ছাড়াই দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য তহবিল সংগ্রহ করা চিনা বিনিয়োগকারীদের এবং বিটকয়েন মাইনারদের আকৃষ্ট করতে পারে — যা দেশে চিনা (ব্যক্তিগত) বিনিয়োগের প্রথম তরঙ্গ চিহ্নিত করবে।
ক্রিপ্টো মাইনিং সরঞ্জামের ব্যাপক আমদানিও আন্তর্জাতিক রিজার্ভের একটি উল্লেখযোগ্য হ্রাস ঘটিয়েছে এবং চলতি খাতের ঘাটতি (সিএডি) বাড়িয়ে ২২/২৩-এ জিডিপি-র ৩৪.৩ শতাংশে নিয়ে গিয়েছে। আরও, ক্রিপ্টো মাইনিং ক্ষেত্রের অপ্রত্যাশিততার কারণে, ভবিষ্যতে প্রত্যাশিতের চেয়ে কম প্রত্যাবর্তনের (রিটার্ন) সম্ভাবনা রয়েছে। অন্তর্নিহিত পরিবেশগত ঝুঁকি এবং ক্রিপ্টো মাইনিং সেন্টারের জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোর নৈকট্য নিয়ে উদ্বেগ অব্যাহত রয়েছে। ক্রিপ্টো মাইনিংয়ের উপর ভুটানের বাজি দীর্ঘমেয়াদে তার অর্থনীতি এবং বিদেশ নীতিকে উপকৃত করবে কি না তা এখনও দেখা বাকি আছে।
আদিত্য গৌদারা শিবমূর্তি অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের অ্যাসোসিয়েট ফেলো
বাসু চন্দোলা অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের অ্যাসোসিয়েট ফেলো
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.