Published on Feb 12, 2024 Updated 0 Hours ago

যদিও নতুন প্রশাসন চিনের সঙ্গে ভুটানের সীমান্ত আলোচনায় সামান্যই পার্থক্য আনবে, এটি ভারতের সঙ্গে গভীর অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও সংযুক্তিকে উন্নত করবে।

ভুটানের নির্বাচন: ভারতের জন্য কী অপেক্ষা করছে?

২০০৮ সালে ভুটানের গণতন্ত্রে উত্তরণের পর থেকে এর নির্বাচকমণ্ডলী প্রতি পাঁচ বছরে একজন নতুন প্রধানমন্ত্রী ও দলকে ভোট দিয়েছে। কিন্তু, ৯ জানুয়ারি, শেরিং তোবগে এবং তাঁর পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি) পুনর্নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় ফিরে ইতিহাস তৈরি করেছে। দেশের অর্থনৈতিক দুর্দশার মধ্যে পিডিপি সরকারের অভিজ্ঞতা ও ট্র্যাক রেকর্ড সম্ভবত এই ফলাফলে অবদান রেখেছে। নতুন প্রশাসন চিনের সঙ্গে ভুটানের সীমান্ত আলোচনায় সামান্যই পার্থক্য আনবে, তবে দেশের অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার উচ্চাকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তারা ভারতের সঙ্গে গভীর অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের জন্য চাপ দেবে।

সীমান্ত সমস্যা

একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র হিসাবে, ভুটানের গণতান্ত্রিক সরকারগুলি প্রায়শই তাদের বিদেশনীতির মূল উপাদানগুলি মেনে চলে, যার মধ্যে রয়েছে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব, ভারতীয় স্বার্থের প্রতি সংবেদনশীলতা, এবং চিনের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধের অবসান।
রাজা হলেন ভুটানের বিদেশনীতির নৈতিক পথপ্রদর্শক, তাঁর সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ কমান্ডার–ইন–চিফ এবং প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা–সম্পর্কিত বিষয়ে প্রকৃত সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী। ফলস্বরূপ, পরের পর নির্বাচিত সরকারগুলি চিনের ক্ষেত্রে তাদের পূর্বসূরির বৈদেশিক নীতি অব্যাহত রেখেছে। তারা সকলেই শেষ পর্যন্ত সীমান্ত বিরোধের অবসান ঘটানোর দিকে লক্ষ্য রেখেছে, যদিও তাদের কর্মপদ্ধতি এবং আলোচনার কৌশলে পরিবর্তন এসেছে।

একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র হিসাবে, ভুটানের গণতান্ত্রিক সরকারগুলি প্রায়শই তাদের বিদেশনীতির মূল উপাদানগুলি মেনে চলে, যার মধ্যে রয়েছে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব, ভারতীয় স্বার্থের প্রতি সংবেদনশীলতা, এবং চিনের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধের অবসান।

যেমন এই শতাব্দীর প্রথম দশকের গোড়ার দিকে চিনের অনুপ্রবেশ ক্রমশ বাড়তে থাকায় প্রথম নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী জিগমে থিনলে (২০০৮–২০১৩) পশ্চিমের বিতর্কিত অঞ্চলে চিনের সঙ্গে যৌথ জরিপ পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি সীমান্ত বিরোধ বন্ধ করতে এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য চিনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেন। দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে (২০১৩–২০১৮) চিনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের সম্ভাবনা খারিজ করে দেন, কিন্তু ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত  বার্ষিক সীমান্ত আলোচনার ঐতিহ্যকে জারি রাখেন। ২০১৬ সালের মধ্যে উভয় দেশই উত্তর ও পশ্চিমের বিরোধপূর্ণ ক্ষেত্রে যৌথ সমীক্ষা সম্পন্ন করেছিল। যাই হোক, ২০১৭ সালে ডোকলামে চিনা অনুপ্রবেশ এবং পরবর্তী স্থবিরতা এই আলোচনায় অচলাবস্থার সূচনা করে।


তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং (২০১৮–২০২৩) ২০২০ সালে এই অচলাবস্থা ভাঙার চেষ্টা করেছিলেন, কারণ ভারত ও চিনের গালওয়ানে সংঘর্ষ হয়েছিল এবং চিন ভুটানের সাক্টেং অঞ্চলে নতুন দাবি তুলেছিল। সরকার গোলযোগ না–করে মতভেদ নিরসনের জন্য পূর্ববিদ্যমান
এক্সপার্ট গ্রুপ মিটিং (ইজিএম) পদ্ধতি ব্যবহার করে। ২০২০ সালে উভয় দেশ সীমানা নির্ধারণের জন্য তিন–পদক্ষেপের রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা করেছিল, এবং দশম ইজিএমের সময় ২০২১ সালে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছিল। ২০২৩ সালে উভয় দেশ ১১তম, ১২তম এবং ১৩তম ইজিএম করেছিল। একটি জয়েন্ট টেকনিক্যাল টিম (জেটিটি) ১৩তম ইজিএম–এর ফাঁকে সীমানা নির্ধারণের জন্য বৈঠক করে। উভয় দেশ ২৫তম রাউন্ডের আলোচনাও করে, যেখানে তারা জেটিটি–র কার্যাবলি এবং দায়িত্বের রূপরেখার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করে। সীমান্ত চিহ্নিত করা সম্ভবত তিন–পদক্ষেপের রোডম্যাপ এমওইউ–এর প্রথম ধাপ, এবং তারপরে পরিদর্শন এবং তারও পরে চিহ্নিত সীমানা চূড়ান্ত করা হবে। যাই হোক, সরকার একাধিকবার আশ্বাস দিয়েছে যে এই আলোচনার মধ্যে ডোকলাম ত্রিসঙ্গম বাদ রাখা হয়েছে , যা ভারত, ভুটান ও চিন আলাদাভাবে আলোচনা করবে।

একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র হিসাবে, ভুটানের গণতান্ত্রিক সরকারগুলি প্রায়শই তাদের বিদেশনীতির মূল উপাদানগুলি মেনে চলে, যার মধ্যে রয়েছে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব, ভারতীয় স্বার্থের প্রতি সংবেদনশীলতা, এবং চিনের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধের অবসান।

প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে ক্ষমতায় ফিরে আসার ফলে চলতি আলোচনায় দিক–পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম। তাঁর সরকার, তাঁর পূর্বসূরিদের মতো, শীঘ্রই সীমান্ত বিরোধ শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে এগোবে। সীমান্ত বিরোধের আংশিক সমাধানের কাছাকাছি এসে নতুন সরকার চিনের বিরোধিতা করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকবে। এই অগ্রগতিকে লাইনচ্যুত করার আশঙ্কা টোবগে সরকারকে চিনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে আগের মতো বিতর্ক এড়িয়ে যেতে উৎসাহিত করবে। তাছাড়া, ভুটানের অর্থনৈতিক আকাঙক্ষা, চিনের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি, এবং চিনের অর্থনৈতিক শক্তি, আগ্রাসন ও অনুপ্রবেশ ভুটানকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সীমান্ত চিহ্নিত করতে উৎসাহিত করছে। তাই, নতুন সরকার আলোচনা চালিয়ে যাবে, ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করবে, ভারতীয় উদ্বেগকে সম্মান করবে, এবং চিনের অনুপ্রবেশ ও আগ্রাসন বৃদ্ধির বিরোধিতা করতে দ্বিধা করবে না।


অর্থনীতি এবং উন্নয়ন

নতুন সরকারের ভুটানের অর্থনীতি সংশোধন করার বিশাল দায়িত্ব রয়েছে। গত পাঁচ বছরে ভুটানের
গড় বৃদ্ধির হার ছিল মাত্র ১.৭ শতাংশ। এটি উচ্চ মূল্যস্ফীতি, উচ্চ যুব বেকারত্ব (২৯ শতাংশ), এবং কর্মক্ষম জনসংখ্যার ব্যাপক অভিবাসনের সম্মুখীন হচ্ছে, এবং এর ব্যবসা ও পর্যটন ক্ষেত্রগুলি কোভিড–১৯–এর ধাক্কা থেকে নিজেদের পুনরুদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়েছে। দেশের ঋণ ও আমদানি বেড়েছে, রাজস্ব হ্রাস পেয়েছে, এবং বৈদেশিক রিজার্ভ ৪৬৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমেছে — ন্যূনতম চৌকাঠের মাত্র ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বেশি।


অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য নতুন সরকার ত্রয়োদশ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে তার
ইশতেহারকে সারিবদ্ধ করতে আগ্রহী। উভয় পরিকল্পনারই লক্ষ্য পরিকাঠামো, রাস্তাঘাট, জল সরবরাহ, বেসরকারিকরণ, এফডিআই, সরকারি–বেসরকারি অংশীদারি, এবং আরও ভাল সংযোগের প্রসার। সরকার পর্যটন শিল্পের সম্প্রসারণ ও সশক্তকরণেও আগ্রহী। এই উদ্যোগগুলি আর্থ–সামাজিক উন্নয়ন করবে, এবং রাজস্ব, বৈদেশিক রিজার্ভ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করবে। ফলস্বরূপ, উচ্চাভিলাষী ত্রয়োদশ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ৫১০ বিলিয়ন ভারতীয় রুপির ব্যয় লক্ষ্য করা গিয়েছে, যা দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা থেকে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার বাজেট ছিল ৩৯০ বিলিয়ন ভারতীয় রুপি।


তার পক্ষ থেকে ভারত ভুটানের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার হতে থাকবে। আনুমানিক হিসাব থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে ভারত ত্রয়োদশ পরিকল্পনার জন্য
১০০ বিলিয়ন রুপি সহায়তা দেবে, যেখানে জাপান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও অন্য বহুপাক্ষিক সংস্থাগুলি আরও ৪০ বিলিয়ন রুপি দেবে৷ যদি এই পরিমাণ অর্থ অনুমোদন করা হয়, তাহলে ভারতের সহায়তা একাদশ ও দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার জন্য নির্ধারিত ৪৫ বিলিয়ন ভারতীয় রুপি থেকে বিশালভাবে বৃদ্ধি পাবে। উপরন্তু, সরকার একটি উদ্দীপনা প্যাকেজের জন্য ভারত থেকে ১৫ বিলিয়ন ভারতীয় রুপি অনুদান দিতেও আগ্রহী।

ভুটানের জলবিদ্যুৎ ভুটানের মোট রপ্তানির ৬৩ শতাংশ, জিডিপি–র ১৪ শতাংশ এবং সরকারি রাজস্বের ২৬ শতাংশ

জলবিদ্যুৎ হল আরেকটি ক্ষেত্র যেখানে উভয় দেশ আগামী পাঁচ বছরের জন্য তাদের সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে। কয়েক দশক ধরে ভারত ভুটানের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলিকে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়েছে, এবং বিনিময়ে জলবিদ্যুৎ আমদানি করেছে, যা উভয় দেশের মধ্যে একটি লাভ–লাভ সম্পর্কে অবদান রেখেছে৷ আজ ভুটানের জলবিদ্যুৎ ভুটানের মোট রপ্তানির ৬৩ শতাংশ, জিডিপি–র ১৪ শতাংশ, এবং সরকারি রাজস্বের ২৬ শতাংশ। ফলস্বরূপ, ত্রয়োদশ পরিকল্পনার ৩০০ বিলিয়ন ভারতীয় রুপির  বেশি জলবিদ্যুৎ ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে৷ নতুন সরকার ছয়টি মেগা জলবিদ্যুৎ এবং সাতটি ছোট জলবিদ্যুৎ প্রকল্প উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, এবং পুনতসাংছু ১, পুনতসাংছু ২, এবং খোলংচু প্রকল্পগুলিকে ত্বরান্বিত করবে ও অগ্রাধিকার দেবে৷ ১,০২০ মেগাওয়াট পুনতসাংছু ২ প্রকল্পটি ২০২৪ সালের অক্টোবরে কার্যক্রম শুরু করবে।


এ ছাড়া ভুটান পরিকাঠামোর উপরেও জোর দিচ্ছে। এটি ভারতের অসমের সীমান্তবর্তী এলাকায় ১০০০ বর্গ কিমি স্পেশাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ রিজিয়ন (এসএআর) গেলফু মাইন্ডফুলনেস সিটি প্রকল্প নির্মাণ করবে। এছাড়াও, সরকারের লক্ষ্য নতুন এসইজেড, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল, স্বায়ত্তশাসিত অর্থনৈতিক অঞ্চল, এবং শিল্প এস্টেট তৈরি করা, পাঁচটি শুষ্ক বন্দর পরিচালনা করা, এবং
পূর্ব ও দক্ষিণে বিমানবন্দর ও দেশের দক্ষিণে ক্যাসিনো স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই করা। এই উদ্যোগগুলি এফডিআই আকর্ষণ করবে, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক বৃদ্ধি বাড়াবে, এবং পর্যটনকে উন্নত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নতুন সরকার প্রতি বছর প্রায় তিন লক্ষ পর্যটক আকর্ষণ করার লক্ষ্য পূরণের জন্য ভারত এবং অন্যান্য দেশের পর্যটকদের জন্য প্রবেশ বা প্রস্থান পয়েন্ট হিসাবে কাজ করতে পারে এমন ছয়টি সীমান্ত শহরও প্রস্তাব করেছে।

এই ভুটানি প্রকল্পগুলির সাফল্যের জন্য ভারতের সঙ্গে সংযোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারক হবে। যেমন, গেলফু থেকে কোকরাঝাড় সংযোগকারী রেল পথ গেলফু শহর প্রকল্পের জন্য অত্যাবশ্যক হবে, তবে একে ভারতের সঙ্গে রেল, সড়ক ও বিমানপথে যুক্ত করতে আরও অনেক বেশি প্রকৃত চাপের প্রয়োজন হতে পারে। সামতসে ও বানারহাটের মধ্যে একটি নতুন রেল সংযোগের বিষয়ে আলোচনা চলছে। ভারত ও ভুটান উভয় দেশই বাণিজ্য বাড়াতে নতুন সমন্বিত চেকপোস্ট খোলার সম্ভাবনা অন্বেষণ করছে। নেপাল, বাংলাদেশ ও তাইল্যান্ডের সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করার লক্ষ্যে এই প্রকল্পগুলি ভুটানের বাণিজ্য এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার বাকি অংশের সঙ্গে সংযোগ বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে। নতুন সরকার প্রতি বছর প্রায় ৩,০০,০০০ পর্যটক আকর্ষণ করার লক্ষ্য পূরণের জন্য ভারত এবং অন্যান্য দেশের পর্যটকদের জন্য প্রবেশ বা প্রস্থান পয়েন্ট হিসাবে কাজ করতে পারে এমন ছয়টি সীমান্ত শহরও প্রস্তাব করেছে। এছাড়াও, বর্তমান এফডিআই–এর ৫৭ শতাংশ যখন ভারত থেকে আসছে, ভুটান আরও ভারতীয় বিনিয়োগের আশা করছে৷ ২০২৩ সালে রাজা ভুটানে বিনিয়োগের জন্য বিশিষ্ট ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।


গেলফু প্রকল্পের বর্ণনা দিয়ে, ভুটানি সাংবাদিক তেনজিং লামসাং X-এ
টুইট করেছেন, ‘‌‘‌এই প্রকল্পটি ভারতের প্রতি ভুটানের আস্থার সাক্ষ্য বহন করছে।’‌’‌ দেশের ত্রয়োদশ পরিকল্পনা এবং নতুন সরকারের মহৎ উদ্যোগের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। যদিও নতুন প্রশাসন চিনের সঙ্গে ভুটানের সীমান্ত আলোচনায় সামান্যই পার্থক্য আনবে, এটি ভারতের সঙ্গে গভীর অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও সংযুক্তিকে উন্নত করবে। আশা করা যায় যে শক্তিশালী ও ত্বরান্বিত সংযুক্তি ভুটানের অর্থনীতিকে সঠিক পথে আনতে পারবে এবং তরুণদের দেশ ছেড়ে যাওয়া বন্ধ করতে পারবে।



আদিত্য গৌদারা শিবমূর্তি অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের একজন সহযোগী ফেলো

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.