Author : Eva Abdulla

Published on Feb 07, 2025 Updated 0 Hours ago

প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর সমস্যাযুক্ত  নগর কেন্দ্রের পরিকল্পনা মলদ্বীপের গণতান্ত্রিক এবং বিকেন্দ্রীভূত কাঠামোর বিরোধিতা করে

ডিক্রি ও গণতন্ত্র: মুইজ্জুর নগর কেন্দ্র ও গণতান্ত্রিক ঘাটতি

Image Source: Getty

ডিসেম্বর মাসের শুরুতে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু মলদ্বীপের স্থিতিশীল আঞ্চলিক উন্নয়ন নীতির অংশ হিসাবে সাতটি নতুন নগর কেন্দ্রের কথা ঘোষণা করেছিলেন। ঘোষণাটি  রাজনৈতিক দল ও উন্নয়ন পরিকল্পনাকারীদের কাছ থেকে সমভাবে সমালোচিত হয়েছে। কেন্দ্রগুলি পছন্দের কোনও সুস্পষ্ট ন্যায্যতা নেই, কারণ সেগুলি ভৌগোলিক গন্তব্য-‌যোগ্যতা, অর্থনৈতিক কার্যকারিতা, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট এবং জনসংখ্যাগত পরিবর্তন-‌সহ মৌলিক পরিকল্পনা পরীক্ষা-‌তালিকাকে এড়িয়ে যায়। ঘোষণার আগে জনসাধারণের কোনও পরামর্শ ছাড়াই অস্পষ্ট নির্বাচনের মাপকাঠি, এবং অপরিহার্য পূর্বশর্তগুলির ক্ষেত্রে একটি সুস্পষ্ট বিভ্রান্তি, কিছু গুরুতর প্রশ্ন তোলে: মলদ্বীপের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা কি এখন রাজনৈতিক সুবিধার বিষয়, নাকি আরও খারাপ, অনিয়মিত সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়?

প্রতিষ্ঠিত পরিকল্পনা কাঠামো ও অংশীদারদের সম্পৃক্ততাকে বাদ দিয়ে নগর উন্নয়নের এই একতরফা পদ্ধতি গণতান্ত্রিক নীতি এবং উন্নয়ন পরিকল্পনার মধ্যে একটি ব্যবধানের ইঙ্গিত দেয়।

ঝুঁকির মধ্যে কী আছে

খুব কম মানুষই মলদ্বীপে বিকেন্দ্রীভূত, আঞ্চলিক উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তর্ক করবেন। বিক্ষিপ্ত দ্বীপ, বিশাল জলরাশি এবং দেশের আর্থিক বাস্তবতা প্রতিটি জনবসতিপূর্ণ দ্বীপের জন্য পরিকাঠামো এবং পরিষেবার ব্যবস্থাকে যৌক্তিক এবং অর্থনৈতিকভাবে অকার্যকর করে তোলে। জলবায়ু পরিবর্তন আরও জরুরি সমস্যা যোগ করে। ক্রমবর্ধমানভাবে অপ্রত্যাশিত আবহাওয়া এবং সমুদ্রের অবস্থা আন্তঃদ্বীপ পরিবহণকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করে, একীভূত পরিষেবা সরবরাহকে ক্রমশ আরও বেশি চাপের মধ্যে ফেলে। ঐতিহাসিক বন্দোবস্তের প্রবণতা জনসম্প্রদায়ের উন্নয়নের প্রেক্ষাপট প্রদান করে, যখন জনসংখ্যাগত পরিবর্তনগুলি নির্দেশ করে যে শহুরে বৃদ্ধিকে স্থিতিশীলভাবে সমর্থন করা যেতে পারে। অতএব, নীতিনির্ধারক ও রাজনীতিবিদ উভয় মহলেই ‘‌কেন্দ্রীভূত-বিকেন্দ্রীকরণ’‌ বা উন্নয়নের একটি হাব-অ্যান্ড-স্পোক মডেলের প্রয়োজনীয়তা দীর্ঘদিন ধরে স্বীকৃত। এই গতিশীলতার অতীতকে ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা নিম্নলিখিত উপায়ে বিদ্যমান চ্যুতিরেখাগুলিকে গভীর করে:


ঐতিহাসিক বন্দোবস্তের প্রবণতা জনসম্প্রদায়ের উন্নয়নের প্রেক্ষাপট প্রদান করে, যখন জনসংখ্যাগত পরিবর্তনগুলি নির্দেশ করে যে শহুরে বৃদ্ধিকে স্থিতিশীলভাবে সমর্থন করা যেতে পারে।



মালেতে জনসংখ্যার চাপ: দেশের জনসংখ্যার ৪১ শতাংশ বৃহত্তর মালে এলাকায় কেন্দ্রীভূত, এবং আনুমানিকভাবে এই ঘনত্ব ২০৫৪ সালের মধ্যে
৬৪ শতাংশে পৌঁছবে। এর সঙ্গে মোট বিদেশি জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশও রাজধানী মালেতে কেন্দ্রীভূত হওয়ায় শহরটি গুরুতর ও বহুমুখী চাপের সম্মুখীন হয়। এই ঘনত্ব ক্রমবর্ধমান ভাড়া এবং অত্যধিক জনবহুল জীবনযাত্রার মধ্যে একটি আবাসন সংকটের দিকে চালিত করেছে। প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো ব্যবস্থা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা থেকে বিদ্যুৎ, সবই তীব্র চাপের মধ্যে রয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলির উপর  অতিরিক্ত কর আরোপ করা হয়, শিক্ষা ব্যবস্থা সক্ষমতার জন্য সংগ্রাম করে, এবং স্থানীয়দের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি প্রয়োজনের তুলনায় পিছিয়ে থাকে। এই চাপগুলি শারীরিক ও মানসিক উভয় সুস্থতাকে প্রভাবিত করে, বিশেষ করে দুর্বল গোষ্ঠীগুলিকে। সামাজিক সংহতি বজায় রাখা এবং স্থানীয় ও অভিবাসী উভয় জনগোষ্ঠীর মানবিক মর্যাদা রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত সম্পদ সরবরাহ করা ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ তৈরি করে।

দ্বীপ সম্প্রদায়গুলির ক্রমশ হ্রাস পাওয়া: মালেতে চলে যাওয়ার প্রবণতা দ্বীপ-‌জীবনের স্থিতিশীলতার জন্য বিপদ ডেকে আনে। মলদ্বীপের আদমশুমারি ২০২২ প্রকাশ করে যে ১৩টি দ্বীপের
নিবন্ধিত জনসংখ্যার ৫০ শতাংশেরও বেশি এখন মালেতে বাস করে, যখন অন্য ১৬টি দ্বীপ তাদের ৪০-৪৯ শতাংশ বাসিন্দা হারিয়েছে, এবং বেশ কয়েকটি ছোট দ্বীপের জনসংখ্যা ১,০০০-এর নিচে চলে যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এই জনসংখ্যাগত পরিবর্তন মৌলিকভাবে দ্বীপগুলির উৎপাদনশীল ক্ষমতা ও অর্থনৈতিক কার্যকারিতাকে দুর্বল করে। অবশিষ্ট বয়স্ক জনসংখ্যা যত্ন সহায়তা হ্রাস ও মৌলিক পরিষেবাগুলির প্রাপ্তি হ্রাসের মুখোমুখি হচ্ছেন। ভোক্তা-‌ভিত্তি সঙ্কুচিত হওয়ায় এবং দক্ষ কর্মীরা চলে যাওয়ায় স্থানীয় অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়ে, এমনকি মৌলিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড টিকিয়ে রাখাও কঠিন হয়ে পড়ে। এটি একটি স্ব-শক্তিশালী চক্র তৈরি করে যেখানে প্রতিটি প্রস্থান দ্বীপটিকে যাঁরা অবশিষ্ট থাকেন তাঁদের জন্য ক্রমশই কম কার্যকর করে তোলে।

লিঙ্গ ও জনসম্প্রদায়ের স্থায়িত্ব: আদমশুমারির তথ্য দেখায় যে মালের জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি অভিবাসী, এবং
নারীরা এখন এই অভিবাসী প্রবাহের মধ্যে প্রধান ভূমিকা নিচ্ছেন। নারীরা উচ্চশিক্ষা, কর্মসংস্থানের সুযোগ এবং পারিবারিক দায়িত্বের জন্য স্থানান্তরে চলে যাচ্ছেন। এটি একটি যৌগিক প্রভাব তৈরি করে যেখানে অবশিষ্ট মহিলারা হ্রাসকৃত সহায়তা নেটওয়ার্কগুলির কারণে বর্ধিত যত্নের দায়িত্বের সম্মুখীন হন। যে কোনও অর্থপূর্ণ নগর উন্নয়ন কৌশলকে অবশ্যই বাইরের দ্বীপগুলির এই লিঙ্গগত ব্যবধানগুলিকে সমাধান করতে হবে।


ভোক্তা ভিত্তি সঙ্কুচিত হওয়ায় এবং দক্ষ কর্মীরা চলে যাওয়ায় স্থানীয় অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়ে, এমনকি মৌলিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড টিকিয়ে রাখাও কঠিন হয়ে পড়ে। 



জলবায়ু দুর্বলতা ও সংযোগ: ক্রমবর্ধমান আবহাওয়া এবং সমুদ্রের পরিবর্তনশীলতা মৌলিকভাবে বাসযোগ্যতার উপর প্রভাব ফেলছে। ঘন ঘন উত্তাল সমুদ্র পণ্য ও মানুষের পরিবহণ এবং
খাদ্য, ওষুধ ও বাণিজ্যের জন্য প্রয়োজনীয় সরবরাহ শৃঙ্খলকে প্রভাবিত করে। ইতিমধ্যেই সীমিত সম্পদের সঙ্গে লড়াই করা সম্প্রদায়গুলি প্রতিকূল আবহাওয়ার সময় ক্রমবর্ধমান বিচ্ছিন্নতার মুখোমুখি হয়। নগর কেন্দ্রের তকমা দেওযার সময় অবশ্যই অবিলম্বিত যাতায়াত-‌যোগ্যতা, জরুরি  প্রস্তুতি এবং দীর্ঘমেয়াদি জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা বিবেচনা করতে হবে, যার মধ্যে আবহাওয়ার পরিস্থিতি পরিবর্তনের সঙ্গে নির্ভরযোগ্য পরিবহণ সংযোগ এবং অন্যান্য পরিকাঠামো বজায় রাখার মতো বিষয়গুলি রয়েছে।

প্রক্রিয়ার ফাঁক

নতুন ঘোষিত শহুরে কেন্দ্রগুলি হল:
উঙ্গোফারু (রা প্রবালদ্বীপ), আইধাফুশি (বা প্রবালদ্বীপ), নাইফারু (লাভিয়ানি প্রবালদ্বীপ), মাহিবধু (আলিফ ধালু প্রবালদ্বীপ), নীলন্ধু (ফাফু প্রবালদ্বীপ), কুদাহুভাধু (ধালু প্রবালদ্বীপ), ও ফোনাধু (লামু প্রবালদ্বীপ)। নীতিগতভাবে এই কেন্দ্রগুলিকে এমন আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে যা স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক সুযোগসহ ব্যাপক পরিষেবা প্রদান  করে।

যাই হোক, বাস্তবায়ন বেশ কিছু উদ্বেগ উত্থাপন করে। এই ঘোষণাকে ঘিরে সংশয় ধারণা থেকে নয়, বরং নির্বাচিত দ্বীপ এবং তাদের নির্বাচনের পিছনের প্রক্রিয়া উভয় সম্পর্কে উদ্বেগ থেকে উদ্ভূত হয়:

পরিকল্পনাটি সর্বাধিক জনবসতির দ্বীপগুলিকে, যেমন আড্ডু, হুভাধু প্রবালদ্বীপ ও থিলাধুনমাথি, এবং সেখানকার  বিদ্যমান শহুরে কেন্দ্রগুলিকে সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে গিয়েছে। পরিবর্তে, বেশ কয়েকটি মনোনীত দ্বীপ হয় জনসংখ্যায় ছোট বা স্থানিক সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন, এবং সেই কারণে তাদের আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসাবে কাজ করার ক্ষমতা এবং কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করে। ঘোষিত গ্রুপিংগুলি তুলনামূলকভাবে দূরবর্তী প্রবাল দ্বীপগুলির সংমিশ্রণের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্যভাবে যোগাযোগের সমস্যা উত্থাপন করে; যেমন, হুভাধু বা আদ্দুর বাসিন্দাদের অপরিহার্য পরিষেবার জন্য লামুতে যেতে হবে। এই প্রস্তাবটি আঞ্চলিক উন্নয়নের উদ্দেশ্যের বিরোধিতা করে, যার ফলে তাদের নির্বাচন প্রায় অযৌক্তিক বলে মনে হয়।


পরিকল্পনাটি সর্বাধিক জনবসতির দ্বীপগুলিকে, যেমন আড্ডু, হুভাধু প্রবালদ্বীপ ও থিলাধুনমাথি, এবং সেখানকার  বিদ্যমান শহুরে কেন্দ্রগুলিকে সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে গিয়েছে।



কিছু বাছাইয়ের রাজনৈতিক ভূমিকা উপেক্ষা করা কঠিন: লামু প্রবালদ্বীপের অনেক বৃহত্তর, অধিক জনবহুল গনকে উপেক্ষা করে ফোনাধুকে বেছে নেওয়া, এবং ফাফু প্রবালদ্বীপের অপেক্ষাকৃত ছোট নীলান্ধুকে নগর কেন্দ্রের মর্যাদায় উন্নীত করা (যেখানে প্রেসিডেন্টের বোন পার্লামেন্ট সদস্য হিসাবে কাজ করেন)। উভয় সিদ্ধান্তই রাজনৈতিক মিত্রদের সন্তুষ্ট করার জন্য নেওয়া বলে মনে হচ্ছে। এই ধরনের পছন্দগুলি এই বাছাইয়ের প্রকৃত মানদণ্ড সম্পর্কে সংশয়ের অবকাশ রাখে না।

গণতন্ত্রের ঘাটতি
 
এই টপ-ডাউন পদ্ধতির বিড়ম্বনা এই যে এটি মলদ্বীপের নিজস্ব বিকেন্দ্রীকরণ কাঠামোর মৌলিকভাবে বিরোধিতা করে। স্থানীয় ও অ্যাটল কাউন্সিলগুলিকে এড়িয়ে গিয়ে এবং অংশীদারদের বিতর্ক সীমিত করে, প্রশাসন কার্যকরভাবে স্থানীয় শাসনের স্থাপত্যকে ভেঙে ফেলছে। স্থানীয় কাউন্সিলগুলির, স্থানীয় চাহিদা ও জনসম্প্রদায়ের আকাঙ্ক্ষা সম্পর্কে তাদের অন্তরঙ্গ উপলব্ধি সহ, এই বিতর্কের অগ্রভাগে থাকা উচিত। নীতিনির্ধারক ও উন্নয়ন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৃহত্তর পরামর্শের অনুপস্থিতি, এবং স্থানীয়দের বাদ দেওয়া, এই নগর কেন্দ্রগুলিকে দেশের উন্নয়নের গতিপথের সঙ্গে সারিবদ্ধ করার প্রয়োজনীয় স্থানীয় ও কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি উভয় থেকেই প্রক্রিয়াটিকে বঞ্চিত করেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতটি এই বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য অপরিহার্য যে, এই হাবগুলি আঞ্চলিক বৃদ্ধির জন্য স্থিতিশীল অনুঘটক হিসাবে কাজ করবে, এবং বিচ্ছিন্ন অবস্থায় অবশেষে পরিত্যক্ত পরিকাঠামো প্রকল্প হিসাবে পড়ে থাকবে না।

শহুরে কেন্দ্রগুলি নিয়ে বিতর্ক মুইজ্জু প্রশাসনের অধীনে ক্রমবর্ধমান কেন্দ্রীভূত ও একতরফা সিদ্ধান্ত গ্রহণের একটি বিস্তৃত ধরনকে প্রতিফলিত করে। তাঁর প্রেসিডেন্সির এক বছরে মুইজ্জুকে পদ্ধতিগতভাবে এবং দ্ব্যর্থহীনভাবে ক্ষমতা সংহত করতে দেখা যাচ্ছে। এই সংহতিকরণের প্রাথমিক প্রক্রিয়া হল পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা, যা অর্থপূর্ণ যাচাই-বাছাই ছাড়াই নীতি বাস্তবায়িত করতে সক্ষম করে। কঠোর
দলত্যাগ-‌বিরোধী পদক্ষেপের মাধ্যমে এমপি-‌দের স্বাধীনতাকে দুর্বল করে এমন সাংবিধানিক সংশোধনীগুলি, জাতীয় পরিকল্পনার উপর প্রেসিডেন্টকে ব্যাপক কর্তৃত্ব প্রদানের জন্য প্রস্তাবিত পরিবর্তন, নতুন  মিডিয়া আইনের মাধ্যমে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সীমিত করার সমান্তরাল প্রচেষ্টা, এবং স্থানীয় পরিষদগুলিকে এড়িয়ে যায় এমন আইনগুলি কার্যকরভাবে দেশের সাংবিধানিক আদেশকে অস্বীকার করে। এগুলি একটি বিস্তৃত গণতান্ত্রিক শূন্যতার উদ্বেগজনক লক্ষণ যেখানে জাতীয় পরিণতির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিতর্ককে নিয়মতান্ত্রিকভাবে বাদ দেওয়া হয়। নগর কেন্দ্রের তকমা এই ঘাটতির উদাহরণ দেয়।


প্রথাগত দাতারা যখন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপ ও অগ্রাধিকার পরিবর্তনের কারণে সার্বিকভাবে তহবিল হ্রাস করছে, সেই সময় মলদ্বীপ অস্বচ্ছ শাসন এবং ডিক্রি-ভিত্তিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে অংশীদারদের বিচ্ছিন্ন করার সামর্থ্য রাখে না, কারণ তাহলে অবশিষ্ট সম্পদের প্রাপ্তি বিপন্ন হবে।



আরও দায়িত্বশীল পথ

ডিক্রি দ্বারা এই ধরনের শাসন অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক ক্ষয়ের বাইরেও উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি বহন করে। প্রথাগত দাতা এবং বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠানগুলি অস্বচ্ছ প্রকল্প সম্পর্কে সতর্ক থাকবে। এটি বিশেষ করে
মলদ্বীপের বর্তমান ঋণ পরিস্থিতির কারণে  প্রয়োজনীয় সহায়তা এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উদ্বেগজনক। প্রথাগত দাতারা যখন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপ ও অগ্রাধিকার পরিবর্তনের কারণে সার্বিকভাবে তহবিল হ্রাস করছে, সেই সময় মলদ্বীপ অস্বচ্ছ শাসন এবং ডিক্রি-ভিত্তিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে অংশীদারদের বিচ্ছিন্ন করার সামর্থ্য রাখে না, কারণ তাহলে অবশিষ্ট সম্পদের প্রাপ্তি বিপন্ন হবে। ফলস্বরূপ অর্থায়নের সীমাবদ্ধতাগুলি কম অনুকূল ঋণ শর্তাবলির উপর নির্ভর করতে বাধ্য করে, দেশের ঋণ দুর্বলতাকে বাড়িয়ে তোলে এবং এর উন্নয়নের গতিপথকে বিপন্ন করে।

গণতান্ত্রিক আদেশ পুনরুদ্ধার করার জন্য সরকারকে অবিলম্বে পদক্ষেপ করতে হবে, এবং তার জন্য বর্তমান প্রস্তাবিত নগর কেন্দ্রের তকমা আবার পর্যালোচনা না-‌হওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখতে হবে এবং একটি স্বচ্ছ ও প্রমাণ-ভিত্তিক কাঠামো প্রতিষ্ঠা করে অংশীদার ও জনসাধারণের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা ও অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণের (উন্নয়ন পরিকল্পনাকারী সহ) ব্যবস্থা করতে হবে। সেইসঙ্গেই এই নগর কেন্দ্রগুলিকে বাছাই করতে হবে জাতীয় উন্নয়ন কৌশল, জনসংখ্যাগত লভ্যাংশ, স্থিতিশীল উন্নয়ন লক্ষ্য এবং জলবায়ু পরিকল্পনার সঙ্গে সারিবদ্ধ করে।



ইভা আবদুল্লা মলদ্বীপ পলিসি থিঙ্ক ট্যাঙ্কের চেয়ারপারসন।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.