Published on Jan 02, 2024 Updated 0 Hours ago
বাংলাদেশের নির্বাচন দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত–মার্কিন সহযোগিতার সীমাবদ্ধতা দেখায়

ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের ক্রমবর্ধমান ‌আগ্রাসী আচরণের সময় ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ায় সমন্বয়, পরামর্শ ও সহযোগিতার উপায় খুঁজে বের করছে। উভয় দেশই চিনকে রুখে দেওয়ার কৌশলগত স্বার্থের ভাগীদার, এবং উভয়েই গণতন্ত্রের মূল্যবোধ ও এই অঞ্চলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার আকাঙ্ক্ষারও ভাগীদার। যাই হোক, যদিও তাদের স্বার্থ অভিন্ন, তাদের  এই লক্ষ্যগুলি অর্জনের উপায়গুলি ভিন্ন হয়ে যায়, যা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের নির্বাচনের জন্য ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে স্পষ্ট। ভারতের অস্বস্তি বাড়িয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন’ করার জন্য শেখ হাসিনার উপর চাপ দিচ্ছে। বাংলাদেশের নির্বাচনের দৌড় ইঙ্গিত দেয় যে পারস্পরিক কৌশলগত অগ্রাধিকার সত্ত্বেও ভারত –মার্কিন সহযোগিতার এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য এই অঞ্চলে সাধারণ পদ্ধতির অভাব রয়েছে।


 
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিধারী তরোয়াল



স্বাধীনতা–পরবর্তীকালে বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুটি দল — ধর্মনিরপেক্ষ আওয়ামী লিগ (এএল) ও ইসলামি বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (বিএনপি) — আধিপত্য বিস্তার করেছে। ক্ষমতার কেন্দ্রটি সাধারণত বিএনপির খালেদা জিয়া এবং আওয়ামী লিগের শেখ হাসিনার মধ্যে ওঠানামা করেছে, এবং পরের জন ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৩ এবং ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। হাসিনার নির্বাচনকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অনেক সময়
রিগিং ও অসদাচারণের ফল বলে বর্ণনা করেছে। এই সমস্ত বছর ধরে ভিন্নমত ও বিরোধীদের বিরুদ্ধে হাসিনার দমন–পীড়ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ধারাবাহিক সমালোচনা ও নজরদারির মুখোমুখি হয়েছে। ২০২১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার লঙ্ঘনে অত্যধিক জড়িত থাকার জন্য বাংলাদেশের র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)–এর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে দুর্বল করতে কাজ করা সমস্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে শুরু করে। বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান মার্কিন আগ্রহ ইন্দো–প্যাসিফিকের দ্রুত পরিবর্তনশীল ভূ–রাজনৈতিক পরিবেশের একটি ফলাফল। চিনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতার সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার দ্বিধারী কৌশলের মাধ্যমে মূল্যভিত্তিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার উপর জোর দেয়: চিনকে কোণঠাসা করা এবং তৃতীয় দেশে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করা। উভয় কারণই পরস্পর সংযুক্ত: চিনের প্রভাব ও রাষ্ট্রযন্ত্র তৃতীয় দেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করে, এবং দুর্বল গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলি চিনা প্রভাব ও অনুপ্রবেশকে আকর্ষণ করে। মূলত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সক্ষমতা বৃদ্ধি, গণতান্ত্রিক সশক্তকরণ কর্মসূচি এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে প্রতিরক্ষা, অর্থনৈতিক ও বিনিয়োগ অংশীদারিত্বে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।


চিনের প্রভাব ও রাষ্ট্রযন্ত্র তৃতীয় দেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করে, এবং দুর্বল গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলি চিনা প্রভাব ও অনুপ্রবেশকে আকর্ষণ করে।



মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে চিনের বিকল্প প্রস্তাব করার চেষ্টা করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ‘‌
সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়’‌ নীতিকে চিনের জন্য উপকারী বলে মনে করে, কারণ বেজিং ঢাকার শীর্ষ প্রতিরক্ষা সরবরাহকারী হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে এবং ২০১৬ সাল থেকে ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেছে। ফলস্বরূপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক উন্নত করতে, নিয়মিত নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সংলাপ চালিয়ে যেতে, এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরের প্রচেষ্টায় উল্লেখযোগ্য আগ্রহ দেখাচ্ছে। এগুলো হচ্ছে প্রতিরক্ষা যানবাহন সরবরাহ, পরিকাঠামো, অর্থায়ন ও বিক্রয়ের অতিরিক্ত। যাই হোক, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের উপর নজরদারি করার প্রচেষ্টা এই অংশীদারিত্বের সুযোগ ও গুণমানকে সীমিত করেছে। নিষেধাজ্ঞাগুলি ছাড়াও, মার্কিন রাষ্ট্রদূত ২০২২ সালের ডিসেম্বরে রাষ্ট্রীয় নৃশংসতার শিকার এবং বিরোধী দলের সদস্যদের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন। এই ধরনের নজরদারির পর শেখ হাসিনা সরকারকে বিরোধী দলগুলোর উপর রাজনৈতিক চাপ কমাতে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করতে আহ্বান জানানো হয়েছে। একদিকে, এই ঘটনাটি এখন জামাত–ই–ইসলামি (জেআই)–র মতো বিরোধী ও চরমপন্থী সংগঠনগুলিকে সরকারের নীতি ও গণতান্ত্রিক দমনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সমাবেশ করতে সক্ষম করেছে। অন্যদিকে, এই চাপ মার্কিন–বিরোধী বক্তব্য এবং চিনের প্রতি আকর্ষণ প্ররোচিত করেছে, যার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আশা করে ভারত ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে।


caption: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯–এ নিউইয়র্কে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন।


ভারতের স্বার্থ


ক্রমবর্ধমান মার্কিন চাপ এবং বাংলাদেশে বিরোধীদের ক্রমবর্ধমান অগ্রগতি ভারতের জন্য একটি আদর্শ দৃশ্য নয়। ক্ষমতায় থাকাকালীন এখনকার বিএনপি–জেআই বিরোধী জোটের ভারত-বিরোধী মনোভাব প্রচার করা, পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং ভারতের ভঙ্গুর ও প্রত্যন্ত উত্তর–পূর্ব অঞ্চলে
আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদী হামলাকে উৎসাহিত করার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ২০০৯ সালে হাসিনার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সোনালি সম্পর্কের যুগের সূচনা করে। হাসিনার সরকার চরমপন্থাকে দমন করেছে, সামরিক অভ্যুত্থান হ্রাস করেছে, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদী চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে কাজ করেছে, ভারতের সঙ্গে সংযোগ প্রকল্প ও বাণিজ্য উন্নত করেছে, এবং ভারতের উচ্চাভিলাষী অ্যাক্ট ইস্ট নীতির একটি কেন্দ্র হিসাবে কাজ করেছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য ২০০৯ সালের ৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ২০২২ সালে প্রায় ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। উপরন্তু, ভারত বিশ্বাস করে যে চিনের প্রতি তাঁর বন্ধুত্বপূর্ণ নীতি থাকা সত্ত্বেও হাসিনা ভারতের স্বার্থ, চাহিদা ও উদ্বেগের প্রতি সংবেদনশীল। সুতরাং, ভারত আশঙ্কা করছে যে বিএনপি–জেআইয়ের বিজয় এই অগ্রগতিকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দেবে এবং দেশের জন্য অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা হুমকি বাড়িয়ে দেবে। একইসঙ্গে, ভারতও আশঙ্কা করছে যে ক্রমবর্ধমান মার্কিন চাপ হাসিনাকে, যদি তিনি ২০২৪ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করতে সক্ষম হন, চিনের আরও কাছাকাছি ঠেলে দেবে। প্রসঙ্গত, নয়াদিল্লি ওয়াশিংটনকে সতর্ক করেছে যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে তার অত্যধিক সম্পৃক্ততা উল্টো ফল দিতে পারে। এই কৌশলগত গণনাগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রকৃতি নিয়েও ভারতের উদ্বেগ অব্যাহত রয়েছে। ভারত হাসিনাকে এমন একজন নেতা হিসেবে দেখে যিনি চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে দমন ব্যবস্থা পরিচালনা করে এবং সেনা সদস্যদের তাদের ব্যারাকে সীমাবদ্ধ করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছেন। কিন্তু, হাসিনার সঙ্গে কাজ করতে পছন্দ করা সত্ত্বেও ভারত এখনও বাংলাদেশে  অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি করে আসছে। এ জন্য এখন, এবং এমনকি গত দুটি নির্বাচনও বর্জন না–করে যাতে বিএনপি ও জাতীয় পার্টি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে, তার জন্য ভারত তাদের সঙ্গে কথাবার্তা অব্যাহত রেখেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যাতে চটে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রচারের জন্য ভারতও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের বিষয়ে জনসমক্ষে নীরবতা বজায় রেখেছে, এবং নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গেসঙ্গে বাংলাদেশের নাগরিক সমাজ ও রাজনীতির সাথে তার যোগাযোগ হ্রাস করেছে


বিভিন্নতার চ্যালেঞ্জ



মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‌ও বাংলাদেশের মধ্যে ভারতের ভারসাম্য এই ইঙ্গিত দেয় যে উভয় রাষ্ট্রের এই অঞ্চলে তাদের সহযোগিতার প্রকৃতি এবং পরিধিতে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। উভয় দেশের কৌশলগত অগ্রাধিকার অর্জনের উপায় মূলত ভিন্ন, এবং বর্তমান সরকার সম্পর্কে তাদের ভিন্ন ভিন্ন ধারণা রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শেখ হাসিনার সরকারকে এমন একটি ক্রমবর্ধমান স্বৈরাচারী শাসন হিসাবে দেখে যা ক্রমশ বেশি করে চিনের ঘনিষ্ঠ হচ্ছে, আর ভারত তাকে দেখে এমন একটি জমানা হিসাবে কিছু গণতান্ত্রিক ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও যা গণতন্ত্র, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং দেশে চিনের অত্যধিক প্রবেশকে সীমিত করেছে। দ্বিতীয়ত, অংশীদারিত্বের ভূমিকা নিয়ে অস্পষ্টতা রয়েছে, কারণ বাংলাদেশের ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত সরকারের ভিন্ন ভিন্ন ধারণা রয়েছে। চিন যেহেতু দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের নিরাপত্তা ও অবস্থানকে চ্যালেঞ্জ করছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে একটি
পরিপূরক খেলোয়াড় হিসাবে রেখে এই অঞ্চলে ভারতের নেতৃত্বের প্রসারে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে। হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান পদক্ষেপের ফলে দিল্লিতে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন বাংলাদেশে সম্পূরক ভূমিকার পরিবর্তে একটি অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করছে। এটি সম্ভবত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সহযোগিতার অব্যক্ত মূল শর্তগুলি লঙ্ঘন করতে পারে: দক্ষিণ এশিয়ার নেতৃস্থানীয় শক্তি হিসাবে দিল্লির নিরাপত্তা এবং মর্যাদাকে সম্মান করা।


দুই দেশের সম্প্রসারিত কূটনৈতিক ব্যস্ততায় এবং ব্যক্তিগত আলোচনায় অগ্রাধিকার, সহমত, ভিন্নতা ও আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রকৃতিতে বিস্তৃতি সম্পর্কে স্পষ্টতা খোঁজার উপায় নির্ধারণ করার উপযুক্ত সময় এসেছে।



অবশেষে, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ‌মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের নীতি–পর্যায়ের পরামর্শ ও সহযোগিতার অভাব রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে যে এটি বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক হয়ে উঠতে ধাক্কা দিতে পারে, কারণ ভারত স্বাভাবিকভাবেই দেশটিকে চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে
বাধা দেবে। এই চিন্তাভাবনা শুধু মিত্র ব্যতিরেকে চিনকে মোকাবিলা করার জন্য ভারতের সীমাবদ্ধতাগুলিকেই উপেক্ষা করে না, বরং নয়াদিল্লির তৈরি নয় এমন একটি জটিল পরিস্থিতি পরিচালনা করার জন্য ভারতের উপর অযৌক্তিক পরিমাণে বোঝা চাপিয়ে দেয়। একই মূল্যবোধ এবং কৌশলগত হুমকি সত্ত্বেও ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন উপলব্ধি, পছন্দের পদ্ধতি, এবং দীর্ঘমেয়াদি গণনা রয়েছে। বাংলাদেশের দ্বিধা ইঙ্গিত করে যে এই পার্থক্যগুলি কীভাবে সাধারণ চিন্তাভাবনার অভাব থেকে উদ্ভূত হয়। উভয় রাষ্ট্রের মূল স্বার্থের জন্য একটি শক্তিশালী মার্কিন–ভারত সম্পর্কের কেন্দ্রিকতা নির্ধারিত হয়ে য়াওয়ার পরে এখন দুই দেশের সম্প্রসারিত কূটনৈতিক ব্যস্ততায় এবং ব্যক্তিগত আলোচনায় অগ্রাধিকার, সহমত, ভিন্নতা ও আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রকৃতিতে বিস্তৃতি সম্পর্কে স্পষ্টতা খোঁজার উপায় নির্ধারণ করার উপযুক্ত সময় এসেছে।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.