-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
যখন বাহরাইন ইরানের সঙ্গে তার সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তখন ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন সমীকরণ বদলে দিতে পারে। তা হলে দুই দেশের মধ্যকার পুনর্মিলন টিকে থাকবে না কি মার্কিন চাপ অগ্রগতিকে বাধা দেবে?
এই নিবন্ধটি রাইসিনা এডিট ২০২৫-এর অংশ।
ইরান ও বাহরাইনের মধ্যে একটি সুনির্দিষ্ট সম্পর্ক গড়ে উঠলে সৌদি আরবের সঙ্গে সাম্প্রতিক আঞ্চলিক ‘বিচ্ছিন্নতা’ সম্পূর্ণ হবে। প্রকৃতপক্ষে, উপসাগরীয় দেশ ও ইরানের মধ্যে এই সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে এক মাত্র ‘মিসিং লিঙ্ক’ হল বাহরাইন। ২০১৬ সালে তেহরানে সৌদি আরবের দূতাবাসে হামলার ফলে বাহরাইন ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেও বাহরাইন-ইরান সম্পর্কের নিজস্ব কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে।
২০০৭ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে এক উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি ছিলেন বাহরাইনে ইরানের রাষ্ট্রদূত হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ান, যিনি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির অধীনে ইরানের ফরেন মিনিস্টার (এফএম) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০২৪ সালের মে মাসে তিনি এবং রাইসি উভয়ই ইরানে একটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা যান। আবদুল্লাহিয়ান বাহরাইনের সঙ্গে অত্যন্ত পরিচিত ছিলেন। কারণ তিনি বাহরাইনে নিযুক্ত কয়েকজন ইরানি রাষ্ট্রদূতের মধ্যে অন্যতম ছিলেন, যাঁদের সে দেশে থাকাকালীন ইরানে প্রত্যাহার করতে হয়নি। তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল আল-ওয়েফাকের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বলে মনে করা হয়, যারা ২০১১ সাল পর্যন্ত পার্লামেন্টে ছিল এবং এর পর দলটি প্রতিষ্ঠান ছেড়ে গোপনে কাজকর্ম শুরু করে।
২০১৬ সালে তেহরানে সৌদি আরবের দূতাবাসে হামলার ফলে বাহরাইন ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেও বাহরাইন-ইরান সম্পর্কের নিজস্ব কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে।
সৌদি আরবের সঙ্গে এই পরিচিতি থাকা সত্ত্বেও আবদুল্লাহিয়ান বিদেশমন্ত্রী থাকাকালীন ইরান ও বাহরাইনের মধ্যে সম্পর্ক গভীর হয়নি। সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে ‘অবৈধতা’র প্রেক্ষিতে ২০২২-২০২৩ সালে ইরান ও বাহরাইনের মধ্যে ‘গোপন আলোচনা’ হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে, এর ফলে যে কোনও কিছু ঘটতে পারে, তার একমাত্র ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে ২০২৩ সালে মানামায় একটি ইরানি পার্লামেন্টারি প্রতিনিধিদলের এক বিশ্ব সম্মেলনে যোগদানের মাধ্যমে। ইরানের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রের মতে, এই সফরের মাধ্যমে ইরান আশা করেছিল যে, ‘আমাদের কূটনীতির পথে আরও আস্থা রাখা উচিত এবং এই অভিমুখে পদক্ষেপ করা উচিত’।
এই ‘গোপন আলোচনা’ কার্যকর হওয়ার সবচেয়ে স্পষ্ট ইঙ্গিত মেলে তাঁর মৃত্যুর এক সপ্তাহ আগে, যখন আবদুল্লাহিয়ান উপসাগরীয় অঞ্চলের সঙ্গে ‘একটি নতুন পর্যায়ে প্রবেশ’ করার বিষয়ে তাঁর আগ্রহের কথা বলেছিলেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি শুরু করার ক্ষেত্রে বাহরাইন সরকারের পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই এবং উভয় পক্ষই সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য আরও পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বিবেচনা করছে বলে বিষয়টিকে ইতিবাচক ভাবে মূল্যায়ন করি।’ তবে এটি বাহরাইনের কর্তৃপক্ষের জন্য তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের নিরিখে একটি বিরক্তির কারণ হয়ে উঠতে পারে।
প্রকৃতপক্ষে, উপসাগরীয় দেশ ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ নিয়ে বাহরাইন উদ্বিগ্ন। এর কারণ প্রধানত দু’টি। প্রথমত, বাহরাইনের মৌলবাদী বিরোধী দলগুলি এখন মূলত তেহরান, লেবানন ও ইরাকে ইরানি প্রক্সিদের সঙ্গে ওঠাবসা করে, যাদের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কোর-এর (আইআরজিসি) মতো সংস্থাগুলি সমর্থন জোগায়। দ্বিতীয়ত, বাহরাইনের ভূখণ্ডের উপর ইরানের ঐতিহাসিক দাবি সম্পর্কে বাহরাইন যথেষ্ট সতর্ক। উদাহরণস্বরূপ, সবচেয়ে কট্টরপন্থী ইরানি দৈনিকের সম্পাদক কাইহান - যিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেইনির সরাসরি নিযুক্ত - ২০১৮ সালে অভিযোগ করেছিলেন যে, ইরান বাহরাইনের ‘মালিকানা’ নিয়েছে।
বাহরাইনের মৌলবাদী বিরোধী দলগুলি এখন মূলত তেহরান, লেবানন ও ইরাকে ইরানি প্রক্সিদের সঙ্গে ওঠাবসা করে, যাদের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কোর-এর (আইআরজিসি) মতো সংস্থাগুলি সমর্থন জোগায়।
বাহরাইন দ্বিতীয় বক্তব্যটিকে ফাঁকা বাগাড়ম্বর বলে উড়িয়ে দিতে পারলেও গত দশকে বাহরাইনে যে অস্থিরতা দেখা গিয়েছে, সেই সময় ও তার কিছুক্ষণ পরেই ইরানের হস্তক্ষেপের অভিযোগ আরও তীব্র হয়ে ওঠে। ২০১৭ সালে ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউটের একটি গবেষণায় সেই বছরগুলিতে আবিষ্কৃত বোমা তৈরির কেন্দ্র ও অস্ত্রের ভাণ্ডারের ক্রমবর্ধমান শৃঙ্খলের বেশ কয়েকটি উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে, যার সব ক’টিই ইরানের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে করা হচ্ছে। বাহরাইন বেশ কয়েকজন বন্দির বিরুদ্ধে বাহরাইনে হামলা চালানোর জন্য আইআরজিসি কর্তৃক প্রশিক্ষণ নেওয়ার অভিযোগও তুলেছে।
কথিত মৌলবাদী বিরোধীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগের বিরুদ্ধে ইরান তেমন সরব হতে পারে না। এক বিশিষ্ট ধর্মযাজক শেখ ঈশা কাসিম - যাঁকে সকল পক্ষই বিলুপ্ত আল-ওয়েফাক রাজনৈতিক সমাজের আধ্যাত্মিক নেতা হিসেবে দেখে - বাহরাইন কর্তৃক তাঁর নাগরিকত্ব বাতিল হওয়ার পর ইরানে থাকেন এবং নিয়মিত বাহরাইনের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন। তা ছাড়া, আল-ওয়েফাকের ডেপুটি সেক্রেটারি-জেনারেলকে ইরানে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেখা গিয়েছে। এ ছাড়াও, ইসলামিক ওয়াফা পার্টির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বারা মনোনীত ব্যক্তিত্ব মুর্তধা আল-সানাদিও ইরানে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এমনকি যখন বাহরাইন ২০২৫ সালে তাদের সন্ত্রাসবাদী তালিকার সংস্কার করেছিল, তখনও মনে হয় বেশিরভাগ ইরানভিত্তিক ব্যক্তি ও সত্তাই সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, এমনকি তাদের মধ্যে অন্তত একজনের উপর পূর্ববর্তী ট্রাম্প প্রশাসনের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।
ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনার কারণে বাহরাইন আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করার কথা বিবেচনা করতে পারে। গত বছর ইজরায়েল ও ইরানের মধ্যে ক্রমাগত হামলা চলাকালীন দোহায় ইরানের সঙ্গে বৈঠকে নিরপেক্ষতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাহরাইন অন্য উপসাগরীয় দেশগুলির সঙ্গে যোগ দিয়েছিল। এর ফলে, ইরান বর্তমানে একজন নতুন বিদেশমন্ত্রী এবং নতুন সরকার পেয়েছে, যা বাহরাইনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের ধারাবাহিক লক্ষণ প্রদর্শন করছে। লেখক যুক্তি দিয়েছেন যে, বাহরাইনের সঙ্গে কোনও ঐতিহাসিক দ্বন্দ্ব নেই, এ হেন ইরানি কূটনৈতিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাহরাইন এখন আলোচনা চালাতে পারে।
এমনকি যখন বাহরাইন ২০২৫ সালে তাদের সন্ত্রাসবাদী তালিকার সংস্কার করেছিল, তখনও মনে হয় বেশিরভাগ ইরানভিত্তিক ব্যক্তি ও সত্তাই সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, এমনকি তাদের মধ্যে অন্তত একজনের উপর পূর্ববর্তী ট্রাম্প প্রশাসনের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।
উদাহরণস্বরূপ, ১৭ বছরের মধ্যে প্রথম ইরানি বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে বাহরাইন সফর করেন। সেখানে তিনি বাহরাইনের রাজা হামাদ বিন ঈশা আল-খলিফার সঙ্গেও দেখা করেন, যিনি ইরানি গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তাঁর ২০০২ সালের তেহরান ভ্রমণের ও সর্বোচ্চ নেতা আলি খামেইনির সঙ্গে সাক্ষাতের সুখস্মৃতির কথা বলেন। বলা হচ্ছে, তিনি পুনরায় তেহরানে সফরে আসার বিষয়ে আশাবাদী। যদিও এমনটা ঘটেছে বাহরাইনের প্রতিনিধি পরিষদ ইরানের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কৌশলগত কাউন্সিলের প্রধান এবং প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী কামাল খারাজির দেওয়া বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করার কয়েক দিন পরেই। খারাজি ১৯৭১ সালে ইরান থেকে বাহরাইনের ‘বিচ্ছেদের’ কথা উল্লেখ করেছিলেন এবং এটিকে প্রাক্তন শাহ মোহাম্মদ রেজা পহলভির ‘অমার্জনীয় বিশ্বাসঘাতকতা’ হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন এবং তার মতে, এই বিষয়টি ঘটেছিল ‘ভুয়ো গণভোট’-এর ভিত্তিতে। এই বিবৃতিকে বাহরাইন ক্ষমা করেনি, বরং অন্যান্য অগ্রাধিকারের কারণে সাময়িক ভাবে উপেক্ষা করেছিল মাত্র।
তা ছাড়া, বাহরাইনের ভৌগোলিক নৈকট্য ও মানুষে মানুষের সম্পর্কের কারণে ইরান নিজেই আঞ্চলিক মানদণ্ডে বাহরাইনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে। কারণ বাহরাইনে মার্কিন পঞ্চম নৌবহর নোঙর করেছে এবং ট্রাম্প-নেতৃত্বাধীন আব্রাহাম চুক্তির অংশ হিসাবে ইজরায়েলের সঙ্গে বাহরাইন স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে।
ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বাহরাইন ইরানের দৃষ্টিতে সাম্প্রতিক সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা থেকে দূরে সরে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি করেছে। বিশেষ করে যদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সাথে বাহরাইনের অনির্দিষ্ট সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের উপর তাঁর ‘সর্বোচ্চ চাপ’-এর প্রচারকে সমর্থন করতে চান, তা হলে এই অঞ্চলে মার্কিন নেতৃত্বাধীন নিরাপত্তা উদ্যোগে বাহরাইনের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাবে। ট্রাম্প বাহরাইনের সঙ্গে একটি কম্প্রিহেনসিভ সিকিউরিটি ইন্টিগ্রেশন অ্যান্ড প্রসপারিটি এগ্রিমেন্ট-এর (সি-এসআইপিএ) সুযোগও উত্তরাধিকারসূত্রে পাবেন, যে চুক্তিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রশাসন স্বাক্ষর করেছিল। ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের বিরুদ্ধে এই চুক্তির ব্যবহারকে কাজে লাগাতে পারে। মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্টের মতে, প্রচারটি সম্প্রতি ইরানের অর্থনীতিকে ‘দুরমুশ’ করা এবং ইরানের তেল রফতানি কমানোর উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত। তবে, আগামী মাসগুলিতে এই প্রচারের পরিধি আরও প্রসারিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্টের মতে, প্রচারটি সম্প্রতি ইরানের অর্থনীতিকে ‘দুরমুশ’ করা এবং ইরানের তেল রফতানি কমানোর উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত। তবে, আগামী মাসগুলিতে এই প্র্চারের পরিধি আরও প্রসারিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তা সত্ত্বেও, এ কথাও সম্ভব যে, ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার মাধ্যমে পারমাণবিক চুক্তি সুনিশ্চিত করার জন্য তার কূটনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার অংশ হিসেবে বাহরাইনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। অন্যান্য উপসাগরীয় দেশের মতো বাহরাইনও বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় আরও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করছে। কিছু উপসাগরীয় দেশ ওবামার সঙ্গে পূর্ববর্তী পারমাণবিক চুক্তিতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে যথেষ্ট অংশগ্রহণ না করার জন্য প্রতিরোধ করলেও প্রতিবেদন অনুসারে ওমানই একমাত্র দেশ, যারা সম্পৃক্ত হয়েছিল এবং এই সমগ্র ঘটনা সেই সময়ে উপসাগরীয় অঞ্চলে বিস্ময়ের রোল তুলেছিল। বাহরাইন কৌশলগত ভাবে ইরানের সঙ্গে তার দীর্ঘস্থায়ী বিরোধের বিষয়গুলিকে মিটমাট করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে, যাতে পারমাণবিক চুক্তির জন্য মার্কিন প্রচেষ্টায় সহায়তা করার উদ্দেশ্যে এবং এই গঠনমূলক ভূমিকার ক্ষেত্রে কৃতিত্ব অর্জনের বিষয়ে নিজে ক্ষুদ্র ভূমিকা পালন করতে পারে।
মাহদি গুলুম অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন (ওআরএফ) মিডল ইস্ট-এর জুনিয়র ফেলো।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Mahdi Ghuloom is a Junior Fellow at the Observer Research Foundation (ORF) – Middle East. He focuses on the Gulf States, with an eye on ...
Read More +